নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গেন্দু মিয়া একজন সহজ সরল ভালমানুষ। তাকে ভালবাসা দিন। তার ভালবাসা নিন। ছেলেটা মাঝে মাঝে গল্পটল্প লেখার অপচেষ্টা করে। তাকে উৎসাহ দিন।

গেন্দু মিয়ার চরিত্র – ফুলের মতন পবিত্র!

গেন্দু মিয়া

কিছু জানার চেষ্টা থেকে ব্লগে আসা। সাহিত্য চর্চা করতে চাই।

গেন্দু মিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ত্রিভুজ (গল্প)

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১০

-ভাই আপনার মাথায় কোন ভালো গল্প আছে?



-কী রকম গল্প চাচ্ছেন?



-নতুন কিছু। সিনেমার জন্য নতুন গল্পের খুব অভাব রে ভাই। হলিউডে তো দেখি ধামাধাম নভেল টভেল মেরে সিনেমা বানিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে... আমাদের দেশে তো আর ও রকম চলবে না।



-তাই নাকি? তা আপনারা কীভাবে করছেন?



-ইয়ে মানে বোঝেনই তো, ইম্পোর্ট করি আরকি। হে হে।



-ইম্পোর্ট? গল্প ইম্পোর্ট?



- হে হে। মানে ঐ আর কি। দুই চারজনকে তামিল মুভি দেখতে বসিয়ে দেই, ওরাই টুকে নেয়।



- সোজা কথায় বলেন না কেন যে চুরি করেন?



- আরে আরে বলেন কী? চুরি হতে যাবে কেন? দেখে শেখা আর কি। হে হে।



- হুমমম। তা বলেন কী রকম গল্প চাচ্ছেন? আঠা আঠা প্রেমের গল্প? নাকি সোশ্যাল অ্যাকশন টাইপ।



- আপনি সৃজনশীল মানুষ, দিয়েন একটা! ইয়ে মানে প্রেম ছাড়া বাংলা সিনেমা আবার জমে না কিনা। তাই একটা প্রেম ঢুকিয়ে দিয়েন। হে হে… আর সেই সাথে ধরেন গোটা পাঁচেক ফাইট। সব ধরনের দর্শকের জন্য তৈরি থাকতে হয়, বুঝলেন কিনা? হে হে... একটা গুন্ডা লাগবে। কথায় কথায় ডায়লগ দিবে “মাইর হবে সুদানে, লাশ পড়বে জাপানে”… হে হে… এক ডায়লগে মুভি পুরা হিট্‌!



- এতো ডিমান্ড থাকলে আপনার ঐ চোর গুলার কাছেই যান। ওরাই আপনাকে ভালো সার্ভ করতে পারবে।



- আরে না না। ভাই কি রাগ করলেন নাকি? রসিকতা করছিলাম রে ভাই। ও বিষয় হলে কি আর আপনার কাছে আসি নাকি? হে হে...



- ভালো গল্প চাইলে দিতে পারি। ব্যস ঐ টুকুই।



- দেন না, দেন না...



- আসলে কয়েকদিন ধরেই মাথায় গল্পটা ঘুরছে। লিখে ফেলি ফেলি করে লেখা হয়ে ওঠেনি। প্রেমের গল্প।



- ব্যস্‌ লিখে ফেলেন, নামিয়ে দি।



- দাঁড়ান দাঁড়ান, ব্যস্ত হবেন না। খসরা একটা দাঁড় করিয়েছি। শুনে দেখেন কেমন লাগে?



- বলেন তাইলে। নতুন ধরনের তো?



- তা বটে। শুনুন তবে, ত্রিভুজ প্রেমের গল্প। যাকে বলে কিনা একেবারে সত্যিকারের ত্রিভুজ।



- সত্যিকারের ত্রিভুজ? সেটা কী রকম?



- জ্বি ভায়া। এক্কেবারে সত্যিকারের ত্রিভুজ। আপনারা যেরকম করেন ওরকম ভাঙা ত্রিভুজ না। দু’টি ছেলে একটি মেয়েকে কিংবা দু’টি মেয়ে একটি ছেলেকে ভালোবাসে, ব্যাস্‌? ত্রিভুজ হয়ে গেলো?



- হলোই তো। নাকি?



- মোটেও না। দু’টি রেখা দিয়ে বড়জোর একটা কোণ হতে পারে, এর বেশি কিছু না।



- তাহলে আপনার ত্রিভুজটা কেমন হবে বলেন দেখি।



- বলছি। গল্পের শুরুটা এরকম, জয় মনে মনে ভালোবাসে সোহানাকে, তাঁকে ঘিরে কল্পনার জগতে ঘুরপাক খাচ্ছে ছেলেটা। ভার্সিটির প্রথম দিনেই সোহানাকে ভালো লেগে যায় তার। যাকে বলে প্রথম দৃষ্টিতেই ভালোবাসা। কাছে যায়, পরিচিত হয়, নিজের ভুবনজয়ী হাসি দিয়ে সোহানাকে মুগ্ধ করার চেষ্টায় প্রথম দিন থেকেই লেগে পরে। সে লাজুক বা মুখচোরা নয়, ছিলো না কখনোও। কিন্তু কাছাকাছি আসতে পারলেও সোহানাকে নিজের ভালোবাসার কথা জানাতে সংকোচ বোধ করে।



- হুঁ হুঁ, শুরুটা ভালো হচ্ছে। তারপর?



- জয়ের বন্ধু সজল। ছোটবেলা থেকে একসাথে বড় হয়েছে। একসাথে বাঁদরামি করতে করতে ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া। জয় শক্তপোক্ত, সজল হ্যাংলা পাতলা। জয় খেলাধুলো মারামারি করে বেড়ায়; আর সজল কবিতা লেখে, গিটার বাজায়। কিন্তু, তাহলে কী হবে? জয়ের প্রতিটা ফুটবল ম্যাচে সজলের থাকা চাইই চাই। বক্সিং ম্যাচে যখন মার খেয়ে জয় পরে যায়, সজল তাকে উৎসাহ দেয়, লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনে। অন্যদিকে গুন্ডা মাস্তানরা যখন সজলের ছোট বোনকে বিরক্ত করে, তখন জয় এসে দাবড়ে দিয়ে যায়। তো যাই হোক, জয় সজলকে জানায় যে তার মনের ভেতর কী ঝড় তুলেছে সুন্দরী সোহানা। সজল ওকে পরামর্শ দেয় সরাসরি কথা বলতে। মনের কথা জানাতে।



- বাহ! ভালো বন্ধু তো। সাইডকিক হবার দিকে একধাপ এগিয়ে গেলো। নাকি দুই নায়কের কাহিনী?



- এরপর শুনুন, জয় তো ভয়ে ভয়ে সোহানাকে অ্যাপ্রোচ করলো, কিন্তু সোহানা রাজী হোলো না।



- তা তো সম্ভবই না। রাজী হলেই তো কাহিনী শেষ। হে হে...



- বটে! তো সোহানা জানালো তার এহেন আচরণের কারণ। তার ফুপু তরুণ বয়সে বেশ ডাকসাঁইটে সুন্দরী ছিলেন। তিনি প্রেম করতেন তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহপাঠীর সাথে। চার পাঁচ বছর প্রেম করে পরিবারের অমতে বিয়ে করেন তারা। প্রথম প্রথম ভালোই চলছিলো। কিন্তু, বছর ঘুরতেই বিপত্তি দেখা গেলো। ছোট খাটো নানা বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতে হতে শেষে ভয়ানক এক রূপ নিলো তাদের সম্পর্ক। কিছুদিন পরে ডিভোর্স। এরপরে ফুপু বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু, এখানেও তাকে সইতে হয় হাজারো মানুষের গঞ্জনা। ডিভোর্সের পর পর সবার এহেন আচরণের জ্বালা সইতে না পেরে ফুপু গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পারিবারিক এই কাহিনীর সাথে ছেলেবেলা থেকেই সোহানা পরিচিত। কাজেই তার সারা জীবনের শপথ হচ্ছে কখনো প্রেম করবে না। বড়জোর বন্ধুত্ব হতে পারে। কিন্তু বিয়ে করবে বাবা মায়ের পছন্দ মতই।



- হেহে… ঠিক লাইনেই আগাচ্চেন। হেহে। এই জায়গায় একটা গান থাকবে। অফার আর রিজেকশন টাইপ। পাতায়া নাইলে লাঙ্কাউয়িতে শুটিং ফেলে দিবো। আপনাকেও নিয়ে যাবো।



- ওসব পরে ভেবেদেখা যাবে। তো, যাই হোক জয় আর সোহানার বন্ধুত্ব হয়ে গেলো। অন্যদিকে সজলের মন খারাপ। জোর করে মুখে হাসি ফুটিয়ে রাখলেও ভেতরে ভেতরে যেন শেষ হয়ে যাচ্ছে ছেলেটা।



- একটা নতুন ছেলে নিবো এই জায়গায়, বুঝলেন। বয়স কম। থিয়েটার ফিয়েটার করে। এইসব দুঃখী দুঃখী এক্সপ্রেশান ভালো দিতে পারবে।



- সজলকে দেখে জয় ধন্দে পড়ে যায়। আক্ষরিক অর্থেই ন্যাংটা কালে বন্ধু। বুঝে উঠতে পারে না কি করে বন্ধুর মন ভালো করবে। অন্যদিকে জয় তখন সোহানার মন জয় করতে ব্যাস্ত। মনে মনে সে বিশ্বাস করে যদিও আপাতত বন্ধু হিএসেবে গ্রহণ করেছে, কিন্তু একবার মন জয় করে ফেলতে পারলে তাদের মিলনে আর কোণ বাধা থাকবে না। তার কার্যক্রমে সজল তাকে সাহায্য করে। মন খারাপ ভাবটা যায়নি, কিন্তু সজল কিছুতেই জয়কে বুঝতে দিতে চায়না যে তার মনে কী চলছে। এমন সময় ভার্সিটি থেকে শিক্ষা সফরের ঘোষণা আসে।



- হে হে, যা ভেবেছিলাম ঠিক তাই। হে হে, যতই আঁতেল মার্কা ইমেজ নিয়ে বসে থাকেন না কেন, ভেতরে ভেতরে টিপিকাল বাংলা ছবি চলছে ঠিকই।



- দাঁড়ান দাঁড়ান, আগেই উত্তেজিত হবেননা। টিপিকাল মনে হলেও টিপিকাল নয়।



- বটে! ঠিক হ্যায়, আগে বাড়িয়ে!



- তো শিক্ষা সফরে যাওয়া হলো কক্সবাজার। জয় আর সোহানার বন্ধুত্ব তখন চরমে। আর সজল তো আছেই। তিন জনই যাকে বলে কিনা একেবারে হরিহর আত্মা। কিন্তু, এখানেও আস্তে আস্তে বিভেদ আসতে শুরু করে। আগে ফুটবল খেলায় একটা গোল করে ছুটে এসে সজলকে জড়িয়ে ধরতো জয়, এখন সেই জায়গাটা সোহানা নিয়ে নিয়েছে। আগের মত আর জয়কে একা করে পায় না সজল, সব জায়গাতেই সোহানার সরব উপস্থিতি। সজল নিজেকে আস্তে আস্তে গুটিয়ে নিতে থাকে।



- বেশি ঝুলিয়ে দেবেননা যেন। দর্শক কিন্তু উত্তেজনা খোঁজে।



- এর মধ্যে একদিন তারা শুনতে পায় হিমছড়ির এক পাহাড়ের চূড়ায় নাকি একটা বন আছে। সেই বনের মাঝখানে একটা গাছে অদ্ভুত সুন্দর ফুল ফোটে। পাহাড়িরা পাহাড়ের নিচের ঝর্না থেকে গোসল করে খালি গায়ে পুরো পাহাড় বেয়ে সেখান থেকে ফুল নিয়ে এসে প্রেম নিবেদন করে প্রেয়সীকে। কথিত আছে সে ফুল নিয়ে আসার পর নাকি প্রেমিকা কিছুতেই আর না করতে পারে না। তবে সেই রাস্তাটা খুব দূর্গম। তো, জয় সোহানার বন্ধুত্ব মেনে নিলেও মনে মনে সোহানাকে অনেক ভালোবাসে। সে ঠিক করে এই চ্যালেঞ্জটা নেবে। পাহাড় থেকে একটা ফুল নিয়ে আসবে সোহানার জন্য। কিন্তু সে পাহাড় আবার পুরো তিনদিনের পথ।



- বেশ একটা আডভেঞ্চারের গন্ধ পাচ্ছি। তারপর?



- জয় কাউকে কিছু না জানিয়ে চলে যায়। এদিকে জয়কে না দেখে সোহানা অস্থির হয়ে পরে। অস্থিরতা রূপ নেয় অসুস্থতায়। বিছানায় কোলে জায়গা হয় সোহানার, অন্যদিকে সজল অস্থির হলেও ভেঙে পরে না। সোহানাকে ভালো করে তোলার চেষ্টায় লেগে পরে। বিছানার মাথার কাছে বসে সে গিটারে সুর তোলে, কবিতা শোনায়। আস্তে আস্তে সোহানা ভালো হয়ে উঠতে থাকে। আসলে তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে মুখর জয়, হাসি তামাশা করে সবাইকে মাতিয়ে রাখতো সেইই। তার অনুপস্থিতিতে সজল আর সোহানা কাছাকাছি আসার সুযোগ পায়। এমন সময় অঘটন ঘটে যায়। সজলের প্রেমে পরে যায় সোহানা। জয়কে সে বন্ধুর স্থান দিলেও সোহানার হৃদয় জুড়ে জমে থাকা শূন্যস্থান পূরণ করে ফেলে সজল।



- ব্যাস্‌। ত্রিভুজ কমপ্লিট। হে হে…



- শেষ করতে দিন। আর বেশি বাকি নেই। তো, জয় যতদিনে ফুল নিয়ে ফিরে আসলো ততদিনে সোহানা আর তার নেই। জয় তো আর তা জানে না। সন্ধ্যাবেলায় সমুদ্র তীরে সোহানাকে নিয়ে যায় সে। সাগরকে সাক্ষী রেখে প্রেম নিবেদন করবে আবার। এখন সে অনেক আত্মবিশ্বাসী, এবার ব্যর্থ হবার কোন সম্ভাবনাই নেই। অন্যদিকে সোহানার মনে বয়ে চলেছে অন্য এক ঝড়। সোহানার সবচে’ কাছে বন্ধু জয়। কাজেই, জয়কে কথা বলতে না দিয়ে সে জানায় যে সজলের প্রেমে পড়ে গিয়েছে সে।



- ক্লাইম্যাক্স সন্নিকটে। হে হে…



- জয় ভয়ানক আঘাত পায়। নিজের মনের কথাটা আর সোহানাকে জানাতে পারে না। তার মনে পরে যায় সোহানা যখন তাদের মাঝে আসে, সজল তখন কেমন যেন বিমর্ষ হয়ে পড়েছিলো। দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে নেয় জয়, সজল আর সোহানা একে অপরকে পছন্দ করে। এদের ভালোবাসার মাঝে নিজের ব্যর্থ প্রেমকে জয় বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে দিতে চায় না। স্বিদ্ধান্ত নেয়, সরে দাঁড়াবে। ফুলটা সোহানাকে দিয়ে দেয় সজলকে দেয়ার জন্য। সোহানা ফুলটা দেখে চমকে ওঠে। তার আর বোঝার বাকি থাকে না জয়ের মনোভাব।



- পোস্টারটা চোখে ভাসছে ভাই “ভালোবাসার ফুল”, কিংবা “তোমার জন্য ফুল”।



- জয় সরাসরি কথা বলতে যায় সজলের সাথে। সজল জানতো যে এখনো জয় মনে মনে সোহানাকে পছন্দ করে। সে অস্বীকার করে সোহানার প্রতি তার ভালোবাসা। জয়কে জানায় যে সে কোনভাবেই পারবে না জয়ের ভালোবাসাকে ছিনিয়ে নিতে। অন্যদিকে সোহানা শুনে ফেলে পুরো কথোপকথন। প্রেমের টানে সে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যা করতে যায়। জয় গিয়ে তাকে বাঁচায়। প্রতিজ্ঞা করে যে করেই হোক সজলকে সোহানার জীবনে এনে দেবে। শহরে ফিরে জয় সজলকে জানায় সে যদি সোহানার প্রেমে সাড়া না দেয় তাহলে সোহানা আত্মহত্যা করবে। আর যদি তা-ই হয় তাহলে জয় কখনো সজলকে ক্ষমা করবে না। সজল ভেবে দেখার জন্য একদিন সময় চায়।



- কিংবা “অমর প্রেম”… এইটাও খারাপ না। হে হে… ত্রিভুজ তো কমপ্লিট ভাই। হে হে…



- এই জায়গায় এসে গল্পের ক্লাইম্যাক্স।



- মানে? এখনো ক্লাইম্যাক্স হয়নি?



- না। আর ত্রিভুজও সম্পূর্ন হয়নি।



- মানে?



- মানে পরের দিন থেকে আর সজলকে দেখা যায় না। জয় খোঁজে, সোহানা খোঁজে, কেউই পায় না। এমন সময় খবর আসে সজল শহর থেকে দূরে গিয়ে আত্মহত্যা করেছে।



- হুমমম… ফর্মুলা পুরোপুরি মিলছে না। সজল কি তবে অন্য কাউকে পছন্দ করে?



- একটা চিঠি রেখে গিয়েছে সজল। সেটা পড়ে জয় আর সোহানা জানতে পারে সজলের জীবনের গল্প। ছোটবেলা থেকে সজলের বেড়ে ওঠাটা একটু ভিন্ন। শৈশব পেরিয়ে কৈশরে পদার্পন করে সজল বুঝতে পারে সে অন্য সবার চেয়ে আলাদা। জয়ের প্রতি একটা তীব্র আকর্ষণ অনুভব করে সে। ঠিক শারীরিক নয়, অনেকটাই মানসিক। তার সমস্ত সত্তা জুড়ে জয়। সে জানে জয় তার মতো নয়। সে জানে এই দুনিয়া কিছুতেই তাদের দু’জনকে এক হতে দেবে না। তারপরও এক দুর্বার আকর্ষনে সে জয়ের সাথে সাথে থাকে। জয়কে কোন মেয়ের ব্যাপারে আগ্রহী হতে দেখলে তার মাথা নষ্ট হয়ে যায়।



- ইয়ে মানে, বুঝলাম না। একটু ইয়ে হয়ে গেলো না? মানে…



- সজল যখন দেখে তার জন্য জয় আর সোহানার সুন্দর সম্পর্কটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তখন সে সরে যাবার স্বিদ্ধান্ত নেয়। স্বিদ্ধান্ত নেয় নিজের জীবন দিয়ে জয়কে সুখী করে যাবে।



- (খুঁ খুঁ) ইয়ে মানে ব্যাপারটা কী দাঁড়ালো তাহলে? জয় ভালোবাসে সোহানাকে, সোহানা ভালোবাসে সজলকে, আর সজল ভালোবাসে… জয় কে?



- ঠিক তাই। ত্রিভুজ কমপ্লিট।



- হুমমম… মানে… আসলে খারাপ না, কিন্তু আমাদের দর্শক আবার এ ধরনের গল্প এখনো হজম করার ক্ষমতা রাখে না, এই আর কি।



- হুমমম… কথা ঠিক।



- আচ্ছা আজকের মতো রাখি তাহলে। এটা নিয়ে চিন্তা করি। আর, ইয়ে, ঐ ব্যাপারটা বাদ দিলে কিন্তু একেবারে খারাপ গল্প না। প্রডিউসার হাতে ছিলো…



(ফোন কেটে যায়)





*******************



পরিশিষ্টঃ লেখক তার গল্পটা কেটে কুটে ঠিক করে রাখে। ফ্ল্যাটের ইন্সটলমেন্ট বাকি পড়েছে, কিছু টাকা দরকার। সজলের ভালোবাসা হারিয়ে যাক। তার এই সমাজে কোন স্থান নেই। ত্রিভুজগুলো অসম্পূর্ণই থাকুক, এই-ই ভালো!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.