নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কুকরা

একজন সতর্ক কুকরা।

কুকরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোহিংগাদের ব্লাকমেল করে তারা যেভাবে কোটিপতি হচ্ছে-

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭

১)
বিগত আট তারিখ আমিসহ আমাদের চারজনের একটা টিম বালুখালী ক্যাম্প,কুতুপালং ক্যাম্প, শাপলাপুর সীমান্ত,ঘুণধুম সীমান্ত ও শাহপরীর দ্বীপ হয়ে নাফ নদীর তীরে বাস্তবতা দেখতে আট ঘন্টার অবস্থান নিয়েছিলাম।
তার মধ্যে আমরা জানতে পারি টেকনাফ সহ উখিয়ার পরে প্রতিটা স্বর্ণের দোকান,বিকাশের দোকানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সমস্ত পণ্যের দাম দ্বিগুণের বেশ বাড়িয়ে দিয়েছে।(এটা টিভি নিউজেও এসেছে) তার প্রেক্ষিত আমরা স্বর্ণের দোকানে অবস্থান নিই। দোকানে প্রবেশ করতেই দেখতে পেলাম কিছু যুবক দাঁড়িয়ে আছে দোকানের ভিতরে,জানতে পারলাম তারা স্থানীয় সাংসদ বদির লোকজন।রোহিঙ্গারা যে সকল স্বর্ণ বিক্রির জন্য নিয়ে আসে তারা তা খুব নিম্ন মূল্য (ভরি প্রতি ১০-১৫ কিংবা আরও কম) হাজার দিয়ে কিনে নিচ্ছে। যেখানে আপনি বা আমি তার ন্যায্য মূল্য দিয়ে ক্রয়েরও সুযোগ নাই।সব তারাই নিবে।

২)
আমরা যখন স্টীমার নিয়ে শাহপরীর দ্বীপে যাই,নেমেই গাড়িতে উঠতেই দেখলাম কিছু পুলিশ সদস্য কয়েকজন বাঙ্গালি যুবক ছেলেকে শাটার গান দিয়ে তাড়া করছে।নেমে বাস্তবিক ঘটনা জানতেই বেরিয়ে এলো লোমহর্ষক দৃশ্য। শাহ পরীর দ্বীপ দিয়ে পার হওয়া কিছু সুন্দরী রোহিঙ্গা যুবতিকে ঘরের মধ্যে আটক রেখে শারীরিক নির্যাতন ও পণ আদায়ের চেষ্টা করছিল।অনেকদিন যাবৎ তাদের আটক রেখে ধর্ষণ ও অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে এটা পুলিশ জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

৩)
শাহ পরীর দ্বীপ হয়ে আমরা যখন নাফ নদীতে অবস্থান নিই,তখন আগত রোহিঙ্গাদের বোট থেকে নামাতে গিয়েই দেখি করুণ দৃশ্য! যে সকল রোহিঙ্গা নারীরা বোটে করে এপারে আসছে তাদের সমস্ত স্বর্ণালংকার কেড়ে নিচ্ছে বোটের মাঝিরা।

১০ মিঃ বোট পার করাতেই নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।তবুও মানুষগুলোর জান বাঁচাতে সব দিয়ে হলেও দেশ ত্যাগ করতে পারাটাই যেন স্বস্তির।

এক বোটে ৫০ জন থেকে তিন হাজার করে দশ মিনিটে হাতিয়ে নিচ্ছে দেড় লক্ষ টাকা।এভাবে প্রতি বিশ মিনিটে এক বোট আসছে,আর দেড় লক্ষ টাকা ইনকাম ২০ মিনিটে হয়ে যাচ্ছে।

কালকে এক নিউজে দেখলাম শাহ পরীর দ্বীপের মাঝিরা রাতারাতি কোটিপতি।
বাস্তবতা আগেই দেখে আসছি।

৪)
তারা নাফ নদী দিয়ে কিছু পরিমাণ গরু,মহিষ নিয়ে আসছে এপারে। সেখানকার কিছু সরকার দলীয় লোকজন পরিচয় দানকারী তাদের সে সমস্ত গরু মহিষগুলো ১-৩ হাজার প্রতিটার মূল্য দিয়ে জোর করে নিয়ে নিচ্ছে।

তাদেরকে জোরপূর্বক বিক্রি করতেই হচ্ছে।পাচ্ছে না প্রকৃত ন্যায্য মূল্য!
সেখানে আপনি নিজে কিনতে চাইলেও ন্যায্য মূল্যে নিতে পারবেন না সিন্ডিকেটের বাইরে গিয়ে।

৫)
চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আট পরিবারের কাছে গতকাল আমরা ১হাজার করে টাকা বিকাশ করি।যার মধ্যে তাদের পরিবারগুলোকে কুতুপালং এলাকার বিকাশ ব্যবসায়ীরা টাকা দেয় ৭০০ করে।

সংগৃহীত

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২

সেয়ানা পাগল বলেছেন: রোহিঙ্গাদের অবস্থা এখন " জলে কুমির, ডাঙ্গাই বাঘ "।

২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২

সোহাগ সালেহ বলেছেন: যেভাবে কোটিপিতি হচ্ছে তার চেয়ে খারাপ ভাবে ফকির হবে এরা।

৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩

মানিজার বলেছেন: এইসবই হইবার কতা । রুহিংগা গুষ্টির সাথে কি সুন্দর আচরণ ! ওরে বাপ্পস ! বদীর লুকদের বদলিস্ট করে র‌্যাবের কাছে দিন ।

৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০

সেয়ানা পাগল বলেছেন: না বিবি, না বাচ্চা,
না বাপ বড়া, না মাইয়া।
the whole tthing is that
সবসে বড়া রুপাইয়া। :>

৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভয়ংকর ঘটনা ঘটাচ্ছে টেকনাফের লোকেরা। এদের ভীষনভাবে শাস্তি দেয়ার দরকার।

তবে, আপনার মতো লোকদের থেকে সঠিক সংবাদ আশা করা মুশকিল।

৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২০

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: ধন্যবাদ, গুরুত্বপুর্ণ তথ্য দেওয়ার জন্য।
বাঙ্গালীদের দ্বারা এমন নিকৃষ্ট ও জঘন্য কর্ম করা অবাস্তব কিছু নয়। একদিকে রোহিঙ্গাদের ঢুকতে দিয়ে আমরা যেমন মানবতাবোধের পরিচয় দিচ্ছি তেমনি আবার চরম বিবেকহীনতার পরিচয়ও দিচ্ছি পৃথিবীর কাছে। তাহলে এখানে ভাল কে-আর মন্দই বা কে? এমন ঘোলাটে চিন্তাভাবনা আজ সর্বত্র। বাঙ্গালীরা নির্বোধ বলে প্রকাশ্যে এসব অপরাধ করছে আর উন্নত জাতীরা অনেক গভীরে গিয়ে অপরাধ করে থাকে।
ঠিক এভাবে সকল রাষ্ট্র সুভিদাবাদী ও কৌশলী হয়ে একে অন্যকে ঠকানোর ভিন্ন ভিন্ন ফর্মূলার কার্যকর ব্যবস্থা পৃথিবীতে আজো চালিয়ে যেতে পারেনা। নতুন কোন ভাবে টিকে থাকার পথের সন্ধান ও আবিস্কার পৃথিবীর মানুষদের আজ জরুরী হয়ে উঠেছে। শিক্ষাব্যবস্থা,রাষ্ট্রনীতি, সমাজকল্যাননীতি ও ধর্মনীতি সহ যাবতিয় ব্যবস্থার পরিবর্তন,সংশোধন ও বাতিল করতে হবে। এবং নিরপেক্ষভাবে নতুন কল্যানকর-যুক্তিসংগত ও লৌকিক নিয়মের সৃষ্টি ও বাস্তবায়ন করতে হবে। যেখানে পৃথিবী ও মানুষের মধ্যে কোন হত্যা,যুদ্ধ ও ধংশ থাকবেনা। কেননা পুরাতন ও বর্তমান ফরমূলা আপডেট,উন্নত ও ডিজিটাল মনে হলেও সেটা পৃথিবীর মানুষদেরকে দিনে দিনে আরো ভয়াবহ জটিলতায় ফেলে ধংশের দিকে নিয়ে যাচ্ছে-সেসব কারো বুঝতে বাকি থাকেনা।

৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: কোটি কোটি ডলার ত্রান আসতাসে লুঠ শুরু হল আর কি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.