নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কুকরা

একজন সতর্ক কুকরা।

কুকরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুনশ্চ: যেই ব্যক্তিটি নিজের গাঁটের ৬০০ একর জমি দিয়েছিলেন: তার নাম নবাব সলিমুল্লাহ। তাকে সবাই ভুলে গেছে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২৭

আজকে বাংলাদেশে কত ভার্সিটি হয়েছে। ঢাবি, রাবি, চবি..... কত ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল..... বুয়েট, কুয়েট, রুয়েট, চুয়েট... কত মেডিকেল কলেজ হয়েছে, ডিএমসি, সলিমুল্লাহ, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, কত ...... শেষ নেই। ১৯৯০ এর পর হয়েছে প্রাইভেট ভার্সিটিগুলো ... নর্থ সাউথ, ইস্ট ওয়েস্ট, আহসানউল্লাহ.....

এগুলো কিছুই হতোনা, আমরা থাকতাম সব অশিক্ষিত .... এমনটাই হবার কথা ছিল। ইভেন জানতাম না, যে ফেইসবুকে কিভাবে বাংলা লিখতে হয়।

জানতাম না, অভ্র র কথা। মেহেদী হাসান ভাই য়ের অভ্র বানানো? মোস্তফা জব্বারের বিজয়? অস্তিত্ব ও থাকতোনা ... কারণ মেহেদী হাসান বা মোস্তফা জব্বার কে তো আগে বাংলা জানতে হবে , একটা ডিগ্রী নিতে হবে?

কিন্তু তা হয়নি। আলহামদুলিল্লাহ ....

কারণ সেই ১৮৯০ থেকেই একজন লোক বুঝতে পেরেছিলেন, যে পূর্ব বঙ্গের লোকজনে দুনিয়াবী এডুকেশন পায়না, কারণ এখানে কোন ভার্সিটি নাই, মেডিকেল কলেজ নাই, ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল নাই।

এখানে সবাই নাকি চাষা পুষা, পাগোল ছাগোল, ঠিকমতন বাংলাও নাকি বলতে পারেনা। কি সব আঁই, তুঁই, আন্নে ... ন যাইয়ুম , ন খাওয়ুম,..... খাইবাম , করবাম,.... হামাক ভাত দে, বাহে.... ইতা খিতা কস.... এইভাবে বাংলা বলে, এটা কি বাংলা হয়েচে দাদা?

দু-চারটে বাংলা ঠিক মতন বলতে না পারলে কি পশ বাংলা হয়? এরা যেহেতু পশ বাংলা বলতে পারেনা, তাই এদের বাংলা শিখানোরই দরকার নাই, আর গণিত-ভূগোল-সাইন্স এগুলো শিকে এরা কি কব্বে শুনি?

এ কথাই কলকাতা এলিট রা ব্রিটিশ দের বললো। তো ব্রিটিশরাও ঝামেলা করতে চাইলোনা, কারণ কলকাতা দিয়েই পুরো ভারত বর্ষ চালাতে হয়।

কিন্তু সেই ব্যাক্তি নিজের গাঁট থেকে ৬০০ একর জমি দিয়ে ব্রিটিশদের সাথে পারলে যুদ্ধ করে ব্রিটিশ দের থেকে ঢাকা ভার্সিটি, বুয়েট আর ঢাকা মেডিকেল কলেজ আদায় করে নেয়। শুধু এ কারণে, যে তিনি চেয়েছিলেন মুসলিমরা যে বর্তমান জ্ঞান-বিজ্ঞান থেকে দূরে না থাকে। তারা যেন এগিয়ে যায়। ওই জমির বর্তমান বাজার মূল্য কয়েক হাজার কোটি টাকা হতে পারে এখন।

যে কারণ আজ বাংলাদেশ শিক্ষিত। যে কারণে আপনারা এখন অভ্র না বিজয় তা নিয়ে এটলিস্ট তর্ক করতে পারেন। যে কারণ দেশের বাহিরে ফান্ডিং নিয়ে পড়তে আসেন, ডলার কামান। না হলে আমরা হতাম সোমালিয়া, থাকতাম অশিক্ষিত... হয়তো রাস্তায় দাড়াইয়া মুরিটুরি বেচতাম আরকি। একটা দেশে যেই তিন ধরনের মানডেইন এডুকেশন সিস্টেম দরকার, সেই তিন ধরনের স্কুল ই হল ডি ইউ, বুয়েট আর ডি এম সি। অন্য সব ভার্সিটিগুলো আসলে এগুলো থেকে হয়েছে।

[মুরি বেচা খারাপ কিছু তা না, তবে দেশের সবাই যদি মুরিই বেচে , সেটা দেশের জন্য খারাপ, সেটা বুঝাইছি, কাউকে না কাউকে তো পড়াশোনা করতে হবে, তাইনা? ]

পুনশ্চ: যেই ব্যক্তিটি নিজের গাঁটের ৬০০ একর জমি দিয়েছিলেন: তার নাম নবাব সলিমুল্লাহ। তাকে সবাই ভুলে গেছে। অবশ্য তিনি চাইতেন ও না যে মানুষ তাকে মনে রাখুক। হী ডিড হিজ জব। ওয়েল ডান। ব্রাভো, কুদোস।

আর যেই কলকাতা এলিট রা ব্রিটিশদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল, যাতে ঢাকা ভার্সিটি না হয়, হলে এইসব মূর্খ রা পড়াশোনা শিখে যাবে, উন্নতি হবে, জমিদারী থাকবেনা... সেই কলকাতা এলিট দের গুরু ছিলেন

''রবীন্দ্রনাথ ট্যাগর'', সাথে আপনাদের প্রিয় আরো অনেকে।

রবীন্দ্রনাথ ট্যাগর কে নিয়ে উৎসব করেন, বেশী করে। ঢাকা ভার্সিটি থেকে।

ইতিহাস ১৯৭১ থেকে শুরু হয়নাই, ১৮৫৭ থেকে পড়বেন, তাহলে বুঝবেন।

বিশেষ কথা:

''সলিমুল্লাহ'' কে নিয়ে উৎসব করতে বলি নাই, শুধু ইতিহাসটা জানার জন্য পোস্ট টা দিছি।

বাংলাদেশ সরকার যদি রাঙ্গামাটিতে চাকমাদের জন্য একটা ভার্সিটি করতে যায়, তাহলে যদি ফরহাদ মজহার জাতীয় কেউ বলে যে এরা শিক্ষিত হয়ে গেলে বিপদ, ভার্সিটি করা যাবেনা? তাহলে ভবিষ্যতে চাকমারা ফরহাদ মজহার কে কি অসাম্প্রদায়িক হিসেবে গুনবে, আর তাকে নিয়ে উৎসব করবে? করবেনা।

তার কবিতাকে জাতীয় সংগীত বানানো? হেহে...........

এইটাই হল পয়েন্ট।

যারা অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে বেড়ান, তারা নিজেরাই তো সাম্প্রদায়িক। রাইট?

আরও কিছু তথ্য: পশ্চিমবঙ্গে, মোট জনসংখ্যার ৩০% ভাগ মুসলিম। অথচ সরকারী চাকরি- বাকরি, পুলিশ-আমলা, বেসরকারী বিজনেস, ভার্সিটিতে এনরোলমেন্ট , টপ জব এ মুসলিমরা মাত্র ২-৩-৪% ।

বাংলাদেশেও তাই হইতো , যদি দুই বাংলা ভাগ না হতো। যারা দুই বাংলা ভাগ হওয়া ভুল ছিল বলেন, তারা কি চায় বুঝেন তাহলে ?

ইডেন গার্ডেন কেন সাকিব-মাশরাফীকে সমর্থন না দিয়ে পাকিস্তানীদের দিছে জানেন? কারণ সাকিব-মাশরাফীরা তো চাষা-পুষা, পাগুল-ছাগুল, বাংলাই বলতে পারেনা..... আর পাকিস্তানীরা? মাশাআল্লাহ, এলিট শ্রেণীর লোক। হেহে

[জাস্ট , মেন্টালিটি বুঝানোর জন্য বললাম, ক্রিকেট খেলাকে প্রপাগেট করাতে নাহ]

কর্টেসি: M. Rezaul Karim Bhuyan / ফেসবুক

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি- তার জমি বেদখল হয়ে গেছে অনেকখানি।

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

শাহাদাত নিরব বলেছেন: যার দান করা ৬০০ একর জমির উপর আজকের ঢাকা বিশবিদ্যালয়,ঢাকা মেডিকেল, বুয়েটের মত দেশের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানগুলো দাঁড়িয়ে আছে অথচ তার মৃত্যু বার্ষিকীতে এই সব প্রতিষ্ঠানে কোনো দোয়ার আয়োজন করা হয় না, হয় না কোনো স্মৃতিচারন মুলক অনুষ্ঠান।
অন্যদিকে তৎকালীন সময়ে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাঙ্গালী বিদ্বেষ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধীতার কথা কম বেশি সবার জানা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু বিরোধিতা করে ক্ষান্ত হন নি বরং তিনি ব্রিটিশদের সাথে রীতিমতো দেন-দরবার করেছেন যাতে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় না হয় এমনি রবীন্দ্রনাথ এক অনুষ্ঠানে দাম্বিকথার সাথে বলেছিলেন “মুর্খের দেশে আবার কিসের বিশ্ববিদ্যালয় তারাতো ঠিকমতো কথাই বলতে জানে না” শুধু তাই নয় এদেশের মানুষকে কটাক্ষ করে রবী ঠাকুর বলেছিলেন “সাত কোটি সন্তানের হে মুগ্ধ জননী, রেখেছো বাঙ্গালী করে মানুষ করোনি”
অথচ তার জন্মদিন,মৃত্যু দিবস, সাহিত্য উৎসব সহ সকল কিছু পালন করা হয় আর যে বঙ্গসন্তান ঢাকা বিশবিদ্যালয়ের রুপকার “নবাব স্যার সালিমুল্লাহ” কে আজকের শিক্ষার্থী রা অনেকেই চিনেই না।
এতটাই আধুনিক হয়ে গেছি আমরা এতটা অকৃতজ্ঞ যে বলতেও লজ্জা করে।

৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২০

এম এম করিম বলেছেন: গাঁটের জমি কথাটা মনে হয় ঠিক না। প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক-কে নিয়ে সরদার ফজলুল করিম এবং আহমদ ছফা যে বই দুটি লিখেছিলেন তার কোনোটিতে এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা ছিল। এখন বিস্তারিত মনে নেই। খুব সম্ভবত প্রথম বইটাতে।

৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

কাতিআশা বলেছেন: অনেক অজানা তথ্য জানলাম..ভালো লাগলো!

৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৪

আবু তালেব শেখ বলেছেন: কমেন্টের উঃ দিতে পারেন না? তবে পোস্ট করেন কেন?

৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪০

তার ছিড়া আমি বলেছেন: অজানা ইতিহাস জানতে পেরে ভাল লাগলো। ধন্যবাদ।

৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

আমার আব্বা বলেছেন: Brilliant+++

৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ভালো বিষয় তুলে ধরেছেন।

৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

তারেক ফাহিম বলেছেন: আপনি কী হে হে করে হাসেন ;)

ব্লগের বিভিন্ন স্থানে হেহে দেখে জানতে চাইলুম।

আমি হে হেহে হেহে হেহে হেহে হে....

১০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২৯

দিলের্‌ আড্ডা বলেছেন: খুবই যুক্তিসঙ্গত কথাবার্তা।

১১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

অাব্দুল্লাহ অাল কাফি বলেছেন: আনেক কিছু আজানা ছিলো।নতুন কিছু জানলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.