নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফানডামেনটাল

;

হানিফঢাকা

So peace is on me the day I was born, the day that I die, and the day that I shall be raised up to life (again) (১৯:৩৩)

হানিফঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন ব্লগারের সাথে আমার ধর্ম অথবা অধর্মীয় আলোচনা

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪

ব্লগার “নাজিব হোসেন আকাশ” নামক একজন ব্লগার ভাই গত ২৮ আগস্ট “ইসলামের জাগরণের পথ ইমামের আনুগত্য” এই শিরোনামে একটা পোস্ট করে।ঐ পোস্টের কমেন্টে আমি উনাকে বেশ কিছু প্রশ্ন করি এবং উত্তর জানতে চাই। আমার প্রশ্নগুলি ছিলঃ

১। মির্যা গোলাম আহমদের জন্ম এবং নবুয়াত প্রাপ্তির ঘটনা কি?
২। উনি নিজেকে কি দাবী করেন? নবী, রাসুল, ঈসা, মেহেদী, কৃষ্ণ, অথবা অন্য কোন ইমাম?
৩। উনার নিদর্শন কি?
৪। উনি কোন ভবিষ্যৎবাণী সম্পূর্ণ করেছেন?
৫।উনার শিশ্য/ অনুসারীরা উনার সম্পর্কে কি লিখেছেন?

এর উত্তরে উনি আমাকে জানান যে উনি আমার প্রশ্নগুলির উত্তর ধারাবাহিক ভাবে পোস্ট আকারে দিবেন। উনি ভুলে যেতে পারেন বিধায় আমি উনাকে মাঝখানে স্মরণ করিয়ে দেই। এর পর যখন কোন উত্তর পাচ্ছিলাম না (খুব সম্ভব উনি ব্যাস্ত ছিলেন) তখন দেখলাম উনি আমার পোস্টে মন্তব্য করছেন। আমি উনাকে আবার আমার প্রস্নগুলি স্মরণ করিয়ে দেবার পর উনি আমাকে আমার পোস্টে এই প্রস্নগুলির উত্তর দেন। উনার দেওয়া উত্তর গুলি আমি নিচে কপি পেস্ট করছি সাথে আমার মন্তব্য লিখেছি

(ধর্ম নিয়ে পড়ালেখা করা আমার অনেক আগের অভ্যাস। এই একটা শখ যা এখনও টিকে আছে। ছোট বেলায় শখ ছিল ডাকটিকেট সংগ্রহ, বিভিন্ন মুদ্রা সংগ্রহ, সেবার কিশোর ক্লাসিক, অনুবাদ এইসব বই পড়া। বই পড়তে গিয়ে ধর্মীয় বিষয় নিয়েও বই পড়েছি। সময়ের সাথে সাথে সব শখই দূর হয়েছে, শুধু বই পড়ার অভ্যাসটা রয়ে গেছে। বিশেষভাবে বললে ধর্মীয় বই পড়ার প্রতি আগ্রহটা রয়ে গেছে। সেই আলোকে আমার এই লেখা। )

কাদিয়ানি সম্পর্কে আমার তাত্বিক ধরানা খুব কম। এর আগে আমি কখনো কাদিয়ানীদের লিখিত কোন বই পড়িনি, মানুষের কাছ থেকে শোনা কথা আর শুধুমাত্র বিভিন্ন ধর্ম সংক্রান্ত বই পড়ার সময় প্রসঙ্গক্রমে যেখানে কাদিয়ানিদের কথা এসেছে ততটুকুই জানতাম। ব্লগে আমার কিছু পোস্টের মন্তব্যে আমি কাদিয়ানি কিনা সেই সম্পর্কে কিছু মন্তব্য পাওয়ার পর আমি বলেছিলাম যে আমার কোন কথাটার প্রেক্ষিতে আমাকে কাদিয়ানি বলে মনে হচ্ছে। এর কোন উত্তর আমি পাইনি। যাই হোক, এই ব্লগার ভাই “নাজিব হোসেন আকাশ” কে প্রশ্ন গুলি করার সময় আমি নিজেও এই প্রস্নগুলির উত্তর খুজার চেষ্টা করি। উনি যখন এই প্রশ্নগুলির উত্তর দিলেন, আমি আমার সীমিত জ্ঞান দিয়ে দেখব যে উনার উত্তর কতটা সঠিক বা যুক্তিযুক্ত।

প্রশ্ন ১ঃ মির্যা গোলাম আহমদের জন্ম এবং নবুয়াত প্রাপ্তির ঘটনা কি?
ব্লগার নাজিব হোসেন আকাশের উত্তরঃ মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানি আঃ ১৮৩৫ ইং জন্ম, ১৮৮৯ ইং আল্লাহ্'র পক্ষ হতে ওহী / ইলহাম পেয়ে ইমাম মাহদী দাবী ।
আমার মন্তব্যঃ
উনার সঠিক জন্মসাল কেউ জানেনা। ধারনা করা হয় উনার জন্মসাল ১৮৩৫-১৮৪০ এর মধ্য। উনার ছেলের গবেষণা অনুযায়ী উনার জন্ম ১৮৩৫ সাল। সুতরাং ধরে নিলাম ১৮৩৫ সালেই উনারা জন্ম। এবার আসি উনার জন্মকাহিনির ব্যপারে। এই ব্যপারে উনি নিজে বলেছেনঃ

“ঈসার রুহ আমার মধ্যে প্রবেশ করানো হয় যেভাবে মরিয়মের গর্ভে প্রবেশ করানো হয়েছিল এবং রূপক অর্থে আমি গর্ভবতী হই। দশ মাসেরও কম সময়ে আমি মরিয়ম থেকে ঈসাতে পরিণত হই, এবং এইভাবেই আমি মরিয়ম পুত্র ঈসা”। (কাশ্তি নুহ)

“বাবু এলাহি আমার menstruation দেখতে চায়, কিন্তু আল্লাহ বলেন তুমার কোন menstruation নাই কারন তোমার ভিতরে ঐ শিশু (ঈসা) রয়েছে”। (হাকিকাতুল ওহী)

সুতরাং দেখা যাচ্ছে উনি প্রথমে ছিল বিবি মরিয়ম, তারপর নিজের থেকে নিজে দশ মাসের কম সময়ে ঈসা হিসাবে জন্ম নেন। কোন ধরনের ব্রেইন ওয়াশ হলে মানুষ এইসব বিশ্বাস করে?

এইবার উনার ওহী প্রাপ্তির বিষয়ে আসিঃ উনি বলেছেন “১৮৮৯ ইং আল্লাহ্'র পক্ষ হতে ওহী / ইলহাম পেয়ে ইমাম মাহদী দাবী “।– এই ইলহাম/কাস্ফ (ওহী কাফি) এর ধরনার উৎপত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত আলাচনা আমি আমার “সুফীবাদ (ইসলামিক মিষ্টিসিজম)” পার্ট ১-৪ এ আলোচনা করেছি। সুতরাং এখানে আবার করতে চাছিনা। যাদের জানার ইচ্ছা তারা আমার ঐ লেখা গুলি দেখতে পারেন।
উনার সাহাবী উনার ওহী প্রাপ্তির অভিজ্ঞতার কথা যেভাবে বলেছেনঃ

The state of divination so engulfed Mirza Ghulam as if he was a woman and Allah was expressing His power of manhood. (Islami Qurbani Tract No.34 Qazi Yad Muhammad Qadiyani) । খাস বাংলা ভাষায় এইটার অনুবাদ করলে দ্বারায় যে উহী প্রাপ্তির সময় উনার মনে হত যে সে একজন নারী এবং আল্লাহ উনার সাথে সেক্স করছেন

“ মার্চ ০৫, ১৯০৫ সালে আমি একজন ফেরেস্তাকে দেখি। তার নাম জিজ্ঞেস করলে সে আমাকে বলে তার নাম “টিকি টিকি” (হাকিকাতুল ওহী)


উনার প্রাপ্ত একটা ওহী নিচে ইংরেজীতে দিলাম যার অর্থ উনি নিজেও জানেনা। এইটা কোন ভাষা তাও একটা প্রশ্ন।

Shaana Naasa Peration Omar Paratoos Yaani Parratoos Yaani Palatoos.



প্রশ্ন ঃ ২। উনি নিজেকে কি দাবী করেন? নবী, রাসুল, ঈসা, মেহেদী, কৃষ্ণ, অথবা অন্য কোন ইমাম?

ব্লগার নাজিব হোসেন আকাশের উত্তর ঃ ঊনি নিজেকে উম্মতি নবী, ইমাম মাহদী (আঃ), কলকি অবতার, মসীহা, মসীলে ঈসা (আঃ), সবই দাবী করেন ।

আমার মন্তব্যঃ
১। ইমাম মাহদীঃ উনি আবার ইমাম মাহদীর পর ব্রাকেটে “(আঃ)” বসিয়েছেন। যাই হোক, এই নামে যে কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই, তা আমি আমার ব্লগে লিখেছি। দয়া করে দেখতে পারেন Click This Link
২। ঈসা (আঃ)ঃ উনি যে মৃত (ক্রুসবিদ্ধ হয়ে নয়, স্বাভাবিক ভাবে) তা আমি আমার ব্লগে প্রমান করে দেখিয়ছি। Click This Link দেখতে পারেন
মির্জা সাহেব বলেছেনঃ আমি আদম, নুহ, দাউদ, মরিয়ম পুত্র ঈসা, আমি মুহাম্মদ (রূহানী খাযাইন)
আপানর কথা অনুযায়ী উনি একের ভিতরে সব। সুপার শপের মত আর কি।

প্রশ্ন ৩ঃ উনার নিদর্শন কি ?


ব্লগার নাজিব হোসেন আকাশের উত্তর ঃ
ঊনার নিদর্শন ১৮৮৪ সালের চন্দ ও সূর্য গ্রহণ একই রমজানে, যা সৌরজগতের নিয়মের ব্যতিক্রম ।মোবাহেলায়, পণ্ডিত লেখরাম, আলেক জানডার ডুই, মৌলভী সানাউললা সহ অনেকের মৃত্যু ।

বড় সত্যতা আপনার সামনে আমরা ২০৭ টি দেশে ২০ কোটির বেশি আহমদী আছি, এ বছর ৫ কোটি ৬৭ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩ শত নতুন ইসলামে প্রবেশ করে (আহমদী হয়)

আমার মন্তব্যঃ
উনার জন্ম যদি ১৮৩৫ সালে হয় এবং উনি ওহী প্রাপ্ত হন ১৮৮৯ সনে, তাহলে ১৮৮৪ সালের “চন্দ ও সূর্য গ্রহণ একই রমজানে, যা সৌরজগতের নিয়মের ব্যতিক্রম” এর সাথে কি সম্পর্ক? (আমি জানিনা ঐ সময়ে এই রক্ম ঘটনা ঘটে থাকলেও কিছু প্রমানিত হয় না)। বরং বলতে পারেন ঐ সময়কালে টমাস আলভা এডিসন বৈদ্যুতিক বাতি আবিস্কার করেন, এইটা একটা নিদর্শন হতে পারে। ফাইযলামির একটা সীমা থাকা উচিত।

আলেক জানডার ডুই কি মোবাহেলায় অংশ নিয়ছিল? আপনার কাছে কি প্রমান আছে যে উনি অংশ নিয়েছিল? আর মোবাহেলা কোন নিদর্শন হতে পারে না। এটা সম্পূর্ণ হাস্যকর।

সংখ্যাধিক্য কোন নিদর্শন না। আপনার জান উচিত নবীদের নিদর্শন থাকে। যেমন মুহাম্মদ (সাঃ) এর নিদর্শন কোরআন। সেই প্রেক্ষিতে আপনার নবীর নিদর্শন কি?

প্রস্নঃ ৪। উনি কোন ভবিষ্যৎবাণী সম্পূর্ণ করেছেন?


ব্লগার নাজিব হোসেন আকাশের উত্তরঃ
উনার সকল ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয়, তিন নং উত্তরে কিছু বলা হয়েছে । বিস্তারিত জানতে হলে সমসাময়িক পত্রিকা ও আমাদের বি পুস্তক পড়তে হবে ।

আমার মন্তব্যঃ
আমি বলতে চাচ্ছিলাম উনি কোন ভবিষ্যৎবাণী পূর্ণ করেছেন, এর অর্থ আপনার কথা অনুযায়ী উনি ঈসা (আঃ), মেহেদী। হাদিস অনুযায়ী এদের সম্পর্কে কিছু ভবিষ্যৎ বানী করা আছে যেমনঃ দ্বাজ্জালের সাথে লড়াই করে দ্বাজ্জাল কে হত্যা করা, ক্রস ভেঙ্গে ফেলা, শুকর হত্যা করা, জিযিয়া তুলে নেওয়া, ইয়াযুয মাযুযদের পরাজিত করা ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি জানতে চাই উনি কোনটা পূর্ণ করেছেন।
“উনার সকল ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয়” এই কথাটা দিয়ে আপনি সমপূর্ণ মিথ্যা কথা বলেছেন। আসেন দেখি উনার ভবিষ্যৎ বানী ঃ

১। “আল্লাহ আমাকে এই সুসংবাদ দিয়েছেন যে আমি ৮০ বছর বা তার বেশি বাচব”।(মুয়াহিবুর রহমান)। উনি কত বছর বেচেছিলেন?
২। মির্যা গোলাম আহমদের ছেলে মির্জা বশিরুদ্দিন মাহমুদ-যে কিনা তার দ্বিতীয় খলিফা হয়েছিল তার “আফযাল” এ ৫ই জানুয়ারী, ১৯৯৩ সালে লিখছিলঃ
“About the revelation to the Promised Messiah (Mirza Ghulam) that he would die in either Makka or Madina, we would say that both are the names of Qadiyan.”

কিন্তু বাস্তব হচ্ছে উনি মক্কা, মদিনা, কাদিয়ান- এই তিন জায়গার কোথাও মৃত্যবরন করেন নাই। উনি মারা গিয়েছেন লাহোরে।

৩। মুহাম্মদী বেগম নামে ১০-১১ বছরের একটি মেয়েকে বিয়ে করার অপ্রাণ চেষ্টা করার পর ব্যর্থ হয়ে উনি বলেছিলেন যে মুহাম্মদী বেগম তার বউ হবে এবং যদি মুহাম্মদী বেগমকে অন্য কারো কাছে বিয়ে দেওয়া হয়, তবে মুহাম্মদী বেগম অচিরেই বিধবা হবে।

এইটাও ত সত্য হয় নাই।

৪। “মিয়া মঞ্জুর মুহাম্মদের একটা ছেলে হবে যার নাম হবে বশিরুদ্দুইল্লা (আল বুশরা, লেখক বাবু মঞ্জুর এলাহি কাদিয়ান)
বাস্তবে হয়েছিল মেয়ে। এইটাও ত সত্য হয় নাই।

প্রস্নঃ৫। উনার শিশ্য/ অনুসারীরা উনার সম্পর্কে কি লিখেছেন?

ব্লগার নাজিব হোসেন আকাশের উত্তর ঃ উনার শিষ্য ঊনার প্রশংসায় মশগুল, বরং ঊনার বিরুদ্ধ বাদীরাই ঊনার প্রশংসায় মশগুল ছিল, যদিও মানতে পারেনি।

আমার মন্তব্যঃ
উনার শিষ্যদের প্রশংসার কিছু নমুনা পেলে ভাল হত, তাহলে কিছু বলতে পারতাম।তবে উনার ছেলে মির্জা বশীরুদ্দিন মাহমুদ, তার “সীরাতুল মাহদী” ভলিউমঃ ২ এ উনার সম্পর্কে বলেছেনঃ “that the Promised Messiah was suffering fromhysteria and “miraq“ (psychosis)”.
উনি নিজের সম্পর্কে বলেছেনঃ
I am a worm my dear, not son of Adam (In) the most stinking, hated spot on the human body And the shame of all people (Durr-e-Sameen Pg 116)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩

উড়োজাহাজ বলেছেন: এদের অদ্ভুত অদ্ভুত ব্যাখ্যা আছে। সব ব্যাক্ষাকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নিজেদের পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ব্যক্তিগতভাবে আমি নাজিব হোসাইন আকাশের সাথে ফেসবুকে দীর্ঘদিন সম্পৃক্ত ছিলাম। পরে এক সময় তার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করতে বাধ্য হই। হ্যাঁ, অনেক কিছুই তাদের সাথে মিলে, কিন্তু মির্জা সাহেবের প্রসংগ এলেই আমার সেটা যুক্তিতে মিলত না। তাই সেগুলো ইগ্নোর করতাম।
আমার মনে হয় অনলাইনে এদের আসার একমাত্র কারণ মতবাদের প্রসার করা ছাড়া আর কিছুই নয়। আমার অভিজ্ঞতা অতি তিক্ত, বিরক্ত। এরা খুব নাছোড়বান্দা। তর্ক করতে ওস্তাত। তর্ক না করলে কিংবা জবাব একটা না দিলে মনে করে তারা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়েছে। তাই তর্ক করেই যায়।
তবুও আমি টলারেট করছিলাম এই ভেবে যে, যে কেউ তার মত প্রকাশ- প্রচার করতে পারে। আমার আপত্তি করা উচিত নয়। কিন্তু তার পোস্ট লাইক না করায়, কমেন্ট না করায় এক সময় আমাকে আনফ্রেন্ড করে।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫০

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ। এরা কিভাবে কি বলতে পারে এবং কিভাবে কোরআন বিকৃত করতে পারে তার একটা নমুনা উনার ব্লগে আছে তা দেখতে পারেন। Click This Link

২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০১

উড়োজাহাজ বলেছেন: আমি তাদের সাথে ক্যাচাল করতে যাই না। কারণ, এদেরকে আমার চেনা হয়ে গেছে। এখন ক্যাচালের অর্থ হচ্ছে শুধু শুধু সময় ব্যয়।

৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫০

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: উড়োজাহাজ বলেছেন: আমি তাদের সাথে ক্যাচাল করতে যাই না। কারণ, এদেরকে আমার চেনা হয়ে গেছে। এখন ক্যাচালের অর্থ হচ্ছে শুধু শুধু সময় ব্যয়।
১০০% সহমত বন্ধুবর
চমৎকার পোষ্ট
অনেক অনেক ধন্যবাদ

৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৬

দার্শনিক বলেছেন: আপনি অনেক বিষয় নিয়েই লিখেছেন। সবগুলোর সদুত্তর আহমদীয়া মুসলিম জামাতের কাছে আছে। তবে এ জামাতের একজন নগন্য সদস্য হিসেবে আমার স্বল্প জ্ঞান কে স্বীকার করে শুধু যে বিষয়গুলো ভালো জানি সে বিষয়ে নিচের কয়েকটি কথা লিখছি। আশা করি ভালো লাগবে।
১। আপনি বলেছেন সংখ্যাধিক্য কোন নিদর্শন না। কিন্তু সংখ্যাধিক্যকে নিদর্শন বলতে হবে এজন্য যে আল্লাহ তা'লা কোরআনে বলেছেন, "আর সে যদি কোন সাধারণ কথাকেও মিথ্যা বানিয়ে আমাদের প্রতি আরোপ করতো তাহলে নিশ্চয় আমরা তাকে ডান হাতে ধরতাম এবং আমরা অবশ্যই তার জীবন শিরা কেটে দিতাম। তখন তোমাদের কেউই আমাদের শাস্তি থেকে তাকে রক্ষা করতে পারতো না।" (সূরা আল্ হাক্কা ৬৯: ৪৫-৪৮)
এই আয়াত মিথ্যা নবী দাবিকারকের উপর আল্লাহর আযাবের মৃত্যুর প্রতি দিকনির্দেশ করে। যদি এমন কোন মিথ্যা দাবিকারক আল্লাহর আযাবের সাথে মৃত্যুবরণ করে, এটা কিভাবে চিন্তা করা যায় তার সম্প্রদায় এরূপ মৃত্যু দেখার পর ১ থেকে ২ হবে, দিন দিন বাড়তে থাকবে এবং ১০০ বছর অতিক্রম করবে এবং ২০ কোটিরও অধিক লোক এই জামাতভুক্ত হবে? এই দৃষ্টিকোণ থেকে সংখ্যাধিক্য সত্য নবী দাবিকারকের প্রমাণ যার জামাতের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট এবং যার জামাতের প্রতি আল্লাহ রহমতবর্ষণকারী।
২। ইমাম মাহদীর দাবিকারকের সত্যাসত্য যাচাইয়ের পূর্বে যাচাইকারীর মধ্যে একটি ইতিবাচক মনোভাব থাকা অপরিহার্য। কারণ, আপনি এমন একজনের সত্যতা বিচার করতে চাচ্ছেন যিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে ইমাম মাহদী ও নবী হওবার দাবীকারক। আমরা যখন কোন কাব্য পরি, প্রথমবার পড়ে সাদামাটা কথা মনে হলেও আরেকটু ভিন্ন দৃষ্টকোণ থেকে চিন্তা করি বিষয়টি। কারণ একজন কবি লিখেছেন লাইনগুলো, সেই কবি আপনার ক্লাসমেট হলেও আমাদের মনোভাব একই থাকে এবং তার প্রথম কবিতা হলেও আমারা বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে পরি। প্রথমবার বোঝা না গেলেও আমরা আরও একবার পড়ি, এই আশায় যে, নিশ্চয়ই এর মধ্যে কোন সুক্ষ্ম দর্শন আছে, যেটা প্রথমে পড়ে বুঝা যায়নি। আমরা যখন কবি-সাহিত্যিকদের উক্তিগুলোকে এত ইতিবাচক ভাবে নেই, তখন একজন নবীর দাবিকারকের উক্তিকে কতটুকু গুরুত্বের সাথে নেয়া উচিত? আপনি ইমাম মাহদী (আ.) এর রূপক বর্ণনাগুলোকে কোন সাধারণ মওলানার কথার মত মনে করলে ঐরকমই সাদামাটা অর্থ বেড় হবে যেরূপ আপনি বেড় করেছেন এবং শেষে প্রশ্ন করেছেন "কোন ধরনের ব্রেইন ওয়াশ হলে মানুষ এইসব বিশ্বাস করে?"

"(স্মরণ কর) যখন ইউসুফ (আ.) তার পিতাকে বলেছিল, 'হে আমার পিতা! নিশ্চয় আমি (স্বপ্নে) এগারটি তারকা এবং সূর্য ও চন্দ্র দেখেছি (এবং) এদেরকে আমি আমার উদ্দেশ্যে সেজদা করতে দেখেছি।" (সূরা ইউসুফ ১২:৬)

এর উত্তরে অবশ্যই ইউসুফ (আ.) এর পিতা পাল্টা প্রশ্ন করেননি, "কোন ধরনের ব্রেইন ওয়াশ হলে মানুষ এইসব বিশ্বাস করে?" অথবা বাচ্চা ভেবে ঝাড়ি দিয়ে বলেননি "ফাযলামির একটা সীমা আছে।" অথবা রম্য করে বলেন টিপ্পনী কাটেননি "(পাঁচ/এগারো তারকা) সুপার সপের মত আরকি।"

এর উত্তরে তিনি কি বলেছিলেন কোরআন থেকে দেখে নিবেন আশা করি। উত্তরটি যদি গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারেন তা হলে আল্লাহর মনোনীত কাউকে যাচাই করার জন্য যাচাইকারীর যে গুণ দরকার ইনশাআল্লাহ আপনার নিকট সেই গুণ প্রকাশিত হয়ে যাবে।

৩। নাজিব হোসেন আকাশ সাহেব সাল লিখতে গিয়ে একটু এদিক ওদিক করে ফেলেছিলেন। যে কারণে চন্দ্র সূর্য গ্রহণ সংক্রান্ত নিদর্শনের তাৎপর্য আপনি ধরতে পারেননি। ১৮৯৪ লিখতে গিয়ে উনি লিখেছেন ১৮৮৪। সঠিক তথ্যটি হচ্ছে, একই রমজান মাসে চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণের নিদর্শনটি পূর্ণ হয় ১৮৯৪ ও ১৮৯৫ সালে। সাল লিখতে গিয়ে তিনি আরেকটি ভুল করেছেন। মির্যা গোলাম আহমদ (আ.) ১৮৮৯ সালে নয়, ১৮৯১ খ্রিষ্টাব্দে মসীহ ও মাহদী হওয়ার দাবী করেছেন। এখন আশা করি চন্দ্র-সূর্য গ্রহণের তাৎপর্য আপনার কাছে স্পষ্ট হয়েছে। অর্থাৎ উনার দাবীর পর আল্লাহর তা'লা তাঁর সত্যতার প্রমাণস্বরূপ সেই প্রতিশ্রুত চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ প্রকাশ করেন। এটা উনার ইমাম মাহদী হওয়ার দাবীর সত্যতার প্রমাণ।

৪। দুররে সামিন একটি কবিতার বই এই বই থেকে দুটি লাইন উদ্বৃত করে আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন কে জানে। তবে এটা পড়েই বুঝা যাচ্ছে এটা খুব বিনয়ের সুরে লিখিত। যেমন: আমাদের কেউ যদি আল্লাহ কে এভাবে ডাকি, "হে আল্লাহ আমি নগন্য, এ জীবনে ইসলামের জন্য কিছুই করতে পারলাম না, অকর্মন্ন মাটির ঢেলা হয়েই জীবন কাটালাম।" এই কথায় কি এটা প্রমাণ করে যে ব্যক্তি নিজের সম্পর্কে এরূপ লিখেছে সে খুবই খারাপ মানুষ? এই কথা শুনে কি কেউ বলতে পারে, "ছি: ছেলেটা নগন্য, মাটির ঢেলা। ছি: ছি: কি ঘেন্না।" কিন্তু আমার মনে হলে আপনি এই লাইন উদ্বৃত করে এরকমই ঘৃণা উদ্রেগকারী কিছু বোঝাতে চেয়েছেন। ভুল হয়ে থাকলে বলবেন।

৫। আপনি মুবাহালা কে নিদর্শন মনে করেন না। মুবাহালা কি জিনিস সেটা বুঝলে আপনি বুঝতেন এটি নিদর্শন কি না। মুবাহালায় দুই পক্ষের দাবি থাকে অভিন্ন - তারা দুজনই সত্যবাদী। তবে যদি সে মিথ্যাবাদী হয়, তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আল্লাহর আযাব তার উপর পতিত হবে। এই মর্মে তারা দুজনই সম্মত হয় এবং আল্লাহর দরবারে দোয়া করে যে যদি সে মিথ্যাবাদী হয় তবে আল্লাহর আযাব যেন তার উপর পতিত হয়। একারণে মুবাহালার ফলাফল সত্যবাদীর পক্ষে একটি নিদর্শন।

৬। এবার আসি ভবিষ্যদ্বাণীর পূর্ণতায়। এ জায়গায় আপনার বোঝার মত অনেক কিছু আছে। আমি জানি না আপনি এত কিছু কয়টি বই পড়ে বেড় করেছেন। তবে এটা মোটামোটি ধারনা করতে পারছি, যে বই-ই পড়েছেন সেটা আমাদের জামাতের কোন বই না। আপনি হাকিকাতুল ওহী বা কিশতিয়ে নূহ পড়েছেন বলে আমার মনে হয় না (পড়ে দেখার জন্য অনুরোধ রইল)। যে বিষয়টি বলতে চাচ্ছিলাম। হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আ.) এর দাবীর মূল ভিত্তি সম্পর্কে। তাঁর (আ.) এর দাবীর মূল ভিত্তি হচ্ছে - ঈসা (আ.) এর মৃত্যু। যেটা সম্পর্কে আপনার সন্দেহ থাকার কথা নয়। ঈসা (আ.) এর মৃত্যু প্রমাণ করার মাধ্যমে তিনি দাজ্জাল বধ করেছেন। কারণ দাজ্জালি ফিতনা হচ্ছে খ্রিষ্টিয় তৃত্ত্ববাদের ফিতনা, যার মূল ভিত্তি ঈসা (আ.) অতিমানবীয় ক্ষমতার অধিকারী এবং তিনিই ঈশ্বর অত:পর চিরঞ্জীব। ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করলে দেখতে পাবেন ১৮শ শতকের দিকে খ্রিষ্টানদের প্রভাব প্রতিপত্তি ক্রমেই বাড়ছিল। কারণ মুসলমানদের কাছে ঈসা (আ) এর ঈশ্বরত্বের বিপক্ষে অকাট্য কোন যুক্তি তো ছিলই না বরং উল্টো তারা বিশ্বাস করতো সকল নবীগণের মধ্যে কেবল ঈসা (আ.) -ই আকাশে জীবিত আছে। এই ধারণা ক্রশিও ধারণাকে আরও বেশি শক্ত করে। একারণেই খ্রিষ্টানদের সাথে মোবাহাসাগুলোয় মুসলমানরা বার বার পর্যুদস্ত হচ্ছিল। কিন্তু যখন থেকে মির্যা গোলাম আহমদ (আ.) এই বিষয়ে লিখা শুরু করেন এবং নিজেই বাহাস-মোবাহাসা করা শুরু করলেন। তখন খ্রিষ্টানরা বিতর্কযুদ্ধগুলোয় হাড়তে থাকল। এবং এখন খ্রিষ্টান পাদ্রীদের ধর্মীয় প্রভাব প্রতিপত্তি এই বিশ্বে নেই বললেই চলে। এটা হচ্ছে দাজ্জাল বধ করার ভবিষ্যদ্বাণীর সত্যায়ন।

এভাবে আপনার উল্লেখিত প্রত্যেকটি আপত্তির বিপক্ষেই আহমদীয়া মুসলিম জামাতের যৌক্তিক খণ্ডন বিদ্যমান আছে। আপনার যেটা করতে হবে। প্রচুর দোয়া করতে হবে। নিরপেক্ষ ভাবে চিন্তা করতে হবে। এবং অবশ্যই শুধু আহমদী বিরোধীদের বই নয়, বরং আহমদীয়া মুসলিম জামাতের বইগুলোও অধ্যয়ন করতে হবে। আপনি ইচ্ছা করলে অনলাইনেই হাকীকাতুল ওহী ও কিশতিয়ে নূহ বইটি পড়তে পারেন। ডাউনলোড লিংক নিচে দেয়া হল। আজ এতটুকুই থাক। অনেক দিন পর ব্লগে এরূপ কমেন্ট লিখলাম। লেখায় কোন ভুল থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল।

http://ahmadiyyabangla.org/Books/Hadhrat Mirza Ghulam Ahmad (as)/Hakikatul Wahi.pdf

http://ahmadiyyabangla.org/Books/Hadhrat Mirza Ghulam Ahmad (as)/Kishti-E-Nuh.pdf

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। এইখানে যে ভাবে প্রশ্ন এবং উত্তর গুলি দেওয়া আছে তার প্রেক্ষিতে ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করলে সুবিধা হত। যাই হোক, আপনি কিছু উত্তর দেবার চেস্টা করেছেন। আসুন দেখি আপনার প্রশ্নের উত্তর গুলি কতটুকু যুক্তিযুক্ত।
১। আপনি কোরআনের ৬৯:৪৫-৪৮ আয়াতের উল্লেখ করেছেন। এই আয়াত স্পেসিফিকালি নবী মুহাম্মদ (সাঃ) কে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে। মির্জা সাহেব কে উদ্দেশ্য করে নয়। যদি বলে থাকেন যে এই আয়াত দ্বারা শুধু নবী মুহাম্মদ (সাঃ) কে নয়, বরং সব নবী রাসুল কে বুঝিয়েছেন, আমার মানতে কোন আপত্তি নেই। কিন্তু তার পরেও এই আয়াতের মধ্যে মির্জা সাহেব পরেন না, কারন উনি কোন নবী বা রাসুল নন। কোরআনে সরাসরি খতমে নবুয়াত শব্দটি এসছে। এছাড়া ও বিভিন্ন আয়াতে পরোক্ষ ভাবে এই কথা বলা হয়েছে। সুতরাং আমরা বিশ্বাস করি নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর পরে আর কোন নবী বা রাসুল আসবেন না। সেই কারনে কোরআনের ৬৯:৪৫-৪৮ আয়াত মির্জা সাহেবের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

যেখানে আল্লাহ স্বয়ং কোরআনে বলেছেন যে শুধুমাত্র সংখ্যাধিক্যের ভিত্তিতে কাউকে অনুসরণ না করতে, সেখানে আপনি এই সংখ্যাধিক্য কে নিদর্শন হিসাবে ধরতে চাচ্ছেন। আল্লাহ বলেছেনঃ

“আর যদি আপনি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের কথা মেনে নেন, তবে তারা আপনাকে আল্লাহর পথ থেকে বিপথগামী করে দেবে। তারা শুধু অলীক কল্পনার অনুসরণ করে এবং সম্পূর্ণ অনুমান ভিত্তিক কথাবার্তা বলে থাকে।(৬:১১৬)

সুতরাং অধিকাংশ লোক যা অনুসরণ করবে তাই যে সবসময় সত্য হবে তার কোন ভিত্তি নেই, বরং সত্য হচ্ছে তাই যা আল্লাহ বলেছেন।
সুতরাং কাদিয়ানীরা সংখ্যায় ২০ কোটি না ২০০ কোটি তাতে কিছু যায় আসে না, এতে সত্য পরিবর্তন হয় না।
আপনার কাছে আমি প্রশ্ন করতে পারিঃ
ক। খৃস্টানরা সংখ্যায় প্রায় ২০০ কোটি এবং এদের অধিকাংশ ট্রিনিটি বিশ্বাস করে - তাই বলে তারই কি সত্য?
খ। সুন্নী মুসলমানের সংখ্যা ১২০ কোটির মত, শিয়াদের সংখ্যা ৪০ কোটির মত এবং কাদিয়ানীর সংখ্যা ২০ কোটি।
তাহলে আপনার কথা অনুযায়ী কে সত্য?

২। আপনি ইমাম মেহেদী নিয়ে বলেছেন। এইটা সম্পূর্ণ একটা কাল্পনিক চরিত্র, যা শিয়াদের দ্বারা বানানো। সুন্নীদের বইয়ের মধ্যেও এর বর্নায় অনেক বিপরীত কথা পাওয়া যায় আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যে কোরআনে এই ধরনের কোন কথা নেই। ইমাম মেহেদী নিয়ে জানতে হলে আপনি Click This Link পড়ে দেখতে পারেন।
আপনি বলেছেন “আমরা যখন কবি-সাহিত্যিকদের উক্তিগুলোকে এত ইতিবাচক ভাবে নেই, তখন একজন নবীর দাবিকারকের উক্তিকে কতটুকু গুরুত্বের সাথে নেয়া উচিত?”- আপনার কথার উত্তরে বলব এই ব্যপারে কোন গুরত্ব দেওয়াই উচিত না। এটা সম্পূর্ণ গুরুত্বহীন কারন কোরআন অনুযায়ী যেহেতু আর কোন নবী আসবে না সেহেতু কেউ নিজেকে নবী দাবী করলে তার কথার কোন গুরুত্ব নেই। বরং তার মানসিক চিকিৎসা করানো উচিৎ।

আপনি সুরা ইউসুফের উদাহরণ টেনেছেন। সুরা ইউসুফের কাহিনী এইখানেই শেষ হয়নি। সুরা ইউসুফের মধ্যে সম্পূর্ণ কাহিনী দেয়া আছে। অপ্রাসঙ্গিক ভাবে সুরা ইউসুফ থেকে উদ্দৃতি দিয়ে কি বোঝাতে চাচ্ছেন?

তিনি একসাথে রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, ঈসা, মেহেদী – একমাত্র পাগল ই এই কথা বলতে পারে।

৩। চন্দ্র, সূর্য গ্রহন নিয়ে কথা বলেছেন। আপনার কথা অনুযায়ী মির্জা সাহেব ১৮৯১ খ্রিষ্টাব্দে মসীহ ও মাহদী হওয়ার দাবী করেছেন এবং চন্দ্র ও সূর্য গ্রহণ হয়েছে ১৮৯৪ এবং ১৮৯৫ সালে। এতে কি কোন কিছু প্রামিত হয়? কিভাবে হয় একটু দয়া করে বলবেন কি?

৪। আমি যে কোটেশন ব্যবহার করেছি তাতে বলা হয়েছে “I am a worm my dear, not son of Adam (In) the most stinking, hated spot on the human body And the shame of all people (Durr-e-Sameen Pg 116)” আপনি এইটা কে প্রার্থনা বলছেন? আমার কিছু বলার নাই। প্রার্থনার নমুনা দেখলেই বুঝা যায়, কিছু বললাম না।

৫। মুবাহালা কোনভাবেই নবুয়াতের নিদর্শন নয়। এই সাধারন কথাটি আপনারে কিভাবে বুজাই?

৬। আপনি ভবিষ্যৎবানীর কথা বলেছেন। এই সংক্রান্ত আমি রেফারেন্স সহকারে যে কয়টি ভবিষ্যৎ বানীর কথা বলেছি তার কোন উত্তর আপনি দেন নি। আশা করি এইগুলির উত্তর আপনি দিবেন। উত্তর না দিয়ে আপনি বরং আপনি দাজ্জাল প্রস্নগে চলে গিয়েছেন।

দ্বাজ্জাল বলে কোরআনে কিছু নাই। এইটা একটা সম্পূর্ণ ভুয়া জিনিষ। এখন আপনি প্রমান করতে চাইছেন উনি কল্পিত দ্বাজ্জাল কে হত্যা করেছেন। ভাল কথা। আসেন দেখি এই ব্যাপারে কি কি সমস্যা আছে।

১। আমি বিশ্বাস করি ঈসা নবী মৃত। উনার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। কোরআন অনুযায়ী মানুষ পৃথিবীতে একবারই মারা যাবে এবং বিচার দিবসে তাদের কে জীবিত করা হবে। তাহলে ঈসা নবী কিভাবে আবার পৃথিবীতে আসেন? কোরআনে কথাও তার দ্বিতীয় আগমনের কথা বলা নাই।

২। আপনি বলেছেন “কারণ মুসলমানদের কাছে ঈসা (আ) এর ঈশ্বরত্বের বিপক্ষে অকাট্য কোন যুক্তি তো ছিলই না বরং উল্টো তারা বিশ্বাস করতো সকল নবীগণের মধ্যে কেবল ঈসা (আ.) -ই আকাশে জীবিত আছে”।– আপনার বাক্যের এই অংশ নির্লজ্জ মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই না। ইতিহাস পড়েন, জানতে পারবেন, কারন...
ক। ঈসা (আ) কে ঈশ্বরত্ব প্রদান করা হয় ৩২৫ সালে নাইকিয়া (Nicea) ডিক্লারেশনের মাধ্যমে। এবং.
খ। কোরআন নাযিল হয় ৬-৭ শতাব্দী তে। আপনি বলতে চান আল্লাহ কোরআনে এই সম্পর্কে কিছু বলেন নাই? আমাদের নবী এই সম্পর্কে কিছু জান্ত না? আল্লাহর কোরআনে ঈসা (আ) এর ঈশ্বরত্বের বিপক্ষে অকাট্য যুক্তি দেওয়া আছে, কোরআন খুলে পড়ে দেখেন।

৩। আপনি বলেছেনঃ “একারণেই খ্রিষ্টানদের সাথে মোবাহাসাগুলোয় মুসলমানরা বার বার পর্যুদস্ত হচ্ছিল”- কোথায় পান এই গুলি? কারা কারা পরাজিত হয়েছিল তা একটু বলবেন কি? ১৮শ শতকের দিকে সবচেয়ে বড় যে বিতর্ক হয়েছিল সেখানে মুসলিম স্কলার ছিলেন Rahmatullah Kairanawi । এই সম্পর্কে উইকিপিডিয়া তে কি বলা আছে তা আপনার জন্য কপি পেস্ট করছি
“In 1837 the Church Mission Society appointed Karl Gottlieb Pfander, described by Eugene Stock as "perhaps the greatest of all missionaries to Mohammedans",[2] to Agra in Northern India, where in 1854 he engaged in a famous public debate with leading Islamic scholars. The main Muslim debater was Kairanawi, being assisted by English-speaking Muhammad Wazîr Khân and influential Islamic writer Imad ud-din Lahiz.[3] Kairanawani used arguments from recent European theologically critical works that Pfander was unfamiliar with, having left Europe before these where published, though his main source of reference was the apocryphal sixteenth-century Gospel of Barnabas, which he held to be authentic.[4]
মুসলমানরা সবসময়েই এই বিষয় গুলি জানত। মুসলমানদের শুধুমাত্র একটাই সমস্যা ছিল তা হচ্ছে ইংরেজী ভাষা না জানা। এর কারনেই Kairanawani কে বিতর্কের জন্য ইংরেজী জানে এমন একজনের সাহায্য নিতে হয়েছিল। সেই বিতর্কে কি বলা হয়েছিল তা দয়া করে নিজ দায়িত্বে জেনে নিবেন। প্রসঙ্গক্রমে এইখানে একটা কথা বলে রাখি যে এই Kairanawani পরে একটি বই লিখেন যার নাম “Izhar ul-Haq (Truth Revealed)” এই Izhar ul-Haq বইটির কারনে আমরা আহমেদ দিদাত, যাকির নায়িক এর মত স্কলার পেয়েছি।

৪। আপনার কথা অনুযায়ী দাজ্জাল বধ বলতে খৃস্টান পাদ্রীদের কে তর্কে হারানো বুঝায়, তাহলে আহমেদ দিদাত ও তার সময়ে দাজ্জাল বধ করেছেন,এবং বর্তমান সময়ে যাকির নায়িক সহ অনেকে তাই করছেন।

৫। যদিও আমি দাজ্জাল বিশ্বাস করি না, তার পরেও তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেই দাজ্জাল বলে কিছু আছে তবে হাদিসের দিকে তাকাতে হবে। হাদিসে স্পষ্ট ভাবে দাজ্জাল কে একজন ব্যাক্তি হিসাবে বলা আছে। দাজ্জালের অন্য কোন অর্থ করার কোন সুযোগ নাই। সে ক্ষেত্রে আপনার মির্জা সাহেব কোন ব্যক্তিকে দাজ্জাল বলে হত্যা করেছেন তা একটু বলবেন কি?

পরিশেষে আপনি আমাকে বলেছেন “আপনি ইচ্ছা করলে অনলাইনেই হাকীকাতুল ওহী ও কিশতিয়ে নূহ বইটি পড়তে পারেন”। মজার ব্যপার হচ্ছে আমি আমার লেখার প্রথম দিকে মির্জা সাহেবের জন্ম বিষয়ে আপনার বর্ণিত এই দুইটি বই থেকে রেফারেন্স দিয়েছি। এই সম্পর্কে আপনার কি বলার আছে?

৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩৫

আমি মিন্টু বলেছেন: কেন ভাই একটি কথা চিন্তা করেন না আর তা হল কুরআনের কোন কথার সাথে বলুন পৃথিবীর মীল নেই । আর কুরআনে মানব সমাজের বা মানুষের জন্য যে আদেশগুলো দেওয়া আছে তা কি মিথ্যা প‍্রমান করতে পারবেন । যাই হোক ভালো লেখেছেন ধন্যবাদ । :)

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনার কথা বুজতে পারিনি। একটু বুঝিয়ে বলবেন কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.