নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কুকরা

একজন সতর্ক কুকরা।

কুকরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা একাডেমীর রবীন্দ্রানুভুতি সচ্ছল হলেও সাড়ে তিন হাজার প্রকাশনা গুম!

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

বাংলা একাডেমী এযাবৎ যত বই ও পত্রিকা প্রকাশ করেছে, তার প্রায় চার ভাগের তিন ভাগই দীর্ঘদিন ধরে পাওয়া যাচ্ছে না।(১) প্রথম মুদ্রণ শেষ। পুনর্মুদ্রণ বন্ধ। এ কারণে বহু প্রয়োজনীয় বই পাঠকেরা চাইলেও হাতে পাচ্ছে না। একাডেমী কর্তৃপক্ষ বলেছে, অর্থাভাবে পুনর্মুদ্রণ সম্ভব হচ্ছে না। ২০১১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত একাডেমী থেকে প্রকাশিত বই ও পত্রিকার সংখ্যা চার হাজার ৭১৩টি। ২০১১ সালের এই রিপোর্ট মোতাবেক একাডেমীর বর্তমান বিক্রয়যোগ্য প্রকাশনার তালিকায় রয়েছে মাত্র এক হাজার ৩৪৭টি বই ও ছয়টি পত্রিকা। এই তালিকাভুক্ত বইয়ের মধ্যেও শতাধিক বই বিক্রি হয়ে গেছে বলে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রকৃতপক্ষে একাডেমীতে এখন বই সাকল্যে প্রায় এক হাজার ২০০। বাকি সাড়ে তিন হাজারের বেশি বই ও পত্রিকার পুনর্মুদ্রণ বন্ধ। বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুনর্মুদ্রণের জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, সরকার সেই পরিমাণ অর্থ আমাদের বরাদ্দ দেয় না। বই বিক্রির টাকা দিয়ে এসব বইয়ের পুনর্মুদ্রণ করা হয়।’ (২)

বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালকের কথা যদি সত্য হয় তাহলে প্রশ্ন জাগে এত অর্থসংকট থাকা স্বত্বেও একাডেমীর ওয়েবসাইটের তথ্য মোতাবেক সেখানে এখনো কর্মরত ১১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কি কাজ করে বেতন নেন?(৩)

২০১২ সাল থেকে প্রফেসর আনিসুজ্জামান বাংলা একাডেমীর সভাপতি। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, রবীন্দ্র বিষয়ক গবেষণায় বাংলা একাডেমী সম্ভবত কলকাতা আকাদেমীকেও ছাড়িয়ে গেছে। কেবল ২০০০ সালের পর থেকে রবীন্দ্রনাথ রিলেটেড বই গবেষণা প্রকাশ করেছে বাংলা একাডেমী ৪৪টি। যার বড় অংশ ২০১২ সালের পর! কয়েকটি শিরোনাম এরকম- 'রবীন্দ্রনাথ ও বিজ্ঞান', 'রবীন্দ্রনাথের বিজ্ঞানচেতনা', 'অল্প একটু রবীন্দ্রনাথ' এগুলো ২০১১ সালে প্রকাশিত। রবীন্দ্রনাথের সামাজিক ও পরিবেশ বিষয়ক চিন্তা নিয়েও গবেষণা বের হয়েছে বাংলা একাডেমী থেকে যার শিরোনাম- ''Social and Environmental Thinking of Rabindranath Tagore in the Light of Post Tagorian World Development'(৪)

রবীন্দ্রপুজারি হিসেবে আনিসুজ্জামানের খ্যাতি আকাশসম। ব্যক্তিগতভাবে উনি সে পূজা করতে থাকুন এতে আমাদের কোন প্রশ্ন নাই। কিন্তু বাংলা একাডেমী একটি সরকারী প্রতিষ্ঠান, যা বাংলাদেশের গণমানুষের করের টাকায় চলে। অর্থের অজুহাতে বাংলা একাডেমী অতীব প্রয়োজনীয় গবেষণা, রচনাবলী, জীবনী, অনুবাদ ও সৃজনশীল সাহিত্যগুলো পুনর্মুদ্রণ বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ জনগণের টাকা খরচ করে ঠিকই বাংলা একাডেমী রবীন্দ্রবন্দনা চালিয়ে যাচ্ছে। কেন? আনিসুজ্জামান এবং শামসুজ্জামান মহোদয়দেরকে কি কেউ এই প্রশ্নটা করবেন?

নোটঃ

(১) বাংলা ভাষায় জ্ঞানচর্চার ধারাকে সমৃদ্ধ করার অঙ্গীকার নিয়ে ১৯৫৫ সালের ডিসেম্বরে বাংলা একাডেমী যাত্রা শুরু করে। ১৯৫৭ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলা একাডেমী পত্রিকার প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত একাডেমী ৩১৭টি পত্রিকা ও বই প্রকাশ করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে মোট প্রকাশনা ছিল ৪৬৬টি। (প্রথম আলো, বাংলা একাডেমীর সাড়ে তিন হাজার প্রকাশনা পাওয়া যায় না, ২৯-০৩-২০১১, Click This Link)

(২) প্রথম আলো, বাংলা একাডেমীর সাড়ে তিন হাজার প্রকাশনা পাওয়া যায় না, ২৯-০৩-২০১১, Click This Link

(৩) দেখুন; বাংলা একাডেমী, কর্মকর্তাবৃন্দের তালিকা, https://banglaacademy.org.bd/?page_id=676

(৪) দেখুন; বাংলা একাডেমী, রবীন্দ্রনাথ বিষয়ক বই, https://banglaacademy.org.bd/?p=1340

কর্টেসি: মূলধারা বাংলাদেশ

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১৪

শুজা উদ্দিন বলেছেন: রবীন্দ্র বন্দনা না বলে আমি বলব কলকাতা বন্দনা। যেমন- কলকাতা প্রমিত বাংলা বানান ও কালিওকলম এর শুধু ডিসেম্বর সংখ্যায় আটটি প্রবন্ধ ও শ্রদ্ধাঞ্জলির ছয়টি কলকাতার সাহিত্যিকদের জন্য উৎসর্গিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.