নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কুকরা

একজন সতর্ক কুকরা।

কুকরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাসতে নেই মানা... তবে দাঁত যেন দেখা না যায়! :-)

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০০

ইউরূপিয়ানদের শরীরের দুর্গন্ধ এতোটাই প্রকট ছিল যে, তা সহ্যের আওতায় ছিলনা! এজন্যই ইউরূপিয়ান যোদ্ধাদের নাকে রেড ইন্ডিয়ানরা গোলাপফুল শুঁকাত। কারণ, তারা জানত যে, ইউরূপিয়ান যোদ্ধারা গোলাপের সুগন্ধি সহ্য করতে পারেনা!
.
ইউরূপিয়ান ইতিহাসবেত্তা 'সেন্ডর মারাই' বলেন, ইউরূপিয়ান বারজিউসরা উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকেও জীবনে মাত্র দুইবার গোসল করত; অসুস্থতার সময়ে ও বিয়ের সময়ে!
.
ইউরূপে গোসলখানা নির্মাণ আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ ছিল! স্পেন সম্রাট 'দ্বিতীয় ফিলিপ' তার রাজ্যে গোসলখানা নির্মাণের নিষেধ জারি করেছিল! স্পেন সম্রাজ্ঞী '১ম ঈসাবেলা' স্পেনে গোসলখানা ভেংগে ফেলার আইন জারি করেছিল!
.
আমেরিকান রাইটার 'জুসেফ ম্যাক ক্যাপ' বলেন, স্পেন সম্রাজ্ঞী '১ম ঈসাবেলা' জীবনে মাত্র দুইবার গোসল করেছে; তার জন্মের দিনে ও মরণের দিনে!

আল্লামা তাক্বী উদ্দীন আল-হিলালী আল-মাগরিবী বলেন, প্রকৃতার্থে ঈসাবেলা তার জীবনে মাত্র একবার গোসল করেছে! আর তা তার বিয়ের রাতে! জন্ম ও মরণের দিনের গোসল ঈসাবেলার ব্যক্তিগত কোনো কাজ ছিলনা!
.
রাজা ফিলিপের কন্যা '২য় ঈসাবেলা' ক্বসম করেছিল যে, অমুক দূর্গ বিজয় করা ব্যতিত তার দেহের পরিধেয় বস্ত্র খুলবেনা। এই অবস্থায়ই তিন বছর পেরিয়ে যায়। দেহের নাজুক অবস্থার কারণেই সে শেষ পর্যন্ত মারা যায়!
.
ফরাসী ইতিহাসবেত্তা 'জর্জ ফেগারেল' বলেছেন, ফ্রান্সের বাদশাহ 'চৌদ্ধতম লুইস' জীবনে মাত্র ৩ বার গোসল করেছে! রূশ প্রতিনিধি লুইসের ব্যাপারে বলেছেন, লুইসের দেহের দুর্গন্ধ স্থলচর প্রাণীর দুর্গন্ধের চেয়েও ছিল অসহ্যকর! লুইসের এক দাসী ছিল, 'ডি ম্যান্টিসবাম' নামে। সে আতরের হাউজে গোসল করে দেহকে সুগন্ধিত করত; যাতে করে লুইসের দুর্গন্ধ না শুঁকতে পারে!
তিনি আরও বলেন, এই লুইসের হেরেমের রমণীগণ তাদের দেহ ও দেহের পবিত্রতার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি যত্নবান ছিল। তারা বছরে মাত্র ২ বার গোসল করত!
.
ফ্রান্সের বর্তমান বিখ্যাত পারফিউম আবিষ্কারই হয়েছিল ফরাসীদের দেহের দুর্গন্ধ দূরীভূত করার জন্য!
.
.
ইউরূপীরা সভ্যতা শিখলে মুসলিমদের থেকেই শিখেছে। ইহা তাদের ঘরানার ব্যক্তিরাই অকপটে স্বীকার করেছে। প্রসিদ্ধ ফরাসী ঐতিহাসিক 'ড্রেভার' বলেন, আমরা ইউরূপিয়ানরা সভ্য হয়েছি আরবদের (মুসলিমদের) মাধ্যমেই। মুসলিমরা আমাদেরকে শিখিয়েছে, কিভাবে দেহের যত্ন নিতে হয়। কেননা মুসলিমরা ইউরূপীদের বিপরীত ছিল; ইউরূপীরা তাদের দেহের বস্ত্র তৎক্ষণ পর্যন্ত খুলতনা, যতক্ষণ পর্যন্ত তা ময়লাযুক্ত হতনা এবং মারাত্নক দুর্গন্ধ ছড়াতনা! দেহের বসন খোলা ও ধৌত করার ক্ষেত্রে আমরা মুসলিমদেরই অনুসরণ করেছি। মুসলিমরা অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন কাপড় পরিধান করত। এমনকি তারা কাপড়কে বিভিন্ন ধরণের মূল্যবান পাথর, যেমন: যুমরূদ, ইয়াক্বূত ও মারজান দ্বারা সজ্জিত করত!

ড্রেভার আরও বলেন, তখন কর্ডোভায় প্রায় তিনশ গোসলখানা পর্যাপ্ত ছিল, যখন ইউরূপের গীর্জাগুলো গোসলখানাকে অপরাধের দৃষ্টিতে দেখত!

সূত্র-

* মাযকারাতুল কাতীব সান্দোর মারাই।
* ওয়াসাঈক্বু রাসমিয়্যাহ মিন আসবানিয়া।

কৃতজ্ঞতা - আইনুল হক কাসিমি

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৮

এম আর তালুকদার বলেছেন: পৃথিবী মুসলমানদের কাছে অনেক কিছু শিখেছে কিন্তু আজ তারাই অজ্ঞতার সাগরে ডুবে আজে।

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৮

স্বল্প বাঁধন বলেছেন: সভ্য সভ্যতার আবিষ্কারকরা আজ নিজের অতীত ভুলে নিজেরাই অসভ্যদের তালিকায়!

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০১

করুণাধারা বলেছেন: কেন আর কিভাবে মুসলমানেরা সভ্যতার শীর্ষ থেকে অধঃপতিত হল? জ্ঞানচর্চার সমাপ্তিই কি এর কারন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.