নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লাল টিপের ধ্বজাধারী এক প্রোক্যারিওটিক ফেমিনিস্ট ব্যাক্টেরিয়া একদিন এলো এক শহরে। শহরের নাম "ইউক্যারিওটিক সেল"। শহরের সবাই কেমন জানি মধ্যযুগীয়।
হুহ! পুরাই রাইবোজম-শাসিত একটা সেল।
বেচারা ব্যাক্টেরিয়ার কান্না দেখে কে ? তার কতই না দরদ হয় এই শহরে বাস করা মাইটোকন্ড্রিয়া, নিউক্লিয়াস, প্লাস্টিড আর লাইসোজোমগুলোর জন্য। বেচারিগুলোকে পুরাই নিজের দাস বানিয়ে রেখেছে এই শহরে। মধ্যযুগীয়, বর্বর কি এক "ইন্ট্রাসেলুলার মেমব্রেন" পরিয়ে নিজের অঙ্গাণুগুলোকে আবদ্ধ করে রেখেছে চার দেয়ালের মাঝে!
না। অনেক হয়েছে। ব্যাক্টেরিয়া এবার ভেবেই নিল, এই বেচারি "ইউক্যারিওটিক অরগান"গুলোকে সে সচেতন করেই ছাড়বে। যেই কথা সেই কাজ।
ব্যাক্টেরিয়া জানে কি করলে কি হবে। শুরু করল ক্লোরোপ্লাস্টকে দিয়ে। "হে সবুজ কণিকাবাহীনি ! তুমি কি জানো এই উদ্ভিদকোষের জন্য তুমি বিনা কারণেই খাদ্য প্রস্তুত করে যাচ্ছো ? এই কোষ তোমাকে মর্যাদা দেয় নি। তোমাকে দুইস্তরের আবরণে বন্দী করেছে। কেন তুমি তবুও এই কোষের জন্য কাজ করছো ?"
ডাল গলে নি। ক্লোরোপ্লাস্ট পাত্তাই দিল না।
মাইটোকন্ড্রিয়ার কাছে যেতে হবে। ব্যাকটেরিয়া সাহস করে গেল। কবির কন্ঠে সুরের সাথে বলল,
"এই মেমব্রেন ছিড়ে ফেল মাইটোকন্ড্রিয়া ;
ভেঙ্গে ফেল ও শিকল
যে মেমব্রেন তোমায় করিয়াছে ভীরু
ওড়াও সে আবরণ,
দূর করে দাও দাসীর চিহ্ন
যত ঝিল্লী ”।
আহ! মাইটোকন্ড্রিয়া মনে হয় খুশি হয়েছে। এবার কাজ হবেই। কিন্তু না। হল না।
মাইটোকন্ড্রিয়া নিজের "ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম" এর কাজে মনোযোগ দিল।
না। ব্যাক্টেরিয়া দমবার পাত্র নয়। এই শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অরগ্যানটার কাছে যেতে হবে। "ওহে নিউক্লিয়াস! অন্তত তুমি তো শোন। ঝেড়ে ফেলে দাও তোমার এই নিউক্লিয়ার মেমব্রেন। বেরিয়ে আসতে দাও তোমার রেটিকুলামকে। দেখো! সাইটোপ্লাজম কত সুন্দর"।
কিন্তু এ কি? সেও আমলে নিল না। এই সেলটাকে নিয়ে পারা গেল না। রাগ, ক্ষোভ, দুঃখ চেপে ধরেছে ব্যাক্টেরিয়াকে। নিজের উদ্দেশ্যটা পূরণ হল না। এবার জোরে আওয়াজ তুলতেই হবে। নিজের পূর্বপুরুষদের সেই বিখ্যাত আজাইরা বাণী উচ্চারণ করলো, "হে শত শত অঙ্গাণুকে মেমব্রেনের আবরণীতে বন্দী করে রাখা ইউক্যারিওটিক সেল! আমরা কি এমন ইউক্যারিওটিক সেল চেয়েছিলাম ? উত্তর দাও। আমরা কি এমন ইউক্যারিওটিক সেল চেয়েছিলাম? "
ব্যাক্টেরিয়া হতাশ। এই সেলকে সে সুশীল করতে পারলো না। পারলো না নিজের চেতনাবাণী প্রচার করতে !
ইউক্যারিওটিক সেল এবার ধরল ব্যাক্টেরিয়াকে। "জানো ব্যাক্টেরিয়া! আমরা ইউক্যারিওটসরা তোমার চেয়ে বেশী উন্নত। তাই আমাদের "সেলুলার মেমব্রেন" আর "ইন্ট্রাসেলুলার মেমব্রেন" দুটোই আছে । কিন্তু নিজের দিকে তাকাও! তুমি অনুন্নত, বিবেকলুপ্ত, সমাজের কাছে তুমি কীটতুল্য। তুমি কি বুঝবে মেমব্রেনের গুরুত্ব! তোমার কাছে নেই আমার মত কোন উন্নত অরগ্যান। তাই এদের গুরুত্ব কি আর এদের জন্য কেনই বা মেমব্রেন লাগবে তা তুমি কস্মিনকালেও বুঝবে না। তুমি কেবল সেই লেজকাটা শেয়ালের ভূমিকা পালন করছো যে চাই সবাই তার মত অনুন্নত, নীম্ন শ্রেণীর হোক।"
আচ্ছা! সেই দিনের পর কি ব্যাক্টেরিয়ার লজ্জাবোধ হচ্ছিল ?
না। হয় তো সে আবার আসবে। নতুন কোনো রূপে। আর হয় তো আবারো নাকানিচুবানি খেয়ে যাবে।
Credit: ফারহান গনি / #দ্বীনালাপ
২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৭
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: ফেবুতে পড়েছি দ্বীনালাপ পেজে।
৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ব্যাকটেরিয়ার ছোট মগজে এসব ঢুকবে না...
৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মাথায় বুদ্ধি কম তো, তাই কিছুই বুঝতে পারলাম না।
৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৬
কাদা মাটি জল বলেছেন: যাক, স্বীকার করলেন তাহলে আপনাদের এই ধর্ম ধর্ম করা অধর্মে ভরা সমাজ আদতে এককোষী প্রাণির মতোই অগুরুত্বপুর্ণ, তাই না?
আপনার দ্বীন আপনার গুহ্যদ্বারে প্রবেশ করুক
৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫
কলাবাগান১ বলেছেন:
এমন সরলীকরন শুধু মাত্র যাদের কনফিডেন্স লেভেল কম অথবা যারা ডিফেন্সিভ তারাই করে থাকে...।
কে হিজাব পরবে আর কে পরবে না তা নিয়ে এমন সরলীকরন যারা করলেন তারা যদি জানতেন যে আপনার শরীরে যত কোষ আছে তার চেয়ে ৫ গুন বেশী আছে ব্যাক্টিরিয়া কোষ, তাহলে এমন হাস্যকর তুলনা করতেন না.....আর মহিলাদের ভিতর তো কোষের সংখ্যা আরও কম (লোহিত কনিকা কম)। যে পাচগুন বেশী আছে সে কেন তার চেয়ে কম সংখ্যার জন্য এত 'উতলা' হবে?
ব্যাক্টেরিয়া কেন মেমব্রেন ভেদ করে আসতে বলবে কোষের অর্গানেলদের, তার নিজের কোষ ই তো মেমব্রেন দিয়ে ঢেকে আছে।
আর অর্গানেল মেমব্রেনের কথা বলছেন??? যে মেমব্রেন এর মাঝে হাজার/লক্ষ ফাকা যায়গা (আয়ন চ্যানেল), তার ভিতর দিয়ে তো সব দেখা যাবে...তখন তো আর পর্দা থাকবে না
রেটিকুলাম তো সাইটো প্লাজমেই আছে.....ব্যাক্টিরিয়া রেটিকুলাম কে সাইটো প্লাজমে আসতে বলবে কেন?
যার ইচ্ছা সে হিজাব পড়বে যার ইচ্ছা সে পড়বে না...এখানে এমন হাস্যকর তুলনা কেন????
সবার উচিত যার যার নিজস্ব ডিসিসন কে সন্মান করা.....এখানে কে হিজাব পড়ল না সেটার বিপরীতে যদি মনে করেন সে বিকিনি পরে ঘুড়ে বেরাচ্ছে, সেটা আপনার প্রবলেম। আর যে হিজাব পড়ছে তার ডিসিসন কে আপনি পদদলিত করতে পারেন না...আমি নিজে লিবারেল মাইন্ডের লোক কিন্তু আমার ল্যাবে হিজাব পড়েই সৌদি দুই নারী কাজ করে যাচ্ছে...আমার কাছে তাদের কাজ টাই মূখ্য....
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭
কুকরা বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৬
পলাতক মুর্গ বলেছেন: মৌলবাদি লেখা যদিও লেখার ধরণটা ইন্টেলেকচুয়াল।