নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I have a dream...

নিরন্তর সত্যের উপর পথ চলি, দুমড়ে মুচড়ে দেই সব বাধা!

আব্দুল হালিম মিয়া

আব্দুল হালিম মিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুকে হাত রেখে বলুন আপনি কে, কি আপনার পরিচয়?

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ ভোর ৬:০৫

আপনি কেমন ধার্মিক, কেমন ধর্মীয় নেতা! আপনিই তো বলেন দেশে ইসলাম কায়েম করবেন। আপনার দলের নামের শেষেও ইসলাম শব্দটা লাগিয়েছেন। আপনারা দু'জন, একজন সেই ইসলামী দলের সভাপতি, আর একজন সেক্রেটারী। গুরুত্বপুর্ণ দুটি পদ। স্বাধীন বাংলাদেশে এক অসম্ভব ঘটনা সেদিন ঘটলো। আপনারা পেলেন শিল্প ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পদ। টিআইবি সেবারও রিপোর্ট দিল দেশ আবারো দুর্ণীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আপনারাও জানতেন। কমপক্ষে আপনাদের দুটো মন্ত্রণালয়ের খবরতো জানতেন। কি ব্যবস্হা সেদিন নিয়েছিলেন? কয়জন দুর্ণীতিবাজ কর্মচারী, কর্মকর্তাকে শাস্তি দিয়েছেন? না পারলে কেন সেদিন তা জাতির সামনে প্রকাশ করে পদত্যাগ করলেন না? অন্যান্য মন্ত্রণালয়ে দুর্ণীতি হচ্ছে, সরকারী ক্ষমতার অপব্যবহার করছে, ক্ষমতার সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেই করছে, জেনে শুনেও কেনো থেকে গেলেন? কেন পাচটি বছর ক্ষমতার সকল উচ্ছিস্ট ভোগ করলেন অথচ একটা ব্যবস্হাও নিলেন না, জাতিকে জানানোর কোন প্রয়োজনও সেদিন বোধ করলেন না? আপনারা নিজেরা দুর্ণীতি করেছেন কি না জানি না, যদিও এখন অনেক মামলার কথা জানা যাচ্ছে, অস্ত্র চোরাচালান মামলা থেকে শুরু করে আরো কত কি! আমার একটা প্রশ্ন, নিজেরা যদি নাও করেন, সহ্য করলেন কেনো? জানেন না, অপরাধ করা আর সহ্য করা সমান কথা? কেমন ইসলামিক লোক আপনারা, বাপু?



আপনারা দেশের সমাজতান্ত্রিক নেতা, একজন হাতুড়ি কাস্তে নিয়ে সাম্যবাদ কায়েমের লড়াই চালাচ্ছেন সেই পাকিস্তান আমল থেকে আর একজন স্বাধীনতার পর বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কায়েমের আওয়াজ দিলেও এখন শরীক হয়েছেন গনতন্ত্রের লড়াইয়ে, যদিও জংগী খোজার কাজেই সময় বেশী কাটাচ্ছেন। ভালো কথা। আসুন একটু ঝালাই করি আপনাদের রোজ নামচা! এই যে দেশে এত এত দুর্ণীতির কথা শোনা যায়, সে ব্যাপারে আপনাদের বক্তব্য কি? আজ যদি বিরোধী দলে থাকতেন, জনগনের কান ঝালাপালা করে ফেলতেন, কর্মীদের বিপ্লবী করে তুলতেন, দুর্ণীতির বিরুদ্ধে কথার থুবরি ছুটাতেন কিন্তু আজ আপনারা নিজেরাই দায়িত্বে। কই কখনোতো এসব ব্যাপারে আপনাদের টু শব্দটিও শুনি না। আপনাদের দলীয় বক্তব্যই বা কি, পলিট ব্যুরো না কি যেন একটা আছে? অথবা কেন্দ্রীয় সভাপতি মন্ডলি বা কেন্দ্রীয় কমিটি? বলুন গত ছয় বছরে অন্যের মানে বিরোধীদের খুত খুজা ছাড়া নিজেদের কাজের কি জবাব দিহিতা আপনারা জনগনের কাছে দিয়েছেন? কোথায় আপনাদের আগুন ঝরা সেইসব কথাবার্তা? কোথায় আপনারা প্রতিবাদ করলেন? নিজেরা ক্ষমতায়, দু দুটো গুরুত্বপুর্ন মন্তণালয় দখলে রেখেছেন। বিমান মন্ত্রণালয় আর তথ্য! তা কোন সমাজতন্ত্র গত ক বছরে সেখানে কায়েম করলেন দেশবাসীকে একটু জানাবেন প্লিজ? বিমান যে দুর্ণীতির আখড়া, বছরে কোটি কোটি টাকা লোকসান দিয়েই যায় সেটাতো আর গোপন কিছু নয়, আর আপনি সেখানে দায়িত্ব নেবার পর কি করেছেন এ যাবত? কয়জন দুর্ণীতিবাজকে শাস্তির আওতায় এনেছেন? দায়িত্ব নেবার সময় কি জনগনকে জানিয়েছিলেন যে আপনি একটা নীতিবান দলের নীতিবান নেতা, সাম্যবাদ বলে কথা, সেই নেতা যখন দয়া পরবশ হয়ে বিমান মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব নিলেন, কি পেলেন, কতটাকা, কত সম্পদ, কত লোকসান? আর দুদিন পর যখন ক্ষমতা ছাড়তে হবে, কি জবাব দিবেন? কিভাবে বলবেন যে, হে জনতা, দেখো আমি যখন দায়িত্ব নেই এই এই পেয়েছিলাম বিমানে, আর আজ ক্ষমতা ছাড়ার সময় আমি এই জায়গা থেকে বিমানকে এই জায়গায় উন্নীত করেছি। পারবেন না। নাহ ভুল বললাম, পারবেন। কারন আপনাদেরতো কাজের কোন বিশ্বাষযোগ্যতার দরকার কখনোই দরকার পড়ে না, জাষ্ট একটা কিছু বলে দিলেই হলো। দলীয় ঊচ্ছিস্টভোগী ও আজ্ঞাবহ মিডিয়ার দশ পনেরোটা মাইক সামনে নিয়ে যাবার সময় আগের রাতে প্রস্তুত কৃত একটা ফর্দ ধরিয়ে দিলেই হবে। জাতির দলীয় মনস্কা লোকজন খাবে, তারা খেলেই হলো। যারা খাবে না, তারাতো সব জাতির বিরোধী দলীয় মনস্কা। সুতরাং ওদের জন্য এত কষ্ট আগে থেকে করেতো লাভ নাই! কারন জাতির লোকজনের কেউ হয় আপনাদের মনস্কা, না হলে বিরোধী দলীয় মনস্কা। জনগন বলতে তো আর কেউ অবশিষ্ট নেই! যদি থাকতো, তাদের কাছে যদি সত্যিই জবাবদিহিতার প্রয়োজন থাকতো তাহলে প্রতি মাসে কম করে হলেও একবার জাতির সামনে কৈফিয়ত দিতেন যে বিগত একমাসে কি উন্নতি করলেন আপনার কাজের। বিরোধীদের সমালোচনা শুনতেন গুরুত্ব দিয়ে, তারপর রাতে শোবার আগে নিজের আয়নায় দাড়াতেন, নিজেক প্রশ্ন করতেন যে, হে সাম্যবাদি, আমি যে ছোটবেলা থেকে জীবনের জয়গান গেয়ে আসছি, আজ এই পড়ন্ত বেলায় সরকার গঠন করতে না পারলেও সরকারে একটা অংশ হয়ে কি অর্জনটা দিতে পারলাম? যদি নিজেকে উত্তর দিতে যেয়ে নিজের দেয়া মার্কসে ফেল মারেন, পরের দিন গলায় দড়ি না দিলেও অন্তত বিবেকের তাড়নায় জরুরী পলিট ব্যুরোর বৈঠক ডাকতেন, আত্ন সমালোচনা চলতো দিনভর, রাতে রেডিও টিভিতে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগ করে চলে যেতেন। একই কথা বৈজ্ঞনিক সমাজতন্ত্রের নেতার তথ্য মন্ত্রণালয়ের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অবশ্য উনার কথা যতো কম বলা যায় তত মংগল!



বাকী আছেন মুক্ত মনারা। উনারা ধর্মের খুত খুজেন কিন্তু সমাজের, সরকারের, রাষ্ট্রের, বিরোধী দলের খুত খুজেন না। সাধারন মানুষ তরমুজের মধ্যে বিষাক্ত ফরমালিন খেয়ে মরলেই কি বাচলেই কি, শালারাতো ধার্মিক, আফিম খোর, ওদের জীবনের আর কি মুল্য আছে? থাক আজ এখানেই থামি।



যারা কম্পিউটার রেগুলার ইউজ করেন তাদেরকে সাধারনত নানা ধরনের 'ফোল্ডার' তৈরী করে সি ড্রাইভ কিংবা নেটওয়ার্ক ড্রাইভে রেখে দিতে হয়। দিন শেষে যা যা কাজ করেন, কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে ওইসব কাজের ফাইল গুলোকে যথাযথ ফোল্ডারগুলোতে রেখে দিতে হয়। সেই অনুযায়ীই ফোল্ডারগুলোর নাম করন করা হয়। ধরুন, একটা ফোল্ডারের নাম 'মুক্তমনা', অপরটার নাম 'ইসলামি', আর বাকীগুলোর নাম 'সাম্যবাদি', 'গনতন্ত্রী', 'জাতীয়তাবাদী', 'আইসিস', 'কাপালিক', 'বন্দে মাতরম'। এখন আপনি একটার পর একটা ফোল্ডার ডাবল ক্লিক করে করে ওপেন করে দেখলেনে আরে এ কি! সবটার মধ্যেই একই জিনিষ! হয় পর্ণো গ্রাফি, না হয় দুর্নীতির টাকার হিসাব, না হলে খুন গুম আর নীল নকশার ড্রয়িং! তাজ্জব ব্যাপার! আমার মনে হয়ে মাথাটাই কাজ করছে না। সেই যে আর একটা লেখায় বলেছিলাম না, যে শিট ইজ এ্যা শিট! সেটাই বার বার মনে পড়ছে!



বৃক্ষ তোমার নাম কি ফলে পরিচয়! এন্ড অব দ্যা ডে, এটাই বড় কথা। কারন, প্রকৃত ইসলামিক বা প্রকৃত ধার্মিক, প্রকৃত সমাজতন্ত্রী, প্রকৃত সাম্যবাদী, প্রকৃত গনতন্ত্রী, প্রকৃত মুক্তমনা কখনোই কোন ধরনের অন্যায় করতে পারেন না, অন্যায়ের সাথে আপোষ করারতো প্রশ্নই উঠে না।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:১৫

এক্স ফ্যাক্টর বলেছেন: াই মুক্ত মনার আসল পরিচয় জানতে এই লিঙ্ক তা একটু কষ্ট এবং সমই নিয়ে পড়ে আসবেন তারপর একটা মতামত দেন, Click This Link

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫২

আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: দু একটা আগেই দেখেছি, খুবই অন্তঃসারশুন্য ও অর্থহীন মনে হয়েছে। মেধা ও সময়ের অপচয় বলে মনে করি। কারন পৃথিবীতে মুল্যবান সময়কে যথাযথভাবে ব্যবহার করার আরো অনেক ভালো উপায় আছে।

২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৫৮

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: টিআইবির রিপোর্ট ক্ষমতাসীনরা কেউ বিশ্বাস করেনা। তাই সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে কাউকে শাস্তি দেবার চিন্তাটা উদ্ভট মস্তিষ্কের কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়।

সেই দুজন মন্ত্রী তাদের স্বল্প সময়ে তাদের মন্ত্রণালয়কে ধুয়ে মুছে পাক-পবিত্র করতে পারেননি ঠিক আছে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখুন তো, তাদের আমলে ঐ মন্ত্রণালয়গুলোতে কয় টাকার দুর্নীতি হয়েছে আর তাতে মন্ত্রীদের সংশ্লিষ্টতা কতটুকু?

আপনি কি খোঁজ নেবেন? ক্ষমতা নেবার পর থেকেই তো তাদের পেছনে মিডিয়া জোঁকের মত লেগেছিল। মইন ইউর সো কল্ড তত্ত্বাবধায়ক সরকারও তো এই নিয়ে বিস্তর গবেষণা চালালো। কিছু কি পাওয়া গেছে?

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭

আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: নীল আকাশ, আপনি আমার কথা গুলো আরো একবার পড়ে দেখতে পারেন। আমি কোথাও বলিনি টিআইবির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে কাউকে শাস্তি দিতে।

তাদের আমলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কোন দুর্ণীতি হয়েছে কি হয় নাই, এটা জানানোর দায়িত্ব কার ছিল? মইন ইউরা কি করলো সেটা আমার লেখার বিষয়বস্তু নয়।

আমার কথার সারমর্মটা আবার বলছি, দয়া করে খেয়াল করুন:

১) আপনি যখন ক্ষমতা নিলেন, আপনার সম্পত্তির হিসাব দিয়েছেন?
২) দায়িত্ব নেবার সময় মন্ত্রণালয়ের অবস্হা কি ছিল, কত সম্পত্তি, কত দেনা পাওনা, কত লাভ, কত লোকসান, কত দুর্ণীতি এসবের সার্বিক চিত্র কি তারা জনগনের সামনে তুলে ধরেছিলেন?
৩) দু তিন মাস পর পর তারা কি জাতির সামনে তাদের কার্যক্রমের কোন প্রগেস রিপোর্ট পেশ করেছিলেন? বা করতেন?
৪) মন্ত্রণালয় ছেড়ে যাবার সময় আবারো তাদের সম্পত্তির হিসাব, দেনা পাওনা, কতখানি লাভ লোকসান হলো পাচ বছরে সে সবের পুন্খানুপুন্খ হিসাব দেশ ও জাতির সামনে দিয়েছিলেন?
৫) তাদের আগে বা পরে কি কোনই দুর্ণীতি হয় নি? তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্হা নিয়েছিলেন?
৬) তারা সরকারের জোটে থাকা অবস্হায় অন্যান্য মন্ত্রণালয়ে, নানান ধরনের তথাকথিত ভবনের নামে কোন কি দুর্ণীতি অন্যায় অত্যাচার হয় নি? হয়ে থাকলে তারা সরকারের শরীক হিসেবে কি ব্যবস্হা বা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন? ক্যাটাগরিক্যালি বলুন।

ঢালাওভাবে, গতানুগতিকভাবে আর দশজন লোকের মত সরকার চালানোদের নিয়ে আমি আমার লেখাটা লিখি নাই। খেয়াল করে দেখুন আমি কিছু 'আদর্শ বাদী' বলে দাবীদার লোকদেরকে নিয়ে কথা বলেছি।

ধন্যবাদ।

৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: (১, ২, ৩ ও ৪) সম্পত্তির হিসাব দিতে অথবা মন্ত্রণালয়ের ঘরের খবর জনগণকে জানাতে কোন মন্ত্রী বাধ্য নয়, তাই যদি হত, তবে বর্তমান সরকারের মন্ত্রীদের বারোটা বেজে যেত। কি জানি, সরকারেরও নীতি এটা যে, মন্ত্রণালয় বা মন্ত্রীর সম্পত্তির ব্যাপারটা কনফিডেন্সিয়াল -তাই তারা একান্ত আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও কোন কিছু লিক করেননি।

(৫) দুর্নীতির ব্যবস্থা নইলে তা সরকারের বা তার পূর্বসুরীর দুর্বলতা প্রকাশ করে দেয় - তাই হয়তোবা অন্যের দুর্নীতি তারা ঘটতে চায়নি। তাদের কথা বাদ দিন, আওয়ামী লীগও তো ক্ষমতায় এসে তাদের কোন দুর্নীতি উদ্ঘাটন করেনি। এর ব্যাখ্যা আপনি কিভাবে দেবেন?

(৬) আমি যতদূর জানি, অন্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি বা অন্যায় সম্পর্কে তারা মন্ত্রীসভার বৈঠকে নিয়মিত ব্রিফিং করতেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাদের কথা শুনতেন, কিন্তু কোন ব্যবস্থা নিতেন না। এতে তাদের কি করার ছিল? এমনিতেই বিএনপির কয়েক ডজন নেতা তাদের পেছনে লেগে ছিল তাদেরকে বঞ্চিত করে ঐ দুজনকে মন্ত্রী করায়। তাই কাউকে খেপিয়ে তোলা হয় বা বিরোধী দল সুযোগ নিতে পারে - এরকম কিছু তারা এড়িয়ে যেতেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.