নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যুক্তির মাঝেই সমাধান খুঁজি।

উড়ন্ত বাসনা

জীবন কে ভালবাসি।

উড়ন্ত বাসনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসছে নির্বাচনে বিএনপির চ্যলেঞ্জ সমূহ

২৩ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:২৮



গত ২০ মে সকালে টিভি স্ক্রলে দেখলাম গুলশানে বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশের তল্লাশি! দেশের প্রথম অনলাইন ভিত্তিক পত্রিকা বিডি নিউজ ২৪ ডট কম জানায় দুই ট্রাকে করে বই আনা হয় এই কার্যালয়ে, পুলিশের বরাত দিয়ে তারা সংবাদ প্রকাশ করে। তবে দুই ঘণ্টার অভিযানে কিছুই পাওয়া যায়নি। একটি জিডির ভিত্তিতেই এই অভিযান চালানো হয়। বেশ অনেক দিন গ্যাপ দিয়ে এই নতুন একটি ইস্যু তৈরি করে সরকার। খবরে এসেছে পুলিশের নিস্ফল অভিযান। ক্ষমতাসীন দলের অনেকেই মনে মনে ব্যাথা পেয়েছেন, কেন এই নিস্ফল যাত্রা। বিএনপি সাংবাদিকদের জানায় পুলিশ সিসি ক্যামেরার মুখ ঘুরিয়ে অভিযান পরিচালনা করে। ভাগ্য ভালো গত বছরখানেক আগের মতো বলেনি যে, ককটেল পাওয়া গেছে। আগামীতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবদলের অংশগ্রহণ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আদায়ে কৌশলে এগোচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি। নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন হিসাব কষতে শুরু করছেন তারা। বেগম জিয়ার ভিশন ২০৩০ ঘোষণাতে দলে নতুন আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। দলের নেতা কর্মীরা বেশ চাঙ্গা। ইতোমধ্যে দলের সর্বশেষ সাংগঠনিক অবস্থা জানতে ৫১টি টিমের মাধ্যমে কার্যক্রম প্রায় সম্পন্ন। নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে বিএনপি এক দিকে দ্রুত দল গোছানোর কাজ শেষ করছেন, অন্য দিকে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবি আদায় ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা আইনিভাবে লড়ার পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মনে করছেন দলটি একাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। পুলিশের অভিযানে প্রধান ফটকের তালা ভেঙে পুলিশ কার্যালয়ে ঢোকে। ঢুকেই তারা কার্যালয়ের চারজন কর্মীর মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়। যাওয়ার সময় পুলিশ ভাঙা তালাটি নিয়ে যায়।

নামসর্বস্ব ৫৯টি দল নিয়ে জোট গঠন করেছেন জাতীয় পার্টি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও।আবার নাকি ৯ দিনের মাথায় কয়েকটি দল জোট ভেঙ্গে চলে গেছে, বিভিন্ন সভা-সমাবেশে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কৌশলী ভাবে জনগণের কাছ থেকে হাত তুলে ওয়াদাও নিয়ে নিচ্ছেন তিনি। দলের ইমেজ সংকট আগে থেকেই। ভুঁইফোড় নেতাদের অপকর্মে ও শাসন শোষণে সাধারণ মানুষের অবস্থাটাও বেশ নাজুক। ভালো নেই অভ্যন্তরীণ অবস্থাও,দলের মাঝে আছে নানান জটিলতা। কয়েক’শ গুণ বেশি সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এম পি মন্ত্রীরা। দেশি বিদেশি চাপের মুখে আগামীতে ৫ জানুয়ারির মতো একদলীয় নির্বাচনি প্রহসন বাদ দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের পূর্ণ প্রস্তুতিই নিচ্ছে। তবে ৫ জানুয়ারির বিকল্প হিসেবে একাধিক পন্থায় ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং মাথায় রেখে মাঠ প্রশাসন সাজাতে শুরু করেছে। বিএনপিও বসে নেই। দলটি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। রাজনৈতিক ভাবে বেশ ধরপাকর সহ্য করতে হয়েছিল বিগত দিন গুলোতে,মামলা হামলায় দলটি বেশ নীরবই ছিল কয়েক বছর। বিশেষ করে ৫ জানুয়ারির পর জোটের কোন কার্যক্রম দেখা যায়নি। বিএনপির দাবি নিরেপেক্ষ নির্বাচন তবে তা অবশ্যই হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। নির্বাচনের সমান সুযোগ ছাড়া বিএনপি কখনোই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে একাধিক নেতা জানিয়েছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে। ইতোমধ্যে বিএনপি ৫১টি সাংগঠনিক টিমের মাধ্যমে দলের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছে। এতে জানা যায় দলের অবস্থান ভালো।

বিএনপির বিগত দিনে দলের অনেকেই এমপি-মন্ত্রী হয়ে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করলেও দলের দুর্দিনে তাদের রাজপথে দেখা যায়নি। এ নিয়েও অনেক অভিযোগ আছে বেগম জিয়ার। আগামী সংসদ নির্বাচনে এসব সুবিধাবাদী মনোনয়ন দৌড়ে ছিটকে পড়তে পারেন। বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়ায় অনেক তরুণ নেতা বিএনপির হাইকমান্ডের নজর কাড়তে সক্ষম হন। ভবিষ্যতে দল ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া যায় এমন মেধাবী, তরুণ ও মাঠপর্যায়ের জনপ্রিয় সাবেক ছাত্রনেতাদের একটি তালিকা তৈরি করছে হাইকমান্ড। এমনটাই জানা যায়।

আগামী নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির বিভিন্ন কার্যক্রম চলছে। বিএনপি কে বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় নিয়ে এগুতে হবে। নির্বাচনের আগে ২০ দলীয় জোটকে আরো সক্রিয় করতে হবে। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে অন্যান্য রাজনৈতিক জোট ও দলগুলোর সাথেও বিএনপি আলোচনা করতে হবে। তা ছাড়া সদ্যঘোষিত বিএনপির ভিশন-২০৩০ নিয়ে দেশে-বিদেশে সভা-সেমিনারের আয়োজন করে তা জানাতে হবে।। ভিশন-২০৩০ শিরোনামে বই ছাপিয়ে তা দেশের প্রত্যেকটি ইউনিয়নে পৌঁছে দিতে হবে। প্রতিটি ওয়াদা ও কথা কাজে পরিনত করার কথা দিতে হবে বিএনপির নেত্রীকে। আন্দোলন করেই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় করতে হবে। এটাই বিএনপির বড় চ্যলেঞ্জ। এর বাইরে বিকল্প কোনো পথ নেই। খালেদা জিয়া ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না এই পথ তৈরি করতে হবে। জামায়াত একটি বড় ইস্যু, বেগম জিয়াকে জামায়াত বিহীন জোট করার চিন্তা করা যাবেনা। আওয়ামী চাচ্ছে যেমন করেই হোক জামায়াত সঙ্গ ত্যাগ করাতে। আর এতেই ওদের লাভ। এই লক্ষ্যে আদালত মারফতে নিবন্ধন বাতিল করে ক্ষমতাসীন দল ও কয়েকদিন আগে প্রতীকও বাতিল করে কোর্ট। নতুন নাম নিয়ে জামায়াত আসবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। সিনিয়র নেতেদের হারিয়ে দলটি বেশ নেতৃত্বশূন্য বা অভিবাবকহীন হয়ে পড়েছে। তবে জামায়াতের দলীয় শৃঙ্খলা বেশ মজবুত যেটা বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেই। নেতাদের হারিয়ে ওরা কিন্তু বসে নাই। ওদের কাছে অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের শিক্ষা আছে। জামায়াতের কার্যক্রম থেমে নেই। ওরা বেশ এগুচ্ছে।স্বাধীনতা ইস্যু হতে ওরা বেরিয়ে আসছে। প্রবীণদের বাদ দিয়ে ওরা কার্যক্রম চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগ আসছে নির্বাচনে জনপ্রিয়দের প্রাধান্য দিয়ে প্রার্থী বাছাইও শুরু করেছে।নতুন করে প্রগতিশীল মনস্ক ইসলামী দল বানাচ্ছে তারা, সেখানে আওয়ামী ওলামা লীগ থাকবেনা। খুব শীঘ্রই ওরা আসছে। নির্বাচন কমিশনের আগামী নির্বাচনের রোডম্যাপ ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর দলীয় নেতাকর্মীদের নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে নিদের্শের পর তৃণমূলে তৎপরতা জোরদার হয়েছে।



মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬

রুমি৯৯ বলেছেন: মনে হচ্ছে পত্রিকায় বিএনপিপন্থি কোনো বুদ্ধিজীবির কলাম পড়ছি।

২| ২৩ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৬

আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: শেয়ালের কাছে মোরগ বাগা দেওয়া আর বাংলাদেশে দলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচন করা একই কথা। সে যে দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.