নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I have a dream...

নিরন্তর সত্যের উপর পথ চলি, দুমড়ে মুচড়ে দেই সব বাধা!

আব্দুল হালিম মিয়া

আব্দুল হালিম মিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৈঠক হতে হবে প্রকাশ্যে, লাইভ টিভি ক্যামেরায় যাতে জাতি জানতে পারে কারা আন্তরিক, দেশপ্রেমিক আর কারা আসলে ভন্ড।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪৫

কথায় কথায় রাজনীতিকেরা নুতন প্রজন্মের দোহাই দেন। বলেন যে আমরা এটা করছি ওটা করছি সব কিছু আগামী দিনের প্রজন্মের জন্য। নুতন প্রজন্মের জন্য। কথাটা শুনলে কিছুটা হাসি পায়!



কারন আপনারা বিগত ৪৩ বছর দেশে যে রাজনৈতিক হানাহানি, হিংসা, বিদ্বেষ, ব্যাক বাইট, চরিত্র হনন, কারনে অকারনে নিজ দেশের সম্পদ ধ্বংস ও খুন গুমের কালচার চালিয়ে এসেছেন এবং রেখে যাচ্ছেন তাতে মাশাল্লাহ আগামী ছত্রিশ প্রজন্ম এগুলোর মধ্যে হাবুডুবু খেতে থাকবে কোন সন্দেহ নেই।



সত্যিকার অর্থেই যদি নিউ জেনারেশনের জন্য কিছু করতে চান, দয়া করে কিছু অনর্থক বিতর্কের সমাধান আপনাদের জীবদ্দশায় করে যান। 'জীবদ্দশা' বলতে কিন্তু আরও ২০ বিশ বছর নয়, এখুনি, মানে আজই করুন। কারন আগামী কাল আপনি বেঁচে থাকবেন কিনা আপনি নিশ্চিত নন।



যে সব বিষয়ে জাতীয় ঐক্যমত দরকার বা কোন বিতর্ক থাকা উচিত নয় সেগুলো হলোঃ ১) জাতির পিতা ২) স্বাধীনতার ঘোষক ৩) জাতীয় শোক দিবস ৪) জাতীয় নেতাসুমহ ৫) জাতীয় শ্লোগান ৬) জাতীয়তাবাদ ৭) মুজিব নগর সরকার ৮) সংবিধান ইত্যাদি।



এইসব বিষয়ে জাতীয় সংলাপ করার এখনই সময়। দেশে আজ একটা অস্বাভাবিক অবস্হা বিরাজ করছে। এই অস্বাভাবিক অবস্হাটা শুধুমাত্র একটা সুষ্ঠ নির্বাচন করলেই চলে যাবে না। টেকসই উন্নয়নের জন্য দরকার রাজনৈতিক স্হিতিশীলতা। আর তার জন্য অবশ্যই দরকার মিনিংফুল জাতীয় সংলাপ, জাতীয় ঐক্যমত।



মনে রাখতে হবে, রাজনৈতিক হানাহানি, কামড়াকামড়ির মধ্যেও স্বাধীনতার পর থেকে দেশটা যদি ১০ ভাগ উন্নতি করে থাকে, আর যদি রাজনৈতিক ঐক্যমত, স্হিতিশীলতা থাকতো তাহলে এখন হয়তো ৭০ ভাগ উন্নতি করতে পারতো।



দেশের ষোলকোটি মানুষের মধ্যে খুব বেশী হলে এককোটি মানুষ সরাসরি রাজনীতি করেন, বাকী ১৫ কোটি মানুষ রাজনীতি করেন না। তাহলে এই যে ১৫ কোটি মানুষকে ৭০ ভাগ উন্নয়ন বন্চিত করা হলো তার জন্য দায়ী এইসব রাজনৈতিক দল ও তাদের মধ্যে অনাকাংখিত বিতর্ক ও হানাহানি।



সমাজের কিছু কিছু কুলাংগার রয়েছেন যারা অন্য কিছু করতে না পেরে রাজনীতিকে ভাগ্য উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন, সুস্হ ধারার সমাজ প্রতিষ্ঠিত হলে যাদের হাতে ভিক্ষার থলি এসে যেতে পারে, চাকুরীর ইন্টারভিউ দিলে হয়তো একটা দারোয়ানের চাকুরীও যারা পাবে না তারাই মুলত জাতীয় ঐক্যমতের বিরোধী, তারাই মুলত এই স্বাধীন দেশের, এমনকি নিজ পরিবারের মধ্যেও দলাদলি, হানাহানি বজায় রেখে ফায়দা হাসিল করতে চায়। তবে আশার কথা তারা সংখ্যায় খুবই নগন্য।



মুলত আওয়ামী লীগ, বিএনপি সহ সকল রাজনৈতিক দলগুলোর যোগ্যতাসম্পন্ন নেতারা যাদের সত্যিকার নেতা হবার যোগ্যতা রয়েছে, যেসব বিশ্বমানের নেতৃবৃন্দ রয়েছেন তাদের বিষয়টা ভেবে দেখতে হবে। অবিলম্বে ম্যারাথন গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করতে হবে, সমাধানে পৌছতে হবে। না পারলে, নিরপেক্ষভাবে একটা গণভোটের আয়োজন করে জনগনের মতামত নিয়ে বিষয়গুলোর একটা সুষ্ঠ সমাধানে আসতেই হবে। আর এসব বৈঠক হতে হবে প্রকাশ্যে, লাইভ টিভি ক্যামেরায় যাতে জাতি জানতে পারে কারা আন্তরিক, দেশপ্রেমিক আর কারা আসলে ভন্ড।



মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের জন্য ষোলকোটি মানুষ আর কত ভোগান্তি পোহাবে? নিজ নিজ রাজনৈতিক স্বার্থে নিজ দেশের সম্পদ ধ্বংস করার মত আহাম্মক গোটা পৃথিবীর কয়টা উন্নত দেশে আছে ভেবে দেখার এটাই উপযুক্ত সময়।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.