নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার জন্য ভালোবাসা।

গেছো দাদা

গেছো দাদা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রম্য : দুই ইহুদীর গল্প

১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৪১

নাজী জমানা তখন সবে শুরু হয়েছে জার্মানিতে, ইহুদীরা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক। এক জার্মান সেনা অফিসার একদিন ট্রেনের ফার্স্ট ক্লাস ক্যুপেতে উঠে দেখলেন আগে থেকেই সেখানে বসে এক ব্যাটা ইহুদী। যেহেতু তিনিও সরকারের উচ্চ পদে আসীন তাই ওনার দেহরক্ষীরা বগী থেকে নামিয়ে দিতে পারলোনা ঐ ইহুদী পুঙ্গবকে ! ভদ্রলোক আবার নামকরা পন্ডিত।

যাইহোক কিছুক্ষণ পরে জমে উঠলো আলাপ। ইতিমধ্যে লাঞ্চের সময় হতে দুজনেই লাঞ্চ বক্স খুলে বসেছে। জার্মান অফিসার ইহুদীদের বুদ্ধির প্রশংসা করে জানতে চাইলেন এর পেছনে কারণটা কি ? মুচকি হেসে তাঁর সহযাত্রীটি বললেন কারনটা লুকিয়ে আছে তাদের খাবারের মধ্যে। ঠিক হলো তখন তারা নিজেদের সাথে আনা খাবার বদলাবদলি করবেন।

খাওয়া শেষ হলো একসময়। ইহুদী পন্ডিত জার্মান সেনা অফিসারের আনা আট রকমের খাবার খেয়ে একটা পরিতৃপ্তির ঢেকুর তুললেন। ওদিকে জার্মান ভদ্রলোক তখন এনার আনা দারুন ঝাল একটা শুকনো মাছের মুড়ো খেয়ে নাকের জলে চোখের জলে। কিছুক্ষণ পর উনি চুরুট ধরিয়ে গম্ভীর মুখে বললেন, আপনি আমায় 'চিট' করেছেন! শুনেই ইহুদী পন্ডিতের সরস মন্তব্য দেখলেন তো, খাওয়ার সাথে সাথে কেমন আপনার বুদ্ধি খুলে গেলো ! এবার দ্বিতীয় গল্প...

এক রাশিয়ান ইহুদী অনেক ধরাধরি করার পর শেষমেশ ইজরায়েল যাবার অনুমতি পেল। মস্কো এয়ারপোর্টে কাস্টমসের লোকজন দেখে ব্যাটার ব্যাগে একটা দেড় দুফুটের লেনিন মূর্তি! চোখ পাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো...... কি এটা ?

গদগদ হয়ে ইহুদীর পো জবাব দিলো, কি এটা নয় কমরেড, বলুন কে এটা ! ইনি হলেন মহামতি লেনিন যিনি এদেশে সমাজতন্ত্রের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনা করেছেন। রাশিয়ার জনগণের ভবিষ্যত সুখ সম্বৃদ্ধির ইনিই তো হলেন নেপথ্য কারিগর। আমি এনাকে সাথে করে নিয়ে যাচ্ছি যাতে জীবনভর সম্মান জানাতে পারি! শুনে টুনে আর কিছু না দেখেই সোভিয়েত কাস্টমস তাকে ছেড়ে দিলো।

ইজরায়েলে বিমান থেকে নামার পর বেন গুরিয়েন এয়ারপোর্ট কাস্টমস ওটা দেখে একই প্রশ্ন করলো। এবারো ব্যাটা জবাব দিলো কি নয় মহাশয়, বলুন কে এটা ? তারপরেই উত্তেজনায় প্রায় কেঁদে ফেলে বললো এ হলো লেনিন....এই শালার জন্যই আজ আমাকে সবকিছু ফেলে রাশিয়া ছাড়তে হয়েছে। সাথে করে নিয়ে এসেছি যাতে দুবেলা ঘরে রেখে প্রাণ খুলে গালাগালি দিতে পারি। শুনে কাস্টমস এর লোকজন সরি টরি বলে তাকে বিদায় করলো।

তেল আভিভ এ স্থিতু হয়ে বসার পর একদিন বাড়িতে পরিচিত বন্ধুবান্ধবদের আমন্ত্রণ জানালো। ড্রয়িং রুমে টেবিলের ওপর মুর্তিটি দেখে তারা জিজ্ঞেস করলো কে এটা ....?
এবার সে জবাব দিলো, কে নয় বন্ধু বলো কি এটা ? এটা দশকিলো ওজনের নিরেট সোনা। শুধু কথার প্যাঁচে কোথাও এক টাকাও ট্যাকস বা ডিউটি না দিয়ে এদেশে আনতে পেরেছি....! ‌

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:১৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


লেনিন মুর্তিতেও লাখ টাকা।

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: নাপিতের মত ইহুদীরা বুদ্ধিমান। কিন্তু এত বুদ্ধি থেকেও তাদের রাষ্ট্র ছিলো না। কায়দা করে যদিও তারা একটি রাষ্ট্র পেল, তথাপি সেই রাষ্ট্র নিয়ে তাদের যুদ্ধ থামছে না।

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষকে মানুষ ভাবতে হবে। জাত দিয়ে ধর্ম দিয়ে মানুষকে ভাগ করা সঠিক কাজ নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.