নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানা ও জানানোর জন্যই বেচে থাকা। জীবন তো শুধুই কিছু মুহূর্তের সমষ্টি।

জিএমফাহিম

জানা ও জানানোর জন্যই বেচে থাকা। জীবন তো শুধুই কিছু মুহূর্তের সমষ্টি।

জিএমফাহিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিলোসফি অফ লাভ (যুক্তিনির্ভর)

১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৩১


আমার কাছে কোন উত্তর নেই। আছে শুধু প্রশ্ন, সন্দেহ আর ধারনার সম্ভার। আসলে আমরা কি ভালবাসি ?
অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমি দেখি ছেলেরা মেয়েদের সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়। তাহলে কি আমরা ভালবাসি গায়ের চামড়া বা মুখের মাংসের গঠন ? যদি সেটা হয়ে থাকে তাহলে তাহলে সেই ভিক্তির স্থায়িত্ব কতটুক? বা কতটুকই বা সেই মানুষটা আসলেই যাকে ভালবাসে তার ভাল চায়?

হতে পারে আমরা ভালবাসি মানুষের বডি ল্যাংগুয়েজ, তাদের হাসি, কণ্ঠ, তাকানোর বা কথাবলার ভঙ্গি। এর কোনটার পরিবর্তন হলে কি ভালবাসাও চলে যাবে? কমে যাবে? পরিবর্তন হবে ? স্বার্থপরতা কি এখানেও বর্তায় না ?

খুবই প্রজ্ঞাময় মানুষদের দেখেছি তারা ভালবাসার মানুষ খুঁজে তাদের ব্যাক্তিত্ত্ব, জীবনবোধ, মানসিকতা, সামাজিকতাকে বুঝে। যাতে জীবনে চলতে গেলে তারা কোন সমস্যায় পড়লে সঙ্গ হিসেবে তুলনামূলক সবচেয়ে ফলপ্রসূ সমাধানই তাঁরা পেতে পারে। তবে সামনে প্রগতিশীল- ভিতরে রক্ষণশীল চিন্তায় মানুষ তাদের ভালবাসার মানুষের গুণাবলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে। ফলে চিন্তায় আসলে আদৌ কি তাঁরা এই গুনের জন্য তাদের আপন করে নিয়েছে ? নাকি নিজের শান্তি নিশ্চিত করার বিচক্ষণ পর্যায়ের স্বার্থপরতা ছিল সেটা ?
দৈহিক, আচরণগত বা মানসিক যে বৈশিষ্ট্যই হোক; কোনটাই সারাজীবন অনড় থাকে না। আজকের আমি, ৫ বছর আগের আমি থেকে অনেক ভিন্ন; দৈহিকভাবে সামান্য, আচরণগতভাবে কিছু, মানসিকভাবে অনেক। তার কোন একটা ভালবাসার মানদণ্ড ধরা কতটা গ্রহণযোগ্য ?

সব কিছু চিন্তা করলে গতানুগতিক ভালবাসাকে স্বার্থপরতা ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না। মানুষ নিজের মানসিক ও শারীরিক প্রশান্তির জন্যই ভালবাসার নামে একটা চুক্তি করতে চায়। সাধারণ মানুষ সাময়িক চিন্তা করে, জ্ঞানি লোক দীর্ঘমেয়াদি। তবে মৌলিকভাবে ইরাদা প্রায় একই।

এটা যে শুধু রোমান্টিক ভালবাসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তাও না। আমরা জন্ম থেকেই স্বার্থপর। জন্মের পর আমাদের জ্ঞান ছিল না কে আমাকে জন্ম দিয়েছে। তখন শুধু চেতনা ছিল ক্ষুধার। আর যে আমাদের খাবার দেয় সেই আমার আপনজন। অধিকাংশক্ষেত্রে, মা সেই সময় খাবারের মৌলিক উৎস। সে আপন, তার কাছে থাকা লাগবে। তার কাছে থাকলে " আমি" নিরাপদ। প্রাকৃতিকভাবে আমরা জন্ম থেকেই স্বার্থপর।

অনেকে বলে মায়ের সন্তানদের প্রতি যে অনুভূতি সেটার চেয়ে খাটি আর কিছু হতে পারে না। এই একমাত্র মানুষ যে জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও সন্তানকে নিরাপদ রাখতে চায় ।রোমান্টিক সম্পর্কের মধ্যেও ভালবাসার মানুষ "সুখে থাক যেখানে থাক" এমন কথার চলন আছে, কিন্তু সেটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরাজিত পক্ষের ট্যাগ লাইন হিসেবেই থাকে।আর যারা পরাজয় ছাড়া তাদের ভালবাসার মানুষের প্রতি এই অনুভূতি রাখে যে, তার সুখ আমার সুখের ঊর্ধ্বে, আমার কষ্টের ঊর্ধ্বে; তার ভালবাসাই খাটি। তবে এই ধরনের মানুষ কয়টা পাওয়া যায় ?

ভালবাসার সবচেয়ে খাটি নজির জন্ম থেকে দেখে আসলেও নিজেদের Comfort Zone থেকে বের হয়ে জীবনের আরও মূল্যবান সম্পর্কগুলোতে সেই পরিজ্ঞানকে কতটা কাজে লাগাতে পারছি?

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৪

কানিজ রিনা বলেছেন: এখানে লিখতে চাইনা, মন চাইলও লিখিনা
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, আমার কথা গুলি
আপনি লিখে দিয়েছেন। এভাবে লিখলে অনেক
খুশি লাগে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.