নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহরের একটা ফাঁকা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল কুকরা। কর্পদকহীন কুকরা। পরনে একটা লুংগি আর ছেঁড়া পান্জাবি। পকেটে কয়েকটা খুচরা টাকার ময়লা নোট। পায়ের রাবারের জুতাটা ক্ষয়ে গেছে অনেকদিন আগেই।
ভ্রু কুঁচকিয়ে সামনের অট্টালিকাগুলোর দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকল কুকরা। তারপর আবার সামনে এগুতে আরম্ভ করল।
রাস্তার মোড়ে দাড়ানো চকচকে পুলিশ সার্জেন্ট। ততোধিক চকচকে কালোচশমার ভিতর দিয়ে কুকরার এগিয়ে আসা দেখছিল সে কিছুক্ষন ধরে। একবার চিন্তা করল কুকরাকে ধরবে, উল্টা-পাল্টা কিছু জেরা করে পকেটে যা আছে হাতিয়ে নিবে। একটু ভেবে চিন্তাটা বাতিল করে দিল সার্জেন্ট।
কুকরার পরিবর্তে এক বুড়া রিকশাওয়ালাকে ধরল সার্জেন্ট। বুড়ার কান্নাকাটিতে কোন কাজ হল না। আধাবেলার পরিশ্রমের কয়েকটা টাকা সার্জনের পকেটে চলে গেল। সার্জেন্টের সাথের সিপাইদের চোখ চকচক করে উঠল না, কারণ টাকার পরিমান খুব বেশি না।
বুড়া রিকশা ওয়ালা এবং পুলিশদেরকে পিছনে ফেলে কুকরা সামনে এগিয়ে গেল।
দূরের কোন একটা অট্টালিকার মধ্যে তথাকথিত রাজকীয় মর্যাদায় বসে আছে পাপেট। পাপেটকে কেন্দ্র করে জুলুমবাজির এক রাজত্ব কায়েম হয়েগেছে অনেকদিন আগেই।
পাপেটের রাজধানীতে এই প্রথম আসল কুকরা। দূরের কোন এক প্রত্যন্ত গ্রামের শৈশব এবং কৈশোরের স্মৃতি তার মনকে যতক্ষন আলোকিত করে রাখবে, পাপেটের রাজধানীর লোভ-লালসা-অন্যায়-অত্যাচারের ক্লেদ তাকে স্পর্শ করতে পারবে না।
---###---
(পাপেটের জুলুমবাজির রাজত্বে কুকরার পরিভ্রমন কিরকম হবে তা নিয়ে পরের পর্বগুলি লেখার ইচ্ছা রাখি।)
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ওকে। ভালোই লাগলো পড়তে। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করলাম।