নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গেন্দু মিয়া একজন সহজ সরল ভালমানুষ। তাকে ভালবাসা দিন। তার ভালবাসা নিন। ছেলেটা মাঝে মাঝে গল্পটল্প লেখার অপচেষ্টা করে। তাকে উৎসাহ দিন।

গেন্দু মিয়ার চরিত্র – ফুলের মতন পবিত্র!

গেন্দু মিয়া

কিছু জানার চেষ্টা থেকে ব্লগে আসা। সাহিত্য চর্চা করতে চাই।

গেন্দু মিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৩

“তোর সাথে কথা বলা, আর রাস্তায় খাড়ায়ে খাড়ায়ে মোতা একই কথা!”



আমার সাথে তার রাজনৈতিক মতবাদ মিলতে না পারে। তাই বলে এরকম একটা কথা বলে বসবে!



“মানে কী? ব্যাখ্যা কর।”



“ব্যাখ্যা করার কী আছে? আওয়ামী লীগ গত পাঁচ বছরে…”



“না না ঐটা না। ঐযে বললি আমার সাথে কথা বলা… আর কী যেন একই কথা?” – রুচিতে বাঁধছিল, আবার একটা কৌতূহলও হচ্ছিলো।



“আর কী?”



“মানে আমার সাথে কথা বলা আর রাস্তায় দাঁড়িয়ে মূত্র-বিসর্জন একই কথা! এটার মানে কী?” আর পারছিলাম না কৌতূহল চেপে রাখতে।



“অ আচ্ছা!” অমায়িক হাসি, দেখে গা টা জ্বলে যায়, “ঐটা একটা কথার কথা… মানে এক্সপ্রেশান আর কি।”



“কথার কথা! ব্যাখ্যা কর। এক্সপ্রেশান হলেও কোন না কোন দিকে অ্যানালজি মিলতেই হবে। তা না হলে সেন্স মেক করে না। তুই এই দুইটা ঘটনায় মিল কোথায় পেলি?”



“আচ্ছা বুঝিয়ে বলছি,” আবার গা জ্বলানো হাসি, “ধর রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিস, খুব চাপলো। আশেপাশে পিজা হাট নাই, ধর তুই আবার পরিস্কার বাথরুম ছাড়া উৎসাহ পাস না। তখন কী করবি?”



“রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে যাবো।” আমি বিজ্ঞের মতো মাথা নাড়ি।



“ঠিক তাই। কিন্তু, এর মানে কি তুই রাস্তার ধারেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করিস? মানে বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় সারতেই কি বেশি আনন্দ পাস?”



অদ্ভুত প্রশ্ন! যাই হোক, উত্তর দিলাম “মোটেই না। ব্যাপারটা কেমন যেন ডিসগাস্টিং!” চিন্তা করতেই নাক নিজে নিজে কুঁচকে যায়।



“তাহলেই বোঝ, তুই জানিস এটা একটা ডিসগাস্টিং কাজ। কিন্তু প্রয়োজনে মাঝে মাঝে করতে হয়।”



“হুমম। তার মানে ব্যাপারটা কী দাঁড়ালো?” আমি জিজ্ঞাসু।



“ব্যপারটা হলো, যদিও রাস্তায় খাড়ায় খাড়ায় মোতা ব্যপারটা ডিসগাস্টিং, তার পরও মাঝে মাঝে জীবনে তাগিদে করতে হয়। ঠিক সেরকম তুই আমার বন্ধু। তোর সাথে সময়ে অসময়ে কথা হয়য়। কিন্তু, কোন গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে তোর সাথে কথা বলাটাও ডিসগাস্টিং। এমন সব ফাউল যুক্তি তৈরী করিস কী করে?”



ও তাইলে এ ব্যাপার!



আচ্ছা ঠিক আছে, মতবাদ গিলে খেলুম। তবে বন্ধু, তুমি বাংলা সাহিত্যে অমর একটা উপমা যোগ করে গেলে। মনে রেখো!



(কিছু কিছু মানুষের সাথে কথা বলতে গিয়ে ব্যপক বিরক্তির উদ্রেক হতে পারে। সেক্ষেত্রে এই উপমাটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে এর ফলস্বরূপ কোন প্রকার শারীরিক, মানসিক, আর্থিক বা আধ্যাত্মিক ক্ষতিসাধন হলে আমার বন্ধু কোন দায়িত্ব নেবেন না।)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.