নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফানডামেনটাল

;

হানিফঢাকা

So peace is on me the day I was born, the day that I die, and the day that I shall be raised up to life (again) (১৯:৩৩)

হানিফঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলমানদের পরাজয়ের ইতিহাস এবং কারন অনুসন্ধান

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৩৪

ইসলামের প্রাথমিক যুগের ইতিহাস, মুসলিম স্ম্রাজ্যের বিস্তার এইসব কমবেশি সবাই জানেন। ইতিহাস সাক্ষী দেয় একসময় মুসলমানরা অর্ধেক পৃথিবী (Half of the known world) শাসন করেছে, এবং জ্ঞান বিজ্ঞান, ন্যায় বিচারে সবার জন্য একটা রোল মডেল ছিল। ঐ সময়ে তারা সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেছিল, বাক স্বাধীনতা, মত প্রকাশের সবার সমঅধিকার, অন্য ধর্ম, মতের প্রতি শ্রদ্ধা সবই ছিল, যেখানে তখন ইউরোপ সহ অন্য দেশ গুলি কুসংস্কারে নিমজ্জিত ছিল।মানুষ মুসলমানদের কাছে জ্ঞান বিজ্ঞান শিখতে আসত, আজকে যেমন মুসলমানরা অন্যদের কাছে শিখতে যায় । এই ইহুদীদের স্বর্ণযুগ ছিল মুসলমানদেরই শাসনামলে। স্পেনে মুসলিম শাসনকালে ইহুদীরা সবচেয়ে ভাল ছিল-এটাও ঐতিহাসিক সত্য।

তারপর হটাত করে সব কিছু বদলে যেতে লাগল। মুসলিমরা আস্তে আস্তে অন্য মত, ধর্মের প্রতি অসহনীয় হয়ে উথল এবং নিজেরাই উগ্রতা এবং কুসংস্কারের মধ্যে ডুবে যেতে লাগল।

এর ফলে আস্তে আস্তে মুসলমানরা তাদের গৌরব হারাতে লাগল, সেই সাথে সম্রাজ্য। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর অটোমান সম্রাজ্যের পতন, ১৯৪৮ সালে প্যালেস্টাইন দখল, ১৯৬৭ সালের ৬ দিনের যুদ্ধে পরাজিত এই সবই মুসলিম জাতির নিকট অতীতের পরাজয়ের ইতিহাস। এর সাথে আছে মুসলিম অধ্যুষিত দেশ গুলির চরম খারাপ অবস্থা। সবখানেই জ্বালাও পোড়াও চলছে। আমি আমার এই লেখায় মুসলিম জাতির পরাজয়ের সন্তাব্য কারন কি সে বিষয় খুজার চেষ্টা করব।

মুসলমানরা যখন পরাজিত, তখন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মুসলিম, বিভিন্ন গোষ্ঠী, বিভিন্ন মুসলিম দেশ এর কারন অনুসন্ধান করেছে এবং এর থেকে উত্তরণের পথ খুজেছে। অনেকেই মুসলিম জাতিকে তার আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নেবার চিন্তা করেছে। তারা বুঝতে পেরেছে, কোথাও অবশ্যই ভুল হয়েছে, এবং সে ভুল খুজে, তা শুধরিয়ে বা শুরু থেকে চেষ্টা করে আবার আগের অবস্থানে ফিরে যাওয়া যায় কিনা সেই ব্যপারেও চিন্তা করেছে এবং চেস্টাও করেছে। এই জন্য তারা আগের মত করে ইসলামিক স্টেট সৃস্টি করে ইসলামিক গভর্নমেন্টের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত করার চেষ্টা পর্যন্ত করেছে, কিন্তু সেই চেষ্টা কোন ইতিবাচক ফল বয়ে আনতে পারেনি। মুসলমানদের এই ধারাবাহিক পরাজয় এবং বিভিন্ন মুসলিম দেশের এবং মুসলমানদের বর্তমান অবস্থান দেখে অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে মুসলমানরা যাকে স্রস্টা বলে মানে, সেই “আল্লাহ” মুসলমানদের পরিত্যাগ করেছে। তাই যদি হয় তবে প্রশ্ন হচ্ছে কেন? মুসলমানরা কি এমন অপরাধ করেছে যে, যারা একসময় তাদের বিদ্যা, পারদর্শিতা, জ্ঞান, বিজ্ঞান, ন্যায়বিচার দিয়ে পৃথিবীতে উদাহরণ সৃস্টি করেছিল, তারাই আজকে চরম দুর্দশা গ্রস্ত, কেউ এক দেশ থেকে আরেক দেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এবং তা দেখে কেউ চুপ করে বসে আছে অথবা কেউ হাসছে। তবে কি মুসলমানরা ইহুদীদের মত তাদের সৃষ্টিকর্তার সাথে করা চুক্তি (Covenant ) ভঙ্গ করেছে এবং সেই ইহুদীদের মত শাস্তি ভোগ করছে? তবে কি মুসলমানরা ইতিহাসে ইহুদীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করছে?

“As for those who break their pledge with God after having made its covenant, and they withhold what God has ordered to be delivered, and who cause corruption on the earth; upon those is a curse and they will have a miserable abode.” (Qur’an 13:25)

কোরআনের এই ১৩:২৫ আয়াত আবার পড়ুন এবং দরকার হলে বার বার পড়ুন এবং মুসলিমদের অবস্থা সম্পর্কে মেলানোর চেষ্টা করুন। The curse of God is upon us

(কোরআনে আল্লাহ এই covenant এর কথা অনেক জায়গায় মুসলমান এবং ইহুদীদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এই covenant এর কথা মোল্লাদের কে আমি কখনো তেমনভাবে বলতে শুনিনি। মুসলমানদের জন্য এই covenant খুবই গুরুত্বপুর্ন, কিন্তু এটা সবসময় আমরা ওভারলুক করে যাই। বাইবেলেও বিভিন্ন নবীর সাথে ঈশ্বরের এই covenant এর অনেক কথা বলা আছে, এবং কোরআনে তা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাই হোক, এইটা এখানে আমার লেখার বিষয় না, তবে কেউ যদি এই বিষয়ে আগ্রহী হন তাদেরকে আমি ইহুদীদের ধর্মীয় ইতিহাস পড়ে দেখতে বলব, এটা করলে দেখতে পাবেন মুসলমানদের ধর্ম বিকৃতি আর ইহুদীদের ধর্ম বিকৃতির ইতিহাস প্রায় একই রকম)

কেস স্টাডি ১ঃ ইরানঃ
কোথাও ভুল হয়েছে বুঝতে পেরে মুসলমানরা পুরাতন ইসলামিক ব্যবস্থা যা নবী প্রতিষ্ঠিত করে গিয়েছিলেন এবং চার খলিফা ঐ পদ্ধতির উপর ছিলেন তা ফিরিয়ে আনার তাগিদ অনুভব করে। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৭৯ সালে আয়াতুল্লাহ খোমেনির নেতৃত্বে ইরানে ইসলামি বিপ্লব সংঘটিত হয়। ঐ ইসলামি বিপ্লবের মুল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল একটা ইসলামি রাষ্ট্র গঠন করা যা তাদেরকে ইসলামের আগের গৌরবের অধ্যায়ে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। এই ইসলামিক রিপাব্লিক অফ ইরানের সরকার কাঠামোর মুল বিষয় গুলি ছিল নিম্নরূপঃ

১। এই ইসলামিক রিপাব্লিক অফ ইরানের সরকারের মুল কাঠামো ছিল সবচেয়ে শিক্ষিত, জ্ঞানী এক দল উলেমা কোরআন হাদিসের আলোকে কোন আইন পাশ বা বাতিল করার জন্য তাদের এক্সিকিউটিভ সিদ্ধান্ত দিবে।
২। পার্লামেন্ট আইন পাশ করবে।
৩। বহুদলীয় রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংখ্যাধিক ভোট পাওয়া রাজনৈতিক দল পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করবে।
৪। এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চের প্রতিনিধিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট
৫। কিন্তু প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্টের উপর গার্ডিয়ান কাউন্সিল হিসাবে থাকবেন ঐ উলামা গ্রুপ (১ নম্বর পয়েন্ট)
৬। এই গার্ডিয়ান কাউন্সিল ফিকহ শাস্ত্র থেকে বিচারবিভাগীয় নীতি তৈরী করবে এবং সিধান্ত নিবে কোন আইন এই ফিকহের সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ কি না।
৭। এই ফিকহ কোর্ট সকল সেকুল্যার কোর্ট কে রিপ্লেস করে এবং একটা সুপ্রীম কোর্টের অধীনে স্বাধীন এবং সংঘবদ্ধ ভাবে কাজ করে।

এর পরিনিতি হল একটা লম্বা এবং জটিল আমলাতান্ত্রিক সরকার ব্যাবস্থা, যা প্রথমদিকে ধর্মীয় বিতর্কে জড়িয়ে যায়, এবং খুব সামান্য সাফল্য লাভ করে, ইরানের জনগন যে প্রত্যাশা নিয়ে এই ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিল তার খুব কম সুফলই ভোগ করে। শিয়া সুন্নী বিতর্ক, আভ্যন্তরীণ অর্থনীতি, বৈদেশিক সম্পর্ক-সব দিকেই সমস্যায় জর্জরিত। অন্যদিকে এই গার্ডিয়ান কাউন্সিলের কারনে জনগণের উপর বিভিন্ন ধরনের বিধি নিষেধ জারী করা হয় এবং এই বিধিনিষেধ পোশাক থেকে শুরু করে চলাফেরা থেকে মত প্রকাশ সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত।
যদিও ইরান এই সময়ে এসে সামরিক শক্তির দিক থেকে সাফল্য অর্জন করেছে, কিন্তু আসল সাফল্য বলতে আমরা যেটা বুঝি একটা দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক, সামাজিক অবস্থা, জীবন যাত্রার মান, নাগরিক অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা –সে দিক দিয়ে তেমন কোন উল্লখযোগ্য সফলতা আসেনি।

কেস স্টাডি ২ঃ আফগানিস্তানঃ
শিয়ারা যেমন ইরানে ইসলামি রাস্ট্র করার চেষ্টা করে ঠিক একই ধারনার বশবর্তী হয়ে ১৯৯৬ সালে আমরা সুন্নীদের আফগানিস্থানে একই চেষ্টা করতে দেখি। ১৯৯৬ সালে তালেবানরা আফগানিস্থানে একটি ক্ষমতাধর শক্তি হিসাবে প্রকাশ করে সম্পূর্ণ ইসলামি শাসন ব্যাবস্থা কায়েম করতে সচেষ্ট হয়।

তালেবান সরকার কঠোর শরিয়া আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালিত হয় যেখানে বিচারক হাদিস, সুন্নাহ, কোরআন এবং তাদের জ্ঞানী উলেমাদের মতামতের দ্বারা সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। তালেবান সরকার ব্যবস্থা মুলত একটা পিড়ামিড কাঠামো যেখানে সকল লেজিস্লেটিভ এবং এক্সিকিউটিভ ক্ষমতা একজনের উপর ন্যাস্ত- যাকে বলা হয় আমিরুল মুমেনিন, ঐ সময় যে ব্যক্তি এই পদে ছিল তার নাম হচ্ছে মোল্লা ওমর। তালেবান সরকার ব্যাবস্থা ঐ দেশের নারীদের উপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যেমন নারীদের স্কুলে যাওয়া এবং ঘরের বাইরে কাজ করার ব্যাপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা ছিল। তারা যদি তালেবানদের বেধে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী পোশাক না পড়ত অথবা অন্য পুরুষের সাথে ঘর থেকে বের হত তবে তাদেরকে প্রকাশ্যে শাস্তি দেওয়া হত। তালেবানদের তৈরী করা আইনে মাদক, ব্যাভিচারের শাস্তি ছিল মৃত্যুদন্ড, চুরির অপরাধ ছিল হাত কেটে দেওয়া। পরুষরা সুন্নাহ হিসাবে দাড়ি রাখত বা রাখতে বাধ্য হত এবং নারীরা অপাদামস্তক ডেকে রাখতে বাধ্য হত।

শিয়াদের ইরানের মত সুন্নীদের আফগানিস্থান অভিজ্ঞতাও ব্যর্থতার রুপ নেয়। এত কঠিন শরিয়া আইন প্রয়োগ এবং বাস্তবায়নের ফলে জীবন যাত্রা অনেকটা সংকুচিত হয়ে যায়। নারীদের অবস্থা হয় সবচেয়ে করুন।

২০০১ সালে আমেরিকার আফগানিস্থান আক্রমণের পর তালেবানদের পরাজয় ঘটে এবং সেইসাথে তাদের তৈরী করা ইসলামিক রাষ্ট্রেরও। আমেরিকার আফগানিস্থান আক্রমণ এবং সেখানে তাদের মিলিটারি বেইস বসানো আগে থেকেই অনেকটা ধারনা করা গিয়েছিল। কিছুদিনের যদ্ধে আমেরিকার প্রতিনিয়ত বোমা বর্ষণে এবং তালেবানদের বিপরীত শক্তি কুর্দি বিদ্রোহীদের সাহায্যে তালেবানদের যা কিছু সামরিক শক্তি ছিল তা সম্পূর্ণ ভাবে ধ্বংস করা হলে। সামরিক এবং মানসিক ভাবে তালেবানরা সম্পূর্ণ রুপে পরাস্ত হল।

কিন্তু প্রশ্ন হল কেন এমন হল? এর উত্তরে অনেকে বলবেন যে ২১ শতকেরএকটি সম্পূর্ণ আধুনিক সামরিক শক্তি, এবং ট্যাকনলজির সাথে একটি মিলিশিয়া বাহিনী যারা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে ছিল তারা কি করে পারবে। এইখানে আমেরিকার আধুনিক সামরিক শক্তির কাছে এই ১৮-১৯ শতকের একটি বাহিনী যুদ্ধে হারবে এটাই স্বভাবিক, এবং যুক্তিযুক্ত। কিন্তু মুসলিম সমাজ, যারা নিজেদেরকে ধার্মিক মনে করেন তাদের কাছে এটা একটা বড় আঘাত এই কারনে যে তারা আজও বুঝে উঠতে পারেনা কিভাবে আল্লাহ যাকে তারা মানে বলে বিশ্বাস করে এবং তার ইবাদত করে তাদের কে ত্যাগ করেছেন।

তালেবানরা ছিল কঠোর সুন্নী মুসলমান। হাদিস এবং সুন্নাহ বইয়ের জলজ্যন্ত বাস্তবিক উদাহরণ। তারা দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামায পড়ত এমনকি অনেক নফল নামাজও পড়ত, মাসে ৩০ টা রোজা রাখত, নবীর অনুকরণে দাড়ি রাখত, ষষ্ট শতাব্দীর আরবদের অনুকরণে পোশাক পড়ত, তাদের রাষ্ট্রে টেলিভিশন, সিনেমা নিষিদ্ধ ছিল কারন এইগুলি ছিল শয়তানের কাজ, নারীদের কে অপাদমস্তক ডেকে রাখতে বাধ্য করত, একা বা পুরুষ আত্নীয় ছাড়া ঘরের বাইরে যেতে দিতনা, এমনকি স্কুলে যাওয়া, বাইরে কাজ করা নিষিদ্ধ ছিল, ব্যভিচারের শাস্তি ছিল হত্যা করা, তারা তাদের রাষ্ট্রে সমস্ত মূর্তি ভেঙ্গে ফেলেছিল এমনকি অনেক পুরানো বৌদ্ধ মূর্তি ভেঙ্গে ফেলেছিল যেগুলিকে একসময় মানুষ পুজা করত।

কিন্তু তারপরেও তালেবান রাস্ট্র ধ্বংস হয়ে গেল। আল্লাহ কি কোরআনে বলেননি?

“God defends those who believe. God does not love any betrayer, rejecter.” (Qur’an 22:38)

“The ones who were driven out of their homes without justice, except that they said: “Our Lord is God!” And if it were not for God defending the people against themselves, then many places of gathering, and markets, and contact prayers, and temples where the name of God is frequently mentioned, would have been destroyed. God will give victory to those who support Him. God is Powerful, Noble.” (Qur’an 22:40)

“And We have sent before you messengers to their people. So they came to them with clear proofs; then We took revenge on those who were criminals. And it is binding upon Us to grant victory to the believers.” (Qur’an 30:47)

“O you who believe, if you support God, He will support you, and make your foothold firm.” (Qur’an 47:7)

উপরের কোরআনের আয়াত গুলিতে কোন সন্দেহ ব্যতীত আল্লাহ বলছেন যে, যারা আল্লাহ কে বিশ্বাস করবে এবং তার ইবাদত করবে, আল্লাহ তাদের কে অবশ্যয় রক্ষা করবেন এবং বিজয় দান করবেন।

তার পরেও তালেবানরা পারাজিত হল, কেন?

অনেকেই হয়ত বলবেন এটা ছিল অত্যাধুনিক মিলিটারি পাওয়ারের সাথে তুলনামূলক নাবালক আধা মিলিটারির লড়াই, যেখানে পরাজয় নিশ্চিত এবং তাই হয়েছে। কিন্তু যারা ধর্ম মানেন তারা এই যুক্তি কোনভাবেই বিশ্বাস করতে পারবে না। কারন মুসলমান মাত্রই জানে আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং তিনিই সবকিছু নিয়ন্ত্রন করেন। কোন শক্তি তার কাছে কিছুইনা। মুসলমানরা জানে যে আল্লাহ দৃশ্যমান এবং অদৃশ্য সব কিছুর উপরই ক্ষমতাবান। মুসলমানরা আরও জানে যে নবীকে সাহায্য করতে আল্লাহ ফেরেস্তা পাঠিয়েছিল (৩:১২৩), ক্ষুদ্র এবং দুর্বল মিলিটারি শক্তি নিয়েও বিশাল এবং শক্তিশালি মিলিটারি আল্লাহর ইচ্ছায় সবসময় পরাজিত হয় (২:২৪৯)। কোন প্রযুক্তি, মিলিটারি পাওয়ার, নিউক্লিয়ার পাওয়ার তা যাই হোক না কেন, কোনভাবেই আল্লাহর শক্তি আর ক্ষমতার সাথে তুল্য না।

তাহলে কি তালেবানদের ধর্ম পালনে কোন ঘাটতি ছিল? তাদের কি আরও বেশি বেশি নামাজ পরা উচিত ছিল? তাদের দাড়ি কি বড় রাখার দরকার ছিল? নারীদের ব্যপারে তাদেরর কি আরও কঠোর হওয়ার দরকার ছিল?


কেন?
আমরা ইসলামের প্রাথমিক যুগে ফিরে যাই। হযরত উমরের খিলাফতের সময়। কাদিসিয়া যুদ্ধে যখন মুসলিম বাহিনীর হাতে পার্সিয়ানরা পরাজিত হয়, তখন পার্সিয়ান সেনাপতি হরমুযান কে উমরের সামনে উপস্থিত করা হল। হযরত উমর এই হরমুযান কে প্রশ্ন করেছিলেন,

"আগে পার্সিয়ানরা আরবদের তাদের স্ম্রাজ্যের জন্য কোন রকম হুমকি মনে করতনা। আগে যতবার তোমাদের সাথে আরবদের যুদ্ধ বা সংঘর্ষ হয়েছে তোমরা খুব সহজেই আরবদের পরাজিত করেছ। কিন্তু আজ তোমরা খুব বাজে ভাবে পরাজিত হয়েছ এবং তোমাদের সম্রাট প্রান ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এর কারন কি?”

এর উত্তরে হরমুযান বলেছিল, “ আগে আমরা যখন শুধু আরবদের সাথে লড়াই করেছি, তখন আমাদের জন্য আরবদের পরাজিত করা খুব সহজ ছিল। কিন্তু এইবার আমাদের আরবদের পাশাপাশি তাদের গডের সাথেও লড়াই করতে হয়েছে। আমাদের জন্য একসাথে এই দুইটা শক্তি (আরব আর্মি এবং তাদের গড) একসাথে মোকাবেলা করা সম্ভব হয়নি। সেই জন্য আমরা পরাজিত হয়েছি”

এটা একটা সত্য ঘটনা এবং সত্য স্বীকারোক্তি। সেই একই গড বা আল্লাহ তাহলে কেন তালেবানদের ত্যাগ করলেন। সেই একই আল্লাহ যে তাকে বিশ্বাস এবং তার ইবাদত করলে, তার কথা মেনে চল্লে সুনিশ্চিত বিজয়ের গ্যারান্টি দিয়েছেন, কেন আজ মুসলমানদের ত্যাগ করেছেন?

নবীর অভিযোগ আরোপঃ
এর উত্তর এত কঠিন কিছু না। যারা কষ্ট করে এতটুকু পড়েছেন তারা দয়া করে নিজেরাই এই প্রশ্নের উত্তর খোজার চেষ্টা করেন। আমি আপনাদেরকে শুধু মাত্র কোরআন থেকে একটা সূত্র দিতে পারি। কোরআনে উল্লেখ আছেঃ

“And the messenger said: ‘My Lord, my people have deserted this Qur’an.’ And it is so that We make for every prophet enemies from among the criminals. And your Lord suffices as a Guide and a Victor.” (Qur’an 25:30-31)

এটা কিভাবে সম্ভব যে আমাদের নবী আমাদের সম্পর্কে এই ধরনের অভিযোগ উত্থাপন করবেন, যেখানে প্রতিদিন একশ কোটি মুসলমান কোরআন তেলাওয়াত করে সোয়াবের আশায়, প্রতিদিন পাচ ওয়াক্ত নামাযের সাথে কোরআন পড়া হয়, রমযানে কোরআন খতম করা হয়, মানুষ মরলেও মোল্লা ডেকে কোরআন খতম করা হয়, কোরআনকে উচু স্থানে রাখা হয়, প্রতিটি মাদ্রাসায় প্রতিদিন কোরআন তেলাওয়াত করা হয়, তেলাওয়াতের প্রতিযোগিতা হয়। আমাদের বাপ দাদারা আমাদের কে কোরআন তেলাওয়াত করা শিখিয়েছেন, আমরাও আমাদের সন্তানদেরকে কোরআন তেলাওয়াত করতে শিখাই। তাহলে কেন নবী আমাদের সম্পর্কে কোরআন নিয়ে আল্লাহকে এই কথা বলবেন? হয়ত এর উত্তরের মধ্যেই আছে কেন মুসলমানরা আজ পরাজিত

একটা ছোট প্রশ্নঃ

মনে করুন আপনাকে একটা ভুখন্ড দেয়া হল, এটা একটা মাঝারি সাইজের দেশের সমান বা একটা দ্বীপ হতে পারে, যেখানে আপনাকে বলা হল আপনি একটা ইসলামিক রাস্ট্র প্রতিষ্ঠা করবেন। আপনি কি এইটা করতে পারবেন? আপনার উলামারা কি পারবে? পারলে এই রাষ্ট্র কিভাবে পরিচালিত হবে?

ধন্যবাদ।



মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৪৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: যাই কিছু বলেন । ইসলামের শাসন আর আসবে না ।

চমৎকার বিশ্লেষন হলেও অনেক কিছুই পরিস্কার নয় । যেমন তালেবানরা কি সঠিক ইসলামে বিঃশ্বাসী ছিল না? শিয়াদের ইসলামী রাষ্ট্র কি ভুল ?

(পরামর্শ-) বেটার হইত যদি ইংরেজির নিচে বাঙলাও দিয়ে দিতেন । অনেকেই বুঝবে না ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১১

হানিফঢাকা বলেছেন: সঠিক ইসলাম বলতে আপনি কি বুঝিয়েছেন তার উপর এর উত্ত নির্ভর করে।
তালেবানরা সুন্নীদের টেক্সট বুক এক্সাম্পল। সুন্নী গ্রন্থে যা কিছু আছে তালেবানরা তা মেনে চলার চেষ্টা করত। আপনার যদি আগ্রহ থাকে তবে তাদের জীবন যাত্রার সাথে হাদিস এবং সুন্নাহর উদাহরণ মিলিয়ে দেখতে পারেন।

শিয়াদের ক্ষেত্রে বলতে পারি, তারাও তাদের মতবাদ অনুযায়ী চেষ্টা করেছিল বা এখনও তাই করছে।

একটা কথা বলি, বাংলায় কোরআনের যে অনুবাদ পাওয়া যায় তার বেশিএভাগের অনুবাদের মান অত্যন্ত নিচু। মাঝে মাঝে এমন একটা বাক্য লেখে যে এর আগা মাথা বুঝা যায়না। এর চেয়ে ইংরেজীতে যে অনুবাদ করা হয়, তার ভাষার মান অনেক ভাল। এই জন্য আমি ইংরেজী অনুবাদ কে বাংলা অনুবাদের উপর প্রাধান্য দেই। এইটা আমার ব্যক্তিগত মতামত।
আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:২১

মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত বলেছেন: আসালামু আলাইকুম ভাই,
উত্তর এবং ACTION এখানে,


বাচ্চাদের আল্লাহ্‌কে জানার কার্যক্রম
কোরআন শিক্ষা: কোরআন জানা: কোরআন পড়া এবং নোট করা:


কখন : প্রতিদিন ফজরের সলাতের পর কিন্তু সূর্য উঠার পূর্বে
কতটুকু: মাত্র এক আয়া
কোন বই: শব্দার্থে আল কোরআন (আরবী-বাংলা-ইংরেজী) লিখেছেন মোহাম্মাদ আরিফুল ইসলাম
(PDF format পাওয়া যাবে tinyurl com /o7kyqel)

কি নোট করতে হবে এবং কেন করতে হবে:
১। একটা আয়া আরবীতে পড়বে।
২। তারপর সেই আয়ার পুরো অর্থটা বাংলাতে এবং ইংরেজীতে পড়বে।
৩। এরপর প্রতিটি আরবী শব্দের অর্থ বাংলায় এবং ইংরেজীতে পড়বে।
৪। সহজ যে কোন একটা শব্দের অর্থ লিখে ফেলবে এবং মুখস্ত করার চেস্টা করবে।
৫। পড়ার পর চিন্তা করবে কেন আল্লাহ এই আয়া কোরআনে দিয়েছেন? আল্লাহতো পাটিগনিতের সূত্র কোরআনে লিখেন নি, আল্লাহতো সব ছোট্ট অসুস্থ বাচ্চাদের ঔষধের ব্যবস্থপত্র কোরআনে লিখে দিতে পারতেন, কেন আল্লাহ তা না করে এই আয়া কোরআনে দিয়েছেন? কেন এটা গুরুত্বপূর্ণ যে এই আয়াটি মানুষের জন্য আকাশ থেকে পাঠিয়েছেন? আল্লাহ এই আয়াতে কি বলেছেন,
 এটা কি আমার জন্য কোন আদেশ (যা আমাকে অবশ্যই মানতে হবে)?

 এটা কি আমার জন্য কোন নিষেধ (যা আমি কোনভাবেই করতে পারবো না)?

 এটা কি আমার জন্য কোন সতর্কতা (যা থেকে আমাকে সাবধান থাকতে হবে)?

 এটা কি আমার জন্য ভালো হবে বলেছে (যা করলে জান্নাত আমার জন্য সহজ হবে)?

 এটা কি আমার জন্য খারাপ হবে বলেছে (যা করলে শয়তান আমাকে বন্ধু বানাবে আর আমাকে কবরে অথবা কেয়ামতের দিন অথবা জাহান্নামের আগুনে ফেলে দিতে পারে)?

 এতে কি যারা জান্নাতে যাবে তারা কিভাবে আল্লাহ্‌কে মেনে চলে অথবা তাদের চরিত্র দুনিয়াতে কেমন হবে তা বলেছে (যা আমাকে ও অর্জন করতে হবে)?

 এতে কি যারা জাহান্নামে যাবে তারা কেন জাহান্নামে যাবে অথবা তাদের চরিত্র দুনিয়াতে কেমন হবে তা বলেছে (যা থেকে আমাকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে)?

 অথবা এতে কোন বিষয়ে বলা হয়েছে (যা থেকে আমার জ্ঞ্যান বাড়বে যা জান্নাতে যাওয়ার জন্য আমার প্রয়োজন) (আল্লাহ সম্পর্কে, রাসুলুল্লাহ সল্লেল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, কোরআন, হাদিস, কিয়ামাহ, শয়তান, জান্নাত, জাহান্নাম, নবীগন, বিভিন্ন্ সৃষ্টি সম্পর্কে, মালাইকা, আল্লাহ্‌র সৃষ্টি, মানুষ ইত্যাদি সম্পর্কে)?

 প্রতিদিন একটি সহজ আরবী শব্দের অর্থ শিখবো ইনশাল্লাহ।

পরামর্শঃ

একটা ফাইল তৈরী কর যার মধ্যে প্রতিটি বিষয়ের নোটগুলি আলাদা করে আলাদা অধ্যায় নাম দিয়ে রাখবে। যেমন অধ্যায়ের নাম দিতে পারো “অবশ্যই করতে হবে”, “কোনভাবেই করা যাবে না” “জান্নাতির কাজ”, “জাহান্নামির কাজ”, “আল্লাহ” “রাসুলুল্লাহ সল্লেল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”, “কোরআন” “শয়তান”, “জাহান্নাম”, “জান্নাত” “মানুষ” ইত্যাদি।
প্রতিদিনের জানা বিষয়কে খুব সংক্ষেপে কয়েকটি শব্দে লিখে তোমার পড়া টেবিলের সামনের দেয়ালে অথবা বসার ঘরের দেয়ালে ছোট নোট প্যাডে বড় অক্ষরে লিখে লাগিয়ে রাখবে। (যেমন একটা A4 আকারের কাগজ দেয়ালে লাগাতে পারো শুধু “আদেশ” গুলো লেখার জন্য, একটা কাগজ শুধু “নিষেধ” গুলো লেখার জন্য। এরপর প্রতিদিন সেই কাগজের উপর ছোট ছোট নোট যোগ হবে।)

Detail in here:
MankindAtLoss website

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৭

হানিফঢাকা বলেছেন: নিঃসন্দেহে ভাল পদক্ষেপ, কিন্তু এটার জন্য প্রচুর ধৈর্য্যের এবং সময়ের দরকার। আমার ব্যক্তিগত মতামত এতে চুড়ান্ত সাফল্য আসার সম্ভাবনা আসা কম। একটা বই আছে " কমান্ডমেন্টস অফ গড" যে খানে কোরআনের আয়াত গুলিকে বিষয় ভিত্তিক আকারে সাজানো হয়েছে। এইরকম পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখতে পারেন, অথবা কোরআনের ইন্ডেক্স ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

ধন্যবাদ।

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:

"মুসলিম স্ম্রাজ্যের বিস্তার এইসব কমবেশি সবাই জানেন "

সাম্রাজ্য বিস্তার কি ধর্মীয় কাজ ছিল, নাকি অপরাধ ছিল?

বিস্টার করলে, হারাতে হয় এক সময়।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৭

হানিফঢাকা বলেছেন: সাম্রাজ্য বিস্তার প্রচলিত অর্থে কোন ধর্মীয় কাজ নয়। আপনার প্রশ্নের উত্তর যদি সত্যি জানতে চান তবে আপনাকে ধর্ম এবং দ্বীনের পার্থক্য বুঝতে হবে। আল্লাহ নিজে ইসলামকে ধর্ম হিসাবে উল্লেখ করেন নাই, করেছেন দ্বীন হিসাবে। ইনফ্যাক্ট কোরআনে যেখানে ধর্মের কথা বলা হয়েছে, তার বেশিরভাগই নেতিবাচক অর্থে বলা হয়েছে। (বেশিরভাগ বললাম এই কারনে যে ধর্ম সংক্রান্ত কোন ইতিবাচক কথা এখনও আমি কোরআনে পাইনি, কিন্তু থাকতে পারে যা আমি জানিনা)

এই জিনিষ বুঝতে পারলে ইসলামের ইতিহাস পড়লে দেখতে পাবেন যে ঐ সাম্রাজ্য বিস্তার ছিল রাজনৈতিক। ভু-রাজনৈতিক কারনেই মুসলমানদের সাম্রাজ্য বিস্তার করতে হয়েছিল। ধর্ম প্রচারের জন্য নয়, রোমানদের বিরুদ্ধে তাবুকের অভিযান পড়ুন। আশা করি বুঝবেন।
আপনাকে ধন্যবাদ।

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১০

SohanX বলেছেন: আপনি খালি প্রশ্নই করে গেলেন ভাই,উওর পেলাম না কোথাও ?

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৮

হানিফঢাকা বলেছেন: লেখার শেষের অংশে উত্তরের ইঙ্গিত দেওয়া আছে।

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯

পিচ্চি হুজুর বলেছেন: উত্তর আপনার লেখাতেই আছে। আগে মুসলমানদের ব্যাক্তিগত জীবনে ইসলাম কায়েম হইছিল,তারপর সেইটা সংঘবদ্ধ ভাবে প্রতিষ্ঠা পাইছে। মুসলমানদের নিজেদের মাঝেই ইসলাম ঠিকমত নাই, রাষ্ট্র ত অনেক দূরের হিসাব। আমাদের প্রবলেম হইল আমরা এখন ইসলাম বলতে দাড়ি টুপি বোরকা এইগুলা বুঝি। আরে এইগুলাত অনেক সহজ কাজ। সবচেয়ে বড় কাজ ছিল মুসলিম দের জন্য সেইটা হল তাদের রব এর প্রতি মুখাপেক্ষী হওয়া সেইখানেই আমরা সবাই ফেল মাইরা বইসা আছি। দুনিয়া করতে কখনও মানা নাই, নোবেল প্রাইজ পাইতেও মানা নাই, বিল গেইটস হইতেও মানা নাই; কিন্তু একটা জিনিসের বিষয়ে সবসময় নিষেধ করা হইছে সেইটা হইল দুনিয়াকে কখনও নিজের অন্তরে স্থান দেয়া যাবে না। কারণ এই পৃথিবীটাই চিরস্থায়ী থাকার জায়গা না। সবাইকে এইটা ছাড়তে হবে। এই দুনিয়ার প্রতি আকর্ষণই মুসলমানদের পতনের কারণ হইছে। আপনি বিল গেইটস হোন না কোন সমস্যা নাই, কিন্তু নিয়ত রাখেন সেই টাকা দিয়ে আপনি দুনিয়ার মানুষের উপকার করবেন, আপনি একজন ভাল সায়েন্টিস্ট হোন কোন সমস্যা নাই, কিন্তু এইটা টার্গেট করেন আপনার রিসার্চ দিয়ে আপনি মানুষের ভাল করবেন। মুসলমানদের কর্ম ফল তাদের নিয়ত এর সাথে সম্পর্কিত; আর এখন মুসলমানদের নিয়ত হয়ে গেছে খারাপ। এই জন্য পদে পদে তারা হেনস্থা হইতেছে, এবং হবে। পুরা পৃথিবীর সম্পদ এবং জ্ঞান যদি এই মুহূর্তে মুসলমানদের পা এর কাছে এনে দেয়া হয় তাহলে মুসলমানরা এখন ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই করতে পারবে না। কারণ তারা তাদের রুট ভূলে গেছে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৮

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: আমি এইটু ইতিহাসের পাতা থেকে ঘুরে আসি। ইসলাম যখন আসল এবং এর পরে প্রায় অর্ধেক পৃথিবী শাসন করল, সে সময়ে পৃথিবীতে ছিল মধ্যযুগ। বিজ্ঞান বা প্রযুক্তি তেমন এগোয় নি। ধীরে ধীরে পৃথিবী এগিয়ে যায়, ইসলাম সেই অগ্রগমণের সাথে খাপ খাওয়াতে পারে না। অভিযোজিত হতে ব্যর্থ হয়। ইসলাম যারা মেনে চলে তাদের পৃথিবীর এই বিভিন্ন উন্নতির 'করাল থাবা' থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়ে ওঠে না। আবার অনেক সময়ে নতুন এই সব আবিস্কারকে খারাপ পথে ব্যবহার করে ইসলামের বিপথগমণ হয়েছে।

একটা উদাহরণ দেই। বৈদুতিক মাইক নতুন এলে আমাদের উপমহাদেশের মোল্লারা তা গ্রহন করতে অস্বীকার করে প্রথমে। আর এখন সারা রাত জনাকীর্ণ পাড়া মহল্লায় সারা রাত ধরে উচ্চস্বরে বেসুরো 'ইসলামী সঙ্গীত' ও ওয়াজের নাম করে পাড়া-কাঁপিয়ে ইসলাম ইসলাম করে জপা হয়। এতে মানুষ কি ঐ সব রাতের-ঘুমহরণকারীদের উপরে লানত বর্ষণ করে না?

সুরা রা'দের ২৫ নম্বর আয়াতে 'আল্লাহর অঙ্গীকার' নিয়ে যা বলেছেন এবং ঠিক তার পরের আয়া অনুসারে পার্থিব জীবনকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করলে কি হবে তার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। রিজিকের জন্য আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারুকে বড় মনে করাটাই একটা শিরক। আমরা হরহামেশাই তা করছি। কোন'আনে এও বলা হয়েছে, বেশি বাড়াবাড়ি ভালো না, এবং মধ্যপন্থা সর্বোত্তম পথ। তালেবানরা বেশি ধর্ম মানতে গিয়ে বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে, এবং মধ্যপন্থা থেকে সরে গিয়েছিল।

সেইসাথে এইটাও স্মরণ রাখা প্রয়োজন, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে ইসলাম পারবে না। সমাজ ব্যবস্থা হিসাবে এই ধর্ম এখন অচল। ১৪০০ বছর আগে যা আইন ছিল, তা এখন কালের পরিক্রমায় অচল। যেমন ডান হাতের অধিভুক্তদের উপরে অধিকার, যা কিনা যৌন সম্ভোগের অধিকার। মধ্যযুগের এই ধারণা এখন অচল। কিন্তু এটা ইসলামে আছে, এর পরিবর্তন করা যাবে না।

বেশি লেখা গেল না। তবে কোর'আন পড়লে অনেক কিছুই পাওয়া যায় যেগুলো কি না আজকের সময়ের সাথে খাপ খায় না। তাই ইসলাম ধীরে ধীরে মুখ থুবড়িয়ে পড়বে। হ্যাঁ, কোর'আনে যেমন বলা আছে সেই মতে যদি কেয়ামতের ক্ষণ গনণা শুরু হয়ে যায়, তা হলে দজ্জাল ও ইসা নবীর আসার সময় প্রায় এগিয়ে এসেছে। তা হলে ইসলাম ও মুসলমানদের এই পরাজয়গুলো মেনে নেওয়া যায় কেননা এগুলো কেয়ামতেরই লক্ষণ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৬

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। প্রথমেই আপনি একটা ধাপ মিস করেছেন। তাহল প্রথমে ছিল অন্ধকার যুগ (আইয়ামে জাহেলিয়াত)। কিন্তু মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার পর, জ্ঞান বিজ্ঞানের অনেক উৎকর্ষ ঘটে। মুসলমানরা গণিত, রসায়ন, চিকিৎসা, ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে অগ্রগামী ছিল। তার পড়ে আপনি যা বলেছেন তাই। ধীরে ধীরে তারা সেই জায়গা থেকে সরে এসেছে। এটা আমার লেখার প্রথম দিকেই বলা আছে। এই পিছিয়ে পড়ার কারন কি? একই কারন। সেইজন্য একসময় যে মুসলিমরা জ্ঞান বিজ্ঞানে অগ্রগামী ছিল, তারাই পড়ে এর থেকে দূরে চলে গেল এবং এর সাথে শত্রুতা সৃস্টি করল যার উদাহরণ আপনি নিজেই দিয়েছেন।

আপানার দ্বিতীয় প্যারায় আপনি মধ্যপন্থার কথা বলেছেন । আপনি বলেছেন "তালেবানরা বেশি ধর্ম মানতে গিয়ে বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে, এবং মধ্যপন্থা থেকে সরে গিয়েছিল"। -এই সরে যাওয়াটা কোরআন অনুসারে হাদিস বা সুন্নাহ অনুসারে নয়। এই পার্থক্য বুজতে পারলেই আপনি বুজবেন কেন আমরা মুসলমানরা পড়ে পড়ে মার খাচ্ছি।

আপনার তৃতীয় প্যারায় যা বলেছেন তার উত্তরে আমি বলব প্রচলিত শরিয়া আইন অচল, কিন্তু আপনি কোরআন থেকে এমন কোন আইন দেখাতে পারবে না যা বর্তমান ব্যবস্থায় অচল। আপনার জন্য এটা জানা উচিত যে প্রচলিত শরিয়া আইন যা আপনারা ইসলামিক আইন বলে থাকেন তার খুব কমই কোরআন থেকে নেওয়া হেয়েছে। কোরআনের আইন আর শরিয়া আইন এক না। আর একটা ব্যপার কোরআনের আইন প্রণয়নের ব্যপারে সুন্দর ব্যাবস্থা দেয়া আছে। এটা ফিক্সড এবং ভেরিয়েবল কম্বিনেশন, যার ফলে সময়ের সাথে ভেরিয়েবল অংশ কোরআনের লিমিটের মধ্যে রেখে সব সময় পরিবর্তন করার অপশন আছে আর এই কারনে কোরআনের আইন সব সময়ের জন্য প্রযোজ্য। এইভাবেই আল্লাহ কোরআনের আইন দিয়েছেন যাতে সময়ের সাথে প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি লিমিটের মধ্যে থেকে আইন প্রণয়ন করতে পারেন।

আপনি " ডান হাতের অধিভুক্তদের উপরে অধিকার" নিয়ে বলেছেন। এইটা নিয়ে অনেক ভুল ধারনা আছে। কোরআনের ৬৬ঃ১০ আয়াতে এরা কারা তা বলা হয়েছে। আর এরা কোন ভাবেই যৌন সম্ভোগের সামগ্রী না। কোরআনে এই ধরনের কথা বলা হয়নি।কোরআনকে হাদিস দিয়ে ব্যখা করলে এই জিনিষ পাওয়া যায় যেখানে আল্লাহ এই ধরনের কোন কথা বলেন নি। আপনি নিজে কোরআন পড়ে দেখুন।

আপনার শেষ প্যারা, আপনি বলেছেনঃ "তবে কোর'আন পড়লে অনেক কিছুই পাওয়া যায় যেগুলো কি না আজকের সময়ের সাথে খাপ খায় না"- আমার প্রশ্ন আপনি কোরআন পড়ে কি এমন পেয়েছেন যার প্রেক্ষিতে আপনি এই কথা বলছেন। দয়া করে একটা উদাহরণ দেন কোরআন থেকে রেফারেন্স সহকারে যে কোন জিনিসটা আপনি আজকের সাথে খাপ খাওয়াতে পারছেন না। তাহলে আমার উত্তর দিতে সুবিধা হবে।

দ্বাজ্জাল বলে কোরআনে কিছু নাই। এইটা মানুষের বানানো, এবং ঈসা নবী পৃথিবীতে আবার দ্বিতীয়বার আসবেন না। এইগুলি হাদিস থেকে নেওয়া, কোরআনে এই সম্পর্কে কিছু বলে নাই। আরও জানতে হলে আপনি আমার আগের দুইটা লেখা দেখতে পারেন নিচের লিঙ্কেঃ
http://www.somewhereinblog.net/blog/hanifdhaka/30056077
http://www.somewhereinblog.net/blog/hanifdhaka/30067495

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে দুঃখিত হলাম । আপনার বিভিন্ন মন্তব্য আর দুএকটা পোস্ট পড়ে আপনাকে ধর্মবিষয়ে ভাল পড়ালেখা করা ব্লগার ভেবেছিলাম । কিন্তু যে মানুষ তালেবানের মত আমপাড়া পড়া শয়তান, শিশু হত্যাকারী, সভ্যতা এবং মানবতার শত্রুদের পরাজয় নিয়ে চিন্তিত এবং সেটা নিয়ে ব্যাখ্যা বিশ্লেষনে রত তার প্রতি করুনা করা ছাড়া আমার আর কিছু করার নেই ।

তালেবান, বোকো-হারাম, আইএস এদের সামাজ্ঞ্য জয় তো দুরের কথা, অচিরেই এরা বিলুপ্ত হবে । ইনশাআল্লাহ, অতি নিকট ভবিষ্যতেই সেটা আমরা দেখব । আর মুসলমানদের জয়-পরাজয়ের রাজনৈতিক কারণ বিশ্লেষণ হতে পারে, কিন্তু তার অধঃপতনের কারণ খুব সহজ, এদের মধ্যে জ্ঞানের চর্চা নেই, আছে বিভেদের চর্চা। এরা অসহিষ্ণু আর মূর্খ । যে সৃষ্টা এই বিশাল বিপুল বিশ্ব-ব্রম্মাণ্ড বানিয়েছেন, যিনি লক্ষ-কোটি নক্ষত্র, বিচিত্র প্রাণি, প্রকৃতি, আকাশ, পাহাড়, সমুদ্র, বন, পাখির সৃষ্টা, তিনি যে বিশেষ কোন সম্প্রদায়ের নয়, তিনি সবার, আর তার আনুকূল্য, রহমত পেতে গেলে যে সাধনা ছাড়া আর কোন পথ নেই- এই সহজ কথাটাই তো আজ পর্যন্ত এরা বুঝে উঠতে পারলো না । ......

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৫

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনার প্রশ্নের উত্তর দুই ভাবে দেওয়া যায়।

প্রথমত, আপনি সম্পূর্ণ ব্যাপারটা ভুল বুঝেছেন। তালেবানদের পরাজয়ে আমি চিন্তিত না। আমি এখানে এটাকে কেস স্টাডি হিসাবে দেখিয়েছি। ভাল করে পড়ে দেখেন, আমি বলতে চেয়েছি, তালেবানরা এত কঠোর ভাবে সুন্নাহর অনুসারী হবার পরেও কেন পরাজিত হল? এবং এর উত্তরের ইঙ্গিতও আমি আমার লেখায় দিয়েছি। আমার তাদের প্রতি নিজের ব্যক্তিগত কোন রকম দুর্বলতা নেই। আশা করি পুরা লেখার মেসেজটা বুজতে পারবেন।

আপনি তালেবান দের সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন " কিন্তু যে মানুষ তালেবানের মত আমপাড়া পড়া শয়তান, শিশু হত্যাকারী, সভ্যতা এবং মানবতার শত্রু"- আপনি এইটা কিসের ভিত্তিতে বললেন? আপনার মনে হয়েছে তাই? তাদের কাজকর্ম আপনার বিবেকে আঘাত করেছে তাই? কিন্তু আপনি কি জানেন তারা প্রায় সব কাজ সুন্নাহ এবং হাদিস অনুসারে করেছে, আপনার ভাল লাগুক আর নাই লাগুক, সত্য এইটাই। আপনি যদি সুন্নী মতাবলম্বী হয়ে থাকেন তবে আপনাকে আমি বলব হিপোক্রেট, কারন আপনি একদিকে সুন্নাহ এবং হাদিস মানেন কিন্ত এর প্রয়োগ দেখে এই সব বলছেন। ভাই যেটা ভ্যরিফাই করা যায়, সে সম্পর্কে কোন কিছু মনে করার দরকার নেই। আপনার আবেগকে এক পাশে রেখে, আপনি তাদের এক্টিভিটর সাথে হাদিস এবং সুন্নাহর বই খুলে মিলিয়ে দেখেন তাহলেই বুঝবেন।

আমার প্রস্ন ছিল এত সঠিক ভাবে শরিয়া অনুসরণ করার পরও তারা কেন পরাজিত হল যেখানে আল্লাহ সুস্পস্ট বিজয়ের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। তাহলে হয় আল্লাহর প্রমিজ ভুল অথবা তাদের এই ধর্মীয় কাজ যা মুলত হাদিস এবং সুন্নাহ থেকে এসেছে তা ভুল। আমার বিশ্বাস আল্লাহর প্রমিজ কোনভাবেই ভুল হতে পারেনা, সুতারং তাদের কোথাও ভুল হয়েছে। ভুলটা কোথায় হেয়ছে তাও আমি বলেছি "নবীর অভিযোগ আরোপ" প্যারায়। খুব সিম্পল ব্যপার। তারা কোরআন কে নেগলেক্ট করেছে। তারা যদি কোরআন অনুযায়ী চলত, তবে তারা যে কাজ গুলি করেছে, তা কখনই করতনা- এবং আপনার বিবেকও আঘাত করতনা। কারন তাদের সব কাজ হাদিস এবং সুন্নাহ দিয়ে অনুমোদিত, কোরআন দিয়ে নয়, এবং আল্লাহ কোরআন ছাড়া অন্য কিছু অনুমোদন করেননি। এই জন্য সবার শেষে আমি একটা প্রশ্ন করেছিলাম, কিন্তু কেউ এর উত্তর দেয়নি।

শিয়া এবং সুন্নী ইসলামের সবচেয়ে বড় দুইটা দল। আমি এই দুটা দলের উদাহরণ দিয়েছি বুঝানোর জন্য। আমাদের দেশে অধিকাংশই সুন্নী। তালেবানরাও সুন্নী, এইখানে আমার লেখায় উদাহরণ গুলিকে শিয়া সুন্নী - এই দুইটা দলের উদাহরণ হিসাবে দেখেন, তাহলেই বুজবেন।

আমার ইস্যুটা তালেবান নিয়ে নয়, বরং ইসলামের এই দুইটা দল নিয়ে।

আর ধর্মের ব্যপারে মনে যা আসে তাই বলে ফেলিনা। আমি কি মনে করি তার চেয়ে বেশি গুরত্বপুর্ন হচ্ছে কি বলা হয়েছে এবং এর দলিল কি।
আপনাকে ধন্যবাদ।

৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮

মোহাম্মদ জামিল বলেছেন: হানিফ ভাই ধন্যবাদ- এ লেখাটার জন্য। যতদুর আমি কোরান পড়ে জেনেছি...কোরান এ জিহাদ এর কিছু প্রকারভেদ পরলক্ষিত হয়... সেগুলো হল--- ১) জিহাদ এ মাল (নিজের সম্পদ মানুষের কল্যান এ দান করে জিহাদ), ২) জিহাদ এ নফস্ (নিজেকে পরিশুদ্ধ করার জিহাদ ৩) কোরান প্রচার করার জিহাদ ৪) মারামারির জিহাদ তবে আল্লাহ আমাদের সাথে ওয়াদা করেছেন যারা মারামারির জিহাদ করবে তারা জয়ী হবে। কিন্তু বিগত হাজার বছর এর ইতিহাস দেখেন স্বঘোষিত মুসলমান (মুসলিম হতে কারো ঘোষনা লাগে না) রা দলে উপদলে বিভক্ত হয়ে নিজেরা নিজেদের শেষ করে, আল্লাহ জীবন বিধান অবহেলিত করেছে পদে পদে। আজকাল একজন মুসলিম চেনার উপায় আপনার দাড়ি আছে কিনা, আপনার কপালে দাগ আছে কিনা, আপনি জুব্বা পড়েন কিনা, সুন্নতি পোশাক, সুন্নতি খানা, নামের আগে হাজী আছে কিনা, কোরবানী দেন কিনা। আজকের তথাকথিত মুসলিম সমাজ এ সম্পদ দিয়ে মানুষের কল্যান এর জিহাদ অনুপস্থতি, নিজেকে শুদ্ধ করার জিহাদ অনুপস্থিত, শুধুমাত্র কোরান এর বানী প্রচার এর কাজ অনুপস্থিত... শুধুমাত্র হাদিস এর ভিত্তিতে মারামারির জিহাদ উপস্থিত।

তবে আল্লাহ বলেছেন কোরান এ "তোমাদের মধ্যে একটা দল থাকবে যারা সৎ কাজের আদেশ দেয়, অসৎ কাজের নিষেধ" এবং সে দলের মধ্যে উপরের সকল প্রকার জিহাদের বৈশিষ্ট্য খুজে পাওয়া যাবে। এখন কোরান দিয়ে খুজতে হবে সে দলকে, কারা তারা।








১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। এখন এইসব মুসলমানের লক্ষণ আপনারা (মানে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন সময়ে) বানিয়েছেন, আর আল্লাহর নামে চালিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহ যেটা কোথাও বলেনি অথবা যেটা সরাসরি নিষেধ করেছেন তা আপনারা নবীর নামে মিথ্যা হাদিস আর সুন্নাহ বানিয়ে সেটা জায়েজ করে নিয়েছেন। মানুষের চোখে আপনি বিশাল জোব্বাধারী মুসলমান, কিন্তু আল্লাহর চোখে কি সেটা কোন দিন মিলিয়ে দেখেছেন? বিচারক হল আল্লাহ, এবং সংবিধান হল কোরআন। এই অনুযায়ী বিচার হবে। তাহলে সংবিধান অনুযায়ী না চল্লে তো বাচতে পারবেন না। বিচারের দিন আল্লাহর কোন প্রশ্নের জবাবে যদি বলেন অমুকে বলেছিল বা অমুকের বইয়ে লেখা ছিল বলে এটা করেছি, মনে হয়না এতে কোন লাভ হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

বিঃদ্রঃ আপনি= বিভিন্ন মানুষ, একক ভাবে আপনাকে বলি নাই। সুতারং পারসনালি নিয়েন না।

৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৪০

রামন বলেছেন: মুসলিমদের পরাজয়ের বহুবিধ কারণ রয়েছে ,আমি শুধুমাত্র ১টি কারণ উল্লেখ করব৷ ইসলাম যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে অক্ষম। জাহাজের নবিক সমুদ্রের বুকে পাল তুলে যদি সে বাতাসের বিপরীতে জাহাজ ধাবিত করে তাহলে তো দুর্ঘটনা অবসম্ভাবী। বিংশ শতাব্দির চলমান আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ধারার সাথে ইসলাম সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়৷

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৭

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি বলেছেন " বিংশ শতাব্দির চলমান আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ধারার সাথে ইসলাম সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়"৷
এই রকম একটা প্রশ্নের উত্তর আমি ৬ নং কমেন্টে দিয়েছি। কোরআনের বিধান সম্পর্কে অজ্ঞতার দরুন মানুষের মধ্যে এই ধারণা তৈরি হয়েছে। দয়া করে কোরআন পড়ে দেখুন এবং এর পড়ে বলুন কেন ইসলাম যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে অক্ষম। আল্লাহর কোন বিধান আপনার কাছে বর্তমান যুগের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে হয় তা স্পেসিফেকিলি বলুন, তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে। অযথা যা মনে আসে তাই বলে বসবেন না।
ধন্যবাদ।

১০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৭

কৃদন্তপদ বলেছেন: বিংশ শতাব্দির চলমান আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ধারার সাথে ইসলাম সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়৷[/sb
কি বুঝচ্ছেন? একট উদাহরণ দেন তো-

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৮

হানিফঢাকা বলেছেন: যিনি এই মন্তব্য করেছেন, আশা করি উনি এর উত্তর দিবেন।

১১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অাপনার বিশ্লেষণ যথার্থই মনে হয়েছে ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৮

জেকলেট বলেছেন: আপনার লেখাটায় অনেকগুলো মৌলিক প্রশ্ন রয়েছে। এবং সেই সঙ্গে অনেকের উত্তরগুলো মোটামোটি একটা চিত্র পাওয়া যায়। *মুসলমানদের পতনের প্রধান কারন আমার মনে হয় কোরআন থেকে দুরে সরে যাওয়া।
*এরপর নিজেদের ভিতর মূর্খের মত কামড়া কামড়ি করা। ছেড়া তসবির দানার মত নিজেদের ভিতর মতভেদ।
আজকে আল্লাহ কেন আপনাকে সাহায্য করবেন?? সবারই এক আল্লাহ ছাড়াও অসংখ্য খোদা আছেন। কারো খোদা ক্ষমতা কারো বা টাকা পয়সা, কারো নিজের জ্ঞান
আমাদেরকে মনে রাখতে হবে আল্লাহ কোরআনের প্রথম আয়াত হিসেবে উনার কোন গুনাগুনের ইবাদত করতে বলেননি। উনি বলছেন পড়তে, উনার নামে উনার সৃষ্টিকে জানতে। বাকি সকল ইবাদত অনেক পরে এসেছে। আজ পৃথিবীতে সবচেয়ে মূর্খ জাতি হচ্ছে মুসলমান। এরা জ্ঞান-বিজ্ঞানের কোন শাখায় ই অবদান রাখতে পারছেনা এমনকি নিজের ধর্মটাকে পর্যন্ত নিজের প্রয়োজনে ব্যাবহার করে। ধর্মিয় জ্ঞান নাই বা থাকলে ও তা অন্ধ, কুসংষ্কারে ভরা। আর আমরা তাকিয়ে থাকি কখন আসমান থেকে আল্লার সাহায্য আসবে। আল্লাহ উনার ওয়াদার ব্যাপারে পূর্ন অঙ্গিকারাবদ্ব। আপনি সাহায্য নেওয়ার মত যোগ্যতা অর্জন করুন অবশ্যই আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করবেন। আজকের মুসলমানরা অমুসলিমদের কাছে ধরনা দিচ্ছে সাহায্যের জন্য। সিরিয়া, ইরাকের মুসলমানরা বাস্তু ভিটাচ্যুত। অথচ কোরআনের আইন তা বলেনা।ধর্ম গুলোর মাঝে ইসলাম ই প্রথম যোদ্বের সীমারেখা টেনেছে। যুদ্বের ময়দানে নাই অথবা যুদ্বের সাথে জড়িত নন এদেরকে কোনভাবেই যুদ্বের অংশ হিসেবে কোন ক্ষতি করা যাবেনা। ইরাক, সিরিয়া্য ইসলামের নাম করে জিহাদের নাম করে এই সকল জিহাদি কি করছে??
তালেবানদের ব্যাপারে: হা আল্লাহ অঙ্গিকারাবদ্ব। কিন্তু আল্লাহ তো কোরআনে ধর্মের নামে বাড়াবাড়ি নিষেদ করেছেন। তাহলে কিসের ভিত্তিতে তালেবানরা বাড়াবাড়ি করেছেন??? আপনি যখন কোন এলাকার খলিফা হবেন তখন সেই ভূখন্ডের শান্তি সৃংখলা থেকে শুরু করে যাবতিয় ব্যাপারে আপনার দয়িত্ব আছে। সেই দায়িত্বের প্রতি সচেতনতার কারনে উমর (রাঃ) জেরুজালেম দখল করার পর গির্জায় নামাজ আদায় করেননি। জেরুজালেমর পাদ্রিদের অনুরোধ সত্বেও।
আমাদেরকে আবার রসূলের দেখানো পথেই ইসলামকে চিনতে হবে। সেইভাবে চিন্তা করতে হবে। নেতা নির্বাচনের ব্যাপারে এবং নেতাকে অনুসরনের ব্যাপারে কোরআন এবং হাদীস যেভাবে বলেছে তা অনুসরন করতে হবে। সর্বপরি কোরাআনের ব্যাপারে ব্যাপক জ্ঞান থাকতে হবে।
এখানে অনকেই বলেছেন ২১ শতকে ইসলাম অনুপযোগি। আমার কথা হল ভাই আপনি মুসলমানকে দেখে নয় ইসলাম সম্পর্কে পড়ালেখা করে বলেন এই আধুনিক সময়ের কোন ব্যাপারে ইসলাম অনুপযোগী???
আরো অনকে কিছু বলার ছিল। আসলে আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তার জন্য একটা বিরাট পোষ্ট করতে হবে। ভালো থাকবেন।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩২

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনি বলেছেন "মুসলমানদের পতনের প্রধান কারন আমার মনে হয় কোরআন থেকে দুরে সরে যাওয়া"। -আমার উপলব্ধি ও তাই। এই ব্যপারে আমি আপনার সাথে একমত। আর বাকি ঘটনা হচ্ছে এর কন্সিকয়েন্স।

আপনি বলেছেন " কিন্তু আল্লাহ তো কোরআনে ধর্মের নামে বাড়াবাড়ি নিষেদ করেছেন। তাহলে কিসের ভিত্তিতে তালেবানরা বাড়াবাড়ি করেছেন??? "- এটা খুব সহজ উত্তর। তালেবানরা যেই কাজ গুলি করেছে সেগুলি হাদিস এবং সুন্নাহ দ্বারা অনুমোদিত, কোরআন দ্বারা নয়। তারা কোরআনের উপরে ঐ গুলিকে প্রাধান্য দিয়েছিল।

আপনি বলেছেন " নেতাকে অনুসরনের ব্যাপারে কোরআন এবং হাদীস যেভাবে বলেছে তা অনুসরন করতে হবে"। সমস্যাটা এইখানে। কারন যেসব হাদিস আমাদের হাতে আছে তার বেসিরভাগের সত্যতাই প্রশ্নবিদ্ধ। আজকে এই হাদিস গুলি কোরআনের আলোকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, অনেক হাদিস জাল, এইগুলি নবীর নামে মিথ্যা কথা চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাদিস কোরআনের সাথে এমনকি অন্য হাদিসের সাথে কনফ্লিক্ট করে। কোরআনের সাথে এই হাদিসের মিশ্রণটাই আমাদের কে কোরআন থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।

১৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

জেকলেট বলেছেন: কোরআনের সাথে হাদিসের মিশ্রণ বলতে আপনি ঠিক কি বলতে চাচ্ছেন তা ঠিক আমার বোধগম্য নয়। তবে আমি মনে করি সহীহ হাদীস হল কোরআনকে উপলব্দি দ্বারা বোঝার মাধ্যম। আর সহীহ হাদীস হচ্ছে ইসলামের বুনিয়াদ। এখন প্রশ্ন আসতে পারে সহীহ হাদীস বুঝব কিভাবে?? প্রশিদ্ব হাদীস সংগ্রহাকরীরা যে সতর্কতার সহিত হাদীস সংগ্রহ করেছেন এবং ইসলামি ষ্কলাররা সহীহ হাদীস বোঝার যে নিয়ম পালন করেন তা আমার দৃষ্টি্তে অনেকটাই নিরাপদ। এক্ষেত্রে উনারা কোরআনের সাথে সাংঘার্ষিক যে কোন হাদীসকেই বাতিল বলে গন্য করেন।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনি বলেছেন "তবে আমি মনে করি সহীহ হাদীস হল কোরআনকে উপলব্দি দ্বারা বোঝার মাধ্যম। আর সহীহ হাদীস হচ্ছে ইসলামের বুনিয়াদ। ভাই সমস্যাটা হচ্ছে মানুষ কি মনে করে আর আল্লাহ কি বলেছেন তা সবসময় এক নাও হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে কোরআন পড়লেই এই ব্যাপারে আপনি আশা করি বোঝতে পারবেন।শুধু এই টুকু বলতে পারি আল্লহ কোরআন ছাড়া অন্য কিছু অনুমোদন করেন নাই।

আপনি বলেছেনঃ " প্রশিদ্ব হাদীস সংগ্রহাকরীরা যে সতর্কতার সহিত হাদীস সংগ্রহ করেছেন এবং ইসলামি ষ্কলাররা সহীহ হাদীস বোঝার যে নিয়ম পালন করেন তা আমার দৃষ্টি্তে অনেকটাই নিরাপদ। এক্ষেত্রে উনারা কোরআনের সাথে সাংঘার্ষিক যে কোন হাদীসকেই বাতিল বলে গন্য করেন। "
এই খানে আপনার তথ্যগত ভুল আছে। যতজন হাদিস কালেকশন করে সংকলন করেছেন তারা তাদের হাদিস বিশুদ্ধ হবার জন্য বিভিন্ন ক্রাইটেরিয়া সেট করেছিলেন। কিন্তু তাদের কারো ক্রাইটেরিয়াতেই কোরআন কোনভাবেই ছিলনা। তাদের মূল ক্রাইটেরিয়া ছিল ইসনাদ বা "চেইন অফ ন্যারেটর"। সুতরাং হাদিস বিশুদ্ধ হবার জন্য কেউই কোরানকে ক্রাইটেরিয়া হিসাবে নেন নাই। এটা আপনি নিজে চেক করে দেখতে পারেন।
এর ফলে যা হয়েছে তা হল যে ছয়টি হাদিস বই কে আমরা সহি বলে জানি তাদের মধ্যে অনেক হাদিসের মধ্যে ইসনাদে সমস্যা, বর্ণনায় সমস্যা, এক বইয়ের হাদিস সেই বইয়ের অন্য হাদিসের সাথে অথবা অন্য বইয়ের অন্য হাদিসের সাথে অথবা কোরআনের সাথে কনফ্লিক্ট করে। বুখারি থেকে ইবনে মাজা- এই কথা সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
মানুষ একটা হাদিস বই থেকে জনপ্রিয় হাদিস বা তার পক্ষে যেটা যায় শুধু সেইটাই বলে, বাকি গুলি অভারলুক করে যায়। একটা উদাহরণ দেই, এইটা আমি আগেও কয়েক জায়গায় দিয়েছি, আপনার জন্য আবার দিলামঃ

বিদায় হজ্জের ভাষনে নবী বলেছেনঃ আমি তো্মাদের জন্য দুইটা জিনিস রেখে যাচ্ছি, তা হলঃ
ক। কোরআন এবং সুন্নাহ ( মুয়াত্তা ৪৬/৩)
খ। কোরআন এবং আহলে বায়াত (মুসলিম ৪৪/৪, হাদিস ২৪০৮, ইবেন হাম্বল ৪/৩৬৬)
গ। শুধুমাত্র কোরআন (মুসলিম ১৫/১৯, হাদীস ১২১৮, ইবনে মাজা ২৫/৮৪, আবু দাউদ ১১/৫৬)
এখন আপনি কোনটা বিশ্বাস করবেন? কোরআন এবং সুন্নাহ (ক), তাহলে আপনি বাকি হাদীসগুলিকে কি বাতিল করছেন না?
আপনাকে ধন্যবাদ।

১৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭

জেকলেট বলেছেন: আপনার পড়ালেখা এবং চিন্তার ধরন আমার অনকে ভালো লেগেছে হানিফঢাকা ভাই। আশা করি এবং দোয়া করি আরো অনেক এগিয়ে যাবেন এবং আল্লাহ আপনাকে একজন দ্বীনের সঠিক দ্বায়ী হিসেবে কবুল করবেন। আমীন

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৮

জেকলেট বলেছেন: দেখুন আপনার সাথে আমার এই ব্যাপারে মনে হয় কিছুটা মতের অমিল আছে। কোরআনের ব্যাপারে অবশ্যই এটা নির্ধারিত সত্য। কিন্ত প্রশ্ন হচ্ছে হাদীসের গুরুত্ব কি বা হাদীস কেন গুরুত্ব পূর্ন। তার আঘে জানতে হবে হাদীস কি?? আমার মনে হয় আপনি জানেন হাদীস হচ্ছে আল্লার রাসূলের কোন আমল, বানি, ঘোষনা, নির্দেশ ইত্যাদি। এখন পরবর্তিতে অনকেই প্রফেটের নামে অনেক হাদীস হিসেবে চালিয়া দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইসলামিক ষ্কলাররা যে কোন হাদীসকে সরাসরি কোরআনে মাপকাঠিতে ফেলে দিয়ে যাচাই করে নেন। যদি দেখা যায় কোরআনের সাথে সাংঘার্ষিক তা হলে সেই হাদীস যতই নির্ভরযোগ্য হউক না কেন তা বাতিল। আর হাদীসের গুরুত্ব আমার কাছে অপরিশীম কারন ইসলামের প্রথম যুগের নির্ভরযোগ্য ইতিহাস শুধুমাত্র হাদীসের মাধ্যমেই পাওয়া সম্ভব। আরেকটা কারনে হাদীস দরকারি তা হচ্ছে আল্লাহ কোরআনে শুধু এবাদত করার কথা বলে দিয়েছেন কিন্ত তা কিভাবে করতে হবে তা কিন্তু উনি প্রফেটকে শিখিয়ে দিয়েছেন। এখন হাদীস ছাড়া আমরা তা কখনই পাবনা। যেমন নামাজ: কোরআনে নামাজের কথা আসছে। কিন্তু নামাজ কিভাবে পড়ব, কয় রাকাত পড়ব, কয় বেলা পড়ব তা আমরা শিখেছি প্রফেটের মাধ্যমে। এইভাবে ইসলামি শরিয়ার অসংখ্য নিয়ম কানুন হাদীসের মাধ্যমে আমাদের কাছে পরিষ্কার হয়েছে। আর দূর্বল রেফারেন্সের ব্যাপারে আপনাকে তো স্বাধিনতা দেয়াই আছে। কোরআনে বলা হয়েছে আমাদের জন্য সর্ব উত্তম আদরশ হচ্ছেন আল্লার রাসূল। এখন সহীহ হাদীস ছাড়া আমার আল্লার রাসূল কে কেমনে জানবো??

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭

হানিফঢাকা বলেছেন: এই খানে আপনার মতের সাথে আমার মতের কোন অমিল নাই। আপনি যেটা বলেছেন আমি সেটাই বলছি। সমস্যাটা হচ্ছে আমাদের বুঝতে ভুল হচ্ছে। আগে আমি আমার অবস্থান পরিষ্কার করি।আমি যেটা করেছি তা হল প্রথমে কোরআন পড়েছি এবং সেইখান থেকে কোরআন অনুসারে কি ক্রাইটেরিয়া আছে তা বের করেছি (আমার আগের অনেক লেখাতে এটা আমি বলেছি)। কোরআন অনুযায়ী যেকোন ব্যাপারে ক্রাইটেরিয়া হচ্ছেঃ
১।নবী শুধু মাত্র কোরআন অনুসরণ করত (৭:২০৩)
২। “কোরআনে যা কিছু বলা হয়নি তা আমাদের ধর্ম/দ্বীন এর ব্যপারে গুরুত্তপুর্ন নয় (৫:৩) এবং যা কিছু কোরআনের সাথে সাঙ্গর্সিক তা অবশ্যয় বর্জনীয়”। (২৫:১, ২:১৮৫, ৪৫:৬)
৩। যা কিছু আল্লাহর কাছ থেকে নির্দেশনা আসবে তার মধ্যে কোন কনফ্লিক্ট থাকবেনা (৪:৮২)

সুতরাং আমি হাদিসের ব্যপারে সেইসব হাদিসকে বাতিল বলছি যা কোরআনের সাথে সাঙ্গর্সিক, সব হাদিসকে নয়। আপনিও একই কথা বলছেন। তাহলে সমস্যাটা কোথায়? সমস্যা হচ্ছে যখন আপনি বলছেন “এ ক্ষেত্রে ইসলামিক ষ্কলাররা যে কোন হাদীসকে সরাসরি কোরআনে মাপকাঠিতে ফেলে দিয়ে যাচাই করে নেন। যদি দেখা যায় কোরআনের সাথে সাংঘার্ষিক তা হলে সেই হাদীস যতই নির্ভরযোগ্য হউক না কেন তা বাতিল”।–এইটা আপনি বলছেন, আমি বলছি, এবং আমি এটাই মানি, কিন্তু স্কলাররা সেইটা করছে না। এইখানে আমি আপনাকে আগেই বলেছি যে এইটা স্কলারদের সম্পর্কে আপনার অনুমান নির্ভর কথা। কারন বেশিরভাগ (সব নয়) স্কলারই এই ক্রাইটেরিয়া মানেন না। আপনার মনে হচ্ছে তারা মানছে, কিন্তু তারা সত্যকার অর্থে হাদিস সহি নাকি জাল সেটা বের করার জন্য কোরানকে কখনই ক্রাইটেরিয়া হিসাবে নেন নাই, যারা হাদিস সংকলন করেছেন তারাও না। আপনার আশেপাশে কোন মোল্লার সাথে কথা বললেই বুঝতে পারবেন।উদাহরণ এই ব্লগেই আছে। যেমন কয়েকমাস আগে ব্লগে তর্ক হয়েছিল হযরত আয়েশার বিয়ের বয়স নিয়ে। বুখারি অনুযায়ী তখন উনার বয়স ছিল ৬ বছর। অথচ কোরআনে বিয়ের ব্যপারে যে বিধান বলা আছে তা এই বর্ণনার সাথে কনফ্লিক্ট করে। আমি কোরআন দিয়ে প্রমান করেছি, আরেক জন ব্লগার অন্য হাদিস দিয়ে প্রমান করেছে যে বিয়ের সময় আইয়েশার বয়স কখনই ৬ ছিল না। কিন্তু এইটা বুখারিতে আছে বলে কেউ বাতিল ও করেতে পারছে না, বরং কোরআনের ব্যাখা ভুল প্রমান করার চেষ্টা করেছে। তারা সবাই মুসলমান, সবাই কোরআন মানেন (অন্তত মুখে বলে)। কিন্তু কম মানুষ আছেন যারা সত্যিকার অর্থে বুখারির উপর আল্লাহর বানীকে সত্যিকার ভাবে মেনে নিতে পারেন। আপনার বেশিরভাগ (৯০-৯৫%) স্কলাররা কিন্তু এই ব্যাপারে বুখারিকেই বিশ্বাস করেন।

আপনি বলেছেন “আর হাদীসের গুরুত্ব আমার কাছে অপরিশীম কারন ইসলামের প্রথম যুগের নির্ভরযোগ্য ইতিহাস শুধুমাত্র হাদীসের মাধ্যমেই পাওয়া সম্ভব”- এটা একটা ভ্রান্ত ধারণা। আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন। এর জন্য একটু পড়ালেখার দরকার আছে। একবারে সবার আগে ইসলামের ইতিহাস লিখেছেন “ইমাম তাবারী”-এর পরে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যারা ইসলামের ইতিহাস লিখছেন তারা প্রায় সবাই এই তাবারীর বই থেকেই তথ্য নিয়েছেন এবং এটাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। আপনি দয়া করে তার লেখার শুধুমাত্র ভুমিকাটা পড়ে দেখবেন। আপনি যদি শুধুমাত্র ভুমিকা পড়েন তবে তাবারীর লেখা এই ইসলামের ইতিহাস আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। একটা উদাহরণ দেই, ধরেন আপনি মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস লিখবেন। এখন আপনি আশেপাশের মানুষের কাছ থেকে যা শুনেছেন তাই লিখে ফেললেন। কোন রকম তথ্য সংগ্রহ, যাচাই বাচাই করলেন না। আমার প্রশ্ন এইভাবে কি আপনি সঠিক ইতিহাস লিখতে পারবেন? আর লিখলেও কি এইটা বিশ্বাস যোগ্য হবে? আমার মনে হয় না। যদি এই ভাবে মাত্র ৪৪ বছর আগের ইতিহাস যদি আপনি সঠিক ভাবে লিখতে না পারেন, তবে ধারণা করার কোন কারন নেই যে ২০০ বছর পরে তাবারী যে ইসলামের ইতিহাস লিখেছে যা কোন রকম ডকুমেন্ট, প্রমান, যাচাইবাচাই ছাড়া তাই সত্য। সালমান রুশদীর “স্যাটানিক ভার্সেস” এ যে অভিযোগ করা হয়েছিল তা কিন্তু সরাসরি তাবারির বই থেকে নেয়া। লেখক নিজের ধারণা থেকে কিছু বলেননি, তিনি শুধুমাত্র তাবারির ঐ বিখ্যাত ইতিহাসের বই থেকে উদৃতি দিয়েছেন। তাবারীর এই ভুমিকার কারনেই মুসলমানরা নিজেদের কে ডিফেন্ড করতে পেরেছিল।ঐ ভুমিকার প্রেক্ষিতে সেদিন আপানার স্কলাররা নিজেদের গা বাচাতে তাবারীর বই গ্রহণযোগ্য নয় বলেছিলেন, কিন্তু যখন সবাই আবার ভুলে গেল তখন আবার সেই স্কলাররাই তাবারীর বই কে অনুসরণ করতে লাগল। এটাকে আপনি কি বলবেন? কি ব্যখা আছে এর?

সুতরাং আমাদের উচিত সত্যিকারে আল্লাহ কি বলেছেন তা জানা এবং মেনে চলা। কারন আপনার বিচার উনিই করবেন, এবং আপনাকে যে আইন দেওয়া হয়েছে (কোরআন) সেই অনুযায়ী করবেন।আরেকটা ছোট উদাহরণ দিয়ে শেষ করি। ধরেন আমাদের সংবিধানে চুরির জন্য নিদৃস্ট একটা শাস্তির বিধান আছে। এখন যদি আপনি চুরি করেন (উদাহরণ স্বরুপ, কিছু মনে করবেন না দয়া করে)এবং ধরা পড়ার পর কোর্টে আপানার বিচার হয়, সেখানে বিচারক আপনাকে জিজ্ঞেস করলেন আপনি কেন চুরি করেছেন? আপনি যদি বলেন যে অমুকে বলেছেন চুরি করা ভাল, এটা খারাপ না সেই জন্য আমি চুরি করেছি, তাহলে কি আপনি বাচতে পারবেন? এখন বিচারক যদি আইন অনুযায়ী আপনাকে শাস্তি দেন আপনি কি তাকে বলতে পারবেন অমুকে বলেছে যে চুরির জন্য কোন শাস্তি নাই, আমাকে কেন শাস্তি দিচ্ছেন? বিচারক কি আপনার কথা মানবে?
ধন্যবাদ আপনাকে।


১৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯

রামন বলেছেন: দেখুন আমার মন্তব্যের মাধ্যমে আপনার ধারণা ও বিশ্বাসের উপর আঘাত করার কোন ইচ্ছাই ছিল না৷ এক জনের সাথে অপর আরেক জনের চিন্তা- চেতনার মিল অমিল হতেই পারে। তাই বলে উপরের এক মন্তব্যকারী বাবুর সাথে আপনার মিল হয়েছে বলে সে ধন্যবাদ পাবে আর আমার তোষামোদী বিহীন মন্তব্যের কারণে আমি আক্রমনের শিকার হব, এটা তো ঠিক না৷
রাজনীতি এবং ধর্ম যে পরস্পরবিরোধী সেটা কেবল ইসলাম ধর্মের ক্ষেত্রে নয় বরং সকল ধর্মের বেলায় প্রযোজ্য। অতীতে আজকের উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর রাজনীতিতে ধর্মের প্রভাব ছিল প্রকট এবং অনেক দেশে ধমীয় অনুশাসনে দেশ পরিচালিত হত৷ ধর্মীয় শাসনের কারণে ন্যায় বিচার ও মৌলিক অধিকার বঞ্চিত সেদেশের জনগনের দুঃখ ক্লেশের অন্ত ছিল না৷ সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যে জর্জরিত সেই সময়ের লোকজনদের দুর্দশার কাহিনী ইতিহাসের পাতায় পরতে পরতে লেখা আছে৷
আর্থসামাজিক প্রসঙ্গ নিয়ে বলতে গেলে বর্তমান বিশ্বের বহুল আলোচিত বিশ্বায়ন পদ্ধতি টেনে আনতে হবে৷ ইসলাম ধর্মে ব্যবসা ও অর্থনীতির যে নীতিমালা দেয়া আছে সেটি বিশ্বায়ন পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা হলে দু দিনের মধ্যেই বিশ্ব অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পরে যাবে। এরকম আরও অনেক কারণ আছে যা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের সাথে বিরোধপূর্ণ। এই বিষয়ে আর লিখতে ইচ্ছে করছে না কারণ ঘুরে ফিরে একই কথা বলবেন ' তাল গাছটি আমার৷'.ধন্যবাদ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২০

হানিফঢাকা বলেছেন: ভাই, আপনি আমাকে ভুল বুঝেছেন। আমি আপনাকে কোন ভাবেই আক্রমণ করিনি। আমার লেখার ভাষা যদি আক্রমনাত্নক হয়ে থাকে সেই জন্য প্রথমেই আমি আপনার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আবারও বলছি কিছু মনে করবেন না। মতের মিল না হলে কাউকে আক্রমণ করা আমার স্বভাব না, নিজের সম্পর্কে এইটা আমি বলতে পারি।

আপনি আগের কমেন্টে যা বলেছেন সেটা এত বেশি ব্যাপক এবং এত বেশি কিছু কাভার করে যে এর উত্তর সত্যিকার অর্থে এই স্বল্প পরিসরে দেওয়া সম্ভব না। সেই জন্য আমি আপানার কাছে স্পেসিফেকিলি জানতে চেয়েছিলাম ঠিক কোন বিষয়টা আপনার কাছে অসামঞ্জস্য মনে হয়েছে। তাহলে আলোচনা করতে সুবিধা। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। কারন অনেকেই এই ধরনের কথা বলে কিন্তু যখন তাদেরকে স্পেসিফিক ভাবে জিজ্ঞেস করা হয় তখন তার কোন সদুত্তর দিতে পারেনা। এর কারন হচ্ছে সবাই শুনেছে, কিন্তু কেউ যাচাই করে দেখেনি।

এইবার আসা যাক আপনার দ্বিতীয় কমেন্টের ব্যাপারে। আমরা মুসলমানরা দ্বীন কে ধর্মে রূপান্তর করেছি। দ্বীন হচ্ছে আমাদের গড আমাদের জন্য যা বিধান দিয়েছেন, এটা একশন বা কর্ম নির্ভর, আর ধর্ম হচ্ছে রিচুয়ালাস্টিক। কোরআনে " ল অফ রিকুইশিয়াল" এর কথা বিভিন্ন ভাবে বলা আছে, কিন্তু আমরা সেইটা ইগনোর করে গেছি। এত কথা বলার কারন হল আপনি দ্বিতীয় প্যারায় যা উল্লেখ করেছেন তা ধর্মের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, দ্বীনের ক্ষেত্রে নয়। ইসলামের ইতিহাস দেখলে আপনি দেখবেন যে এই ইসলাম পরবর্তী প্রায় ১০০ বছর মুসলমানরা অনেক কিছুতেই অগ্রগামী ছিল। আপনি যে ধর্মের কারনে দুঃখ কষ্টের বর্ণনা দিয়েছেন তা ঐ সময় মুসলমানদের মধ্যে ছিলনা।এর পরে আস্তে আস্তে পতন হওয়া শুরু করে। প্রশ্ন হল কেন? আমি সে উত্তর খোজার চেষ্টা আমি করেছি। এর দুইটা উপায় আছে, একটা বটম আপ আরেকটা টপ ডাউন।আমি দুই ভাবেই এনালাইসিস করেছি এবং প্রথম পদ্ধতিটা (বটম আপ) দিয়ে এর কারণও বলেছি।

আমরা আমদের আল্লাহ প্রদত্ত বিধান ফেলে মানুষ দ্বারা রচিত মনগড়া বিষয়কে ধর্ম বলে আঁকড়ে ধরে নিজেরা বিভক্ত হয়ে নিজেদের সাথে মারামারি করছি বলেই আমাদের এই অবস্থা। এইখানে মূল বিধানে (কোরআন) কোন সমস্যা নেই। সমস্যা হচ্ছে আমাদের মধ্যে। এর কারনেই সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সবক্ষেত্রে আমরা মার খাচ্ছি। আপনার অবগতির জন্য বলছি, ইসলামিক আইন বা শরিয়া আইন বলতে যা বুঝায় তাও খুব কমই কোরআন থেকে নেওয়া হয়েছে। আল্লাহর দেয়া বিধান আর প্রচলিত শরিয়া আইন এক জিনিষ না। যদি এক জিনিষ ভাবেন তবে ভুল হবে। সুতরাং সত্যিকারে আল্লাহ আমদের যে বিধান দিয়েছেন (বিধান) এবং আমরা কি করছি (প্র্যাকটিস) তা এক না। সুতরাং আপনার মূল বিধান এবং প্র্যাকটিস কে আলাদা করে দেখতে হবে। আমি মূল বিধান নিয়া কথা বলছি, প্র্যাকটিস নিয়ে নয়।

সুতরাং আমাদের মূল বিধান কোরআনে যে বিধান গুলি দেওয়া আছে তার কোনটা প্রয়োগযোগ্য নয় তাই আমি স্পেসিফিকেলি জানতে চেয়েছি। আপনি অর্থনীতির কথা বলেছেন, আপনার ভাষায় “ইসলাম ধর্মে ব্যবসা ও অর্থনীতির যে নীতিমালা দেয়া আছে সেটি বিশ্বায়ন পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা হলে দু দিনের মধ্যেই বিশ্ব অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পরে যাবে” – এখন আমি জানতে যাচ্ছি ঠিক কোন বিধানের দরুন এটা হতে পারে বলে আপনি মনে করছেন। কারন আপনি এখানে জাস্ট একটা স্টেটমেন্ট দিয়েছেন, কোন নীতিমালা, কোন রেফারেন্স, কোন কারন কিছুই বলেন নাই। তাহলে আমি কোন কথার ভিত্তিতে আপনাকে উত্তর দেব। এখন আমিও যদি আপনাকে আপনার পদ্ধতিতে একটা স্টেটমেন্ট দিয়ে দেই যে “আপনি ভুল বলেছেন” কিন্তু কেন ভুল বলেছেন সেইটা না বলি আপনি কি আমার কথা মানবেন? অবশ্যয় না। তাহলে আপনি কিভাবে আমাকে বলতে পারেন যে আমি বলব ' তাল গাছটি আমার৷' আপনার কাছে অনুরধ, দয়া করে এই ধরনের পূর্ব ধারনার বশবর্তী হবেন না। আবারও বলছি আপনাকে কোন রকম ভাবে আক্রমণের উদ্দেশ্যে কথা গুলি বলিনি। আমি শুধু আপনার কাছ থেকে রেফারেন্স সহ স্পেস্ফিক কারন জানতে চেয়েছিলাম। এর বেশি কিছু নয়।
আমার ব্লগ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪

জেকলেট বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আসলে আপনি যেভাবে হাদীসের সত্যতা যাচাই করেন আমি অনেকটা কাছাকাছি ভাবেই হাদীসের সত্যতা যাচাইর চেষ্টা করি। নিজের জ্ঞানের সল্পতার কারনে অনেক সময় ই কোরআনের অনেক আয়াতের মর্মার্থ উদ্বার করতে পারিনা বা কষ্ট হয়। তখন এই আয়াতের রেফারেন্সে কোন হাদীস নাজিল হলে তার উৎস, কারন, ইতিহাস, শানে নুযুল ইত্যাদি খুজতে থাকি সেই ক্ষেত্রে অনেক সময় ই পারিপার্সিক অনকেগুলো হাদীস পড়ে তার ইতিহাস পড়ে কিছুটা ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্বি হয়।
আর আশ পাশের মোল্লাদের কথা কি বলব?? এরা রুটি রুজির জন্য নিজেদেরকে যেভাবে বিকিয়ে দেয়ে আর নিজেরা যেভাবে না জেনে শুধু টাইটেলের কারনে ধর্মের সোল এজেন্ট হয়েছে। দেখলে কষ্ট লাগে। আমি কখনই এদের কোন রেফারন্সকে সরাসরি ইউজ করি না। কেউ যদি বোখারী বা ইমাম তাবারীকে কোরআনের উপর গুরুত্ব দেয়ে তাহলে তারা না বুঝে তর্ক করেছে। অনেক ক্ষেত্রে অন্ধ হয়ে আছে।
যাই হউক অন্তত একজন ভাইর সাথে পরিচিত হলাম যে অন্তর খোলা রেখে ধর্মিয় ব্যাপারে আলোচনায় আগ্রহী। ধন্যবাদ

@রামন: ভাই মুক্তবাজার অর্থনিতীর কোন ধারার সাথে ইসলামের সমস্যা একটু কি বলবেন??

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৫

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.