নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I have a dream...

নিরন্তর সত্যের উপর পথ চলি, দুমড়ে মুচড়ে দেই সব বাধা!

আব্দুল হালিম মিয়া

আব্দুল হালিম মিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

কি হতে পারে, কি হতে পারতো......

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২৬

টরন্টোতে এখন চলছে প্রচন্ড শৈত্য প্রবাহ। গত সপ্তাহকাল ধরে এভারেজ ওয়েদার মাইনাস ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সাথে বরফতো আছেই। আজ যখন এ লেখাটা লিখছি মাইনাস ১২ আর গুরি গুরি তুলার মত বরফ পরেই চলেছে। সকালে যখন বাচ্চারা স্কুলে যাবে তখন হবে মাইনাস ১৮, বাতাসে মাইনাস ৩০ ছাড়িয়ে যাবে। এর মধ্যেও জীবন যাত্রা থেমে নেই। গ্রোসারী, স্কুল, অফিস সব চলবে। এই ঠান্ডার মধ্যে এখানে গাড়ী একটা প্রয়োজনীয় জিনিষ, বিলাসী দ্রব্য নয়। মেকানিক মাস খানেক আগেই ওয়ার্নিং দিয়েছে ব্রেক পরিবর্তন করতে হবে। সামনে পেছনে দুটোই। টয়োটা রাভ ফোর জীপের পার্টসগুলো একটু দামী আর আমি সাধারনত টয়োটা ডিলার থেকেই এগুলো কিনে থাকি, হিসাব করলাম হাজার খানেক ডলারের ব্যাপার। আজ যাই, কাল যাই করে করে যাওয়ার সময় হয় না। এর মধ্যেই ব্রেকে ক্যা ক্যা আওয়াজ শুরু হয়ে গেছে। আমি ট্রেনে করে অফিসে যাই, ডাউন টাউনের ডানডাস আর ইয়াং এ অফিস। একেবারে হার্ট অব দ্যা টাউন। পার্কিং খুব ব্যায়বহুল। গাড়ী নিতে পারি না। আমার স্ত্রীর কাজ আমাদের বাসার এলাকাতেই, স্কারবরো ইস্টে। তিনিই গাড়ী নিয়ে কাজে চলে যান আর আমার ছেলেকে সকালে স্কুলে নামিয়ে দিতে হয়। এই সময় রাস্তাঘাট এমনিতেই খুব পিচ্ছিল থাকে, আর দেরী না করে গত উইক এন্ডে চলে গেলাম আমার পরিচিত বাঙালী মেকানিকের কাছে। আগের দিন টয়োটা থেকে পার্টস কিনে গাড়ীতে রেখে দিয়েছিলাম। সেখানেই দেখা আওয়ামী লীগের একজন নেতার সাথে যিনি এক সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ (কাদের চুন্নু) করতেন। টরন্টো ঢাকা আসা যাওয়ার মধ্যে থাকেন। দু বছর আগে আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফোরাম কানাডার সভাপতি ছিলাম তিনি সর্বাত্নক সহযোগীতা করেছেন। সজ্জন ও অমায়িক মানুষ। বাঙালিদের যা হয়। দেখা হতেই শুরু হলো রাজনীতির আলোচনা। তিনি এখন ঢাকাতেই থাকেন। টরন্টোতে এসেছেন ডাক্তার চেক আপ করাতে। আবার ফিরে যাবেন, সেখানে চাকুরী করছেন। অনেক আলোচনার পর বললেন, আসলে যাই বলেন, আওয়ামী লীগ প্রচুর উন্নয়ন করেছে যা কল্পনাও করা যায় না। রাস্তা ঘাট ব্রীজ কালভার্ট কি করে নাই। তারপরো এ মুহুর্তে যদি নির্বাচন হয় সে নির্বাচনে নির্ঘাত বিএনপি জয়লাভ করবে। এত উন্নয়ন সত্বেও মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিবে না। আর এর ফলাফল হবে আমাদের জন্য ভয়াবহ। ওরা প্রতিশোধ নিবে। বিএনপি জামাত আমাদেরকে ছাড়বে না। সুতরাং ক্ষমতা ছাড়া হবে না। এভাবেই চলতে থাকবে। এক নি:শ্বাষে কথাগুলো বলে থামলেন। সত্য অনুধাবন, বলার কিছু নেই।
শুধু বললাম দেখুন ভাই, দৃশ্যপট দু রকম হতে পারে। এক: কি হতে পারে, দুই: কি হতে পারতো। প্রথমত, আপনি বা আপনার নেতারা যেভাবে চিন্তা করছেন, সেটা হলো দৃশ্যপট এক। যা হতে পারে তা হলো, এক গ্রুপের জয় আর এক গ্রুপের পরাজয়। এতে ইতিমধ্যেই প্রচুর রক্তপাত হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো হবে। সরকারী পুলিশ র্যা্ব বিজিবি ব্যবহার করে, দেখামাত্র গুলি করে তাদের দমিয়ে রাখা যাবে। দলগুলোকেও হয়তো ভেঙে টুকরা করা যাবে। কিন্তু কখনোই শান্তি ফিরে আসবে না। চোরাগুপ্তা হামলা চলতেই থাকবে। কারোই জানমালের নিরাপত্তা থাকবে না। এভাবেই হয়তো আওয়ামী লীগ ২০১৯ এ পৌছে যেতে পারবে। ভাবছেন, ততদিনে বিএনপি জামাতের নাম নিশানাও থাকবে না। হতে পারে। কিন্তু তাতে আওয়ামী লীগ বা তাদের নেতারা কি খুব শান্তিতে এই ক বছর কাটাতে পারবে? সাধারন মানুষ কি ফিরে পাবে তাদের জান মালের নিরাপত্তা? যেভাবে নিরীহ লোকজন বোঝাই বাসের মধ্যে পেট্রল বোমা মারা হচ্ছে তাতে করে হয়তো ওদেরকে সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করা যাবে, বহির্বিশ্বকেও বোঝানো যাবে, ফলাফল কি দাড়াবে? সরকার বিরোধী দল, সাধারন মানুষ কারোই সাধারন নিরপত্তাটুকুও আর থাকবে না।

অপর দিকে যদি দৃশ্যপট দুই কল্পনা করি, তাহলে কি হতে পারতো? আন্দোলন বলুন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ যাই বলুন, বিএনপি জামাতের কর্মীরা রাজপথে নেই বললেই চলে। তারাও চাইছে যে কোন উপায়ে একটা সমাধানে আসতে। এখন ধরুন সরকার সংলাপে রাজী হলো। ঠিক যেমনটি ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা সম্মত হয়েছিলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বলেছিলেন আগামী সোমবারের হরতাল স্হগিত করে আলোচনায় আসুন। তখন বেগম জিয়া রাজী হন নি। সম্ভবত ভেবেছিলেন হেফাজতে ইসলাম সরকার পতন ঘটিয়ে দিবে। ধারনা করি বেগম জিয়া সে ভুল ইতিমধ্যে বুঝতে পেরেছেন। সেদিন তিনি আলোচনায় সাড়া না দিয়ে যে ক্ষতি নিজের ও দেশের করেছেন তা এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। কিছুটা অনুমান করা যায় সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজ উদ্দীন প্রামানিকের বক্তব্য থেকে। তিনি এখন বলছেন আগামী নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনেও হতে পারে। মানে হলো, নির্বাচন ঘোষনা হলেই বেগম জিয়া আন্দোলন স্হগিত করে আলোচনায় আসবেন। অর্থাত মনে হচ্ছে রিস্কটা দু পক্ষই বুঝতে পারছেন। আলোচনা না করে এভাবে ক্রমাগত সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার যে কি ভয়ানক পরিনতি হতে পারে তা বেগম জিয়া ও শেখ হাসিনা দু জনেই বুঝতে পারছেন। কিন্তু সমস্যা হলো কিছু গলা সর্বস্ব সাবেক বাম নামধারী সন্ত্রাসী রাজনীতিবিদেরা যারা নির্বাচন হলেই তাদের জামানত থাকে না। তারা এখন বিনা ভোটে মন্ত্রীত্ব পেয়েছেন, উপদেষ্টা হয়েছেন, এমপি হয়েছেন। বাংলাদেশে গোপন আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতি, অস্ত্রের রাজনীতি, সন্ত্রাসের রাজনীতি তারাই সর্বপ্রথম আমদানী করেছেন। এখন কথায় কথায় তারা বিরোধী পক্ষকে সন্ত্রাসী বলেন, জংগীবাদি বলেন। এই দেশে এখন আবার যদি একটা ফেয়ার নির্বাচন হয়, তারা আবারো এতিম হয়ে যাবেন। লুটপাটের হিসাব দিতে হবে। আইনের শাষন কায়েম হলে তারা নিশ্চিত থাকবেন জেলখানায়। সুতরাং তারা কি করে শেখ হাসিনাকে আপোষের পথে, আলোচনার পথে আসতে দিবেন! তবে যদি এরকম একটা আলোচনা এখন শুরু হতো তাহলে কি হতো? সংলাপের কথা, আলোচনার কথা বলছেন বিবেকবান সকল মানুষ। রাস্তাঘাটে, চা'য়ের দোকানে, অফিস আদালতে সকল জায়গায়। কিন্তু আলোচনা হচ্ছে না। নেত্রীকে বোঝানো হচ্ছে, সংলাপ মানেই হলো আর একটা নির্বাচন দেয়া। নির্বাচন হলেই বিএনপি জামাত জিতে যাবে। ওরা সরকারে আসা মানেই আমাদের নির্ঘাত দেশান্তরী হওয়া না হলে মৃত্যুকে মেনে নেয়া। কাজেই সংলাপ হওয়া চলবে না। বরং 'রাজাকার', 'জংগী' এসব বলে ওদেরকে দমন করে দেয়াই শ্রেয়। অথচ, একটু ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখুন। দু পক্ষই এখন বলা চলে ক্লান্ত, বিধ্বস্ত। ফলে আলোচনার এটাই উপযুক্ত সময়। এক পক্ষ যখন শক্তিশালী থাকে তখন আলোচনা হয় না, তারা ভাবেন জয় তাদের দিকে। দুর্বলের সাথে কেউ আলোচনায় বসেন না, সন্ধি হয় না। সমানে সমান হলেই একমাত্র সন্ধি হয়, সংলাপ হয়। সুতরাং আলোচনায় বসার এটাই উপযুক্ত সময়।

কিন্তু কথা হলো, কি সেই সংলাপ? সেটা কি এরকম যে বেগম জিয়া দলবল নিয়ে গণভবনে এলেন, শেখ হাসিনা চা সিংগারা কিংবা নিজ হাতে রান্না করে খাইয়ে নির্বাচন দিয়ে দিলেন! দেশে শান্তি এসে গেল? না, সেটা কখনোই নয়। এ ধরনের সংলাপ দেশের মানুষ চায় না। তার মুল কারন হলো, এতে নুতন নির্বাচন করে যেই ক্ষমতায় আসুক তিনিই আবার তার ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে, চিরস্হায়ী করতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবেন, বিরোধি পক্ষকে দমন করতে করতেই পাচ বছর পার হয়ে যাবে, আরো পাচ বছর বিনা ভোটে ক্ষমতা ধরে রাখতে হত্যা খুন চালিয়ে যাবেন। দুর্ণীতি অব্যাহত রাখবেন। এরকম আর একটা নির্বাচন দেশবাসী চায় না। আর এতে করে নির্বাচনে যারা হেরে যাবেন তাদের জীবনের নিরাপত্তার গ্যারান্টিও থাকবে না। একের এক মামলা হবে, নুতন সরকার নিজেদের মামলাগুলো তুলে নিবেন আর বিরোধি পক্ষকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে ততপর থাকবেন।

তাহলে বলা যায় সংলাপ হতে হবে, অর্থবহ সংলাপ। যে সংলাপে শুধু একটা নির্বাচনই হবে না, দেশের মানুষের অনেক সমস্যার সমাধান করে দিবে। আগামী একশত বছর আর কোন রাজনৈতিক ঝামেলা থাকবে না, দেশ ক্রমাগত উন্নয়ন অগ্রগতি উন্নতির দিকে ধাবিত হবে। বিরোধি পক্ষ নির্বাচনে হেরে গেলেও তাদের জীবনের নিরাপত্তা থাকবে, দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে না। সরকার পরিবর্তন হলেও সাধারন মানুষের জীবন যাত্রায় কোন ছন্দ পতন হবে না, তারা টেরও পাবেন না যে তাদের দেশে কোন সরকার পরিবর্তন হয়ে গেছে।

করনীয় কি তাহলে?

এরশাদের পতনের পর বিএনপি আওয়ামী লীগ গত ২৪ বছর দেশ শাষন করেছে। এই দুটি দলের বিগত দুই যুগের কুশাষনের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে একথা আজ নির্দ্বিধায় বলা যায়, নানা ছলা কলা, দাবী দাওয়ার কৌশল নিয়ে এরা যেই আগামী নির্বাচনে চতুর্থ বারের মত ক্ষমতায় আসুক না কেন, জনগনকে সেই বিগত দিনের মতোই জ্বালাও পোড়াও, হত্যা, খুন, গুমের মুখোমুখি হতে হবে। যা দেশের সুশীল সমাজসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সমর্থন করেন না। এমনকি বড় এই দুটো দলের মধ্যেও যারা লুটেরা নন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, প্রকৃত দেশপ্রেমিক আছেন, তারাও করেন না। তাই এই 'খোলা' গরম থাকতে থাকতেই নির্বাচনী ইস্যু সমাধানের সাথে সাথে আরও কিছু বিষয়ের সমাধান করে নেয়ার এখনই উৎকৃষ্ট সময়। উভয় দল যদি জনগনকে সামনে রেখে অর্থাত লাইভ টিভির সামনে বসে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর একমত হন তাহলে যেই ক্ষমতায় আসুক, বিরোধীদের কোন রোষানলের সম্মুখিন হতে হবে না। যেমন,

১) জাতীয় সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে চার বছর করা ২) রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি পদে কেউ একটানা দুইবারের বেশী নির্বাচন করতে পারবেন না বা পদ গ্রহন করতে পারবেন না ৩) সংসদে প্রয়োজনে নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোট দেবার অধিকার প্রদান করা ৪) দল থেকে পদত্যাগ বা বহিস্কার হলেও স্বতন্ত্র সাংসদ হিসেবে বাকী মেয়াদ দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেয়া ৫) সংবিধানে নির্বাচিত তত্বাবধায়ক সরকারের প্রথা চালু করা ৬) কাউন্সিলরদের গোপন ভোটে দলীয় সভাপতি/চেয়ারম্যান সহ সকল কর্মকর্তা নির্বাচিত করার ব্যবস্হা করা এবং তা প্রকাশ্যে অনুষ্ঠিত করা, প্রয়োজনে এর দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে দেয়া ৭) সরকারী চাকুরী থেকে অবসর নেবার পর কমপক্ষে তিন বছর দলীয় রাজনীতি না করা ৮) কমপক্ষে তিন বছর দলের প্রাথমিক সদস্য না হলে নির্বাচন করতে না দেয়া ৯) খাদ্যে ফরমালিন বা বিষ মেশানো হলে মৃত্যুদন্ডের বিধান চালু করা ১০) বিচারপতি নিয়োগে সরকারের হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে নিরপেক্ষ প্রক্রিয়া চালু করা ১১) দুদকের চেয়ারম্যান সহ কর্মকর্তা, নির্বচন কমিশন, পিএসসি, অডিটর জেনারেল নিয়োগে সরকারের হস্তক্ষেপ মুক্ত সাংবিধানিক কমিটি গঠন করা ১২) সরকারী কর্মকর্তা নিয়োগ, বদলী পদোন্নতিতেও অনুরূপ কমিটি করা ১৩) ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা ১৪) কানাডার অন্টারিও প্রদেশের মত নির্দিষ্ট তিন ক্যাটাগরির ট্রেনিং (জি ওয়ান, জি-টু, জি) ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স না দেয়া এবং লাইসেন্স দেবার পদ্ধতি সহজবোধ্য করা ১৫) রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ সকল সরকারী কর্মকর্তাদের দেশের অভ্যন্তরে চিকিৎসা নিতে বাধ্য করা, বিদেশে চিকিৎসা নিতে হলে পদত্যাগ করে যেতে হবে ১৬) গার্মেন্টসে এম্পলয়ি সেফটি নিশ্চিত করতে যথাযথ কমপ্লায়েন্স মানতে বাধ্য করা এবং এটা করতে শক্তিশালী প্রভাবমুক্ত ইন্সপেকশন টিম গঠন করা ১৭) ঢাকা থেকে সচিবালয়, জেলখানা গাজীপুরে স্হানান্তর করা ১৮) অন্যান্য কয়েকটি দুরবর্তি জেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস চালু করা ১৯) মাদ্রাসা শিক্ষাকে আধুনিকিকরনে দেশ বরেণ্য আলেমসমাজকে নিয়ে যথাযথ ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহন করা ২০) রাস্তা বন্ধ করে ভিভিআইপিদের চলাচলের ব্যবস্হা বন্ধ করা ২১) সর্বোপরি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, বিচারপতি, পুলিশ অফিসার, এমপিদের দায়িত্ব গ্রহনের আগে সকল স্হাবর, অস্হাবর সম্পত্তির নিখুত হিসাব নেয়া এবং তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা ২২) সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টসসহ প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে মাসে কম করে হলেও একবার বাধ্যতামুলক ফায়ার ড্রীল চালু করা ২৩) জাতীয় ইস্যুগুলোতে বিরোধি দলকে আস্হায় নিয়ে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সমাধানের রেওয়াজ চালু করা ২৪) জনকল্যানের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে রাস্তার উপর জনসভা করার অসভ্য রেওয়াজ বন্ধ করা ২৫) রেললাইনের উপর কাচা বাজার বা হাটবাজার বসানো বন্ধ করা ২৬) উপরোক্ত ব্যবস্হা কার্যকর করতে গোয়েন্দা ও কাউন্টার গোয়েন্দা নিয়োগ করা ২৫) ভিআইপি প্র‌থা বন্ধ করা ২৬) রাস্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী নেতার জন্য আইনের যে প্রয়োগ, একজন ভিখারির জন্যও সেই প্রয়োগ কার্যকর করা ২৭) সংসদীয় কমিটিগুলোকে পর্যাপ্ত ক্ষমতা দেয়া ২৮) সরকারী দল বা সরকারী কর্মকর্তা কারো মামলা সরকার তুলে নিতে পারবে না ২৯) সরকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে দুদককে কোন অনুমতি নিতে হবে না ইত্যাদি।

তত্বাবধায়ক বা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সকলেই চায়, তবে মনে রাখা দরকার, শুধুমাত্র তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেই ক্ষমতার পালা বদল ছাড়া দেশের সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে না। আগামী পাচ বছর আর জনগন দুর্ভোগ পোহাতে চায় না। হরতাল করলে নেতাদের সামনে থাকতে হবে। গাড়ী ভাংগলে আগে নেতাদের গাড়ী ভাংগতে হবে, কেউ খুন গুম হলে আগে নেতাদের হতে হবে, না হলে জনগন সরাসরি হয়তো আপনাদের বাড়ী, গাড়ী একদিন ঘেরাও করবে, সেই দিন হয়তো বেশী দুরে নয়!

আব্দুল হালিম মিয়া, টরন্টো, কানাডা
তারিখ: ফেব্রু্য়ারী ০৪, ২০১৫
[email protected]


মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১৬

নিলু বলেছেন: আপনার দেওয়া অনেক উপদেশই দেখলাম , কিন্তু একটি সর্তেই সব শেষ করা যায় , তাহলো সর্বস্তরে জবাবদিহিতার ব্যাবস্থা , লিখে যান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.