নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপাততঃ ঢাকা থেকে

উন্নত দেশে ব্যক্তি স্বাধীনতা

ফেরদাউস আল আমিন

সুন্দর এই পৃথিবীতে আগমন পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে। স্কুল ........... সে অনেক.. মিশনারি স্কুল, ডি এন হাই স্কুল চাঁদপুর, চাকলালা বাংলা মিডিয়াম রাওয়ালপিন্ডি, ইংলিশ মিডিয়াম মুযাফ্ফরাবাদ, ক্লাশ সিক্স বাদ শেষমেষ এবোটাবাদ পাবলিক স্কুল। চিটগাং কলেজ ও বুয়েট

ফেরদাউস আল আমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

"গান্ধী বৃটিশ এজেন্ট ছিলেন!"

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০৭

প্রথমেই বলে রাখি কথা গুলো এবং লেখার উদ্ধৃতি গুলো আমার নয়। এগুলো আমি নিয়েছি "টাইমস অফ ইন‌্ডিয়া" থেকে। যারা বিস্তারিত ইংরেজি পড়তে চান, তাদের জন্য সাইটের লিংকটা এখুনি এখানে দিয়ে দিচ্ছিঃ-
" গান্ধী - বৃটিশ এজেন্ট "
ঐ পতৃকা আবার এটি বিচারপতি মারকান্দে কাতজু এর ফেসবুক পাতা থেকে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

এই পোস্টের কারনে অনেক তীরন্দাজ দৃষ্টি আমার দিকে তাক করে থাকবে। কিন্তু আমি প্রায়ই এমন কিছু বলি যাতে আমাকে ভীষনভাবে নিন্দিত করবে এবং নিন্দা বানী ক্রমশঃ বর্ষিত হতে থাকবে। অনেক দ্বারা অপবাদিত হবো এবং আমাকে কলঙ্কিত করা হবে। আমি মনে করি তারা আমার দেশের স্বার্থে বলেন করা আবশ্যক বিশ্বাস করে কিন্তু আমি এই ধরনের তথ্য উপস্থাপন করি। আমি মনে করি আসলে গান্ধী এমন একজন লক্ষনীয় নেতা ছিলেন যিনি ভারতের মহান ক্ষতি করে গেছেন।

এ রকম ধারনা পোষন করা ও বক্তব্য লিখার আমার কাছে অনেক কারণ আছে: -
১। ভারত অসাধারণ বৈচিত্র্যের অধিকারী; অনেক ধর্ম, জাতি, ভাষা, গোত্র ইত্যাদির সংমিশ্রনে শোভায়িত সংগবদ্ধ ভারত (আমার নিবন্ধটি দেখুন 'ভারত কি?' আমার ব্লগ justicekatju.blogspot.in )

এই ব্রিটিশ নীতি বুঝে তাদের চিরাচরিত ঔপনিবেশিক “বিভক্ত কর ও শাষন কর” এই নিয়ম (রাজ্যসভায় অধ্যাপক বিএন পান্ডে দ্বারা বিতরণ করা একটি বক্তৃতা অনলাইন, যা 'সাম্রাজ্যবাদ সেবা ইতিহাস' দেখুন) অনুসরনে ভারত শাষন করে যাচ্ছিল।

রাজনীতিতে ক্রমাগত ধর্মের বিষয়টি কয়েক দশক ধরে ইনজেকশন করত, গান্ধী বৃটিশদের “বিভক্ত কর ও শাষন কর” এই নিয়ম নীতিকে সহজেই এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন।

আমরা যদি গান্ধীর সম্মেলন, সভায় বক্তৃতা ও লিখিত প্রতিবেদন গুলি পড়ি (যেমন তার সংবাদপত্র 'ইয়ং ইন্ডিয়া', ইত্যাদি, 'হরিজন'; ১৯১৫খৃঃ সালে গান্ধী দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে আসেন এবং ১৯৪৮খৃঃ সাল তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত), তাহলে আমরা গান্ধীর প্রায় প্রতিটি বক্তৃতায় বরাবর যা খুঁজে পাব তা হোল, তিনি হিন্দু ধর্মীয় ধারণার প্রতি ক্রমাগত জোর দিয়ে গেছেন; যেমন Ramrajya, (গরু সুরক্ষা), ব্রহ্মচর্য (কৌমার্য), বর্ণাশ্রম ধর্ম (বর্ণ সিস্টেম), ইত্যাদি (মহাত্মা গান্ধী এর কাজ সংগৃহীত দেখুন)।

সুতরাং গান্ধী তার ' Young India ' on 10.6.1921 " গ্রন্থে লিখেন, “আমি একজন সনাতনি হিন্দু” এবং আমি গরু সুরক্ষায় বিশ্বাস করি। তার সভা-সমাবেশে সভায় হিন্দু ভজন 'Raghupati Raghav রাজা রাম' উঁচু আওয়াজে গাওয়া হোত।

ভারতীয়রা ধর্মীয় ভাবে অনুভূতিশীল এবং তারা বিংশ শতাব্দির প্রথমার্ধে এই সকল প্রচারনায় আরও বেশি ধর্মীয়ভাবে সংবেদনশীল হয়ে উঠে। একটি সাধু বা স্বামীজী তার আশ্রমে তার অনুগামীদের প্রতি এই ধরনের ধারনা প্রচার করতে পারি। কিন্তু একজন রাজনৈতিক নেতা যদি প্রতি সভায় এই ধরনের বক্তব্য প্রচার করতে থাকেন তা হলে একটি সনাতন মুসলমানের মনে কি প্রভাব সৃষ্টি করবে? নিশ্চয় এই প্রচারনা মুসলিম লীগের মত একটি মুসলিম সংগঠন দিকে তাকে ধাবিত করবে এবং তাই তা এই “ডিভাইড এবং রুল” ব্রিটিশ নীতিতে সাহায্য করা নয় কি? ক্রমাগত কয়েক দশক ধরে রাজনীতিতে ধর্ম ইনজেকশনের দ্বারা, গান্ধী বস্তুনিষ্ঠ একটি ব্রিটিশ এজেন্ট হিসাবে অভিনয় কি করেন নি?

২। ভারতে বিপ্লবের কার্যক্রম বিংশ শতাব্দির প্রথমাংশেই শুরু হয়েছিল। তারা ছিলেন অনুশীলন সমিতির সূর্য সেন, রামপ্রসাদ বিসমিল (যিনি 'সারফারোশী কি তামান্না আব হামারে দিল মে হ্যয়” গানটির রচয়িতা), চন্দ্রশেখর আজাদ, আশফাকউল্লাহ, ভগৎ সিং, রাজগুরু, (যাদের সবাইকে ব্রিটিশরা ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলান) গান্ধী সফলভাবে সত্যগ্রহ নামক একটি নিরীহ অর্থহীন সংগঠনে এই বিপ্লবীদের সংগ্রাম স্বাধীনতার বিপ্লব থেকে অন্যদিকে ধাবিত করে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশদের স্বার্থ হাসিল করেন।

গান্ধীর অর্থনৈতিক ধারনা ছিল পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রতিক্রিয়াশীল। গান্ধী স্বনির্ভর গ্রাম ও এলাকার অনুসারী ছিলেন। তার এই ধারনার গ্রাম ও সম্প্রদায়গুলোকে সম্পূর্ণভাবে সাম্প্রদায়িক হতে সাহায্য করেছিল। গান্ধীর এই মতবাদের কারনে জন্ম হয়েছিল জমিদার, ঋনদার জাতীয় প্রভাবশালী গোষ্ঠীর। গান্ধী ছিলেন শিল্পায়নের বিরুদ্ধে এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠি ও গ্রামের প্রচারক হিসাবে সূতা চরকার প্রচারনার ক্রমাগত চালিয়ে গেছেন। একইভাবে তার ' trusteeship ' theory টি ও ছিল অফলপ্রসূ প্রপাগান্ডা এবং মানুষকে ধোঁকা দেবার প্রক্রিয়া।

নোয়াখালীতে গান্ধীর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা থামানোর ভ্রমনকে সাহসিক ও প্রশংসিত করা হয়। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় কেন তিনি ধর্মীয় লাইনে ভারতীয় মানুষ বিভক্ত করে এই দাঙ্গা সংগঠিত হতে কয়েক দশক আগে থেকেই রাজনৈতিক সভা সমাবেশে ধর্মীয় ধারনা প্রচার করে প্রথমেই উৎসাহ বা ইন্ধন জুগিয়েছিলেন? প্রথমে আপনি আপনার ঘরে আগুন দেবার পরিবেশ সৃষ্টি করেন এবং তারপর আপনিই সেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করা একটি নাটক নয় কি?


বহু মন্তব্য ঐ সাইটে পাওয়া যাবে; আমার পক্ষে ঐ গুলি এখানে প্রদান করা সময়ের অভাবে সম্ভব নয়।

আমি ভারতে গনতন্ত্রের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল এই কারনে, এই ধরনের বক্তব্য ভারত সরকার অনুমতি দেন এবং সাধারন জনগনকে নতুন ভাবে চিন্তা করার সুযোগ করেন।

এই মূহুর্তে বাংলাদেশে এই ধরনের বক্তব্য আপনি বা আমি প্রদান করা সঠিক হবে না বলে আমার বিশ্বাস। তবে আশা করি ভবিষ্যতে হয়তো পরিস্থিতি পর্যালোচনার মাধ্যমে গঠনমুলক আলোচনা, সমালোচনা করা যাবে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭

হামিদ আহসান বলেছেন: ভাল ....

২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৪১

হামিদ আহসান বলেছেন: ইংরেজীটার উদ্ধৃতির দরকার ছিল কি! অাপনি বলছেন বলতেই পারেন৷ ওখানে অারেক জনে বলছে৷ বলতেই পারে ৷ কত জনেই কত মানুষ নিয়ে কত কথা বলে ৷

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমার লেখার উপদান গুলো কোথা থেকে আসছে, তা প্রথমেই উল্লেখ করা ভাল বলে আমার মনে হয়, তা ই উদ্ধৃতিটি প্রথমেই দেয়া।

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: শুধু গান্ধী নয়, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ এমন কি বঙ্গবন্ধুও বৃটিশদের এজেন্ট ছিলেন, শুধু গোআজম আর মেসিনম্যান ওরফে চাঁদ-রাজাকার বাংলাস্তানের এজেন্ট ..........।

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৮

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: হতে পারে। যারা তাদের জীবনী নিয়ে গবেষণা ও পর্যালোচনা করেন, তারাই এ বিষয়ে ভাল বলতে পারবেন।

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৩০

শ্রাবণধারা বলেছেন: গান্ধী নিয়ে লেখার আগে অন্তত তার আত্মজীবনী "The Story of My Experiments with Truth'' টা পড়ুন..........।

৫| ২৯ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:১৫

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: ধন্যবাদ একটি নতুন তথ্য দেবার জন্য; পড়ার চেষ্টা করব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.