নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কুকরা

একজন সতর্ক কুকরা।

কুকরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোহিংগাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মিডিয়ায় অনেকটা সচেতনবৃত্তির সাথে \'হেইট ক্রাইম\' চলছে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

রোহিংগাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মিডিয়ায় অনেকটা সচেতনবৃত্তির সাথে 'হেইট ক্রাইম' চলছে। একটা বিশাল জনগোষ্ঠীর বিচ্ছিন্ন দুয়েকটা অপরাধ যেভাবে হাইলাইট করা হচ্ছে তা নজিরবিহীন। এক ধরনের মিডিয়া ট্রায়াল চালিয়ে জাতিগতভাবে সম্প্রদায়টিকে 'অপরাধী' হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা চলছে।

আর এর প্রচারে, এ ব্যাপারে সোশাল মিডিয়ায় বিস্তর সহযোগিতা করছে স্বভাবজাতভাবে যারা ইসলাম আর মুসলমানের গুষ্টি উদ্ধার করলে বাঁচে সে রকম একটি শ্রেণি। গোঁড়ায় হাস্যকর কিছু প্রতিবেদন দেখেছি আমরা, "জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণে আগ্রহী নয় রোহিঙ্গারা' এ জাতীয় সংবাদ দেখেছি। যখন তারা প্রত্যেকেই আহত, বিধ্বস্ত, ক্লান্ত এমনকি তাদের থাকবার মত তাবুও তৈরি হয় নি সে সময়টাতেও।
অবাক হতে হয়, যাঁদের খাবার নেই, যারা কেউ আহত, কারো স্বজনহ নিহত, যাঁদের মাথায় কোনও ঢাকনা নেই, খোলা আকাশে আশ্রিত, তাদের আপনি কনডম বিলোবেন আর তারা লাইন ধরে তা নেবে এটা কী করে প্রত্যাশা করে আমাদের মিডিয়া এবং এনজিওবাদীরা? তখন বুঝতে অসুবিধে হয়েছিল এই দু আনার ফালতু খবর কেন ষোল আনার কভারেজ দিচ্ছিল মিডিয়া, কিন্তু এখন তা স্পষ্ট হয়েছে।
সম্প্রতি মিডিয়া রিপোর্ট করছে, টিভিতে লম্বা কভার হচ্ছে, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এইডস ছড়াচ্ছে। একটা বহুল প্রদর্শিত সংবাদভিত্তিক টিভি রিপোর্ট করেছে- "রোহিঙ্গাদের মধ্যে বাড়ছে এইডস রোগীর সংখ্যা, ঝুঁকিতে বাংলাদেশ।" যেন এইডস এমন রোগ যে একদিনে, এক মাসে ছড়িয়ে পড়ে! অথচ এই রোগ সুপ্ত অবস্থায় থাকে ২-৬ বছর। তাহলে কি করে এ কদিনে তা বেড়ে গেল বোধগম্য নয়।
এবার প্রথম খবরের সাথে দেখুন, দুই খবর মিলিতভাবে দেখলে যেন মনে হয় যেন তারা ইচ্ছে করেই বাংলাদেশে এইডস ছড়াচ্ছে। তারা প্রোটেকশন ব্যবহার করছে না। আর বিস্তার ঘটাচ্ছে। এই খবরের দুটো সামাজিক প্রতিক্রিয়া আছে- এর মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের শত্রু প্রতিপন্ন করা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের। দুই বুঝানো হচ্ছে এরা নৈতিক স্খলন ঘটাতেই বাংলাদেশে ঢুকেছে। যে কারো সাথে সঙ্গম করছে আর ভাইরাসটি ছড়িয়ে দিচ্ছে। যেন অবাধ যৌনতাই এদের কাজ।
একটা জনগোষ্ঠীর মধ্য AIDS থাকতেই পারে। নতুন করে আশ্রয় নেওয়া ৬ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে এখন পর্যন্ত এইডস ধরা পড়েছে, ৫৫ জন। অর্থাৎ .০০৯১ পার্সেন্ট এর মত। যেখানে Int Journal of STD and AIDS. যা 2008 May, US National Library of Medicine প্রকাশ করে তাতে বলা হচ্ছে বাংলাদেশে জানুয়ারি থেকে জুন, ২০০৬ এ ১০৩৬৮ টি লোকের উপর তারা গবেষণায় দেখেছে 0.৯ শতাংশ এইডস আক্রান্ত। ঢাকার কোথাও কোথাও এর বিস্তার ৭ শ্তাংশের মত। এছাড়াও বহুজাতিক অনেক প্রতিষ্ঠান পতিতালয়গুলোয়, বিশেষত দিনাজপুরের হিলি-সহ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এইডসের হার ভয়াবহ রকম বেশি বলে তাদের প্রতিবেদনে দেখিয়েছে।
এ নিয়ে আল-জাজিরায় ডকুমেন্টরি হয়, কিন্তু বাংলাদেশের মিডিয়া খিল আঁটে। যত জুজুর ভয় তারা রোহিঙ্গাদের নিয়ে দেখাতে এসেছে। জনসচেতনতা জরুরি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিডিয়ার যাবতীয় অপচেষ্টার বিরুদ্ধে। এ দেশে অনেক কিছুই সম্ভব। ইজরায়েলের পক্ষে লবিং করে, কারারুদ্ধ হয়েছেন এ দেশে এমন সাংবাদিক সম্পাদকও ছিলেন! এমন অনেকেই হয়ত এখনো সক্রিয়। দু আনার খবর ষোল আনা প্রচারকে আমি সন্দেহ করি। আপনারা?
.
©Arju Ahmad vai

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি নিজেই রোহিংগা নাতো?

রোহিংগারা দেশে প্রবেশ পাওয়ার অনুকুলে ছিল মিডিয়া সব সময়! আপনি মিডিয়াতে এই নতুন প্রচারণা প্রথম করলেন, মনে হচ্ছে!

২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: সাধারন একটা বিষয় কিছু মানূষ প্যাচিয়ে জটিল করে তুলে।

৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১২

আবু তালেব শেখ বলেছেন: মিডিয়া তিল কে তাল করায় বেশ দক্ষ বরাবরই।
তারা নির্যাতিত। ওদের নিয়ে বেশি জল ঘোলা না করাই শ্রেয়। ওরাওতো মানুষ।

৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৭

কানিজ রিনা বলেছেন: বাংলাদেশ রহিঙ্গা আশ্রয় দিয়ে বিশ্বের কাছে
প্রশংসা কুড়াচ্ছে এটা মিডিয়ার মাথা ব্যাথার
কারন কি। সাংবাদিক যা সংগ্রহ করে লিখে
তাই মিডায়ায় প্রচার সাথে আর একটু রং
মাখামাখি হয়।
রহিঙ্গারা সবই ফেরেস্তা এটা ভাবা যেমন ভুল
তেমন আমাদের দেশের মানুষ সবই ফেরেস্তা
ভাবা ভূল। এতবড় জন সমুদ্র ট্যাকেল দেওয়া
অনেক বড় কিছু। যেখানে জাতি সংঘ বিশ্বের
বড় বড় দেশের মানবাধীকার সংঘঠন রহিঙ্গা
বাঁচাতে এগিয়ে আসছে সেখানে আমাদের
মিডিয়া রহিঙ্গাদের বদনাম দেওয়ার কারন
থাকতে পারেনা।
তবে ভারত মুখো মিডিয়া চাইতে পারে।
ভারত যেভাবে ওদের দেশের আশ্রয় নেওয়া
রহিঙ্গাদের মুসলিম জঙ্গি বলে লাত্থি দিয়ে
বেড় করতে চেয়েছিল। এদেশেও এমন সরযন্ত্র
হচ্ছে বা হবে অবিশ্বাসের কি আছে।
সরকার সচ্ছার থাকলে রহিঙ্গা নিয়ে সরযন্ত্র
করে লাভ নেই। ধন্যবাদ।

৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: দু আনার খবর ষোল আনা প্রচারকে আমি সন্দেহ করি। আমিও করি।।

৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: তালকে তিল আর তিলকে তাল বানানো মিডিয়ার স্বভাব ! রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় সমস্যাতো হবেই ! এতবড়ো জনগোষ্ঠীর মধ্যে চোর , বাটপার , খুনি সবই থাকা সম্ভব ! ইহারা কোন জনগোষ্ঠীর মধ্যে নাই ! ইহাদের ভিলেন বানানোর অপচেষ্টার বিশেষ কোনো উদ্যেশ্য আছে বোধহয় ! ইহারা মুসলমান না হইলে এগুলো দেখিতে পাইতেন না ! বরং তাহারা কত মানবিক সমস্যার মধ্যে আছে, কি ধরণের সাহায্য তাহাদের দরকার ইত্যাদি ফলোআপ সহকারে পাইতেন !

৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২

নিঃশব্দের অটল প্রহরী বলেছেন: ঘরে বৈসা জামাতি বক্তৃতা না চুদায়া নিজে যায়া রুহিঙ্গাদের হয়া যুদ্ধ করেন গা।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩

কুকরা বলেছেন: প্রথমালোর সংবাদিক আপনি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.