নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফানডামেনটাল

;

হানিফঢাকা

So peace is on me the day I was born, the day that I die, and the day that I shall be raised up to life (again) (১৯:৩৩)

হানিফঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইমাম মেহেদী- একটি ষড়যন্ত্র এবং পৌরাণিক কাহিনী

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১০

ইমাম মেহেদী নামক এক ব্যক্তি নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে অনেক ধরনের গল্প চালু আছে। এই ব্যক্তি নিয়ে গল্পের মূল বিষয় হচ্ছে উনি একদিন পৃথিবীতে আসবেন এবং মুসলিম উম্মাহকে নেতৃত্ব দিবেন, মুসলিম উম্মাহ সাফল্যের শিখরে উঠবে, এরপর কিয়ামত হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। কমবেশি সবাই এই গল্প জানেন। আমার প্রশ্ন হল আপনি এই গল্প কিভাবে জানেন? আরেকজনের কাছে শুনেছেন, কোন বইয়ে পড়েছেন অথবা কোন হুজুরের বয়ান শুনেছেন, অথবা সবগুলি। বিভিন্ন বইয়ে আপনি এর স্বপক্ষে হাদিসের থেকে রেফারেন্স পেয়েছেন, হুজুরেরা বলেছে, খুব বেশি হলে আপনি ঐ হাদিসের রেফারেন্স মিলিয়ে দেখেছেন। যার ফলে আপনার বিশ্বাস জন্মেছে যে এই ঘটনা সত্য, এবং এর ফলে আপনি এর উপর নির্ভর করে বসে আছেন যে উনি একদিন এসে মুসলমানদের কে সব ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি দিবেন। কিন্তু সময় চলে যায় আর উনিও আসেন না এর ফলে মুসলমানদের দুর্দশাও শেষ হয়না। কিন্তু আপনি স্বপ্ন দেখে যেতেই থাকেন। আপনি স্বপ্ন দেখতে থাকুন, এর মধ্যে আমি উনার সম্পর্কে যে তথ্য গুলি পাওয়া যায় তা নিয়ে একটু বিশ্লেষণ করে দেখি যে আসলে এই রকম কোন ব্যক্তির অস্তিত্ব আছে কি না বা উনার সম্পর্কে যে কথা গুলি বলা হয় তা কতটুকু সত্য। আমি এই সম্পর্কে যাদের সাথে কথা বলেছি , একটা বিষয় বুঝতে পেরেছি যে কেউ এই সংক্রান্ত সবগুলি হাদিস জানেনা, এবং বিভিন্ন বিপরীতমুখী হাদিসের পার্থক্যটা ধরতে পারেন না। আমি এইখানে উনার সম্পর্কে সবগুলি গল্প/হাদিস (আমি যতগুলি জানি আর কি) একসাথে করে দেখব, মূল বিষয়টা কি দাড়ায়ঃ

ইমাম মেহেদী এবং কোরআনঃ
এর আগে আমি ঈসা (আঃ) যে আবার পৃথিবীতে আসবেন না তা আমি কোরআন থেকে প্রমান করে দেখিয়েছি। এটা খুব সহজ একটা বিষয় ছিল যেহেতু ঐ ক্ষেত্রে আমি কোরআনের রেফারেন্স দিতে পেরেছি- যাতে কোন সন্দেহের অবকাশ নাই। (বিস্তারিত জানতে দেখুনঃ Click This Link ) কিন্তু এই ক্ষেত্রে পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন এই কারনে যে, কোরআনে মেহেদী সংক্রান্ত কোন কথা বলা নাই। যেহেতু মেহেদী নামক কোন কনসেপ্ট কোরআনে নাই, সেহেতু এইখানে কোরআন থেকে এই সম্পর্কে বলার কিছু নাই, কিন্তু আমরা কোরআনের নিয়ম প্রয়োগ করলে দেখব যে কোরআনের নিয়ম অনুযায়ী এই মেহেদী কনসেপ্ট ইসলামে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক। কোরআন অনুযায়ীঃ
১। দ্বীন সম্পূর্ণ (৫:৩)
২। কোরআন সত্য মিথ্যা পার্থক্য নির্ণয় কারী (ফুরকান) (২:১৮৫, ২৫:১)
এই আয়াতগুলির সম্মিলিত অর্থ হচ্ছে ঃ

“কোরআনে যা কিছু বলা হয়নি তা আমাদের ধর্ম/দ্বীন এর ব্যপারে গুরুত্তপুর্ন নয় এবং যা কিছু কোরআনের সাথে সাঙ্গর্সিক তা অবশ্যয় বর্জনীয়”।

সুতরাং, যারা কোরআন সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন তাদের জন্য “মেহেদী বলে কিছু নাই অথবা মেহেদী কোনভাবেই ইসলামে গুরত্বপুর্ন নয়” কোরআন অনুযায়ী এটাই সঠিক বিশ্বাস।

অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি যে বেশিরভাগ মুসলমানই শুধুমাত্র কোরআনের কথা মানতে চান না। যদি বলেন, আল্লাহ কোরআনে এইটা বলেছে, তাহলে সাথে সাথে তারা আরও দশটা হাদিস নিয়ে আসবেন যেখানে ঠিক এইটার বিপরীত কথা বলে হয়েছে। এই সমস্যাটা ব্যপক। কোন ভাবেই বোঝানো যায়না কোরআন কোনভাবেই হাদিসের সাব-অর্ডিনেট না, বরং এর উলটাটাই সত্য। কোন কারনে হাদিস কোরআনের সাথে কনফ্লিক্ট করলে কোরআনের কথাই গ্রহণযোগ্য, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই এর উলটা টা প্রমান করার চেস্টায় ব্যস্ত। যারা কোরআন বিশ্বাস করেন তাদের জন্য এখানেই শেষ। যারা হাদিস থেকে মেহেদীর আগমন সংক্রান্ত বিষয় প্রমান করার চেষ্টায় ব্যস্ত এবং মনে করেন এই বিষয়টা খুবই গুরত্বপুর্ন তাদের জন্য আমার এই চেষ্টা।

ঐতিহাসিক পটভূমিঃ (ইতিহাস এবং ষড়যন্ত্র)ঃ
ধারনা করা হয় “আব্দুল্লাহ বিন-সাবাহ”- এই মুনাফিক (আগে ইহুদী ছিল, পরে মুসলমান হয়) প্রথমে এই ঈসা (আঃ) এবং মেহেদী আসার গল্প/গুজব ছড়ায়। এমনকি সে মুহাম্মদ (সাঃ) আবার পৃথিবীতে আসবেন এই গুজবও ছড়ায়। তার এই ছড়ানো এই গুজব সেই সময়ে খুব বেশি জনপ্রিয়তা পায়নি। কিন্তু প্রথম বীজটা সেই রোপণ করেছে এইটা অনেকের বিশ্বাস। যখন উমাইয়া খিলাফত এবং আব্বাসীয়দের মধ্যে দ্বন্ধ চরমে, তখন আমরা একজন বিশেষ সন্দেহভাজন মানুষের আবির্ভাব দেখি। উনি হচ্ছেন আবু মুসলেম খোরসানি। তিনি ইস্ফানে জন্ম গ্রহণ করেন এবং কুফায় বেড়ে উঠেন। মুহাম্মদ আব্বাসির ছেলে ইব্রাহিম তার মেধায় আকৃস্ট হয়ে তাকে তার পক্ষে প্রচারনা চালানোর দায়িত্ব দেয়। সে প্রচার করে যে খুব শিগ্রই ইমাম মেহেদী খুরসান প্রদেশ থেকে আসবেন এবং তার সেনাবাহিনীর পতাকা এবং পোশাকের রং হবে কাল। এই প্রচার যখন চরমে পৌছাল, সে খুরসান থেকে নিজে কাল পাতাকাবাহী এবং কাল রঙের পোশাক সম্বলিত সেনাবাহিনী নিয়ে বের হল এবং বানু উমাইয়া খিলাফত আক্রমণ করে তাদেরকে পরাজিত করল। (ইমাম মেহেদীর আর্মির সাথে যুদ্ধ করার মানসিক জোর তখন উমাইয়া খিলাফতের ছিলনা বলেই মনে হয়)। এইভাবেই উমাইয়া খিলাফতের পরিসমাপ্তি ঘটে এবং আব্বাসীয় খিলাফতের শুরু হয়। আব্বাসীয় খলিফা তার মেধায় মুগ্ধ হয়ে এবং তার ক্ষমতার পরিচয় পেয়ে , যাতে ভবিষ্যতে নিজেরা এই ধরনের বিপদে পড়তে না পারে সেই জন্য তাকে হত্যা করেন। আর এইভাবেই ইমাম মেহেদী নাটকের মধ্য দিয়ে এক ক্ষমতার পালা বদল, এবং এই ধরানার উৎপত্তি।

ধর্মীয় পটভূমিঃ
ইমাম মেহেদীর বিশ্বাসের উত্থান ইরানে (তৎকালীন পার্সিয়ান স্ম্রাজ্য)। ধর্মীয় দিক থেকে দেখলে এইটা মুলত শিয়াদের আবিষ্কার, পরে সুন্নীরা এই ধারণা গ্রহণ করে, যদিও ইমাম মেহেদী নামে কেউ একজন আসবে এই ধরনের কোন অথেনটিক হাদিস সুন্নী গ্রন্থে পাওয়া যায় না। আমরা এখন এই মুসলমানদের এই দুই দল শিয়া এবং সুন্নীদের মধ্যে কিভাবে ইমাম মেহেদী নামক ধারনার জন্ম হয়েছে তা দেখব।

শেহের বানুর ইতিহাসঃ
শিয়া কাহিনী অনুযায়ী, খলিফা হযরত উমরের সময় যখন পারস্য স্ম্রাট ইয়াজদগার্ড (Yazd Gard) মুসলমানদের হাতে পরাজিত হল, তখন তার মেয়েদেরকে উমরের সামনে যুদ্ধবন্দী হিসাবে উপস্থিত করা হল। উমর তাদেরকে ওপেন সেলের অর্ডার দিল, কিন্তু হযরত আলী তাদের বংশগত পরিচয়ের জন্য তাদেরকে আরও ভাল ভাবে ব্যবহারের পরামর্শ দিল।হযরত আলীর পরামর্শ অনুযায়ী তাদের মুল্য নির্ধারণ করা হল এবং তাদের একজনকে ইমাম হুসেন, আরেকজনকে মুহাম্মদ বিন আবু বকর এবং তৃতীয় জন কে আব্দুল্লাহ বিন উমরের কাছে হস্তান্তর করা হল। যে মেয়েটা ইমাম হুসেনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল তার নাম শেহের বানু ( তার আসল নাম জাহান শাহ- শিয়া দলীল হিসাবে, উমর তার নাম দিয়েছিল শেহের বানু)। এই সম্পর্কে যে বর্ণনা এসেছে তা হলঃ “Abu Abullah! You will have a son from her womb who will be the best in the world.” Hence Ali Ibne Hussain was born, who was the best Arab because he was Hashmi and the best Ajami because he was Iranian." (Kitab us Shaafi – Vol. I)
এই ইমাম হুসেইন এবং শেহেরবানু হচ্ছে তথাকথিত ইমাম মেহেদীর পূর্ব পুরুষ। কিন্তু শিয়াদের বানানো এই গল্প পড়ে এটা বানানো একটা গল্প কারনঃ

১। কোরআন অনুযায়ী যুদ্ধবন্দীদের কে হয় দয়া করে অথবা বিনিময়ের মাধ্যমে ছেড়ে দিতে হবে। দ্বিতীয় কোন অপশন নাই (৪৭:৪)। হযরত উমর এবং হযরত আলী অবশ্যয় এটা জানতেন। যার ফলে খোলা বাজারে বিক্রি করে দেওয়া বা কারো কাছে বিক্রি করে দেবার প্রশ্নই আসে না।

২। যখন হযরত সাদ মাদিয়ান দখল করেন, ততক্ষণে মাদিয়ান খালি হয়ে গেছে এবং সম্রাট ইয়াজদগার্ড তার পরিবার সহ পালিয়েছেন। এই জন্য ঐসময়ে তার মেয়েদেরকে বন্দী করার কোন প্রশ্ন আসেনা। তার মেয়েদেরকে একমাত্র তখনই বন্দী করার প্রশ্ন আসে যখন তাকে গুপ্তহত্যা করা হয়, কিন্তু সেই সময়টা হচ্ছে ৩০ হিজরি, যা হযরত উসমানের শাসনকাল, হযরত উমরের নয়।

৩। হযরত ইমাম হুসেইনের জন্ম ৫ হিজরি এবং মাদিয়ান দখল হয় ১৬ হিজরি, এর অর্থ হযরত ইমাম হুসেইনের ১১ বছরের সময়। এই ১১ বছরে উনি বিয়ে করেছেন এই কথাটা খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। (হলেও হতে পারে, তবে আমিই ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করিনা)

৪। সম্রাট ইয়াজদগার্ড সিংহাসন আরোহণ করেন ১৩ হিজরিতে (প্রায় একই সময়ে হযরত উমর দ্বিতীয় খলিফা হিসাবে নিযুক্ত হন) যখন তার বয়স ছিল ১৮। মাদিয়ান দখল হয় ১৬ হিজরিতে, যখন তার বয়স ২১। এখন এই ২১ বছর বয়সে কিভাবে তার তিনটা বিবাহযোগ্য মেয়ে থাকে তা কোনভাবেই বোধগম্য না।

উপরোক্ত কারনে আমাদের বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারন আছে যে এই শেহের বানুর (যার অস্থিত্ব সন্দেহজনক) সাথে হযরত ইমাম হুসেইনের বিবাহের গল্প বানানো (এই গল্প বানানোর পিছনে একটা বিশাল ষড়যন্ত্র মুলক উদ্দেশ্য আছে, যা এখানে আমার লিখার বিষয় না )।
সুতরাং যদি এই গল্প বানানো হয় তবে ইমাম মেহেদীর অস্তিত্বও বানানো কারন এই দুইজনই (ইমাম হুসেইন এবং শেহেরবানু) হচ্ছে ইমাম মেহেদীর বংশ তালিকার প্রথমদিকেই (হযরত আলীর পরে) তাদের স্থান, যাকে বলে গোঁড়ায় গলদ।

ইমাম মেহেদী এবং শিয়া গ্রন্থঃ
এইখানে আমরা যে কথাগুলি বর্ণনা করব তার সবকিছুই আহসানুল মাকাল (যা শিয়াদের খুবই উচ্চ সম্মানিত গ্রন্থ ) থেকে নেওয়া। এই গ্রন্থের কথাগুলি পড়ার সময় দয়া করে নিজের মাথাটাকে একটু ব্যবহার করবেন। একটা বিষয় আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই যে আমি এখানে কাউকে, বা কোন দল কে ছোট করার উদ্দেশ্যে এই কথা গুলি বর্ণনা করছিনা। আমি শুধু এই বর্ণনার সাথে ইমাম মেহেদীর যোগসূত্র গুলি দেখাবার চেষ্টা করব। তার পরেও যদি কেউ ব্যক্তিগতভাবে আঘাত পান, তবে আমি আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

এই নাটকীয় ঘটনা ঘটে ৮৭৩ সালে (নবম শতাব্দী), নবীর মৃত্যুর ২৪১ বছর পরে, এবং হযরত আলীর ২১২ বছর পরে।

১। আমি লেডি মালেকা- রোম সম্রাট কাইজারের পুত্রের কন্যা। আমার মায়ের নাম শামুন (Shamoun)- যে ঈসার বংশধর। কিছু সময় আগে নবী মুহাম্মদ আমার প্রপিতামহ ঈসার সাথে দেখা করেছিল এবং আমাকে (মালেকা) তার ছেলে হাসান আকসারির ( মৃত ৮৭৪ সাল) সাথে বিবাহ দিতে অনুরুধ করেন। (এই হাসান আকসারি হচ্ছে শিয়াদের “আসনা আসিরিয়া” বা ১২ ইমাম দলের ১১তম ইমাম )। ঈসা রাজী হন। নবী মুহাম্মদ বিবাহের অনুষ্ঠানের খুতবা পড়েন (নবীর মৃত্যুর ২৪১ বছর পরে)। নবীর কন্যা ফাতেমা (মৃত ৬৩২ সালে) একদিন এসে আমাকে জড়িয়ে ধরল এবং আমাকে তার পুত্রবধূ হিসাবে গ্রহণ করলেন। এর পর এমন কোন রাত পার হয়নি যে রাতে আমরা আমাদের ভালবাসার মধু পান করিনি।

২। আমি লেডি মালেকা,আমাকে নার্গিস ও বলা হয়। আমি রোম সম্রাটের কন্যা। কিছুদিন আগে আলী (মুহাম্মদের জামাতা) আমার কাছে এসেছিল (হযরত আলীর মৃত্যুর ২১২ বছর পর) । সে আমাকে বলেছিল “নার্গিস তোমার জন্য পুত্র সন্তানের সুখবর যে পূর্ব এবং পশ্চিমের রাজা হবে। এইখবর আগুনের মত সবদিকে ছড়িয়ে পড়ল যে হাসান হাসান আকসারির স্ত্রী এই সময়ের নেতার (ইমাম মেহেদী) মা হতে যাচ্ছেন।

৩।একদিন হাসান আকসারি বলল যে আজকে মেহদীর জন্ম হবে। ঐ পরিবারের একজন স্ত্রীলোক বলল নার্গিসের গর্ভ ধারনের কোন নিদর্শন/ চিহ্ন নাই। তখন আলী এসে বলল “আমরা সাধুরা এবং নবীরা মায়েদের উরুতে (thigh) জন্ম গ্রহণ করি, সেইজন্য আমরা নিষ্কলুষ” ইমাম হাসান ও (মৃত ৬৭০ সাল) আসলেন । যারা ঐসময় উপস্থিত ছিলেন তারা নার্গিসের মধ্যে একটি জমকাল দীপ্তি দেখতে পেলেন। হাসান যুগের নেতার (Master of Times) জন্ম হওয়া দেখল, জন্মের পর থেকেই ইমাম মেহেদী কাবার দিকে সেজদাবনত অবস্থায় ছিল। নতুন জন্ম নেওয়া এই শিশু আকাশের দিকে তর্জনী উঠিয়ে রেখেছিল এবং কালেমা পাঠ করছিল। কুমারী মরিয়ম (হযরত ঈসার মাতা) হাজার হুর নিয়ে উপস্থিত হলেন। উপস্থিত সবাই দেখল ইমাম মেহেদীর ইতিমধ্যে খৎনা করা আছে। সবাই সকল ইমামদের জন্য আল্লাহর কাছে আশীর্বাদ চাইল। চারদিকে আলোকজ্জল হয়ে উঠল। সাদা পাখিরা চারদিকে ভিড় করল। হযরত আলী একটি পাখিকে এই শিশুটিকে(ইমাম মেহেদী) নিয়ে যেতে বলল এবং ৪০ দিন পরে আবার নিয়ে আসতে বলল।

দয়া করে মনে রাখুন এই নাটকীয় ঘটনার সময়কাল ৮৭৩ সালে (নবম শতাব্দী), নবীর মৃত্যুর ২৪১ বছর পরে, এবং হযরত আলীর ২১২ মৃত্যুর বছর পরে।

পৌরাণিক কাহিনী এমনই মজার। কাহিনী এখানেই শেষ না, আরও আছে।
৪। চল্লিশ দিন পরে পাখিটি যখন শিশুটিকে ফিরিয়ে আনল তখন শিশুটির বয়স দুই বছর। তারপর পাখিটি শিশুটিকে আবার নিয়ে গেল এবং আবার ৪০ দিন পরে ফিরিয়ে নিয়ে আসল। এইসময়ে শিশুটি (ইমাম মেহেদী) পূর্ণ বয়স্ক হয়ে গেল। (আমরা জানিনা চল্লিশ দিনে কিভাবে একটি শিশুর বয়স দুই বছর হয়, আর ৮০ দিনের মাথায় কিভাবে একটি শিশু প্রাপ্ত বয়স্ক/ পূর্ণ বয়স্ক হয়। পাখিটা তাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছিল আমরা সেটাও জানি না)।

৫। ইমাম মেহেদী পাচ বছর বয়সে, তার বাবা হাসান আকসারির মৃত্যুর দশদিন আগে সামারা বা সামারন রাই নামক একটি গুহায় অদৃশ্য হয়ে যায়। সেই সময় সে সাথে করে নিয়ে যায় সম্পূর্ণ কোরআন যা ৪০ পারা (৩০ পারা নয়) যার আয়াত সংখ্যা ১৭০০০ (৬২০০+ না)। সে আরও সাথে করে নিয়ে গেছে সমস্ত নবীদের (আদম থেকে শুরু করে মুহাম্মদ পর্যন্ত) গ্রন্থ, আলী এবং ফাতেমার বই, জাফরের বিজ্ঞান, সমস্ত নবীদের মুযেযা, মুসার লাঠি, আদমের শার্ট, সুলাইমানের আংটি ইত্যাদি।

৬। সে কেয়ামতের আগে ঐ গুহা থেক বের হবে। বের হওয়ার পর সে আবুবকর, উমর, এবং উসমান কে কবর থেকে জীবিত করে বের করবে এবং তাদের কে হাজার বার শাস্তি দিয়ে মারবে এবং আবার জীবিত করবে। সে নবীর স্ত্রী আয়েশাকে ( নবীর স্ত্রীদেরকে কোরআনে “বিশ্বাসীদের মা” বলা হয়েছে) জিবীত করবে এবং ব্যভিচারের জন্য শাস্তি প্রদান করবে (হাব্লুল্লাহ, নং ৬)

৭। প্রথমে তার হাতে বায়াত গ্রহণ করবে নবী মুহাম্মদ। (বাশির দারাজাত)

৮। মেহেদী মানুষকে কবর থেকে জীবিত করবে এবং ইচ্ছা অনুযায়ী স্বর্গে বা নরকে প্রেরন করবে। (মিরাতুল আনোয়ার)

৯। ইমাম মেহেদী তার সাথে আসল কোরআন নিয়ে আসবে ইয়াজুজ মাজুজ দের সাথে লড়াই করবে

১০। সে সাথে করে নতুন বই এবং নতুন বিশ্বাস নিয়ে আসবে

এই হচ্ছে শিয়াদের ইমাম মেহেদীর কাহিনী। কোন সাধারণ মানুষ যার নুন্যতম বিচার, বুদ্ধি, বিবেচনা আছে,সে এই শতাব্দীতে এই সব গল্প বিশ্বাস করবে না। আমি এখানে ইমাম মেহেদী নামক তথাকথিত ব্যক্তির গল্পের উৎপত্তির ইতিহাস, শিয়াদের গ্রন্থে এই সম্পর্কে কি লেখা আছে তা বলেছি। ঐতিহাসিক গল্পের সমস্যা কোথায় তাও বলেছি। আর শিয়াদের বই থেকে যা বলেছি তার অসংগতি কি তা পাঠকই নিজে বিবেচনা করুক। এইখানে একটা কথা চাই, এই ১১তম শিয়া ইমাম হাসান আকসারি সম্পর্কে কাজী মুহাম্মদ আলী তার “শামা-ই- হাকিকত” নামক বইয়ে বলেছেনঃ

“এই বিষয়ে খুব শক্ত এবং প্রমানযোগ্য ঐতিহাসিক দলীল আছে যে ,হাসান আকসারি ( ইমাম মেহেদীর বাবা) তার ছোটবেলাতেই মৃত্যু বরন করেন। তিনি কোন সন্তান রেখে যাননি। তার মৃত্যুর পরে তার ভাই জাফর-বিন-নাকী আইন অনুসারে তার সমস্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হন”।

উপরের যেসব প্রমান দেওয়া হয়েছে তার পরও যারা বিশ্বাস করেন ইমাম মেহেদী নামক একজন আসবেন, তাদের প্রতি আমার কিছুই বলার নাই।

ইমাম মেহেদী এবং সূন্নী গ্রন্থঃ
এই ইমাম মেহেদী ধরনা প্রথমে তৈরী হয় শিয়াদের মাধ্যমে। এই ধারণা তৈরী করার পিছনে ঐতিহাসিক কারণও রয়েছে। আমার বিষয় সেইটা না। সুতরাং আমি সেদিকে যাবনা। সুন্নীরা শিয়াদের এই ধরনা পরে গ্রহণ করে এবং নিজেদের মত করে হাদিস তৈরী করে। সুন্নীদের এই সংক্রান্ত হাদিস গুলি দেখতে Click This Link –এই লিঙ্কে দেখতে পারেন।( লিঙ্ক দিলাম এই কারনে যে সবগুলি হাদিস এইখানে লেখা সম্ভব না।) সুন্নীদের এই হাদিস গুলিকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে ঃ

১। বিভিন্ন জায়গায় ইমাম মেহেদী অথবা ঐ ধরনের কোন ব্যক্তি অথবা কোন ন্যায়পরায়ণ খলিফার ভবিষ্যৎবাণী করা আছে। স্বভাবিক ভাবে যদি আমরা কোরআনের আলোকে এইসব হাদিস বিশ্লেষণ করি তবে আমরা কোরআনের আলোকে ঐ সকল হাদিসের কিন ভিত্তি নেই। আল্লাহ কোরআনে বলেছেন যে অদৃশ্য, ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ্‌রই আছে। নবীর ভবিষ্যৎ বলার কোন ক্ষমতা নাই।
কোরআনের ৩:৪৪,৩:১৭৯, ৫:১০৯, ৬:৫০, ৭:১৮৮, ১০:২০, ১১:৩১, ১১:৪৯,১২:১০২, ১৮:১১০, ৩০:২, ৭২:২৬-২৮ আয়াতগুলিতে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া আছে যে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ্‌রই আছে এবং নবীর নিজের থেকে ভবিষ্যৎ বলার কোন ক্ষমতা নাই। কোরআনের এই সঙ্ক্রান্ত সবগুলি আয়াতের রেফারেন্স দিয়ে দিলাম যাতে পাঠক নিজেই দেখে নিতে পারে। (সবগুলি আয়াত এখানে বর্ণনা করা সম্ভব না) যেমন উদাহরণ সরূপ কোরআনে বলা আছেঃ

"আপনি বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে। তাছাড়া আমি অদৃশ্য বিষয় অবগতও নই। আমি এমন বলি না যে, আমি ফেরেশতা। আমি তো শুধু ঐ ওহীর অনুসরণ করি, যা আমার কাছে আসে। আপনি বলে দিনঃ অন্ধ ও চক্ষুমান কি সমান হতে পারে? তোমরা কি চিন্তা কর না" ? (৬:৫০)

সুতরাং কোরআন অনুযায়ী এই ধরেনর হাদিসের কোন সত্যতা নেই। এইধরনের হাদিসকে বিশ্বাস করলে কোরআনের আয়াতকে আস্বীকার করা হয়। যারা কোরআনের আয়াত বিশ্বাস করেন তাদের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট। আর যারা কোরআনের বিপরীতে শুধু হাদিস বিশ্বাস করেন তাদের জন্যঃ

“আয়েশা (রাঃ) বলেছেনঃ যারা বলেছেন মুহাম্মদ তার প্রভুকে দেখেছে তারা মিথ্যাবাদী কারন আল্লাহ বলেছেন “দৃষ্টিসমূহ তাঁকে পেতে পারে না, অবশ্য তিনি দৃষ্টিসমূহকে পেতে পারেন…।“ (৬:১০৩) এবং যদি কেউ বলে মুহাম্মদ অদৃশ্য/ভবিস্যত দেখেছে তাহলেও সে মিথ্যাবাদী কারন আল্লাহ বলেছেন আল্লাহ ছাড়া অদৃশ্যের জ্ঞান কারো কাছে নেই” (বুখারি, ভলিউম ৯, বই ৯৩, হাদিস ৪৭৭)

২।সুন্নীদের মধ্যে এই সংক্রান্ত যত হাদিস আছে তার বেশিরভাগই “জীরাহ” (criticism) রয়েছে। মুতাওয়াত্তির হাদিসে (যে হাদিস একসাথে অনেকেই বর্ণনা করেছেন) মেহেদী নামক কারো নাম পাওয়া যায়না। শুধু বলা আছে একজন ন্যায়পরায়ণ খলিফার আগমন ঘটবে, কিন্তু ঐ ন্যায়পরায়ণ খলিফা মেহেদী কি না সেই বিষয়ে কিছু বলা নেই।

৩। এইসব হাদিস যেমন কোরআনের বিপরীত তেমনি পরস্পর বিরোধী। যেহেতু সব গুলি হাদিস নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব নয়, আমরা “সুনানে আবু দাউদের কিতাবুল মেহেদী অধ্যায়ের কিছু হাদিস দেখব এবং এই ক্ষেত্রে কোরআনের একটি আয়াত (৪:৮২) কে আমরা মাপকাঠি (“ফোরকান”- সত্য মিথ্যা নির্ণয়কারী) হিসাবে ব্যবহার করব। আল্লাহ বলেছেনঃ

"এরা কি লক্ষ্য করে না কোরআনের প্রতি? পক্ষান্তরে এটা যদি আল্লাহ ব্যতীত অপর কারও পক্ষ থেকে হত, তবে এতো অবশ্যই বহু বৈপরিত্য দেখতে পেত"।(৪:৮২)


১। নবী বলেছেন আমার বংশ থেকে একজনের আবির্ভাব হবে যার নাম হবে মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ
২। তার নাম হবে মেহেদী ( মুহাম্মদ না)
৩। তার নাম হবে হারিস (মুহাম্মদ ও না মেহেদী ও না)

মুসলিমে বলা হয়েছে একজন “ মুসলিম কমান্ডার” বুখারীতে বলা হয়েছে একজন ইমাম। দুটা অর্থ এক ধরে নিলেও সে কি মুহাম্মদ, মেহেদী নাকি হারিস এটা বলা মুশকিল। সুতরাং আমরা ৪:৮২ অনুযায়ী এই ব্যপারে অনেক বৈপরিত্য দেখতে পাই। সুতরাং এইসব হাদিস একসাথে পড়লে বুঝা যাবে কোরআন অনুযায়ী এইগুলির কোন সত্যতা নেই,এবং আমাদের নবী কখনওই এই ধরেনর কথা বলেননি। এইসব কথা গুলি আমাদের নবীর নামে বানানো হয়েছে এবং নবীর নামে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিয়া প্রভাব এখানে লক্ষ্যনীয়। এটা শিয়াদের ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু না।

Reference:
1. Al Quran
2. The Eclipse of Islam-by G.A Parvez
3. Karbala- Fact or Fiction-by Shabbir Ahmed, MD
4. Tahfimul Quran-by Moududi
5. Different hadith books (Abu Daud, Muslim, Bukhari)
6. Ahsanul Makal
7. Different website on Shia and Sunni sects



মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৪

নতুন বলেছেন: এই পযন্ত অনেক মানুষই নিজেকে মেহেদী দাবী করেছে এবং তাদের অনেক অনুসারীও আছে।

আগে হয়তো মানুষ আশা করতো যে কোন সুপারম্যান আসবে এবং পরিবত`ন আনবে।

কিন্তু এখনকার পারমানবিক ক্ষমতাধরদের সাথে আরব বিশ্ব থেকে মেহেদীর বিশ্বজয় দিন দিন পুরাই কল্পনার মতন মনে হবে।

আবার আমাদের দেশের কিছু পীরের অনুসারীরাও কিন্তু তাদের পীরকে মেহেদী বলে মনে করে। :)

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫

হানিফঢাকা বলেছেন: এর মূল কারন হচ্ছে এই সব হাদিস যা নবীর নামে বানানো হয়েছে। মুলত শিয়া বিশ্বাসটাই সবাই গ্রহণ করেছে। সবগুলি হাদিস এবং এই সংক্রান্ত যতগুলি লেখা পাওয়া যায় তা একসাথে করে পড়লেই যে কোন মানুষ বুঝতে পারবে।

২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০৫

মোঃ ইমরান কবির রুপম বলেছেন: কিছুই বলার নাই।দেখেশুনে পদ চলতে হবে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ। যে কাহিনীগুলি শুনবেন তা একটু যাচাই করে নিবেন। তাহলেই ভুল হবার সম্ভাবনা কম।

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: অনেক কিছু জানা গেল

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: তথ্যপূর্ণ ও যুক্তিসম্মত পোস্ট!ক্ষ

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২২

প্রামানিক বলেছেন: অনেক তথ্যমূলক পোষ্ট। ধন্যবাদ হানিফ ভা্ই।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৮

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। আমি কিন্তু আপনার সব লেখা পড়ি, মন্তব্য করা হয়ে উঠেনা। ভাল থাকবেন।

৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৩

মোহাম্মদ জামিল বলেছেন: ধন্যবাদ হানিফ ভাই, চমতকার আর একটা পোষ্ট এর জন্য। সত্যি কথা বলতে কি-- এই সব ধ্যান ধারনার পিছনে সবচেয়ে বড় কারন- সাধারন মানুষ কোরান পড়া থেকে অনেক দুরে সরে গেছে। আমরা কত সময় উপন্যাস, পত্রিকা, ফেসবুক নষ্ট করি। কোরাআন পড়ার ইচ্ছা আমাদের জাগে না। অথচ কত সত্য এ কোরাআন এর মাঝে লুকিয়ে আছে। আল্লাহ সবাইকে কোরাআন বাংলায় পড়ার তৌওফিক দেন।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০০

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৩

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: কাল রাতেই পড়েছিলাম। আমি নিজেও ইমাম মেহেদির এইসব কাহিনী বিশ্বাস করিনা। রুপকথার গল্প মনে হয়। দুনিয়া দাজ্জাল, ইয়াজুজ মাজুজ এমন রাক্ষস খোক্কস টাইপের কিছুর আগমন হবে, তাও আবার প্রযুক্তির এই উতকর্ষের দিন পার হইয়া, এইসব গোমুর্খ আর অন্ধ মানুষ ছাড়া কেউ বিশ্বাস করবার কথা না।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০২

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ইয়াজুজ মাজুজ কোরআনে আছে এইটা জানি, তবে এই নিয়ে আমার জ্ঞান খুব সামান্য। যদি এই ব্যপারে কখনো কোন সমাধানে আসতে পারি, তবে হয়ত এইটা নিয়ে লেখব।

ভাল থাকবেন।

৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:১০

চাঁন মিঞা সরদার বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম। আগে জানতাম ইমাম মেহেদি আসবেন কিন্তু এতো কাল্পনিক গল্প জানা ছিলো না। শিয়াদের ঈমান ও আকিদা নিয়েও অনেক সমস্যা আছে যা আপনার লেখায় উঠে এসেছে( যদি সেগুলো সত্যি তারা বিশ্বাস করে)।
যথেষ্ট পরিশ্রমসাধ্য ও তথ্যবহুল পোষ্ট।
++ এবং প্রিয়তে।

৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭

জুবায়ের আহসান বলেছেন: আপনি এ বিষয়ে আরো জ্ঞান অর্জন করুন।কোরান ও হাদীসের মূলনীতি সম্পর্কে আপনার নূন্যত্ম জ্ঞানটা থাকা উচিত। তারপর আপনি এসব বিশ্লেষণ করতে পারেন।
শিয়াদের কিতাবাদি পড়ে আপনি অনেক বিগড়ে গেছেন। আপনার লেখাটাকেই পৌরাণিক কাহিনী মনে হচ্ছে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১০

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনার কথ বুঝতে পারিনি। দয়া করে বুঝিয়ে বলেন।

১০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১১

রাতুলবিডি৫ বলেছেন: জনাব , আমি মাদ্রাসায় দাওয়া হাদীস পড়া একজন মৌলানা । আপনার লেখা পড়ে আপনাকে কাদিয়ানী মনে হল । কিছু বিষয় জানতে চাইছি :

১। আপনি কি কাদিয়ানী ?
২। বুখারী মুসলিম সহ হাদীসের কিতাব গুলো কি অদরকারী ? কোরাণ বিরোধী ?( যেহেতু কোটাণেই দোকারী কথা বলা আছে )
৩। আপনি পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন ? কিভাবে পড়েন ? ফজর -যোহর আছর - মাগরিব এশা ( ২৪৪৩৪ ) ফরমেটে ?
নাকি কুরাণ অনুসরণ করে পড়েন ? আমরা তো এমন এক পদ্ধতিতে পড়ি যেটা কোরাণে বলা নেই , আপনার দাবী মত অদরকারী !
৪। গু খাওয়া কি হারাম ? গু-মুত হারাম এটা কি কোরাণে বলা আছে ? দুনিয়ায় অনেক আগ্রহ করে পেশাব খায় , বীর্য ইত্যাদীও খায় , এ বিষয়ে আপনি কি বলেন ? মানে আল্লাহ যা হারাম করেন নি , সেটাকে হারাম বলা কি আপনি বৈধ মনে করেন ?

সরাসরি উত্তর দিবেন প্লীজ । ( কুরান অনলি আর কাদিয়ানী দুইটাই পিসলাইতে ওস্তাদ)

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৩

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি বলেছেন "আমি মাদ্রাসায় দাওয়া হাদীস পড়া একজন মৌলানা "- এই মৌলানা শব্দটার অর্থ কি আপনি নিশ্চয় জানেন। আপনি নিজেকে কিভাবে মৌলানা বলেন? এইটার কোন ব্যাখা আপনার কাছে আছে কি? আপনি কোরআন পড়েন নাই?নাকি শুধু হাদীস পড়েছেন?

আপনার প্রশ্নের উত্তরঃ
১। আমি আপনাদের তৈরী কোন দলের অন্তর্ভুক্ত না। আমি নিজেকে মুসলিম হিসাবেই মনে করি এবং পরিচয় দেই। আমার একটা বিষয়ে জানার খুব আগ্রহ হচ্ছে যে আমার কোন লেখা পড়ে অথবা কোন উক্তির প্রেক্ষিতে আপনি আমাকে কাদিয়ানী মনে করছেন একটু জানাবেন কি?
২। হাদীস সংক্রান্ত বিষয়ে আমার অবস্থান পরিষ্কার। যদি কোন হাদিস কোরআনের সাথে কনফ্লিক্ট করে, তবে ঐ হাদীস আমি মানিনা। অনেক ক্ষেত্রে হাদিস তার নিজের সাথে এবং কোরআনের সাথেও কনফ্লিক্ট করে। আল্লাহ কোরআন ছাড়া কোন হাদিস অনুমোদন করেন নাই। এই সংক্রান্ত আমার ব্লগে লেখা আছে, আপনি দয়া করে পড়ে নিতে পারেন।
৩। আমি নামাজ পড়ি। কোরআনে কোথাও যেমন ৫ ওয়াক্ত নামায পড়ার বাধ্যবাধকতা নেই, তেমনি কোন নিষেধও করে নাই। তাই আপনি ৫ ওয়াক্ত কেন প্রতিদিন ১০ ওয়াক্ত করেও নামায পড়তে পারেন। আমার নিজস্ব মতামত অনুযায়ী এতে কোন সমস্যা নেই। আমি আপনার মত মাদ্রাসায় পড়া আলেম (মৌলানা শব্দটা ব্যবহার করলাম না) না। এটা আমার নিজস্ব মতামত। আপনি যদি কোরআন থেকে বাধ্যবাধকতা দেখাতে পারেন, আমি মেনে নিব।
৪। কোরআনে কোথাও গু-মুত খাওয়া হালাল এই ধরনের কথা আমি পাইনি। তবে হারামের যে আয়াত এসেছে সেখানে "good and pure" কথাটাও বলে দিয়েছে। এই অনুযায়ী গু-মুত হারাম। তবে হাদিসে আছে রোগের চিকিৎসা হিসাবে ঊটের মুত খাওয়া যায়। আপনার অসুখ হলে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

১১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৮

নাজিব হোসেন আকাশ বলেছেন: ইমাম মাহদী সম্পর্কে কোনো পৌরাণিক কাহিনীতে আমরা বিশ্বাসী নই।
আমরা শুধু কুরআনের অনুসরন করি এবং কুরআনের লঙঘন করে এমন কোনো হাদিসে আমরা বিশ্বাসী না।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১০

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

১২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১২

নাজিব হোসেন আকাশ বলেছেন: ফেসবুকে আমার পেজ "বিমূর্ত সত্য" তে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা আছে

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৪

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: মুসলমানদের দুই দল শিয়া এবং সুন্নীদের সম্পর্কে জানতে চাই!!! এই সম্পর্কে কি কোরানে কোথাও বলা হয়েছে?

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

হানিফঢাকা বলেছেন: কোরআনে শিয়া সূন্নী বলে কোন কথা নাই। এই টাইটেল মানুষের বানানো। মুসলমানদের মধ্যে যত দল দেখবেন, যত বাহারি নাম দেখবেন সব মানুষের বানানো। কোরআনে আল্লাহ কঠিন ভাবে মুসলমানদের দলে বিভক্ত হতে নিষেধ করেছেন, আর এখন এই দলবাজি মানুষের গর্বের বিষয়। একদল আরেক দলকে কাফের বলে। সব দলেই বড় বড় আলেম, স্কলার, পিএইচডি হোল্ডার সব আছে। সবাই হাদিস দ্বারা বিভক্ত, এই জন্য দেখবেন সব হুজুর খালি বেশিরভাগ হাদিসের রেফারেন্স দেয়।

শিয়া সুন্নীদের ইতিহাস সম্পর্কে আমার কিছু পড়ালেখা আছে (এটা আমার একটা অভ্যাস, কোন একাডেমিক পড়ালেখা না)। প্রাথমিক দিকে এই বিভক্তির মূল কারন শুধুমাত্র রাজনৈতিক । কিন্তু পরে এই রাজনৈতিক বিভক্তি প্রকট হলে এবং এর সাথে পার্সিয়ান প্রভাবের কারনে এটা ধর্মীয় বিভক্তিতে রুপ নেয়।

একবার চিন্তা করেছিলাম এই নিয়ে লিখব। সময়সাপেক্ষ ব্যপার, কিন্তু মূল সমস্যা হচ্ছে ব্যক্তিগত আক্রমণ। লেখা কারো বিপক্ষে গেলেই সমস্যা। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

১৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৮

রাতুলবিডি৫ বলেছেন: আর আপনের ধর্মে ৫ ওয়াক্ত নামাজের বাধ্যবাধকতা নেই =p~ =p~
চমৎকার আপনার ধর্ম , তা আমরা যারা শত কোটি মুসলমান ৫ ওয়াক্ত নামাজ বাধ্যতামূলক মনে করি , তাদের ধর্ম আর আপনার টা আলাদা , তাই না ?

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৭

হানিফঢাকা বলেছেন: আমার ধর্মে যেমন দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজের বাধ্যবাধকতা নেই তেমনি নিষেধ করাও হয়নি। মানুষের বানানো ধর্মের চেয়ে আল্লাহর দেয়া ধর্ম পালন করাই আমি যথাযথ মনে করি, কারন দিন শেষে আমাকে তার কাছেই জবাবদিহি করতে হবে, কোন মানুষের কাছে নয়।

১৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৯

রাতুলবিডি৫ বলেছেন: আর কোরাণ অনলিদের কাছে শুনেছি মদ খাওয়া হালাল ? আপনার কাছেও তাই ? ;)

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৮

হানিফঢাকা বলেছেন: আমি আপনাকে পরিষ্কার ভাবে বলে দিয়েছি যে আমি কোন দলের অন্তর্ভুক্ত নয়। সুতরাং যারা কোরআন অনলি বলে পরিচয় দেয় তাদের কাছে আপনি জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন উহা হালাল নাকি হারাম।

আমি মদ খাই না, এই ব্যপারে কোরআনে নিষেধ আছে (৫:৯০) নিষেধ না থাকলেও হয়ত খেতাম না, কারন পারিবারিক মূল্যবোধ বলে একটা ব্যপার আছে।

আপনার কথায় বিদ্রুপ ভাব প্রকট। আমি নিজের আগ্রহে কোরআন পড়ি। আপনাদের এই ধরনের কথা বার্তা আমি যতই শুনি কোরআনের প্রতি বিশ্বাস আমার আরও বাড়ে, এর কারন এইধরনের প্রশ্ন নতুন নয়। এইসবের উত্তর কোরআনে দেয়া আছে। আমার নিজের থেকে কিছু বলতে হয় না। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৬

নতুন বলেছেন: একটা জিনিস বুঝি না। এই পযন্ত অনেক মানু্ষ নিজেকে মেহেদী দাবি করেছে এবং তাদেরও অনুসারী ছিলৈা।

তাহলে এখন এমন দাবী করার পরে মানুষ বিশ্বাস করে এবং অনুশরন করে....

মানুষ ইতিহাস থেকে কিছুই শেখে না??

https://en.wikipedia.org/wiki/Grand_Mosque_seizure ইমাম মেহেদী কাবা দখল করেছিলো।

কাদেয়ানীরা তাদের নেতা Mirza Ghulam Ahmad কে ইমাম মেহেদী মনে করে।

বত`মানের আমাদের দেশের কিছু পীরের মুরিদরাও তাদের পীরকে মেহেদী বলে মনে করে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪

হানিফঢাকা বলেছেন: ভাই মনে হয় সব দলেরই একজন করে মেহেদী আছে। এইটা একটা মিথ। এর কোন সত্যতা নেই। এইটা কেন মিথ আমি আমার লেখাতেই বলেছি। ধন্যবাদ।

১৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৫

নাজিব হোসেন আকাশ বলেছেন: ইমাম মাহদী নিয়ে আমার মনে কোনো সন্দেহ নাই।
আমি কুরআনের অনুসারী।
হাদিসকেও মূল্যায়ন করি তবে কুরঅানকে বাদ দিয়ে নয়।
কুরআনের কথার বিপরীত হাদিস ফালতু।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৩

হানিফঢাকা বলেছেন: যেহেতু আপনি বলেছেন আপনি কোরআনের অনুসারী, আমি আমার লেখার প্রথমদিকে একটা ক্রাইটেরিয়া দিয়েছি কোরআনের দুইটা আয়াত দিয়ে তা হল" “কোরআনে যা কিছু বলা হয়নি তা আমাদের ধর্ম/দ্বীন এর ব্যপারে গুরুত্তপুর্ন নয় এবং যা কিছু কোরআনের সাথে সাঙ্গর্সিক তা অবশ্যয় বর্জনীয়”।- এখন এই ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী যদি আপনি এই বিষয়টাকে মুল্যায়ন করেন তবে আপনি কি উপসংহারে আসবেন?

১৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০২

নাজিব হোসেন আকাশ বলেছেন: কুরআন মানেন তো?
আচ্ছা তাহলে আমার পরবর্তি পোস্টের জন্য অপেক্ষায় থাকুন।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২২

হানিফঢাকা বলেছেন: প্রথম কথা হচ্ছে আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর দেননি। এর আগেও আপনাকে কয়েকটা স্পেসিফিক প্রশ্ন করেছিলাম, আপনি তার উত্তরও দেন নি। তখনো বলেছিলেন উত্তর গুলি পোস্ট আকারে দিবেন। এর মাঝে আপনি কয়েকটা পোস্টও করেছেন, কিন্তু ঐ গুলির সাথে আমার প্রশ্নের কোন সম্পর্ক নাই। আমি আপনাকে একটা প্রস্তাব দেই, আসেন আমদের মধ্যে আমিমাংসিত ব্যপারগুলি একটা একটা করে শেষ করি। প্রথমে আপনি আমার ঐ পাচটা প্রশ্নের উত্তর দিবেন। আপনার সুবিধার জন্য প্রস্নগুলি আবার দিচ্ছিঃ
১। মির্যা গোলাম আহমদের জন্ম এবং নবুয়াত প্রাপ্তির ঘটনা কি?
২। উনি নিজেকে কি দাবী করেন? নবী, রাসুল, ঈসা, মেহেদী, কৃষ্ণ, অথবা অন্য কোন ইমাম?
৩। উনার নিদর্শন কি?
৪। উনি কোন ভবিষ্যৎবাণী সম্পূর্ণ করেছেন?
৫।উনার শিশ্য/ অনুসারীরা উনার সম্পর্কে কি লিখেছেন?

প্রথমে আমরা ঐটা নিয়ে আলোচনা করব। তারপর আপনি আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন যা এইখানে করা আছে এবং আগেরবারের মত এড়িয়ে গেছেন তার উত্তর দিবেন।
এর পর আপনি যা বলবেন আমি আমার সাধ্যমত জ্ঞান অনুযায়ী উত্তর দিব। বল আপনার কোর্টে

১৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:

যাক, অনেকেই বুঝতে পারছেন যে, এগুলো সময়ের সাথে চালু হয়েছে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫

হানিফঢাকা বলেছেন: বুঝলেও মানতে পারছেনা।

২০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫০

নাজিব হোসেন আকাশ বলেছেন: আপনার প্রশ্নের উত্তরঃ

১। মির্যা গোলাম আহমদের জন্ম এবং নবুয়াত প্রাপ্তির ঘটনা কি?

উত্তর : - মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানি আঃ ১৮৩৫ ইং জন্ম, ১৮৮৯ ইং আল্লাহ্'র পক্ষ হতে ওহী / ইলহাম পেয়ে ইমাম মাহদী দাবী ।

২। উনি নিজেকে কি দাবী করেন? নবী, রাসুল, ঈসা, মেহেদী, কৃষ্ণ, অথবা অন্য কোন ইমাম?

উত্তর: ঊনি নিজেকে উম্মতি নবী, ইমাম মাহদী (আঃ), কলকি অবতার, মসীহা, মসীলে ঈসা (আঃ), সবই দাবী করেন ।

৩। উনার নিদর্শন কি ?

উত্তর: ঊনার নিদর্শন ১৮৮৪ সালের চন্দ ও সূর্য গ্রহণ একই রমজানে, যা সৌরজগতের নিয়মের ব্যতিক্রম ।
মোবাহেলায়, পণ্ডিত লেখরাম, আলেক জানডার ডুই, মৌলভী সানাউললা সহ অনেকের মৃত্যু ।

বড় সত্যতা আপনার সামনে আমরা ২০৭ টি দেশে ২০ কোটির বেশি আহমদী আছি, এ বছর ৫ কোটি ৬৭ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩ শত নতুন ইসলামে প্রবেশ করে ( আহমদী হয়) ।

৪। উনি কোন ভবিষ্যৎবাণী সম্পূর্ণ করেছেন?

উত্তর : উনার সকল ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয়, তিন নং উত্তরে কিছু বলা হয়েছে । বিস্তারিত জানতে হলে সমসাময়িক পত্রিকা ও আমাদের বি পুস্তক পড়তে হবে ।

৫। উনার শিশ্য/ অনুসারীরা উনার সম্পর্কে কি লিখেছেন?

উত্তর : উনার শিষ্য ঊনার প্রশংসায় মশগুল, বরং ঊনার বিরুদ্ধ বাদীরাই ঊনার প্রশংসায় মশগুল ছিল, যদিও মানতে পারেনি।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬

হানিফঢাকা বলেছেন: Click This Link

২১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৪

মাছুম পলাশ বলেছেন: পুরান পাগলে ভাত পায় না আর নতুন পাগলের আমদানী। সবাই নতুন নতুন তত্ত্ব দেওয়া শুরু করেছে। আপনার সামনে ইমাম মেহেদী সম্পর্কে বুখারী-মুসলিমের হাদীস আনলেও আপনি মানবেন না। আসলে এটা একটা মানসিক সমস্যা , সবাই হিট হইতে চায় , নিজেকে ইমাম/মুজাদ্দিদ মনে করে। ভাই আপনার জন্য পরামর্শ গঞ্জিকা একটু কম সেবন কারন গঞ্জিকা স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০০

হানিফঢাকা বলেছেন: পোষ্ট সম্পর্কে কিছু বলার থাকলে বলতে পারেন। সাধ্যমত উত্তর দেওয়ার চেস্টা করব। অযথা আপ্রাস্নগিক কথা বলবেন না। আপনাকে ধন্যবাদ।

২২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪

Ami Abir বলেছেন: আপনার দৃষ্টিভংগির সাথে আমি পুরোপুরি একমিত নই
আপনি খুব সুন্দর যুখতি দিতে পারেন যার দ্বারা সত্যকেও মিথ্যা মনে হয়। আমার মনে হয় আপনি যদি সত্যিই সত্যে বিশ্বাসি হোন তাহলে নিজের মতের উপর অন্যদেরটা প্রাধান্য দেন তাহলে আপনি সঠিক বিষয় খুব সহজেই জানতে পারবেন।

আরেকটা বিষয়, এখানে যারা মন্তব্য করেছেন তাদের সবাইকে সঠিক বিষয় জানার জন্য সঠিক আলেমদের কাছে যেতে বলছি।


হ্যা শুধু আপনি না যে কেউই কুরআনের বিপরীত বিশ্বাস করেনা আর সহিহ হাদিস কখনো কুরআনের বিপড়িত হয়না।

আমি তর্কের খাতিরে কথা গুলি বলিনি, কোন কথা খারাপ লাগলে ক্ষমা করবেন।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩

হানিফঢাকা বলেছেন: ভাই আমি কিছু মনে করিনি। আপনাকে বলছি,

১। প্রথমত, একটা জিনিস হল আপনি যুগ যুগ ধরে শুনে আসছেন। সুতরাং সেই জিনিসটা আপনার ভিতরে বাসা বেধে আছে। আপনি কখনো সেইটার সত্যতা যাচাই করেন নি। যার ফলে যখন আপনার বিশ্বাসের বিপরীত কিছু শুনবেন, তখন আপনি মানতে চাইবেন না। এইটা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এইটা ভাঙ্গা এত সহজ না, আর এইটা আমার উদ্দেশ্যও না। আমি কারো এই ধরনের বিশ্বাসে কোন উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আঘাত করতে চাইনি, আমি যেটা করতে চেয়েছি সেটা হল কোরআনে কি আছে তা বলার চেষ্টা করেছি। এই লেখাটা তাদের জন্য যারা বিশ্বাসকে একপাশে রেখে যুক্তি দিয়ে কথা বলবে এবং বোঝার চেষ্টা করবে। কারন অন্ধবিশ্বাস কোন যুক্তি মানেনা।

২। আপনি বলেছেন "আমার মনে হয় আপনি যদি সত্যিই সত্যে বিশ্বাসি হোন তাহলে নিজের মতের উপর অন্যদেরটা প্রাধান্য দেন তাহলে আপনি সঠিক বিষয় খুব সহজেই জানতে পারবেন"। - আপনার ধারণা মতে এইভাবে সত্য খুঁজে পাওয়া যাবে? আল্লাহর কথার চেয়ে আর বেশি সত্য কি হতে পারে? কোরআন বলে এক কথা আপনি বলেন আরেক কথা, তাহলে কোনটা বিশ্বাস করা উচিত? ধরেন আমার নাম হানিফ, এখন আপনি বললেন, না আমার নাম আবির। এখন আমি আপনার মতকে প্রাধান্য দিলে সত্য প্রতিস্টিত হবে?

৩। আপনি বলেছেন "আরেকটা বিষয়, এখানে যারা মন্তব্য করেছেন তাদের সবাইকে সঠিক বিষয় জানার জন্য সঠিক আলেমদের কাছে যেতে বলছি"। - আমি বলব আগে কোরআন পরে দেখতে তারপর যে কোন আলেমের কথা কোরআনের সাথে মিলিয়ে দেখতে। ভাই আপনাকে একটা প্রশ্ন করি, এই "সঠিক আলেম" কি জিনিস আপনি কি একটু বুঝিয়ে বলবেন। কারন ইসলামে যতগুলি দল আছে সব দলেরই বড় বড় নামকরা আলেম আছে। এবং যে যে মতবাদে বিশ্বাসী সে সেই অনুযায়ী বলবে। এর উদাহরণ কি আপনি দেখেন নাই? নামায নিয়ে এই সঠিক আলেমদের মধ্যে যে মারা মারি কাটা কাটি আপনি কি কোনদিন দেখেছেন? ওয়াজের সময় এক দলের হুজুরেরা আরেক দলের হুজুরদের কি ভাষায় আক্রমণ করে আপনি কোনদিন শুনেছেন? তারা কি নিয়ে মতপার্থক্য করে এবং কোথা থেকে দলীল দেয় তা একটু খেয়াল করে শুনে দেখবেন, তাহলে বুঝতে পারবেন। আমাদের সমাজে এই সঠিক আলেমের প্রচলিত সংজ্ঞা হচ্ছে যে যে মতবাদে বিশ্বাসী, সে মতবাদের আলেমই সঠিক। এইটা আপনে এখন সব জায়গায় দেখতে পাবেন।

৪। আপনি বলেছেন "যে কেউই কুরআনের বিপরীত বিশ্বাস করেনা আর সহিহ হাদিস কখনো কুরআনের বিপড়িত হয়না। "- এইটা আপনি ভুল কথা বলেছেন। আচ্ছা বলেনত সহিহ হাদিস বলতে আপনি কি বুঝেন? আমি হাদিস সহিহ হবার ক্রাইটেরিয়া জানতে চাচ্ছিনা, সেটা আমি জানি। আমি বলতে চাচ্ছি প্রচলিত অর্থে সহিহ বলতে "সিহাহ সিত্তা" বা ৬ টি হাদিস বইকে বুঝায়। আপনি বলেছেন সহিহ হাদিস কোরআনের বিপরীত হয়না। ঐ ৬ টা বইয়ে কোরআনের বিপরীত কি কিছু নাই? নিজে পড়েন আর না পাইলে আমারে জিজ্ঞেস কইরেন।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫

হানিফঢাকা বলেছেন: আরেকটা কথা, আমার লেখার ঠিক কোন জায়গায় আপনি একমত নন তা কিন্তু আপনি বলেননি। দয়া করে একটু বলবেন কি?
ধন্যবাদ।

২৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৫

Ami Abir বলেছেন: আসলে আমি সরাসরি ব্যতিত কথা বলতে পারিনা লিখতে গেলে আমার সমস্যা হয়, আমি মোবাইলে টাইপ করি।

আমি কখনোই অন্ধভক্ত নই এই ক্ষেত্রে আপনার মতই আছি।

হ্যা বর্তমানে আলেমদের মাঝে দলাদলি আছে তবে এসবের বাহিরেও কিছু আলেম আছে।


আর আমার কথা অন্যের মতকে প্রাধান্য দেয়া এটা বলতে আমি যা কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য নয় সেটাকে প্রাধান্য দিতে বলিনি।


সহিহ হাদিস বলতে আমি সিয়া সিত্তাহ বুঝাইনি।

আর আমি নিজেও যুক্তি ছাড়া কিছু বুঝিনা।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩২

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য এবং নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে বলার জন্য।

২৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৪

Ami Abir বলেছেন: ধন্যবান আপনাকেও

২৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৯

গ্রিন জোন বলেছেন: শিয়াদের ভেতরেও মনে হয় অনেক প্রকার বিশ্বাসী রয়েছে। কারণ ইরানের ক্ষমতাসীন শিয়াদের ভেতরে এসব কুসংস্কার দেখা যায় না। আর একটা কথা মাথায় আসে না- বুখারিতেও যদি মিথ্যা হাদিস থাকে তাহলে যাব কই।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০২

হানিফঢাকা বলেছেন: বুখারি- শাশ্বত নয়। সুতরাং তার বইয়ে জাল হাদিসও থাকতে পারে। বুখারিতে অনেক হাদিস আছে যা জাল। একটা দুইটা না অনেক। যেমন আমাদের নবীর সাথে আয়েশা (রাঃ) এর বিয়ের সময় আয়েশা (রাঃ) এর বয়স। এই নিয়ে ব্লগেও লেখা আছে, মেয়েদের বিয়ের বয়স সংক্রান্ত কোরআনের বিধিমালা আছে- নিজে মিলিয়ে দেখতে পারেন।
শুধু বুখারি নয়, সিহাহ সিত্তার ৬ টি গ্রন্থে অজস্র জাল হাদিস আছে। এই নিয়ে আমি মোটামুটি ভালই পড়ালেখা করেছি, কিন্তু কখনো এই বিষয়ে লিখিনি এর একটাই কারন- চাপাতি। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

কোথায় যাবেন? কোরআন পড়েন। আল্লাহর কিতাবের চেয়ে সত্য আর কিছু নাই। শুধু একটা ব্যপার যখন অনুবাদ পড়বেন তখন মিনিমাম ১২-১৫ টা ভিন্ন অনুবাদ পড়বেন এবং সাথে একটা ডিকশনারী রাখবেন। কারন যারা কোরআন অনুবাদ করেছেন তারা প্রত্যেকেই তার দলীয় মতবাদ অনুযায়ী করেছেন। যার ফলে, কিছু ক্ষেত্রে মুল মেসেজের বিকৃতি ঘটেছে। এই সম্পর্কে একটা অতি সাধারন লেখা আমি লিখেছি যা পড়লে হয়ত বুঝতে পারবেন কেন আমি এই কথা বলেছি। আপনি দয়া করে নিচের লিঙ্কটা দেখতে পারেন।
http://www.somewhereinblog.net/blog/hanifdhaka/30073657
ধন্যবাদ।

২৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০২

নতুন বলেছেন: @ নাজিব হোসেন আকাশ ভাই<<

৩। উনার নিদর্শন কি ?
উত্তর: ঊনার নিদর্শন ১৮৮৪ সালের চন্দ ও সূর্য গ্রহণ একই রমজানে, যা সৌরজগতের নিয়মের ব্যতিক্রম ।


কিভাবে ব্যাতিক্রম হইলো???

আর খুইজা তো পাইলাম না যে ১৮৮৪ সালের রমজানে সূয` গ্রহন হইছিলো।

নিচের লিস্টে দেখেন ১৮৮৪ এ ৩টা সূয` গ্রহন হইছিলো<<< রমজান মাস ছিলো..25-Jun থেকে 23-Jul-1884পযন্ত। http://habibur.com/hijri/1301/9/
27 March 1884 06:02:11 108 Partial 0.1436 — 72.0°N 7.7°W — [1]
25 April 1884 14:46:17 146 Partial 0.7563 — 70.7°S 4.6°E — [1]
19 October 1884 00:17:42 151 Partial 0.6385 — 71.5°N 130.2°W — [1]

সেই হিসেবে রমজানে সূয`গ্রহন ছিলো না।

আসেন দেখি চন্দ্র গ্রহন কবে ছিলো<1884 Apr 10 আর 1884 Oct 04 << ১৮৮৪ সালে দুইটা চন্দ্র গ্রহন ছিলো তাও রমজানে ছিলো না।

চন্দ্র গ্রহন/সূয` গ্রহন কবে হবে তার লিস্ট নাসার সাইটে পাবেন। বিশ্বাস না হইলে দেখে নেন।

আর কোন একটা মাসে গ্রহন হইতে পারে তাতে অলৌকিক কিছুই প্রকাশ পায় না।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৬

হানিফঢাকা বলেছেন: ভাই দয়া করে Click This Link লিঙ্কে গিয়ে একটু পড়েন। উনার সব প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়েছে।

২৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।

২৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩০

জিয়াউর রহমান ফয়সাল বলেছেন: ইমাম মাহদী বিশ্বাস করি বা না করি, আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আনুগত্য ভালোবাসা সম্মান ভয় আর আকীদা সবসময় অটল থাকবে। একমাত্র কোরআন আর নিজের বিবেক আগলে ধরে রাখলেই, এই দুই জীবনেই আত্মতৃপ্তি পাবো বলে আশা করি।
আমি সবসময় নিজেকে "Rational" ভিত্তিক ভাবে গড়ে তুলেছি, তাই আমার মনগড়া কোনো কথায় বিশ্বাস হয় না।
কারন মানুষ মাত্রই সুন্দর সুন্দর কৃত্তিম কাহীনি নিজের মনে অজান্তে চিত্রায়িত করে, হতাশা, দুশ্চিন্তা থেকে মানুষের ভিতরে এক কাল্পনীক চরিত্রের জন্ম নেয় যে কিনা আসবে এবং আমাদের উদ্ধার করবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.