নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিচয় দেওয়ার মত বড় কিছু অর্জন করতে পারি নি। মানুষের ভাবনা গুলি কোথাও না কোথাও প্রকাশ করতে হয়। আমার মতবাদ বা ভাবনা গুলি আমি সবার সাথে এখানে শেয়ার করব। আপনার ভাল লাগতে পারে, নাও পারে। সবাই মানুষ হলেও ভাল লাগা, না লাগা তার ব্যাক্তিগত ব্যাপ

ফ্রিটক

সত্য কি তা জানা ও সবার না বলা কথাগুলি শোনান জন্য ব্লগে আসা। সত্য বলতে ও জানতে চাই

ফ্রিটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০০

নিজে মুসলমান ধর্মে বিশ্বাসী তবে অন্য ধর্মকে শ্রদ্ধার চোখে দেখি। ধর্ম নিয়ে যে বিষয়টি আমাকে মাঝেমাঝে পীড়ায় ফেলে তা নিয়ে আজকে আমার মনোভাব প্রকাশ করার জন্য ব্লগে ঢু মারা।
ধর্ম কি,? যা মানুষকে সভ্য হতে শিক্ষা য় বা যা মানুষের জন্য কল্যান বয়ে নিয়ে আসে। সুতরাং বলা যায় সব মানুষকে সুস্থ, সুন্দর , মঙ্গলময় জীবন দান করে তাকে ধর্ম বলে। কিন্তু আমরা বর্তমানে ধর্মের দোহায় দিয়ে নিজের ফায়দা নিয়ে ব্যস্ত। পৃথিবীর সব ধর্মীয় বইগুলির বা ধর্মের মূল কথাগুলি ৮০ ভাগ এক ও অভিন্ন। যেমন
১।সব ধর্মে মিথ্যা বলা পাপ।
২। সব ধর্মে আল্লাহ( সৃষ্টিকর্তা) এক ও অভিন্ন। শুধু নাম আলাদা। সবাই আল্লাহকে স্বীকার করে । শুধু জৈন ধর্ম ছাড়া
৩। সব ধর্মে পরোপকার এর কথা বলা হয়েছে।
৪। সব মানুষের সমান অধিকার এর কথা সব ধর্মে বলা হয়েছে
৫। আত্তা অবিনশ্বর তা সবাই বিশ্বাস করে।
তাহলে আমাদের ধর্ম নিয়ে এতো বাড়াবাড়ি কেন,?
পৃথিবীর ৭৫০ কোটি মানুষ। কিন্তু এক জনের সাথে আরেক জনের মিল যেমন খুজে পাওয়া দুষ্কর তেমনি সব ধর্মে এক রকম মিল খোজা দুষ্কর। আমাদের প্রভাবে তা দিনে দিনে বিবর্তিত হয়েছে। তাই মূল জিনিস এক হলেও তা আমাদের প্রভাবে আজ অনেক ফেরকায় বিভক্ত।
এখন আসি মুল আলোচনায়।
যেহেতু আমাদের কল্যানের জন্য ধর্মের আবির্ভাব,তাই শুধু নামাজ, রোজা, হজ্জ যাকাত পালন করলেই যে সে বেহেশত পাবে, এমন নিশ্চয়তা কোথায় নাই। তেমনি সনাতন ধর্মে কেউ শুধু পুজা অর্চনা পালন করলে স্বর্গে যাবে মনে হয় না। মানুষের ভালবাসা, কল্যান, উপকার করলেও সে জান্নাতে যেতে পারে। এ বিষয় আমাদের ধর্মের একটি কাহিনী বলে ইতি টানব।
একটি কুকুর পানি পিপাসায় ছটপট করছিল। এমন সময় একজন নষ্টা মহিলা ঐ পথে যাচ্ছিল। কুকুর কে দেখে তার মনে দয়া হয়। সে কুপ থেকে পানি তুলে কুকুরের তৃষ্ণা মেটায়। বিনিময় আল্লাহ তার জীবনের সব গুনাহ মাফ করে তাকে বেহেশত নেয়ান সুসংবাদ দেন।
তাই আমরা শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সীমাবদ্ধ নাথেকে মানুষের কল্যানের জন্য , যা সবার জন্য ভাল তা পালন করি, ধর্মী য় ভেদাভেদ ভুলে মিলেমিশে চলি। এর মাঝে আমাদের কল্যান নিহিত। ভুলত্রুটি মার্জনীয়।


মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: তাই আমরা শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সীমাবদ্ধ নাথেকে মানুষের কল্যানের জন্য , যা সবার জন্য ভাল তা পালন করি, ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে মিলেমিশে চলি। এর মাঝে আমাদের কল্যান নিহিত।.........চমৎকার বলেছেন ভাই, আমরা তো ধর্মের দোহাই দিয়ে অন্যের মাথা ফাটাই।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১

ফ্রিটক বলেছেন: সাদা মনের মানুষ, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


"একটি কুকুর পানি পিপাসায় ছটপট করছিল। এমন সময় একজন নষ্টা মহিলা ঐ পথে যাচ্ছিল। কুকুর কে দেখে তার মনে দয়া হয়। সে কুপ থেকে পানি তুলে কুকুরের তৃষ্ণা মেটায়। বিনিময় আল্লাহ তার জীবনের সব গুনাহ মাফ করে তাকে বেহেশত নেয়ান সুসংবাদ দেন। "

-আল্লাহ এই মহিলাকে সংবাদটা কি সেল ফোনে জানিয়েছিলেন, নাকি ইমেইল করেছিলেন?

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

ফ্রিটক বলেছেন: ফ্রিটক বলেছেন: চাঁদ গাজী ভাই, কথাটি আমরা ধর্মী য় বই ও হুজুরের মুখো অনেক বার জেনেছি। আপনার সন্দেহ হলে খুজে দেখতে পারেন। এটা একটি উদাহরন মাত্র। তাতেই এতো টানাটানি করেন কেন,?

৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮

ফ্রিটক বলেছেন: চাঁদ গাজী ভাই, কথাটি আমরা ধর্মী য় বই ও হুজুরের মুখো অনেক বার জেনেছি। আপনার সন্দেহ হলে খুজে দেখতে পারেন। এটা একটি উদাহরন মাত্র। তাতেই এতো টানাটানি করেন কেন,?

৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


লজিক হলো, আল্লাহ নবীদের কাছে মেসেজ পাঠায়েছেন; কুকুরকে যিনি পানি খাওয়াছেন, উনাকে আপনি নবী বলেননি (শুনেছেন), সুতরাং, উনাকে বেহেশতে নেয়ার কথা বলা হয়নি; উনি উনার যায়গায় আছেন, কুকুর পানি খেয়েছে, এটুকুই ঘটনা

৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন:
একটি কুকুর পানি পিপাসায় ছটপট করছিল। এমন সময় একজন নষ্টা মহিলা ঐ পথে যাচ্ছিল। কুকুর কে দেখে তার মনে দয়া হয়। সে কুপ থেকে পানি তুলে কুকুরের তৃষ্ণা মেটায়। বিনিময় আল্লাহ তার জীবনের সব গুনাহ মাফ করে তাকে বেহেশত নেয়ান সুসংবাদ দেন।


8-| হুজুরেরা অনেক সময় স্বপ্নে পাওয়া কথা বলেন এবং তাদের অনুসারীদের নিকট সেগুলো ছাপিয়ে রেখে যান।

তবে, এগুলো ঈশপের গল্পের ন্যায় শিক্ষানীয় দিক আছে।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০২

ফ্রিটক বলেছেন: পজিটিভলি ভাবার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩৪

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমি ধর্ম সম্পর্কে বেশি কিছু জানি না। তবে মানুষকে মানুষই ভাবি।
আমি মনে করি আল্লাহ্ তার সৃষ্টিতেই বাস করেন। আমার কাছে কোনো ধর্মের লোকই ঘৃণার নয়। আমি ইসলামে বিশ্বাসী। অন্যজন আন্য কোন ধর্মে বিশ্বাসী হতেই পারে। এটা নিজস্ব ব্যাপার। তাই ধর্ম দিয়ে নয়, মানুষকে মানুষ হিসেবে ভাবি। আল্লাহকে সন্তুষ্টি করতে হলে আল্লাহর সৃষ্টিকে সন্তুষ্টি করতে হবে।

আপনার আলোচনা ভালো লাগলো।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১৪

ফ্রিটক বলেছেন: আপনার উদার দৃষ্টিভঙ্গির জন্য ধন্যবাদ

৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



সর্বোপরি, খোলা মনের মানুষ আপনি। পোস্টটি পাঠে আপনার উদার মনের পরিচয় পেয়ে ভাল লাগল।

ভাই, আসলে ধর্মীয় গ্রন্থাদি পাঠে সার কথা যতটুকু জানা যায়- প্রানখোলা জটিলতাবিহীন এইসব মানুষই আল্লাহর জান্নাতের উপযুক্ত হবেন। আর যারা নিজেদের বেশি পন্ডিত ভাবেন, অতি পান্ডিত্যের অগ্নিমান্ধে, কূট বুদ্ধির জটিল জালে জড়িয়ে শেষে নিজের ঈমান আমল বিসর্জন দিয়ে এক সময় বিপথগামী হওয়ার ভয় থেকে যায় তাদের ক্ষেত্রেই।

এই শ্রেনির ভেতরে লক্ষ্য করবেন, তারা সব কিছুতে কেবল যুক্তি খুঁজতে থাকেন। কেন এটা ফরজ হল? কেন ওটা সুন্নত হল? এই কেন কেন করতে করতে তাদের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। যুক্তি দিয়ে মেপে আল্লাহ ইসলাম পালন করার নির্দেশ যেমন দেন নি, তেমনি ইসলাম যুক্তি, দর্শন ইত্যাদির উপর ভর করে আসেও নি। রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবুয়তপ্রাপ্ত হলেন, দাওয়াত দিলেন, সাহাবা রাদিআল্লাহু আজমাঈন অকুন্ঠ চিত্তে তাঁর ডাকে সারা দিয়ে ঈমান ইসলামে প্রবেশ করে নিজেদের ধন্য করলেন। পৃথিবী আলোকিত করা সেই সোনার মানুষগুলো যদি যুক্তি খুঁজতেন তাহলে তারা বিশ্বসেরা হতে পারতেন না। পাশাপাশি যুক্তিবাদী, দর্শনবাদী কিছু লোক সেই যুগেও ছিলেন, যারা রাসূলে আরাবীর প্রত্যেক কথায় যুক্তি অন্বেষন করতেন। আবু জাহল, উতবা, শাইবা, আবু লাহাব প্রমূখ পন্ডিত প্রবররা এই ধারার প্রথম সারিতে ছিলেন। এসব করে এই বিপথগামীগন নিজেদের ধ্বংস ডেকে এনেছিলেন।

বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে এ যুগেও কিছু লোক নিজেদের পন্ডিত ভাবেন। জাগতিক বিষয়ে পান্ডিত্য জাহির করতে অসুবিধা না থাকলেও শয়তানের প্ররোচনায় তারা কালজয়ী জীবন বিধান ইসলামের খুটিনাটি বিধানাবলী নিয়ে ব্যাপক সন্দেহ সংশয় বিভ্রান্তি নিয়ে অন্ধকারে হাবুডুবু খেতে খেতে শেষে সর্বস্ব হারিয়ে পরিপূর্ন দিকভ্রান্তে পরিনত হন।

আল্লাহ পাক এই বিভ্রান্তদের সুমতি দান করুন। আমাদের ঈমান আমল হেফাজত করুন।

ভাল থাকবেন।
আমার ব্লগে স্বাগত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.