নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানা ও জানানোর জন্যই বেচে থাকা। জীবন তো শুধুই কিছু মুহূর্তের সমষ্টি।

জিএমফাহিম

জানা ও জানানোর জন্যই বেচে থাকা। জীবন তো শুধুই কিছু মুহূর্তের সমষ্টি।

জিএমফাহিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালবাসা বনাম পুঁজিবাদী সাহিত্য-চলচ্চিত্র (লুতুপুতু পোস্ট নহে)

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০৪

ভালবাসায় যথেষ্ট মার্কেট ভেল্যু আছে। বইমেলা গেলে লেখা যায় পেশাদার লেখকদের পাঠক আকর্ষণ করার মুলবস্তুই হচ্ছে প্রেম। প্রেম নিয়ে গল্প, কবিতা, উপন্যাস। চলচ্চিত্র, নাটক, সিনেমা; কাহিনী সাইন্সফিকশন হউক বা ঐতিহাসিক প্রেমরস না আনলে টিকেট চলে না স্পনসরশিপ আসে না। এমনও না যে কোন বাস্তবসম্মত সমাধান শিক্ষা দিচ্ছে প্রেম।

বিবর্তন পড়তে গিয়ে একটা জিনিস জেনেছিলাম vestigial, আমাদের শরীরের এমন অর্গান যেটা আমাদের পূর্বপুরুষদের ক্ষেত্রে সক্রিয় ছিল কিন্তু পরে সেটা কাজে না আসায় ন্যাচারাল সিলেকশনে সেসব অঙ্গের বিকাশ প্রসার পায়নি। আমাদের এপেনডিক্স, দুধদাঁত, চোখের ভিতরের পর্দা, ঢেকুর আসা এইসব সেই পর্যায়ে পড়ে। ভালবাসা যে হরমোনের প্রক্রিয়ার কারণে হয়ে থাকে হয়তো টিকে থাকার লড়াইয়ে একসময় কাজের ছিল। কিন্তু পুজিবাঁদি ব্যবস্থায় এখন ভালবাসা রীতিমত অভিশাপ।

ভালবাসাকে কোন অর্থে ছোট করছি না। শুধু যে যে মাপকাঠিতে অধিকাংশ মানুষ ভালবাসাকে বিচার করে , প্রেষণা পায় সেই মাপকাঠিগুলোই যত সমস্যা। ৮০ এর দশক থেকে উপমহাদেশের চলচ্চিত্র প্রতিশোধপ্রবণ ও স্পর্ধাশীল ভালবাসাকে প্রাধান্য দিতে শুরু করে। মধ্য ও নিম্নবিত্তের মানুষ ( যাদের আর্থিক ক্ষমতা স্বল্প কিন্তু পেশির ক্ষমতায় পেট চালায়); তারা, এক সুদর্শন বেয়াদব পুরুষ যে একাই ১০০ জনকে মেরে নায়িকাকে উদ্ধার করতে পারে তার মধ্যে একটা আদর্শ পুরুষ দেখতে শুরু করে আর ভবিষ্যৎ-পরিস্থিতি তোয়াক্কা না করা প্রেমিক পূজারি এক মেয়েকে আদর্শ নারী। ভালবাসার মিথ্যা প্রতিকৃতি দেখিয়ে মানুষের জৈবিক কুআসক্তিকে উদ্দীপনা দিয়ে ফ্লিম ইন্ডাস্ট্রিগুলো নিজেদের "ভাল বাসা"ই সার্থক করবে সেটা তো ক্যাপিটালিস্ট সমাজের চিরচেনা ধর্ম।

সাহিত্য ও বিনোদনশিল্প অনেক শক্তিশালি, তাই এখানে ভালবাসার জন্য আত্মহত্যা করা, হাত কেটে ফেলা, অভিমানে নেটওয়ার্কের বাইরে চলে যাওয়া, ঔদ্ধত্য-অভিমানে স্বপ্ন বিসর্জন দেয়ার নজির অনেক। সুস্থ ধারার বিনোদনশিল্প ও সাহিত্যকর্ম যেটা প্রেমযুগলের মাঝে বাস্তবসম্মত, শালীন, কাছের মানুষের আবেগ মান সম্মানে আঘাত না দেয়া নৈতিক ভালবাসার প্রেষণা দিবে সেটা খুব কমই আছে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪১

শোভনের শোভন বলেছেন: সমস্যার উল্লেখ্যের পর তার থেকে উত্তরনের পথ বাতলে দেওার চেষ্টা হচ্ছে প্রবন্ধের একটা গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
লেখাটি ভালো ছিলো। তবে সমাজ কোন পথে গেলে সামাজিক পরিস্থিতি আরো বেশি সুন্দর হবে বলে আপনি মনে করেন, সেটা লেখার মাঝে যুক্ত করলে হয়ত লেখা টি আরো অনেক ভালো হতে পারত।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.