নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আর সবার মতোই।

গন্ডোলার মাঝি

আপনার পরিচয় সম্পর্কে কিছ লিখুন

গন্ডোলার মাঝি › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প-মাংস(১৮+)

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪

জয়নাল সাহেবের আজ ৩য় বিবাহবার্ষিকী। তিনি একটি সরকারি অফিসে চাকরী করেন।এত কিছু তার মনে থাকে না।কিন্তু তার স্ত্রী তাকে সারপ্রাইজ দিবেন বলে অনেক কিছু রেঁধেছেন, জয়নাল সাহেবের জন্য একটা বাদামী কালারের সার্ট,কিছু গোলাপ ফুল এনে রেখেছেন।
জয়নাল সাহেবের আজকের দিনটার কথা স্পষ্ট মনে আছে ২০ অক্টোবর তার আগের ২ জন স্ত্রী খুন হয়েছিল।কিভাবে খুন হলো তা কেউ জানে না।১ম স্ত্রীর মাথা, হাত-পা ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায়নি।তার চেহারা চিহ্নিত করা যায় নি।কারন মনে হয়েছে লাশ টা শেয়াল কুকুরে খেয়েছে।
.
তার ২য় স্ত্রীর লাশ পাওয়া যায় নি।অনেক দিন নিখোজ থাকার পর পত্রিকায় ছবি দেখে এক লোক খবর দেয় এরকম চেহারার লাশ তারা তিন মাস আগে পেয়েছিল।বস্তা ভরা মাথা আর মাংস হীন হাত -পা।পরে তারা এটিকে কবর দিয়ে দিয়েছিল।
.
.
জয়নাল সাহেব বাসায় এসে দেখেন তার স্ত্রী তার জন্য আহামরি কান্ড করে রেখেছে।এসব নতুন না।কিন্তু হঠাৎ করে এত আয়োজন কেন? আজ কি কোন বিশেষ কিছু?নাকি কোন কিছু আবদার করবে আমার কাছে?
.
'হঠাৎ এত আয়োজন কেন নীরা'
'মনে করে দেখো!তোমার তো কিছুই মনে থাকে না'
জয়নাল সাহেবের ২ স্ত্রীর মৃত্যুর কথা ছাড়া কিছু মনে পড়ছে না।তিনি বললেন,'কি আজ? কিছু তো মনে পড়ছে না। বলো না?'
'আজ আমাদের ৩য় বিবাহবার্ষিকী'
'ও'
'এমন ভাবে ও বললে যেন তোমার এ ব্যাপারে কোন গুরুপ্তই নেই?'
'তুমি কথা গুলো ঝগড়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছো'
'আমি নিচ্ছি না তুমি নিচ্ছো?'
তাদের মধ্যে অনেকক্ষন ঝগড়া চললো
-------------------+-------------
৩ঘন্টা পর জয়নাল সাহেব দরজায় কলিং বেলের আওয়াজ শুনে দরজা খুললেন।পাশের ফ্ল্যাট এর রেশমা ভাবী।এসেই বললেন,
'কি জয়নাল ভাই ভাবী কোথায়? ঝগড়া করছেন নাকি?'
'শুনেছেনই তো আবার জিজ্ঞেস করছেন কেন? '
'এই দিন ও কেউ ঝগড়া ঝাটি করে নাকি। ভাবী কোথায় ঘরে নাই?'
' আছে রান্না ঘরে'
রেশমা ভাবী রান্না ঘরে গিয়ে দেখেন কেউ নেই।জয়নাল সাহেবকে বললেন,'কোথায় রান্নাঘরে ভাবী তো নেই।এখনো ঠাট্টা করছেন?ভাবী কি তার ভাইয়ের বাসায় চলে গেল নাকি? দেখে আসেন। কোন কান্ড করে ফেলে'
জয়নাল সাহেব কোন কথা বললেন না। সোজা রান্না ঘরে চলে গেলেন।রেশমা ভাবী ও তার ফ্ল্যাটে চলে গেছেন।
.
.
অনেক দিন পর জয়নাল সাহেব নিজের হাতে রান্না করা মাংস খাচ্ছেন।প্রায় ৪ বছর পরে।মানুষের মাংস।কিছু ফ্রিজে রেখে দিয়েছেন কারন এসব মাংস সবসময় পাওয়া যায় না। আবার কখন বিয়ে করবেন আর মানুষের মাংস খাওয়া যাবে ঠিক নেই।মাথা আর মাংস হীন হাত পা গুলো এবার কোথায় গুম করবেন খেতে খেতে ভাবছেন।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: মোটামুটি। কাহিনী আগেই বোঝা যাচ্ছিল।
আবার চেষ্টা করুন!

আর গল্পের থিমটা আমার একটি গল্পের সাথে কাকতলীয়ভাবে হুবুহু মিলা গেছে।
গল্পটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন:

ভাল থাকুন শুভেচ্ছা রইলো।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২

গন্ডোলার মাঝি বলেছেন: আসলেই তো।দু:খিত থিমটা মিলে গেলো কিভাবে।

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: সাইকো গল্প। ভালোই লাগলো। আরেকটু থ্রিল দিলে বেশি ভালো লাগতো। এই ধরণের গল্পে গায়ে কাঁটা না পাইলে আসল মজাটা পাওয়অ যায় না।

আপনার লেখার হাত ভালো। শুভকামনা।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৪১

গন্ডোলার মাঝি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে দিগন্ত ভাইয়া।

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৩১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: বিভৎস!! :(

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৪২

গন্ডোলার মাঝি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৪৩

গন্ডোলার মাঝি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:০৬

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: লোমহর্ষক। ভাল লেগেছে।

৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৩১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
একই প্লটে আগেও একটা গল্প পড়েছিলাম। ওটার থেকে আপনার একটু ভাল লাগলো।

যদিও গল্পের পূর্ণতা আসেনি। এই ধরণের গল্পগুলো পরিপূর্ণ থ্রিলিং ভাব দিয়ে লিখতে পারলে পড়ে মারাত্নক তৃপ্তি পাওয়া যাবে।

যদিও - এসব মানুষখেকো ক্যারেক্টারের গল্প পড়লে চোখে হ্যানিবেল লেক্টারের দৃশ্যই ভাসে।

লিখে যান। হাতে বেশ থ্রিল আছে। লেখায় চৌকসতা আছে। পূর্ণ থ্রিল দিয়ে লেখার চেষ্টা করুন। পরিসরটা বড় করুন।

৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৯

কালীদাস বলেছেন: থিমটা পুরান, আগেও কয়েকটা লেখা পড়েছি কাছাকাছি কাহিনীর।
তবে আপনার লেখার হাত ভাল। চালিয়ে যান :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.