নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালো থাকুন। ভালো রাখুন।

ফিরোজ মিয়াজী

সাংবাদিকতা ভালোবাসি।

ফিরোজ মিয়াজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিংসে হয়? আমার মতো হতে চাও?

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:২১



‘কালে কালে কত কি যে দেখবো ফেসবুকের এই আজব জামানায়’- চমক হাসানের চমৎকার এই গানটা শুনছি আর ভাবছি ফেসবুক না থাকলে আসলেই দুনিয়াতে অনেক কিছু না দেখেই মরতে হতো। দুনিয়ার আজব সব কারবার তো আছেই মৃত্যুর পরের কবরের আজাবের ভিডিওটাও জীবিত থাকতেই দেখার সৌভাগ্য(!) হচ্ছে ফেসবুকের বদৌলতে! আর কি চাই?

এটা সত্য যে, ফেসবুক না থাকলে আমাদের কার মধ্যে যে কি মেধা আর সৃজনশীলতা লুকিয়ে আছে সেটা আমরা জানতেই পারতাম না। এই কারিশমাকে বিকশিত করে ফেসবুক অনেককে বানিয়েছে লেখক, বানিয়েছে সাংবাদিক, অনেককে বানিয়েছে কবি-সাহিত্যিক, কাউকে আবার বানিয়েছে প্রেমিক। ফেসবুকে এসে যেটা হওয়ার আগ্রহ সবচেয়ে বেশি সেই সেলিব্রেটিও হয়েছে অনেকেই।

ভার্চুয়ালের এই সেলিব্রেটিরা নাকি ইদানিং একচুয়াল লাইফেও তাদের পরিচয় দেয়া শুরু করেছেন। শুনেছি ছাত্রদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে এক ব্যক্তি ‘আমি ফেসবুক সেলিব্রেটি’ বলে ছাত্রদের পরিচয় দিয়েছে। এটা কতটুকু সত্য জানিনা, তবে ফেসবুকের এই আজব জামানায় এমনটা হওয়া অস্বাভাবিক কিছুও না।

অপরাধী গানের শিল্পী কি কখনো ভেবেছিলো তার গান এতটা পরিমানে ভাইরাল হবে? ইউটিউবে সব রেকর্ড ভেঙে দিবে? কিন্তু হয়ে গেছে। ফেসবুকেও এরকম অনাকাঙ্খিত ভাইরাল অহরহই হয়ে থাকে। এটা খুবই স্বাভাবিক। ভালো কিছু বা ব্যতিক্রমী বা সৃজনশীল কিছু হলে সেটা ভাইরাল হওয়ার দাবিও রাখে। কিন্তু তাদের এই ভাইরালে হিংসে হয় অনেকেরই। ব্যাপক হিংসে। কেনো আমি তার মত হতে পারলাম না? এত এত ফলোয়ার। একটা পোষ্ট দেয়ার সাথে সাথেই হাজার হাজার লাইক কমেন্ট শেয়ার। আমার পোষ্টে কেনো এমনটা হয় না?

জনপ্রিয় বা ফেমাস হওয়ার এই আকাঙ্খা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। মানুষ মাত্রই এই বৈশিষ্ট থাকবে। কিন্তু এই আকাঙ্খাকে যারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, তারা যে কোনো ভাবে ভাইরাল হতে চায়। পত্রিকায় এমন ঘটনাও পড়েছি যুক্তরাষ্ট্রে ভাইরাল হওয়ার জন্য লাইভে বন্ধুর বুকে গুলি চালিয়েছে বান্ধবী। পরে তার মৃত্যু হয়।

সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য কিছু সহজ ও জঘন্য পন্থাও আবিস্কার হয়েছে। ফেসবুক লাইভে এসে গালাগালি করলে, মদ গাঁজা খেলেই এখন ভাইরাল হওয়া যায়। সেরকম একজন ভাইরালখোরের উক্তিই আজকের লেখার শিরোনাম করেছি। ভাইরাল হওয়া মানে মানুষের মুখে তার নাম, ডায়লগ ছড়িয়ে পড়া। যখন যেই ভাইরালের ট্রেন্ড চলে তখন সর্বত্র সেটারই প্রতিফলন দেখা যায়। ফেসবুক পোষ্টে, কমেন্টে, মানুষের মুখে সব যায়গায় তারই অনুকরণ। কে চায় না তার নাম, কথা বা ডায়লগ এভাবে মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ুক? হিংসেটা তো এখানেই।

এই ভাইরাল প্রবণতাই ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমগুলোতে অশ্লীলতা আর নগ্নতার প্রসার ঘটিয়েছে। সম্প্রতি নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে ছাত্রদের হাতের কিছু পোষ্টারের স্লোগান নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। এটা হওয়ারই ছিলো। এই বয়সের একটি কিশোর বা কিশোরীর হাতে এরকম লেখা কখনোই মানানসই নয়। এটা শুধু এই দেশেই নয়, বিভিন্ন দেশেই আন্দোলনকারীরা প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে এসব স্ল্যাং শব্দ ব্যবহার করছে।

বাংলাদেশে এই সংস্কৃতিটা কিছুদিন আগেও ছিলো না। এই সংস্কৃতি আমদানির জন্য অনেকাংশে দায়ী সামাজিক মাধ্যমগুলো। বাস্তবে যেই শব্দটা উচ্চারণ করতে ইতস্তত লাগে, ফেসবুকে সেটা নির্দ্বিধায় লিখে ফেলা যায়। ফেইক আইডি ব্যবহারের কারণে পরিবারের লোকজনও ভার্চুয়ালের এসব আচরণ দেখতে পাচ্ছে না। এছাড়া ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া স্ল্যাং শব্দগুলোও ব্যাপকভাবে অনুকরণ করছে তরুণরা। ভাইরাল বা ট্রেন্ড ব্যাপারগুলো অনুকরণ করাকে তারা স্মার্টনেস হিসেবে গণ্য করছে।

সবাই স্মার্ট হতে চায়। এই স্মার্টনেসের ছোঁয়া কোথায় নেই? বিশ্বকাপে মেসি যখন পেনাল্টি মিস করলো, তখন ওবায়দুল কাদের বক্তব্যে বললেন, ‘মেসি-রোনালদো পেনাল্টি মিস করতে পারে, শেখ হাসিনা মিস করবেন না’। আবার এখন যখন নিরাপদ সড়ক নিয়ে কথাবার্তা চলছে, তখন কাদের সাহেব বললেন, ‘মির্জা ফখরুল একজন বেপরোয়া চালক’। মানে যখন যেটা ট্রেন্ড তখন সবাই সেটাকেই ফোকাস করার চেষ্টা করে। রাজনীতিবিদদের এই ট্রেন্ডানুকরণ উপভোগ্য হলেও ছাত্র বা তরুণদের অনুকরণগুলো সিংহভাগই অনুপভোগ্য হয়ে থাকে।

অশ্লীলতা বা স্ল্যাং বাক্যের ব্যবহার কখনো অনুকরণীয় কিংবা স্মার্টনেস হতে পারে না। এটার জ্বলন্ত উদাহরণ আমাদের সামনেই। নিরাপদ সড়কের মত ছাত্রদের একটি যৌক্তিক আন্দোলনকে বিতর্কিত করেছে কিছু স্ল্যাং শব্দের পোষ্টার। যারা এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে ছিলো তাদেরকে এই পোষ্টারগুলোই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। ছাত্ররা এক সপ্তাহে ঢাকার বিশৃঙ্খল রাজপথে যেই অভাবনীয় শৃঙ্খলা এনে দিয়েছিলো, ইমার্জেন্সি লেনের মত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, সেগুলো আরো বর্ণিলরুপে ধরা দিতো এই স্ল্যাং স্লোগানগুলোর ব্যবহার এড়ালে।

দেশের অধিকাংশ মানুষ ছাত্রদের এই আন্দোলনের পক্ষে ছিলো। যৌক্তিক আন্দোলন হওয়ায় কিশোর কিশোরীদের স্ল্যাং স্লোগানসমূহ তারা দেখেও না দেখার ভান করেছে। সরকার বিরোধী পক্ষতো ছাত্রদের এসব স্ল্যাং স্লোগানে বরং খুশিই হয়েছে। তাদের অবস্থা ছিলো সেই ব্যক্তির মত যে তার প্রতিপক্ষকে গালি দিতে না পেরে তার সন্তানকে গালির বিশাল লিষ্ট ধরিয়ে দিয়ে বলে, আমি তো হজ্ব করে আসছি, গালি দিতে পারছি না, তুই এই গালিগুলো ওকে শুনিয়ে দে!

স্ল্যাং শব্দ কখনো প্রতিবাদকে বেগবান করেনা, উল্টো বিতর্কিত করে। অশ্লীলতাকে না বলুন। প্রতিবাদের ভাষা হোক ভদ্র ও মার্জিত। প্রতিবাদের ভাষা হোক বিদ্রোহী কবি নজরুলের মত। যার মার্জিত অগ্নিগোলা সদৃশ প্রতিবাদি ভাষা শক্তিশালী ইংরেজদের তখতকে নাড়িয়ে দিয়েছিলো। হিংসে করলে তাকে করুন। হতে চাইলে তার মত হোন।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩২

বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা হা ........!!!!

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪২

ফিরোজ মিয়াজী বলেছেন: হাসেন কেন :)

২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ভালো লাগল আপনার লেখা।

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

ফিরোজ মিয়াজী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

মিখু হোসাইন তিতু বলেছেন: প্রতিবাদ প্রতিরোধের ভাষা ফেসবুক।

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪

ফিরোজ মিয়াজী বলেছেন: প্রতিবাদ প্রতিরোধের উপকরণ ফেসবুক। :)

৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৫৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মানুষ যখন অশান্তিতে অনিয়মের ঘোরটোপে বন্দি থাকে তখন তারা সামান্য কিছুতেই বিনোদন খোজে। মানুষের বিনোদন দরকার। সেফাত উল্লাহ কিংবা আসাদ পংপং এরা সহজে মানুষ কে সস্তা বিনোদন দেয়। সেগুলো বাঙালিরা গোগ্রাসে গিলে।

"মদ খা, মদ খা বাঙালি ফকিন্নিরা"...... (সর‍্যি.... আমি না, বলেছেন সেফু কাকা)

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১১

ফিরোজ মিয়াজী বলেছেন: :) :) হায়রে সেফুদা...........

৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২০

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ভাই কি এতদিন পরে এই ব্লগ লেখা নিয়ে আসলেন- ঘুম থেকে উঠলেন মনে হয়- পোস্টার গুলো সবই এডিট করা ; ছবি গুলো পোলা্পাইনরা লেইখা রাস্তা্য় দাড়াইয়া ছিল - শুধু আপনি ও কিছু কিছু বুদ্ধিজীবীরাই এই পোস্টারের ছবি তুলছেন; দেশে এত চ্যানেল ফ্যানেল গুলোর চোখ ফাঁকি দিয়া গেল ক্যামনে :( :(

---সৃজনশীল প্লেকার্ডগুলো যাদের সহ্য হয়নি তারাই ছবি এডিট করে নোংরা রাজনীতি / নিস্পাপ ছাত্রদের কলংক দিয়েছেন- ভাগ্য ভাল ওরা পূর্বসূরিদের মতো জ্বালো আগুন আরো জ্বালো- শ্লোগান না ধরে সৃজনশীলের পথে হেটেছে- এটাই অপরাধ। সরকার এদের কথা রেখেছ - এজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই:

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১

ফিরোজ মিয়াজী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনিও দেখছি সব গুজব বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন ভাই। যেটা সত্য সেটা মেনে নিতে হয়। কিছু পোষ্টার এডিট করা ছিলো এটা ঠিক। কিন্তু স্ল্যাং শব্দের অনেক পোষ্টার সত্য সত্যই ছিলো। আমি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম এবং আছি। আমি মনে করিনা কিছু স্ল্যাং শব্দ পুরো আন্দোলনকে ম্লান করে দিয়েছে। আমি মনে করি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সফল এবং তারা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমি শুধু এটাই চাই যে স্ল্যাং স্লোগান যাতে আমাদের দেশে আন্দোলনের অংশ হয়ে না যায়। কারণ অশ্লীলতা কখনো প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না। এজন্যই এই লেখা।
ছবি যেহেতু বিশ্বাস করবেন না, তাই প্রমাণস্বরুপ একটা ভিডিও লিংক দিলাম, এটাতে দেখেন ছাত্ররা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে কি স্লোগান দিচ্ছে-
https://www.youtube.com/watch?v=s1Piec63DX4

৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭

কাইকর বলেছেন: ভাল বলেছেন।

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২

ফিরোজ মিয়াজী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৭| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: শুধু আমাদের বাংলাদেশ নয়, বিশ্বায়নের ফলে তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতির প্রভাব পৃথিবী সব দেশ, সব জাতির উপরই পড়ছে। জ্ঞান বিজ্ঞান অর্থনীতিতে যারা এগিয়ে আছে, তাদের অনুসরণ-অনুকরণ করার চেষ্টা করছে পিছিয়ে পড়া জাতি,গুষ্টি। চাইলেই এসব সম্পূর্ণ বন্ধ করা কঠিন, আর আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য তো আরো কঠিন।

তাছাড়া, তথ্যপ্রযুক্তির দিক দিয়ে আমরা এখনো অনেক পিছিয়ে, আমাদের সরকারে যারা প্রযুক্তির দায়িত্বে আছে তারাও এসব খুব ভালো বুঝেন টুজেন বলে মনে হচ্ছে না। নইলে, অন্তত সিফাত কাকু, সুবাহ, আসাদ পংপং সহ যারা পাব্লিক প্লেসে দিনের পর দিন অশ্লীলতা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে বা বেড়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেন।

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০

ফিরোজ মিয়াজী বলেছেন: ঠিক বলেছেন, এগুলো বন্ধ করা অত সহজ নয়। তবে সচেতনতা গড়ে তোলা জরুরি। সন্তানদেরকে মনিটরিং করা জরুরি অভিভাবকদের।

৮| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: @ লেখক--- যারা ছাত্র বেশে সংবাদ সম্মেলন করতে পারে তারাও আরো অনেক কিছু করতে পারে; ৭১ এর সময় অনেক সুন্দর শ্লোগানেও স্ল্যাং ছিল;

৯| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: @ লেখক;
ভাল শ্লোগান নিয়েও আগে ব্লগ প্রকাশ হয়েছে- খুজে দেখুন; আর না হয় আপনি ভাল শ্লোগান ও ভিডিও নিয়ে ব্লগ প্রকাশ করুন; আপনার লিংক এর জন্য ধন্যবাদ।

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

ফিরোজ মিয়াজী বলেছেন: আমি শিক্ষার্থীদের পুরো আন্দোলনকেই এপ্রিশিয়েট করি ভাই। তাদের ৯৫ ভাগ স্লোগানই ভালো। কিছু স্লোগান আমাকে ব্যাপক মাত্রায় শিহরিত করেছে। আমি সেগুলো আমার ফেসবুকে শেয়ারও করেছি। ভুল বুঝার কোনো সুযোগ নেই ভাই :)

১০| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: রাস্তায় বেরোলেই মনে হয়, বাস আর বাইকচালকরাই বাংলাদেশ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.