নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I have a dream...

নিরন্তর সত্যের উপর পথ চলি, দুমড়ে মুচড়ে দেই সব বাধা!

আব্দুল হালিম মিয়া

আব্দুল হালিম মিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেয়র প্রার্থীরা মিথ্যে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন, এমনকি নুতন প্রজন্মের প্রতিনিধি দাবি করেন যারা তারাও।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৩:৩১

মেয়র প্রার্থীরা মিথ্যে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন, এমনকি নুতন প্রজন্মের প্রতিনিধি দাবি করেন যারা তারাও। আসুন, একজন প্রার্থীর সাংবাদিক সম্মেলনে দেয়া বক্তব্য যাচাই করি। মাহি বি চৌধুরী, যিনি বিএনপির সাবেক সাংসদ, সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরী সাহেবের ছেলে। অনেক ভালো ভালো কথা বলেন, পুরনো বস্তাপচা রাজনীতির বিরুদ্ধে নুতনদেরকে অনেক স্বপ্নের কথা শুনিয়ে থাকেন। ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী হয়েছেন তিনি। উদ্ভুত পরিস্হিতিতে আশা করছেন বিএনপির সমর্থন পাবেন। সেটা তিনি পেতেই পারেন, আমার সে বিষয়ে কোন মন্তব্য নেই, থাকা উচিতও না। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি অনেক কথার মধ্যে যে আজগুবি ও অবাস্তব আশ্বাষ দিয়েছেন জনগনকে সেটা নিয়েই আমার কিছু কৌতুহল। আসুন দেখি তিনি কি বলেছেন সেখানে:

**"‘প্রজন্ম শহর’ স্লোগানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মাহী বি. চৌধুরী বলেন, এখনকার তরুণ প্রজন্ম বিভক্তি চায় না। আবেগের রাজনীতি চায় না। রক্ত চায় না। ঘাম চায়। পেশিশক্তির বদলে মেধানির্ভর রাজনীতি চায়। সৎ নেতৃত্ব চায়। কর্মসূচিভিত্তিক রাজনীতি চায়। বিভক্তির বাংলাদেশ দেখতে চায় না। ঐকমত্যের রাজনীতি দেখতে চায়।" মেয়র নির্বাচিত হলে প্রজন্মের এই ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেয়ার অঙ্গীকার করেন তিনি।

--মাহি সাহেবের কোট করা বক্তব্যগুলো সঠিক বলে আমিও মনে করি, কিন্তু বুঝতে পারি না যে ঢাকা শহরের একজন মেয়র সেগুলোকে কিভাবে বাস্তবে রূপ দিবেন? যেমন, কোন মেয়রের পক্ষে কি দেশে ঐক্যমতের রাজনীতি চালু করা সম্ভব কিনা? যদি সম্ভব বলে মনে করেন তাহলে তিনি সেটা কিভাবে করবেন সেটার ডিটেইলসটাও জনগনকে জানানো দরকার।

***ঢাকা উত্তরের তিনটি মূল সমস্যা চিহ্নিত করে সাবেক প্রেসিডেন্টের এই পুত্র বলেন, "এখানে ৫০ ভাগের বেশি মধ্যবিত্ত,২০ ভাগের বেশি উচ্চবিত্ত,১৩ ভাগের বেশি নিম্নবিত্ত ও ৩ ভাগের বেশি বাস্তহারা মানুষ বাস করেন। আর মধ্যবিত্তরা টাকার কাছে বিক্রি হয় না।"

--ভাল কথা, মেনে নিলাম। তারপর তিনি বললেন, "এখানে তিনটি মূল সমস্য রয়েছে- নিরাপত্তাহীনতা, স্থবিরতা, অন্ধকার। তাই তারা নিরাপদ ঢাকা চায়, চলমান ঢাকা চায়, আলোকিত ঢাকা চায়। আমি মেয়র হলে সাত ধাপে একটি পরিকল্পনা করবো পরিবর্তনের জন্য। প্রথম ১০০ দিনের একটি প্ল্যান থাকবে। তারপরে আড়াই বছর। প্রত্যেক মেয়াদের পরে একটি রিপোর্ট পেশ করবো। প্রয়োজন অনুযায়ী করণীয় ঠিক করবো।"
তিনটি ভাবনা পূরণের জন্য রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও বিজয়ের কথা তুলে ধরেন তিনি। একইসঙ্গে আগামী ১৩ই এপ্রিল সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করবেন বলেও জানান তিনি।

--দেখুন এখানেও তিনি বলেছেন নিরাপত্তাহীনতা, স্হবিরতা ও অন্ধকারের কথা। ঠিক আছে, সমস্যাগুলো বাস্তবভাবেই চিহ্নিত করেছেন। কিন্তু আবারও সেই একই প্রশ্ন, ঢাকার মেয়রের হাতে কি ঢাকার মানুষের নিরাপত্তাহীনতা, স্হবিরতা দুর করার কোন অলৌকিক ক্ষমতা আছে কি? অন্ধকার বলতে যদি তিনি বিদ্যুতের অভাবকেও বুঝিয়ে থাকেন তাহলেও সেটা তিনি পারবেন না, কারন সেটাও কোন একজন মেয়রের ক্ষমতার মধ্যে নেই। কোন মেয়রের পক্ষেই "নিরাপদ ঢাকা, চলমান ঢাকা, আলোকিত ঢাকা" দেয়া সম্ভব নয়। নিরাপত্তা, ট্রাফিক, বিদ্যুত কোনটাই মেয়রের হাতে নেই, ক্ষমতার মধ্যে নেই।

বয়স কিছুটা কম হলেই যে তিনি নুতন প্রজন্মের প্রতিনিধি হবেন এমন ভাবনাটাতো ঠিক নয়, বরং মনে হচ্ছে তিনি এই ঢাকা শহরের লক্ষ লক্ষ তরুন যুবকদের আশা আকাংখা আবেগ নিয়ে কিছুটা প্রতারনা করছেন। কাজেই সকলের উচিত হবে যে কোন মেয়রের দেয়া বক্তব্যকে পুন্খানুরুপে যাচাই বাছাই করে দেখা। কারো মুখ দেখে নয়, টাকা খেয়ে নয়, বক্তৃতাবাজীতে নয়, বরং প্রার্থীরা যখনই পুরোনো আমলের রাজনীতিকদের মত চাপাবাজি করবেন, জানতে চাইতে হবে যে, বলুন, আপনি কিভাবে এইসব কাজ বাস্তবায়িত করবেন করবেন যেগুলো আপনি মেয়র নির্বাচিত হলেও আপনার ক্ষমতার মধ্যেই থাকবে না। এই 'কিভাবে' শব্দটার যথাযোগ্য, বিশ্বাষযোগ্য ও বাস্তবায়নযোগ্য রূপরেখা দেখেই একজন প্রার্থীকে ভোট দেয়াটা এই ডিজিটাল যুগের তরুন যুবকদের জন্য যুক্তিযুক্ত ও মানানসই কাজ বলে আমি দৃঢ় ভাবে মনে করি।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


দুস্ট মাহী তারেকের গুরু

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫

টি এম মাজাহর বলেছেন: আমি বুঝি না, মেয়র থাকলেই কি, না থাকলেই কি?
সেদিন একজন সুহৃদ বলছিলেন, অমুকে মেয়র হলে ভালো হবে, কারণ ক্ষমতাসীন দলের বলে অনেক কাজ করতে পারবে।
আমার উত্তর ছিলো, কাজ করার দরকার হলে মেয়রের কী দরকার? গত প্রায় ৫/৭ বছর ধরে ঢাকায় কোন মেয়র নাই, কই, নির্বাচিত মেয়র থাকাকালীন কাজ আর এখনকার কাজের বিশাল কোন পার্থক্য তো চোখে পড়ছে না। এই কয় বছর ঢাকার রাস্তাগুলোতে কি কাজ হয় নাই? হয়েছে। অনেকগুলা ফ্লাইওভার হয়ে আছে। আমার চারিত্রিক সার্টিফিকেট আনতে মাত্র একদিন লেগেছে (বরং আগে পার সার্টিফিকেট আনতে ২০০ করে টাকা ঘুষ দেয়া লাগতো, সেইটা লাগে নাই)। আজাইরা বিশাল বিশাল প্রতিশ্রুতি শুনে ভোট দিয়া জনগণের লাভ কি? বরং সেই প্রার্থীদের লাভ আছে, কেননা, নির্বাচিত হলে তাদের আত্নীয় স্বজনেরা ঠিকাদারী কাজকর্ম করতে পারবে। অমুকের ইশতেহার অমুকের্ ব্যাকগ্রাউন্ড ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়া পাবলিক লাফালাফি কেন করে সেটাই আমার আশ্চর্য লাগে।

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:১২

তপ্ত সীসা বলেছেন: মেয়র পদ বাতিল কইরা সেনাবাহিনীর ইসিবির হাতে ঢাকার উন্নয়নের দ্বায়িত্ব ছাইড়া দেয়ার আন্দোলনে নামেন ভায়া। এদের দিয়া কিছু হবেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.