নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I have a dream...

নিরন্তর সত্যের উপর পথ চলি, দুমড়ে মুচড়ে দেই সব বাধা!

আব্দুল হালিম মিয়া

আব্দুল হালিম মিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

সন্ত্রাসী কার্যকলাপেরও চাই রাজনৈতিক সমাধান। সন্ত্রাসকে সন্ত্রাস দিয়ে দমন করা সম্ভব নয়।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪৬

বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ আজ সমস্যাগ্রস্হ। কেউই স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছে না, নিরাপদে চলাফেরা করতে পারছে না। সরকারের সর্বপ্রথম যে দায়িত্ব ও কর্তব্য তা হলো সাধারনের নিরাপদ চলাফেরা নিশ্চিত করা, নিরাপত্তার ব্যবস্হা করা। সেটা করার পরিবর্তে সরকার বরং দায়িত্ব এড়াতে সকল দোষ বিএনপি জামাতের উপর চাপিয়ে মুখ লুকাতে চাইছেন। সরকারকে উদ্দেশ্য করে শুধু এটুকু বলতে চাই, গা'য়ের জোরে, অস্ত্রের জোরে যদি কোথাও শান্তি ফিরিয়ে আনা যেত তাহলে বুশ কর্তৃক সাদ্দাম উতখাতের পর ইরাকে সেটা দেখা যেত। ইরাকে শুধু দেখামাত্র গুলি নয়, একেবারে সর্বশক্তি উজার করে দেশটি দখল করে নিলেও আজ একযুগেও সেখানে শান্তিতো দুরের কথা, দেশটা আজ জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরিতে পরিনত হয়েছে। লিবিয়া, সিরিয়ার অবস্হাও তাই।

এরশাদের সময় রাজনৈতিক নেতারা মাঠে থেকে মিছিল করতেন, গাড়ী ভাংচুর করতেন, ব্যারিকেড দিতেন, সেখানে পুলিশ কদাচিত গুলি করতো। একটা লাশ পড়লেই সেটা কাধে নিয়ে তাতক্ষণিক হরতাল, জংগী মিছিল হতো, আন্দোলন আরো বেগবান হয়ে উঠতো। এখন কালের ডিজিটাল পরিক্রমায় হয়তো বিরোধিদের আন্দোলনের ন্যাচারটাও পরিবর্তন হয়েছে। এরা এখন নিজেরা নিরাপদে থেকে সাধারনের জানমালের উপর সরাসরি হামলা করছে। কখনো কখনো সরকারী দলও এইসব হামলা করে বিরোধিদের উপর দায় চাপাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকার বলছে এগুলো রাজনীতি নয়, সন্ত্রাস। সুতরাং এদেরকে দমন করা হবে, সরাসরি গুলি করা হবে ইত্যাদি।

তবে আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এগুলো দমন করতে যা যা করা দরকার,সরকার তাই করবে। আমি এ প্রসংগে শুধু এটুকু বলতে চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যা যা করার মধ্যে শুধু একটা কাজ করুন। খুব সোজা কাজ। অত কষ্ট করতে হবে না। একটা সোজা কাজ করুন। সেটা হলো দয়া করে ভেবে দেখুন, এবারের বিরোধীদের এইসব আন্দোলন সন্ত্রাসী কায়দায় হলেও, সন্ত্রাস হলেও এগুলো রাজনৈতিক কারনে হচ্ছে। এই সন্ত্রাস বিচ্ছিন্নভাবে কারো বাড়ীতে ডাকাতি করার জন্য বা কারো পকেট মারার জন্য নয়। এটা নুতন একটা নির্বাচনের দাবীতে তারা এই সন্ত্রাস করছে। মানে হলো, রাজনৈতিক কারনে সন্ত্রাস। তাই এটাকে রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে হবে। তাদের সাথে সংলাপে বসুন, নুতন নির্বাচন দিন। সন্ত্রাসের মুলোতপাটন করুন। তা না করে যদি গা'য়ের জোরে এটাকে বন্ধ করতে চান, বিরোধী দলকে, তাদের আন্দোলন বা সন্ত্রাস বা জংগী কার্যক্রম যে নামেই অভিহিত করুন, সেটা বন্ধতো হবেই না, ক্রমান্বয়ে পরিস্হতি আরো খারাপ হবে। হয়তো এমন একটা পর্যায়ে যেতে পারে তখন আর ইচ্ছে করলেও, সবকিছু দিয়ে দিলেও নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন না। তাই অনুরোধ করবো, মাথা মোটা স্তাবকদের কথা না শুনে, নিজে নিজে চিন্তা করে দেখুন, বুশ সফল হন নি, আপনিও হবেন না। দেশের সবাই জানে যে বিরোধীরা আন্দোলন করছে বা সন্ত্রাস করছে একটা নুতন নির্বাচনের জন্য, তাহলে কেন সেটার ব্যাপারে কথা বলছেন না? কেনো জংগীপনার লেবেলিং দিয়ে সেটাকে অস্ত্র দিয়ে দমন করতে চাইছেন? এটা কি কখনো সম্ভব? কোনটা চান আপনি? শান্তিপুর্নভাবে, দরকার হলে আবার জনগনের রায় নিয়ে দেশ পরিচালনা করা, দেশকে এগিয়ে নেয়া নাকি গা'য়ের জোরে পুলিশ র‌্যাব দিয়ে, সন্ত্রাসকে সন্ত্রাস দিয়ে মোকাবেলা করে যতদিন সম্ভব ক্ষমতা ধরে রাখা? বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে বিষয়টা আর একবার ভেবে দেখবেন প্লিজ। অতীতে জনগনের ভোটে যারা কোনদিন জয়লাভ করে নাই, বারবার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে, যারা নিজেরা ছিল দেশের সন্ত্রাসবাদের, জংগীবাদের প্রথম জনক জননী তারাই কিন্তু আপনাকে আপোষ না করে বিরোধী দলকে শক্তি দিয়ে দমন করার কথা বলছে। কারন ওরা জানে, দেশে আইনের শাষন চালু হলে, ফেয়ার নির্বাচন হলে ওদের 'বারা ভাতে ছাই' পড়বে। ওদের কোন মুল্য আগেও ছিল না, আবার থাকবে না, ওরা বাস্তুহারা হয়ে যাবে। মাননীয় নেত্রী, দেশের সাধারন খেটে খাওয়া মানুষগুলো আজ অসহায় ভাবে মরছে, প্লিজ এর দায় দায়িত্ব নিন, এর একটা চির সমাধান করুন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২৪

খেলাঘর বলেছেন:


" তাদের সাথে সংলাপে বসুন, নুতন নির্বাচন দিন। "

-তারপর, তারা আবার গ্রেনেড মারুক, নিজামীরা আবার নির্বাচিত হোক; এত বড় রাজনীতিবিদ কোথায় থাকেন?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১৪

আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: নিজামি কে? অপরাধী নাকি অপরাধী নন? যদি অপরাধী হন, অপরাধের ধরনের উপর বিবেচনা করে হয় তিনি থাকবেন জেলখানায় নুতবা তার ফাসি হবে। আর যদি নিরাপরাধী হন, তারপর তিনি যদি নির্বাচন করেন, আর জনগন যদি ভোট দেন তাহলে আপনার বলার কি থাকতে পারে? জনগন কাকে ভোট দিবে না দিবে সেটাও কি আপনি ঠিক করে দিবেন নাকি? একদিকে বলবেন গনতন্ত্রের কথা, আবার আপনি নিজেই ঠিক করে দিতে চান কে নির্বাচিত হবে না হবে, এমন আজব ধারনা কোথায় পেলেন?

নিজামীদেরকে রাজনৈতিক ও ব্যাক্তিগতভাবে বাচিয়ে রেখে আর কত খেলা খেলা হবে বলতে পারেন? যারা গ্রেনেড মেরেছে তারা অপরাধী নিশ্চয়। এবারেও একটানা ছয় বছর ক্ষমতায় আপনারা, তারপরওতো ওদের শাস্তি দিতে পারলেন না। আইনের শাষন কায়েম করুন, নিজামী হোক আর আপনি হন আর আমি হই, অপরাধী হলে তার ফল ভোগ করার ব্যবস্হা করুন। রাজনৈতিক ষ্টান্টবাজী বাদ দিয়ে আমাদের সাধারন মানুষের জানমাল রক্ষা করুন। এই সিম্পল কথাটা বলতে আবার রাজনীতিবিদ হওয়া লাগে নাকি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.