নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপাততঃ ঢাকা থেকে

উন্নত দেশে ব্যক্তি স্বাধীনতা

ফেরদাউস আল আমিন

সুন্দর এই পৃথিবীতে আগমন পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে। স্কুল ........... সে অনেক.. মিশনারি স্কুল, ডি এন হাই স্কুল চাঁদপুর, চাকলালা বাংলা মিডিয়াম রাওয়ালপিন্ডি, ইংলিশ মিডিয়াম মুযাফ্ফরাবাদ, ক্লাশ সিক্স বাদ শেষমেষ এবোটাবাদ পাবলিক স্কুল। চিটগাং কলেজ ও বুয়েট

ফেরদাউস আল আমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলোচনা ও সমাধান

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৩৩

মুল্যবোধ থাকাটা একটি দেশের জন্য ভীষনভাবে জরুরী।



সেই মূল্যবোধের নানা ধরনের ছোট গল্প বা প্রবন্ধ বা প্রচলিত কথন ছোটবেলার পাঠ্য পুস্তকে ছিল ভর্তি।

এশিয়ার পরিবার শিক্ষাকে সাধারনতঃ অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সামর্থ মোতাবেক পরিবারের আসল উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটি চেষ্টা করেন এই দিকে তার সন্তান যেন পিছিয়ে না থাকে।



বর্তমানে পুঁজিবাদের কাছে আমাদের দেশে মূল্যবোধের মূল্য ক্রমাগতভাবে হৃাস পেতে শুরু করে এটি কে এখন বিনা মূল্যের পণ্যের মধ্যেও গণনা করতে চান না।



চোখের সামনে বড় ভাই বা বোন মোবাইল ফোনে যদি অসত্য বলতে থাকেন(যা আজকাল অহরহ হচ্ছে, ছোট ভাই-বোন বা নবীনরা সেই থেকে কি শিখবে, তা বলাই বাহুল্য)



=======

বহু শতক বছর পূর্বে মূল্যবোধ সম্পন্ন একটি আরব দেশে এক প্রবীন হিতৈশীর তিন ছেলে সন্তান ছিল। ঐ সময়ে উটের সম্ভার ই ছিল বিরাট সহায় সম্পত্তির বিরাট অংশ।

সেই প্রবীন হিতৈশী ঠিক করলেন(অর্থাৎ উইল করলেন) তার ১৭টি উটের মাঝে তিনি মারা যাবার পর নিচে বর্ণিত অংশ বিভাজনের মাধ্যমে উট গুলি বন্টন হবে।

উইল খোলা হবার পর সবাই দেখল

১। বড় ছেলে সব উটের অর্ধেক পাবে।

২। মেঝ ছেলে পাবে ১৭টি উটের ১/৩ অংশ (এক তৃতীয়াংশ)

এবং

৩। ছোট ছেলে পাবে ১/৯ অংশ (এক নবমাংশ)

পারার মুরুব্বীরা উইল দেখলেন এবং চলে গেলেন।



পরদিন থেকেই তিন ভাই এর ঝগড়া শুরু হয়ে গেল। কারন ১৭টি উট কোন ভাবেই "উইল" অনুসারে বন্টন করা যাচ্ছে না।



এক সপ্তাহ ঝগড়া - মারামারি করার পর তিন ভাই ই ঠিক করলেন, তারা ঝগড়া মারামারি না করে একজন বিদ্যান ও বিবেকবান লোকের কাছে এর ফয়সালা চাইবেন।





বিদ্যান লোক খুব ধৈর্য সহকারে তাদের বক্তব্য শুনলেন।

কিছুক্ষন পর তিনি বললেন,

"ঠিক আছে আমি আমার একটি উট এই ১৭টির সংগে যোগ করে ১৮টি বানালাম।"

ছেলেরা আপত্তি জানিয়ে বলল, "এটা তো আমরা অনেক আগেই করতে পারতাম; কিন্তু আমরা ১৭টি উট ই বিভাজন চাচ্ছি, উইল অনুসারে"।



-- আরে দেখই না আজকের বিভাজন আমি পরে করছি, একটু ধৈর্য করে আমাকে হিসাব করতে দাও।



--- ঠিক আছে!!



১৮ এর অর্ধেক = ৯; সুতরাং বড় ভাই ৯টি উট পাচ্ছে, ঠিক আছে?

১৮ এর ১/৩ অংশ (এক তৃতীয়াংশ) হচ্ছে ৬; সুতরাং মেঝ ভাই পাচ্ছে ৬টি উট!!

এবং

১৮ উঠ এর ছোট ছেলে পাবে ১/৯ অংশ (এক নবমাংশ) =২টি উট।



এখন ৯+৬+২=১৭টি উট। আর আমি আমারটি ফেরত নিলাম;

তোমাদের হিসাব এবার মিলল।

=========



ইচ্ছে থাকলে অন্য কোন বিদ্যান ও বিবেকবান লোকের সাহায্য নিয়ে সমস্যা সমাধান করতে হয়। দুঃখ জনক হলেও সত্য আমাদের দেশের বর্তমান নেতৃতে এটির প্রচন্ড অভাব। আমরা আর কি শিখব?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.