নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানা ও জানানোর জন্যই বেচে থাকা। জীবন তো শুধুই কিছু মুহূর্তের সমষ্টি।

জিএমফাহিম

জানা ও জানানোর জন্যই বেচে থাকা। জীবন তো শুধুই কিছু মুহূর্তের সমষ্টি।

জিএমফাহিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফলিত জ্ঞান, তাত্ত্বিক জ্ঞান আর ব্যাক্তিবিশ্বাস

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:২৪

ফলিত জ্ঞান আর তাত্ত্বিক জ্ঞানের একটা ভাল পার্থক্য হচ্ছে এদের মৌলিক উদ্দেশ্য। "ফলিত" অংশের সিলেবাস বিস্তর হলেও এটার মুল উদ্দেশ্য রহস্য উদ্ঘাটন না বরং প্রচলিত জ্ঞানকেই প্রয়োগ করা। তাই যদি কেউ সিলেবাসের বাইরে পা না রাখে তার ব্যাক্তিগত ধারনা পরিবর্তন হওয়া কঠিন। তাছাড়া বাস্তবতা হচ্ছে প্রায়োগিক সিলেবাস এতই বড় যে সেই স্বদিচ্ছা খুব কম মানুষেরই হয়। অন্যদিকে তাত্ত্বিক জ্ঞান কাজ করে উৎস অনুসন্ধানের। তাই প্রতিনিয়ত তাদের ব্যাক্তিধারনাতে আঘাত আসে, সংশোধন-বিবর্তন হয়।

ব্রেইন, চোখ বাদই দিলাম সামান্য থাইরয়েড গ্লান্ড নিয়েও যদি কথা বলি। কি প্রয়োগ করলে হরমনের ভারসাম্য থাকবে, মেটাবোলিজমে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বা কমিয়ে আনা যাবে; এগুলো অত্যন্ত জটিল ব্যাপার। মেডিকেল বিশেষজ্ঞ যারা এগুলো মনে রাখতে পারে তাদের স্যালুট জানাই। এই জ্ঞান জীবন বাঁচাতে পারে, বাঁচিয়ে এসেছেও। কিন্তু কারিকুলামে থাকে না কীভাবে কোটি কোটি বছরের প্রাকৃতিক নির্বাচনের ফলে থাইরয়েড এর মত এত জটিল জিনিস এসেছে। থাকে শুধু কি প্রয়োগ করলে বিপদ কমানো যায়। ব্যাপারটা স্বাভাবিক, ঠিক যেমন ক্রিকেট বলের উৎপত্তি ইতিহাস জানা ক্রিকেটারের পারফর্মেন্স এর সাথে সম্পৃক্ত না।

তাই দিনশেষে একপক্ষ (অধিকাংশক্ষেত্রে) কমপ্লেক্সিটি ছাড়া আর কিছুই পায় না। এর মানে এই না তারা উত্তর খুঁজে না, কিন্তু কমপ্লেক্সিটির পাহাড়ে পিষে গেলে সিম্পল উত্তর খুঁজার প্রবণতাটাই বেশি দেখা যায়। কিন্তু সবকিছুর উত্তর সিম্পল হয় না।

ডাক্তারি, ইঞ্জেনিয়ারিং এর পড়াশুনা প্রচুর চ্যালেঞ্জিং; আর দেশের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের এখানে যাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। কিন্তু তাদের ডেমোগ্রাফ্রি-সাইকোগ্রাফির বাইরের চিত্র দেখে কোন উপসংহারে যাওয়া ছেলেমানুষী। সমতল পৃথিবীতে বিশ্বাসী কোন ভাল ডাক্তারের কাছে যেতে আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু এক প্রজাতির মানুষ তাদের রীতিমত হানিব্যাল ল্যাক্টার বানায় ফালায়, আরেক প্রজাতির মানুষ সেটাকে জেনারেলাইজ দৃষ্টিভঙ্গি বানিয়ে অট্টহাসি করে ফায়দা লুটে।

প্রজনিত সংস্কৃতি ও পপুলার ধারনাকে উপেক্ষা করে কবর খুঁড়ে মরদা উঠিয়ে কলকব্জা বের করে দেহব্যবচ্ছেদ না দেখলে মেডিকেল সাইয়েন্স এখনো কালিজিরা, উট/গৌমূত্র আর পারদ থেরাপিতেই পড়ে থাকত। তাই যারা সংস্কার উপেক্ষা করে জীবনরক্ষার এই ফলিত শিক্ষার কাঠামো তৈরি করেছিল আর করে যাচ্ছে তাদের স্যালুট জানাই। সাথে সাথে যারা ব্যাক্তিধারনা ও কুসংস্কারকে পেশাগত দায়িত্বে প্রয়োগ না করে অসংখ্য জীবন যারা বাঁচিয়ে যাচ্ছে তাদেরও স্যেলুট জানাই।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো জ্ঞান মানূষের মঙ্গল করে।
মন্দ জ্ঞান মানুষের ক্ষতি করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.