নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I have a dream...

নিরন্তর সত্যের উপর পথ চলি, দুমড়ে মুচড়ে দেই সব বাধা!

আব্দুল হালিম মিয়া

আব্দুল হালিম মিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাষ্ট ফর ইমাজিনেশন-------

০৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫৭


বিশটি বছর দেশের বাইরে আছি। ১৯৯০ আর ২০১৪ এর মধ্যে অনেক ফারাক। ৯০ এর কথা বলছি কারন সে সময় জনসেবার একটা দায়িত্ব পেয়েছিলাম। পাঁচ বছরের জন্য পেলেও ছিলাম মাত্র পৌনে দু বছর। সে দিন রাতে, বিজয়ের রাতে হাজার হাজার মানুষের জনসমাগমে বলেছিলাম, সারা দেশে এরশাদ কি করছে, অন্যরা কে কি করছে, জানি না, কেয়ারও করি না। আমার এ এলাকায়, এই উপজেলায় আমি ঘুষ খাব না, কাউকে খেতে দিব না। আমি দুর্নীতি করব না, কাউকে করতে দিব না। আমার প্রশাসনের কেউ যদি দুর্নীতি করে, তাদের রেহাই দেয়া হবে না (একটু খারাপ ভাষায় বলেছিলাম সেদিন)।

পরবর্তীতে অফিস শুরু করার পর দেখলাম, যে কথা বলেছি সেটার পুরোটা বাস্তবায়ন করা কঠিন কাজ। আমি নিজে শতভাগ সততা বজায় রেখে কাজ করার চেষ্টা করেছি, ঘুষ দুর্নীতির প্রলোভনকে চোখ রাঙিয়ে দুর করে দিয়েছি। নিজেরটা এভাবেই কন্ট্রোল করেছি। কিন্তু অপরেরটা? অনেকেই শুনে অবাক হবেন যে, যে কয়দিন এরশাদ ক্ষমতায় ছিল, অর্থাত ১৯৯০ এর ৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত আমার উপজেলায় দুর্নীতি খুব কম হয়েছে কিংবা আমার নজরে পড়েনি। এটার কারন কাটা দিয়ে কাটা তুলা বা বিষ দিয়ে বিষ ক্ষয় করার মত ব্যবস্হা নিয়েছিলাম। ডিটেইলস ষ্ট্রাটেজিটা বলছি না এখানে।

তবে এরশাদের পতনের পর পরিস্হিতি পরিবর্তন শুরু হয়, সে গল্প অন্যদিন বলা যাবে। আজ শুধু ভাবি, এখন যদি দায়িত্ব পেতাম, কি করতাম?

বিশটি বছর কানাডা আমেরিকায় কাটিয়ে বিশেষ করে আমার বর্তমান অফিস থেকে যা কিছু শিখেছি সেগুলোর প্রয়োগ করতে পারতাম। এই দেশে কি সরকারী, কি ব্যাক্তি পর্যায়ে, ঘৃনা ছড়ানো দন্ডনীয় অপরাধ। বক্ত্বতা বিবৃতিতে হিংসা, বিদ্বেষ না ছড়িয়েও প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক ব্যাক্তিকে পর্যদুস্ত করা যায় সেটা শিখেছি। মানুষকে কিভাবে আরো কাছে টেনে নেয়া যায়, আরো বেশী করে ভালোবাসা যায় সেটা শিখেছি। উন্নয়নের অগ্রাধিকার বলতে কি বুঝায়, প্রজেক্ট কিভাবে অনটাইম শুরু করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শতভাগ সফলতার সাথে শেষ করা যায় শিখেছি। জবাবদিহিতা, নৈতিকতা বিরোধী কাজ গুলো কত প্রকার কি কি, কত ছোট ছোট বিষয়ও যে অনৈতিক হতে পারে সেটা জেনেছি। মানুষকে কিভাবে প্রশিক্ষিত করে, আরো বেশি মোটিভেটেড করে তাদের কে ইনভলব করা যায় সেটা শিখেছি। অন্যের অধিকার ক্ষুন্ন না করে কিভাবে রাস্তায় হাটা চলা করতে হয়, নিত্য জীবন পালন করা যায় সেটাও জেনেছি। অন্যায়ভাবে ব্যাক্তিগত লোভ লালসা আগেও ছিল না, আর আজ এতদিন পর কিভাবে নিজের বিরুদ্ধে সামান্য অভিযোগ থাকলেও সেটার বিচার আগে করা উচিত, করা যায় সেটা শিখেছি। এগুলো সবই শেখার সামান্য মাত্র। তবে, আল্লাহ তায়ালার সৃষ্ট এই বিশাল দুনিয়ায় শেখার কোন শেষ নেই, এক জীবন শেখার জন্য, জানার জন্য যথেষ্ট নয়।

নাহ, আমার কোন রাজনৈতিক অভিলাষ আগেও ছিল না, এখনো নেই। নিজের ঢোল পেটানোও উদ্দেশ্য না। তবে, একবার যদি কেউ এসে বলতো, এই নাও, তোমাকে ছয়মাস সময় দিলাম, এই ছয়মাসে দেখি তুমি কি পরিবর্তন আনতে পারো, হোয়াট ডিফারেন্স ক্যান ইউ মেইক, হিন্দি ছবি 'নায়ক' এর রোল করা প্রিয় নায়ক অনিল কাপুরের ভুমিকায় নিজেকে কল্পনা করে নিজের ব্লাড প্রেসার হাই করার মধ্যেও দোষের কিছু দেখি না! কি বলেন সবাই?






মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৩৭

আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:

এমন কিছু না

০৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩১

২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৩৯

আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: উড়োজাহাজ বলেছেন:
০৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:০৬

ভাই, কেউ কাউকে ধরে এনে ছয় মাসের জন্য সময় দেবে না। সেটা নিজের চেষ্টা ও যোগ্যতা দিয়ে করে নেন। বিদেশে বসে শুধু শুধু কল্পনা করে লাভ নেই। সত্যিকার দেশপ্রেম নিয়ে যদি কাজ করতে চান, স্বার্থহীনভাবে যদি মানব সেবা করতে চান তবে এখানে এসে কাজ শুরু করতে পারেন। অনেক মানুষ রয়েছি আমরা যারা আপনাকে স্বাগতম জানাবো। আপনার শিক্ষা, আপনার অভিজ্ঞতার উপর আমাদের হক আছে, দাবি আছে। আমাদের হক পূরণ না করলে তার জবাবদিহি করতে হবে একদিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.