নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও

সুশিক্ষা ও প্রযুক্তিই পারে একটি জাতিকে উন্নতির চরম শিখরে পৌছাতে।

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেস জীবন (উৎসর্গঃ হাবিব স্যার)

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৬



নিদ ভাঙ্গত সূর্যের আলো
গায়ে গতরে লাগলে,
গভীর রাতে ঘুমাতে গিয়ে
সকাল বেলা জাগলে।

বদনা নিয়ে টয়লেটে যাওয়ায়
লেগে যেত লাইন,
নিম্নদেশে চাপের চোটে
ক্রিয়া হতো ফাইন।

ব্রাশ গামছা নিয়ে যেতাম
করতে পুকুরে স্নান,
কালো পানি দেখার পরে
হৃদয়টা হতো ম্লান।

গোসল সেরে রুমে ফিরে
খাবার খাওয়ার পালা,
মিলগুলো সব যত্ন করে
সাজিয়ে রাখত খালা।

আলু ভর্তা আর পাতলা ডালে
আহার হতো বেশ
হাফ মিলের ঐ খাবার গুলো
নিমিষে হতো শেষ।

মেসের কাছেই কলেজ ছিলো
যেতাম পায়ে হেটে,
ক্লাস মিস প্রায় হতো
পৌছাতাম অতি লেটে।

দুপুর বেলা ফিরতাম মেসে
খিদেও লাগত চরম,
দুপুরের খাবার বেশ লাগত
থাকত ও একটু গরম।

দুপুর বেলা খাওয়ার পর
বন্ধ হতো রুম,
বিকাল সাড়ে চারটার পর
ভাঙ্গত গভীর ঘুম।

বিকাল বেলা ঘোরাঘুরি
সন্ধ্যায় ফিরে আসা,
রুমের ভিতর মাঞ্জা মারা
আড্ডা ও হতো খাসা।

রাতের খাবার খাওয়ার পরে
ধুমচে শুরু গল্প,
গলাবাজিতে সময় পার
পড়াশোনা হতো অল্প।

রাতের বেলা কয়েক বন্ধু
খেলতাম বসে তাস,
অভাব অনটনের মাঝেও মোরা
করতাম সুখেই বাস।

এখন পড়াশোনা শেষ করে
যে যার মতো ব্যস্ত,
পরিবারের দায়িত্ব এখন
আমাদের উপর ন্যস্ত।

পুরাতনরা জায়গা ছাড়ে
নতুনরা করে দখল,
দোয়া করি মেস মেটরা
ভালো থাকেন সকল।

আসা যাওয়ার এই খেলাটা
প্রকৃতির অমোঘ রীতি,
মেস কাব্য লেখা আমি
টানলাম এখন ইতি।

তাং ০৭/১২/২০১৮ খ্রীঃ
ছবিঃ যথারীতি গুগুল থেকে নেয়া

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহা! কি সুখেই না দিন কাটাতাম। পুরানো স্মৃতির উপর সুন্দর মেস জীবনের ছড়াটি বেশ উপভোগ্য লাগলো।

অভিনন্দন হাবিবভাইকে। ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর উপস্থাপনার জন্য।

শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।


০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪২

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জন্য একরাশ ধন্যবাদ। বেশ কিছুদিন পর ব্লগে আসলাম। আশাকরি আপনি ভালো আছেন। নিরন্তর শুভকামনা জানবেন ।

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মেস জীবনের ভারটা
হাবিব স্যারকে কেন
বহন করতে দিলেন।

ছড়া সুন্দর হয়েছে্

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৭

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: এর আগে ' কি করি আজ ভেবে না পাই, প্রামানিক ' ভাইদের ছড়াঞ্জলি দিয়েছিলাম, আজ হাবিব স্যারকে দিলাম, সামনেরটা আপনাকে দিবো ইনশাআল্লাহ।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ৷।

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫০

হাবিব বলেছেন: এইটা কি হলো...????

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৩

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: ঠেলা বুঝেন।
আপনাকে মনে ধরেছে জোস।
অবশেষে পেলাম।

৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আহা....
সুন্দর !

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৩

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৩

হাবিব বলেছেন: নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে....। কৃতজ্ঞতা তিনরাশ...

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৭

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: আপনার মেস জীবন নিয়ে লেখা দেখে নিজের মেস জীবনের অভিজ্ঞতা একটু শেয়ার করার ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। পাঠ করে মন্তব্যে করলেন বেশ অনুপ্রাণিত হলাম।

৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৩

অধৃষ্য বলেছেন: মনে করিয়ে দিলেন?

আহা কী ডাল! কী আলুভর্তা! তরকারিরই বা কী স্বাদ!

আমরা অবশ্য পাকা বাথরুমে গোসল করতাম, মেসটা যদিও গ্রামে।

পড়ে সুখ পেলাম।
৮নং লাইনে ক্রিয়ার বদলে ফিলিং দিলে কেমন হয়?

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৩

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: মেসে আমার কাছে দুপুরের খাবার একটু ভালো লাগত। সকাল আর রাতে ডাল হতো আহ সেকি!! কলের পানি মনে হয় ভালো লাগত ঐ ডালের চেয়ে।
ফিলিং দিলেই মনে হচ্ছে ভালো লাগত।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

হাবিব বলেছেন: একদম বাস্তব ....ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৯

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন:



ভালো লাগা জেনে আমার
মনটা হলো খুশি,
আপনার পোস্ট ভারি মজা
আরও লাগে জুসি।

৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১০

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: মেস জীবন খুব সমস্যা হল আল আর ডিম। এই জিনিস গুলো তৈরি করার জন্য তারা নোবেল পুরস্কার এর উপযুক্ত।।। আমাদের মেসে যে মামা থাকতো। সে ১ডিমকে ৪ভাগ করে করতো। একসাথে সব ডিম রেখে ছোট চামচ দিয়া একটু একটু তেলে ভাজত।হায় সেই ভাজি যে কি পাতলা। লেখার কাগজ

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৬

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: মেস জীবন খুব সমস্যা হল আল আর ডিম। এই জিনিস গুলো তৈরি করার জন্য তারা নোবেল পুরস্কার এর উপযুক্ত।।। আমাদের মেসে যে মামা থাকতো। সে ১ডিমকে ৪ভাগ করে করতো। একসাথে সব ডিম রেখে ছোট চামচ দিয়া একটু একটু তেলে ভাজত।হায় সেই ভাজি যে কি পাতলা। লেখার কাগজ
১ ডিম চার ভাগ তাও আবার চার ভাগ!!! ওরে আল্লাহ ছেড়ে দে মা কেঁদে বাচি।

৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩০

আলমগীর কাইজার বলেছেন: বাহ, বেশ সুন্দর। মেস জীবনের অনেক কিছুই মিলে যায়। বেশ ভালো হয়েছে। শুভকামনা রইলো।

১০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: আহারে----

১১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: আহারে----

১২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৬

হাবিব বলেছেন: আপনি কোথায়??? আপনাকে মিস করছি.........

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.