নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরিচয় দেয়ার মত কেউ হয়ে উঠতে পারিনি এখনো,তবে চেষ্টায় আছি ;)
আসলে আমরা সবাই ব্যস্ত,
যে যার মত যে যার নিজস্ব কাজে
ব্যস্ত আমরা,
এই যেমন,এখন আমি ব্যস্ত,
বন্ধুর দেয়া নতুন কলম দিয়ে
ব্যর্থ কবিতা লেখার চেষ্টায়,
আমার মা ব্যস্ত ড্রয়িং রুমে রাখা
বোকাবাক্সে প্রচারিত হিন্দি সিরিয়ালে,
বাবা ব্যস্ত,ঋণখেলাপীর বোঝা মাথায় নিয়ে,
ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে নাক ডাকা'তে,
এবার ঘরের দরজাটা খোলা যাক,
বেড়িয়ে পড়া যাক গলিতে্,
গলি পেরিয়ে একটু রাস্তার দিকে,
যেখানে সবাই ব্যস্ত নানা কাজে,
কলেজ ফিরতি কিশোরী ব্যস্ত
বয়ফ্রেন্ডের সাথে মোবাইলে কথোপকথনে,
বেচারী বড়ো নিরুপায়,
বাসায় মায়ের খবরদারী,রাস্তায় বখাটের
টিটকারী মাখা খিস্তি,
ও হ্যা ! বখাটেরাও ব্যস্ত,
দুচোখ ভরে,এলাকার সবকটি নারীর
স্তন এবং নিতম্ব পরিমাপে,
এরা জ্যামিতি পরীক্ষায় শুন্য পেলেও
স্তন আর নিতম্ব পরিমাপে,পিথাগোরাসকেও
হার মানায়,
চলো ! এবার একটু বাস স্ট্যান্ডের দিকে যাওয়া যাক,
বাহ ! এখানেতো বেশি ছান্দিক পরিবেশ,
মোড়ে বসা সার্জন ঘুষ খাচ্ছে,
একটু আওয়াজ পাচ্ছি,টুং টাং চামুচের,
ও আচ্ছা ! এতো দেখি শরবতওয়ালা,
একটু একটু দৌড়ভঙ্গি করে,বাসে উঠছে যাত্রীরা,
যাত্রা করছে গন্তব্যে,তবে গন্তব্যটা কোথায়?
কেউ জানেনা,
হতে পারে মহামুক্তি ধ্বংসের কোলে,
অথবা,ভাড়া করা প্লাস্টার খসা মধ্যবিত্ত ফ্ল্যাটে,
আজ যদি রবী ঠাকুর থাকতেন,
তবে বোধহয় তিনি,সোনার তরী না লিখে
সোনার বাছ লিখতেন,
যাকগে,এবার একটু হাইওয়ের দিকে যাই,
এখানের পরিবেশটা আমার প্রিয়,
রাস্তার পাশে লাগানো সরকারী গাছ,
একটু বাতাস এলেই,পাতার নৃত্য দেখায় এরা,
অনেকে ভাবে,এরা বুঝি অকর্মণ্য আর অলস,
কিন্তু এরাও ব্যস্ত,বেড়ে ওঠার জন্য,
হাইওয়ের পাশেপাশে হাটা বেশ উপভোগ্য,
সাইড দিয়ে সাই করে চলে যায় লংরুটের
যানবাহন,
শরীরে একটু হাওয়া লাগে,পশমগুলো দোলে,
জাগায় ক্ষনিক শিহরণ,
দূরে একটি মিল দেখা যাচ্ছে,শিল্পায়নের ফসল,
ওটাও মহাব্যস্ত,
মূলত আমরা সবাই ব্যস্ত,কেন জানো?
ধ্বংসের কোলে যাওয়ার জন্য,
সৃষ্টি ধ্বংস,প্রকৃতির দুই প্রেমিক প্রেমিকার নাম,
সৃষ্টি অনবরত উপহার দেয়,আর ধ্বংস
যতন করে রাখে সেই উপহার,চিরকাল.....................
©somewhere in net ltd.