নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I have a dream...

নিরন্তর সত্যের উপর পথ চলি, দুমড়ে মুচড়ে দেই সব বাধা!

আব্দুল হালিম মিয়া

আব্দুল হালিম মিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেল করেন আর পাস করেন, যতদিন বেঁচে বর্তে আছেন, আপনার পঁচা রদ্দি নেতৃত্বই দল ও জনগনকে মেনে চলতে হবে!

১৪ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:৫৮

কানাডার অন্টারিও প্রদেশের টরন্টোতে বাস করি অনেক বছর হলো, দেড় যুগেরও বেশী। এই প্রদেশটা বরাবরই লিবারেল পার্টির ঘাটি। সরাসরি অনেক বছর লিবারেল পার্টির রাজনীতিতে অফিসিয়াল সদস্য ছিলাম। কয়েকবছর সেটা আর রিনিউ করা হয়নি। মুলত jean chretien নেতৃত্ব থেকে চলে যাবার পর আর উৎসাহ পাই নি। এবার অবশ্য অনেক বছর পর ট্রুডোর ছেলে এসে পার্টির হাল ধরেছে এবং যথেষ্ট সাড়াও তিনি পাচ্ছেন।



যাই হউক গতকাল সেই অন্টারিও প্রদেশে নির্বাচনটা হয়ে গেল। আমি যখন প্রথম এই শহরে আসি তখন ছিল কট্টর কনজারভেটিভ মাইক হেরিসের যুগ। তাকে তখন সবাই খুবই ডিজ লাইক করা শুরু করেছে। তারপর তাকে হারিয়ে এলেন লিবারেল পার্টির ডলটন ম্যাকগুয়েনটি। খুব ভাল অবস্হায় এসে বিগত এক দশকে চলে যাবার আগে দলকে প্রায় ডুবু ডুবু অবস্হায় নিয়ে গিয়েছিলেন। কিছুদিন হলো দলের ও সরকারের হাল ধরলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ক্যাথলিন উইন। সবাই ভেবেছিলেন তার পক্ষে দলকে টেনে তুলা সম্ভব হবে না। কনজারভেটিভ পার্টি হুদাককেই অনেকে ফেবারিট ভেবেছিলেন। পরে আস্তে আস্তে সবকিছু পাল্টে গেল। গতকালের নির্বাচনে ক্যাথলিন মেজরিটি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন সেটা হয়তো তিনি নিজেও ভাবতে পারেন নি।



অফিস শেষ করে বাসায় প্রবেশের মুহুর্তে কথা হয় প্রিয় ইউসুফ ভাইয়ের সাথে। সিদ্ধান্ত হলো ভোট দিতে যাব একসাথে। তিনি এলেন আমাকে নিতে। প্রশ্ন করলেন কাকে ভোট দিব। আমি একটু চিন্তা করে বললাম, লিবারেলকেই দিয়ে দিন। প্রার্থীকে চিনি না। নাম নিয়ে দু'জনের একটু দ্বিমত হলো। মুহুর্তেই রাস্তার পাশে লাল রঙের পোষ্টার দেখিয়ে বললাম ওই যে ওই লোকটাকে ভোট দিন। ব্যাস দূজনেই ভোট দিয়ে টিম হরটনে কিছুক্ষন কফির সাথে আড্ডা চললো। ঘুনাক্ষরেও মনে পড়লো না যে আমরা একটা সেকেন্ডও ব্যায় করেছি কে জিতবে কে হারবে অথবা নির্বাচনী কোন বিষয় নিয়ে। যতক্ষন বসে ছিলাম অফিসের আলোচনা আর কিছু রিক্রিয়েশন বিষয়ক পার্সোনাল কথাবার্তা।



বাসায় এসে ভোট শেষ হবার কিছু পর টিভি অন করে দেখি লিবারেল পার্টির জয় জয়কার। বাসার সবাইকে বললাম নেতাদের বক্তৃতাগুলো শুনতে। কনজারভেটিভ পার্টির পরাজিত তরুন নেতা ঘোষনা দিলেন নেতৃত্ব থেকে সরে গিয়ে নুতন কাউকে দায়িত্ব দেবার। চমৎকার গঠনমুলক ও উৎসাহব্যান্জক বক্তব্য দিলেন এনডিপি নেত্রীও। এরপর এলেন লিবারেলের ক্যাথলিন উইন। তার বিজয়ী বক্তৃতা দিতে। চমৎকার সব কথার মধ্যে যে কথাটা আমার কানের মধ্যে চিরদিনের জন্য ঢুকে গেল তা হলো, '...এই অন্টারিও প্রদেশের যে কেউ, যে কোন ব্যাক্তই এই প্রদেশের প্রিমিয়ার বা মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন, হবার যোগ্যতা রাখেন........", যেটা আমাদের দেশে স্বপ্নেও সম্ভব না।



আমাদের দেশে দুটো পরিবারের বাইরে আগামী বিশ ত্রিশ পন্চাশ বছরেও কেউ প্রধানমন্ত্রী হবার স্বপ্ন দেখতে পারবে না। তাহলে বলুন, আমরা কিভাবে গনতান্ত্রিক দেশের দাবী করতে পারি। আমাদের দেশ কোনভাবেই গনতান্ত্রিক দেশ বলে দাবী করতে পারে না।



কনজারভেটিভ পার্টির নেতা টিম হুদাক বয়সে অনেক তরুন ও প্রতিশ্রুতিশীল, প্রতিভাবান রাজনীতিক। তাতে কি, হু কেয়ারস এ্যাবাউট ইট। যেহেতু তিনি দলকে বিজয়ী করতে পারেন নি, সুতরাং রাস্তা মাপা ছাড়া তার আর কোন রাস্তা নেই। অন্যকে সুযোগ দিতেই হবে। এটার নামই গনতন্ত্র। আর আমাদের দেশে? ফেল করেন আর পাস করেন, যতদিন বেঁচে বর্তে আছেন, আপনার পঁচা রদ্দি নেতৃত্বই দল ও জনগনকে মেনে চলতে হবে। তারপর আবার আপনাদেরকেই গনতন্ত্রের সাধক বলে পদক দিয়ে যেতে হবে! হোয়াট এ্যা রাবিশ!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:৪৪

কেএসরথি বলেছেন: ঘটনা সত্য!

২| ১৪ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৭:০৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: গোহারা হারলেও দলের আর দেশের নেত্রি তারাই থাকবেন আর বয়স হলে তাদের গুষ্টিই থাকবে। আমরাই মানে ভোটাররাই আজব! ৮০% অশিক্ষিতের দেশে এটাই হয়!

১৪ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:১৯

আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: এর জন্য আমরাই দায়ী। তবে আমাদেরকে এই দুঃসহ অবস্হা থেকে অবশ্যই বের হয়ে আসতে হবে।

৩| ১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:১৯

গাওগ্যারামের পোলা বলেছেন: মাঝে মাঝে এ রকম ২/১ টা গল্প বলবেন ভাই। শুনেও ভাল লাগে। আমাদের দেশে তো স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনা এসব।

১৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:৩৬

আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা পড়ে শুধুই একটা দীর্ঘশ্বাষ বের হয়ে এলো ভাই। তবে আমি আশাবাদি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.