নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কুকরা

একজন সতর্ক কুকরা।

কুকরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন নাস্তিক মামা এবং এক রুপবতী বালিকার গল্প

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৪৫

১ম পর্ব:
=====

জনৈক জ্ঞানী নাস্তিক মামা একদা ভ্রমন করিবার জন্য বিমানে উঠিলেন। তিনি লক্ষ করিয়া দেখিতে পাইলেন তাঁহার পাশের সিটে বসিয়া এক রুপবতী বালিকা মনোযোগ দিয়া বই পড়িতেছে। নাস্তিক মামা যার পর নাই আনন্দিত হইলেন। এই বালিকার সহিত গল্প করিয়া ভ্রমনের সময়টুকু কতটা আনন্দদায়ক হইবে তাহা ভাবিয়া তিনি পুলকিত হইলেন। নাস্তিক মামা গলা খাকরি দিয়া বালিকাটিকে বলিলেন, "তুমি কি আকাশ ভ্রমনের সময়টুকু গল্প করিয়া কাটাইতে চাও? ইহাতে সময় দ্রুত কাটিয়া যাইবে।"

বালিকা সন্দেহের চোখে তাকাইয়া উত্তর দিল, "আপনি কি বিষয়ে গল্প করিতে চান?"

নাস্তিক মামা একটু ভড়কাইয়া গিয়া বলিলেন, " না মানে , ...... এ্য্য....এইধর........ এ্য্য.......সৃষ্টিকর্তা বলিয়া কাহারো অস্তিত্ব নাই, বেহেশত নাই, দোজখ নাই ....... মৃত্যুর পরে কোন জীবন নাই -- এইসব বিষয়ে আরকি।" (কথাটি বলিয়া নাস্তিক মামা কাষ্ঠ হাঁসি হাসিলেন)

বালিকা বলিল, "ওকে ঠিক আছে, আপনার গল্পের বিষয়বস্তু খুবই ইন্টারেস্টিং, কিন্তু তার আগে আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।"

"কি প্রশ্ন?", নাস্তিক মামা সাগ্রহে জানিতে চাহিলেন।

"ছাগল, গরু এবং ঘোড়া - এরা সবাই ঘাস খায় কিন্তু ছাগলের হাগু ছোট ছোট গুটি টাইপ, গরুর হাগু একথাল কাদার মত আবার ঘোড়ার হাগু বেশ শক্ত এবং লম্বাটে সাইজের, একই খাবার খাওয়ার পরেও এদের হাগুর ধরন আলাদা কেন? এই বিষয়ে আপনার কি ধারনা?"

নাস্তিক মামা বালিকার বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্ন শুনিয়া বেশ খানিকটা সারপ্রাইজড হইয়া উত্তর করিলেন,"....হুম.. আমার এই বিষয়ে কোন ধারনা নাই"

বালিকা বলিল, "এই সাধারন জিনিসটা না জানার পরও আপনি কি সত্যি সত্যি নিজেকে 'সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব বিষয়ক আলোচনার জন্য' যথেষ্ট যোগ্যতা সম্পন্ন মনে করেন?" (ইহা বলিয়া বালিকা পুনরায় বই পড়িতে আরম্ভ করিল)



২য় পর্ব:
=====
রুপবতী বালিকার নিকট হাতে নাতে ধরা খাওয়ার পরে নাস্তিক মামার আকাশ ভ্রমনের আনন্দ মাটি হইয়া গেল। ট্রানজিট এয়ারপোর্টে তিনি তাহার বন্ধু *বিবর্তনবাদী* মামার নিকট মেইল করিয়া হাগুর ধরন আলাদা হইবার কারন জানিতে চাহিলেন।

*বিবর্তনবাদী* মামা অনেক চিন্তা ভাবনা করিয়া উত্তর দিলেন "বিবর্তনের বিভিন্ন ধারায় তাহাদের হাগুর ধরণ পাল্টাইয়া গিয়াছে।"

নাস্তিক মামা ভাবিলেন এইবার বালিকাকে দেখিয়া লইতে হইবে। তিনি এয়ারপোর্টের ওয়েটিং লাউন্জে বালিকাকে খুঁজিয়া বাহির করিলেন, অতঃপর বালিকার নিকটে গিয়া উচ্চ্স্বরে বলিলেন "বিবর্তনের বিভিন্ন ধারায় তাহাদের হাগুর ধরণ পাল্টাইয়া গিয়াছে।"

ওয়েটিং লাউন্জের যাত্রিরা বিরক্ত হইয়া নাস্তিক মামার দিকে তাকাইল, কিন্তু বালিকা নাস্তিক মামার কথা শুনিতে পাইল না। ইহাতে নাস্তিক মামা পুনরায় উচ্চ্স্বরে বলিলেন "বিবর্তনের বিভিন্ন ধারায় তাহাদের হাগুর ধরণ পাল্টাইয়া গিয়াছে।"

আসলে বালিকার কানে ইয়ারফোন লাগানো ছিল, ফলে নাস্তিক মামার এই কথাটাও বালিকা শুনিতে পাইল না।

নাস্তিক মামা, অস্থির এবং অধৈর্য হইয়া উচ্চস্বরে ক্রমাগত বলিতে লাগিলেন:
"বিবর্তনের বিভিন্ন ধারায় তাহাদের হাগুর ধরণ পাল্টাইয়া গিয়াছে।"
"বিবর্তনের বিভিন্ন ধারায় তাহাদের হাগুর ধরণ পাল্টাইয়া গিয়াছে।"
"বিবর্তনের বিভিন্ন ধারায় তাহাদের হাগুর ধরণ পাল্টাইয়া গিয়াছে।"
"বিবর্তনের বিভিন্ন ধারায় তাহাদের হাগুর ধরণ পাল্টাইয়া গিয়াছে।"
"বিবর্তনের বিভিন্ন ধারায় তাহাদের হাগুর ধরণ.........

নাস্তিক মামা আর বলিতে পারিলেন না, একজন বৃদ্ধা মহিলা ক্ষিপ্ত হইয়া উঠিয়া আসিয়া ঠাশ করিয়া মামার গালে চড় লাগাইয়া দিলেন এবং আর একবার চেচামেচি করিলে থাপড়াইয়া নাস্তিক মামার পাতলা হাগু ছুটাইয়া দিবেন বলিয়া হুমকি দিলেন।

বৃদ্ধা মহিলার চড়ের আওয়াজে বালিকার চৈতন্য হইল। পাশের একজনকে প্রশ্ন করিয়া সে ঘটনাটি জানিয়া লইল। অতঃপর নাস্তিক মামার দিকে তাকাইয়া বলিল, "একজন বৃদ্ধা মহিলার চড় খেয়েই যদি আপনার শক্ত হাগু পাতলা হয়ে যায়, তাইলে হাগুর ধরন পাল্টানোর জন্য আবার বিবর্তনের দরকার কি?"

(কালেকটেড)

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৫৩

তার ছিড়া আমি বলেছেন: ধন্যবাদ। সুন্দর উপস্থাপনা।

আপনার লেখায় তথাকথিত জ্ঞানীগুণীরা মন্তব্য করবে না।

২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:১৩

নতুন নকিব বলেছেন:



মাঝে মাঝে এরকম নির্দোষ বিনোদনের প্রয়োজন রয়েছে বৈকি!

পৃথিবী ক্রমে নাস্তিকশুন্য হচ্ছে। একসময় এদের সংখ্যা জিরোতে পৌঁছে যাবে। এবং কেয়ামতের পূর্বে এটা হবে। হাদিসের ভবিষ্যত বানী এরকমই।

ভাল থাকুন।

৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২২

পলাশবাবা বলেছেন: বাংলাদেশে নাস্তিকতার ব্যপ্তির মূল কারন নাস্তিকতার কারনে ইউরোপের ভিসা প্রাপ্তিতে সুবিধা হয় ..।.। ব্যপক সুবিধা.।

৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: দিন দিন পৃথিবীতে নাস্তিকদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: হাহাহাহাহ আমি আর কি বলবো আমি তো হাসতে হাসতে শেষ।

৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১৪

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আপনাদের মতো মানুষদের ছাগলামির কারণেই বোধহয় নাস্তিকতার বৃদ্ধি ঘটছে। মানুষ ধর্ম সম্পর্কে ক্রমেই সন্দিহান হচ্ছে।
কোন মানুষই নাস্তিক হয়ে জন্ম নেয় না, চারপাশের পরিবেশ তাকে ভাবায়। বিশ্বাসের সাথে বাস্তবতার মিল যখন পায় না, তখন ভিন্নভাবে ভাবতে চেষ্টা করে।

৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩২

নতুন বিচারক বলেছেন: হাহাহা দারুন ভাবে লিখেছেন।

৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: নাস্তিকতাবাদ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
বিজ্ঞান বলে শূন্য থেকে সবকিছু সৃষ্টি হয়ছে। অথচ বিজ্ঞান শূণ্য থেকে কিছুই সৃষ্টি করতে পারেনি। চুম্বক, লোহা, তেল ইত্যাদি প্রাকৃতিক সম্পদ যদি পৃথিবীতে না থাকত তাহলে বিজ্ঞান কিছুই তৈরি করতে পারতোনা। যেসব সূত্র বিজ্ঞানীগন আবিষ্কার করেছেন তা প্রকৃতিতে পূর্ব থেকেই বিদ্যমান ছিল; তাঁরা শুধু খুঁজে বের করেছেন। তা হলে পৃকৃতিতে থাকা এইসব প্রাকৃতিক সম্পদ কে সৃষ্টি করেছেন? এর উত্তর চাইলে সৃষ্টিকর্তাকে মানতেই হবে।
মানবজাতির শুরু থেকেই পৃথিবীতে ধর্ম ছিল, শেষ পর্যন্তও থাকবে। লক্ষ-কোটি মুসলিম আছে যারা মৃত্যুর বিনিময়েও ইসলাম ত্যাগ করতে চাইবেনা। মোটকথা, পৃথিবী থেকে ধর্মকে উচ্ছেদ করা অসম্ভব ব্যাপার। অসম্ভবের পিছনে ছুটা মূর্খতা। নাস্তিকরা মূর্খ। পার্থিব জীবন ক্ষণস্থায়ী, পরকাল চিরস্থায়ী। উভয় জীবনে সূখী হওয়ার জন্য ইসলামের কোন বিকল্প নেই।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

কুকরা বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++++

৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: হা হা হা বেশ উপভোগ্য । আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ সুন্দর গল্প উপহার দেবার জন্য ।

শুভ কামনা রইল ।

১০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫

আনু মোল্লাহ বলেছেন: খুবৈ মজা পাইছি।
অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.