নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I have a dream...

নিরন্তর সত্যের উপর পথ চলি, দুমড়ে মুচড়ে দেই সব বাধা!

আব্দুল হালিম মিয়া

আব্দুল হালিম মিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

আর যদি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই অপকর্মের সাথে জড়িত থাকে, সর্ষের মধ্যে ভুত থাকে, তাইলে দয়া করে আর নাটক না করাই ভালো!

১৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫৪

কোটি টাকার প্রশ্নটা হলো, কাজটা আসলেই আমি করতে চাই কি না? যদি করতে চাই তাহলে যেভাবে করলে কাজটা শেষ করা যাবে সেভাবেই করতে হবে। করতে চাওয়ার ক্রাইটেরিয়াগুলো কি? উত্তরটা সিম্পল, এটা কি আমার স্বার্থে করছি? এটা করে আমার লাভ কি? রাইট, সেটাই আগে বের করা দরকার। আমার লাভ টা কি!



নারায়নগন্জে, ফেনীতে ৭ খুন, মানুষকে জ্বলন্ত পুড়িয়ে মারাটা অবশ্যই নৃশংসতা। সেটা সবার চোখে পড়েছে। প্রতিটা বিবেকবান মানুষের মনে আঘাত করেছে। অথচ ষোল কোটি মানুষকে প্রতিদিন তিলে তিলে বিষাক্ত খাবার খাইয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে সেটা কারো মনেই তেমন একটা রেখাপাত করছে না। কারন এটা একসাথে ঘটছে না, এটার ভয়াবহতা আমরা চোখের সামনে দেখতে পারছি না। বিচ্ছিন্নভাবে দেশী বিদেশি ডাক্তারদের কাছে, হসপিটালে দৌড়াচ্ছি, কাড়ি কাড়ি টাকা ঢালছি নিজের, পরিবারের চিকিৎসার জন্য, কাউকে তেমন দায়ী করতে পারছি না। কারন আমরা বাঙালীরা হঠাত করে যে ঢেউটা আসে সেটার জন্য যতখানি লাফ দিয়ে উঠি, ধীরে ধীরে প্রাণ বায়ু নির্গত হয়ে গেলেও খোঁজ রাখি না, নিয়তি বলে মেনে নেই।



এমনিতেই পচা তেল, ধুলাবালি, মশা মাছির কারনে বাংলাদেশের খাবার রোগমুক্ত থাকে না, তার উপর ইচ্ছে করে, রাতারাতি শর্টকার্টে বড়লোক হবার নেশায়, অন্যের সর্বনাশ করে নিজের পৌষমাস আনার কাজে কিছু মানুষ খাবারে ফরমালিন নামক বিষ মেশায়। সরকার উদাস। কারন তাদের খাবার থাকে নির্ভেজাল, ফলমুল আসে বিদেশ থেকে।



হঠাত করেই সরকার কিছুটা সক্রিয় হয়েছে। ফলে ফল ব্যবসায়ী, আম ব্যবসায়ী, খাবার ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট, হরতালের হুমকি দিচ্ছে। খুব তাড়াতাড়িই এই অভিযান নিস্তেজ হয়ে যাবে, যেমনটা হয় পরিবহন নেতাদের কথায় কথায় ধর্মঘটের হুমকির কারনে দেশের পরিবহন ব্যবস্হাকে শক্তিশালী করা যায় না। দুর্ণীতিমুক্ত করা যায় না।



সলিউশনটা তাহলে কি? প্রথম সলিউশনটা হলো জনগনের সচেতনতা। জনগনতো সচেতনই আছে, তাইলে আর কি করা দরকার! যেটা দরকার সেটা হলো সরকার মাত্র তিনমাস সময় নিতে পারে। দুটো মাস সরকারী উদ্যোগে সারা দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা, গ্রামে গন্জে রেডিও টিভি ও বায়োস্কোপের মাধ্যমে খাবারে বিষ মেশানোর ভয়াবহতা ও মানব দেহে তার প্রত্যক্ষ ভয়ংকর প্রভাব, অসুখ বিসুখের বিষয়গুলো জনগনকে জানাতে হবে। নাটক, সিনেমায় প্রচার করতে হবে বাধ্যতামুলকভাবে। এমনভাবে সেটা করতে হবে যেন জনগন তাতক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ঘর থেকে লাঠি সোটা নিয়ে বের হয়ে আসে অপরাধীকে ধরতে। সেই রকম একটা জনসচেতনতা দু মাসের মধ্যেই করা সম্ভব। ঠিক তৃতীয় মাসে সাড়াসী অভিযান। মুলৎপাটন করা শুরু ফরমালিনের উৎস স্হল, অসৎ ব্যবসায়ীদের ধরপাকর অভিযান। দেখুন রেজাল্ট আসে কি না।



আর যদি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই অপকর্মের সাথে জড়িত থাকে, সর্ষের মধ্যে ভুত থাকে, তাইলে দয়া করে আর নাটক না করাই ভালো!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:১৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: ঐ মহা দুর্ণীতিবাজ আমলারা ঘুষ খাওয়ার জন্য এটার ব্যাপারে কিছুই করবেনা। মানুষ মরবেই!

১৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:২৬

আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: সহমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.