নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I have a dream...

নিরন্তর সত্যের উপর পথ চলি, দুমড়ে মুচড়ে দেই সব বাধা!

আব্দুল হালিম মিয়া

আব্দুল হালিম মিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিট ইজ এ্যা শিট----- (সত্য ঘটনা, আংশিক কল্পনা)

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২৮

কুমড়াকান্দি ও আলম চৌধুরী পাড়া দুটো গ্রামের নাম। দুই গ্রামের দুই জন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন দুই মেম্বার। দু জনের কেউই আর বেচে নেই। ধরুন, তাদের নাম ছিল করম মেম্বার আর ধরম মেম্বার। সম বয়সী দু জনের বয়স ছিল প্রায় সত্তরের কাছাকাছি। একসাথে যাত্রা দেখা, আড্ডা দেয়া সবকিছু চলতো দু বন্ধুর।

সন্ধ্যা হলেই দু জনকে খুজে পাওয়া যেত না। কোথাও এক জায়গায় বসে মদ্য পান করতেন। তো একদিন সম্ভবত কিছুটা বেশীই পান করে ফেলেছেন। অনেক রাতও হয়ে গেছে, এবার বাড়ী ফেরার পালা। টলতে টলতে দু জন বাড়ীতে ফিরছেন। একই রাস্তা দিয়েই খানিকটা যেতে হয়। গোরস্হানের কাছাকাছি এসে দু জন হঠাত বসে পড়লেন। রাস্তার মধ্যে কে যেন মল ত্যাগ করে রেখে গেছে। উনারা দু'জন ওটার পাশে গোল হয়ে বসে গবেষনা শুরু করলেন।

দোস্ত বলতো এটা তালেবানি মল নাকি গনতান্ত্রিক প্রগতিশীল মল? কিছুটা উত্তেজিত হয়ে বললেন করম মেম্বার।
আরে গাধা, এটা ওসব কিছুই না। এটা নির্ঘাত স্বৈরাচারী মল। ধরম মেম্বারের নির্বিকার উত্তর।

শুরু হলো দু বন্ধুর তুমুল তর্ক। কেউ ই কোন কনক্লুশনে আসতে পারে না। কারন, বোঝার উপায় নেই কে রাস্তার মধ্যে এই দুস্কর্মটি করে রেখে গেছে। শুধু মল থেকে দুর্গন্ধটাই বের হচ্ছে। মাতাল হলেও দু জনই মলের দুর্গন্ধে পরনের লুংগি দিয়ে নাক চাপা দিয়ে রেখেছে।
শেষে একজন বললো, দুর বাদ দাও। ওটা বোঝা যাবে না। তবে, বলো, সে স্বৈরাচার হোক, তালেবান হোক আর কোন প্রগতিশীল হোক, সেটা কি মহিলা ছিল নাকি পুরুষ? এটা নিয়েও চললো তর্ক কিছুক্ষণ। তখন হটাত করে ধরম মেম্বার লাফিয়ে ঊঠলো। বললো, পাইছি।

করম মেম্বার অবাক হলেও জানে যে ধরমের একটু জ্ঞান বুদ্ধি বেশী। মাতাল হলেও এই হুশটা এখনো আছে। বললো, ঠিক আছে বলো। তখন ধরম মেম্বার বলতে লাগলো, এই দ্যাখো, এই যে চিহ্ণ, যদি...................সুতরাং এটা একজন পুরুষ শয়তানের কাজ!
অকাট্য যুক্তি, করম মেম্বার মেনে নিল। টর্চ লাইট বন্ধ করে দু জনেই উঠে পড়লো, যেন দুজন বিশ্ব জয় করে ফেলেছে। গলাগলি ধরে দুজন মনের সুখে গান গাইতে গাইতে বাড়িতে ফিরে গেল।

(পাদটীকা: বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্হিতিতে অনেক স্বঘোষিত কিংবা চামচা ঘোষিত বুদ্ধিজীবিই প্রায়ই কোন ঘটনা ঘটলেই তাদের দলীয় দাস বৃত্তির কারনে সেটাকে প্রতিপক্ষের ঘাড়ে চাপিয়ে জাবর কাটতে থাকেন, কখনো চিন্তা করেন না যে অপরাধীর একমাত্র পরিচয় সে অপরাধী, সে যেই হোক তার স্হান জেলাখানা। কারন অপরাধী যেই হোক, তিনি শুধু 'শীট' নির্গতই করেছেন, আর তার 'শীট' থেকে শুধু দুর্গন্ধই বের হচ্ছে। এমন যদি হতো, নিজেদের 'শীট' থেকে দুর্গন্ধ বের না হয়ে 'আতরের সুবাস' বের হয়, তাহলে আমার এই লেখাটার আজ প্রয়োজন হতো না। আইনকে সমানভাবে প্রয়োগ করার ব্যবস্হা করাই বর্তমান সংকট থেকে দেশ বাচানোর একমাত্র উপায়।)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.