নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গেন্দু মিয়া একজন সহজ সরল ভালমানুষ। তাকে ভালবাসা দিন। তার ভালবাসা নিন। ছেলেটা মাঝে মাঝে গল্পটল্প লেখার অপচেষ্টা করে। তাকে উৎসাহ দিন।

গেন্দু মিয়ার চরিত্র – ফুলের মতন পবিত্র!

গেন্দু মিয়া

কিছু জানার চেষ্টা থেকে ব্লগে আসা। সাহিত্য চর্চা করতে চাই।

গেন্দু মিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

রূপকথার গল্পঃ প্রেস কনফারেন্স

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৫

(১)

একবার গোলক রাজ্যে নাশকতা অনেক বেড়ে গেল। গোলকের রাজা হবুচন্দ্র। তার বেজায় বুদ্ধি। আর রাগও সেরাম!

তো, তিনি তার পুলিশদেরকে ডেকে দিলেন - "নচ্ছারের দল, এত যে নাশকতা হইচ্চে, তোমরা করিচ্চো কী? বসিয়া বসিয়া আঙুল চুষিচ্চো?'

পুলিশ বাহিনীর প্রধান কোটাল গাধুচন্দ্র বেজায় রসিক লোক। তিনি আবার মোহাসেবী করতেও পছন্দ করেন। তিনি হেসে বললেন - 'মহারাজ, আঙুল চুষিচ্চি তো বটেই, ফের তার ওপর সব দোষ গবুচন্দ্রের ওপর দিয়া পায়ের ওপর পা তুলিয়া নৃত্য-গীত উপভোগ করিচ্চি।'

গবুচন্দ্র হচ্ছে রাজার ছোট ভাই। এ ব্যাটা রাজা না হতে পেরে নাকি ঝাল মেটাতে লুকিয়ে লুকিয়ে নাশকতা করে রাজার সুনামের হানি করিচ্চে, থুক্কু, করছে।

হবুচন্দ্র রেগে গেলেন - "আরে ব্যাটা, খালি তো দোষই দিচ্ছিস। গবুচন্দ্রের দু'একটা পাণ্ডাকে ধরে বেঁধে পিটিয়ে মেরে ফেলিস না কেন? গা টা জুড়োতো!'

রাজার মন্ত্রী ছাগলচন্দ্র তার ছাগল দাঁড়ি দুলিয়ে মাথা নেড়ে বলেন - 'মহারাজ ওভাবে তো হবে না। ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্স ইকোনমিক্স মানবাধিকারিক্স নিন্দাজ্ঞাপনিক্স ইত্যাদি বিবেচনা করে...'

হবুচন্দ্র কথা শেষ করতে দেন না - 'আরে কী বালছাল বলিচ্চো? কাজের কথার নাম নেই... খালি পকপক।'

ছাগলচন্দ্র নিরাশ হন না - 'আছে মহারাজ, আছে। এই গবুচন্দ্রের লোকেরা লুকিয়ে লুকিয়ে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, ভাইবার ইত্যাদি ব্যবহার কইরা নাশকতার প্ল্যান করে। তাহাদের এই প্ল্যানিং বন্ধ করতে হপে।'

হবুচন্দ্র চিৎকার করে বলেন - "আজ থেকে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, ভাইবার সব বন্ধ।'

ছাগলচন্দ্র - 'সব বন্ধ।'

গাধুচন্দ্র - 'আহা হা, রাজা মশায়ের বুদ্ধি নয় তো মন্দ!'

(২)

গবুচন্দ্রের লোকেরা এসে গবুচন্দ্রকে ধরলো - 'বস্‌ ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, ভাইবার সব বন্‌ কইরা দিসে গা। অহন আমগো প্ল্যানিং?'

গবুচন্দ্র কিন্তু হবুচন্দ্রের ছোট ভাই। বুদ্ধিতেও সেয়ানে সেয়ানে।

তিনি কানে কানে তার লোকদের কী যে বললেন। কী যে বললেন তা আর আমাকে কেউ বলে দেয় নি।

(৩)

প্রেস ক্লাবে বিরাট সভা। গবুচন্দ্র গলা কাঁপিয়ে ভাষণ দিচ্ছেন - 'ওহে আমার নাশকতাকারী ব্রাদারগণ, সরকার আমাদের ইন্টারনেট কাড়িয়া নিতে পারে, কিন্তু তবু আমাদের প্ল্যানিং চলিবে। আজ থেকে আমরা প্রেস কনফারেন্স করে সব প্ল্যান করবো।'

সবাই বুদ্ধি শুনে উত্তেজিত। গবুচন্দ্র বলে চলেন - 'ভাই কুত্তাচন্দ্র, তুমি কালকে হাতিরপুলে একখান হাতি ছাড়িয়া দিবা। ভাই, বান্দরচন্দ্র তুমি মৈমনসিংহে গিয়া খোলা রাস্তায় একখান সিংহ ছাড়িয়া দিবা। ভাই মহিষচন্দ্র, তুমি যাইবা পটুয়াখালি। ওখানে গিয়া সবার পুটু মারিয়া দিবা।...'

তো হলো কি, গাধুচন্দ্র সৈন্য সামন্ত নিয়ে প্রেস ক্লাবের বাইরেই অপেক্ষা করছিল। সে দলবল নিয়ে এসে নাশকতার পরিকল্পনা করার অভিযোগে গবুচন্দ্র অ্যান্ড কোম্পানিকে পাকড়াও করে জেল হাজতে নিয়ে গেল।

খবর যখন মহারাজ হবুচন্দ্রের কাছে গেল, তিনি গর্বভরে জাতির উদ্দেশ্যে বললেন - 'দেখুন ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, ভাইবার বন্ধ করিয়া কী কৌশলে আমি সব সমস্যার সমাধান করে দিলুম। নাশকতাকারীরা এখন হাতের মুঠোয়।'

(বুঝলেন কিসু?)

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬

জিকরুল বারী তমাল বলেছেন: অসাধারণ

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩

গেন্দু মিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০২

অগ্নি সারথি বলেছেন: হ বুচছি।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪

গেন্দু মিয়া বলেছেন: হ আমিও কিঞ্চিৎ বুচছি! ;)

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬

রায়হান মজিদ বলেছেন: ব্যাফোক বিনুদুন পাইলাম

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩

গেন্দু মিয়া বলেছেন: আমিও পাইসি! :প

৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: হাসি তে হাসিতে খিল খেয়ে গেলাম মশাই।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪

গেন্দু মিয়া বলেছেন: তাই নাকি? এখন কী হবে? :ও

৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একন কি হপে! ডিজিটাল হবুচন্দ্রের হাতেই ডিজিটাল সেবা যে বন্ হইলে এই কলংক কেমনে মুছিবে ;)

আহা! বলি বানে যখন পার ভাঙগে- তখন নাকি বাঁশের খুটায় ভিটি টিকে না! হবুচন্দ্র কি আর বুঝিবে!
তারা সোনার সেনা সামন্তরা যে পরিমানে অপকর্ম লুটপাটের জোয়ার বহাইয়া দিয়াছে- তাহাতে সার্বিস বনের বাঁশ খুটি কি ভিটি টিকাবে -দেখার জন্য সময়ের অপেক্ষা ছাড়া গতি নাই!

দুইটা ঘন্টা মনে হইতেছিল আমাজানের জঙ্গলে বসবাস করিতেছি।

নাহ! মাঝে মাঝে নিজেই ত্যাগ করিয়া অব্যস্ত হইতে হইবে! হবুচন্দ্রের কখন কোন খৈয়ালের উদ্ভব হয় :-/

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

গেন্দু মিয়া বলেছেন: কোন খৈয়ালের উদ্ভব হয়, কে জানে? :-/

৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৫

এহসান সাবির বলেছেন: এ কোন গেন্দু মিয়া?

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

গেন্দু মিয়া বলেছেন: দুই নম্বর জন!

৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: গেন্দু মিয়া, ইহারা গবুচন্দ্র আর হবুচন্দ্রই বটে| ইহাদের পুটু ইহারা নিজেই মারিয়া থাকে, অন্য কাউকে মারিতে হয় না

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭

গেন্দু মিয়া বলেছেন: পুটু মারা কিংবা পুটুতে মারা যাই হোক না কেন, আমি কিন্তু বাপু রূপকথার গপ্পো কইচ্চি। অতো শত পলিটিক্স বুঝি না হে, রাখাল ভাই!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.