নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I have a dream...

নিরন্তর সত্যের উপর পথ চলি, দুমড়ে মুচড়ে দেই সব বাধা!

আব্দুল হালিম মিয়া

আব্দুল হালিম মিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

জ্বী, আমি কথাটা আপনাকেই বলছি।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

১৯৯৯ সালে কানাডাতে আবারও পড়াশুনা শুরু করলাম, একেবারে সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতই অনেকটা। কাধে ব্যাগ ঝুলিয়ে প্রতিদিন কলেজে যাই। সকাল আট টায় ক্লাস, তাড়াহুড়া করে বাসা থেকে বের হলাম। বের হয়েই অবাক হয়ে যাই। আমার বাসার সামনেই ছিপছিপে লম্বা গড়নের এক ভদ্রলোক একা একা দাড়িয়ে কি যেন বিলি করছে। আমার বাসাটা ছিল চার রাস্তার মোড়ে, ডাউন টাউন টরন্টোতে। লোকটাকে দেখে কেমন যেন চেনা চেনা লাগছিল। মাঝে মাঝে টিভিতে দেখি, কিছুদিন আগে আমার বাসায়ও এসেছিল একবার ভোট চাইতে। কাছে গিয়ে দেখি ইয়েস, ইনিই সেই বিল গ্রাহাম, কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও আমাদের এলাকার এমপি।



ক্লাসের তাড়া থাকলেও রাজনীতি, রাজনীতিকদের সম্পর্কে আমার বরাবরই বেশ ইন্টারেষ্ট। কাছে যেয়ে দাড়ালাম। তিনি একটা লিফলেট আমার দিকে বাড়িয়ে দিলেন। আসে পাশে কেউ নেই। পথচারীরা যে যার মত পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছেন, দু একজন কৌতুহুল বশত গাড়ীর কাচ খুলে আড়চোখে দেখছেন। কেউই তেমন কেয়ার করছেন বলে মনে হলো না। আমি দাড়িয় গেলাম, বললাম, কিসের লিফলেট। তিনি হাসিমুখে বললেন, তুমি কি এই এলাকায় থাকো? আমি আমার বাসা দেখিয়ে দিলাম, এই যে তোমার পিছনেই আমার বাসা। বললেন, প্লিজ ভোট ফর মি।



আমি বললাম, দেখো, আমি নিজেও ব্যাক হোমে জনপ্রতিনিধি ছিলাম। আমরা যখন ভোট চাইতাম, আমার আগে পিছে শত শত লোক থাকতো। তোমার সাথে কেউ নেই। বলল, যে তুমি কোথা থেকে এসেছ। বাংলাদেশ বলতেই বললেন, হ্যা, তবে এখানে সেরকম অবস্হা নেই। সবাই ব্যস্ত, সময় ও লোকজন ম্যানেজ করা খুব ডিফিকাল্ট। তবে ভলান্টিয়ার আছে, তারা আলাদাভাবে কাজ করছে।



হাত বাড়িয়ে হ্যান্ড শেকে করে বিদায় নেবার প্রাক্কালে বললাম, গুড লাক। আমার ভোট তুমি পাবে।



কানাডার একজন পররাষ্ট্র মন্ত্রী যিনি পরে কিছুদিনের জন্য লিবারেল পার্টির হাউজ লিডারও ছিলেন। বাংলাদেশের মন্ত্রী নেতা পাতি নেতারা কি একা একা ভোট চাইতে পারেন না? উনাদের সাথে এত ভীড় কেন? এক সময় বেকারের সংখ্যা বেশী ছিল, এখনতো শুনি অনেক অনেক কর্ম সংস্হানের ব্যবস্হা হয়েছে, তারপরও কেন একজন প্রার্থীর পেছনে হাজার হাজার লোককে ছুটতে হবে?



তিনি মন্ত্রী হলে, এমপি হলে, মেয়র হলে, আপনাকে আমাকে কি দিবেন? আদৌও কি কিছু দিতে পারবেন? দিলে কি সেটা বৈধভাবে দিবেন নাকি অবৈধভাবে? কোন কিছু দেবার আদৌ কোন ক্ষমতা তার আছে কিনা?



একটা জনসভায় বা সেমিনারে আস্তে করে যতই জ্ঞান গর্ভ বক্তব্য দেন না কেন, কেউ শুনবে না। যেই আপনি চিল্লানি দিলেন, বক্তৃতার মাঝখানে ঝাঝ মারলেন, অমনি সবাই পিন পতন নিস্তদ্ধ হয়ে গেল, আপনার মুখের দিকে হ্যা করে তাকিয়ে রইলো, মনোযোগী শ্রোতা হয়ে গেল!



মন্ত্রী সাহেব ফেরিঘাটে আসবেন, হাজার খানেক তোরণ তৈরি হয়ে গেল, শত খানেক মোটর সাইকেল হাজির। কিন্তু কেন?



এই কেনর উত্তরের উপর আপনার দেশের উন্নত ভবিষ্যত নির্ভর করছে। আপনি কি চান না এই কেনর উত্তর খুজে বের করতে? জ্বী, আমি কথাটা আপনাকেই বলছি।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০৩

প্রামানিক বলেছেন: দারুণ কথা বলেছেন। ধন্যবাদ

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০৫

আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০৭

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: মন্ত্রী সাহেব ফেরিঘাটে আসবেন, হাজার খানেক তোরণ তৈরি হয়ে গেল, শত খানেক মোটর সাইকেল হাজির। কিন্তু কেন?

..।কারন আমরা বাঙ্গালিরা বেকুব জাতি, হাসিনা ,খালেদা এরশাদ রা চোর জানা সত্ত্বেও আমরা তাদের ভোট দিই।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:১৪

আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: প্রমানিত দুর্নীতিবাজ যারা তাদের থেকে রাজনীতিটা রেহাই পেলে এ অবস্হার সৃষ্টি হবে না। জনগনকে সচেতন ও ভাল মন্দের পার্থক্য বোঝানোর জন্য নিবেদিত প্রাণ ভলান্টিয়ার দরকার।

৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৫

সুমন কর বলেছেন: সব সম্ভবের দেশ, অামাদের দেশ !! X(

২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:১৪

আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: এর থেকে বের হয়ে আসতেই হবে।

৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:২৭

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ++++

২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:১৫

আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.