নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I have a dream...

নিরন্তর সত্যের উপর পথ চলি, দুমড়ে মুচড়ে দেই সব বাধা!

আব্দুল হালিম মিয়া

আব্দুল হালিম মিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

খবরে প্রকাশ............

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩১

খবরে প্রকাশ, "জাতীয় সংসদে বোমা হামালায় দগ্ধদের ছবির পেপার কাটিং দেখালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দগ্ধ ও আহতের ছবি দেখে সংসদের নেমে আসে শোকাবহ নীরাবতা। ছবি দেখানোর সময় প্রধানমন্ত্রী নিজেও কাঁদলেন, কাঁদালেন গোটা সংসদকেও।



মঙ্গলবার রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে হামলায় আগতের ছবি দেখান। প্রধানমন্ত্রী যখন এ ছবিগুলো দেখাচ্ছিলেন তখন তার সঙ্গে কাঁদছিলেন, সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, বিরোীধ দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ। গোটা সংসদ জুড়ে তখন ছিল পিনপন নিরাবত্ াএসময় সংসদের বৈঠকে উপস্থিত অনেক সংসদ সদস্যকেও কাঁদতে দেখা যায়"।



মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই অনুভুতিকে আমি সত্যি বলে মনে করছি এবং সেটাকে আমি শ্রদ্ধা জানাই। তিনি বাংলাদেশী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সুযোগ্য কন্যা। পাকিস্তানি হায়েনাদের কবল থেকে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন করা এই দেশের প্রতি তার অপরিসীম দরদ রয়েছে বলেই আমি মনে করি। এখন তাকে তার এই ফিলিংসকে, দরদকে জাতির সামনে প্রমান করতে হলে অতি সত্বর তিনি যা করতে পারেন তা হলো:



১) সাবেক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহ সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে ইমিডিয়েটলি আলোচনার টেবিলে ডাকতে পারেন।

২) সেই আলোচনায় সুশীল সমাজের কিছু প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, পেশাজীবি, সাংবাদিকদেরকেও ডাকবেন।

৩) আলোচনাটা অবশ্যই লাইভ টিভিতে প্রচারিত হবে।

৪) আলোচনার ভিত্তিতে যে বিষয়গুলোতে ঐক্যমত হতে হবে তা হলো:

ক) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশের জাতির জনক, জাতীয়ভাবে তার জন্ম ও মৃত্যু দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে, অফিস আদালতে একমাত্র তার ছবি ব্যবহার হবে। তাকে কোন দলীয় পোষ্টারে, রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা যাবে না। বছরে মাত্র দুটো দিনে তাকে নিয়ে সভা হবে, সেখানে সকল দল উপস্হিত থাকবেন।

খ) সাবেক রাষ্ট্রপতি, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার, বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার প্রথম ঘোষনাকারী জিয়াউর রহমানকে যথাযোগ্য সম্মান জানানো হবে। তার ছবিও কোন রাজনৈতিক দল দলীয়ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন না। শুধুমাত্র তার জন্ম ও মৃত্যু দিবস জাতীয়ভাবে পালিত হবে।

গ) মজলুম জননেতা মাওলানা ভাষানী, শেরে বাংলা ফজলুক হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলন কারী আ স ম রব, স্বাধীনতার প্রথম ইশতেহার পাঠকারী শাজাহান সিরাজ, জয়বাংলা শ্লোগানের রুপকার, স্বাধীনতার নিউক্লিয়াসের জনক সিরাজুল আলম খান, নিউক্লিয়াসের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, কাজী আরিফ সহ মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালনকারী সকলকে দলীয় বিবেচনার বাইরে যথাযোগ্য মর্যাদা দিতে হবে।



ঘ) জাতীয় সংসদের মেয়াদ চার বছর মেয়াদ করা

ঙ) দলীয় সাংসদের নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারা

চ) দুদক, নির্বাচন কমিশন, পিএসসি স্বাধীন করে দেয়া

ছ) আইনকে নিজ গতিতে চলতে দেয়া

জ) ভিআইপি প্রথা তুলে দেয়া

ঝ) ভিখারির জন্য আইনের যে প্রয়োগ রাষ্ট্রপতির জন্যও একই প্রয়োগের ব্যবস্হা করা

ঞ) শক্তিশালী ও স্বাধীন অডিটর জেনারেল নিয়োগ করা

ট) এক ব্যাক্তি দু বারের বেশী রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সাংসদ, চেয়ারম্যান ও দলীয় কর্মকর্তা হতে না পারা

ঠ) হরতাল অবরোধে ক্ষতিগ্রস্হদের কমপক্ষে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপুরন দেয়া

৫) উপরের বিষয়গুলোতে একমত হলে, অবিলম্বে জাতীয় সংসদের নির্বাচনের ব্যবস্হা করা



প্রশ্ন হলো, নেত্রী কি সেটা করবেন? দেশকে ভালবাসলে না করার কোনো কারন নেই। দেশটা আওয়ামী লীগ বা বিএনপির নয়, দেশটা ষোল কোটি মানুষের। আপনাদের ক্ষমতার লোভের আগুনে আর একটাও সাধারন মানুষের জানমালের ক্ষতি কোন সুস্হ ও বিবেকবান মানুষ দেখতে চায় না। এনাফ ইজ এনাফ!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০১

আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: সবাইকে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আসলে কিছুদিন যাবত কেন জানি না, এখানে কোন মন্তব্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না। কেনো জানি, মন্তব্য 'গ্রহন করুন' বা 'প্রয়োগ করুন' বাটন বার বার চাপলেও কাজ হচ্ছে না, এরর শো করছে। জানি না কতৃপক্ষ অবগত আছেন কি না!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.