নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানা ও জানানোর জন্যই বেচে থাকা। জীবন তো শুধুই কিছু মুহূর্তের সমষ্টি।

জিএমফাহিম

জানা ও জানানোর জন্যই বেচে থাকা। জীবন তো শুধুই কিছু মুহূর্তের সমষ্টি।

জিএমফাহিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতের দৌড় চাঁদে, বাংলাদেশের স্পারসোর দৌড় কোথায়?

২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:০৬



আজ বুধবার ভারতের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চন্দ্রযান-৩–এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে। চাঁদে মহাকাশযান অবতরণকারী দেশের তালিকায় চতুর্থ দেশ হিসেবে যুক্ত হলো ভারত।

সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে চোখে ISRO এর দীর্ঘদিনের নিরন্তন চেষ্টার বাইরে চোখে পড়লো SPARRSO এর নাম। যেটা কিনা বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান। যার বর্তমান চেয়ারম্যানের পড়াশুনা কৃষিবিজ্ঞান ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিসের উপর। একটা মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে যারা আছে কমপক্ষে STEM থেকে আসবে এটা আমরা আশা করতেই পারি। যাই হোক , গভমেন্ট পোর্টাল থেকে তাদের বিগত বছরগুলোর গবেষণার রিপোর্টগুলো দেখলাম। অধিকাংশ কাজই আসলে বাংলাদেশের আবহাওয়া, কৃষি ও ভূপ্রকৃতির তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ; মোটকথা GIS Monitoring এর উপর সীমাবদ্ধ।

NASA ও এই কাজটা করে। তাদের GIS Data যে কেউ তাদের ওয়েবসাইট থেকে একসেস করতে পারে। SPARRSO এর মত প্রতিষ্ঠান আসলে বাংলাদেশেও দরকার যারা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আরও Specific Context এ এই রিসার্চ করবে। এমনকি তাদের Fellowship প্রোগ্রামও আছে Disaster Science, Space Technology & Policy ইত্যাদির উপর। কিন্তু যদি SPARRSO এর স্কোপ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এখানেই সীমাবদ্ধ থাকে তাহলে এটা যথেষ্ট দুঃখজনক। কমপক্ষে Space Observatory তৈরি করার পরিকল্পনা থাকা উচিত ছিল যেটার নামগন্ধ কোথাও পেলাম না। পুরো বাংলাদেশে শুধুমাত্র একটা Astro Observatory আছে; তাও একজন বিজ্ঞানমনস্ক ব্যবসায়ী শাহজাহান মৃথা তার নিজস্ব ব্যয় ও জমিতে এটা করেছে।

ভারত ও পাকিস্তানের স্পেস রিসার্চ আমাদের উপমহাদেশে সবচেয়ে বেশি। কারণটাও খুবই স্বাভাবিক; তাদের মধ্যকার রাজনৈতিক শীতলতা। বাংলাদেশ সবসময়ই এইসব থেকে দূরে তাই স্পেস রিসার্চ এর প্রণোদনা বা বাজেট থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এ দেশের একজন নাগরিক হিসেবে এইটুকু আশা করা যায় যে যদি কোন প্রতিষ্ঠান থাকেই সেটা তার স্বল্প ক্ষমতার মধ্যে কিছুটা হলেও নিজের দেশে মহাকাশ গবেষণা করার ও অনুপ্রেরণা পাওয়ার একটা সুযোগ দিক।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৩৫

কলাবাগান১ বলেছেন: বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট আছে.....ভারত শুধুই নিজের ক্যাপাবিলিটি দিয়ে চাদে/মংগল (অরবিট) এ যেতে পারত না, বড় হেল্প এসেছে নাসা থেকে যারা তাদের নিজস্ব কমিউনিকেশন অন্য দেশকে ইউজ করতে দেয়। বাংলাদেশও আস্তে চেস্টা করা আরম্ভ করতে পারে ....জাস্ট স্পেস এ ট্রাভেল করার মত যোগ্যতা হলেই পরে চাদ বা অন্য গ্রহে যাওয়ার চেস্টা আরম্ভ করা যেতে পারে। UAE did just that.
While Russian lander got destroyed during landing on moon, India got successful!!! Amazing feat. তবে কিছু বাংলাদেশী স্বভাবগত ভাবেই বিশ্বাস করে কন্সপিরিউসি থিয়োরীতে...তারা আমেরিকার চন্দ্রবিজয়কেই বিশ্বাস করে না যেটা হয়েছিল ১৯৬৯ সনে।

২৪ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:০৬

জিএমফাহিম বলেছেন: বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট আছে কিন্তু সেটা উক্ষেপণ করা হয়েছে ফ্লোরিডা থেকে। সেটার অপারেশনের কাজে যদিও বিএসসিএল করে; কিন্তু সেটার পুরো অবকাঠামো ও গাইডলাইন দেয় থালেস এলেনিয়া স্পেস। মোটাদাগে আমরা শুধু ডেটা এনালাইসিস করছি আর কিছুই না।

৮০টা দেশের স্পেস এজেন্সি আছে তার মধ্যে স্পারসো প্রতিষ্ঠানের সময়ের দিক থেকে ১৭তম। স্পেন ২০২৩ সালে নিজেদের স্পেস এজেন্সি তৈরি করে ইতিমধ্যে নভোচারি পাঠিয়েছে, নিজেরা স্যাটেলাইন বানায় ও সরাসরি অপারেট করে। আমাদের স্পেস এজেন্সির বয়স ৪৩ বছর। আমরা Earth Science নিয়েই যা করার করেছি; Space এর দিকে তাকাই নাই।

২| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৪৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট, বিষয়টা যথাযথ কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখতে পারে।
ভবিষ্যতে বাংলাদেশ চন্দ্র বিজয় করতে পারবে কি না জানিনা, তবে একটা গুজব ঠিকই রটাবে আগামী ১০ বছর পরে।

গুজবটা হচ্ছে- ভারতের চন্দ্র অভিযান ভূয়া। পুরোটাই বলিউডে স্যুটিং করে বানানো হইসে, পতাকা বাতাসে পতপত করে উড়লো কেন? সূর্য দেখা যাচ্ছে একদিকে অথচ ছায়া পড়েছে অন্যদিকে..ইত্যাদি =p~

২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৫৪

জিএমফাহিম বলেছেন: এখনই ফেসবুকে সার্চ দিয়ে দেখবেন কত মানুষ বলছে।

৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:২৩

সুখী পৃথিবীর পথে বলেছেন: একমত।

৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অভিযান সফল হওয়ার জন্য ভারতকে অভিনন্দন।

তবে মহাকাশ অভিযানের মত দীর্ঘমেয়াদি গবেষনা ব্যায়বহুল অভিযান প্রতিটি দেশ ইন্ডিভিজুয়ালি করার কোন মানে হয় না।
যেমন একই জিনিষ বার বার আবিষ্কার করা সময় ও অর্থের বিশাল অপচয়।
ছোটবড় সব সভ্য দেশগুলো একত্রিত হয়ে একটি স্পেস একাডেমি/অর্গানাইজেশন গঠন করতে পারে যারা কেন্দ্রীয় ভাবে বা বিচ্ছিন্ন ভাবে আর্থিক ও গবেষনা রিসোর্স বিনিময় করবে, এবং বড় বড় অভিযান পরিচালনা করবে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:২১

জিএমফাহিম বলেছেন: একমত

৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৮:৫০

কলাবাগান১ বলেছেন: কয়েক মাস আগের এক পোস্টে আক্ষেপ করে বলেছিলাম বাংলাদেশ থেকে যখন কোন স্টুডেন্ট আমেরিকায় পড়তে আসে সবার আগে সে খুজে হালাল গ্রোসারী/রেস্টুরেন্ট, আর ভারতীয় স্টুডেন্ট খোজে লাইব্রেরী আর ভাল ল্যাব... এর ফলাফল হল এত বিজ্ঞানী/সিইও ফ্রম ইন্ডিয়া

৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৪৬

রানার ব্লগ বলেছেন: প্রশ্নঃ ভারতের দৌড় চাঁদে, বাংলাদেশের স্পারসোর দৌড় কোথায়?

উত্তরঃ ধান ক্ষেতে । কারন বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষনার প্রধান একজন কৃষি বিজ্ঞানী । তো তার যোগ্যতা ধান ক্ষ্যাত ।

৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১০

করুণাধারা বলেছেন: রানার ব্লগ বলেছেন: প্রশ্নঃ ভারতের দৌড় চাঁদে, বাংলাদেশের স্পারসোর দৌড় কোথায়?

উত্তরঃ ধান ক্ষেতে । কারন বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষনার প্রধান একজন কৃষি বিজ্ঞানী । তো তার যোগ্যতা ধান ক্ষ্যাত

=p~ =p~ =p~

অবশ্য স্পারসো নাকি আমের ফলন নিয়েও গবেষণা করে। =p~

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:২৩

জিএমফাহিম বলেছেন: বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা ভাল। তবে সেটা আলাদা ইন্সটিটিউট এর আধারে হওয়া উত্তম; "স্পেস" শব্দের একটা আলাদা ওয়েট আছে।

৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

জুন বলেছেন: ভারতের দৌড় চাঁদে, বাংলাদেশের স্পারসোর দৌড় কোথায়? ভালো তো। আমাদের তো চাদে যাওয়ার দরকার নাই, মিছিমিছি পয়সা নষ্ট। চাদের ব্যাপারে কোন তথ্যের দরকার হলে অন্য দেশ থেকেই নেয়া যাবে ।
আমাদের দরকার যেটা সেটাই করছে স্পারসো। অর্থাৎ খাদ্য উৎপাদন । দেশকে খাদ্যে স্বনির্ভর করা। যা অনেকটাই এগিয়েছে তার নমুনা হলো বাংলাদেশ থেকে জাতসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসুচীর বিশাল কার্যক্রম গোটানো । এখন যেটুকু আছে তা রোহিঙ্গাদের জন্য ।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:২৩

জিএমফাহিম বলেছেন: বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা ভাল। তবে সেটা আলাদা ইন্সটিটিউট এর আধারে হওয়া উত্তম; "স্পেস" শব্দের একটা আলাদা ওয়েট আছে।

৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:১৭

রানার ব্লগ বলেছেন: জুন বলেছেন: দেশকে খাদ্যে স্বনির্ভর করা। যা অনেকটাই এগিয়েছে তার নমুনা হলো বাংলাদেশ থেকে জাতসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসুচীর বিশাল কার্যক্রম গোটানো । এখন যেটুকু আছে তা রোহিঙ্গাদের জন্য ।

যেমনে ফুড রিভিউ হচ্ছে তাতে দেশে খাদ্যাভাব আছে কি নাই উহা বোঝার উপায় নাই । তবে গভীর রাত্রে যদি কোন হোটেলের সামনে যান দেখতে পাবেন খাদ্যাভাব কাহাকে বলে । অসংখ্য খুদার্ত মানুষের লম্বা লাইন । ফেলে দেয়া খাবার পাবার আশায় । অবশ্য আজকাল ইহাতেও কম্পিটিশান । শুনেছি ওই ফেলে দেয়া খাবার নাকি বিক্রি হয় পরের দিন ফুটপাতে ব্যবসার জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.