নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু জানার চেষ্টা থেকে ব্লগে আসা। সাহিত্য চর্চা করতে চাই।
লোকগুলা খুব ভালো ছিল। আমার শৈশব কেটেছে এদের কবিতায় ফুটে ওঠা দৃশ্যগুলান কল্পনা করে করে।
এই এতো বছর পরে, ভাবি – এই রকম চিপায় পড়ে চাকুরি করে তারা কি ঐসব অমৃত ডেলিভারি দিতে পারতেন? কেমন হত সেই রচনা গুলো?
আমি নিশ্চিত আমার এই ধৃষ্টতা তাঁরা ক্ষমা করে দিতেন। যারা আমাকে কল্পনা করা শিখিয়েছেন, তাদের নিয়ে কল্পনা করতে কেমন যেন গা শিউরে ওঠে!
তারাও যদি।
-----------------
(১)
যদি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এ,
হোতো জীবন বীমার চাকুরে,
তুলতো কি গানে স্বর সে –
“আজি মেঘে মেঘে বারি বর্ষে,
পিচ্ছিল পথে পিছলা খেয়ে
হয়ে যেতে পারো কিমা।
সময় থাকতে করে ফেল ভায়া,
আজিকে জীবন বীমা।”
(২)
নজরুল যদি বিদ্রোহ শেষে,
টাকার আড়তে তাকিয়ায় বসে,
ডেবিটে ক্রেডিটে হিসেব কষে,
রিপোর্টের খাতা দিতো মাসে মাসে,
পুঁছতো কি সে – “বল বীর!
অডিট কবে এ খাতাটির?”
বা, “ব্যাংকে যা কিছু প্রফিট-মুনাফা
ট্রেজারির যত ধন,
অর্ধেক তার আনে ডিপোজিট
অর্ধেক তার লোন।“
(৩)
পল্লী কবি পল্লী ছেড়ে,
আস্তানা গেড়ে এই শহরে,
কর্পোরেটে চাকুরি করে,
লিখিতেন কি কলমে চড়ে? –
“এইখানে মোর বসের অফিস, তিরিশ বছর ধরে
হাতিয়ে নিয়েছি জায়গা মত তৈল মর্দন করে।
এতটুকু সেই কিউবিকলে বসে, করে হাড়িমুখ,
দিন রাত সেই গাধার খাটুনি – এতদিনে পেনু সুখ।”
(৪)
কাব্যের নেই মাসিক হিসেব,
নেইকো ব্যালান্স-শীট,
নজরুল – রবি – জসীমউদ্দিন
স্ব স্ব ক্ষেত্রেই হিট!
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
গেন্দু মিয়া বলেছেন: হেহ হেহ. বটে!
আমগো লাহান কর্পোরেট চাকুরি ছিলো নারে ভাই।
ন'টা পাঁচটা অফিস এক জিনিষ, আর ন'টা এগারোটা (রাত) আরেক জিনিষ।
সবাইকেই তো কিছু না কিছু করতেই হোতো নিঃসন্দেহে। তবে চাকুরির প্রসঙ্গটা তাদের জীবনে কিভাবে উঠে আসতো, সেটাই কল্পনা করার চেষ্টা চালিয়েছি।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৩
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: অনেক কবিই চাকরি করে লিখেছেন। জীবনানন্দ দাশ। রবীন্দ্রনাথ জমিদারী দেখাশোনা করতেন। সোনার তরী তো খাজনার হিসেব নিতে এসেই লেখা।