নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফানডামেনটাল

;

হানিফঢাকা

So peace is on me the day I was born, the day that I die, and the day that I shall be raised up to life (again) (১৯:৩৩)

হানিফঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

দাজ্জাল ঈমাম মেহিদী এবং হযরত ঈসা (আঃ)- প্রচলিত বিশ্বাস VS কোরআন কি বলে?

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৩৮

আমাদের মুসলিম সমাজে দাজ্জাল, ঈমাম মেহিদী এবং হযরত ঈসা (আঃ) নিয়ে অনেক ভুল ধারনা/গল্প চালু আছে। আমরা সবাই এইটা শুনেছি/জানি যে এই তিন জন পৃথিবীর শেষ মুহূর্তে আসবেন এবং শেষের দুইজনের একজন অথবা উভয়েই প্রথম জন কে পরাজিত করবেন। পৃথিবী আবার শান্তিতে পরিরপূর্ন হবে। এরপর হবে কিয়ামত। এই গল্প আমরা শুনেছি আমাদের বাপ দাদাদের কাছ থেকে। তারা শুনেছে তাদের বাপ দাদাদের কাছ থেকে। এই গল্প শুনে ১৪০০ বছর ধরে আমরা আশায় বুক বেধে আছি কবে তারা আসবে আর আমাদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হবে। কিন্তু কোনদিন কি আমারা চিন্তা করে দেখেছি এই সব গল্প কতটুকো সত্য? এই সব গল্পের কোন ভিত্তি আছে কি না? নাকি এইসব বানোয়াট, মিথ্যা কল্প কাহিনি? আমি ব্যক্তিগতভাবে নিজেও এইসব গল্প বিশ্বাস করতাম। কিন্তুু কোরআন পরে যখন এইসব প্রশ্নের উত্তর খুজতে গেলাম তখন বুজতে পারলাম আমার ধারনা কতটা ভুল।
মূল প্রসঙ্গে যাবার আগে আমাদের জানা দরকার আল্লাহ কোরআন সম্পর্কে কি বলেছেন। আল্লাহ কোরআন সম্পর্কে কোরআনে বলেছেন, কোরআন...
১। সন্দেহাতীত/ No Doubt (২:২)
২। মানুষের জন্য হেদায়েত/ Guidance for mankind (২:২, ১৮৫)
৩। হেদায়েতের সুষ্পষ্ট প্রমান / Clear proof for guidance (২:১৮৫)
৪। দ্বীন পরিপুর্ন /Complete code of life (৫:৩)
৫। সত্য এবং মিথ্যা এর মধ্যে পাথর্ক্য নির্ণয়কারী/ Criterion (২:১৮৫, ২৫:১)
৬। সুস্পষ্ট এবং ব্যখ্যাকারী/ Clear/ clarifying /explaining (১৫:১, ৩৬:৬৯, ১২:১, ২৬:২, ২৭:১, ২৮:২, ৪৩:২, ৪৪:২, ১৬:৮৯)
৭। সবধরনের উদাহরণ দেওয়া/ provides every kind of examples (১৭:৮৯, ৩৯:২৭)
৮। সুম্পুর্ন বিস্তারিত / Fully/Distinctly Detailed (৬:১১৪, ৭:৫২, ১১:১, ৪১:৩)

যেহেতু কোরআন সত্য এবং মিথ্যা এর মধ্যে পাথর্ক্য নির্ণয়কারী, আমরা কোরআনের এই বিশেষণ টি ব্যবহার করব উপরের ঘটনাগুলি পর্যালোচনা করার জন্য। আমরা দেখব এইসব ঘটনা সম্পর্কে কোরআন কি বলে। আমাদের অবশ্যয় মনে রাখতে হবে, কোরআনের ভাষ্য আনুযয়ী
“কোরআনে যা কিছু বলা হয়নি তা আমাদের ধর্ম/দ্বীন এর ব্যপারে গুরুত্তপুর্ন নয় এবং যা কিছু কোরআনের সাথে সাঙ্গর্সিক তা অবশ্যয় বর্জনীয়। (পয়েন্ট ৪ এবং ৫)”

হযরত ঈসা (আঃ) কি দ্বিতীয় বার পৃথিবীতে আসবেন?
এই প্রশ্নটার উত্তর পেতে হলে আমাদের দেখতে হবে যে উনি জীবিত নাকি মৃত এবং উনি দ্বিতীয় বার পৃথিবীতে আসবেন -আল্লাহ কি এই ধরনের কোন কথা বলেছেন কিনা

ঈসা (আঃ) ক্রুসবিদ্ধ হননি/তাকে হত্যা করাও হয়নিঃ
এই বিষয়ে কারও কোন সন্ধেহ নাই। আল্লাহ পরিষ্কারভাবে কোরআনে এই কথা বলে দিয়েছেন।

That they said (in boast), "We killed Christ Jesus the son of Mary, the Messenger of Allah";- but they killed him not, nor crucified him, but so it was made to appear to them, and those who differ therein are full of doubts, with no (certain) knowledge, but only conjecture to follow, for of a surety they killed him not (4:157)

যেহেতু কোরআনের ভাষ্য মতে ঈসা (আঃ) ক্রুসবিদ্ধ হননি/তাকে হত্যা করাও হয়নি সুতরাং আমাদের কোরআন থেকে দেখতে হবে যে উনার স্বভাবিক মৃত্যু হয়েছিল কি না।

হযরত ঈসা (আঃ) এর স্বভাবিক মৃত্যুর প্রমাণঃ
১। হযরত ঈসা (আঃ)একজন মরনশীলঃ
আল্লাহ বলেছেন “আপনার পূর্বেও কোন মানুষকে আমি অনন্ত জীবন দান করিনি। সুতরাং আপনার মৃত্যু হলে তারা কি চিরঞ্জীব হবে? (২১:৩৪)
সুতরাং দেখা যাচ্ছে কেউ অমর নয়। আপনি বলতে পারেন যে হযরত ঈসা (আঃ) অমর নয় কিন্তু পৃথিবীতে দ্বিতীয়বার আসার পর
কিয়ামতের আগে উনার মৃত্য হবে। তাহলে দেখি উনার সম্পরকে আর কি কি বলা হয়েছে

২। সব রাসূল ই মৃতঃ
The Messiah, son of Mary, was not but a messenger; messengers have passed on before him. And his mother was a supporter of truth. They both used to eat food. Look how We make clear to them the signs; then look how they are deluded (5:75)

“Muhammad is not but a messenger. Messengers have passed on before him…” (3: 144)

এইখানে এই দুইখানা আয়াতের সামঞ্জস্য বিশেষভাবে লক্ষণীয়। আয়াত ৫:৭৫ এ আল্লাহ পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন যে হযরত ঈসা (আঃ) এর পূর্বে সমস্ত রাসূল গত হয়েছেন। তারা (ঈসা (আঃ) এবং উনার মা ) বেচে থাকার জন্য খাদ্য গ্রহন করতেন। এইটাই আল্লাহর নিদর্শন যে হযরত ঈসা (আঃ) এবং উনার মা মরণশীল মানুষ,এবং এইভাবেই আল্লাহ তার নিদর্শন পরিস্কার ভাবে আমাদের কাছে ব্যক্ত করেন।

এখন আয়াত ৩:১৪৪ এ আল্লাহ ঠিক একই ভাবে নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে বলছেন যে ,মুহাম্মাদ (সাঃ) এর পূর্বে সকল রাসূল গত হয়েছেন। সুতরাং ঈসা (আঃ) ও গত হয়েছেন। এটাই স্বাভাবিক। এটাই সত্য।

যারা কোরআনে বিশ্বাস করেন তাদের জন্য উপরের দুইটি প্রমাণই যথেষ্ট। কিন্তু অনেক দিনের জমানো বিশ্বাস, মোল্লাদের শিক্ষা, হাদিস এর লিখা, পূর্বপুরুষদের কথার উপরে উঠে কোরআনের কথা মেনে নেয়া কষ্টকর। কোরআন বিশ্বাস করি এই কথা মুখে বললেও আগের বিশ্বাস নিয়েই মানুষ আঁকড়ে পরে থাকে। সুতরাং যাদের বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে, তাদের জন্য দেখি আল্লাহ কোরআনে আর কি কি বলেছেন।

আল্লাহ ঈসা (আঃ) এর স্বভাবিক মৃত্যুর কথা কোরআনে বলেছেনঃ
এই বিষয়ে যাওয়ার আগে আমাদের কোরআনের অনুবাদ সম্পর্কে কিছু সত্য জানতে হবে। আমার মত অনেকেই আছেন যারা আরবী ভাষা জানেননা, শুধু পড়তে জানেন। যারা কোরআন বুঝে পড়তে চান, তারা কোরআনের অনুবাদ পড়েন। কিন্তু সমস্যা হল যারা এই অনুবাদ এর কাজটি করেছেন, তারা নিজেদের দল, মতার্দশ, এবং বিশ্বাস কে পুজি করে অনুবাদ করেছেন। কোরআনের অনুবাদ করতে গিয়ে তারা নিজেদের দল, মতার্দশ, এবং বিশ্বাস এর উর্ধে ওঠতে পারেননি। প্রায় সবাই কোরআন কে নিজের মত অনুবাদ করে নিজেদের দলীয়/ উপদলীয় (শিয়া, সুন্নী, কাদিয়ানী- এইসব দল এবং এর উপদল) বিশ্বাস কে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন। এর ফলে কোরআনের আসল মেসেজ এর বিকৃতি হয়েছে। এক আয়াত এর সাথে আর এক আয়াতের অর্থের আমিল/ অসামঞ্জস্য দেখা দিয়েছে। এর উদাহরণ অনেক। আমি একই সাথে কোরআনে ঈসা (আঃ) এর স্বভাবিক মৃত্যুর আয়াত এবং এর অনুবাদ এর অসামঞ্জস্য দেখাব এবং সঠিক অনুবাদটি দিয়ে দেখাব যে উনার মৃত্যু হয়েছে। স্বভাবিক কারনেই এইখানে ইংলিশ অনুবাদ অনুসরণ করব, কারন কোরআনের যেসব বাংলা অনুবাদ পাওয়া যায়, তা সবই এইসব দোষে দুষ্ট, এবং বাংলা অনুবাদের ভাষার প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনেক দুর্বলতা রয়েছে। ইংলিশ অনুবাদেও এই সমস্যা প্রকট, কিন্তু ভাষার ব্যাবহার তুলনামূলকভাবে অনেক পরিষ্কার।

(যদিও আমি আরবী ভাষা জানিনা, আমি আরবী ভাষার গঠন (lts roots and derivatives) বুঝি এবং এর মুল থেকে ইংলিশ ডিকশনারির সাহায্যে অর্থ বের করতে পারি। ( I can use Edward’s lane lexicon, concordance and other Arabic to English dictionary)।) এইখানে আমি ভুল আনুবাদের একটা উদাহরণ দেখাব। আয়াত ৩:৫৫…

অনুবাদ ১ঃ মুহাম্মদ আসাদঃ
Lo! God said: "O Jesus! Verily, I shall cause thee to die, and shall exalt thee unto Me, and cleanse thee of [the presence of] those who are bent on denying the truth; and I shall place those who follow thee [far] above those who are bent on denying the truth, unto the Day of Resurrection. In the end, unto Me you all must return, and I shall judge between you with regard to all on which you were wont to differ

অনুবাদ ২ঃ ইউসুফ আলীঃ
Behold! Allah said: "O Jesus! I will take thee and raise thee to Myself and clear thee (of the falsehoods) of those who blaspheme; I will make those who follow thee superior to those who reject faith, to the Day of Resurrection: Then shall ye all return unto me, and I will judge between you of the matters wherein ye dispute.

উপরের দুই ধরনের অনুবাদ দেখে প্রশ্ন জাগে কোনটা সঠিক। এইখানে مُتَوَفِّيكَ وَرَافِعُكَদুইটি আরবী শব্দের অর্থ বোঝতে হবে। কোরআনের যত জায়গায় مُتَوَفِّيكَএই শব্দ ব্যবহার হয়েছে ঈসা (আঃ) এর ঘটনা ব্যতীত, সব জায়গায় মৃত্যু বুঝানো হয়েছে। উদাহরণসরূপ (৩২:১১,৪:৯৭,৮:৫০,২২:৫,১২:১০১) কিন্তু মজার ব্যপার হল শুধুমাত্র ঈসা (আঃ) এর ক্ষেত্রে অনেক অনুবাদক মৃত্যু অনুবাদ করেন নাই। কেন? কারন ঐ যে বললাম নিজেদের দলীয়/ উপদলীয় (শিয়া, সুন্নী, কাদিয়ানী- এইসব দল এবং এর উপদল) বিশ্বাস। এইভাবে মানুষ কোরআনের আয়াত দিয়ে নিজেদের মত অর্থ করে নিজের প্রচলিত বিশ্বাস কে প্রচার করে।

এই পর্যন্ত আমরা কোরআনের মাধ্যমে প্রমান করেছি ঈসা (আঃ) এর স্বভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এখন বাকি থাকল দুইটা জিনিষ, উনাকে স্বশরীরে তুলে নেওয়া হয়েছে কিনা? এবং উনি আবার আসবেন কি না?

এইখানে وَرَافِعُكَআরবী শব্দের অর্থ বোঝতে হবে, এবং এই শব্দ কোরআনে আর কোথায় কি অর্থে ব্যবহার হয়েছে তা দেখতে হবে। ইউসুফ আলী এই শব্দ “রাফা” এর অনুবাদ করেছেন “raise” মানে উঠিয়ে নেওয়া।অন্যদিকে,মুহাম্মদ আসাদ অনুবাদ করেছেন “exalt”। ইউসুফ আলী এবং অন্য অনুবাদকগন এই শব্দ “রাফা” এর অর্থ করতে গিয়ে বুঝিয়েছেন স্বশরীরে তুলে নেওয়া। কিন্তু এই একই শব্দ যখন কোরআনের অন্য যায়গায় এসেছে, তখন তারা এই অর্থ করেন নাই। কেন?

আল্লাহ ঈদ্রিস (আঃ) সম্পর্কে বলেছেন এবং ইউসুফ আলী অনুবাদ করেছেন…
And We raised him to a lofty station (19:57)

আল্লাহ মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে বলেছেন এবং ইউসুফ আলী অনুবাদ করেছেন…
And raised high the esteem (in which) thou (art held)? (94:4)

ডিকশনারিতে “রাফা” মানে হচ্ছে “ exalt in honor, not physical ascention”.
এখন, যদি “রাফা” এর অর্থ করা হয় “স্বশরীরে তুলে নেওয়া”- তাহলে, আল্লাহর কোরআন অনুসারে ঈদ্রিস (আঃ) এবং মুহাম্মদ (সাঃ) কেও স্বশরীরে তুলে নিয়েছেন, এবং তারা আবার আসবেন।

এখন দেখব, ঈসা (আঃ) এর দ্বিতীয়বার আসার ব্যপারে আল্লাহ কোরআনে কিছু বলেছেন কিনা। এই ব্যপারে আমি কোনও আয়াত খুজে পাইনি। তবে এটা পরিষ্কার যে উনি দ্বিতীয়বার আসবেন না। কারনঃ

১। ঊনি মারা গেছেন। আল্লাহর আইন অনুসারে,মৃত ব্যক্তি পৃথিবীতে দুইবার আসতে পারেন না।
২। আল্লাহ কোরআনের ৫:১১৭ আয়াতে বলেছেন,
"I said nothing to them except that which Thou didst command me-- `Worship Allah, my Lord and your Lord' and I was a witness over them as long as I remained among them, but since Thou didst cause me to die, Thou hast been the Watcher over them, and Thou art Witness over all things." (5:117)

এই আয়াত দিয়ে বুঝা যায় যে, উনার আসার আর কোন সম্ভাবনা নাই।

৩। অনেকে কোরআনের ৪৩:৬১ নাম্বার আয়াত দিয়ে প্রমান করার চেষ্টা করেন যে উনি আবার কিয়ামতের আগে আসবেন। সুতরাং দেখা যাক ৪৩:৬১ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ আসলে কি বলেছেন।

وَإِنَّهُ لَعِلْمٌ لِّلسَّاعَةِ فَلَا تَمْتَرُنَّ بِهَا وَاتَّبِعُونِ ۚ هَٰذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِيمٌ

Yusuf Aliঃ
And (Jesus) shall be a Sign (for the coming of) the Hour (of Judgment): therefore have no doubt about the (Hour), but follow ye Me: this is a Straight Way.

Muhammad Asad ঃ
AND, BEHOLD, this [divine writ] is indeed a means to know [that] the Last Hour [is bound to come]; hence, have no doubt whatever about it, but follow Me: this [alone] is a straight way.

এইখানে ইউসুফ আলী সবচেয়ে বড় manipulation করেছেন। মূল আরবী আয়াত দেওয়া হয়েছে এই জন্য যাতে পাঠক বুঝতে পারে এবং তুলনা করতে পারে আমি কি বুঝাতে চাচ্ছি। প্রথমত, ইউসুফ আলী ব্রাকেটে ঈসা (আঃ) এর নাম ঢুকিয়েছেন, এবং তার সাথে এই আয়াতটি সম্প্রৃক্ত করার চেষ্টা করেছেন, (আমি অনেক অনুবাদ দেখেছি যেখানে এই আয়াতের অনুবাদে সরাসরি ঈসা (আঃ) এর নাম ঢুকিয়ে দেয়া হয়ছে) যদিও এই আয়াতের সাথে ঈসা (আঃ) এর কোন সম্প্রৃক্ততা নাই। এর আগের আয়াতে (৪৩:৬০) আল্লাহ ফেরেস্তার কথা বলেছেন, ঈসা (আঃ) এর কথা নয়। দ্বিতীয়ত, এইখানে “ইলম” শব্দটির অর্থ করেছেন sign বা নিদর্শন, কিন্তু এই শব্দটির অর্থ হবে knowledge/ জ্ঞান। সুতরাং, দ্বিতীয় অনুবাদটি সঠিক।

উপসংহারঃ
১। ঈসা (আঃ) ক্রুসবিদ্ধ হননি/তাকে হত্যা করাও হয়নি (৪:১৫৭)
২। উনি স্বভাবিক মৃত্যু বরন করেছেন (২১:৩৪, ৩:১৪৪, ৩:৫৫, ৫:১১৭ )
৩। উনি দ্বিতীয়বার পৃথিবীতে আসবেন না। কারন আল্লাহর আইন মানুষ একবারই পৃথিবীতে আসবে, এবং একবারই মরন হবে।
৪। যেহেতু উনি পৃথিবীতে দ্বিতীয়বার আসবেন না, সেহেতু, দাজ্জাল এর সাথে যুদ্ধ করার প্রশ্নই আসেনা। দাজ্জাল একটা মিথ এবং এর কোন ভিত্তি নাই। সবই বানানেয়া গল্প। মেহিদীর ক্ষেত্রেও একই কথা। হয়ত পরে কোন এক সময় লিখব।



মন্তব্য ১০০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১০০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:০০

জ্বিনল্যান্ডের জ্বিন বলেছেন: আপ নি নিজেই আরবী জানেন না তাহলে কিভাবে এতো বুঝলেন? আর আপ নি কি জানেন ঈসা (আঃ) আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেছিলেন তিনি যাতে শেষ নবীর উম্মত হতে পারেন।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

হানিফঢাকা বলেছেন: কোরআন পড়েন, তাহলে আপনি নিজেই বুঝবেন।
আর আপ নি কি জানেন ঈসা (আঃ) আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেছিলেন তিনি যাতে শেষ নবীর উম্মত হতে পারেন।
-এইসব গল্প আগে ছোটবেলায় অনেক শুনেছি, এইগুলি বানানো গল্প, এইগুলির কোন ভিত্তি নাই। কোরআনে কোথাও এই ধরনের কথা বলা হয়নি। এইসব গল্প সুফী বইয়ে পাওয়া যায়।

২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: আপনি কি কাদিয়ানী? এত কষ্ট করে এমন আজগুবি পোষ্ট দেয়ার অর্থ কি?

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:০২

হানিফঢাকা বলেছেন: জ্বীনা, আমি কাদিয়ানী না। আমি মুসলিম। ভাই আপনার সমস্যা কি? আমি এইখানে কোরআনের আয়াত বনর্না করেছি। এইগুলি আপনার কাছে আজগুবি মনে হয়েছে? এইখানে কোরআনের কোন আয়াত আপনার কাছে আজগুবি মনে হয়েছে একটু কষ্ট করে বলবেন কি? নাকি আপনি কেরানের আয়াত বিশ্বাস করেন না? কোরআন পড়েন এবং আমি যদি ভুল কিছু বলে থাকি সেইটা বলেন।

৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মীর মোহাম্মদ উল্লাহ বলেছেন: ওহে জ্ঞানপাপী,
হযরত মুহম্মদ (স) তো কুরআন ও সুন্নাহকে (হাদীসকে) আকড়ে ধরার কথা বলেছেন বিদায় হজ্জের ভাষনে।
তুমি হাদিস বাদ দিয়া শুধু কুরআনের কথা বলে "জল ঘোলা" করতে চাও কেন??

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৫১

হানিফঢাকা বলেছেন: এই প্রশ্নের উত্তর আমি আমার লেখাতেই দিয়েছি। আপনি মনে হয় পড়েননি। আমি বলেছি “কোরআনে যা কিছু বলা হয়নি তা আমাদের ধর্ম/দ্বীন এর ব্যপারে গুরুত্তপুর্ন নয় এবং যা কিছু কোরআনের সাথে সাঙ্গর্সিক তা অবশ্যয় বর্জনীয়। (পয়েন্ট ৪ এবং ৫)”।
[/sb
যেখানে আল্লাহ ঈসা (আঃ) সম্পর্কে কোরআনে বলছেন যে উনি মৃত, সেখানে কে কি বলল তাতে কিছু যায় আসে না। আপনার হাদীস লেখকরা কি আল্লাহর চেয়ে জ্ঞানী? হাদীস দিয়ে আপনি প্রমান করবেন কোরআন ভুল? আল্লাহ কি বলেছেন তার চেয়ে বড় হল আপনার হাদিস লেখকরা কি বলেছেন?
আপনি বলেছেন ঃ হযরত মুহম্মদ (স) তো কুরআন ও সুন্নাহকে (হাদীসকে) আকড়ে ধরার কথা বলেছেন বিদায় হজ্জের ভাষনে। এর উত্তরে আমি বলবঃ
১। আপনি সুন্নাহ এর পরে ব্রাকেটে হাদীস লিখেছেন কেন? আপনি কি সুন্নাহ এবং হাদীস এর পার্থক্য জানেন না?
২। আল্লাহ কোরআনে বারবার বলেছেন একমাত্র সুন্নাহ হচ্ছে আল্লাহর সুন্নাহ ( সুন্নাতুল্লাহ) , আল্লাহ কোথাও “সুন্নাতু-মুহাম্মদ”বলেননি।
৩। আপনি শুধু একটা হাদীসের কথা বলেছেন যেইটা আপনার পক্ষে যায়। এই সম্পর্কে তিন ধরনের হাদীস পাওয়া যায়ঃ
বিদায় হজ্জের ভাষনে নবী বলেছেনঃ আমি তো্মাদের জন্য দুইটা জিনিস রেখে যাচ্ছি, তা হলঃ
ক। কোরআন এবং সুন্নাহ ( মুয়াত্তা ৪৬/৩)
খ। কোরআন এবং আহলে বায়াত (মুসলিম ৪৪/৪, হাদিস ২৪০৮, ইবেন হাম্বল ৪/৩৬৬)
গ। শুধুমাত্র কোরআন (মুসলিম ১৫/১৯, হাদীস ১২১৮, ইবনে মাজা ২৫/৮৪, আবু দাউদ ১১/৫৬)
এখন আপনি কোনটা বিশ্বাস করবেন? কোরআন এবং সুন্নাহ (ক), তাহলে আপনি বাকি হাদীসগুলিকে কি বাতিল করছেন না?

৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬

মীর মোহাম্মদ উল্লাহ বলেছেন: তা তোমার সখা "ম জ বাসার" কোথায়??

৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৫৩

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: এই বিভ্রান্তিকর পোষ্টের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করা হলো।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:০১

হানিফঢাকা বলেছেন: ভাই, রিপোর্ট করার অধিকার আপনার আছে। আমি শুধু বলতে চাই আমার লেখার কোন যায়গায় আপনার কাছে বিভ্রান্তি মনে হয়ছে?

৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:২৩

মোহাম্মদ জামিল বলেছেন: হানিফ ভাই-- সালাম- চমৎকার, তথ্যবহুল পোষ্ট। সুরা বাকারায় বলা আছে "তোমাদের মধ্যে বেশির ভাগ মূর্খ, এ কিতাবের ব্যাপারে কেবলমাত্র কল্পনা কর". আজব ব্যাপার আজকে কোরান এর কথা বললে কেউ শুনতে চাই না..কোরান বিশ্বাস করা যেন পাহাড় সমান কঠিন কাজ। আজকে আমরা মুসলিম নাই আমরা সুন্নী, শিয়া, হানাফী, কাদিয়ানী দলে উপদলে বিভক্ত।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৫৬

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:০০

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
@ মুন্না ভাইঃ কি লাভ রিপোর্ট করে?? ব্লগে কাদিয়ানীরা সমাদ্রিত !!

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৩১

হানিফঢাকা বলেছেন: কোরআনের আয়াত বললে কেউ কাদিয়ানী হয়ে যায় এইটা আজকে জানলাম।

৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:০৮

ইমরান আশফাক বলেছেন: আপনি হাদিসগুলি কি একেবারে বশ্বাস করেন না?

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:২০

হানিফঢাকা বলেছেন: ভাই, যেসব হাদীস কোরআনের সাথে সাংঘসির্ক আমি সেই হাদিস বিশ্বাস করিনা। কোন ভাবেই না। যেই লিখে থাকুক আর যে বইয়েই লেখা থাকুক না কেন। কোরআন অনুযায়ী আল্লাহর নবী কোরআনের বিপরীত কিছু বলতে পারেন না। আশা করি বোঝতে পেরেছেন।

৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২৬

মোহাম্মদ জামিল বলেছেন: কাদীয়ানীরা তাহলে কি কোরান বিশ্বাস করে??..কাদিয়নাী করা আসলে..সবাই বলে কাদিয়ানীরা নাকি কাফির..এটা কেন বলে?

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪০

হানিফঢাকা বলেছেন: এই সম্পর্কে আমি খুব কম জানি। যদি জানতে পারি, অথবা যদি কোনদিন জানার আগ্রহ হয়, তবে আপনাকে জানাব।

১০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৫৫

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: ইসলামে কোরআনের পরেই সুন্নাহ। যে কোন সিদ্ধান্ত কোরআন ও সুন্নাহর মিলিত করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এটা কি আপনি জানেন না? নবী ঈসা আ., ও দাজ্জাল সংক্রান্ত সহীহ হাদীছগুলো আপনার বিবেচনায় নেই কেন? আপনি কি "কোরআন অনলি" বিশ্বাসী দলের অনুসারী?

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৫৬

হানিফঢাকা বলেছেন: ইসলামে কোরআনের পরেই সুন্নাহ। যে কোন সিদ্ধান্ত কোরআন ও সুন্নাহর মিলিত করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এটা কি আপনি জানেন না?- জ্বী এইটা আমি জানি। আমি আরও জানি যে এইগুলি মানুষের বানানো, আল্লাহ কোথাও বলেন নাই যে কোরআন ও সুন্নাহর মিলিত করে সিদ্ধান্ত নিতে। আল্লাহ কি বলেছে সেইটা আমি আপনাকে বলছি

...যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফায়সালা করে না, তারাই কাফের।(৫:৪৪)
...যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না তারাই জালেম।(৫:৪৫)
...যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।(৫:৪৭)

নবী ঈসা আ., ও দাজ্জাল সংক্রান্ত সহীহ হাদীছগুলো আপনার বিবেচনায় নেই কেন?- -এর উত্তর আমার লেখাতেই দিয়েছি।
আপনি কি "কোরআন অনলি" বিশ্বাসী দলের অনুসারী?- প্রথমে বললেন কাদিয়ানী, এখন বলছেন কোরআন অনলি, এরপর কি বলবেন?

১১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৫৯

নতুন বলেছেন: মানুষ আশা নিয়ে বেচে থাকে। যত সমস্যা সবকিছুই দাজ্জালের তৌরি... আশা করে ইমাম মেহেদী আর ঈসা আ: আসবেন সকল সমাধান হবে।

আর সবাই কমবেশি রহস্য পছন্দ করে।

এই পযন্ত কয়েকশত মানুষ ইমাম মেহেদী বলে নিজেকে দাবী করেছে। << তাহলে তাদের যত অনুসারী ছিলো তারা বোকা ছিলো ( এখন তো এটা প্রমানিত)

এখনো কিছু পীরের অনুসারীরা পীরকে ইমাম মেহেদী মনে করে।

কিছু মানুষ নিজেদের সুবিধার জন্য মানুষকে অন্ধকারে রাখে যাতে তাদের উপরে মাতুব্বরি করতে পারে।

এখানে আপনি কোরানের রেফারেন্স দিলেন কিন্তু মানুষ আলোচনায় না এসে, আপনার যুক্তি না খন্ডিয়ে আপনাকে বিভিন্ন বিশেষনে ডাকা শুরু করলো। :| :|

আরেকটা বিষয় অনেকের বিশ্বাস ইমাম মেহেদী আর ঈসা আ: তলোয়র দিয়ে যুদ্ধে দাজ্জালকে পরাস্থ করবে। ;)

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৫২

হানিফঢাকা বলেছেন: আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে।(১৩:১১)

১২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:০৪

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রসূলুল্লাহর আনুগত্য কর। যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে আমার রসূলের দায়িত্ব কেবল খোলাখুলি পৌছে দেয়া।
সূরা তাবাগুন - ৬৪: ১২

তোমরা আল্লাহকে মান্য কর , রসূলকে মান্য কর এবং আত্মরক্ষা কর। কিন্তু যদি তোমরা বিমুখ হও, তবে জেনে রাখ, আমার রসূলের দায়িত্ব প্রকাশ্য প্রচার বৈধ নয়।
সূরা মায়েদা - ৫: ৯২

যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্যে রসূলুল্লাহর মধ্যে উত্তম নমুনা রয়েছে। সূরা আহযাব- ৩৩: ২১

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৪০

হানিফঢাকা বলেছেন: ভাই আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি কোরআনের কিছু রেফারেন্স দিয়েছেন। এই রেফারেন্স দ্বারা আপনি হাদীস এবং সুন্নাহর গুরুত্ব বোঝাতে চেয়েছেন। কিন্তু আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে আপনি এই আয়াত গুলির ভুল অর্থ বুঝেছেন। মোল্লারা এই সব আয়াতের ভুল ব্যখা করে তাদের বিশ্বাস কে প্রচার করে। এইসব আয়াত গুলি দিয়ে আল্লাহ কোরআন কেই বুজিয়েছেন। এই আয়াতগুলির অর্থ এবং ব্যখা নিয়ে আমি অনেক আগেই লিখেছি। আপনি দয়া করে সেগুলি পরে নিতে পারেন এবং কোন প্রশ্ন থাকলে করতে পারেন। লিঙ্ক নিচে দেওয়া আছে।
http://www.somewhereinblog.net/blog/hanifdhaka/30033313

১৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:০৫

কবির আহমেদ মাধব বলেছেন: আপনার পোষ্ট নিয়া তেমন কিছু বলব না.........

কিয়ামতের কিছু লক্ষনের ভিতর একটা হচ্ছে...
''যাদের মাঝে কোরয়ানের কোন জ্ঞান নেই তারা কোরয়ান হাদিস তাদের মত ব্যাখা করবে""

@নতুন, আপনাকে বলছি ভাই......

"দাজ্জ্বালের সাথে ঢাল তলোয়ারের যুদ্ধ হবে তাও এই আধুনিক যুগের অনেক পরে,অনেকটা হাস্যকর ব্যাপার তাই না?? কারন এখনি অনেক আধুনিক অস্র আছে দিন দিন তা আরও আধুনায়িকত হচ্ছে তাহলে কিভাবে সম্ভব!!!

হবে ,ঢাল তলয়ারের যুদ্ধই হবে। সেই যুদ্ধের আগে আরেকটা যুদ্ধ হবে যেটাকে বলা হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। সেই যুদ্ধে এত এত এত পরিমান ক্ষয়-ক্ষতি হবে যে যারা এই সব অস্র তৈরি করেন তারা অনেকেই মারাযাবে। মানুষ ভয়াবয়তা দেখে নতুন করে সে সব অস্র আর বানাবে না...........................

আরও আরো অনেক ঘটনা আছে......চীন মুসলিমদের আন্ডারে আসবে,তুরস্ক মুসলিমদের সাথে বেইমানী করবে। তারা চীনের প্রাচীর ভেঙে চীনে আশ্রয় নেয়া মুসলিমদের উপর হামলা করতে সহায়াতা করবে......


তুরস্ক কিন্তু এখনো মুসলিমদের সাথে নেই,এক্মাত্র মুস্লিম দেশ যে ন্যাটোর সদস্য।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:২১

হানিফঢাকা বলেছেন: ভাই “কিয়ামতের কিছু লক্ষনের ভিতর একটা হচ্ছে...
''যাদের মাঝে কোরয়ানের কোন জ্ঞান নেই তারা কোরয়ান হাদিস তাদের মত ব্যাখা করবে""”-
এই কথা আপনি কই পাইলেন? এইটা কি ওহী আকারে আপনার, আপনার পুর্বপুরুষের বা কোন ইমামের উপর অবতীর্ন হয়েছে? যার আদেশে কেয়ামত হবে সে আল্লাহ কেয়ামত সম্পর্কে কি বলেছেন সেটা আগে জানার চেষ্টা করুন। ধন্যবাদ।

১৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৫০

গোলক ধাঁধা বলেছেন: The Messiah, son of Mary, was not but a messenger; messengers have passed on before him. And his mother was a supporter of truth. They both used to eat food. Look how We make clear to them the signs; then look how they are deluded (5:75)

“Muhammad is not but a messenger. Messengers have passed on before him…” (3: 144
এইখানে এই দুইখানা আয়াতের সামঞ্জস্য বিশেষভাবে লক্ষণীয়। আয়াত ৫:৭৫ এ আল্লাহ পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন যে হযরত ঈসা (আঃ) এর পূর্বে সমস্ত রাসূল গত হয়েছেন। তারা (ঈসা (আঃ) এবং উনার মা ) বেচে থাকার জন্য খাদ্য গ্রহন করতেন। এইটাই আল্লাহর নিদর্শন যে হযরত ঈসা (আঃ) এবং উনার মা মরণশীল মানুষ,এবং এইভাবেই আল্লাহ তার নিদর্শন পরিস্কার ভাবে আমাদের কাছে ব্যক্ত করেন।
মজ বাসার ভাইডি কোথায় পাইয়াছেন যে সমস্ত রাসুল গত হইয়াছেন ?? আপনার ইংলিশ অনুবাদের কোথায়ও তো নাই সমস্ত শব্দ টুকু, তাহা হইলে হুদাই ক্যান ত্যানা প্যাচাইতাছেন। আর এইসব বিষয় নিয়া আলোচনার আগে নিজের যোগ্যতা মানে হেডম কতটুকু আছে তাহা জানাইবার কিঞ্চিত আবশ্যকতা আছিয়া বলিয়া মনে হইতাছে তাহা না হইলে আপনার থি ছিঃ সকলের নিকট বালছাল বলিয়াই গন্য হইবেক।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:৪৯

হানিফঢাকা বলেছেন: এইখানে রাসুল গত হয়েছেন বলতে সব রাসুলকেই বুঝানো হয়েছে।
১। رَسُولٌ- মানে A messenger একজন রাসুল, এবং الرُّسُلُ-মানে The messengers –সকল রাসুল। আপনার সন্দেহ থাকলে নিজে একটু চেক করে নিয়েন।

২। আমি এই দুইটা আয়াত একসাথে দিয়েছি এইজন্য যে আপনি মাথা খাটিয়ে তুলনা করতে পারেন। আপনার কথা অনুযায়ী যদি সকল রাসুল বুঝানো না হয়, তাহলে ঈসা (আঃ) এর আগে সব রাসুল মৃত্যু বরন করেননি। এবং যেহেতু কেউ অমর না, সেই সব রাসুল অবশ্যই আবার পৃথিবীতে আসবেন। তাহলে আপনি নিজেই বলেন ঈসা (আঃ) ছাড়া আর কতজন রাসুল মৃত্যু বরন করেননি এবং ঈসা (আঃ) এর সাথে আর কতজন রাসুল পৃথিবীতে আসবেন। একই বাক্য, একই শব্দ ৫:৭৫, ৩:১৪৪ আয়াতে বলা হয়েছে। আপনি ৫:৭৫ এর যায়গাতে বলবেন সকল রাসুল আর ৩:১৪৪ এর বেলায় সকল রাসুল বলবেন না এইটা হবেনা।
মজ বাসার ভাইডি কোথায় পাইয়াছেন যে সমস্ত রাসুল গত হইয়াছেন ??- ভাইজান, এই মজ বাসার নামে আমি কাউরে চিনিনা, কোনদিন এইরকম আইডি ব্যবহারও করিনাই। আমার কোন সময়ে সামুতে দুটা আইডি ছিলনা। বিশ্বাস করা না করা আপনার ব্যপার।

১৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৫১

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: আপনার প্রতিমন্তব্য দেখে নিশ্চিত হলাম আপনি ম জ বাশার এর ক্লোন। এক সময় এই শয়তান সামুতে নানান বিভ্রান্তি ছড়াতো। আর সামু আশকারা দিত। সবাই যখন তাকে বুঝে যায় তখন সে কিছুদিন ক্ষান্ত দেয়। কিন্তু অন্যান্য ব্লগে লিখতে থাকে। আর সামু তার আগের জনপ্রিয়তা ফিরে পাওয়ার চেষ্টায় আছে হয়তোবা। আগে যেখনে তিনশো উপর ভিজিটর থাকতো এখন সেখানে একশ'র নিচে। তাই কিছু বিতর্কিত পোষ্টদাতা নিযুক্ত করেছে আপনাদের মত যাদের ইসলামের বেসিক জ্ঞান নেই। সামু নাস্তিকদেরও প্রমোট করে, এ কথা সবাই জানে। আমার মনে হয় সামুর থিংক ট্যাংক বদলানো দরকার। সবাই বলে মিস জানা ও তার স্বামী বিশেষ মিশন নিয়ে বাংলাদেশে ব্লগ খুলেছে। তা' হচ্ছে সেক্যুলার নাস্তিকতা ও চুপা হিন্দু মূর্খ কিছু লোক দিয়ে বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রতা ছড়াবার প্রচেষ্টা চালনো। কিন্তু চেষ্টা করেও মাথা তুলে দাড়াতে পারছে না। ভালো ভালো সব ব্লগার ভেগে গেছে। তার নমুনা আপনাদের মত মূর্খ দেখেই বোঝা যায়। বিদায়। আর আসছি না। আপনাদের মত মূর্খদের সাথে তর্ক করা মানে সময় নষ্ট করা।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:৩৬

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি আমার সম্পর্কে অনেকগুলি বিশেষণ ব্যবহার করেছেন। আপনার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর আমি দিয়েছি। আমিত নিজের কোন মতবাদ প্রচার করিনি। কোরআন যা বলেছে সেটাই বলেছি। কোরআনের কথা শুনে আপনার গা জ্বলে কেন? আপনার বিশ্বাসের বিপরীত বলে? আপনার কথার জবাবে শুধু একটা কথাই বলব, আল্লাহ বলেছেনঃ

তোমাদের কি হল ? তোমরা কেমন সিদ্ধান্ত দিচ্ছ? তোমাদের কি কোন কিতাব আছে, যা তোমরা পাঠ কর। তাতে তোমরা যা পছন্দ কর, তাই পাও? না তোমরা আমার কাছ থেকে কেয়ামত পর্যন্ত বলবৎ কোন শপথ নিয়েছ যে, তোমরা তাই পাবে যা তোমরা সিদ্ধান্ত করবে? (৬৮:৩৬-৩৯)

ভাল থাকবেন।

১৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:০৮

সজিব্90 বলেছেন: আপনি শায়খ নযর ইমরান হুসাইনের লেখা গুলো পড়তে পারেন বাংলা পাওয়া যায়,তাহলে আপনার বিভ্রান্ত গুলো দূর হবে,YouTube এ লেকচার গুলো শুনতে পারেন, আার এটা শুধু মুসলিমরা বিশ্বাস করে তা নয়,খ্রিষ্টান ও ইহুদিরা ও বিশ্বাস করে anti Christ এ।সে বিশ্বাস থেকে Israel রাষ্ট জন্ম। বই গুলো হচছে , Jerusalem in the Quran, gog and magog in the morden age, sura khaf and mordan age riba and mordan aga, dinar and dirham। আপনি ইমেইল আইডি দিলে আমি PDF copy পাঠাতে পারি। পপারি

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:৫৩

হানিফঢাকা বলেছেন: ভাই, আমার লেখাতে কোরআন থেকে যে আয়াতগুলি বর্ণনা করেছি, সেখানে কোথায় বিভ্রান্তি আছে সেটা বলেন। আল্লাহর এই আয়াতগুলি কি পরিষ্কার না? আল্লাহ যেখানে পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন, তা মানতে এত কষ্ট হচ্ছে কেন?
আার এটা শুধু মুসলিমরা বিশ্বাস করে তা নয়,খ্রিষ্টান ও ইহুদিরা ও বিশ্বাস করে anti Christ এ।– জ্বী, ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের এই বিশ্বাস মুসলমানদের মধ্যে ঢুকান হয়েছে। এইরকম অনেক উদাহরণ আছে। ইসলামের নামে ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের অনেক বিশ্বাস/মতবাদ প্রচার করা হয়। মুসলমানরা অন্ধ ভাবে এইসব অনুসরণ করে। সেজন্য আল্লাহ কোরআনে পরিষ্কার ভাবে ঈসা (আঃ) সম্পর্কে বলে দিয়েছেন। এইখানে বিভ্রান্তির কোন আবকাশ নাই। ধন্যবাদ।

১৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:৫০

গোলক ধাঁধা বলেছেন: The messengers – মানে সকল রাসুল,হা হা হা চমতকার । আপনি রাসুল,অনেক রাসুলেরা এবং সকল রাসুলগনের মধ্যে পুরাই তালগোল পাকাইয়া ফেলছেন। ইংলিশ তরজমা তো ঠিকই আছে।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:৫৫

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি অনুবাদ করে বলেন কি হবে।

১৮| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৫১

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: যুক্তি গুলো ভালো , এখন প্রকৃত ইসলামি স্কলাররা কি বলে শুনতে হবে ।

১৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩

এ আর ১৫ বলেছেন: অনুবাদ ১ঃ মুহাম্মদ আসাদঃ
Lo! God said: "O Jesus! Verily, I shall cause thee to die, and shall exalt thee unto Me
অনুবাদ ২ঃ ইউসুফ আলীঃ
Behold! Allah said: "O Jesus! I will take thee and raise thee to Myself and clear thee
বাংলা অনুবাদ
আর স্মরণ কর, যখন আল্লাহ বলবেন, হে ঈসা! আমি তোমাকে নিয়ে নেবো এবং তোমাকে নিজের দিকে তুলে নিবো-কাফেরদের থেকে তোমাকে পবিত্র করে দেবো (৩-৫৫) ----
এই ৩ অনুবাদে ভবিষৎকাল দেখানো হয়েছে .। I shall বা I will তাহোলে ভবিষৎতে আল্লাহ কি করবে তার কথা বলা হয়েছে । ৩ টা অনুবাদে ফিউচার টেন্স দিয়ে কি বুঝানো হয়েছে ??

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:১০

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর প্রশ্নের জন্য।
১। প্রথমত, বাংলা অনুবাদে টেন্সে ভুল আছে। আরবী শব্দ “ক্বালা” অর্থ “said” not “will say”। সুতরাং, সঠিক বাংলা অনুবাদ হবে “বলেছিলেন/বলেছেন” not “বলবেন”। এইটা অনুবাদকের ইচ্ছাকৃত ভুল অনুবাদ। এবার আসি আপনার মূল প্রশ্নে

২। “I shall বা I will তাহোলে ভবিষৎতে আল্লাহ কি করবে তার কথা বলা হয়েছে”- জ্বী আপনার কথা ঠিক আছে। বাক্যের এই জায়গায় আল্লাহ ঈসা (আঃ) এর কাছে প্রতিজ্ঞা করেছেন/ অভয় দিয়েছেন স্বভাবিক মৃত্যুর ব্যাপারে। এইজন্য্ ভবিষৎ কাল ব্যবহার করা হয়েছে। এখন ৩:৫৫ আয়াতের পরে ৫:১১৭ আয়াত পরলে দেখবেন যে আল্লাহ তার প্রতিজ্ঞা রক্ষা করেছেন। অর্থাৎ “the promise is fulfilled “ আরও ভালভাবে বোঝার জন্য ৫:১১৬-১১৭ একসাথে পড়েন। আশা করি বোঝতে পেরেছেন।

২০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৬

মুহাম্মদ ফয়সল বলেছেন: প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে আপনার কথায় যুক্তি আছে। তবে আল্লাহ যেহেতু সেই ক্ষমতা দিয়েছেন, নিজে না পড়ে আমি পুরোপুরি নির্ভর করতে পারছি না। কোরআনের আগে কোন দলিলই গ্রহণযোগ্য নয়।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১২

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনি দয়া করে নিজে পড়ুন এবং অনুবাদের দিকে লক্ষ্য রাখুন।

২১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫১

মুহাম্মদ ফয়সল বলেছেন: কোরআনে নেই এমনকিছুর বর্ণনা যতো যৌক্তিকই হোক গ্রহণযোগ্য নয়। আবার কোরআনের বিষয়ে ব্যখ্যা যদি কোরআনের মুলনীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়, তবে তা ও গ্রহণযোগ্য নয়।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৩

হানিফঢাকা বলেছেন: জ্বী আমি এই কথাই বলেছি। ধন্যবাদ।

২২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৯

নাজিব হোসেন আকাশ বলেছেন:

২৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭

মুসলিম উম্মাহ বলেছেন: আপনি সূক্ষ্ম জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন, ভুল তথ্য প্রচার করেছেন এবং মানুষদের গোমরাহীর দিকে ডাকছেন, কুফরীর দিকে ডাকছেন।

///হযরত ঈসা (আঃ) কি দ্বিতীয় বার পৃথিবীতে আসবেন?///
এই কথা বলে আপনি পরের অনুচ্ছেদ লিখেছেন
////ঈসা (আঃ) ক্রুসবিদ্ধ হননি/তাকে হত্যা করাও হয়নি////

সুতরাং আল্লাহর আয়াতই প্রমাণ করে, ঈসা আ: কে হত্যা করা হয়নি।

এরপর ////হযরত ঈসা (আঃ) এর স্বভাবিক মৃত্যুর প্রমাণ/// শিরোনামে অমরত্ব সংক্রান্ত একটি আয়াত দিলেন যা হাস্যকর।
আপনি লিখেছেন।
////আল্লাহ বলেছেন “আপনার পূর্বেও কোন মানুষকে আমি অনন্ত জীবন দান করিনি। সুতরাং আপনার মৃত্যু হলে তারা কি চিরঞ্জীব হবে? (২১:৩৪)//

ভাই, এই আয়াত তো কেউ অমরত্ব পাবে কি পাবে না সম্পর্কিত। আপনি কোন জায়গায় কি সেট করলেন? কুরআনে আল্লাহ বলেছেন তিনি কাউকে অনন্ত জীবন দান করেননি। মুহাম্মাদ সা: ও অনন্ত জীবন পাবেন না, ঈসা আ:ও পাবেন না। মরতে মানুষকে হবেই। এই আয়াত দিয়ে এটা কোনভাবেই প্রমাণিত হয় না যে, ঈসা আ: ইতোমধ্যে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন। আপনার এই বক্তব্যের সম্পূর্ণটাই ধারণার উপর ভিত্তি করে বলা।

২৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪১

মুসলিম উম্মাহ বলেছেন: এরপর আপনি বললেন, ডিকশনারিতে “রাফা” মানে হচ্ছে “ exalt in honor, not physical ascention”.

এটা কোন ডিকশনারী ভাই? কার লেখা? ইসলামিক বিষয়ে কথা বলতে গেলে তো গ্রহণযোগ্য ডিকশনারী প্রয়োজন যা আরবীয়দের লেখা। কারণ কুরআন তো আরবীয়দের উপর নাজিল হইছে। যদি আমরা অনারবদের থেকে আরবী ভাষার ব্যাখ্যা গ্রহণ করি নিজ মতকে টিকানোর জন্য তবে বিভ্রান্ত হবো। যেমন ইংরেজরা মুষলধারে শব্দের ইংরেজী লিখে Cats & Dogs। এখন আমরা যদি বাংগালীদের থেকে এই শব্দ শিখতে যাই, তবে সে যে আমাদের বিড়াল ও কুকুর বুঝাবে না, তার কি কোন নিশ্চয়তা আছে???

২৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪

মুসলিম উম্মাহ বলেছেন: রা'ফা দিয়ে উত্তোলন বুঝায়। আর এখানে আরবী শব্দটি হচ্ছে وَرَافِعُكَ অর্থাৎ তুলে নিয়েছি তোমাকে। যা থেকে স্পষ্ট বুঝা যায়, আল্লাহ ঈসা আ: কে তুলে নিয়েছেন।

এখন বুঝের বিষয়, হত্যা করা হয়নি, ক্রুশবিদ্ধ করা হয়নি, কিন্তু তুলে নেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন কিভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে। এর সোজা উত্তর স্বশরীরে। কারণ শরীর ছাড়া আল্লাহ যদি আত্মাকে তুলে নিতেন তবে অবশ্যই লোকেরা বলত ঈসা আ: শুলেবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বা আমরা তাকে হত্যা করেছি।

২৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮

মুসলিম উম্মাহ বলেছেন: এরপর আপনি লিখলেন,
উপরের দুই ধরনের অনুবাদ দেখে প্রশ্ন জাগে কোনটা সঠিক। এইখানে مُتَوَفِّيكَ وَرَافِعُكَদুইটি আরবী শব্দের অর্থ বোঝতে হবে। কোরআনের যত জায়গায় مُتَوَفِّيكَএই শব্দ ব্যবহার হয়েছে ঈসা (আঃ) এর ঘটনা ব্যতীত, সব জায়গায় মৃত্যু বুঝানো হয়েছে।

এখানে আপনি ভুল তথ্য পরিবেশন করেছেন। কারণ মৃত্যু ছাড়াও এই শব্দ ঘুমের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে।

মহান আল্লাহ বলেন,
وَهُوَ الَّذِي يَتَوَفَّاكُم بِاللَّيْلِ
তিনি সেই আল্লাহ যিনি রাতের বেলা তোমাদের নিদ্রা দিয়ে থাকেন। (সূরা নিসা-৬০)

২৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০

মুসলিম উম্মাহ বলেছেন: এরপর আল্লাহ কিছু আয়াত দিয়েছেন যেগুলো বলছে যে রাসূল সা: এর আগে অনেক নবী গত হয়েছেন। এই আয়াতগুলোতে আল্লাহ কখনোই বলেন নাই যে, নবী মুহাম্মদ সা: এর পূর্বে সকল নাবী ও রাসূল মারা গেছেন। আপনি পারলে সকল নবী মারা গেছেন মর্মে কোন প্রমাণ দেখান।

ইনশাআল্লাহ কিয়ামত পর্যন্ত আপনি দেখাতে পারবেন না।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৭

হানিফঢাকা বলেছেন: ভাই কিয়ামত পর্যন্ত কেন অপেক্ষা করতে হবে? আপনি ৩:৪৪ এবং ৫:৭৫ এর অনুবাদ করেন এবং এক সাথে পড়েন। আপনার সুবিধার জন্য আয়াত দুইটা দিয়া দিলাম, আপনি নিজে অনুবাদ করে বলেন কি হবে।

“Ma almaseehu ibnu maryama illarasoolun qad khalat min qablihi alrrusulu...” (৫:৭৫)
“Wama muhammadun illarasoolun qad khalat min qablihi alrrusulu...” (৩:৪৪)

আপনার বাকি প্রশ্নের উত্তর আমি আপনার উত্তরের পরে দিব। দেখি আপনি কি অনুবাদ করেন।

২৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯

মুসলিম উম্মাহ বলেছেন: প্রথমত: আমি বলেছি আল্লাহ কখনোই বলেন নাই যে, নবী মুহাম্মদ সা: এর পূর্বে সকল নাবী ও রাসূল মারা গেছেন। মারা যাওয়া তথা "মাওতা" শব্দে আপনি আয়াত দেখাতে পারবেন না ইনশাআল্লাহ। উক্ত আয়াতে বলা হয়েছে قَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِهِ الرُّسُلُ অর্থাৎ ক্বদ খালাত মিন কাবলীহি....এখানে هِ হচ্ছে জমির (সর্বনাম) এবং এটি একবচন।

দ্বিতীয়ত: আয়াতটি বলছে রাসূল সা: এর পূর্বে রাসূলগণ বিগত হয়েছেন। আল্লাহ বলেননি রাসূল সা: এর পূর্বে রাসূলগণ মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুবরণ বা আরবী "মাওতা" শব্দ আল্লাহ ব্যবহার করেননি।

তৃতীয়ত: আরবী ক্বদ শব্দটি দ্বারা নিকটতম অতীত বুঝাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এখানে আল্লাহ শিক্ষা দিচ্ছেন যে, মুহাম্মাদ সা: এর আগের নিকটতম রাসূলগণ যেমন, মূসা আ:, ইব্রাহিম আ:, হারুন আ: ইত্যাদি নিকটবর্তী রাসূলগণ বিগত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন। লক্ষণীয়, আল্লাহ বলেননি মৃত্যুবরণ করেছেন।

চতুর্থত: আল্লাহ এখানে কুল্লু শব্দটি ব্যবহার করেননি সকল রাসূল গত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেননি। কুল্লু শব্দটি থাকলে সকল রাসূল মারা গেছেন, বলে প্রমাণিত হতো।

পঞ্চমত: ক্বদ খালাত রাসূলিহি দিয়ে সকল রাসূলকে বুঝায় না, বরং নিকটবর্তী রাসূলদের বুঝায়। সকল রাসূল বুঝাতে গেলে কুল্লু শব্দটি ব্যবহৃত হতে হবে। কিন্তু আল্লাহ তা ব্যবহার করেন নি। সুতরাং আপনি বুঝতে ভুল করেছেন। এটা আপনার জ্ঞানের স্বল্পতা ছাড়া কিছুই নয়, যা দিয়ে আপনি মানুষকে গোমরাহ করছেন।

সুতরাং আমি এখনো বলছি যে, আপনি সকল রাসূল সা: মৃত্যুবরণ করেছেন মর্মে কোন আয়াত দেখাতে পারবেন না।

আপনি সকল রাসূলগণ মারা গেছেন প্রমাণ করতে হলে, কুল্লু শব্দ এবং মাওতা শব্দ বিশিষ্ট আয়াত নিয়ে আসুন যদি সত্যবাদী হয়ে থাকেন।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

হানিফঢাকা বলেছেন: আমি আপনার কাছে ব্যখা জানতে চাইনি। আপনাকে বলেছি ঐ দুইটি আয়াতের অনুবাদ করে আমাকে বলেন। ঠিক এইভাবে যেমনঃ

অনুবাদ (৩ঃ৪৪)----------------------------------------------------------------------------------।
অনুবাদ (৫ঃ৭৫)----------------------------------------------------------------------------------।
আমি আপনার অনুবাদের অপেক্ষায় আছি।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬

হানিফঢাকা বলেছেন: দুঃখিত ৩ঃ১৪৪ হবে।

২৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৬

মুসলিম উম্মাহ বলেছেন: আপনি মূলত প্রচলিত অনুবাদের দিকে ইংগিত করছেন। আর জেনে রাখুন, এসব ভুলভাল বলে সাধারণ মানুষকে এবং নিজেকে গোমরাহ বানাতে পারবেন। সবাইকে নয়।

আপনার জানা প্রয়োজন আরবী আয়াতের বাংলা অনুবাদ সম্পূর্ণ অর্থ কখনোই প্রকাশ করবে না। যেমন আমি ক্বদ নিয়ে আলোচনা করেছি।

তৃতীয়ত: আরবী ক্বদ শব্দটি দ্বারা নিকটতম অতীত বুঝাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এখানে আল্লাহ শিক্ষা দিচ্ছেন যে, মুহাম্মাদ সা: এর আগের নিকটতম রাসূলগণ যেমন, মূসা আ:, ইব্রাহিম আ:, হারুন আ: ইত্যাদি নিকটবর্তী রাসূলগণ বিগত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন। লক্ষণীয়, আল্লাহ বলেননি মৃত্যুবরণ করেছেন।

উক্ত আয়াতে আল্লাহ বুঝাতে চেয়েছেন রসূলুল্লাহ সা: এর পূর্বে বহু রাসূল বিগত হয়েছেন। বাংলায় অনুবাদ করা মানে এই নয় যে, আপনি সেটাকেই চূড়ান্ত ধরে ফাতওয়া দেওয়া শুরু করবেন। বরং এখানে আরো অসংখ্য বিষয় রয়েছে। আপনার হেদায়েতের জন্য আমার দুআ রইল আল্লাহর নিকট।.

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮

হানিফঢাকা বলেছেন:
" বাংলায় অনুবাদ করা মানে এই মানে এই নয় যে, আপনি সেটাকেই চূড়ান্ত ধরে ফাতওয়া দেওয়া শুরু করবেন"-ভাই আপনাকে শুধু অনুবাদ করতে বলেছি। বাংলায় না পারলে ইংরেজিতে করেন কোন স্মাস্যা নাই।

" বরং এখানে আরো অসংখ্য বিষয় রয়েছে"- - সেই সমস্যাটা হচ্ছে আল্লাহ কি বলেছেন তা না বুঝার চেষ্টা করে নিজের ধর্মীয় মতবাদ কে যে কোন ভাবে কে কি বলেছে তা দিয়ে রক্ষা করা।

আপনাদের আর কি কি বিষয় আছে তার চেয়ে আল্লাহ কি বলেছেন তা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

আপনাকে ধন্যবাদ।

৩০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১২

মুসলিম উম্মাহ বলেছেন: ভাই, চালাকী ছাড়েন। " বরং এখানে আরো অসংখ্য বিষয় রয়েছে" বলতে আমি কি বুঝিয়েছি তা পাঠক ঠিকই বুঝে নিবে এবং উপরের আলোচনা পড়লে বুঝতে পারবে। কিন্তু আপনার জন্য আমার আফসোস হচ্ছে। কারণ মহান আল্লাহ মানুষকে গোমরাহকারীদের ব্যাপারে বলেছেন,

لِيَحْمِلُواْ أَوْزَارَهُمْ كَامِلَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمِنْ أَوْزَارِ الَّذِينَ يُضِلُّونَهُم بِغَيْرِ عِلْمٍ أَلاَ سَاء مَا يَزِرُونَ
ফলে কেয়ামতের দিন ওরা পূর্ণমাত্রায় বহন করবে ওদের পাপভার এবং পাপভার তাদেরও যাদেরকে তারা তাদের অজ্ঞতাহেতু বিপথগামী করে শুনে নাও, খুবই নিকৃষ্ট বোঝা যা তারা বহন করে। (সূরা নাহল-২৫)

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫

হানিফঢাকা বলেছেন: একটা অনুবাদ করতে বললাম তাতেই এই অবস্থা, আর আপনি আসছেন শব্দের অর্থ আর অঅঅঅঅঅঅঅঅঅঅঅঅঅঅঅ------------------------ সংখ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে।আপনার বিদ্যার দৌড় আমি বুঝতে পারছি। মানুষকে বুঝানোর আগে নিজে শিখেন।

আপনার মন্তব্য পড়ে মজা পাচ্ছি। যেমন বলেছেন "মূসা আ:, ইব্রাহিম আ:, হারুন আ: ইত্যাদি নিকটবর্তী রাসূলগণ বিগত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন। লক্ষণীয়, আল্লাহ বলেননি মৃত্যুবরণ করেছেন"। । তাহলে কি মূসা আ:, ইব্রাহিম আ:, হারুন আ: ইত্যাদি নিকটবর্তী রাসূলগণকেও আল্লাহ স্বশরীরে আকাশে তুইলা নিছে? "বিগত হওয়া" শব্দটার অর্থ তাহলে কি দাঁড়াল? আপনাকে এই প্রশ্ন করা অনর্থক, কারন আপনি ত আগের প্রশ্নের উত্তরই দিতে পারছেন না।

৩১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:১০

অাহসান শান্ত বলেছেন: Are u dumb? Isha (AH) will die in 2nd coming its cleared and will be buried in Rauza mubarak. don't you read? i don't understand why your posts are half completed type like you are trying to misguide? you said Qur'an in used by people as they like but the whole world knows not a single letter is changed.there are many Tafsir books please read those

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৬

হানিফঢাকা বলেছেন: Wow, where did you find it? Did Allah says it? I did not find any clue in Quran regarding your claim .
Show me a single verse from Quran in support your view . if you can't, please read what I wrote here.
Thanks.

৩২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪

অাহসান শান্ত বলেছেন: Have you read Bukhari Sharif ? what Rasul (Sm) said ? what can not be answered by Qur'an consult in hadis. anyway have you read Surah Maryam? are you atheist? or anti islam? why you are behind the Qur'an? i told you once read Bible and other books of all religion. you are so dumb man. feel pity for you

৩৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮

অাহসান শান্ত বলেছেন: where did I find it? you are so fucking scholar of religion have not you heard it in Bible? have you heard about second coming? i am not telling you to consult with Qur'an 1st. 1st read the bible what is written there. the part of that Bible is called "Book of Revelation" and Gospel of Saint John. ok?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৮

হানিফঢাকা বলেছেন: First correct your language then talk.

৩৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০৬

আরব বেদুঈন বলেছেন: রাসূল সঃ বলেছেন হযরত ঈসা আঃ কিয়ামতের আগে অবশ্যই দুনিয়াতে আসবে এবং এটাও বলেছেন যে আল্লাহ তাকে স্বসরিরে উঠিয়ে নিয়েছেন। তাহলে আপনি কি কুরান মুহাম্মাদ সঃ এর থেকে বেশি বুঝেছেন?
এই যে শুধু মাত্র আপনার মত কতিপই কাফেরের জন্য আজ আমাদের মুসলিম সমাজে মুরতাদ বেড়েই চলছে।আমি স্বীকার যে আপনি আনেক সুন্দর করে এই মিথ্যা রটনা করেছেন আপনি স্বিকার করেছেন যে আপনি আরবি বুঝেন না আমিও কিন্তু বুঝি না।কিন্তু আপনি জোর গলাই যে মিথ্যা রটনা করেছেন তা আমি কিভাবে মানব?আপনি তো আরবি পড়াই জানেন না কুরানে বাংলা দেখে কি বোঝাতে চান???
আপনি এটাই বুজাতে চান কুরান মিথ্যা কজ আল্লাহ বলেচেহ কেউ যদি কুরানের একটা আয়াত মিথ্যা প্রমাণ করতে পারে তাহলে পুরো কুরান মিথ্যা।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭

হানিফঢাকা বলেছেন: বলেছেন: আমি বলিনি আমি আরবি পড়া জানি না, আমি তোতা পাখির মত না বুজে আরবী পড়তে জানি। আমি বলেছি আমি আরবী ভাষা জানি না অর্থাৎ পড়লে এর অর্থ বুঝিনা, কিন্তু আমি আরবী ভাষার গঠন বুঝি এবং ডিকশনারি থেকে আরবী শব্দের অর্থ বের করতে পারি।

আপনি বলেছেন "কিন্তু আপনি জোর গলাই যে মিথ্যা রটনা করেছেন তা আমি কিভাবে মানব"- প্রমান করেন কোথায় মিথ্যা কথা বলেছি। পারবেন?

আপনি বলেছেন "আপনি এটাই বুজাতে চান কুরান মিথ্যা কজ আল্লাহ বলেচেহ কেউ যদি কুরানের একটা আয়াত মিথ্যা প্রমাণ করতে পারে তাহলে পুরো কুরান মিথ্যা।"। আপনি বলেছেন আপনি আরবী বুঝেন না, আমার ত মনে হয় আপনি বাংলা ও বুঝেন না। বাংলা আবার শিখে আসেন।

এইখানের প্রতিটা রেফারেন্স আমি কোরআন থেকে দিয়েছি, আর আপনি বলছেন আমি কোরআন ভুল প্রমান করতে চাচ্ছি?
না। বরং আপনি নিজে "রাসূল সঃ বলেছেন হযরত ঈসা আঃ কিয়ামতের আগে অবশ্যই দুনিয়াতে আসবে এবং এটাও বলেছেন যে আল্লাহ তাকে স্বসরিরে উঠিয়ে নিয়েছেন" -এই কথা বলে কোরআন ভুল প্রমান করার চেস্টা করছেন।

কাউকে কাফের বলার আগে আগে আয়নায় নিজের চেহারাটা দেইখেন। আপনি যে দুইটা শব্দ ব্যবহার করেছেন "কাফের" আর "মুরতাদে" আমার সন্দেহ হচ্ছে এই দুইটার অর্থ আপনি জানেন কি না।

৩৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১২

আরব বেদুঈন বলেছেন: হাহাহাহা মজা পাচ্ছি আর আবাক হচ্ছি নাস্তিক সমাজের জ্ঞাণ দেখে মানছি আপনারা কুরান হাদিস আমাদের থেকে বেশি পড়েন।কিন্ত স্রষ্টা কে মানার জন্য না ধর্মিয় গ্রন্থ গুলর ভুল ধরার জন্য।
আর হ্যা আপনাকে জানানোর জন্য কাফের অর্থ অবিশ্বাসি আর মুরতাদ ইসলাম চুত্য।যাই হোক ছেলে মানুষিপনা মানাই নাআ।আর হ্যা আপনার যে ভাই গুলো বিগত হয়েছে তাদের জিজ্ঞেস করুন কবরে খাতির আপ্যায়ণ ক্যামন হচ্ছে।

আর হ্যা এটাও স্বিকার করছি কুরান সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান আমি এখনো অর্জন করতে পারি নি।চেষ্টা করছি।কিন্তু আল্লাহ যে সাহায্য আমি প্রত্যক্ষ করছি সেটা কে কিভাবে অবিস্বাস করব?তবে সেটা আপনাদের জন্য ন্যা

৩৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫

আরব বেদুঈন বলেছেন:
বানরের বংশধর দাবিদার নাস্তিকদের প্রতি ওপেন চ্যালেঞ্জ
“আমি আমার বন্দার প্রতি যাহা
অবতীর্ন করেছি, তাহাতে
তোমাদের বিন্দুমাত্র কোন সন্দেহ
থাকলে, তোমরা ইহার অনুরুপ কোন
সূরা আনয়ন কর। এবং তোমরা যদি
সত্যবাদি হও তাহলে আল্লাহ
ব্যাতিত তোমাদের সকল
সাহায্যকারীকে নিয়ে আস। যদি
আনয়ন না কর তবে সেই আগুনকে ভয় কর
কাফিরদের জন্য যাহা প্রস্তুত
করিয়া রাখা হয়েছে। (সূরা
বাকারা:২৩, ২৪)।
এটা এমন এক বিষ্ময়কর কথা, যা মানব
ইতিহাসে কোন গ্রন্থকারই নিজের
বইয়ের পক্ষে দাবি করেন নি এবং
জ্ঞানবুদ্ধি থাকা অবস্থায় কোন
মানুষই এমন সাহস করতে পারবেন না
যে, সে কোরআনের মত একটা বই
লিখে ফেলেছে।
কোরআনের এই চ্যালেঞ্জ চলে
আসছে সেই কোরআন নাযিলের সময়
থেকে। শত শথ লোক, শত শত সংগঠন এই
চ্যালেঞ্জ এর মোকাবেলা করতে
এগিয়ে এসেছে। চরমভাবে ব্যার্থ
হয়ে সম্পূর্ণ নিরাস হয়ে ফিরে
যেতে হয়েছে তাদের সাবাইকেই।
দুটি ঘটনা :
১. লবিদ বিন রাবিয়া। তৎকালীন
আরবের শেষ্ঠ কবি। তার শক্তিশালী
ভাষা আর তেজোদিপ্ত ভাব তাকে
সারা আরবে পরিচিত করে
তুলেছিল। উনি যখন কোরআনের এই
চ্যালেঞ্জের কথা জানলেন তখন
জবাবে একটি কবিতা রচনা করে
কাবা শরীফের চৌকাঠের উপর
ঝুলিয়ে রাখলেন। পরে একজন
মুসলমান কোরআনের একটি সূরা
লিখে ঐ কিতাবের পাশে ঝুলিয়ে
দেন।
লবিদ পরের দিন কাবার দরজায়
এলেন এবং ঐ সূরা পাঠ করলেন।
অত:পর বললেন, “নি:সন্দেহে এটা
মানুষের কথা নয় এবং আমি এর উপর
ইমান আনলাম” অত:পর তিনি প্রকাশ্য
কালেমা পাঠ করে মুসলমান হয়ে
গেলেন। তিনি কোরআনের ভাব আর
ভাষায এতো বেশী প্রভাবান্নিত
হন যে, পরবর্তীতে তিনি আর
কোনদিন কোন কবিতাই রচনা করেন
নি।
২. দ্বিতীয় ঘটনাটি হল ইবনে
মুকাফ্ফা এর। যা ঘটে কোরআন
নাযিলের প্রায ১০০ বছর পর। এই ঘটনা
প্রথমটির চাইতেও চাঞ্চল্যকর। এই
ঘটনা সম্বন্ধে প্রাচ্যবিদ Wollaston
বলেন “That Muhammad is boast as to the
literary excellence of Quran was not
unfounded is further evidence by a
circumstance which occurred about a century
after the establishment of Islam”
ঘটনাটি এরকম, ধর্মবিরোধীদের
একটি সংগঠন সিদ্ধান্ত নিল ওরা
কোরআনের অনুরুপ একটি বই লিখবে।
এই লক্ষে ওরা ইবনে মুকাফ্ফার
(মৃত্যু-৭২৭ খৃ) কাছে এলো। যিনি
ছিলেন ঐ সময়ের সবথেকে জ্ঞানী,
প্রখ্যাতি সাহিত্যিক এবং বিষ্ময়কর
প্রতিভার অধিকারী। তিনি তার
নিজের কাজের উপর এতো বেশী
আস্থাবান ছিলেন যে উনি সাথে
সাথে রাজি হয়ে যান। এবং বলেন
এক বছরের মধ্যে তিনি কাজটি করে
দিবেন। শর্ত ছিল এই এক বছরকাল
সময়টা যাতে তিনি পুরোপুরি
মনোযোগের সাথে সূরা রচনা
চালিয়ে যেতে পারেন এ জন্য
তার যাবতীয় সাংসারিক আর
অর্থনৈতিক কাজের দায়িত্ব
সংগঠনটিকে নিতে হবে।
ছ’মাস পেরিয়ে গেলে সঙ্গিরা
কি পরিমান কাজ হয়েছে জানার
জন্য তার কাছে এলো। তারা
দেখতে পেল বিখ্যাত ঐ ইরানী
সাহিত্যিক অত্যন্ত ধ্যানমগ্ন অবস্থায়
হাতে একটি কলম নিয়ে বসে
আছেন; তার সামনে রয়েছে একটি
সাদা কাগজ এবং কক্ষের সর্বত্র
ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে
ছিড়েফারা কাগজের স্তুপ। অসীম
প্রতিভাধর, যাদুকরী ভাষার
অধিকারী ঐ ব্যাক্তি আপন সর্বশক্তি
ব্যায় করে ছয়মাস চেষ্টা করে
কোরআন তো দূরের পথ একটি আয়াতও
রচনা করে উপস্থাপন করতে পারেন
নি।
যা হোক শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত লজ্জিত
ও নৈরাশ্যমনে তিনি কাজে
ইস্তফা দেন। এই ঘটনাটি ঘটেছিল
কোরআন নাযিলের ১০০ বছর পর।
কুরআনের ঐ চ্যালেঞ্জ কত শতাব্দি
পেরিয়ে গেছে আজো বিদ্যমান।
এই চ্যালেঞ্জ থাকবে কেয়ামত
পর্যন্ত।
সত্য প্রত্যাখানকারীরা কি ভেবে
দেখে না পৃথিবীর তাবত তাগুতি
শক্তি কিভাবে পরাজিত হয়ে
আছে কোরআনের কাছে ?
কোরআন নাজিলের সময়
বৈজ্ঞানিক পরিস্থিতি :
সপ্তম শতাব্দিতে কোরআন নাযিল
হয়। মানুষ তখন পযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার
কারণে কুসংস্কার ও প্রাচীন
উপকথায় বিশ্বাসী ছিল। তখন মানুষ
মহাবিশ্ব, পদার্থ, জীববিজ্ঞান,
মানুষের সৃষ্টি, বায়ুমন্ডলের গঠন এবং
জীবন ধারনের প্রয়োজনীয় উপাদান
ইত্যাদি সম্বন্ধে সঠিক কিছুই
জানতো না। এই যেমন-
সে সময় তারা বিশ্বাস করত যে,
১. পৃথিবী সমতল। গোলাকার নয়।
২. পাহাড় আকাশকে ধরে রাখে।
অর্থাৎ পাহাড় হল আকাশের খুটি বা
স্তম্ভ।
৩. পৃথিবীর দুই প্রান্তে বিশাল
বিশাল পাহাড় আছে।
৪. মানুষের শুক্রানুর ভিতরে ছোট্ট
একটা মানুষ থাকে। ওটাই মায়ের
পেটে বড় হয়।
৫. বাচ্চার লিঙের জন্য মা দায়ি।
৬. গাছের লিঙ্গ নেই।
৭. কর্মি মৌমাছি হল পুরুষ মৌমাছি।
৮. ব্যাথা লাগে মস্তিস্কে।
ইত্যাদি, ইত্যাদি, ইত্যাদি।
এরকম এক সময়, যখন মানুষের জ্ঞান
বিজ্ঞানের বহর ছিল ঠিক উপরের
অবস্থা সেই সময়েই নাযিল হয়েছিল
আল-কোরআন। যাতে শুধু বিজ্ঞানের
সাথে রিলেটেড আয়াতের
সংখ্যাই আছে হাজারের বেশি।
অথচ সেই কোরআনেরই ১ টি আয়াতও
পর্যন্ত মিথ্যা প্রমাণিত হয় নি। বরং
বিজ্ঞানেরই কিছু ভুল ধারণা
পরবর্তিতে সংশোধন করলে দেখা
গেছে, তা কোরআনের সাথে
মিলে গেছে। এরকমই কয়েকটি
উদাহরণ দিয়েই বিষয়ভিত্তিক
আলোচনা শুরু করা যাক।
১। আকাশের খুটি :
সেই সময়ে নাযিল হওয়া কোরআনে
লেখা হল- আকাশের কোন দৃশ্যমান
খুটি নেই। “তিনিই আল্লাহ যিনি
আকাশমন্ডলিকে উচুতে স্থাপন
করেছেন কোন দৃশ্যমান স্তম্ভ ছাড়া,
যা তোমরা বুঝতে পারবে। (সূরা
রাদ:২)
আমাদের বিজ্ঞান আজ
জানিয়েছে আকাশমন্ডলির কোন
দৃশ্যমান স্তম্ভ নেই। এর আছে একটি
অদৃশ্য স্তম্ভ-মধ্যাকর্ষন শক্তি! আর
কোরআনও বলে দিচ্ছে একই কথা।
২। পৃথিবীর আকৃতি :
মহাশুন্যে রকেট পাঠানোর সময়কাল
এই তো সেদিন। পৃথিবী গোলাকার
এই সত্যটা মানুষ বিজ্ঞানের কাছে
জেনেছেও অল্প কিছু বছর আগে। আর
মাত্র কিছুদিন আগে মানুষ
জেনেছে পৃথিবী আসলে সম্পূর্ণরূপে
গোলাকার নয়, অনেকটা উপবৃত্তকার
অর্থাৎ পাখির ডিমের মত। চলুন
দেখা যাক পৃথিবীর আকৃতি সম্বন্ধে
কোরআন কি বলছে- “আর পৃথিবী,
তিনি উহাকে তৈরী করলেন
ডিম্বাকৃতির ন্যায়।”(সূরা
নাযিয়াত:৩০)
এই আয়াতে ডিম বুঝাতে দাহাহা
ব্যাবহার করা হয়েছে। যার অর্থ
আরও সঠিকভাবে অষ্ট্রিচ (উট পাখি)
এর ডিম। আজ আমরা এটাও
নিশ্চিতভাবে দেখতে পাই যে,
পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি উট পাখির
ডিমের আকৃতির সাথে সবথেকে
ভালোভাবে মিলে যায়।
একজন নিরক্ষর আরব ব্যাক্তি, কোনরূপ
প্রযুক্তির সহায়তা ছাড়াই এত
নিখুতভাবে পৃথিবীর আকৃতি বলে
দিলেন দেড় হাজার বছর আগে!
উল্লেখ্য ১৫৫৭ সালে স্যার
ফ্রান্সিস ড্রেক, পৃথিবী
গোলাকার এটা প্রমাণ করেন।
৩ । মহাবিশ্বের আদি অবস্থা :
আজকের বিজ্ঞান বলছে মহাবিশ্ব
গ্যালাক্সিগুলো তৈরী হওয়ার
পূর্বে সব পদার্থগুলো গ্যাসিয়
অবস্থায় একত্রে ছিল।চলুন দেখি
দেড় হাজার বছর আগের কোরআন এ
বিষয়ে কি বলে- পৃথিবী সৃষ্টি
সম্বন্ধে বলতে গিয়ে কোরআন
বলেছে- “অত:পর তিনি আকাশের
দিকে মনযোগ দিলেন যা ছিল
ধুমৃকুঞ্জ, অত:পর তিনি তাকে ও
পৃথিবীকে বললেন তোমরা উভয়ে
আসো ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়।
তারা বলল স্বেচ্ছায় আসলাম।” (সূরা
হামিম আস সিজদাহ : ১১)।
কিভাবে এই আধুনিক বৈজ্ঞানিক
ব্যাখ্যাটা কোরআনে এলো!
৪। মহাবিশ্বের প্রসারনশীলতা :
“আমি আকাশ নির্মান করিয়াছি
আমার ক্ষমতাবলে এবং আমি অবশ্যই
মহা-সম্প্রসারণকারী” (সূরা
জারিয়াত : ৪৭)
মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল এটা এই
কিছুদিন আগে প্রমাতি হয়েছে।
বিজ্ঞানী আরভিন সর্বপ্রথম আলোর
লোহিত অপসারন পদ্ধতি ব্যবহার
করে প্রমাণ করেন এ বিশ্বজগত
সম্প্রসারিত হচ্ছে, গ্যালাক্সিগুলো
একটার থেকে আরেকটা দূরে সরে
যাচ্ছে।
মুহাম্মদ (স এর কাছে কি শক্তিশালী
কোন টেলিস্কোপ ছিলো, যা
দিয়ে উনি গ্যালাক্সিগুলোর সরে
যাওয়া দেখেছিলেন ?
৫। বিগ ব্যাং থিওরি :
“সত্য প্রত্যাখানকারীরা কি
ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলি
ও পৃথিবী মিশে ছিল
ওতপ্রোতভাবে; অত:পর আমি উভয়কে
পৃথক করে দিলাম” (আম্বিয়া:৩০)।
আয়াতটি আমাদেরকে একেবারে
পরিস্কারভাবে বলছে পৃথিবী ও
অন্যান্য গ্রহ-নক্ষত্রেরা একসময়
একজায়গায় পুঞ্জিভুত ছিল। এবং
একটা নির্দিষ্ট সময়ে এদের জন্ম হয়।
আজকের বিজ্ঞান কি বলে এ
সম্বন্ধে ? ষ্টিফেন হকিং এর বিগ
ব্যাং থিওরী আজ সর্বময় স্বীকৃত। এ
থিওরী অনুযায়ী মহাবিশ্বের সকল
দৃশ্য অদৃশ্য গ্রহ নক্ষত্র সৃষ্টির শুরুতে
একটি বিন্দুতে পুঞ্জিভুত ছিল। এবং
একটা বিশাল বিষ্ফোরণের
মাধ্যমে এরা চারিদেকে ছড়িয়ে
যেতে থাকে। কিভাবে মরুভুমির
বুকে সংকলিত দেড় হাজার বছর
আগের একটি বই এ এই বৈজ্ঞানিক
ব্যাখ্যাটা ধারণ করতে পারল ?
ড:মিলার বলেছেন, এই আয়াতটি
নিয়ে চিন্তা-গবেষণার পর কোরআন
যে ঐশী গ্রন্থ তা মেনে নিতে
বাধ্য হই। যারা প্রচার চালাচ্ছে
কোরআন হযরত মুহাম্মদ (সএর নিজস্ব
বক্তব্য তাদের দাবি নাকচ করার জন্য
এই একটি আয়াতই যথেষ্ট।
ড:মিলার বলেছেন, দেড় হাজার বছর
আগে ইসলামের নবীর পক্ষে
কিভাবে মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য
নিয়ে কথা বলা সম্ভব, যিনি কোন
দিন কোন স্কুলে পড়ালেখা করেন
নি। কারণ এটি এমন এক বৈজ্ঞানিক
বিষয়, যা সম্পর্কে তত্ত্ব আবিষ্কার
করে মাত্র কয়েক বছর আগে ১৯৭৩
সালে নোবেল পুরুস্কার পেয়েছেন
এক বিজ্ঞানী। মিলারের মতে এই
আয়াতে সেই বিগ ব্যাং এর কথাই
বলা হয়েছে যার মাধ্যমে পৃথিবী,
আকাশমন্ডলী ও তারকারাজি সৃষ্টি
হয়েছে।এই বিগ ব্যাং থিওরীর
একটা অনুসিদ্ধান্ত হল “অনবরত দূরে
সরে যাওয়া গ্রহ নক্ষত্রগুলো একসময়
আবার কাছাকাছি আসা শুরু করবে
কেন্দ্রবিমুখী বল শুন্য হয়ে যাওয়ার
ফলে এবং সময়ের ব্যাবধানে সব গ্রহ
নক্ষত্র আবার একত্রে মিলিত হয়ে
একটা পিন্ডে পরিনত হবে”।
“সেই দিন আকাশমন্ডলীকে গুটিয়ে
ফেলব, যেভাবে গুটানো হয় লিখিত
দফতর” (সূরা আম্বিয়া : ১০৪)
কি কিছু বুঝা গেল ? এই হল কোরআন
———–!
৬। কে স্থির আর কে গতিশীল :
টলেমী বিশ্বাস করতেন থিওরী অফ
জিওছেনট্রিজম এ। আর মতবাদটি হল-
পৃথিবী একদম স্থির, আর সূর্য সহ সব গ্রহ
নক্ষত্রগুলো ঘুরছে পৃথিবীর
চারিদেকে। এ মতবাদটি ষোরস
শতাব্দি পর্যন্ত বিজ্ঞান হিসেবে
টিকে ছিলো। এরপর কোপার্নিকাস
এসে প্রমাণ করলেন, পৃথিবী সহ
অন্যান্য গ্রহগুলো সূর্যের
চারিদেকে প্রদক্ষিণ করছে। মাত্র
২৫ বছর আগেও বিজ্ঞান মানুষকে
জানাচ্ছিল সূর্য স্থির থাকে, এটি
তার নিজ অক্ষের চারপাসে
প্রদক্ষিন করে না।কিন্তু আজ এটা
প্রমানীত যে পৃথিবী ও সূর্য দুটোই
গতিশীল। আর এদের দুজনের রয়েছে
আলাদা কক্ষপথ। চলুন দেথি দেড়
হাজার বছর আগের কোরআন এই
ব্যাপারে কি বলে !
“তিনিই একজন যিনি নিদ ও রাত
সৃষ্টি করেছেন, সুর্য ও চন্দ্র সৃষ্টি
করেছেন, প্রত্যেকেই তার নিজ
নিজ কক্ষপথে পরিভ্রমন করছে। (সূরা
আম্বিয়া:৩৩)
“এবং সূর্য তার নিজস্ব পথে চলছ যা
সর্বশক্তিমানেরই আয়ত্বে। তিনিই
সব জানেন।”(সূরা ইয়াসিন:৩৮)
এই কিছুদিন আগে প্রমাণিত হয়েছে
যে, সূর্যও স্থির নয় বরং গতিশীল
এবং ২০ লক্ষ বছরে একবার ওর নিজস্ব
কক্ষপথে আবর্তন করে। আর এর গতি
৭২০০০০ কিমি/ঘন্টা।
“আকাশ, যা পথ ও কক্ষপথ দ্বারা
পরিপূর্ণ”(সূরা জারিয়াত:৭)
এটা প্রমাণ করে যে, মহাবিশ্বের
অন্য তারকারাজিও স্থির নয় বরং
গতিশীল। যার সাথে আধুনিক
বিজ্ঞান একাত্বতা ঘোষণা
করেছে।
৭। ব্লাক হোলস :
“আমি শপথ করছি সেই জায়গার
যেখানে তারকারাজি পতিত হয়।
নিশ্চই এটা একটা মহাসত্য, যদি
তোমরা তা জানতে।” (সূরা
ওয়াক্বিয়া : ৭৫, ৭৬)
৭৫ নং আয়াতটি স্পষ্টভাবে
জানাচ্ছে, মহাবিশ্বে এমন জায়গা
আছে, যেখানে তারকা পতিত হয়।
ঠিক পরের আয়াতেই এটাকে,
মহাসত্য বলে দাবি করা হয়েছে।
মহাকাশে এরকম স্থান আছে, এটা
মাত্র কিছুদিন আগে আবিষ্কার করা
হয়েছে। এই জায়গাগুলোর নাম
দেয়া হয়েছে ব্লাক হোলস।
এগুলোতে শুধু নক্ষত্র নয়, যে কোন
কিছুই এর কাছাকাছি এলে, এখানে
পতিত হতে বাধ্য।
৮। নিরাপত্তার ছাদ :
“আমরা আকাশে একটি সংরক্ষিত ও
নিরাপত্তার ছাদ
বানিয়েছি।” (সূরা আম্বিয়া : ৩২)।
আয়াতটি বলছে আকাশে এমন কিছু
আছে যা পৃথিবীকে নিরাপত্তা
দেয়।
১.আমাদের পৃথিবীল বায়ুমন্ডলের
উপরিভাগ কোটি উল্কাপাত
থেকে হামেশা রক্ষা করছে। এটা
এমন কিছু যা পৃথিবীকে নিরাপত্তা
দেয়।
২. বায়ুমন্ডলের একেবারে
উপরিভাগে ভ্যান-এলেন-বেল্ট
নামের একটি অতিরিক্ত স্তর
রয়েছে। এই স্তরটি প্রায় ৬০,০০০
কিলোমিটার উপরে অবস্থিত। এই
স্তর শুধুমাত্র সেই সমস্ত রশ্মিই
পৃথিবীতে আসতে দেয় যা
আমাদের জন্য ক্ষতিকর নয়। এটা সত্যি
বিষ্ময়কর যে শুধু রেডিও ওয়েভ বা
আল্ট্রা ভায়োলেট রে এর মত
ক্ষতিকর রশ্মিগুলোই পৃথিবীতে
আসতে পারে না। যা আমাদের জন্য
ক্ষতিকর। একইসাথে এই স্তর সূর্যের
ক্ষতিকর কসমিক রে কে পৃথিবীকে
আসতে বাধা দেয়। অতিরিক্ত কম
ঘনত্বের কারণে, এই স্তরটি
আয়োনিত বা প্লাজমা অবস্থায়
আছে। এই প্লাজমা মেঘ প্রায় ১০০
বিলিয়ন আনবিক বোমার
(হিরোসিমায় মাত্র ১ টা ফেলা
হয়েছিল) সমান পরিমান ক্ষতিকর
শক্তি বিশিষ্ট রশ্মিকে আটকিয়ে
দিতে পারে!
৩. আবার এই স্তর পৃথিবীকে
মহাকাশের অতিরিক্ত ঠান্ডা
থেকে রক্ষা করে, যা মাইনাস ২৭০
ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।
দেড় হাজার বছর আগে মহানবী (স
কি করে জানলেন, পৃথিবীর উপরের
এই সংরক্ষিত আর নিরাপত্তার
ছাদের কথা ? তার এই তথ্যের উৎস
কোথায় ?
৯। আকাশের চক্রশীলতা বা
পর্যায়বৃত্ততা :
“শপথ চক্রশীল আকাশের এবং
বিদারণশীল পৃথিবীর”। (সূরা
তারিক:১১-১২)
আমাদের বায়ুমন্ডল সাতটি স্তরে
বিভক্ত। পত্যেকটি স্তর কিছু ভিন্ন
চক্র সম্পূর্ণ করতে কাজ করে। এই যেমন-
ট্রপোস্ফিয়ার : তের থেকে পনের
কিলোমিটার উর্দ্ধে অবস্তিত। বায়ু
থেকে জলীয় বাস্পকে ঠান্ডা করে
বৃষ্টির ফোটা তৈরী করে। এভাবে
পানিকে আবার পৃথিবীতে
পাঠাতে সাহায্য করে। এভাবে
পানি চক্র পূর্ণতা পায়। এই স্তর না
থাকলে পৃথিবী সম্পূর্ণ শুস্ক ও অন্ধকার
থাকতো।
ওযোন স্তর : ২৫ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত।
সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি ও
রেডিও রশ্মি থেকে পৃথিবীকে
বাচতে সাহায্য করে। এই
রশ্মিগুলোকে পুনরায় মহাকাশে
পাঠিয়ে দেয়।
আয়নোস্ফিয়ার : পৃথিবী হেত
পাঠানো বিভিন্ন রেডিও ওয়েভ
আবার পৃথিবীতে ফেরত পাঠাতে
সাহায্য করে। যা দ্বারা রেডিও ও
টেলিভিশন সিস্টেম কাজ করছে।
…………………………………………বাকীগুলো আর
লিখলাম না।
১০। সাত আসমান :
“তিনিই সেই সত্ত্বা যিনি সৃষ্টি
করেছেন, যা কিছু যমিনে রয়েচে
সেই সমস্ত, অতপর তিনি মনোযোগ
দিয়েচেন আকাশের প্রতি। বস্তুত
তিনি তৈরী করেছেন সাত
আসমান। আল্লাহ সর্ববিষয়ে অবহিত”।
(সূলা বাকারাহ:২৯)
আমাদের মাথার উপরের আকাশ
অর্থাৎ বায়ুমন্ডল সাতটি বিভিন্ন
স্তরে বিভক্ত। এটা এখন
বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। এই
কিছুদিন আগে বিংশ শতাব্দির
আধুনিক যন্ত্রপাতি দ্বারা ইহা
বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানীত
হয়েছে। কোরআনে দেড় হাজার
বাছর আগে এই সাতটি স্তরের কথাই
এভাবে বলেছে!খুবই বিষ্ময়কর।
এই সাতটি স্তরের নামগুলো এরকম-
ট্রাপোস্ফিয়ার, স্ট্রাটোস্ফিয়ার,
ওযনোস্ফিয়ার, মেসোস্ফিয়ার,
থার্মোস্ফিয়ার, আয়নোস্ফিয়ার,
এক্সোস্ফিযার।
১১। ভূমির সাতটি স্তর :
“তিনিই আল্লাহ যিনি সৃষ্টি
করেছেন সাত আসমান এবং পৃথিবী
সেই একই পরিমানে”। (সূরা
তারেক:১২)
আয়াতটি আমাদের কি বলছে ?
আয়াতটি আমাদের বলছে শুধু
আসমানই নয় বরং পৃথিবীরও সাতটি
স্তর রয়েছে। মোহাম্মদ (স তখনকার
দিনে কিভাবে একথা বলতে
পারেন!যখন মানুষ পৃথিবীর ব্যাসার্ধ
নির্ণয় করাই শেখেনি ?
আজকের বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে,
পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে এর
উপরিভাগ পর্যন্ত সাতটি স্তর
রয়েছে। গঠনগত এবং কার্যগত দিক
থেকে একটার সাথে আরেকটার
কোন মিলই নেই। এগুলো হল – Crust, 2.
Lithosphere, 3. Upper mantle, 4.
Asrenosphere, 5. Lower mantle, 6. Outer core,
7. Inner core. (Robart Gardner, Samuel F,
Allyn and Bacon, Newton, Howe: General
science-1885 Page-319-322)
১২। চাদের আলো কার আলো ? :
“আল্লাহ তায়ালাই এই সূর্যকে
করিয়াছেন তেজস্কর আর চন্দ্রকে
করিয়াছেন পিতিবিম্বিত আলো”।
(সূরা ইউনুস:৫)
“কত কল্যাণময় তিনি, যিনি
নভোমন্ডলে সৃষ্টি করিয়াছেন
রাসিচক্র এবং উহাতে স্থাপন
করিয়াছেন প্রদীপ এবং চাদ-
যাহার রহিয়াছে ধার কার আলো”।
(সূলা ফুরকান:৬১)
চাদের আলো যে প্রতিবিম্বিত
আলো অন্য কথায় ধার করা আলো
একথাটা দেড় হাজার বছর আগের
একটা বইয়ে আসাটা খুবই
স্বাভাবিক, যদি সে বইটা হয় এমন এক
মহাসত্বার কাছ থেকে যিনি
সাময়িক জাগতীক ধ্যান-ধারণার
অনেক উর্ধে। সুবহানাল্লাহ।
বিজ্ঞান সুস্পষ্ট কোরআনের সাথে
এখন একমত।
১৩। থিওরী অফ রিলেটিভিটি :
রিলেটিভিটি থিওরী মতে
আমাদের দৃশ্যমান সময়ের পরিমান,
আমাদের নিজেদের আপেক্ষিক
বেগের উপর নির্ভর করে। সহজ কথায়
সময়ের পরিমাণ বেগের সাথে
পরিবর্তনশীল। আইনস্টাইনের আগে
কোন বিজ্ঞানী আমাদেরকে এই
বিষয়ে ধারণা দিতে পারেন নি।
মানুষ তখন সময়কে একটা ধ্রুব রাসি
হিসেবে বিবেচনা করতো। আথচ
দেড় হাজার বছর আগের কোরআনে
আছে আমরা যে সময়কে বাস্তবে
বিবেচনা করতে পারি, সেই সময়ই
অন্য একটি ক্ষেত্রে সময়ের পরিমাণ
ভিন্ন হতে পারে।
“ফেরেশতারা আর রুহেরা আল্লাহর
দিকে উর্ধগামী হয়, এমন একদিনে
যাহার পরিমান একহাজার বছরের
সমান।” (সূরা মায়ারিজ:৪)
“তিনি আকাশ থেকে পৃথিবী পর্যন্ত
সমস্ত কার্য পরিচালনা করেন, অত:পর
তা তার কাছে পৌছবে এমন এক
দিনে, যাহার পরিমাণ তোমাদের
গণনায় হাজার বছরের সমান”। (সূরা
সেজদাহ:৫)
সময়ের পরিমান ক্ষেত্রভেদে ভিন্ন
হয়, এই কথাটা থিওরী অফ
রিলেটিভিটি যতটা
পরিস্কারভাবে বলেছে, তার
থেকেও বেশি পরিস্কারভাবে
বলা হয়েছে এই আয়াতদুটিতে। ভুলে
গেলে চলবেনা, থিওরীটি
আবিষ্কার হয়েছে মাত্র এক
শতাব্দি আগে!
১৪। পর্বতের গঠন ও কাজ :
“আমি কি করিনি ভূমিকে বিস্তৃত
এবং পর্বতমালাকে পেরেকের মত
করে” (সূরা নাবা:৬,৭)।
আয়াতটি বলছে পর্বতমালাকে
পেরেকের মত করে তৈরী করা
হয়েছে।
পেরেকের কাজ হলো দুই বা
ততোধিক কাষ্ঠখন্ডকে এমনভাবে
জোরা লাগানো, যাতে সংযুক্ত
বস্তুটিকে নাড়াচড়া করে হলেও
খুলে না যায়।
আমরা যে বিস্তির্ণ ভূমির উপর
বিচরণ করি, তা মূলত একধরনের
পাতলা প্লেট। এদেরকে বলা হয়
টেকটোনিক প্লেট। পৃথিবীর
ঘুর্ণনের ফলে এই প্লেটগুলো সদা
নড়াচড়া করে থাকে। আধুনিক
বিজ্ঞান ব্যাখ্যা দিয়েছে, দুই বা
ততোধিক প্লেট যখন একটির উপর
আরেকটি চলমান হয়, অথবা ধাক্কা
খায়, তখন এদের মিলনস্থলে
পাহাড়ের সৃষ্টি হয়। এই পাহাড়
ভূমির উপরে যতদূর উপরে উঠে, পরের
অংশে অনেকগুন পরিমানে ভূমির
নিচে দেবে যায়। অনেকটা ভাজ
সৃষ্টির মত। এর ফলে টেকটোনিক
প্লেটগুলোর নড়াচড়া কমে যায়।
অর্থাৎ এই প্লেটগুলোর সংযোগ
স্থলে পাহাড় বা পর্বত অনেকটা
পেরেকের মত কাজ করে। পৃথিবীর
অভ্যন্তরভাগ একটা ভীষণ উত্তপ্ত
গলিত তরল পদার্থে পূর্ণ। পেরেকের
আকৃতির এই পাহাড়গুলো না থাকলে,
পৃথিবীর ঘুর্ননের কারনে, হয়তো
কোন একদিকের প্লেট সরে গিয়ে ঐ
অঞ্চলের গলিত তরলকে বাইরে বের
হয়ে আসার সুজোগ করে দিতো।
ফলে ভয়ানক বিপর্যয় ঘটতো।
যেমন এভারেষ্ট পর্বতমালার
সবচেয়ে উচু মাথা ভূমির প্রায় ৯
মাইল উপরে উঠেছে। ঠিক একই
জায়গায় এর ভিত্তিমূল মাটির
নীচে পৌছে গেছে ১২৫ কিমি
পর্যন্ত। শুধু যদি এই অংশটিকে আমরা
বিবেচনা করি, তাহলে একে
দেখতে মনে হবে-দৈত্যাকার এক
পেরেকের মত!
আর কোরআন চমৎকার ভাবে বলে
দিয়েছে একথাটাই দেড় হাজার
বছর আগে। আচ্ছা মুহাম্মদ (স কি
পৃথিবী ঘুড়ে পর্বতগুলোর নিচে কি
রকম তা দেখেছিলেন ?
১৫। পর্বতমালার অবস্থান :
“তুমি পর্বতমালাকে দেখে অচল
মনে কর (আসলে সেগুলো সচল), অথচ
সেদিন এগুলো মেঘমালার মত সচল
হবে। এটা আল্লাহর কারিগরি
যিনি সবকিছুকে করেছেন সুসংগত।
তোমরা যা কিছু করছ তিনি তা
অবগত।” (সূরা নামল:৮৮)
১৯৭৮ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি
সোসাইটি (ওয়াশিংটন ডিসি)
প্রমাণ করে যে টেকটোনিক
প্লেটগুলোর নড়াচড়ার কারণে
পাহাড়গুলোও সম্পূর্ণ স্থির নয় বরং
প্রতি বছর ২-৫ সেন্টিমিটার করে
সরে যাচ্ছে। যদিও এদের কার্যক্রম
পেরেকের মতই। আর আমরা
পাহারকে স্থির মনে করে যে
একটা ভুলের মধ্যে আছি. একথাটাই
কোরআন বলেছে কাব্যিকভাবে।
১৬। লোহার রহস্য :
আমি লৌহ নাযিল করেছি, যার
মাঝে অনেক শক্তি রয়েছে এবং
যা মানবজাতির অনেক ব্যবহারে
আসবে।” (সূরা হাদীদ:২৫)
বিজ্ঞান আমাদের জানাচ্ছে,
আমাদের সৌরজগতের কোন গঠন
প্রনালী নেই যা লোহার উৎপত্তি
ঘটাতে পারে। লোহা কেবলমাত্র
সূর্যের চেয়ে বড় কোন নক্ষত্রেই
তৈরী হতে পারে যেখানে
তাপমাত্রা কোটি ডিগ্রির
কাছাকাছি। এ রকম কোন গলিত
নক্ষত্রের বিস্ফোরনের মাধ্যমেই
লোহার উৎপত্তি সম্ভব। আর এই ধরনের
বিস্ফোরনের মাধ্যমে সৃষ্ট লোহার
টুকরাগুলো পরবর্তিতে পৃথিবীতে
পরার ফলেই লোহা অস্তিত্বলাভ
করেছে।
অর্থাৎ লোহা যে আকাশ থেকে
এসেছে এটা বিজ্ঞান মেনে
নিয়েছে।
আরেকটি বিষয় লক্ষনীয়, সুরা হাদিদ
(হাদীদ অর্থ লোহা) কোরআনের ৫৭
নং সূরা। আজব ব্যাপারটা হলো
‘আলহাদিদ’ এর সংখ্যাগত অর্থও ৫৭,
অর্থাৎ আরবীতে এই শব্দের মান হল
৫৭।
শুধু ‘হাদিদ’ এর সংখ্যাগত অর্থ হল ২৬,
যা লোহার এটমিক নাম্বার (২৬) এর
সাথে মিলে যাচ্ছে। আর সূরাটির
১ থেকে ২৫ নং আয়াত (২৫ নং
আয়াতে লোহার গুন সম্বন্ধে বলা
হয়েছে) পর্যন্ত হাদিদ শব্দটি
এসেছে ২৬ বার। (হা=৮, দাল=৪,
ইয়া=১০, দাল=৪)।
১৭। পেট্রোলিয়ামের সৃষ্টি :
“তিনি তৃনাদি বের করে এনেছেন,
অত:পর তিনিই তাদের পরিনত করেন
কাল বন্যার পানির মত” (সুরা
আলা:৪,৫)
গাছ-গাছরা, ফার্ন, শ্যাওলা এসব
অরগ্যানিক পদার্থ ব্যাকটেরিয়ার
দ্বারা আক্রান্ত হয়ে একটা দীর্ঘ
পদ্ধতির মাধ্যামে শেসে
পেট্রোলিয়াম (খনিজ তেল) এর রূপ
নেয়। খনিতে পদার্থটি অনেকটা
বন্যার পানির মত গার থাকে, একই
সাথে এটির রং থাকে
কালোবর্ণের। যদিও মানুষ
পেট্রোলিয়ামের ব্যাবহার
শিখেছে অনেক আগে, কিন্তু তারা
জানতো না কি থেকে এই
পদার্থটি পৃথিবীতে তৈরী
হয়েছিল।
কোরআন উক্ত আয়াতে একটি তরলের
কথা বুঝিয়েছে, যা
পেট্রোলিয়ামের বৈশিষ্টের
সাথে মিলে যায়। এভাবে-
১. এটি তৈরী হয় তৃনাদি থেকে।
অর্থাৎ অরগ্যানিক ম্যাটারিয়াল
থেকে।
২. এটির রং কাল হবে, আর এটি
বন্যার পানির মত তরল হবে।
কোরআন হাজার বছর আগে বলে
দিয়েছে পেট্রোলিয়াম তৈরী
হয়েছে গাছ-গাছড়া থেকে। আজ
এটা বৈজ্ঞাকি সত্য।
১৮। বাতাশ ও বৃষ্টির সম্পর্ক :
আমি বৃষ্টিগর্ভ বায়ুকে চালিত করে
আকাশের কছে নিয়ে যাই, অত:পর
আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করি, এরপর
তোমাদের তা পান করাই। বস্তুত
তোমাদের কাছে এর ভান্ডার
নেই” (সূরা হিজর:২২)
বিংশ শতাব্দির প্রথমদিকেও
মানুষের ধারনা ছিল যে, বৃষ্টির
সাথে বাতাসের সম্পর্ক হল, বাতাস
মেঘকে চালিত করে দূরে নিয়ে
যায়, ফলে বৃষ্টি সমভাবে হয়।
বাতাসের মাধ্যমেই যে জলিয়বাস্প
উপরে উঠে মেঘের সৃষ্টি করে, এ
সম্পর্কে মানুষ জানত না।
বৃষ্টিভর্গ বায়ু বলতে জলিয়বস্পপূর্ণ
বায়ু বুঝানো হয়েছে। “বাতাস
জলিয়বাস্পকে আকাশে উড়িয়ে
নেয়, অত:পর মেঘ সৃষ্টি হয়” একথা এই
আয়াতে। বাতাসের ভুমিকা না
থাকলে সূর্য যতই তাপ দিক না
কেনো জলিয়বাস্প কখনোই আকাশে
পৌছতেই পারতো না, মেঘ হওয়া
তো দূরের কথা।
১৯। পরিমানমত বৃষ্টি :
“তিন সে যিনি নির্দিষ্ট পরিমাণ
অনুযায়ী পানি পৃথিবীতে বর্ষণ
করেছেন। যা একটি মৃত জমিকেও
জীবিত করতে পারে, ঠিক
সেভাবে যেভাবে একদিন
তোমরা জীবিত হবে” (সূরা
যুখরাফ:১১)
প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১৬ কোটি
পানি বাতাসের সাথে মিশে। যা
বছরে পাচ হাজার তেরশ কোটি টন।
এই পানির পুরোটাই আবার প্রতি বছর
মাটিতে ফিরে আসে। যদি এই
ফিরে আসাটা পরিমিত না হত
তাহলে জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়ে
যেতো। যেমন পাহাড়ি অঞ্চলে
বৃষ্টিপাত বেশী হয়। পাহাড়ের
জীববৈচিত্র্য ঠিক রাখার জন্য যা
খুবি জরুরী। গবেষনায় দেখা গেছে
যদি ঠিক এই পরিমাণ পানি
বাতাশে না মিশে কিছু কম
মিশতো, তাহলে মেরু অঞ্চলের
জীববৈচিত্র নষ্ট হয়ে যেত। কারন
মেরু অঞ্জলে বরফ স্তরের গভীরতা
বেড়ে যেতো। যা গোটা পৃথিবীর
জীববৈচিত্র রক্ষার সাথে
সম্পর্কিত।
২০। সমুদ্রের পানির রহস্য :
“তিনি পাশাপশি দুই সমুদ্র প্রবাহিত
করেছেন, উভয়ের মাঝে রয়েছে এক
অন্তরাল, যা তারা অতিক্রম করে
না।”(সূরা আর-রহমান:১৯-২০)
সমুদ্রের এই বৈশিষ্ট্য অতি
সম্প্রতীককালে আবিষ্কৃত হয়েছে।
সমুদ্রের সারফেস টেনসন এবং
ঘনত্বের পার্থক্যের জন্য এক সমুদ্রের
পানি অপরটির পাশ দিয়ে
প্রবাহিত হলেও মিশে যায় না।
যেমন গালফ অফ মেক্সিকোতে এর
হাজার হাজার মাইলব্যাপি
লোনা আর মিষ্টি পানির সাগর
পাশাপাশি প্রবাহিত হলেও একটির
পানি আরেকটির সাথে মিশে
যায় না। কোরআন নাযিলের সময়
মানুষের মাঝে পদার্থবিজ্ঞানের
কোন জ্ঞান ছিল না আর মুহাম্মদ (স
ছিলেন মরুভুমির মানুষ।
২১। সমুদ্র বিজ্ঞান :
সূরা নূরের ৩০ ও ৪০ নং আয়াতে বলা
হয়েছে:
“যারা কাফের তাদের কাজ
মরুভুমির মরীচিকার মত, যাকে
পিপাসার্ত ব্যাক্তি পানি মনে
করে। এমনকি সে যখন তার কাছে
যায়, তখন কিছুই পায় না এবং পায়
সেখানে আল্লাহকে, এরপর আল্লাহ
তার হিসাব চুকিয়ে দেন। আল্লাহ
দ্রুত হিসাব নেন। অথবা (তাদের
কাজ) প্রমত্ত সমুদ্রের বুকে গভীর
অন্ধকারের মত, যাকে উদ্বেলিত
করে তরঙ্গের পর তরঙ্গ, যার উপরে ঘন
কালো মেঘ আছে। একের উপর এক
অন্ধকার। যখন সে তার হাত বের করে,
তখন তাকে একেবারেই দেখতে
পায় না। আল্লাহ জ্যোতি দেন না,
তার কোন জ্যোতিই নেই”
সমুদ্র বিজ্ঞান অনুযায়ী সূর্যের
আলোর তিন থেকে ত্রিশ ভাগ
সাগরে প্রতিফলিত হয়। তাই ২০০
মিটার গভীর সাগরে নীল রং
ছাড়া আলোর সব রংই মিশে যায়।
আগেকার দিনে মানুষ যন্ত্র না
থাকায় ২০-২৫ মিটারের নীচে
নামতে পারতো না। সাবমেরিনসহ
নানা উন্নত সাজ সরাঞ্জাম ব্যবহার
করে বিজ্ঞানীরা জেনেছেনে
গভীর সাগরের পানির ঘনত্ব বেশি
হওয়ায় দুই ধরনের ঢেউ সৃষ্টি হয়।
উপরের ঢেউ ও ভিতরের ঢেউ।
নিচের ঢেউ অন্ধকার হওয়ায় দেখা
যায় না। ফলে কেউ হাত বের
করলেও সেই হাত দেখতে পারবে
না ।সাগর বিষয়ক জার্মান
বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মার্গারও মনে
করতেন বিজ্ঞানের উন্নতির
কারেনে ধর্মেল দরকার নেই। কিন্তু
সূরা নূরের এ আয়াত শোনার পর
তিনি বলেছেন, “এসব কথা কোন
মানুষের কতা হতে পারে না, এ
আয়াত ইসলামের অলৌকিকতার
প্রমাণ।
২২। বাচ্চার লিংগ :
“তিনিই জোরা সৃষ্টি করেছেন,
ছেলে অথবা মেয়ে, যা একফোটা
বীর্য এর দ্বারাই নির্ধারিত”।
আধুনিক জীববিজ্ঞানের
আবিস্কারের পূর্বে মানুষের ধারনা
ছিল যে, ছেলে বা মেয়ে বাচ্চা
জন্ম দেয়ার জন্য মহিলাই দায়ি।
কিন্তু কোরআনে দেড় হাজার বছর
আগে বলা হয়েছে বাচ্চার লিংগ
নির্ধারন হয় স্পার্ম দ্বারা। অর্থাৎ
বাচ্চার লিংগ কি হবে এটা সম্পূর্ণ
নির্ভর করছে স্বামি বা পুরুষের উপর।
আর আজকে জেনেটিক আর
বায়োলোজিকাল গবেষকগণ বহু
পরিক্ষারিরিক্ষা করে নিশ্চিত
হয়েছে যে, স্পার্ম সেলের
মাধ্যমে লিংগ নিধার্রন হয় যা
আসে পুরুষ হতে।
আধুনিক বিজ্ঞানের আবিষ্কারের
আগে একথাটা কে জানতে পারে ?
২৩। গাছের লিংগ :
“তিনি প্রত্যেক প্রকারের ফল সৃষ্টি
করেছেন জোড়ায় জোড়ায়।” (সুরা
রাদ:৩)
“আর তিনি প্রত্যেককে জোড়া
জোড়া করে সৃষ্টি করেছেন, তা
জমিন থেকে উৎপন্ন উদ্ভিদ হোক,
কিংবা তারা স্বয়ং অথবা এমন
সৃষ্টি হোক যার সম্বন্ধে তারা
এখনো জানেই না।” (সূরা
ইয়াসিন:৩৬)
জোড়া অর্থাৎ পুরুষ আর স্ত্রী লিঙ্গ।
এই আয়াতটি আমাদের বলছে
গাছপালারও লিঙ্গ রয়েছে।
আজকের বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে
গাছপালারও লিঙ্গ থাকে। পুরুষ গাছ
এবং স্ত্রী গাছ। এমনকি উভলিঙ্গ
গাছে পুরুষ এবং মাহিলা অংশ
আলাদা অবস্থায় থাকে।
সর্বপ্রথম যে বিজ্ঞানী উদ্ভিদরে
মধ্যে পুংলিঙ্গ ও স্ত্রী লিঙ্গ
থাকার কথা উল্লেখ করেছেন
তিনি হলেন সুইডিশ বিজ্ঞানী
কার্ল লিনে। খৃষ্টিয় অষ্টাদশ শতকের
মাঝামাঝি সময়ে তিনি এ মত
প্রকাশ করেন। তার ওই বক্তব্যে
অনেকেই বিষ্মিত হয় এবং তারা
গীর্জার কর্মকর্তাদরেকে তার
বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলে। ফলে
কয়েক বছর ধরে ইউরোপে তার
লেখনীকে ভূর মতামত হিসেবে ধরা
হত। কিন্তু এর কিছু পরই বিজ্ঞানীরা
লিনের মতামতকে সত্য বলে
স্বীকৃতি দেন এবং তা একটি
বৈজ্ঞানিক মূল নীতি হিসেবে
গৃহিত হয়।
বিজ্ঞানের আবিষ্কারের আগে
কে জানতো যে গাছেরও লিঙ্গ
আছে ?
২৪। গাছের নি:শ্বাস-
ফটোসিনথেসিস :
“শপথ সকালের যখন তারা দিনের
আলোয় নি:শ্বাস নেয়”। (সূরা
তাকভীর:১৮)।
ফটোসিনথেসিস আবিষ্কার করার
পূর্বে, এই আয়াতটি বেশ রহস্য তৈরী
করে রেখেছিল। মানুষ ভাবতো এটা
এমন কি হতে পারে যা দিনের
আলোয় নি:শ্বাস নেয়! লোকজন খুব
অবাক হয়ে ভাবতো এমন কিছুর কথা,
কিন্তু তারা খুজে পায়নি এটা।
যতদিন না ফটোসিনথেসিস পদ্ধতির
কথা মানুষ জানলো। এই পদ্ধতি
মানুষকে জানালো এমন এক
প্রক্রিয়ার কথা যেটা ব্যবহার করে
গাছ কার্বণ-ডাই-অক্সাইড কে শোষণ
করার মাধ্যমে নিজের জন্য খাদ্য
প্রস্তুত করে। একইসাথে
অক্সিজেনকে পরিবেশ এ মুক্ত করে।
এই প্রক্রিয়াটি কেবল দিনের
বেলাতেই ঘটে, যেহেতু আলো
এখানে অনঘটক হিসেবে কাজ করে।
অর্থাৎ গাছ কেবল দিনের
বেলাতেই নি:শ্বাস ক্রিয়া
চালায়। আর এ কথাটিই বলা হয়েছে
পবিত্র কোরআনে। এখানে আল্লাহ
তায়ালা সরাসরি গাছের উল্যেখ
করে আয়াতটি নাজিল করেন নি।
বোধহয় এ কারনে যে, ভবিষ্যতেও
কোরআন যে কালোত্তির্ন, এই
বিষয়টি যাতে পরিষ্কার হয়।
২৫। জমাট রক্ত বা আলাক :
“পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি
মানুষকে তৈরী করেছেন জমাট
রক্তপিন্ড(আলাক)থেকে”। (সূরা
আলাক:১,২)
আলাক শব্দটির অর্থ আরবিতে জমাট
রক্তপিন্ড, পরিস্কারকারি যন্ত্র,
জোক। যে কোন একটি বা একাধিক
অর্থ নিতে পারেন আপনার
পর্যবেক্ষনের জন্য, যাই নেন না
কেন, তা ভ্রুনের বৈশিষ্টের সাথে
মিলে যাবে! শব্দটির ব্যাবহার
এতটাই যৌক্তিক!
এটি কি খুবি আশ্চর্য নয় যে,
মাতৃগর্ভাষয়ে একেবারে
প্রথমদিকে জন্ম নেওয়া জাইগট বা
জিগট দেখতে ঠিক জোকের মত,
গর্ভের দেয়ালে ঝুলেও থকে ঠিক
জোকের মত, এটা মায়ের দেহ
থেকে খাবার নেয় অন্য কথায়
মায়ের দেহ পরিস্কারের কাজ করে
আর এটা জৈবিক গঠন ঠিক
রক্তপিন্ডের মত?
শত শত বছর আগে নিশ্চয়ই মানুষ
জানতো না জাইগোটের এই
বৈশিষ্টগুলো!
২৬। আঙ্গুলের ছাপের ভিন্নতা :
“মানুষ কি মনে করে যে আমি তার
অস্থিসমূহকে একত্রিত করতে পারব
না? বস্তুত আমি উহাদের অঙ্গুলির
অগ্রভাগ পর্যন্ত সুবিন্যস্ত করব”। (সূরা
কিয়ামাহ: ৩,৪)
অর্থাৎ কারো আঙ্গুলের অগ্রভাগই
অন্য কারো সাথে পুরোপুরি একই
হবে না।
আজ প্রমানীত এ পৃথিবীর প্রত্যেকটি
মানুষের আলাদা আলাদা আঙ্গুলের
ছাপ রয়েছে। কারো ছাপই কারো
সাতে মিলবে না। আর এ জন্যই এই
ছাপ এখন ব্যবহার করা হয় পরিচয়পত্র
হিসেবে। ১৯ শতকের পূর্বে মানুষ
আঙ্গুলের ছাপকে শুধু কিছু ভাজ বলেই
জানতো।
উল্লেখ্য আঙ্গুলের ছাপ ভিন্ন হয়,
এটা ১৮৮০ সালে প্রথম আবিষ্কার
করেন স্যার ফ্রান্সিস গ্যালটন।
২৭। পেশি ও হাড়ের গঠন :
কোরআনে বলা হয়েছে
মাতৃগর্ভাষয়ে মাংশপেশী গঠিত
হওয়ার আগই বাচ্চার হাড় গঠিত হয়।
“এর পর আমি শুক্রবিন্দুকে
জমাটরক্তবিন্দুতে পরিনত করেছি,
অত:পর জমাট রক্তকে মাংষপিন্ডে
অত:পর সেই পিন্ডকে হাড়-এ আর
তারপর সে হাড়কে মাংসপেশী
দ্বারা সজ্জিত করি। এবং এরপর
তাকে একটি নতুন সৃষ্টিতে
রুপান্তরিত করি, আল্লাহতায়ালা

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২২

হানিফঢাকা বলেছেন: মাথা ঠাণ্ডা করেন। আপনি ভুল জায়গায় নক করেছেন। আমি নাস্তিক না। আগে পড়েন আমি কি লিখেছি তার পর মন্তব্য করেন।
ধন্যবাদ।

৩৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৭

আরব বেদুঈন বলেছেন: উপরের কমেন্টের সবগুলোর যদি গ্রহনযগ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেন তাহলে আমিও আপনার দলে যোগ দেব ।অজুহাত দেখিয়ে পালায়েন না যেন।হাহহাহা

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৪

হানিফঢাকা বলেছেন: আরে কি যন্ত্রনা, আমি কোন জায়গায় কোরআনের আয়াত অস্বীকার করেছি দেখাতে পারবেন? আমি মুসলিম। আপনি কি?

৩৮| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৯

মো: রেজোয়ানুল হক বলেছেন: আপনি সুরার নাম উল্লখ করেন নাই কেন? আপনি সরাসরি ইংরেজী দিয়ে কি বুজাতে চান বলেন? শোনেন আপনি যদি এত পন্ডিত হতেন তাহলে মুফতি আর আলেমদের দরকার হত না। উনারা বহু বছর পড়াশোনা করে এই বিষয় কিছু বলছে না আর আপনি দুই দিনের বৈরাগী কোথা থেকে আসলেন। আগে আপনার মতামত নিয়ে ওনাদের কাছে যান। তারপর আসেন।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

হানিফঢাকা বলেছেন: আমি আমার লেখাতে কোরআনের রেফারেন্স দিয়েছি। ৫:৭৫ বলতে পাচ নম্বর সূরার ৭৫ নম্বর আয়াত। আশা করি বুজতে পেরেছেন।

আমি দুই দিনের বৈরাগী এই তথ্য আপনি কই পাইলেন। খুব বেশি ওভার জেনারালাইজেশন হয়ে গেল না?

৩৯| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: মো: রেজোয়ানুল হক বলেছেন: আপনি সুরার নাম উল্লখ করেন নাই কেন? আপনি সরাসরি ইংরেজী দিয়ে কি বুজাতে চান বলেন? শোনেন আপনি যদি এত পন্ডিত হতেন তাহলে মুফতি আর আলেমদের দরকার হত না। উনারা বহু বছর পড়াশোনা করে এই বিষয় কিছু বলছে না আর আপনি দুই দিনের বৈরাগী কোথা থেকে আসলেন। আগে আপনার মতামত নিয়ে ওনাদের কাছে যান। তারপর আসেন।

:-<
হাঃ হাঃ পঃ গেঃ =p~

যে লোকটা ভার্সের লোকেশনও বুঝতে পারে না, ইংরেজিতে দেয়ার কারণটাও বুঝে না সে কি-না বলে বৈরাগী...............।

ললজ.......

মুফতি আর আলেমরাই সমাধান দিতে দিতে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে। বিশ্বায়নের এ যুগে এইরকম ব্যবসায়ীর উপযোগিতা আর নেই। এখন প্রগতিশীলতার যুগ। আপডেট না হলে শেষ হয়ে যেতে হবে।

৪০| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫০

রাজীব বলেছেন: কোরআনের অর্থ বললেও অনেকে রাগ করে। কারন যে যেভাবে চায় সেভাবে বলেননি যে।

৪১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৮

মো: রেজোয়ানুল হক বলেছেন: গ্রম চেঞ্জার বলেছেন: যে লোকটা ভার্সের লোকেশনও বুঝতে পারে না, ইংরেজিতে দেয়ার কারণটাও বুঝে না সে কি-না বলে বৈরাগী...............।

ললজ.......

আমি কুরআন নিয়া কথা বলছি বাইবেল না। তাহলে তো ধর্মের নতুন তথ্য ভান্ডর। যারা এই বিষয় পড়াশোনা করলো তারা জানেনা, আপনারা তাদের চেয়ে বেশী জানেন তাই না? আর ধর্ম ব্যবসা আমিও ঘৃনা করি। কিন্তু সবাই ধর্ম ব্যবসাই না। আপনি ই আপডেট হন।

৪২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১১

আরব বেদুঈন বলেছেন: সরি অপ্রাসংগীক মন্তব্যের জন্য।তবে আপনি কি??মুসলিম তো নাই।যদি হন তাহলে নামধরি।নই মুরতাদ নই কাফের আপনি এইব্যাখ্যাই ঈসা আঃ সম্পর্কে যে মিথ্যাচার করেছেন।কি আর বলব।
আপনি দেখছি আরবদের থেকেও বেশি আরবীর অর্থ বোঝেন।আরবের প্রায় সব আলেম একই ফোতোয়া দিচ্ছে যে ঈসা মরে নি আল্লাহ তাকে তুলে নিয়েছেন আর আপনি কোথায় ঠুনকো কয়েটা ডিকশনারির প্রামণ নিয়ে সবজআন্ত সমীপিষু হয়ে গেছেন!!!বাহ বাহ মার হাবা।কত বড় আরব তাফসির কারক হাদিস লেখক একই ফোতোয়া দিইয়ে গেলেন আর আপনি ২০১৫ সালে এসে নতুন করে সব কিছু বদলাতে চেষ্টা করছেন।বাহ বাহ।আবার মুখ আওড়াচ্ছেন হাজার বছরের মুনাফেকি বুলি "আমি মুসলিম!!!
আপনার পোস্টের প্রথমের দিকে "মুসলিম উম্মাহ"নামের এক ভাই যখন যুক্ত খন্ডন করতে শুরু করলে লাইন বাই লাইন তখন আপনি দুইটা ইংলিস মিনিং দিয়ে ভাগিয়ে দিলেন।বাহ শুধু কয়েকটা আয়াত দিয়ে এই কুফুর রচনা করবেন না।
বাঙ্গালাদেশেও বড় বড় তাফসিরকারক আছে তাদের প্রায় সবার যুক্তি কে ভুল খন্ডন করে আপনিই দেখছি বস।প্লিজ ভাই আমরা আপনার যুক্ত খন্ডন করতে পারছি এ আমাদের জন্য বড়ই লজ্জার কিন্তু ধর্মের খোলস পড়ে আমাদের বিভ্রান্ত করবেন না।আমরা এমনিতে অনেক বিভ্রান্ত।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১২

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনার আগের মন্তব্যের উত্তরে আমি বেশ ভদ্রভাবেই দিয়েছি। আপনি প্রতিনিয়ত আমাকে আক্রমণ করে যাচ্ছেন। বারে বারে কাফের মুরতাদ বলছেন। আমি মুসলিম কিনা তা আপনার কাছে প্রমান করার কোন আবশ্যকতা আমার নেই।

এইবার বুঝছি, আপনি আলেমদের ফতোয়ার কথা বলছেন। কে কই বলল তাতে আমার কিছু আসে যায় না, বরং আল্লাহ কই বলেছেন সেটাই আমার জানা দরকার। আমি আপনার মত আলেমদের পুজা করি না।

কিছু না পেয়ে আমার আরবী জ্ঞান নিয়ে কথা বলছেন? আরবী কোন শব্দের ভুল ব্যখা করেছি প্রমান করেন। আজাইরা নিজের মুখে যা আসে তা বলবেন না। পারলে রেফারেন্স নিয়ে আসেন। রেফারেন্স ছাড়া আমার কথার যেমন কোন দাম নাই, আপনার বেলায় অ তাই।

"মুসলিম উম্মাহ" ব্লগার পারেন নাই, তাই বলে আপনি পারবেন না কেন? ৩:১৪৪ এবং ৫:৭৫ এর অনুবাদ করেন। নিজে না পারলে যাদের পুজা করেন তাদের কাছ থেকে করিয়ে নিয়ে আসেন।
আর না পাড়লে অফ জান। মূর্খের সাথে প্যাচাল করার মধ্যে কোন লাভ নাই।

৪৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৪

আরব বেদুঈন বলেছেন: যখন তিনি বললেনঃ “হে ঈসা! এখন আমি তোমাকে ফিরিয়ে নেবো৫১ এবং তোমাকে আমার নিজের দিকে উঠিয়ে নেবো। আর যারা তোমাকে অস্বীকার করেছে তাদের থেকে (অর্থাৎ তাদের সঙ্গ এবং তাদের পূতিগন্ধময় পরিবেশে তাদের সঙ্গে থাকা থেকে) তোমাকে পবিত্র করে দেবো এবং তোমাকে যারা অস্বীকার করেছে তাদের ওপর তোমার অনুসারীদের কিয়ামত পর্যন্ত প্রাধান্য দান করবো। তারপর তোমাদের সবাইকে অবশেষে আমার কাছে ফিরে আসতে হবে। সে সময় আমি তোমাদের মধ্যে যেসব বিষয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে সেগুলোর মীমাংসা করে দেবো(আল ইমরানঃ৫৫)

৫১) এখানে কুরআনের মূল শব্দ হচ্ছে, মুতাওয়াফ্ফীকা (مُتَوَفِّيكُ) মূল তাওয়াফ্ফা (تَوَفَّى) শব্দের আসল মানে হচ্ছেঃ নেয়া ও আদায় করা। “প্রাণবায়ু বের করে নেয়া” হচ্ছে এর গৌণ ও পরোক্ষ অর্থ, মূল আভিধানিক অর্থ নয়। এখানে এ শব্দটি ইংরেজী To Recall -এর অর্থ ব্যবহৃত হয়েছে। এর অর্থ হয়, কোন পদাধিকারীকে তার পদ থেকে ফিরিয়ে ডেকে নেয়া। যেহেতু বনী ইসরাঈল শত শত বছর ধরে অনবরত নাফরমানী করে আসছিল, বার বার উপদেশ দান ও সতর্ক করে দেয়ার পরও তাদের জাতীয় মনোভাব ও আচরণ বিকৃত হয়েই চলছিল, একের পর এক কয়েকজন নবীকে তারা হত্যা করেছিল এবং যেকোন সদাচারী ব্যক্তি তাদেরকে নেকী, সততা ও সৎবৃত্তির দাওয়াত দিতো তাকেই তারা হত্যা করতো। তাই আল্লাহ‌ তাদের মুখ বন্ধ করার ও তাদেরকে শেষবারের মতো সুযোগ দেবার জন্য হযরত ঈসা ও হযরত ইয়াহ্ইয়া আলাইহিস সালামের মতো দু’জন মহান মর্যাদা সম্পন্ন পয়গম্বর পাঠালেন। আল্লাহ‌র পক্ষ থেকে তাদের নিযুক্তির প্রমাণ স্বরূপ তাদের সাথে এমন সব সুস্পষ্ট নিশানী ছিল যেগুলো একমাত্র তারাই অস্বীকার করতে পারতো, যারা ন্যায়, সত্য ও সততার সাথে চরম শত্রুতা পোষণ করতো এবং যাদের সত্যের বিরুদ্ধাচরণ করার দুঃসাহস ও নির্লজ্জতা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু বনী ঈসরাইলরা এই শেষ সুযোগও হাত ছাড়া করেছিল। তারা কেবল এই দু’জন পয়গম্বরের দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করেই ক্ষান্ত হয়নি বরং এই সঙ্গে তাদের একজন প্রধান ব্যক্তি নিজের নর্তকীর ফরমায়েশ অনুযায়ী প্রকাশ্যে হযরত ইয়াহ্ইয়া আলাইহিস সালামের শিরচ্ছেদ করেছিল এবং তাদের আলেম ও ফকীহগণ ষড়যন্ত্র জাল বিস্তার করে রোমান শাসকের সাহায্যে হযরত ঈসা আলাইহিস সালামকে মৃত্যুদন্ড দেবার চেষ্টা চালিয়েছিল। এরপর আর বনী ইসলাঈলদের উপদেশ দেবার জন্য বেশী সময় ও শক্তি ব্যয় করা ছিল অর্থহীন। তাই মহান আল্লাহ‌ তাঁর নবীকে ফিরিয়ে নিজের কাছে ডেকে নিলেন এবং কিয়ামত পর্যন্ত বনী ইসলাঈলদের জন্য লিখে দিলেন লাঞ্ছনার জীবন।
এখানে অবশ্যই একথা অনুধাবন করতে হবে যে, কুরআনের এ সমগ্র ভাষণ আসলে খৃস্টানদের ঈসার খোদা হওয়ার আকীদার প্রতিবাদ ও সংশোধনের উদ্দেশ্যেই ব্যক্ত হয়েছে। খৃস্টানদের মধ্যে এই আকীদার জন্মের মূলে ছিল তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কারণঃ

একঃ হযরত ঈসার অলৌকিক জন্ম।

দুইঃ তাঁর সুস্পষ্ট অনুভূত মুজিযাসমূহ।

তিনঃ তাঁর আকাশের দিকে উঠিয়ে নেয়া। তাদের বই পত্রে পরিষ্কার ভাষায় এই ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়।

কুরআন প্রথম কথাটিকে সত্য বলে ঘোষণা করেছে। কুরআনের বক্তব্য হচ্ছে, হযরত ঈসার (আঃ) পিতা ছাড়াই জন্মগ্রহণ নিছক আল্লাহ‌র কুদরাতের প্রমাণ ছাড়া আর কিছুই নয়। আল্লাহ‌ যাকে যেভাবে ইচ্ছা সৃষ্টি করে থাকেন। এই অস্বাভাবিক জন্মের কারণে একথা প্রমাণ হয় না যে, হযরত ঈসা (আঃ) খোদা ছিলেন বা খোদায়ী কর্তৃত্বে তাঁর কোন অংশীদারীত্ব ছিল।

দ্বিতীয় কথাটিকেও কুরআন সত্য বলে ঘোষণা করেছে। কুরআন হযরত ঈসার মুজিযাগুলো একটি একটি করে গণনা করে বর্ণনা করেছে। কিন্তু এখানে সুস্পষ্ট করে বলে দেয়া হয়েছে যে, এই সমস্ত কাজই তিনি আল্লাহ‌র হুকুমে সম্পাদন করেছিলেন। তিনি নিজে অথবা নিজের শক্তিতে কিছুই করেননি। কাজেই এগুলোর মধ্য থেকে কোন একটি ভিত্তিতেই এই ফল লাভ করা যেতে পারে না যে, খোদায়ী কর্তৃত্ব ও কার্যকলাপে হযরত ঈসার কোন অংশ ছিল।

এখন তৃতীয় কথাটি সম্পর্কে খৃস্টানদের বর্ণনাগুলো যদি একবারেই ভুল বা মিথ্যা হতো, তাহলে তাদের ঈসার খোদা হবার আকীদাটির প্রতিবাদ করার জন্য পরিষ্কারভাবে একথা বলে দেয়া অপরিহার্য ছিল যে, যাকে তোমরা খোদার পুত্র বা খোদা বলছো সে তো কবে মরে মাটির সাথে মিশে গেছে। আর যদি এজন্য অধিকতর নিশ্চিন্ত হতে চাও, তাহলে উমুক স্থানে গিয়ে তার কবরটি দেখো। কিন্তু একথা না বলে কুরআন কেবল তাঁর মৃত্যুর ব্যাপারটি অস্পষ্ট রেখেই থেমে যায়নি এবং তার অদৃশ্য হয়ে যাওয়া সম্পর্কে কেবল এমন শব্দ ব্যবহার করেনি যার ফলে কমপক্ষে তাঁকে জীবিত উঠিয়ে নেয়ার অর্থের সম্ভাবনা থেকে যায় বরং খৃস্টানদের সুস্পষ্টভাবে একথা বলে দেয় যে, ঈসাকে আদতে শূলে চড়ানোই হয়নি। অর্থাৎ যে ব্যক্তি শেষ সময়ে “এইলী এইলী লিমা শাবাকতানী” (অর্থাৎ ঈশ্বর আমার! কেন আমাকে পরিত্যাগ করেছো? ) বলেছিল এবং যার শুলে চড়াবার দৃশ্যের ছবি নিয়ে তোমরা ঘুরে বেড়াও, সে ঈসা ছিল না। ঈসাকে আল্লাহ‌ তার আগেই উঠিয়ে নিয়েছিলেন।

এ ধরনের বক্তব্য পেশ করার পর যে ব্যক্তি কুরআনের আয়াত থেকে হযরত ঈসার (আঃ) মৃত্যুর অর্থ বের করার চেষ্টা করে সে আসলে একথা প্রমাণ করার চেষ্টা করে যে, আল্লাহ‌ পরিষ্কার ভাষায় নিজের বক্তব্য প্রকাশ করার ক্ষমতা রাখেন না, নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৩

হানিফঢাকা বলেছেন: এইসব বানানো ব্যখ্যা এইখানে বইলা লাভ নাই। যেইখানে আপনার মত পাবলিক আছে তাদের কে বলেন।

৪৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৮

মাসূদ রানা বলেছেন: @হানিফঢাকা ভাই

“Muhammad is not but a messenger. Messengers have passed on before him…” (3: 144)

এখানে Messengers অর্থ " বার্তাবাহকগণ ", All Messenger নয়।

আর, ঈশা (আ: ) মরণশীল এতে কারো দ্বিমত নেই ।কিন্তু তার মানে এই নয় তিনি মৃত। পৃথিবীতে পূনরায় আবির্ভূত হবার পর ওনার মৃত্যু ঘটবে ইনশা আল্লাহ।

আর এতো কষ্ট করে এসব লিখে মুসলমানদের ভ্রাতৃত্বে চিড় না ধরিয়ে এমন কিছু লিখুন যাতে মুসলিম অমুসলিম সবাই উপকৃত হয়। ভালো থাকুন ভাই ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৭

হানিফঢাকা বলেছেন: ভাই এইবার কস্ট করে ৫:৭৫ এর অনুবাদ টা দেন, তারপর বলছি

৪৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৪

নতুন বলেছেন: মন্তব্যে যারা খেপে আছেন তাদের উচিত হানিফ ভাই যেই আয়াতের রেফারেন্স দিয়েছেন তা ধরে ধরে তাকে ভুল প্রমান করুক...

তা না করে সবাই চারিপাশের ঝোপ ঝাড়ে ঝাকাঝাকি করছে কেন বুঝতে পারলাম না।

আরেকটা বিষয় হইলো কাউকে টপ করেই নাস্তিক/কাফের বলা কি ঠিক? উনি কোথায় কোরানের বিরোধিতা করেছেন??

৪৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪০

মাসূদ রানা বলেছেন: দেখেন হানিফ ভাই । আয়াতদ্বয়ের কোনটিতেই মহান আল্লাহ পাক বলছেন না সকল নবী রাসূলগনই মৃত । বরংচ আল্লাহ পাক বলছেন পূর্বের নবী রাসূলগনদের মরতে হয়েছে । আয়াতটি কখনোই কত সংখক নবী রাসূল মারা গেছেন সেটা স্পেসিফিকভাবে বলছে না । আপনি ইংরেজী ছেড়ে বরংচ আরবীতে ফিরে আসুন। আমাদের দেখান, নিচের আয়াতদ্বয়ের কোথায় মহান আল্লাহ পাক " সকল নবী রাসূলকেই মরতে হয়েছে " বা এর কাছাকাছি ফ্রেস ব্যবহার করছেন ::

৩।১৪৪

وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِهِ ٱلرُّسُلُ ۚ أَفَإِي۟ن مَّاتَ أَوْ قُتِلَ ٱنقَلَبْتُمْ عَلَىٰٓ أَعْقَٰبِكُمْ ۚ وَمَن يَنقَلِبْ عَلَىٰ عَقِبَيْهِ فَلَن يَضُرَّ ٱللَّهَ شَيْـًٔا ۗ وَسَيَجْزِى ٱللَّهُ ٱلشَّٰكِرِينَ

৫।৭৫

مَّا ٱلْمَسِيحُ ٱبْنُ مَرْيَمَ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِهِ ٱلرُّسُلُ وَأُمُّهُۥ صِدِّيقَةٌ ۖ كَانَا يَأْكُلَانِ ٱلطَّعَامَ ۗ ٱنظُرْ كَيْفَ نُبَيِّنُ لَهُمُ ٱلْءَايَٰتِ ثُمَّ ٱنظُرْ أَنَّىٰ يُؤْفَكُونَ

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৮

হানিফঢাকা বলেছেন: قَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِهِ ٱلرُّسُلُ (৩:১৪৪)

قَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِهِ ٱلرُّسُلُ (৫:৭৫)

এই দুটা আয়াতের অক্ষর, শব্দ, বাক্য সবই এক। তাহলে ৩:১৪৪ অনুবাদ করতে পারলে ৫:৭৫ কেন পারছেন না? কি সমস্যা?

আপনার ৩:১৪৪ অনুবাদের সূত্র ধরেই বলি, এখানে বলেছেন "Messengers অর্থ " বার্তাবাহকগণ"। ঠিক আছে। এইবার এই শব্দ দুই আয়াতে বসান। তাহলে কি দ্বারায়ঃ

মরিয়ম-তনয় মসীহ রসূল ছাড়া আর কিছু নন। তাঁর পূর্বে বার্তাবাহকগ অতিক্রান্ত হয়েছেন (৫:৭৫)
আর মুহাম্মদ একজন রসূল বৈ তো নয়! তাঁর পূর্বে বার্তাবাহকগ অতিক্রান্ত হয়েছেন (৩:১৪৪)

েেএখন প্রশ্ন হচ্ছেঃ বার্তা বাহক গন বলতে আপনি কি বুঝিয়েছেন। কিছুসংখক বার্তাবাহক নাকি সকল বার্তাবাহক?

১। যদি বলেন "কিছুসংখক বার্তাবাহক" তাহলে ৫:৭৫ অনুযায়ী বুঝতে হবে ঈসা (আঃ) এর পূর্বে সকল রাসুল গত হন নি? কিছু রাসুল এখনও বেচে আছেন এবং তারা পৃথিবীতে আছেন বা আল্লাহ তাদের কে আসমানে তুলে নিয়ে গেছেন এবং তারা আবার আসবেন। সুতরাং জানতে চাচ্ছি ঈসা (আঃ) ছাড়া আর কত জন রাসুল এখনও বেচে আছেন এবং পৃথিবীতে আসবেন।

২। যদি বলেন "সকল বার্তাবাহক" তবে ৩:১৪৪ অনুযায়ী ঈসা (আঃ) মৃত।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

এইবার আপনার জ্ঞতার্থে বলছি, এই বাক্যের ওয়ার্ড বাই ওয়ার্ড অর্থ হচ্ছে ঃ certainly had passed before him the Messengers

সুতরাং, ٱلرُّسُلُ শব্দের অর্থ হচ্ছে the Messengers। এখন এই the Messengers এর মানে কি তা বের করার দায়িত্ব আপনার উপরেই ছেড়ে দিলাম। ( আরটিকেলস গ্রামার দেখলেই বুঝবেন)

এর পরেও যদি মানতে না চান, তবে ٱلرُّسُلُ শব্দের আপনার যে অর্থ মনে হয় তাই দিয়ে ঐ ৩:১৪৪ এবং ৫:৭৫ অনুবাদ করেন। মনে রাখতে হবে ঐ দুই আয়াতে একি শব্দ, বাক্য ব্যবহার করা হয়েছে, সুতরাং এক্টাতে যে অনুবাদ বসাবেন, অন্যটিতেও সেই একি অনুবাদ বসাতে হবে। এইভাবে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। সিদ্ধান্ত আপনার উপরে।
ধন্যবাদ।

৪৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০১

মাসূদ রানা বলেছেন: ১। যদি বলেন "কিছুসংখক বার্তাবাহক" তাহলে ৫:৭৫ অনুযায়ী বুঝতে হবে ঈসা (আঃ) এর পূর্বে সকল রাসুল গত হন নি?

হয়তবা হননি ..... অদ্ভুত শোনালেও এমন অনেক ঘটনা রয়েছে যা আমাদের অজ্ঞাত। মহান আল্লাহ পাক আমাদের জ্ঞান না দিলে আমাদের জানার কোন সুজোগ নেই ভাই।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৯

হানিফঢাকা বলেছেন: ٱلرُّسُلُ = the Messengers= কিছুসংখক বার্তাবাহক ??

আল্লাহ আপনার সহায় হোন

৪৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৪

আরব বেদুঈন বলেছেন: এখন আমার ব্যাখ্যার ব্যখ্যা নয়া করে ভুল ভুল করে পালাচ্ছেন কেন?এই ব্যাখ্যা পৃথিবীর সকল তাফসিরকারক এক মতার উনি এসেছেন তাদের ভুল ধরতে???১৪০০ বছর অবধি সবাই একই তাফসির করল আর উনি এসেছেন মহা জ্ঞানি জ্ঞানীর ও জ্ঞানি তাদের ভুল ধরতে।উনি আরবি পড়া জানেন না কিন্তু অরবি অর্থ করেন।উনি বুখারি মেশকাত আরোসব সহিহ হাদিস মানেন না,কেন মানেন না?কারন উনি ইমাম বুখারিঢ় চেয়ে জ্ঞানি।

খুব তানাবানাই করছেন ওখানে বলা হয়েছে পূর্ব বর্তী নবীরা গত হয়েছে ,বলা হই নি মারা গেছে।নবীরা গত হয়েচেহ মানে তাদের যে নবুয়্যতের দাইয়িত্ত্ব দেওয়া হয়েছিল তা শেষ হয়ে গেছে।
তানা উনি কিছু সংখ্যক আয়াত নিয়ে ধানায় পানায় করছে।আল্লাহর কি শব্দের সমস্য হয়ে গিয়েছিল ওখানে??যে মৃত্যু হয়েছে না বলে গত হয়েছে বলেছে?উত্তর দিয়ে যাবেন?
কুরানে এই দুই জাইগায় ছাড়া সব জাইগাই কেন "মৃত্যু শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে?ঐ সমস্ত জায়গায় কেন "গত শব্দ ব্যবহার করা হইনি??

ফালতু কথা নিয়ে প্যাচাল পাড়েন।যখন আমি যুক্তি দিলাম উনি বলল ভুল!!

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৭

হানিফঢাকা বলেছেন: "১৪০০ বছর অবধি সবাই একই তাফসির করল আর উনি এসেছেন মহা জ্ঞানি জ্ঞানীর ও জ্ঞানি তাদের ভুল ধরতে"- আপনি যেহেতু তাদের পুজা করেন তাই আপনার অনুযায়ী তারা ভুল করতে পারেনা, আমি যেহেতু তাদের পুজা করিনা, তাই আমার অনুযায়ী তার ভুল করতেই পারে। কোন মানুষই ভুলের উর্ধে নয়।

আপনার সুপার ইমাম বুখারী নিয়ে আমার একটা পোস্ট আছে। যদি পড়ালেখা জানেন, তবে ঐ পোস্টে যে প্রশ্ন গুলি দিয়েছি তার উত্তর দিয়ে আসবেন।

"খানে বলা হয়েছে পূর্ব বর্তী নবীরা গত হয়েছে ,বলা হই নি মারা গেছে।নবীরা গত হয়েচেহ মানে তাদের যে নবুয়্যতের দাইয়িত্ত্ব দেওয়া হয়েছিল তা শেষ হয়ে গেছে" - উহা আপনার কোন পুজনীয় তফসীর কারক বলেছেন সেটা বলেন।

গত হয়েছে বলতে মারা যাওয়া বুঝানো হয়নি? তাহলে কোন নবীই মারা যায়নি কি বলেন?

এইসব মূর্খের দল কোনখান থেকে আসে আল্লাহ ই জানে।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৯

হানিফঢাকা বলেছেন: লিংক দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। Click This Link

৪৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: আরব বেদুঈন ভাই, যুগে যুগে এইসব ফিতনা কারীরা আসবে, আবার চলে যাবে। এদের সাথে তর্ক করে লাভ নেই, এরা এটাই চায়। ঈসা (আঃ) মৃত্যু বরন করেছেন এটা প্রমান করলে সবচেয়ে লাভবান হবে কাদিয়ানীরা, ইয়াহুদীরা । এইসব প্রচারনা এটারই একটা অংশ হবে। আল্লাহ এদের কলব/দিল সীল করে দিয়েছে। এরা এদের নিজেদেরই সর্বনাশ করছে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রহম করুন। আমীন।

৫০| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৬

আরব বেদুঈন বলেছেন: বোঝা গেল এদের সাথে প্যাচাল পেড়ে লাভ নেই

৫১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৫৫

মাসূদ রানা বলেছেন: ٱلرُّسُلُ = the Messengers= কিছুসংখক বার্তাবাহক ??

না ভাই । বার্তাবাহকগণ= সকল বার্তাবাহক নয় ।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১০

হানিফঢাকা বলেছেন: ১। বার্তা বাহক গন যদি সকল বার্তা বাহক না হয়, তবে ঈসা (আঃ) ছাড়া আরও নবী রাসুল কে আল্লাহ তুলে নিয়েছেন যার আবার পৃথিবীতে আসবে?তারা কারা? কোরআন এই ধরনের কোন কথাও বলে নাই।

২। ٱلرُّسُلُ = the Messengers। এখন the Messengers বললে কি বুঝায় দয়া করে একটু গ্রামার দেখে নিবেন। (এ, এন, দি এর ব্যবহার)


ধন্যবাদ।

৫২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৪২

মায়াময় বলেছেন: আমি ধর্ম তেমন একটা বুঝি না, তাই বলে ভাববেন না আমি নাস্তিক। তবে নিজে যেমন সদা-সর্বদা শান্তিতে থাকতে পছন্দ করি, তেমনি ভাবে প্রত্যাশা করি সকলই সদা-সর্বদা শান্তিতে থাকুক। কিন্তুু যখন ধর্ম নিয়ে কাউকে বারাবারী করতে দেখি, উত্তেজিত হতে দেখি এবং কথা ও কার্যদ্বারা একে অপরকে আঘাত করতে দেখি, তখন ধর্ম কম বুঝার কারণে কোন ধরনের আক্ষেপই হয় না আমার। বরং আমার তুলনায় যারা ধর্ম বেশি বুঝেন তাদের আচরন ও আক্রমানাক্তক মন্তব্য দেখে আমি বিস্মিত হই এবং ভীত সন্ত্রস্ত হতে বাধ্য হই। তাই যখন কোন ধর্ম নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়, আমি নিরব দর্শকের মত অনুসন্ধানে সচেষ্ঠ হই কে কিভাবে তার ধর্ম বা বিশ্বাসের প্রতিনিধিত্ব করছেন, কে কিভাবে তা উপস্থাপন করছেন এবং তার বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত করতে সচেষ্ঠ রয়েছেন এবং কার আচরন- কথা কতটা মার্জিত ও রুচিসম্মত এবং গ্রহণযোগ্য। কারণ - যারা ধর্ম ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করেন তারা যদি শান্তির দিশারী না হন তাহলে তাদের মত গ্রহণের কোন ইচ্ছাই আমার নেই। দোয়া করি ” পরম করুণাময় আল্লাহ্ তার রাহমানীয়তের ছায়া তলে আমাদের সকলকে আশ্রয় দিন সদাসর্বদা “ আমিন। সুম্মা আমিন।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪০

হানিফঢাকা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৮

পিস মিসাইল বলেছেন: ঈসা আঃ কি জীবিত নাকি মৃতঃ
1.ঈসা (আঃ) ক্রুসবিদ্ধ হয়নি/তাকে হত্যা করাও হয়নি(৪:১৫৭)
যেহেতু কোরআনের ভাষ্য মতে ঈসা (আঃ) ক্রুসবিদ্ধ হননি/তাকে হত্যা করাও হয়নি সুতরাং তিনি কোরআন থেকে দেখতে চান যে উনার স্বভাবিক মৃত্যু হয়েছিল কি না। কিন্তু তিনি সমাধানের জন্য চার নাম্বার সূরা থেকে লাফ দিয়ে চলে গেলেন ২১ নাম্বার সুরাতে। কেন? সমাধানটাত ১৫৮ ও ১৫৯ নাম্বার আয়াতেই ছিল।
হযরত ঈসা (আঃ) এর স্বভাবিক মৃত্যুর প্রমাণ দিলেন ঈসা আঃ মরণশীল দলিল দিয়ে(২১:৩৪)। মরণশীল মানেই যদি মৃত বুঝায় তাহলে আমরা কি বেঁচে নেই। আর রাহমান ২৬-২৭ আয়াতে বলা হয়েছে আল্লাহ ব্যাতিত সকল কিছুই ধ্বংস হবে। ঈসা আঃ চিরঞ্জিব এটা কে বলে? তিনি আবার আসবেন এবং স্বাভাবিক নিয়মে মারা যাবেন।

2. সব রাসূলই কি মৃতঃ
The Messiah, son of Mary, was not but a messenger; messengers have passed on before him. (5:75)
মরিয়ম-তনয় মসীহ রসূল ছাড়া আর কিছু নন। তাঁর পূর্বে অনেক রসূল অতিক্রান্ত হয়েছেন [মুহিউদ্দীন খান] ‌[5:75]
“Muhammad is not but a messenger. Messengers have passed on before him…” (3: 144)
আর মুহাম্মদ একজন রসূল বৈ তো নয়! তাঁর পূর্বেও বহু রসূল অতিবাহিত হয়ে গেছেন। [মুহিউদ্দীন খান] ‌[3:144]
এখানে বলা হয়েছে ঈসা আঃ এবং মুহাম্মাদ সঃ এর পূর্বের অনেক রাসুল অতিবাহিত(passed on) হয়েছেন বা বিগত হয়েছেন বা চলে গেছেন। বিগত হওয়া দুইভাবে সম্ভব জীবিত অথবা মৃত। লেখক এখানে মৃতকেই ধরে নিয়েছেন। তিনি বুঝেন নি মৃত ধরলে তা নিসাঃ১৫৯ আয়াতের সাথে সাংঘরষিক। মুলত ঈসা আঃ বিগত হয়েছেন জীবিত।

3. (مُتَوَفِّيكَ) শব্দ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা
Lo! God said: "O Jesus! Verily, I shall cause thee to die, and shall exalt thee unto Me[Asad] [3:55]
Behold! Allah said: "O Jesus! I will take thee(مُتَوَفِّيكَ) and raise thee to Myself [Abdullah Yusuf Ali] [3:55]
হে ঈসা! আমি তোমাকে নিয়ে নেবো এবং তোমাকে নিজের দিকে তুলে নিবো-কাফেরদের থেকে তোমাকে পবিত্র করে দেবো। [মুহিউদ্দীন খান] ‌[3:55]
Remember when Allah said, “O Eisa! I will keep you alive till your full age, and raise you towards Me [Ahmed Raza Khan] [3:55]
লেখক এত সব অনুবাদের মধ্যে কেবল একজনের অনুবাদ পছন্দ করলেন যেটা আসলে ভুল। আপনি যদি ডিকশনারি দেখেন বুঝবেন (مُتَوَفِّيكَ) অর্থ তুলে নেয়া/ take thee। প্রমান স্বরূপ গুগুল ট্রান্সলেটের একটা লিংক দিচ্ছি উক্ত শব্দার্থের।
https://translate.google.com/#ar/en/&#xD9;&#x85;&#xD8;&#xAA;&#xD9;&#x88;&#xD9;&#x81;&#xD9;&#x8A;&#xD9;&#x83;
কোরআনের যত জায়গায় (مُتَوَفِّيكَ) এই শব্দ ব্যবহার হয়েছে ঈসা (আঃ) এর ঘটনা ব্যতীত, সব জায়গায় নাকি মৃত্যু বুঝানো হয়েছে। উদাহরণসরূপ (৩২:১১,৪:৯৭,৮:৫০,২২:৫,১২:১০১) কিন্তু লেখক খুব মজা পেয়েছেন যে কেবল ঈসা (আঃ) এর ক্ষেত্রে অনেক অনুবাদক মৃত্যু অনুবাদ করা হয় নাই।
আমিও খুব মজা পেয়েছি কারন উক্ত আয়াতগুলোতে (مُتَوَفِّيكَ) শব্দটিই নেই। এই (مُتَوَفِّيكَ) শব্দটি রয়েছে কেবল এবং কেবলমাত্র [3:55] আয়াতে। তার অর্থ আমি আগেই বলেছি ডিকশনারি লিংক সহ।
৪। রাফা শব্দ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা
আল্লাহ ঈদ্রিস (আঃ) সম্পর্কে বলেছেন এবং ইউসুফ আলী অনুবাদ করেছেন…
And We raised him to a lofty station (19:57)

আল্লাহ মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে বলেছেন এবং ইউসুফ আলী অনুবাদ করেছেন…
And raised high the esteem (in which) thou (art held)? (94:4)

উনি বললেন ডিকশনারিতে “রাফা” মানে হচ্ছে “ exalt in honor, not physical ascention”.
এখন, যদি “রাফা” এর অর্থ করা হয় “স্বশরীরে তুলে নেওয়া”- তাহলে, আল্লাহর কোরআন অনুসারে ঈদ্রিস (আঃ) এবং মুহাম্মদ (সাঃ) কেও স্বশরীরে তুলে নিয়েছেন, এবং তারা আবার আসবেন।
ডিকশনারিতে “রাফা” মানে আসলে কি আসুন দেখি। দেখি গুগল ট্রান্সলেট কি বলে
https://translate.google.com/#ar/en/&#xD8;&#xB1;&#xD9;&#x8E;&#xD9;&#x81;&#xD9;&#x8E;&#xD8;&#xB9;&#xD9;&#x92;
রাফা মানে উপরে তুলা। এখন সেটা বিভিন্নভাবে হতে পারে। দৈহিক অথবা সম্মানার্থে। বুঝতে হবে কোথায় কোন শব্দ ব্যবহার করতে হবে। পিগ তারা পুলিশ অফিসার বুঝায়। Do not eat pig. এখানে পিগ দ্বারা কি আপনি পুলিশ অফিসার বুঝবেন? নাকি প্রশ্ন করবেন ওখানে পিগ পুলিশ অফিসার হলে এখানে কেন হবে না। শব্দ সিলেকশনে প্রেক্ষাপট খুব গুরুত্বপূর্ণ।
[5:117] আয়াতে কি ঈসা আঃকে মৃত বলা হয়েছে?
"Never said I to them aught except what Thou didst command me to say, to wit, 'worship Allah, my Lord and your Lord'; and I was a witness over them whilst I dwelt amongst them; when Thou didst take me up Thou wast the Watcher over them, and Thou art a witness to all things. [Abdullah Yusuf Ali] [5:117]
...অতঃপর যখন আপনি আমাকে লোকান্তরিত করলেন, তখন থেকে আপনিই তাদের সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। আপনি সর্ববিষয়ে পূর্ণ পরিজ্ঞাত। [মুহিউদ্দীন খান] ‌[5:117]
“… when You raised me, only You watched over them; and all things are present before You.” [Ahmed Raza Khan] [5:117]
সবশেষে দিব মোক্ষম অস্ত্রঃ
খুব সম্ভবত উনি এটা জেনে বুঝে আড়াল করেছেন। কারন দলিলটি খুব কাছেই ছিল। যেটা উনি জাম্প করেছেন। যেখানে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে ঈসা আঃ জীবিত এখনো। পরিষ্কার করেই প্রমাণিত যে উনি এখনো জীবিত। ক্রিস্টাল ক্লিয়ার।আসুন দেখি আয়াতটি।
There is not one of the People given the Book(s), who will not believe in him (Eisa) before his death; and on the Day of Resurrection he will be a witness against them. [Ahmed Raza Khan] [4:159]
আর আহলে-কিতাবদের মধ্যে যত শ্রেণী রয়েছে তারা সবাই ঈমান আনবে ঈসার উপর তাদের মৃত্যুর পূর্বে। আর কেয়ামতের দিন তাদের জন্য সাক্ষীর উপর সাক্ষী উপস্থিত হবে। [মুহিউদ্দীন খান] ‌[4:159]
And there is none of the People of the Book but must believe in him before his death; and on the Day of Judgment he will be a witness against them;- [Abdullah Yusuf Ali] [4:159]
অর্থাৎ উক্ত আয়াতে বলা হয়েছে সকল জাতি যাদের কিতাব দেয়া হয়েছে তারা সকলেই ঈসা আঃ এর উপর বিশ্বাস করবে অর্থাৎ উনাকে নবী হিসেবে মেনে নিবে উনার মৃত্যুর পূর্বেই। কিন্তু আমরা দেখি এখনো বহু আহলে কিতাব ঈসা আঃকে বিশ্বাস করে না। উদাহরণস্বরূপ ইহুদীরা এখনো ঈসা আঃএর উপর বিশ্বাস করে না। অথচ আল্লাহ বলেছেন ঈসা আঃ এর মৃত্যুর পূর্বে সকল আহলে কিতাব তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করবে। যা থেকে প্রমাণিত হয় ঈসা আঃ এখনো মরেন নি।

৫৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭

পিস মিসাইল বলেছেন: ঈসা আঃ কি জীবিত নাকি মৃত

৫৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪

টুমরো বলেছেন: তাহলে শেষ জামানায় ঈসা (আঃ) জীবিত অবস্থায় এবং নবীর মর্যাদা নিয়ে আসবেন। তাহলে মুহম্মদ (সাঃ) শেষ নবী নয়? উনার পরেও ঈসা (আঃ) নবী হিসাবেই আসবে। তাহলে পিস মিসাইল এর বক্তব্য কাদিয়ানীদের পক্ষে গেল। কারণ কাদিয়ানীরা বলে রসুল (সাঃ) পরে নবী আসবে। তাহলে দেখা যাচ্ছে, ঈসা (আঃ) মৃত সাব্যস্ত হলেও কাদিয়ানীদের পক্ষে যায়, বেচে থাকলেও কাদিয়ানীদের পক্ষে যায়। লেখক ব্যতীত উপরের যাবতীয় কমেন্ট্স পড়ে আমার তাই মনে হচ্ছে।

৫৬| ২৭ শে মে, ২০১৬ ভোর ৬:৫৮

অাহসান শান্ত বলেছেন: আরব বেদুঈন ভাই অসাধারন। to writer (the most knowledgeable) do u know what ALBERT EINSTEIN said "Science without religion is lame, religion without science is blind" or Francis bacon "A little science estranges a man from God; a lot of science brings him back".

i am not going to argue with u, you will keep placing logic though those are incomplete. now let me ask u did Islam come before christianity? no. according to even christianity he is alive because have you heard "Resurrection of Jesus" ??? if he was dead in christianity he was brought to life and there is witness.
Acts 3:15 "and you killed the Author of life, whom God raised from the dead. To this we are witnesses."
Acts 2:24 "God raised him up, loosing the pangs of death, because it was not possible for him to be held by it."
Acts 2:31 "he foresaw and spoke about the resurrection of the Christ, that he was not abandoned to Hades, nor did his flesh see corruption. 32 This Jesus God raised up, and of that we all are witnesses."
Christians celebrate the resurrection of Jesus on Easter Sunday, two days after Good Friday, the day of his crucifixion. Easter's date corresponds roughly with Passover, the Jewish observance associated with the Exodus, that is fixed for the night of the Full moon near the time of the spring equinox.
Mark 16:19 "So then after the Lord had spoken unto them, he was received up into heaven, and sat on the right hand of God."
even there is some change but u see Bible agrees Jesus ascend to heaven.theme is same that Jesus was alive when he ascends to heaven. that's why i told u to read Bible as you can't go depth of Quraan. you have so poor knowledge. and he was a man not a spirit, bible said that too.

Luke 24:51 "While he blessed them, he parted from them and was carried up into heaven."
Matthew 28:10 "Then Jesus said to them, “Do not be afraid; go and tell my brothers to go to Galilee, and there they will see me.”
Acts 1:1-11
The Promise of the Holy Spirit
1 In the first book, O Theophilus, I have dealt with all that Jesus began to do and teach, 2 until the day when he was taken up, after he had given commands through the Holy Spirit to the apostles whom he had chosen. 3 He presented himself alive to them after his suffering by many proofs, appearing to them during forty days and speaking about the kingdom of God.

4 And while staying[a] with them he ordered them not to depart from Jerusalem, but to wait for the promise of the Father, which, he said, “you heard from me; 5 for John baptized with water, but you will be baptized with[b] the Holy Spirit not many days from now.”

The Ascension
6 So when they had come together, they asked him, “Lord, will you at this time restore the kingdom to Israel?” 7 He said to them, “It is not for you to know times or seasons that the Father has fixed by his own authority. 8 But you will receive power when the Holy Spirit has come upon you, and you will be my witnesses in Jerusalem and in all Judea and Samaria, and to the end of the earth.” 9 And when he had said these things, as they were looking on, he was lifted up, and a cloud took him out of their sight. 10 And while they were gazing into heaven as he went, behold, two men stood by them in white robes, 11 and said, “Men of Galilee, why do you stand looking into heaven? This Jesus, who was taken up from you into heaven, will come in the same way as you saw him go into heaven.”

here its said he was alive as human being. now let me tell you. in christian view "Armageddon" means last day or judgement day.where jesus will fight the evil. its a actual place where the battle will unfold. its " Tel Megiddo" in israel. https://en.wikipedia.org/wiki/Tel_Megiddo
Megiddo (Hebrew: מגידו‎; Arabic: مجیدو‎‎, Tell al-Muta'allim, "The Tell of the Governor";) is a tell in northern Israel near Kibbutz Megiddo, about 30 km south-east of Haifa, known for its historical, geographical, and theological importance, especially under its Greek name Armageddon. in book of revelation its written Jesus will rule for thousand years and then judge the good or evil. and according to Islam he will descend on the Umayyad mosque of syria. https://en.wikipedia.org/wiki/Umayyad_Mosque

now u will say miracle can't happen.but did not he was born without father?please explain in line of science.or partition of nile river, or ark of covenant.can u? i know its of no use to refer from Quraan so i told u in line of bible.

৫৭| ২২ শে জুন, ২০১৬ রাত ৩:০২

Realanswer বলেছেন: আমার মনে হয় লেখক হলেন কাদিয়ানীদের মতন রাসেদ খলিফা নামের এক রাসুলের উম্মাত যারা সরাসরি হাদিস সুন্নাহ অস্বিকারকারী । আর রাশেদ খলিফা মহিমান্বিত রাসুল তখনই হবে যখন ঈসা, মাহদি, দাজ্জাল এসব বলে কিছুই থাকবে না তাই তাদের দরকার ঈসা আঃ কে যে করেই হোক মৃত প্রমান করা । উপরের লেখককে শুধুমাত্র কুরানের দলিল দিয়েই অল্প কথাতেই তার সম্পূর্ন পোষ্ট ভুল প্রমান করে দেয়া যেত কিন্তু আমি তা করব না কারন আমি খুব ভালভাবেই জানি ঈসা আঃ জীবিত প্রমান করা গেলেও এদের মূল আক্বিদায় তেমন প্রভাব পরবে না অর্থাৎ বৃথা চেষ্টা হবে অথচ সে কাদিয়ানী হলে চেষ্টাটা বৃথা যেত না এবং আমিও সময় খরচ করতাম । তবে ঈসা আঃ জীবিত এটা দলীল সহ কারও জানার ইচ্ছে থাকলে নিন্মোক্ত লিংকে যেতে পারেন । Click This Link

৫৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:১১

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ঈসা আঃ ইমাম মাহদী এগুলো কল্পকাহিনী না সত্য তা ইনশাহ আল্লাহ কয়েক বছরের মধ্যেই বুঝতে পারবেন

৫৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:১৭

Realanswer বলেছেন: সরি উপরের লিংক কাজ করছে না । তাই ঈসা আঃ জীবিত এটা দলীল সহ কারও জানার ইচ্ছে থাকলে নিন্মোক্ত লিংকে যেতে পারেন । Click This Link

৬০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:১০

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: ‘তুমি বল! তোমার প্রতিপালক-প্রভুর পক্ষ থেকে পূর্ণ সত্য সমাগত, অতএব কেউ চাইলে ঈমান আনতে পারে আবার কেউ চাইলে অস্বীকারও করতে পারে।’
(সুরা আল কাহফ:৩০)


প্রতিশ্রুত মসীহ ও ইমাম মাহ্দী (আ.) আবির্ভূত হয়েছেন!
আহমদীয়া মুসলিম জামাতের পক্ষ থেকে সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও সালাম। একটি ঐশী নেয়ামতের সংবাদ সবার কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে কয়েকটি কথা বিনীতভাবে উপস্থাপন করছি। অন্যান্য সব মুসলমানের মত আমরাও হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম-এর উম্মত হিসাবে ইমাম মাহ্দী ও প্রতিশ্রুত মসীহ্ (আ.)-এর আগমনের প্রতীক্ষায় ছিলাম। আজ থেকে শতাধিক বছর আগে ১৮৮৯ খৃষ্টাব্দে তথা ১৩০৬ হিজরী সনে ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের এক নিভৃত গ্রামে হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আ.) সেই প্রতিশ্রুত মহাপুরুষ হবার দাবী করেন। আমরা পবিত্র কুরআন ও হাদীসের আলোকে তাঁকে যাঁচাই করে সত্য মাহ্দী ও প্রতিশ্রুত মসীহ্ হিসাবে গ্রহণের তৌফিক লাভ করেছি। কুরআনের ভবিষ্যদ্বাণী ও সহীহ্ হাদীসের আলোকে একথা সুস্পষ্ট, খাতামান্নাবীঈন (সা.)-এর আধ্যাত্মিক কল্যাণে ও তাঁর আনুগত্যে তাঁরই উম্মত হতে ইমাম মাহ্দী ও প্রতিশ্রুত মসীহ্‘র চতুর্দশ শতাব্দীর শিরোভাগে আগমনের কথা। হযরত মির্যা সাহেব তদনুযায়ী সঠিক সময়ে আগমন করেছেন।

ঐশী প্রতিশ্রুতি ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শুভসংবাদ অনুযায়ী শেষ যুগে আবির্ভূত মহাপুরুষের আগমন বার্তা এবং তাঁর সত্যতা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যেই 'সত্যের সন্ধানে'র আয়োজন। আজ ধর্ম জগতে চরম অস্থিরতা ও হানাহানি বিরাজমান, এত্থেকে উত্তোরণ আর এই জগতকে শান্তিময় ও স্বর্গধামে পরিণত করার জন্য এই প্রতিশ্রুত পুরুষের সাথে সংশ্লিষ্ট হওয়া আবশ্যক।
তাঁকে মানার গুরুত্ব সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন:
ইমাম মাহ্দী আবির্ভূত হবার সংবাদ পাওয়া মাত্রই তাঁর হাতে বয়আত করিও, যদি বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়েও যেতে হয়; কেননা নিশ্চয় তিনি আল্লাহর খলীফা আল-মাহ্দী।
(সুনানে ইবনে মাজা-বাবু খুরূজুল মাহ্দী)

খোদার নৈকট্য ও প্রিয়বান্দা হবার জন্য তাঁর নির্দেশ পালন আবশ্যক। এই চিরন্তন সত্যের প্রতি সবাইকে উদ্বাত্ত আহ্বান জানানোই এই অনুষ্ঠানে মূল লক্ষ্য।

এবারের অনুষ্ঠান চলাকালীন দর্শকদের করা কিছু প্রশ্ন:
'ইমাম মাহদী যখন আবির্ভূত হবেন, আলেমরা তাঁর শত্রু হবে' -উক্তিটি কোন হাদীসে আছে? মহিলারা কি জানাজার নামাজ পড়তে পারে?
আহমদী জামাতে মাঝহাব কোনটি?
আহমদী হলে লাভ কি?
আলাদা জামাত কেন ইমাম মাহদী (আ.) গঠন করেছেন?
জিহাদ সম্পর্কে আহমদীয়া মুসলিম জামা'ত-এর বিশ্বাস কি?
বয়াত কেন নিতে হবে ইমাম মাহদীর হাতে? বয়াত না করে কি মুহাম্মদ (সা.) কে মান্য করেই কি আমরা জান্নাতে যেতে পারবো না?
আমরা জানি ঈসা (আ.) চতুর্থ আকাশে জীবিত আছেন আপনারা আহমদীরা বলেন মারা গেছেন, কুরআনের আলোকে বলুন কোথায় তার মৃত্যুর কথা উল্লেখ্য আছে?
আপনাদের ইমাম মাহদী (আ.) এর সত্যতা দিন কুরআন থেকে?
আরব বিশ্বে আহমদীয়া মুসলিম জামাত আছে কি? থাকলে কিরকম বিপ্লব সাধিত হচ্ছে?
আহমদী ও গয়ের আহমদীদের মাঝে পার্থক্য কি?
হযরত ইমাম মাহদী (আঃ) এসে কি এমন পরিবর্তন এনেছেন যা আমাদের মানতেই হবে?
"খতমে নব্যুয়ত" বলে নবী (সাঃ) শেষ নবী,কিন্তু আহমদীরা বলে খাতামান্নাবীঈন,এ কথা বললে কি পাপ হয়?


সত্যের সন্ধানে (Shotter Shondhane) - ২৯শে মার্চ, ২০১৮ইং-এ সম্প্রচারিত - ১৮৯তম অনুষ্ঠান

সত্যের সন্ধানে (Shotter Shondhane) - ৩০শে মার্চ, ২০১৮ইং-এ সম্প্রচারিত - ১৯০তম অনুষ্ঠান

সত্যের সন্ধানে (Shotter Shondhane) - ৩১শে মার্চ, ২০১৮ইং-এ সম্প্রচারিত - ১৯১তম অনুষ্ঠান

সত্যের সন্ধানে (Shotter Shondhane) - ১লা এপ্রিল, ২০১৮ইং-এ সম্প্রচারিত - ১৯২তম অনুষ্ঠান
অনুষ্ঠানে কোরআন ও হাদীসের আলোকে সকল প্রশ্নের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। মুক্তমন নিয়ে এই অনুষ্ঠানটি দেখলে সত্য আপনার সামনে দিবালোকের মত সুস্পষ্ট হয়ে যাবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। আল্লাহ সবাইকে হিদায়াতের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকার তৌফিক দিন। আমীন।
আহমদীয়াত সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: ahmadiyyabangla.org

৬১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার একটি পোষ্ট। সমস্ত কুসংস্কারকে উড়িয়ে দিয়েছে। জাস্ট গ্রেট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.