নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যুক্তির মাঝেই সমাধান খুঁজি।

উড়ন্ত বাসনা

জীবন কে ভালবাসি।

উড়ন্ত বাসনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদায়ী বছরের প্রাপ্তি কী ?

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২৬

যদি বলা হয় গেল বছর তথা ’২১ সালে বাংলাদেশের প্রাপ্তিতা কী? জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ও সাধারণ নাগরিকের অর্জন কেমন ছিল? উত্তর কী আসবে তা জানা নাই অনেকের। আমাকে বলা হলে খ্রিষ্টীয় বিদায়ী সালের বছরটি বাংলাদেশের জন্য প্রাপ্তির চেয়ে ব্যর্থতার খবরটি বেশি আসবে। যারা সংবাদ মাধ্যমে কাজ করেন তাদের বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে বেশ ধকল যায়, সালতামামি করতে ও লিখতে, প্রত্যেক গণমাধ্যম সালতামামি যখন প্রকাশ করে তখন বেরিয়ে আসে পুরো বছর জুড়ে সরকারের অর্জন; আলোচিত ঘটনা আর প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির ইস্যুগুলো। বাংলাদেশের জন্য বিদায়ী বছরটি কল্যাণকর ছিল না। সরকার যদিও ফলাও করে প্রচার করছে বিদায়ী বছরটি তাদের জন্য সাফল্য ও অর্জনের ছিল।

আগের বছরের মতোই ২০২১ সালেও বিশ্ব অর্থনীতি ধুঁকে ধুঁকে এগিয়েছে। উন্নত-অনুন্নত অনেক দেশেরই প্রবৃদ্ধি ছিল ঋণাত্মক। অথচ এমন দুঃসময়েও বাংলাদেশের ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে, এমনটাই বলছে সরকার। পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মতো মেগাপ্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়েছে এমন টপিক ছিল বছরজুড়ে মন্ত্রিদের মুখে মুখে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ নিয়ে সরকার দলীয়দের মাঝে বছরজুড়ে ছিল শোরগোল। বিগত বছরের মতোই এবারও সরকারের প্রত্যাশা, নতুন স্বপ্ন , স্বস্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধির। বাংলাদেশ যা বিগত একযুগ ধরে দেখে আসছে। সরকার বরাবর প্রত্যাশা করে, জঙ্গী, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক সর্বোপরি মুক্ত হবে ।

মোটা দাগে বললে বলা যায় বিদায়ী বছরে আইনের শাসনের দিকটি ছিল উপেক্ষিত। বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীরা ছিল সরকারের রোষানলের শিকার। বিরোধী শিবির মাঠে নামতে দেওয়া হয়নি, ছিল গণগ্রেফতার আর মিথ্যা মামলার আসামির সংখ্যা। বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে ছিল সরকার মহলে নানান ষড়যন্ত্র। অসত্য মামলার জড়িয়ে মানুষটিকে জেলে পুরে দিনের পর দিন মানসিক নির্যাতন করে উন্নত চিকিৎসা হতে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বিদেশ গমনে আইনি পক্রিয়াকে দোহাই দিচ্ছে সরকার।

হত্যা আর গুম হওয়া মানুষের তালিকা বেড়েছে আগের বছরের চেয়ে। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) বলছে, কেবল ২০২১ সালেই দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা পাওয়া গেছে ৬৭টি। এ ছাড়া, কারা হেফাজতে ৭৮ আসামির মৃত্যু এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে ৬ জনের গুম হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ আছে, র‌্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), নৌপুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে ৬ জনের গুম হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে

পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আসক'র বিবরণীতে জানানো হয়, তাদের মধ্যে ১ জন চাকরিজীবী, ২ জন ব্যবসায়ী, ২ জন শিক্ষার্থী (মাদ্রাসার ১ জন) এবং ১ জন ইমাম রয়েছেন। ইসলামপন্থীরা ছিল চরম জুলুমের শিকার, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদের ইস্যুতে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা সরকারের রোষানলে পড়ে। মামলা আর পুলিশি হয়রানীর শিকার ছিল পুরো বছরজুড়ে। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা রাজনৈতিক মামলায় নতুন করে জেলে আছেন। জুনে গুম হয়েছিলেন তরুণ ইসলামিক স্কলার আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনান। যদিও পরে তাকে ফেরৎ দিতে বাধ্য হয়। বিভ্রান্তি মূলক বক্তব্যের কথিত অভিযোগে আটক করা হয় আরেক ইসলামিক গবেষক আমির হামজা ও মুফতি কাজী ইবারাহিমকে।

নারীরা ছিল চরম অনিরাপত্তায়। ২০২১ সালে সারাদেশে অন্তত এক হাজার ৩২১ জন নারী ধর্ষণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। এছাড়া উত্ত্যক্তকরণ ও যৌন হয়রানির শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন ১২ জন এবং প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে খুন হয়েছেন আটজন। ২০২০ সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন এক হাজার ৬২৭ জন নারী এবং ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ছিল এক হাজার ৪১৩ জন নারী। বিগত বছরের মতো এ বছরও করোনা মহামারির মধ্যে ধর্ষণ, যৌন হযরানি, পারিবারিক নির্যাতন, সালিশসহ নারীর প্রতি বিভিন্ন ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের শিকার নারীদের অনেককে বিচার চাইতে গিয়ে হুমকি-ধমকিসহ নানাভাবে চাপের মুখোমুখি হতে হয়।

২০২১ সালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন অন্তত ১২৮ নারী। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হন ৭৭ পুরুষ। আসক জানায়, এ বছর উত্ত্যক্তকরণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ১২ নারী। এছাড়া যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিন নারী ও পাঁচ পুরুষসহ খুন হয়েছেন মোট আটজন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে গণপিটুনিতে মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে আসকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২১ সালে গণপিটুনির ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৮ জন।

আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, সীমান্ত হত্যা। ২০২১ সালে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে ১৬ জনসহ মোট ১৮ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নভেম্বরের ২ এবং ১২ তারিখে যথাক্রমে সিলেটের কানাইঘাট এবং লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ সীমান্তে দু’জন করে মোট চারজনকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে। তার এক মাসের কম সময়ের ব্যবধানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মহানুভবতা ও উদারতার অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীকে বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক নতুন মাত্রা লাভ করেছে।’ (প্রথম আলো, ১ ডিসেম্বর ২০২১)। এরই মধ্যে আমরা গত ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মৈত্রী দিবস উদযাপন করেছি। সীমান্তে সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের কণ্ঠে হতাশার সুর উচ্চারিত হয়েছে। পাকিস্তান এবং চীন সীমান্তে ভয়ঙ্কর প্রতিক্রিয়ার ভয়ে ভারত তাদের সাথে এই কাজটি করার সাহসই করে না। আমাদের নাগরিক হত্যাকাণ্ড কি নিতান্তই ভারতের লাভ কিলিং! ২০০০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দুই দশকে এক হাজার ২৩৬ জনের বেশি বাংলাদেশীকে সীমান্তে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী! এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হত্যা করা হয়েছে ২০০৯ সালে, ৬৬ জন। এমনকি ২০২০ সালে করোনা মহামারীর মধ্যেও হত্যা করা হয়েছে ৫১ বাংলাদেশীকে।

গণমাধ্যম কর্মীরাও ছিল দলীয় সন্ত্রাসের শিকার। ২০২১ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কমপক্ষে ১১৩৪টি মামলা হয়েছে । ভিন্ন মতকে দমন করার লক্ষ্যে হয়রানীমূলক মামলা, গ্রেফতার ও নির্যাতনের নানা ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও গ্রেফতারের ঘটনা ছিল উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন থানায় মামলা দায়ের হয়েছে ৮৮৩টি এবং সরাসরি আদালতে হয়েছে ২৫১টি। ২০২১ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা, প্রভাবশালী ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি, সন্ত্রাসী, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের দ্বারা শারীরিক নির্যাতন, হামলা, মামলা, হুমকি ও হয়রানিসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২১০ সাংবাদিক। এর মধ্যে বোরহান উদ্দিন মোজাক্কির নামে একজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।

২০২১ সালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং বিরোধী পক্ষের সঙ্গে সংঘাতে দেশে ১৫৭ জন নিহত এবং প্রায় ১১ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। ২০২১ সালে স্থানীয় পরিষদ নির্বাচন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ সব ঘটনায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে এবং জনগণের মধ্যে নানা শঙ্কা ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ বছর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ, ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে বিরোধীদল এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলসহ মোট প্রায় ৯৩২টি রাজনৈতিক সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এসব রাজনৈতিক সংঘাতে ১৫৭ জন নিহত এবং প্রায় ১০ হাজার ৮৩৩ জন আহত হন।২০২১ সালে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রায় ৬৭২টি সহিংসতার ঘটনায় ১১৩ জন নিহত এবং আহত হন প্রায় ৭২০১ জন। এছাড়াও পৌর এবং সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে ৮৩টি ঘটনায় ১৩ জন নিহত এবং প্রায় ৭৮৮ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে ২০২১ সালে ১৪৪ ধারা জারির ঘটনা ঘটেছে কমপক্ষে ২০ বার।

পুরোনো ভোটারদের স্মার্টকার্ড দিতে না পারা, এনআইডি অনুবিভাগ নিজেদের কাছে রাখতে জোরালো ভূমিকার অভাব, ইভিএম সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা করতে না পারা এবং ইউপি ভোটের সহিংসতায় ব্যাপক প্রাণনাশের ঘটনা রুখতে না পারায় সমালোচনার মুখে পড়ে নির্বাচন কমিশন। ইউপি নির্বাচনে ব্যাপক হারে প্রাণহানি। তিন ধাপের ইউপি ভোটে ৫০ জনের মতো নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিন শতাধিক। কমিশন কোনো কার্যকর ভূমিকা নিতে পারেনি। সহিংস ঘটনা হ্রাসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জড়িতদের প্রার্থিতা বাতিলের সুপারিশ করলেও কমিশন সেটিও আমলে নেয়নি। ক্ষমতাসীন দল ও স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যেই এ সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় এমন হয় বলে সিইসি নিজেই জানিয়েছেন।

গেল বছর সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। বছরজুড়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্তরা। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পুরো বছর সফল হয়নি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বছরের শেষ সময়েও প্রতি সপ্তাহের ব্যবধানে হুট-হাট বাড়ছে পেঁয়াজ, চিনি, আলু, তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম। চামড়া-শিল্পের সংকটসহ নানা প্রতিকূলতায় বছর পার করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বৈদেশিক ঋণের ফাঁদে আটকিয়েছে বাংলাদেশ বিগত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। মানবসম্পদ উন্নয়নে বিদায়ী বছরে তেমন সাফল্যের বার্তা দিতে পারেনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। সকারের ঝুলিতে আছে বিবিধ ব্যর্থতা আর দুঃশাসন। প্রতিবেশী বেশ কয়েকটি দেশের সাথে নানা চুক্তি হলেও ফলপ্রসুতা নিয়ে আছে স্থুল সন্দেহ। কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে সরকার চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। জাতিসঙ্ঘে ৭৫তম অধিবেশনে বিশ্বনেতাদের চোখ কাড়তে পারেনি সরকার প্রধান। জ্বালানি তেলের তেলেসমতি দেখেছে বাংলাদেশ। নিরাপদহীন ছিল সড়ক ব্যবস্থা। শিশুরা ছিল চরম নিরাপত্তার ঝুঁকিতে।

সব মিলিয়ে বলা যায়, সদ্য বিদায়ী বছর ছিল সরকারের জন্য একটি বিব্রতকর বছর। যেখানে সাফল্যের চেয়ে ব্যর্থতার পাল্লা ভারী।


[লেখাটি একটি জাতীয় দৈনিকে ৪ জানুয়ারি ছাপা হয়েছে এছাড়া একটি অনলাইন প্রকাশ করে]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.