নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গেন্দু মিয়া একজন সহজ সরল ভালমানুষ। তাকে ভালবাসা দিন। তার ভালবাসা নিন। ছেলেটা মাঝে মাঝে গল্পটল্প লেখার অপচেষ্টা করে। তাকে উৎসাহ দিন।

গেন্দু মিয়ার চরিত্র – ফুলের মতন পবিত্র!

গেন্দু মিয়া

কিছু জানার চেষ্টা থেকে ব্লগে আসা। সাহিত্য চর্চা করতে চাই।

গেন্দু মিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট গল্পঃ মাই ভ্যালেন্টাইন (My Valentine)

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১

(১)

সকাল থেকে ফারিয়ার মনটা টেনশনে অস্থির হয়ে আছে। অপুর প্রিয় একটা আইটেম রান্না করেছে সে। ইলিশ মাছের মুড়িঘণ্ট। জিনিসটা অত কঠিন না, কিন্তু প্রথমবার তো, তাই এত চিন্তা। মশলা ঠিকমত হয়েছে কিনা ফারিয়া বুঝতে পারছে না।

বাসায় ইঁদুরের উপদ্রব বেড়েছে ইদানিং। গতরাতে রান্না ঘরে দেখেছে ফারিয়া, এতটুকু পুঁচকে একটা নেংটি ইঁদুর। ইঁদুর মারার বিষ নিয়ে আসতে বলেছে অপুকে। লোকটা বার বার ভুলে যায়।

আজকে মা ফোন করেছিল। কথা হয়েছে। এক বছর হয়ে গেল বাবা এখনও কথা বলেন না। হাজার বার ফোন করেও বাবাকে পায়নি ফারিয়া। গত ফেব্রুয়ারিতে অপুর হাত ধরে চলে আসার পর বাবা শুধু একবারই ফোন করেছিলেন। "তুই আমার জন্য মরে গেছিস", ছোট্ট একটা কথা, কিন্তু কত বড় হয়ে হৃদয়ে এসে লাগে! এখনও মনে পড়লে কান্না চলে আসে ফারিয়ার।

***

বিকেল তিনটা। অপুকে ফোন দেয় ফারিয়া। ফোন ধরে না অপু। অনেক ব্যস্ত নিশ্চয়ই। আহারে বাবুটা! কত্ত ঝামেলা নিয়ে চলতে হয় ঘাড়ে। গত বছর যখন ওরা একসাথে বের হয় তখন অপু দু'রুমের এই ছোট্ট বাসাটা ভাড়া করেছিল। মূল রাস্তার দিকে বারান্দাটা। তখন কী অভাবের সময় তাদের! অপুর অ্যাকাউন্টে লাখ দেড়েক টাকা, আর ফারিয়ার কিছু সোনার গয়না। একটা চাকরি ছিল না অপুর। সাহস করে বের হয়ে গিয়েছিল দু'জনে। হয়তো মাস তিনেক চলতে পারবে টেনেটুনে। কিন্তু তারপর?

মানুষ যখন খুব বিপদে পড়ে, তখন প্রকৃতিই বোধ হয় রাস্তা বাতলে দেয়। এক মাসের মধ্যে অপুর একটা জব হয়ে গেল। অ্যাড ফার্মে। ভাল বেতন।
তারপর থেকে একটু একটু করে ঘরটাকে গুছিয়েছে ফারিয়া। ফার্নিচার ছিল না বাসায়। প্রথম প্রথম মাটিতে বসে খেতে হত। টিভি ছিল না। অপুর ল্যাপটপে সিনেমা দেখত দু'জনে ছুটির দিনের বিকেলগুলোয়। বারান্দাটায় ছোট্ট একটা টবে ফুলের গাছ লাগিয়েছে। অপু রাতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে সিগারেট খায়। তাই বারান্দাটা সুন্দর করে সাজিয়ে রাখার দায়ভার ফারিয়া নিজের হাতে তুলে নিয়েছিল।

অপু খুব খেটেছে। ভোর সকালে উঠে বাস ধরে ছুটে যেত অফিসে, ফিরতে ফিরতে সেই সাড়ে ন'টা দশটা। মাঝে মাঝে শুক্র শনিও। ভাল কাজের পুরস্কারও পেয়েছে অবশ্য। আট মাসের মাথায় তাকে অ্যাসিট্যান্ট ম্যানেজার করে দিয়েছে। বেতন বেড়েছে। আর সেই সাথে আরেকটু দম ছাড়ার জায়গা পেয়েছে তারা দু'জন।

তবে ইদানিং যে অপুর কী হয়েছে ফারিয়া বুঝতে পারে না। কেমন যেন খিটখিটে মেজাজে থাকে। আগের মত আর ঘরে ফিরে তাকে জড়িয়ে ধরে না। গল্প করে না আগের মত। এসেই খেয়ে শুয়ে পড়ে। বাসন কোসন গুছিয়ে আসতে আসতেই ফারিয়া দেখে যে অপু ভোঁস ভোঁস করে নাক ডাকছে। দেখে এত মন খারাপ হয় যে বলার মতন না। এই অল্প কিছুক্ষণের জন্যই তো পায় ওকে। এর মধ্যেই যদি ঘুমিয়ে পড়ে তা'হলে কেমন লাগে?

আচ্ছা, তার প্রতি অপুর ভালবাসা কি কমে গেছে? ও কি পুরোনো হয়ে গেল? আজ সকালেও মা বলছিল অপুর সাথে ওর সম্পর্কটা কেমন যাচ্ছে? পুরুষ মানুষকে নাকি বিশ্বাস করতে হয় না। মা’কে যা বলেনি ফারিয়া তা হল অপু ইদানিং মনে হচ্ছে আর উৎসাহ পাচ্ছে না। ওর কাছে কি সবকিছু বোঝা বলে মনে হচ্ছে?

আজ রবিবার। এই শুক্র শনিও অপু তাকে একটুও সময় দেয়নি। দূপুর পর্যন্ত বিছানায় গড়াগড়ি করে রেডি টেডি হয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেছে। ফিরেছে অনেক রাত করে। গত বছরের ভ্যালেন্টাইন’স ডে-তে অপুর হাত ধরে এখানে এসে উঠেছিল ফারিয়া। এক বছরে কি অপুর মোহ ভঙ্গ হয়ে গেল? ওর কি মনে হচ্ছে ও ভুল করেছে?

অভিমানে ফারিয়ার বুকটা ভরে যায়।

আচ্ছা অপু অন্য কারো প্রেমে পরে নি তো? ফারিয়ার নিজের বলতে কিছুই নেই। অপুকে বিয়ে করে উঠে আসার পর পড়াশোনা শেষ করতে পারে নি ফারিয়া। ভেবেছিল একটু থিতু হয়ে আবার অনার্সটা ধরবে। শেষ করে চাকরি বাকরি কিছু একটা ধরবে। তা’হলে অন্ততঃ অপুকে কিছুটা সাপোর্ট দিতে পারবে। বেচারা একা একা পুরো সংসারটাকে টেনে চলেছে। এটা কি কারণ হতে পারে?

গত বৃহষ্পতিবার রাতে অপু বাসায় ফেরার পর ওর একটা ফোন এসেছিল। ও ফোনটা নিয়ে বারান্দায় চলে গেল। ওর অনেক ক্লায়েন্ট থাকে, অনেক মানুষকে ওর ম্যানেজ করে চলতে হয়। হয়তো কোন কাজেরই ফোন হবে। কিন্তু কাজের ফোন হলে তো ও এভাবে লুকিয়ে লুকিয়ে কথা বলে না। সন্দেহটা দানা বাঁধা শুরু হল যখন গতকাল রাতে আবার ওরকম সময়ে ফোনটা এল। খেতে খেতে উঠে গিয়েছিল অপু। বারান্দায় দাঁড়িয়ে ফিস ফিস করে কী যেন কথা বললো।
এসব নিয়ে ভাবতে ভাল লাগে না ফারিয়ার। কেন যেন অপুকে সন্দেহ করতে ভাল লাগে না তার। মন খারাপ হয়ে যায়। অপুকে ছাড়া তো আর জগৎ-ই নেই তার। বাবা মাকে ছেড়ে এসেছে। ছেড়ে এসেছে নিজের ভবিষ্যৎ।

অপু ফিরছে না কেন?

(২)

অপু ফেরে রাত আটটায়।

তাকে খুব ক্লান্ত দেখায়। তারপরেও চেহারায় কেমন যেন একটা দ্যুতি। মনে হচ্ছে অনেকদিন পর কোন একটা সুখের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কিছু বলে না সে। ফারিয়াও জিজ্ঞেস করে না।

“এই যে ইঁদুর মারার ওষুধ আনতে বলসিলা। আর কালকের পাওরুটি, বাটার। কলা ভালটা পাইনি।”

ফারিয়া চুপ করে থাকে।

“কালকে সকালে বাটার দিয়ে পাওরুটি খাব...” কথা বলতে বলতেই অপুর ফোনটা বেজে ওঠে। ও ফোনটা নিয়ে বারান্দায় চলে যায়।
ফারিয়া পিছে পিছে যায়। বারান্দার দরজার এপাশ থেকে আড়ি পেতে শোনার চেষ্টা করে। বুঝতে পারে অপু ফিসফিস করে কিছু একটা বলছে। কী বলছে ঠিক বোঝা যায় না।

অপু বেরিয়ে এসে হাঁক পারে – “ফারু ভাতটা দিয়ে দাও আমি গোসলে গেলাম।”

ফারিয়া অভিমানে ফুঁসে ওঠে। তার চোখে পানি এসে যায়।

রান্নাঘর থেকে খাবারের প্লেট নিয়ে ফারিয়া ডাইনিং টেবিলে এসে দেখে অপুর রেখে যাওয়া ফোনটা। ফারিয়া ফোনটা হাতে তুলে নেয়। কল লিস্ট চেক করে। স্ক্রিণের ওপর একটা নাম ভেসে আছে – Mahjabeen My Valentine.

একটু আগে এর সাথেই ফিস ফিস করে কথা বলছিল অপু। গত রাতেও। সারা দিনের বহু সময়ে কল লিস্টে এই নাম।
ফারিয়ার জগতটা অন্ধকার হয়ে আসে।

(৩)

অপু গোসল থেকে বেরিয়ে সরাসরি খেতে বসে। দেরী হয়ে যাচ্ছে। মঞ্চটা আরো গুরুগাম্ভীর্য্যের সাথে প্রস্তুত করতে হবে। সারপ্রাইজটা একেবারে সারপ্রাইজের মতই হতে হবে।

ফারিয়া আজকে ইলিশ মাছের মুড়িঘন্ট বানিয়েছে। ওয়াও! অপুর মনটা ভালোবাসায় ভরে যায়। এই মাসে তার প্রমোশন হয়েছে। ফারিয়াকে জানায় নি। আজ তার গাড়ি কেনার লোনটা স্যাংশান হয়েছে। ফারিয়ার কত শখ গাড়ি নিয়ে লং ড্রাইভে যাবার। পকেটে হয়তো একটু প্রেসার পরবে, তা পরুক। একটা ছোট শখ তো পূরণ করতে পারবে।

এত ভাল ভাল খবর তো আর হঠাৎ করে দেয়া যায় না। একটু নাটকীয়তা দরকার। তার এজন্য চেষ্টার কমতি রাখেনি সে।

একটা নতুন কোম্পানি এসেছে। এরা গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী বাসায় এসে সারপ্রাইজ অনুষ্ঠান করে যায়। এদের সাথে যোগাযোগ করেছে। তারা বাসায় এসে ফুলের তোড়া, কেক আর একটা গিফট দিয়ে যাবে। সাথে থাকবে তিন জনের একটা ভায়োলিনিস্ট-এর দল। ফারিয়াকে বিয়ে করার পর থেকে একটা সোনার গয়না দিতে পারেনি সে। আজকে সে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে একটা তিন ভরি স্বর্ণের নেকলেস কিনেছে। ফারিয়ার পছন্দ হবে কিনা কে জানে?
আর হ্যাঁ। আগামীকাল ছুটি নিয়েছে তপু। কাজ তো অনেক হলো। ফারিয়াকে একটু সময় দেয়া দরকার। এটাই সবচে’ জরুরী। বেচারী সারাদিন একা একা থাকে।

ভাত মাখিয়ে মুখে দেয়ার সময় উত্তেজনায় অপু ফারিয়ার দিকে তাকায় না। তাকালে দেখতে পেত ফারিয়ার চোখদু’টো লাল হয়ে আছে। চুপচাপ মাথা নিচু করে খাচ্ছে।

মুড়িঘন্টটা কেমন যেন তিঁতকুটে। অপু বলতে গিয়েও বলে না। থাক বেচারী শখ করে রান্না করেছে। দুই তিন লোকমা মুখে যেতেই অপুর মাথাটা চক্কর দিয়ে ওঠে। কেমন যেন বমি বমি লাগে।

সারাদিন ধকল তো কম যায় নি, নিজেকে বুঝ দেয় অপু। চুপচাপ খেতে থাকে। ফোনটা একবার চেক করা দরকার। ওরা এলো কিনা।
নাহ্‌। মাথাটা খুব ঘোরাচ্ছে। বমি হয়ে যাবে মনে হয়। ভাবতে ভাবতে ফারিয়ার দিকে তাকাতেই চমকে যায়। ফারিয়া খাওয়া ছেড়ে দুই হাত দিতে নিজের গলা চেপে ধরেছে। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বের হচ্ছে। কিছু বুঝে উঠতে পারে না অপু। ব্যাপার কী?

উঠে ফারিয়ার কাছে যেতে গিয়েই ধপ করে পরে যায় অপু। মেঝেতে বসে হর হর করে বমি করে দেয়। বমির সাথে বেরিয়ে আসে রক্ত। কোনমতে নিজেকে সামলে নিয়ে তাকাতেই দেখে মেঝের ওপর একটা হলুদ রঙের কৌটা গড়াগড়ি খাচ্ছে। র‍্যাট পয়জন।

কেন ফারিয়া? কেন? চিৎকার করে জিজ্ঞেস করতে চায় অপু। পারে না। একটা অন্ধকার দেয়াল যে ছুটে এসে ধাক্কা দেয় তাকে।

(৪)

মাহজাবীন গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ায়। গাড়িতে অনেক মশা। গলির মুখে আরো কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে কে জানে? দলের বাকিরা অবশ্য গল্প গুজবে মত্ত। খুব একটা বোর হয়নি।

এই বছরে জন্ম নেয়া My Valentine প্রোগ্রামের প্রথম মৌসুমটা ভালই গেলো।

মিস্টার অপু অনেক সময় দিয়েছেন তার সারপ্রাইজটা প্লান করতে। মিটিং-এর পর মিটিং, ব্যস্ত শিডিউল থেকে সময় বের করে ফোনে সময় দেয়া সব করেছেন। গোলাপের তোড়ার ডিজাইন থেকে শুর করে কেকের ফ্লেভার, ভায়োলিনের সুর সব কিছু তার নিখুঁত চাই। স্ত্রীকে ভদ্রলোক মনে হয় একটু বেশিই ভালবাসেন।
একদিন মিটিং-এ মাহজাবীন দেখেছিল তা নম্বরটা সেভ করে রেখেছেন কী নামে। মজা পেয়েছিল সে। তখন অপু ব্যাখ্যা দিয়েছিল। মাহজাবীন নামে আরেক ভেন্ডর আছে তার। সেটা Mahjabeen Light Castle নামে সেভ করে রাখা। অনেক অনেক মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখতে হয়, এভাবে নাম সেভ না করলে মনে রাখা মুশকিল।

মজা করে বলেছিল সেদিন মাহজাবীন – “আপনার বউ দেখলে আপনাকে একেবারে মেরে ফেলবে!”

লোকটা ফোন করছে না কেন এখনও?
---
(সমাপ্ত)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪

মোফিয বলেছেন: যার জন্য করি চুরি ...................

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪১

গেন্দু মিয়া বলেছেন: .... সেই বলে চোর।। :(

২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আয় হায় গেন্দু ভাইজান কল্লেন কি????

সন্দেহের বিষ এতই তীব্র!!!! আসলেই! ভয়ানক এ রোগ!

দারুন লেখনি। একটানে পড়ে গেলাম। ঝরঝরে.. পরিণতিতে কস্ট পেলেও ++++++++++++

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪২

গেন্দু মিয়া বলেছেন: হয়ে গেল কিভাবে কিভাবে! :(

আজকালকার ছেলে মেয়েদের ধৈর্য্য খুব কম।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেকানেক ধন্যবাদ!

৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫

পুলহ বলেছেন: সুন্দর একটা স্বপ্ন কেমন ভয়ংকর দুঃস্বপ্নে পালটে গেলো..
বিদ্রোহী ভৃগু ভাই এর মত বলতে হচ্ছেঃ " দারুন লেখনি। একটানে পড়ে গেলাম। ঝরঝরে.. পরিণতিতে কস্ট পেলেও ++++++++++++"
ভালো থাকবেন :)

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩

গেন্দু মিয়া বলেছেন: স্বপ্ন যে দেখায়, তা দেখানো দুঃস্বপ্নই বোধহয় সবচে' ভয়ানক হয়।

অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন। :)

৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৬

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: শেষ পর্যন্ত মাহজাবীনের কথাটাই সত্যি হল। মর্মান্তিক কাহিনী। :(

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪

গেন্দু মিয়া বলেছেন: হ্যাঁ। ও কি আর জানতো এভাবে ফলে যাবে? :(

ভাল থাকবেন অচম ভুত মশাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.