নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার জন্য ভালোবাসা।

গেছো দাদা

গেছো দাদা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈশ্বর....যেভাবে আসেন ও যে রূপে দেখা দেন !! একটা বাস্তব ঘটনা ।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৫


ঈশ্বর......

কয়েক বছর আগের কথা, তখন আমি প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের হাউসস্টাফ। সবে সপ্তাহ খানেক জয়েন করেছি।
ডিপার্টমেন্টে লোক বলতে দুজন স্যার আর আমরা দুজন হাউসস্টাফ। ছোট ডিপার্টমেন্ট, বেড সংখ্যাও খুব কম।
আমাদের ডিপার্টমেন্টে সাধারণত পুড়ে যাওয়া রোগীদের স্কিন গ্রাফটিং বা চামড়া প্রতিস্থাপন করা হতো।
বেশির ভাগ রোগীই ছিল সমাজের নিম্নবিত্ত পরিবারের অংশ।
পুড়ে যাওয়ার কারণ ছিল নানা।
হয় স্বামী ছেড়ে পালিয়েছে বা শ্বশুর বাড়ির লোকজন পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে বা বাপের বাড়ি লোকজন ভুলে গেছে বা পণের চাপে নিজেই আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছে।

ফিমেল ওয়াডে তখন একজন রোগী ছিল।
সায়রা খাতুন।
বয়স ২২।
দক্ষিন ২৪ পরগণার এক দ্বীপ গ্রাম থেকে আসা গরীব মুসলিম পরিবারের মেয়ে। স্বামী দ্বিতীয় বিবাহ করে তাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিল। আগুন থেকে প্রাণে বাঁচলেও শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। মুখের অবয়ব বলতে কিছুই ছিল না।
বার্ণ ওয়াডে যমরাজের সাথে টানা তিনমাস লড়াই করে আমাদের ওয়াডে আসে চামড়া প্রতিস্থাপনের জন্য।
আমি যখন প্রথম দেখি তখন কিছু টা ভয়ই লেগেছিল।
যেন একটা জীবন্ত কংকাল আর তার উপর সারা শরীর জুড়ে খালি পোড়া চামড়ার প্রলেপ।
বাড়ির লোকজন বলতে বৃদ্ধ বাবা মা আর দুটো ছোট্ট ছেলেমেয়ে।
তারাও চাইতো না যে সে বাঁচুক। সে মারা গেলে বাবা মা দায়মুক্ত হয়, স্বামী আইনের হাত থেকে রক্ষা পায়।
এমনকি ছেলেমেয়ে গুলোও কাছে আসতে চাইতো না। হয়তো মুখের ওই দশার জন্যই।
যাইহোক আমাদের কাজ আমাদের করতেই হবে।
চামড়া প্রতিস্থাপনের জন্য কিছু নিয়ম আছে।
রোগীর পুষ্টি বা নিউট্রিশন ভালো হতে হবে, শরীরে কোন ইনফেকশন থাকা যাবে না, ক্ষতস্থান প্রতিস্থাপনের উপযুক্ত হতে হবে।
কিন্তু ওই রোগীর ক্ষেত্রে এই সব গুলোই ছিল খুব কঠিন।
শুধু হাসপাতালের খাবারে উপযুক্ত পুষ্টি পাওয়া ছিল খুবই কঠিন।
এর সাথে একটা বড় সমস্যা ছিল পুড়ে যাওয়া ক্ষতস্থানের প্রত্যেকদিনের ড্রেসিং। এই ড্রেসিং একদিকে যেমন সময় সাপেক্ষ, অন্যদিকে রোগীর কাছে খুবই যন্ত্রনাদায়ক।

বাড়ির থেকে কেউ আসতো না।

আমরাই ছিলাম ওর বাড়ির লোক।প্রায় তিনমাস প্রত্যেকদিন ড্রেসিং করতে একটা মায়া পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু মায়া দিয়ে সব হয় না। ওর দরকার ছিল মানসিক ও শারীরিক পরিচর্চা। হাজারো রোগীর ভিড়ে আমাদের একার পক্ষে তা সম্ভব ছিল না।

আস্তে আস্তে সে যেন হাল ছেড়ে দিচ্ছিল। যমরাজের কাছে নিজেকে আত্মসর্মপন করে দিচ্ছিল আর আমরা অসহায় দর্শক হিসেবে তার শেষ দিন গুনছিলাম।

তারপর ওই রোগীর পাশের বেডে একদিন একজন বাচ্চা মেয়ে, পূজা যাদব, ভর্তি হল। বিহার থেকে আসা এক শ্রমিক পরিবারের মেয়ে। তার হাতের একটা ছোট্ট ক্ষতে চামড়া প্রতিস্থাপন হবার কথা। মা মেয়ে একসাথে থাকতো।

দিনকয়েকের মধ্যে লক্ষ্য করলাম ওই মা মেয়ে আর আমাদের ভয়ংকর ভাবে পুড়ে যাওয়া রোগীর মধ্যে ভাব হয়ে গেছে। সারাদিন ওরা গল্পগুজব করতো ।আমাদের ওয়াডে আসার পর সায়রাকে প্রথমবার হাসতে দেখি।
সপ্তাখানেক পরে ওয়াডে রাউন্ড দেবার সময় ওই বাচ্চা মেয়ের মা আমাকে জিজ্ঞেস করলেন " ডাক্তার বাবু আমার একটা অনুরোধ ছিল?"
আমি বললাম " কি?"
বললেন " আমি কি ওর ড্রেসিং করতে পারি??"
আমি কিছুটা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম " আপনি ড্রেসিং করতে জানেন?? "
উনি বললেন " আপনি শিখিয়ে দিলে পারবো"
আমি কিছুটা ভেবে বললাম " স্যার কে জিজ্ঞেস করে বলবো"

স্যার কে কথা টা বলাতে স্যার বললেন " ড্রেসিং বেশি হলে ক্ষতি কি?
তুই শিখিয়ে দে, হিলিং তাড়াতাড়ি হবে "

পরের তিনমাস ওরা ড্রেসিং করতে থাকলো । বাচ্চামেয়ে টার ছুটি হয়ে যাবার পরেও মেয়েটার বাবা মা পালা পালা করে রোজ ওর ড্রেসিং করতো। বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে এসে দুবেলা খাওয়াতো।

তাদের পরিশ্রম মেয়ে টার শরীরে প্রাণ ফিরিয়ে দিল। আমরা তার চামড়া প্রতিস্থাপন করলাম। মুখ, হাতের শ্রী কিছুটা ফিরলো।
প্রত্যেকদিন ওয়াডে গিয়ে দেখতাম পুড়ে যাওয়া মেয়ে টা আর ওই পরিবার হাসিঠাট্টায় মসগুল। মেয়ে টা যেন নতুন পরিবার, নতুন জীবন ফিরে পেয়েছিল।

তারপর ছট পূজোর ঠিক আগে একদিন ওই পরিবারের লোকজন একদিন আমাদের এসে বললো ডাক্তারবাবু আমরা ওকে ছটপূজার সময় বাড়ি নিয়ে যেতে চাই।
স্যার বললেন এটা করা মুস্কিল। ওর বাড়ির লোক কে জানাতে হবে।
তারপর সুপারের মাধ্যমে মেয়েটির বাড়ির লোক কে ডেকে পাঠানো হোলো।
মেয়েটির বৃদ্ধ বাবা এসে বললেন " ডাক্তার বাবু আমার মেয়ে কে আমি ঘরে নিয়ে যেতে পারবো না। ওর পেট পালার ক্ষমতা আমার নেই। "
স্যার সুপার কে জানালেন ব্যাপারটা।
সুপার বললেন রোগী একজন প্রাপ্তবয়স্ক। তাকে জিজ্ঞেস করে দেখুন, সে যদি রাজি থাকে তাহলে ছেড়ে দেওয়া যাবে।

মেয়েটি কে জিজ্ঞেস করাতে বললো সে রাজি।
আমরা জিজ্ঞেস করলাম অচেনা লোকের সাথে যেতে ভয় লাগবে না।
সে হেসে বললো " এদের ভয় করবো?? এরা না থাকলে তো আমি বাঁচতামই না। এরা আমার দাদা, বৌদি। "
"আর আমার আবার ভয়?? আমার মুখ দেখে আমার নিজের বাচ্চা রা আমার কাছে আসে না। আমার কাছ থেকে কে কি নেবে?? ডাক্তারবাবু এরাই আমার পরিবার। আমি এদের সাথে যেতে চাই।"

ওরা চলে গেল সবাই মজা করতে করতে।
আমরা সে দিন সবাই অবাক হয়ে গিয়েছলাম।
কিছুটা আশংকা ছিল। কিন্তু একটা অদ্ভুত ভালো লাগা ছিল।

তারপর মাঝে বেশ কয়েক বছর কেটে গেছে।

গতবছর পার্কসার্কাস সেভেন পয়েন্ট থেকে অটো ধরবো দাঁড়িয়ে আছি।
হঠাৎ দেখি সামনে থেকে একজন হাসি মুখে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করছেন " ডাক্তার বাবু কেমন আছেন? "
আমি কিছুটা ইততস্থ হয়ে বললাম " ভালো "
ভাবলাম কোন এক পেশেন্ট হবে, আগে দেখেছি।
উনি হেসে বললেন "আমাকে চিনতে পারছেন?"
আমি বললাম " না, মনে করতে পারছি না "
উনি বলতে শুরু করলেন " সেটাই স্বাভাবিক। আপনারা সারাদিন কত পেশেন্ট দেখেন। সবার কথা মনে রাখা সম্ভব না। আপনার সায়রার কথা মনে আছে?? "

মুহূর্তের মধ্যে সব মনে পড়ে গেলো । ইনিই তো সেই ভদ্রলোক যাদের বাড়ি সায়রা গিয়েছিল।
আমি বললাম " হ্যা, হ্যা। সব মনে আছে। সায়রা এখন কোথায়?? "
উনি বললেন " সায়রা এখন আমাদের সাথেই থাকে। ওই দেখুন আসছে।"
পেছন ফিরে দেখি পুজার মা আর সায়রা হাসতে হাসতে এগিয়ে আসছে। তারপর কিছুক্ষন নানা কথা হল।

যাবার আগে পূজার বাবা মানিকলাল বললেন " ডাক্তার বাবু আপনারা আমার কাছে আমার কাছে ভগবান। আপনাদের জন্য আমি বোন পেয়েছি। মায়ের পেটের বোনের থেকেও বড়। আপনাদের যে কি বলে ধন্যবাদ দেবো?? "

কথাগুলো আমার কানে ঢুকছিল না। আমি খালি সায়রার চকচকে চোখ দুটো আর মানিকলাল আর তার বৌ এর হাসি মাখা মুখ টা দেখছিলাম। সে হাসির উজ্জ্বলতা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।

ঈশ্বর মনে হয় এরকমই হয়।

তাদের হাসি মাখা মুখ গুলো দেখতে দেখতে সে দিন ফিরে গেলাম।

আজ চারিদিকে অবিশ্বাসের বিষবাষ্প। বিভেদের প্রাচীর। খালি ঘৃনার চাষ। সমাজ টা যেন দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। ভয় হয় আমরা কি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

কিন্তু যখন হাসপাতালে যায় আর দেখি মানুষ কে বাঁচাতে ধর্ম নয়, জাত নয়, নেতা নয়, ঘৃনা নয়, এগিয়ে আসে মানুষ।

কখনো সে রক্ত দিতে এগিয়ে আসে, কখনো সে ড্রেসিং করতে এগিয়ে আসে, কখনো সে ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে আসে , কখনো সে নতুন জীবন নিয়ে এগিয়ে আসে ।

পৃথিবী টা বড় সুন্দর।।
আর মানিকলাল, সায়রা রা প্রতি মুহূর্তে একে আরও সুন্দর করে তুলছে।
.
....আমার এক প্রিয় ডাক্তার বন্ধুর(ডঃ অনন্য) কাছে শোনা সত্যি ঘটনা অবলম্বনে লেখা হয়েছে ।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: প্রিয়তে

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৮

আরোগ্য বলেছেন: খুবই ভাল লাগলো

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৬

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: এই দুনিয়াতে যেমন খারাপ মানুষ আছে। ভালো মানুষ ও কম নয়। বরং বেশি।

রক্ত কেন অনেকে তো কিডনি দিয়েও মানুষ বাচায়। আমরা খারাপ টা না দেখে ভালোটা দেখ লেই আর চিন্তা হবে না।।

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৯

ঢাকার লোক বলেছেন: এমন সব মানুষ আছে বলেই পৃথিবীতে এখনো বৃষ্টি হয়, এখনো ফসল ফলে !

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৫

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আমার চোখ ভিজে উঠেছিল গল্পটা পড়তে পড়তে । শিরোনামটা ভালো লেগেছে।

৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩৯

নতুন বলেছেন: আমাদের আশে পাশে ভালো মানুষের সংখ্যাই কিন্তু বেশি, যেটা বিপদে পড়লে বুঝতে পারবেন।

আমার নিজের অভিঙ্গতার কথা সেয়ার করি।

আমার বড় মেয়ে ( জন্মের ৬দিন পরে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে) জন্মের সময় বন্ধু, অপরিচিতদের কাছে থেকে যে সাহাজ্য পেয়েছি তা বলার মতন না।

ডাক্তার একটা ঔষুধ বললেন যেটা ভারত পাওয়া যায়... দেশে পাবার সম্ভবনা কম... কিন্তু বললেন একজনের নাম্বার দিয়ে যে তার কাছে থাকতে পারে....

ওনাকে ফোন করলে উনি বললেন যে কোথায় নিয়ে আসবো বলুন.... আমি ওনার বাসায় গিয়ে নিয়ে ওষুধ হাতে নিয়ে বললাম কত দেব???

উনি বললেন কিছুই দিতে হবে না... উনাকেও একজন ৬ বোতল ফ্রী দিয়েছিলো...তিনিও আমাকে ৪ বোতলের দাম নিলেন না...

আমি ঐ মুহুতে ৫০ হাজার বা তার চেয়ে বেশি চাইলেও দিতে রাজি ছিলাম.... কারন না হলে এটা ভারত থেকে আনাতে হবে আমাকে....

পরের দিন সকালে আমি কল পেলাম আরেক বাবার যার মেয়ের জন্যও এই অষূধ ডাক্তার লিখেছেন.... আমিও তাকে ২ বোতল দিতে বললাম নাস`দের। আমিও তার কাছে টাকা চাইনি... এবং তাকেও বললাম আমি কিভাবে ওষুধটা পেয়েছি।

ইশ্বর আমাদের আশা পাশেই থাকেন.... আমরা ভুল জায়গায় খুজে বেড়াই।

৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪৩

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা, এই বাক্যটা পড়ে মায়া আরো বেড়ে গেলো।

আচ্ছা আমরা চাইলেই কি পারিনা পূজা যাদব এর মা বাবার মত হতে। চাইলেই পারি, শুধুমাত্র একটু ইচ্ছাশক্তির দরকার।

৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:০১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মানবিকতা এখনো মরে যায় নি...

৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:০৬

যবড়জং বলেছেন: মানবতার জয় হোক ।।

১০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:০৯

জগতারন বলেছেন:
মানুষ কে বাঁচাতে ধর্ম নয়, জাত নয়, নেতা নয়, ঘৃনা নয়, এগিয়ে আসে মানুষ।


সত্য ঘটনা অবলম্বনে লিখা গল্পে লাইক দিলাম ও প্রিয়তে নিলাম।

১১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৪৫

মোঃ হোসাইন খাঁন বলেছেন: এই সুদিন আদৌ বঙ্গদেহে ফিরে আসবে কি ?

১২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: আর আমাদের ঢাকা শহরের মানুষ অমানবিল। নোংরা মনমানসিকতার অধিকারী।

১৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৮

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার ডাক্তার বন্ধুরতো নীহাররঞ্জন গুপ্তের হাসপাতালের মতো বড়সড়ো একটা বই লিখে ফেলার কথা I উনার না লেখার অভ্যেস থাকলে উনার কথা রেকর্ড করে আপনিই সেগুলো লিখে ফেলুন I একজন লিখলেই পাঠক হিসেবে আমাদের চলবে I খুব ভালো লাগলো |ঈশ্বর এমনি করে না দেখা দিয়েই আসে Iআমরা উদাসী কথা বার্তা বলে তাকে অবিশ্বাস করি I লেখা ভালো হয়েছে খুব I

১৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৫

কানিজ রিনা বলেছেন: সবার উপরে মানুষ সত্য,মানুষ মানুষের জন্য।
প্রতিটি ধর্মই ভাল কিছু শিখায়,আর মানুষ
যখন ভালটা আয়ত্ব করে তখন সে নিষ্ঠাবান
হয়। খুব ভাল লাগল সব মানুষ এমন নিষ্ঠাবান
হয়ে উঠুক এই কামনা। ধন্যবাদ।

১৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৬

বনসাই বলেছেন: ঢাকা শহরের মানুষ মানবিক নয়- এটা আমি বিশ্বাস করি না। রানা প্লাজার পরের উদ্ধার অভিযানে ব্যাপক সাড়া দেখতে পাওয়ার পর তো ঢাকার সাধারণ মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা আরো বেড়েছে। পথে খেটে খাওয়া মানুষকে অবজ্ঞা করার মানসিকতা যে ধারণ করে আজ বরং তাদের দীনতাই বড় হয়ে ফুটে উঠছে।

পথে ঘাটে অপরিচিতের প্রয়োজনে এগিয়ে যান; হতে পারে বাসে নিজের আসনটি ছেড়ে দিয়ে, হতে পারে নিয়মিত স্বেচ্ছা রক্তদানে, হতে পারে ভার বহনে হাত লাগিয়ে, হতে পারে পথ নির্দেশনা দিয়ে, হতে পারে বহু কিছু।

সব কর্মই প্রকৃতি জমা রাখে;ভালো কিংবা মন্দ। এবং প্রতিদান দিতে তার কোনো কার্পন্য কখনো থাকে না।

আজ প্রায় ৩ মাস হাসপাতালে আসা যাওয়া করছি, মানুষের প্রতি বিশ্বাস রাখার ঘটনার কমতি নেই।

ঘটনাটি শেয়ার করায় আমাদের আরো ইতিবাচক হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আপনাকে ধন্যবাদ।

১৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

অগ্নিবেশ বলেছেন: মানবতা ছাড়া ঈশ্বরের কোনো ধর্ম থাকতে পারে না।

১৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৯

সনেট কবি বলেছেন: ভালো লাগলো।

১৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
কাহারে তুমি করিছ র্ঘনা কাহারে মারিছ লাথি
হয়তো উহারই বুকে ভগবান জাগিছেন দিবা-রাতি

জাতীয় কবি নজরুলতো শত বছর আগেই গেছে গেলেন!
আমরা আর বুজলুম কই???
ছূটলাম ধর্মের ধ্বঝাধারী মসজিদে মন্দিরে! আর আচারে, পোষাকে

কাহিনীটা হৃদয় ছুঁয়ে গেল

++++

১৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৮

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: মানুষ সুন্দর।

২০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৭

নিওফাইট নিটোল বলেছেন: বিপদে সাধারণ-অপরিচিত মানুষের এগিয়ে আসা/উপকার দেখে আগে ভাবতাম সবাই হয়তো জোর করে নিজের তাগিদ সৃষ্টি করেও করে এগুলো করে- কারণ চারপাশে এত এত অন্যায়-অত্যাচার দেখার পর মানুষ হতাশ হয়ে পড়ে, আর নিজেরাও ভাল কিছু করার তাগিদ অনুভব করে না.....কিন্তু নিজেকে দিয়ে একসময় অন্যকে ভাবা শুরু করলাম যে- মানুষের ভিতরেই আসলে 'ভালত্ব' লুকিয়ে থাকে.......স্থান-কাল-পাত্র বুঝে সেটা কেবল প্রকাশ্য হয়......সবাই ভাল হবে না কিংবা বিপদেও খারাপ মানুষ পাওয়া যায়, কিন্তু যারা বিপদের বন্ধু তাদের সাহায্য/উদারতা মেকি না.........আপনার কাহিনিটাও সেই বাস্তবতারই প্রমাণ 8-|

মানুষ কে বাঁচাতে ধর্ম নয়, জাত নয়, নেতা নয়, ঘৃনা নয়, এগিয়ে আসে মানুষ
যথার্থ বলেছেন......এটা মিথ্যা না যে প্রয়োজনের/বিপদের বাইরের দুনিয়াটা আলাদা হয়- বিভেদও থাকে......কিন্তু তারপরও উপরিউক্ত কথাটা সত্য 8-|

লাইক-প্রিয় পোষ্টে........স্নিগ্ধ দুপুরের শুভেচ্ছা

২১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫১

মোঃ মোহসীন হাসান বলেছেন: খুব ভালো লাগলো গল্পটি পড়ে।

২২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি।

২৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪২

সুমন কর বলেছেন: আজকের সেরা পোস্ট। দারুণ লাগল। ভালো মানুষগুলোর জন্য পৃথিবী এখনো সুন্দর।

২৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৬

মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: আসলেই ভালবাসা, ভক্তি, সাপোর্ট আছে বলেই পৃথিবীতে কিছু ভাল লাগার মত গল্প তৈরি হয়। ধন্যবাদ, ভাল লাগলো পড়ে।

২৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার আশা জাগানিয়া গল্প ;
অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

২৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৬

মাহের ইসলাম বলেছেন: আমার খুব ভালো লেগেছে।
আপনার লেখা সুন্দর, আপনার ঘটনাটা ও হৃদয়গ্রাহী।

শুভ কামনা।

২৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫

জুন বলেছেন: সুমন করের মত আমারও দারুণ লাগল। ভালো মানুষগুলোর জন্য পৃথিবীটা এখনো বড় সুন্দর গেছোদাদা ।

আপনি মন্তব্যের জবাব দিচ্ছেন না কেন !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.