নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কুকরা

একজন সতর্ক কুকরা।

কুকরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফার্মের মুরগির মত একটা প্রজন্ম গড়ে উঠছে যারা তাদের ইতিহাস সম্পর্কে কিছুই জানে না।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২১

ফোর্থ ইয়ারে আমাদের একটা কোর্স ছিল "History of Economic Thought" নামে। মূলত একেবারে শুরু থেকে ইকোনোমিক্সের ইতিহাস পড়ছিলাম আমরা। শুরু হয়েছিল সেই খ্রিষ্টপূর্ব সময় থেকে, একেবারে এরিস্টটল, প্লেটোর আমল থেকে। ম্যাডাম পড়াতে পড়াতে ৫০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে এসে এক লাফে ১৭০০ খ্রিস্টাব্দে চলে গেলেন, মূলত তিনি ইচ্ছে করে এমনটা করেননি, যেই বইটা পড়াচ্ছিলেন সেখানে এভাবেই আছে। মাঝখানের সময়টা কোথায় গেল জানতে চাওয়া হলে তিনি উত্তর দিলেন, আসলে এই সময়টাতে ইকোনোমিক্সে তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি। স্যারদের হা হু পর্যন্ত খাতায় নোট করে রাখা আতেলরা হয়তো এটাই নোট করে রেখেছিল। আমি পাশের ভালো সিজিপিএধারী বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম, কি রে এমনিতে তো অনেক প্রশ্ন করিস এখন কিছু বলছিস না যে, মাঝের এই সময়টা কই গেল! সে বেশ বিজ্ঞের মত উত্তর দিল, আসলে এই সময়টা হচ্ছে ডার্ক পিরিওড তাই লেখক এই পার্টটা আলোচনা করেননি।



মনটাই খারাপ হয়ে গেল। মুসলিম ঘরের বাচ্চাদের ফার্মের মুরগির মত একটা প্রজন্ম গড়ে উঠছে যারা তাদের ইতিহাস সম্পর্কে কিছুই জানে না। বিশ পঁচিশ বছর আগের কিছু নোংরামি আর মূর্তিপূজাকে এদের হাজার বছরের ঐতিহ্য বলে শেখানো হয়, আর তারা তার তালে নাচতে থাকে। আমার খুব ইচ্ছে করছিল জন জন ডেকে ডেকে বলি তোমাদের এই বইটি যে লিখেছে সেই কাফেরের বাচ্চা ইচ্ছে করেই তোমাদের ইতিহাসটুকু বাদ দিয়েছে। কারণ এই সময়টাতে মুসলিমরা পূরো বিশ্ব শাসন করেছে, অর্থনীতি সোনালি সময় গেছে এই সময়টাতে, এই সময়ে মুদ্রাস্ফীতি ছিল না, এই সময়ে কোটি কোটি ডলার আত্মসাৎ হয়নি, এই সময়ে সম্পদের অসম বণ্টন ছিল না, এই সময়ে শোষক আর শোষিত বলে কিছু ছিল না, এই সময়ে জালিম আর মজলুম বলে কিছু ছিল না। এই সময়ে নিরাপত্তা ছিল, ন্যায়বিচার ছিল।
.
হ্যাঁ তোমাদের এই ডার্ক পিরিয়ডে উমার ইবনুল খত্তাব (রাঃ) এর মত নেতা ছিল যিনি বলেছিলেন, ফোরাত নদীর তীরে একটি কুকুরও যদি চর্ম রোগের মলমের অভাবে কষ্ট পায় আমি উমারকে কাল খেয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। যিনি রাত্রি বেলা ঘুরে ঘুরে দেখতেন তার অধীনে উম্মাহর অবস্থা কেমন যাচ্ছে, যিনি এক বাড়িতে উপোস থাকা আল্লাহর বান্দাদের দেখে কাঁদতে কাঁদতে বায়তুল মাল থেকে নিজের কাঁধে আটার বস্তা বহন করে নিয়ে গেছেন, নিজে তাদের রুটি বানিয়ে, খাইয়ে, ঘুম পাড়িয়ে তবেই ঘরে ফিরেছেন। কোন খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় যদি সবাই সেটা কিনে খেতে না পারতো তখন উমারও সেটা খেতেন না যতক্ষণ না সবাই সেটা কিনে খেতে পাওয়ার মত অবস্থায় না পৌঁছায়।

এই সময়ে আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহর (রাঃ) মত মানুষ রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে ছিলেন, সিরিয়ার ওয়ালি থাকা অবস্থায় একবার খলিফা উমারের কাছে তার বিরুদ্ধে সেখানকার লোকেরা অভিযোগ করল, তাদের আমির মাসে একদিন তাদের সামনে আসেন না। তার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে আবু উবাইদা বলেছিলেন, তার একটি মাত্র জামা। মাসের এই দিনে তিনি তার জামাটি ধুয়ে দেন, সেটি শোঁকাতে দেরি হয় বলে তিনি এই দিন মানুষের সামনে আসতে পারেন না। তার জবাব শুনে উমার (রাঃ) অঝোরে কেঁদেছিলেন।

হ্যাঁ এই সময়ে জণগনের সম্পদ মেরে খাওয়ার মত হায়েনারা ছিল না। এই সময়ে সবচেয়ে নিরাপদ জায়গায় থেকেও তনুরা ধর্ষিত হয়নি। বরং উমারের আমলে নিরাপত্তার অবস্থা এমন ছিল, কোন সুন্দরী রমনিও যদি সজ্জিত হয়ে মাঝরাতে রাস্তা দিয়ে একাকি হেঁটে যেত তার মনেও আল্লাহ এবং পশুপাখির ভয় ছাড়া আর কোন ভয় ছিল না। এক মুসলিম বোনের হিজাব ধরে টান দেওয়ায় তার ইজ্জতের সম্মানে পুরো মুসলিম সেনাবাহিনী পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই সময়ে সালাউদ্দিন আল আইয়ুবির মত মানুষরা ছিল যিনি কোনদিন হাসতেন না, তার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলতেন, কি করে আমি হাসতে পারি যখন জেরুজালেম এখনো ইহুদিদের দখলে। এই সময়ে মুসলিমরা আন্দালুসে (স্পেইন) শাসন করেছে, জেনে নিও কেমন ছিল সেই গৌরবোজ্জ্বল সময়গুলো।

আফসোস আমাদের জন্য, আমাদের এই প্রজন্মের জন্য যারা তাদের ইতিহাসের ছিটেফোঁটাও জানে না। যাদেরকে স্কুলের বইতে পড়ানো হয় উমার (রাঃ) গণতন্ত্রমনা ছিলেন। যাদেরকে সুচিত্রা সেনের জীবনী পড়ানো হয়, হুমায়ূন আজাদের আবর্জনা গিলানো হয়, প্রশ্নপত্রে সানি লিওনের প্রসংগ থাকে। আমাদের প্রজন্মকে তাদের গৌরবময় ইতিহাসের পাঠ দেওয়া আপনার আমার দায়িত্ব। তাদের উপর একটু রহম করুন। তাদেরকে এভাবে মেরুদন্ডহীন নখদর্পহীনভাবে বড় হওয়া থেকে হেফাজত করুন।

লিখেছেন: ইউসুফ আহমেদ

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


খলীফা ওমর সম্পর্কে আজগুবী গল্প চালু করেছেন আপনাদের মতো লোকজন; উনি শত্রুর ভয়ে একা বের হতে পারতেন না, সর্বোপরি উনি বায়যান্টাইন আলেকসান্দ্রিয়া, জেরুযালেম ও দামাস্ক দখলে এত ব্যস্ত ছিলেন যে, নিশ্বাস নেয়ার সময় ছিলো না; বেকুবদের স্বরচিত ইতিহাস থেকে।

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ইসলােমোফোবিয়া বহু পুরানা রোগ!
এখন প্রকোপটা বেশি

আফসোস আমাদের জন্য, আমাদের এই প্রজন্মের জন্য যারা তাদের ইতিহাসের ছিটেফোঁটাও জানে না।

৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪০

সেয়ানা পাগল বলেছেন: আমাদের এই প্রজন্মের বাংলাদেশ ও ১০০০ বছরের বাঙ্গালীর ইতিহাস জানলেই হবে। ২০০-৩০০ বছর আগের রুখা মরুভূমি থেকে উড়ে বাংলার নরম পলিমাটিতে জুড়ে বসা ইতিহাস না জানলেই হবে। ওই ইতিহাস পড়ে সব জঙ্গি হয়। বাংলার ইতিহাস পরলে বাঙ্গালী হবে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৯

কুকরা বলেছেন: আপনি তো দেখা যায় খুবই সেয়ানা পাগল।

৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: @চাঁদগাজী কাহু ! আমি আগেও বলিয়াছি, ইসলাম সম্পর্কে আপনার জ্ঞান হাঁটুতে ! আপনি যেবিষয়ে বিশেষজ্ঞ সে বিষয়ে বলুন। ওমর (রা.) গাছতলায় একাকী শুইয়া থাকিতেন এমন বর্ণনা বহু আছে (দেখুন হায়াতুস সাহাবা ) ! আর ইসলামের ইতিহাস প্রামাণ্য। গ্রিক, রোমান বা সাধারণ ইতিহাসের মতন যুক্তি, অনুমান বা আবিষ্কৃত বস্তু বা চিহ্ন নির্ভর নহে ! বয়স হইয়াছে ! পশ্চিমা চশমা আর কতকাল পরিয়া থাকিবেন ?

@সেয়ানা পাগল ! ১০০০ বছর আগের ইতিহাস পড়িলেই যদি চলে তাহা হইলে ২০০০/৩০০০ বছর আগের গ্রিক রোমান ইতিহাস পড়া হয় কেন ? ওগুলো বন্ধ করতে বলুন ! ইতিহাস খুলিয়া দেখুন, ১০০০ বছর আগের বাঙালি ইতিহাস কতটুকু আছে ? আছেতো আপনার জ্ঞাতি গুষ্ঠি নৃপতিদের গপ্পো ! বাঙালি জাতিসত্তার উদ্ভব তো প্রাকৃত ভাষাভাষীদের থেকে, যাহাদেরকে নিচু শ্রেণীর মনে করা হইতো। তাহাদের ইতিহাস বইতে অল্পই পাইবেন ! (পড়িতে পারেন হাসনাত আব্দুল হাইয়ের লেখা বই। নাম মনে নাই।)

"২০০-৩০০ বছর আগের রুখা মরুভূমি থেকে উড়ে বাংলার নরম পলিমাটিতে জুড়ে বসা ইতিহাস না জানলেই হবে। ওই ইতিহাস পড়ে সব জঙ্গি হয়।"
ইহা যদি সত্যি হইতো তাহা হইলে সংখ্যাধিক্যের কারণে আপনার লুঙ্গিও তাহারা খুলিয়া লইত কারণ বহু মুসলমান মুসলমানদের ইতিহাস পড়িয়া থাকে !

৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩

কাউয়ার জাত বলেছেন: টারজান০০০০৭ খুব ভালো বলেছেন।

৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যেখানে জাকাত দেয়ার মত লোক খুঁজে পাওয়া যায়নি, সেখানে সহজেই অনুমেয় যে অর্থনৈতিক অবস্থা কত ভালো ছিল তখন...

৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০২

মেরিনার বলেছেন: The Venture of Islam by Marshall G. S. Hodgson
৩ খন্ডে প্রকাশিত ইসলামের ইতিহাসের খুব সুন্দর একটা বই, যে কেউ পড়ে দেখতে পারেন। ভাগ্যিস Marshall G. S. Hodgson একজন কাফির ছিলেন, নতুবা আজকের ইসলাম বিদ্বেষীরা তাকে নির্ঘাত জঙ্গী বলে আখ্যায়িত করতো!

বিস্তারিত দেখুন:
view this link

৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


@টারজান০০০০৭ ,
খলীফা ওমর ছিলেন সবচয়ে ব্যস্ত খলিফা, তিনি ইসলামী সাম্রাজ্যকে বিশালভাবে পরিবর্ধন করেন, তিনি যুদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, অর্থনীতি খারাপ ছিলো; উনার সময় মদিনায় দুর্ভিক্ষ হয়েছিল; মানুষ উনাকে হত্যার সুযোগ খুঁজছিল; প্রথম থেকেই উনার জীবন উপর হামলার সম্ভাবনা ছিল। মদীনায় আমাদের বাড়ির মত আম কাঠালের গাছ ছিলো না; মদীনার ঐতিহাসে প্রথম গাছ রোপন করেন বাদশাহ সউদ।

৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৭

পলাতক মুর্গ বলেছেন: @চাঁদগাজী , মদীনার ঐতিহাসে প্রথম গাছ রোপন করেন বাদশাহ সউদ - এই তথ্যের রেফারেন্স দিবেন? আমার খুব দরকার।

১০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫৫

আবদুল মমিন বলেছেন:


৮ নাম্বার কমেন্ট

মদীনার ঐতিহাসে প্রথম গাছ রোপন করেন বাদশাহ সউদ , তাহলে ১৪০০ বছর আগের খেজুর গাছ এর কি হোলও ? এগুলা কি কলমি লতার শাক ছিল নাকি ?


১১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:২২

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: আমাদের সময় স্কুলে পাঠ্যপুস্তকের চয়নিকা বইয়ে "সবজান্তা শমসের" - নামের চরিত্র নিয়ে একটি গল্প ছিল(গল্পের ও লেখকের নাম মনে পড়ছে না)। চরিত্রটি ১০-১২ বছরের একটি বালককে নিয়ে যে নিজেকে সর্ববিষয়ে সবজানে বলে মনে করত। এই যেমন - ইতিহাস, সাহিত্য, বিগ্যান, কবিতা হেন জিনিশ নাই তার গিয়ানের বহরে ছিল না (এজন্যই বোধহয় তার নাম সবজান্তা শমসের)।

তো, এই সবজান্তা শমসেরের সাথে যদি কারও কোন বিষয়ে তর্ক হত তাহলে তাকে এক পশলা গিয়ান নিয়ে বিফল মনোরথে ফিরতে হত। যেমন:

শিক্ষক: আচ্ছা শমসের, বলত রাচি কোথায়?
শমসের: করাচির কাছে স্যার।
শিক্ষক থ।

আবার যেমন মা বললেন: আজ ভাল ছালুন আছেরে শমসের!
শমসের: কিসের ছালুন মা?
মা: রুইয়ের মাথা দিয়ে মুগডাল।
শমসের: ও আমি অ..নে..ক খেয়েছি মা। মা'র মুখ ভার (মা জানেননা ছাওয়ালরে তিনি কতবার রুইয়ের মাথা দিয়ে মুগডাল রেধে খাওয়ায়েছেন)।

এহেন অসংখ্য ঘটনার প্রেক্ষিতে বাবা ভাবলেন ছেলেটাতো উচ্ছন্নে যাচ্ছে, তার একটা শিক্ষা হওয়া দরকার। যেই ভাবা সেই কাজ। কোন এক হাটের দিন তিনি শমসেরকে সাথে নিয়ে গেলেন বাজারে এবং ভরা হাটে মানুষের ভীড়ের মদ্ধে হঠাত করে পেছন থেকে নিজেকে লুকিয়ে ফেললেন। আর যায় কোথায়। কিছুক্ষণ ধরে চারিদিকে অনেক খোজাখুজি করেও যখন বাবার দেখা নেই, তখন শমসেরের সে কি কান্না, ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না। বাবা আড়াল থেকে সবকিছু লক্ষ করছিলেন। যখন দেখলেন ওর যথেস্ট শিক্ষা হয়েছে, তখন তিনি শমসেরের সামনে এলেন এবং তার থেকে নিম্নোক্ত কিছু ওয়াদা আদায় করিয়ে নিলেন:

১। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস না দেখানো(not to show over-confidence)
২। কাউকে হে্য় করে কথা না বলা(not to degrade/disgrace anyone)
৩। কেউ অপমানিত হয় এমন কথা না বলা(respect everyone)

... ইত্যাদি।

সামুব্লগেও এরকম ১ আধটা "সবজান্তা শমসের" না থাকলে কি জমে?

১২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:২৭

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: - মদীনার ঐতিহাসে প্রথম গাছ রোপন করেন বাদশাহ সউদ।


হ্যার আগে মদীনায় কেউ গাছ লাগায় নাই। মানে, কিং সউদের আগে মদীনায় খেজুর হইত না। কি কন আন্নেরা?

১৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


মদীনা শহর বালুকাময় মরু ছিল; আরবে খেজুর গাছ রাস্তাঘাটে হতো না, মরূদ্যানে হতো, শহরের ভেতর নয়; শহরের ভেতরে বাদশাহ সুউদ প্রথম ব্যাপকভাবে গাছ লাগায়েছেন সরকারী পর্যায়ে।

১৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৪

মলাসইলমুইনা বলেছেন: ডিয়ার চাঁদগাজী : আমি উদ্ভিদ বিজ্ঞানী বা উদ্ভিদ গবেষক নই | তাই মদিনার গাছ সংগ্ৰান্ত তথ্য আপনি যা দিলেন সেটা নিয়ে বলবার কিছু নেই আমার | কিন্তু আপনার প্রথম মন্তব্যের সাথে একটু দ্বিমত করলাম | "খলীফা ওমর সম্পর্কে আজগুবী গল্প চালু করেছেন আপনাদের মতো লোকজন; উনি শত্রুর ভয়ে একা বের হতে পারতেন না, সর্বোপরি উনি বায়যান্টাইন আলেকসান্দ্রিয়া, জেরুযালেম ও দামাস্ক দখলে এত ব্যস্ত ছিলেন যে, নিশ্বাস নেয়ার সময় ছিলো না; বেকুবদের স্বরচিত ইতিহাস থেকে।" খলিফা উমর (রাঃ) সম্পর্কে কোন গল্পগুলো আজ্গুবি তাতো বললেন না ? আপনি নিশ্চয় জানেন যে মুসলিমরা মক্কায় হজরত উমর (রাঃ) ইসলাম গ্রহণের পর থেকেই প্রকাশ্যে নামাজ পড়তে পারতো তার বীরত্ব আর সাহসিকতার কারণে | এগুলো এতো বেশি সাহাবীদের থেকে হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে এবং ঐতিহাসিকরাও বলেছেন যে এগুলো নিয়ে সন্দেহ করাটা বোকামি যদি ইতিহাসকে আপনি জ্ঞানের একটি শাখা হিসেবে দেখেন |

আর আপনার মন্তব্যের আরেকটা অংশ "...সর্বোপরি উনি বায়যান্টাইন আলেকসান্দ্রিয়া, জেরুযালেম ও দামাস্ক দখলে এত ব্যস্ত ছিলেন যে, নিশ্বাস নেয়ার সময় ছিলো না; বেকুবদের স্বরচিত ইতিহাস থেকে।" এ দিয়ে যদি বোঝাতে চান যে এতো যুদ্ধের কারণে উনি শাসনের একটি সু ব্যবস্থা গঠন করতে পারেন নি তবে দুটো কথা বলি | আপনি মাত্রই সেদিনের ইতিহাস থেকে জানেন ওটারলুর যুদ্ধে রবার্ট নেলসন নেপোলিয়নকে হারিয়ে ছিলেন | কিন্তু আসল সত্যি হলো সেই ওয়াটারলুতে কিন্তু এই দুই গ্রেট ওয়ারিয়র মুখোমুখিই হননি | তাদের নিজেদের মধ্যে অনেক মাইলের ব্যবধান ছিল | তাদের বাহিনী একের সাথে অন্যে যুদ্ধ করেছিল | হজরত উমরের (রাঃ) শাসনামলে এশিয়া, আফ্রিকার একটা বিশাল অংশ ইসলামের অধীনে আসে ঠিকই কিন্তু এর জন্য তাঁর নিজে যুদ্ধক্ষেত্রে যাবার দরকার পড়েনি | বায়যান্টাইনদের বিরুদ্ধে জেরুযালেম ও দামাস্ক বিজয়ে নেতৃত্ব দেন আবু ওবায়দা (রাঃ), কিছু যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন গ্রেট সেনাপতি খালিদ ইবনে ওলীদ (রাঃ) আলেকসান্দ্রিয়া জিতেছিলেন আরেক বিখ্যাত সেনাপতি আমার ইবনুল আস (রাঃ), পারস্যের কথা আপনি বলেননি সেখানে যুদ্ধের সেনাপতি ছিলেন সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রাঃ) | এতগুলো বড় যুদ্ধের কোনোটাতেই হজরত উমরের নিজের যাবার দরকার পড়েনি |

হজরত উমর (রাঃ) মদিনায় শাসনের কাজেই থাকতেন, যুদ্ধের ময়দানে নয় | তার শাসনের একটি মূল্যায়ন করেছেন নাসার বিজ্ঞানী মাইকেল হার্ট " টি হান্ড্রেডস | একজন স্ব ঘোষিত হোয়াইট সুপ্রিমেসিস্ট হিসেবেও তিনি শাসক হিসেবে হজরত উমরের (রাঃ) নেতৃত্বকে জুলিয়াস সিজারের থেকে বেশি ইনফ্লুয়েনশিয়াল বলেছেন | শুধু নতুন এলাকা জয় করাই নয় সেই সব নব বিজিত দেশের জনগণের উপর তার প্রভাবকেউ মাইকেল হার্ট বলেছেন আন প্যারালাল | যার জন্য সেই সব দেশগুলোর মানুষ আজও ইসলাম অনুসরণ করে | জুলিয়াস সিজার প্রায় সারা বিশ্বই জয় করে ফেলেছিলো কিন্তু তার মৃত্যুর অল্প পর থেকেই কিন্তু সেসব রাজ্যগুলো বিদ্রোগ করা শুরু করে | তার প্রভাব হাজার বছর টিকে থাকতে পারেনি |যেটা হজরত উমরের বেলায় সত্যি হয়েছিল বলে মাইকেল হার্ট বলেছেন | শাসক হিসেবে. নেতা হিসেবে তার সম্পর্কে বলা ঘটনাগুলো কিন্তু নেহায়েত গল্প নয় | খুবই সত্যি | ও আরেকটি কথা, আপনি হয়তো মনে করতে পারেন রাখালের সাথে উটের পিঠে হজরত উমরের (রাঃ) জেরুজালেম যাবার ঘটনাটা তবে হয়তো মিথ্যে | অফর্চুনেটলি, সেটা সত্যি কাহিনী | ডক্টর আলী মোহাম্মদ সালাবী'র হজরত উমরের জীবনের উপর দুই ভলিউমের একটি চমৎকার বই Umar Ibn al- Khattab : His life and times | সেটাতে এই ঘটনাটা আর এর সাথে সম্পর্কিত আরো অনেকগুলো ঘটনার কথা আছে বেশ বিশদ করে |পরে দেখতে পারেন | হজরত উমরের সুশাসন সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা ভাঙবে |

১৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আগের মন্তব্যে মাইকল হার্টের বইয়ের নামটা "দ্যা হান্ড্রেডস" (ভুলটা শুদ্ধ করে দিলাম)

১৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১২

মাহিরাহি বলেছেন: অর্থনীতির জনক ইবনে খালদুন।

https://en.wikipedia.org/wiki/Ibn_Khaldun

১৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

"হজরত উমর (রাঃ) মদিনায় শাসনের কাজেই থাকতেন, যুদ্ধের ময়দানে নয় | তার শাসনের একটি মূল্যায়ন করেছেন নাসার বিজ্ঞানী মাইকেল হার্ট " টি হান্ড্রেডস | একজন স্ব ঘোষিত হোয়াইট সুপ্রিমেসিস্ট হিসেবেও তিনি শাসক হিসেবে হজরত উমরের (রাঃ) নেতৃত্বকে জুলিয়াস সিজারের থেকে বেশি ইনফ্লুয়েনশিয়াল বলেছেন | "

-মাইকেল হার্ট আপনাদের মত লোকের জন্য লিখেছেন।

১৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:

@মলাসইলমুইনা ,

""হজরত উমর (রাঃ) মদিনায় শাসনের কাজেই থাকতেন, যুদ্ধের ময়দানে নয় | তার শাসনের একটি মূল্যায়ন করেছেন নাসার বিজ্ঞানী মাইকেল হার্ট " টি হান্ড্রেডস | একজন স্ব ঘোষিত হোয়াইট সুপ্রিমেসিস্ট হিসেবেও তিনি শাসক হিসেবে হজরত উমরের (রাঃ) নেতৃত্বকে জুলিয়াস সিজারের থেকে বেশি ইনফ্লুয়েনশিয়াল বলেছেন | "

- মাইকেল হার্ট ইতিহাস লেখক হিসেবে কেহ নন, উনি আপনাদের মত পেছনে-পড়া লোকদের জন্য লিখেছেন।

১৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫১

যাযাবর চখা বলেছেন: সবার অবগতির জন্য জানাইতেছি যে, চাঁদগাজী ভাইজান মনের মাধুরী মিশেয়ে অনেক কিছুই বলেন যার মুল্য/মানে একমাত্র উনিই জানেন! ইহাকে এত গুরুত্ব দেয়ার কিছু নাই। ইগনোর করাই সবচাইতে উত্তম ;)

২০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ওমর একজন দূরদর্শী লোক ছিলেন। তিনি একই সাথে যুদ্ধ এবং শাসন কাজ পরিচালনা করেছেন। পার্সিকদের সাথে যুদ্ধের সময়য় তিনি নিজেই জায়গা ঠিক করে দিয়েছেন কোথায় তাবু ফেলতে হবে।
সেই যুদ্ধে তিনি এমন এক জায়গা নির্বাচন করেছেন যার পিছনে ছিল পর্বত এবং পর্বতের পর আরব ভূমি। যাতে আক্রমণে সুবিধা হয় এবং তাৎক্ষণিক বিপদ হলে পাহাড়ে আশ্রয় নেয়া যাবে আর চূড়ান্ত পরাজয়ের সম্বাবনা থাকলে সহজে আরবের ভূমিতে ফিরে আসতে পারবেন। সম্ভবত তিনি প্রাক ইসলামি যুগে এই জায়গায় গিয়েছিলেন। তার নির্দেশ মোতাবেক আবি আক্কাস প্রতিটি প্লান করেছেন। হস্তির যুদ্ধে তার সঠিক নির্দেশনার কারণেই মুস্লিমরা জয়ী হতে পেরেছিলেন। ফিলিস্তিন জয়ের সময়য় তার ব্যক্তিগত চরিত্রের প্রভাব ছিল। সেখান অধিবাসী গণ শর্ত দিয়েছিল স্বয়ং ওমরের কাছে নগরীর চাবি হস্তান্তর করবেন।

মহা কমান্ডার খালিদ অর্থের সঠিক হিসাব দিতে পারেনি বিধায় ওমর তাকে সেই পথ থেকে সরিয়ে দেন এবং সকল মুসলমমান সেটা এক বাক্যে মেনে নেয়। সেই সময়য় বিজেতা হিসেবে খালিদের গ্রহণ যোগ্যতা কতটুকু ছিল তা ওমরের পরবর্তী মন্তব্যে বুঝা যায়। তিনি প্রায় বলতেন; আরবের নারীরা খালিদের মত সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম।

তিনি এমন একজন শাসক ছিলেন; যিনি একই সময়ে বিশ্বের দুই পরাশক্তির সাথে যুদ্ধ এবং নিজের নিয়ন্ত্রণাধীন বিশাল শাসন কার্য পরিচালনা করেছেন। এবং তিনি দুই জায়গাতেই চূড়ান্ত সফল। তার কাছে বার্জেন্টাইন এবং পারস্য পরাশক্তি লেজ গুটাইছে। এটা ইতিহাসে বিরল। তার দশ বছরের শাসনামলের কোন অনিয়ম-অভিযোগ ছিলনা। সেই সময় যোগাযোগব্যবস্থার অপ্রতুলতার কথা চিন্তা করলে এটা বিরল।

মুসলমানদের যুদ্ধ জয়ের কৌশল, ওমরের শাসন পদ্ধতি, নিয়ম শৃঙখলা ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হলে ওমরের সমকালীন গ্রিক লেখক/ঐতিহাসিক জনের বর্ণানা দেখতে পারেন।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪০

কুকরা বলেছেন: +++++++++++++

২১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯

আল ইফরান বলেছেন: পুরো কমেন্টস এর ফিড জুড়েই কেবল অংক পরীক্ষায় বাংলা লেখার মত অবস্থা।
লেখক যে বিষয়টাকে তুলে ধরতে চেয়েছেন সেইটা আমাকে শিক্ষক হিসেবে প্রতিদিনই দেখতে হয়।
আগে ক্লাসে গিয়ে বকতাম, এখন আর সেইভাবে কিছু বলি না কারন এদের বলেও পড়াশুনার পথে ও নির্মোহভাবে বিশ্লেষণের পথে আনা যাবে না।
যেভাবে আমাদের পরিবারের প্রভাব ভেঙ্গে যাচ্ছে আর শিক্ষায়তনে দুর্বৃাত্তয়ন হচ্ছে, এর চাইতে ভালো কিছু প্রত্যাশা আর করি না।

২২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২১

মলাসইলমুইনা বলেছেন: মাই ডিয়ার চাঁদগাজী ভাই : আপনার মন্তব্যে ভীষণ আনন্দিত হয়েছি আমার প্রতি আপনার মহব্বত জেনে |কিন্তু কষ্টও খুবই কষ্ট পেয়েছি | তাই প্রতিবাদ | আপনি বলেছেন যে "মাইকেল হার্ট ইতিহাস লেখক হিসেবে কেহ নন, উনি আপনাদের মত পেছনে-পড়া লোকদের জন্য লিখেছেন"। আপনার মন্তব্ব্যে আমাকে খুবই উচ্চ মর্যাদা দান করা হয়েছে | তাই ধন্যবাদ | মাইকেল হার্ট " পেছনে-পড়া লোকদের জন্য লিখেছেন" আমি সেই পেছনে পড়া গ্রূপের ধরে কাছেও যাইনা | তার বইটা পরে বোঝার জন্য যে উচ্চ মার্গীয় জ্ঞান থাকতে হবে সেটা আমার কোনো কালেও নেই |আমি তার থেকেও অনেক অনেক পেছনে পড়া আমজনতার একজন | কিন্তু কষ্টটা অন্যখানে | মাইকেল হার্টতো ইতিহাস লিখেননি | উনি ইতিহাসের কিছু ব্যক্তিকে তাদের সম্পর্কে লেখা ইতিহাস দিয়ে মূল্যায়ন করেছেন | ডিয়ার ব্রাদার, মাইকেল হার্টকে এতো ছোট না করলেও পারতেন | মাইকেল হার্টের বই, আলোচনার পক্ষে বিপক্ষে সমালোচনা আছে কিন্তু তার আলোচনাকে কেউ ফেলে দেয়নি কখনো | আপনি কি ফেলবেন আর না ফেলবেন তা অবশ্যই আপনার অধিকার | ধরুন কাঁঠাল খেতে গিয়ে মনে হলো পঁচা, দিলেন জানালা দিয়ে ছুড়ে | সেটা ঠিক আছে | কিন্তু মাইকেল হার্টের এই আলোচনা ছুড়ে ফেলতে হলে ওই সমান পর্যায়ে যেতে হবে কারো | সেটা না করে শুধু শুধু নিচ থেকে কাঁদা ছুড়াছুড়ি করলে ওটা নিচের দিকেই নেমে আসবে | সেটা কোথায় পরবে তাতো জানেনই | এটা কেউ কেউ যত আগে বুজবেন ততই ভালো |

২৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৯

মোবাশ্বের হোসেন বলেছেন: চাঁদগাজী সূর্যোগজী এদেরমতো আবালদের পিছনে তর্ক করে সময় নষ্ট না করে বরং তথ্য বহুল ব্লগ লেখে যান , আমরা এসব পড়ে কৃতার্থ হয়।

২৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৪

আলআমিন১২৩ বলেছেন: চাদগাজী real বিরত্তিকর।

২৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩২

পদ্মপুকুর বলেছেন: দেখা যাচ্ছে একমাত্র শমসেরই সব জানে। =p~ (১১ নং কমেন্ট)

২৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৯

মেরিনার বলেছেন: কিছু মন্তব্য দেখে বলতে ইচ্ছা করে: Opinions are like ***holes, everybody has got one!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.