নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আইলস্যা ব্লগার

একজন ঘূণপোকা

ফেইসবুকেঃfacebook.com/ghunpokareturnঘূণেধরা সমাজের আমি এক ঘূণপোকা। ধ্বংশ করে চলেছি নিজের সমাজ, সংসার, প্রিয়জনের স্বপ্ন, রাষ্ট্র।মাঝে মাঝে নিজেকে কেবল সংখ্যা ছাড়া আর কিছুই মনে হয়না। ছোটকালে স্কুলের সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে পড়া অধিক জনসংখ্যা কুফলগুলোতে মনে হয় আমিও একটু মাত্রা যোগ করেছি।জীবনে কোন কিছুই সিরিয়াস মত করি নাই। না জীবন-যাপন,না পড়াশোনা, না প্রেম। আর ব্লগিং তো নয়-ই। এইজীবনে যেই জিনিসটা নিরলসভাবে করেছি তা হচ্ছে আইলস্যামি।আইডিয়া মাথায় কিলবিল করে, আমারও সামর্থ্য ছিলো সমাজ পরিবর্তনের। কিন্তু আইলস্যামির জন্য করা হয়নি কিছুই। না ফুল, না কাটা।

একজন ঘূণপোকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিরোজা বেগমঃ আমি চিরতরে দূরে চলে যাবো। তবু আমারে দেবো না ভুলিতে.......... /:)/:)/:)

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫২





নজরুল সংগীতের কথা বললেই যে শিল্পির নামটি সবার আগে মনে আসে-তিনি ফিরোজা বেগমউপমহাদেশীয় সঙ্গীতের এই রাজেন্দ্রাণী গত মঙ্গলবার রাত আটটা ২৮ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় ৮৫ বছর বয়েসে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্নি ইলাহি রাজেউন)।



সঙ্গীতের সকল ক্ষেত্রে তার ছিলো সমান পদচারনা। তবে তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন নজরুল সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে। নিজে নজরুলের কাছে গান শিখেছেন, তাকে গান শুনিয়েছেন। নজরুল তার গানের মুগ্ধশ্রোতা ছিলেন, এমনকি যখন কবি ভীষণ অসুস্থ, বোধশক্তিহীন, তখনও তার কন্ঠে নিজের লেখা গান শুনলে কবির মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠত।







বিখ্যাত সুরকার কমল দাসগুপ্তের স্ত্রী, দেশসেরা ব্যান্ড মাইলসের হামিন, সাফিন আহমেদের মা তিনি।







জন্ম ও প্রাথমিক জীবনঃ



ফিরোজা বেগমের জন্ম ১৯৩০ সালের ২৮ জুলাই (১২ শ্রাবণ) ফরিদপুরের গোপালগঞ্জ মহকুমার (বর্তমান জেলা) রাতইল ঘোনাপাড়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে। তাঁর বাবার নাম খান বাহাদুর মোহাম্মদ ইসমাইল এবং মায়ের নাম বেগম কওকাবুন্নেসা। শ্রাবণে জন্ম বলে আদর করে কেউ কেউ শ্রাবণী বলে। ফর্সা টুকটুকে বলে কেউবা ডাকে আনার। কারো কাছে সে আসমানী। আর কাজের লোকেদের কাছে প্রিয় সেজবু।





বরাবরই ছিলেন অন্তর্মুখী স্বভাবের কিন্তু দারুন মেধাবী। স্কুলের প্রোগ্রামে তার দু’হাত জুড়ে থাকত পুরস্কার। একবার স্কুলের এক অনুষ্ঠানে পুরস্কার নেয়ার জন্য মঞ্চে উঠতে গিয়ে অতিথিদের চেয়ারে বসা দুই ব্রিটিশ অফিসার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট আর ডিষ্ট্রিক্ট জাজের পাশে বাবাকে দেখে ভয়ে উল্টোদিকে দৌড় দিতে গিয়ে পড়ে যাচ্ছে সে। শিক্ষক মহাশয় অভয় দিয়ে তাঁকে আবার পাঠাচ্ছেন মঞ্চে।



পরিবারটি রক্ষণশীল না হলেও গান শেখার চল ছিলো না। কিন্তু তিনি বাংলা-ইংরেজি যেকোন কবিতা দেখলেই সুর করে গাইতে শুরু করতেন। গান শোনতে শোনতে তন্ময় হয়ে যাওয়া যেটাকে বলে, সেটা তার বেলায় অনেক ঘটেছে। ভাড়ার ঘরে বসে গান শোনার অভ্যাস ছিলো। একবার কাজের লোকেরা তাকে রেখেই ভাড়ার ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়। উনিও তন্ময় হয়ে গান শুনে চলেছেন। যদিও বাসায় তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়ে যায় ব্যাপকভাবে।





গ্রামোফোন রেকর্ড থেকে শুনে শুনে অনায়েসেই যেকোন গান নিজের কন্ঠে তুলে নিতে পারতেন সুন্দরভাবে। নিজেই ছিলেন নিজের শিক্ষক।



১৯৫৬ সালে বিয়ে করেন আরেক বিখ্যাত সুরকার কমল দাশগুপ্ত-কে। তার পরিবার এটা মেনে নিতে পারেন নি। তাই তাকে কলকাতায় এক প্রকার নির্বাসন-জীবন কাটাতে হয়। কলকাতায়ই জন্ম নেন তার তিনসন্তান- তাহসিন, হামীন ও শাফীন।





নজরুলের সাথে পরিচয় এবং প্রথম রেকর্ডিং






কোন এক গ্রীষ্মের ছুটিতে ছোট মামা আর চাচাতো ভাইদের সঙ্গে কলকাতায় গেল সে। ওরা তখন কলকাতায় থাকে। বন্ধুমহলে ভাগ্নীকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত মামা। ভাগ্নীও গান শোনাচ্ছে বোদ্ধাদের। ছোট্ট মেয়ের গায়কীতে মুগ্ধ সবাই। একদিন গুণীজনদের মজলিসে গান শুনিয়ে দারুণ তারিফও পেল সে। বাসায় ফিরে মামা বললেন,



'জানিস তুই কাকে গান শুনিয়েছিস আজ?”

“আমি কী করে জানব? আমি কি ওদের চিনি, দেখেছি নাকি কখনো”

মামা বললেন, “ঐ যে টুপি পরা, বড় চুল, আসরের মধ্যমণি হয়ে বসেছিলেন, তোকে আদর করে পাশে বসালেন, উনি বিখ্যাত কবি কাজী নজরুল ইসলাম”।




এই সময়েই অল ইন্ডিয়া রেডিও-তে অডিশন দিয়ে শিশুশিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। কিন্তু কলকাতায় স্থায়ীভাবে না থাকার কারনে, তিনি নিয়মত হতে পারেন নি।



১৯৪২ সাল। মাত্র ১২ বছর বয়েসে গ্রামোফোন কোম্পানি থেকে “মরুর বুকে জীবনধারা কে বহাল”-শিরোনামে একটি ইসলামিক গান গেয়ে কিস্তিমাত করে দেন। হু হু করে বিক্রি শুরু হয় তার রেকর্ড। পিচ্চি মেয়ের গায়কীতে মুগ্ধ সবাই।



এরপরে, কমল দাশগুপ্তের তত্বাবধায়নে রেকর্ড করেন উর্দু গান “ম্যায় প্রেম ভরে, প্রীত ভরে শুনাউ” এবং “প্রীত শিখানে আয়া”। এর মাধ্যেমেই পরিচয় হয় কমল দাশগুপ্তের সাথে। পরিচয় থেকে পরিনয়, সংসার।







খ্যাতির চূড়ায়





তার বড়বোন এবং ভগ্নীপতি এইসময় দিল্লি থেকে কলকাতায় স্থায়ী বসতি স্থাপন করলে তিনিও কলকাতায় থাকতে শুরু করেন, আর উপহার দিতে শুরু করেন একের পর এক হিট গান। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তাকে ফিরতে হয় ফরিদপুরে। হঠাত সংগীতজগত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরার কারনে তিনি অসুস্থ হয়ে পরেন।



যুদ্ধ শেষে আবার কলকাতায় গমন। সেখানে গিয়ে গান শিখেন আরেক বিখ্যাত চিত্ত রায়-এর কাছে। ফিরোজা বেগম বলেন,



“একদিকে চিত্ত রায় অন্যদিকে কমল দাশগুপ্ত। এই দুজনের কাছেই আমি ঋণী। বিশেষত কমল দাশগুপ্তের কাছে। তাঁর কাছে আমি সব ধরনের গান শিখেছি। আমার জীবনের মূল শিক্ষাটাই তো পেয়েছি ওঁর কাছে। ভারতবর্ষে ক্ষণজন্মা এই সুরকার, যাঁর বাজানো যে কোন ইনস্ট্রুমেন্টের একটা ছোট্ট টুকরো শুনলেও আমি বলে দিতে পারি। আজ এই এত বছর পরেও অভিন্ন অনুভব কাজ করে আমার মধ্যে। আজও আমি তৃপ্ত নই। আজও আমার ভাল গান শেখা হয়নি।”



গ্রামোফোন থেকে গানের রেকর্ড বের করার জন্য নামকরা শিল্পীদের যেখানে নানা কসরত করা লাগে,সেখানে ফিরোজা বেগম একের পর এক রেকর্ড বের করে চলছেন।



তার সাফল্যে খুশি তার পিতাও, যদিও তিন তাকে ডাক্তার বানাতে চেয়েছিলেন।



গ্রামোফোন কোম্পানিতে তার সমসাময়িক ছিলো, আংগুরবালা, ইন্দুবালা-দের মত বিখ্যাত সব শিল্পীরা। তাদের মাঝেও তিনি নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন শক্তভাবে।



রেডিওতেও সমানভাবে তার গান গাওয়া চলছে। আব্বাস উদ্দীন, কবি জসীম উদ্দিনের কাছে তালিম নিচ্ছেন লোকসঙ্গীতের। পঙ্কজ মল্লিকের মত রবীন্দ্রসঙ্গীতের মহারথিরা তার বাসায় চলে যাচ্ছেন তাকে রবীন্দ্রসংগিতের তালিম দিতে।



আধুনিক গান, রবীন্দ্রসঙ্গীত, পল্লীগীতি- সঙ্গীতের সকল ক্ষেত্রে তার সমান পদচারনা, সমান জনপ্রিয়তা।







আধুনিক গান থেকে নজরুল সঙ্গীত





সেই সময় নজরুল সঙ্গীত বলে আলাদা কোন সঙ্গীতের শাখা ছিলো না, নজরুল সঙ্গীতকে সবাই অন্যান্য আধুনিক গানের সাথে আধুনিক গান বলেই ডাকত। ফিরোজা বেগম তার ক্যারিয়ারের স্বর্নযুগে, এক আত্মঘাতী (??) সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি কেবল নজরুল সঙ্গীতই গাইবেন। গ্রামোফোন কোম্পানীকে এই প্রস্তাব জানাতে তারা,



তাকে ফিরিয়ে দেয়। নাহ! গ্রামোফোন কোম্পানী তাদের সবচেয়ে লাভজনক শিল্পীকে হারাতে দিবে না। এতদিন ফিরোজা বেগম যা করছিলেন, তাই যেন করেন। মাঝে মাঝে নজরুল গীতি গাইলেই হবে। স্থায়ীভাবে নজরুল সঙ্গীত গাওয়া, আর নিজের ক্যারিয়ারের বারোটা বাজানো একই কথা।



কিন্তু তিনি তার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।



অবশেষে গ্রামোফোন কোম্পানী ১৯৪৯ সালে “আমি গগন গহনে সন্ধ্যাতারা”-গানটি রেকর্ড করে। ১৯৬০ সালের দুর্গাপূজার পরে তিনি রেকর্ড করলেন সর্বকালের জনপ্রিয় দুটি গান “দূর দ্বীপরাসিনী” আর “মোমের পুতুল”। ফিরোজার জনপ্রিয়তাকে আর কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি। পরবর্তি তিনমাসে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে তাঁর রেকর্ড।



“মোর ঘুম ঘোরে” আর “নিরজনে সখি” গান দুইটি দিয়েই নজরুলে প্রথম লংপ্লে বের হয়।গান দুইটি গেয়েছিলেন এই গুনী শিল্পী। পাকিস্তানেও নজরুলে প্রথম লং প্লে তার মাধ্যমেই বের হয়। সেখানের বিখ্যাত গান-“ওরে শুভ্রবাসনা রজনীগন্ধা”।১৯৬৮ সালে তার গাওয়া “শাওন রাতে যদি”র রেকর্ড এক সপ্তাহের মধ্যে দু'লাখ কপি বিক্রি হয়ে যায়।



এজন্য জাপানের সনি কর্পোরেশনের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান সিবিএস তাকে গোল্ড ডিক্স দিয়ে সম্মানিত করে।



তার গানের এই জনপ্রিয়তা থেকেই নজরুলের গান নজরুল সংগীত নামেই পরিচিত হয়।





ঢাকা রেডিও ও ইসলামাবাদ রেডিওর উদ্ভোধন হয়, তার গাওয়া গানের মধ্য দিয়েই।





পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ





১৯৫৪ থেকে ১৯৬৭ টানা ১৩ বছর ছিলেন কলকাতায়। ৬৭ সালে দেশে ফিরলে তদান্তীন পাকিস্তান সরকার তাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দেশ ছাড়তে নির্দেশ দেয়। তাকে “ব্ল্যাক লিস্টেড”ও করা হয়। তার বাবা ও ভাইদের ব্যাপক প্রচেষ্টার কারনে তিনি পুর্ব-পাকিস্তানে (তৎকালীন) থাকার অনুমতি পান।



১৯৭৪ সালের ২০ জুলাই পিজি হাসপতালে মৃত্যু হয় কমল দাশগুপ্তের।



১৯৬৮-৬৯ ইসলামাবাদ রেডিওর উদ্বোধন। গান গাইতে হবে ফিরোজা বেগমকে। তাঁকে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু ফিরোজার এক কথা,

“আগে আমি বাংলা গাইব তারপর উর্দু। নইলে যাব না”।





এখানে তিনি গান,

+“ও ভাই খাটি সোনার চেয়ে খাটি আমার দেশের মাটি”



+“জয়, জয়, জয় বাংলার জয়”



+“জন্ম আমার ধন্য হল মাগো”




মুক্তিযুদ্ধ চলাকারে একাধিকবার তার বাড়ি তল্লাশি করেছে পাকবাহিনী, ১৪ ডিসেম্বর অল্পের জন্য রক্ষাপান।





নজরুল ইন্সটিটিউট



নজরুলের মৃত্যু হয় পিজি হাসপাতালে ২৯ শে অগাস্ট ১৯৭৬ সালে। একপ্রকার আত্মীয়-পরিজনহীন হিসেবে। প্রেসিডেন্ট জিয়া চিন্তা করে দেখলেন, এই দেশে ফিরোজা বেগম ছাড়া নজরুলকে ভালো জানে, এমন কেউ নার নেই। তিনি মৃত্যু নজরুলকে পিজি হাসপাতালে দেখতে গিয়ে, ফিরোজা বেগমকে ডাকান, এবং নজরুলকে কোথায় দাফন করা হবে, এই নিয়ে পরামর্শ চান। ফিরোজা বেগম বলেন, মসজিদের পাশে নজরুলকে দাফন করা হক-এমনই ইচ্ছা ছিলো কবির। জিয়াউর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিয় মসজিদের পাশে তাকে সমাহিত করার ব্যবস্থা করেন।



শুধু তাই নয়, নজরুলের স্মৃতি রক্ষার জন্য কী করণীয় এটা নিয়েও শহীদ জিয়া তার সাথে পরামর্শ করেছিলেন। তার ভাষায়,



“প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একদিন ডেকে পাঠিয়ে নজরুলকে নিয়ে আমার ইচ্ছের কথা জানতে চেয়েছিলেন। আমি নিজের স্বাচ্ছন্দ্য নয়, নজরুলের গানের জন্যই কিছু একটা করার ইচ্ছে প্রকাশ করি। তিনি বিস্তারিত ব্যাখ্যাও শোনেন। সেটা কোথায় হবে, কেমনভাবে হবে তাও আমার কাছ থেকে জানেন। আমি চেয়েছিলাম ইনস্টিটিউট হোক পাস্থপথের মুখে। আমি আমার ভাইদের সঙ্গে আলাপ করে তাঁকে প্রকল্পের প্রস্তাবও দিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁর অকাল প্রয়াণের জন্য তা কখনোই বাস্তবে রূপায়িত হয়নি। নজরুলের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা আর আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ। তিনি আমাকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন”।





পুরস্কার ও সম্মাননা





স্বাধীনতা পুরস্কার, শিল্পকলা একাডেমী পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ টিভি শিল্পী পুরস্কার (পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে), নাসিরউদ্দিন স্বর্ণপদক, স্যার সলিমুল্লাহ স্বর্ণপদক, দীননাথ সেন স্বর্ণপদক, সত্যজিৎ রায় স্বর্ণপদক, বাচসাস পুরস্কার, সিকোয়েন্স পুরস্কার।



১২ই এপ্রিল, ২০১২ বাংলাদেশের বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী ফিরোজা বেগম পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছ থেকে "বঙ্গ সম্মান" পুরস্কারটি গ্রহণ করেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রদত্ত এই পুরস্কার আরো পেয়েছেন ভারতের বিশিষ্ট শিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী, স্বগতালক্ষ্ণী দাশগুপ্ত ও নচিকেতা। নেতাজী ইনডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রত্যেককে একটি ক্রেস্ট ও এক লাখ রুপি পুরস্কার হিসাবে প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শ্রীকান্ত আচার্য, পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী, স্বগতালক্ষ্ণী দাশগুপ্ত ও নচিকেতা।









এই মহান শিল্পীরে মৃত্যুতে জানাই গভীর শোক ও শ্রদ্ধা। আল্লাহ তার আত্মার নাজাত দান করুন।











কৃতজ্ঞতাঃ



http://goo.gl/Vu0707

http://goo.gl/b1H7VK

http://goo.gl/UNJrPF

http://goo.gl/puZKbt

http://goo.gl/BdCSvz

http://goo.gl/QYlzVg

http://goo.gl/DNLa8b





ফিরোজা বেগম ও তার পরিবার সম্পর্কে আরও জানতে কবি ও কাব্য ভাইয়ের এই পোস্টটি দেখতে পারেন।



ফেইসবুক নোটের লিঙ্ক

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: মহীয়সী এই শিল্পীকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই ।

ভালো থাকবেন ভ্রাতা ।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১২

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:

উনার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

ধন্যবাদ ভাই।

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮

যাযাবর বেদুঈন বলেছেন: জানিনা কেন যেন আপনার এই পোস্টটা দেখে মনঃটা খুব খারাপই হল.....

অনেক তথ্যবহুল একটা পোস্ট। অনেক শ্রম দিয়েছেন এই পোস্টের পেছনে সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

নজরুল সংগীত শুনলেই যার কথা সবার আগে মনে পড়ে তিনি হলেন এই মহান শিল্পী ফিরোজা বেগম।

আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে জানাই মনের ভেতর থেকে বেদনা বিধুর শ্রদ্ধাঞ্জলী।

পোস্টটা আমার প্রিয়তে নিয়ে নিলাম।
অনেক ভাল থাকুন আপনি।


১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩২

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
নজরুল সঙ্গীত মানেই ফিরোজা বেগম।

মন খারাপ করে আর কি হবে, উনি উনার কর্ম দিয়ে আমাদের মাঝে চির অম্লান থাকবেন।

পোস্ট প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।

ভালো থাকবেন ভাই :)

৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪১

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
চমৎকার পোস্ট।
এই মহান শিল্পীর প্রয়ানে শোক, উনার জন্য শ্রদ্ধা।
উনি বেঁচে থাকবেন অনেকদিন আমাদের মাঝে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৪

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই

৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৫

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: দুর্দান্ত পোস্ট।

মহীয়সী এই শিল্পীকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই ।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪১

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
উনি উনার কর্মে মাধ্যমে আমাদের মাঝে বেচে থাকবেন যুগ-যুগান্ত :)

ধন্যবাদ ভাই।

৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭

শ।মসীর বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।তথ্যবহুল একটা পোস্ট।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪২

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাইজান :)

৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দারুণ একজন শিল্পীকে নিয়ে দারুণ একটা লেখা। অনেক ভাল লাগল। প্রিয়তে নিয়ে নিলাম।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৫

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
ধন্যবাদ জানবেন প্রোফেসর সাব

৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৯

টুম্পা মনি বলেছেন: আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
চমৎকার পোস্ট।
এই মহান শিল্পীর প্রয়ানে শোক, উনার জন্য শ্রদ্ধা।
উনি বেঁচে থাকবেন অনেকদিন আমাদের মাঝে।

একমত।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৮

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
ধন্যবাদ টুম্পা মনি। ভালো থাকবেন :)

৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪০

জাফরুল মবীন বলেছেন: শ্রমসাধ্য তথ্যবহুল সময়োপযোগী এই মহান শিল্পীর বায়োগ্রাফি উপস্থাপনের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৩

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
ধন্যবাদ ও শুভ কামনা জানবেন ভাই।

৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১০

ডি মুন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা আপনাকে ঘুণপোকা ভাই।

পোস্ট প্রিয়তে নিলাম। ++++

ফিরোজা বেগম ভালো থাকুন না ফেরার দেশে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৪

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:


কৃতজ্ঞতা রইলো মুন ভাই

১০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সাধারন পোস্ট , ফিরোজা বেঘম আসলেই নজরুল সঙ্গীত সুর সম্রাজ্ঞী । তার চলে যাওয়া নজরুল সঙ্গীত জগতে এক তারকার পতন । তার বিদেহি আত্মার মাগফেরাত কামনা করি ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৭

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:

ধন্যবাদ পরিবেশ বন্ধু

১১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অসাধারণ একটা পোস্ট লিখেছেন ভাই ।
+++++++++
ভাল থাকবেন ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৪

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
ধন্যবাদ ভ্রাতা :)

১২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৪

মামুন রশিদ বলেছেন: নজরুল সঙ্গীত বলতে আমি বুঝি ফিরোজা বেগমকে । প্রিয় শিল্পীর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ।


চমৎকার পোস্টে ভালোলাগা ।

১৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩০

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: আজও কিছুক্ষন আগে টিভিতে ওনার গাওয়া বেশ কিছু গান শুনলাম। টিভি দেখে এসেই আপনার পোষ্টটি পড়লাম। বেশ তথ্যবহুল একটি পোষ্ট লিখেছেন শ্রদ্ধেয় শিল্পীকে নিয়ে। আল্লাহ ওনার আত্মার শান্তি দিক।
আপনার পোষ্টটি পড়ে অনেক কিছু জানলাম।
প্রিয়তে নিলাম।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:

ধন্যবাদ আপ্পি

১৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৩

কলমের কালি শেষ বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল একটা পোষ্ট । কোন ব্যক্তি যদি উনার সম্পর্কে কছু নাও জেনে থাকেন এই পোষ্ট পড়েই উনি বিমোহিত হবেন এবং জানবেন বহুদূর ।

লেখককে ধন্যবাদ এমন পরিশ্রমী এবং সম্পদশালী পোষ্ট শেয়ার করার জন্য । :)

১৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১০

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আমার মা ফিরোজা বেগমের ভক্ত ছিলেন। যখন স্কুলেও ভর্তি হইনাই, তখন মায়ের মুখেই শুনেছি তাঁর নাম। গান শুনে বুঝতে পারতাম কে গাইছেন।

এ মহিয়ষী শিল্পীর জন্যে রইলো অনেক ভালোবাসা আর শুভ কামনা।

১৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৪

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন:
উনার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি !
দুর্দান্ত পোস্ট।

১৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট

বিশেষ করে ফিরোজা বেগম নামটি মনে পড়লেই মনে পড়ে যায়,

নিজে নজরুলের কাছে গান শিখেছেন, তাকে গান শুনিয়েছেন। নজরুল তার গানের মুগ্ধশ্রোতা ছিলেন, এমনকি যখন কবি ভীষণ অসুস্থ, বোধশক্তিহীন, তখনও তার কন্ঠে নিজের লেখা গান শুনলে কবির মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠত।


এই ব্যাপারটি আমাকে বেশ অবাক করে। মনে হয় কবি নজরুলের গানের জন্মই হয়েছিলো ফিরোজা বেগমের কন্ঠে গাওয়ার জন্য।


আপনার অসাধারণ পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

১৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩০

আবু শাকিল বলেছেন: তথ্য বহুল পোষ্ট ।ফিরোজা বেগম সম্পর্কে অনেক জানা অজানা আবার জানলাম।
আম্মা জানকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই ।

একটি ভিন্ন প্রসজ্ঞ ঃ-
আমাদের দেশের বিখ্যাত লোকরা নানা কারনে প্রাপ্য সম্মান পায় না।এক প্রকার অবহেলিত।আমার মত অনেকেই নজরুল সংগীত মানেই ফিরোজা বেগম কে জানি।তিনি অবহেলিত ছিলেন কিনা,জানার আগ্রহ থাকল ।

১৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:০৭

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট।

একটি পোস্টে খুব চমৎকারভাবে তুলে এনেছেন মহান এই শিল্পীর জীবন।

নজরুল সঙ্গীত সম্রাজ্ঞী ফিরোজা বেগম এর জন্য রইল বিনম্র শ্রদ্ধা। ভালো থাকুন না ফেরার দেশে।


পোস্টে ভালো লাগা রইল এবং প্রিয়তে।

২০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮

সোহানী বলেছেন: প্রথমেই প্রিয় শিল্পীকে নিয়ে লিখার জন্য ধন্যবাদ জানাই। তারপরও বলি মৃত্যুর কারনেই আজ সবার এ স্মরন সভা বা দু:খ গাঁথা।

প্রশ্ন: জীবিত ফিরোজাকে আমরা কতবার স্মরন করেছি?
প্রশ্ন: জীবিত ফিরোজাকে আমরা কিভাবে সন্মান করেছি রাস্ট্রীয় ভাবে?
প্রশ্ন: জীবিত ফিরোজাকে আমরা কতটুকু মূল্যায়ন করেছি বা তাঁর প্রাপ্য সন্মান কতটুকু দিয়েছি?

না কিছুই দিইনি তাঁকে কারন কিছু দিলেতো আমাদের কমে যাবে, রাস্ট্র দেওলিয়া হয়ে যাবে....... তাই নয় কি?

ধিক্ আমাদের, উপযুক্ত সন্মান করতে পারি না গুনীজনদের। শুধু রাজনৈতিক পরিচয় খুজিঁ ফিরি.....

২১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার পোস্ট । এটি স্টিকি হওয়ার মত পোস্ট ছিল ।

২২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: নাইস একটা পোস্ট!

এই পোস্ট স্টিকি করা যেত!

২৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫২

শিপন মোল্লা বলেছেন: ফেসবুকে নোট আকারে দিয়েছিলেন সেখানে পড়েছি । পড়ে ফিরোজা বেগমের ব্যাপারে অনেক অজানা তথ্যই আমি জেনেছি । আমি জানি না কাভা ভাইর পোস্ট কি কিরকম তথ্যনির্ভর পোস্ট সেই যাহোক পাশাপাশি এই পোস্টটা অটার সাথে জুলিয়ে দেওয়া জেতো, সেই দাবি রাখে আপনার এই পোস্টটি ।

এককথায় চমৎকার পোস্ট ।

২৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৮

উপপাদ্য বলেছেন: অসাধারন।

একজন নজরুল সংগীত শিল্পীর বাইরে তার সম্পর্কে আমি তেমন কিছুই জানতাম না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.