নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফানডামেনটাল

;

হানিফঢাকা

So peace is on me the day I was born, the day that I die, and the day that I shall be raised up to life (again) (১৯:৩৩)

হানিফঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোল্লাদের আরব প্রীতি এবং কোরআনের অর্থ বিকৃতি

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৩

আমাদের নবীর জন্ম আরবে, কোরআনের ভাষা আরবী। মক্কা, মদীনা, কাবা, নবীর কবর, অসংখ্য সাহাবেদের কবর, অনেক ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে এই আরবে। এই আরব দেশ আমাদের মুসলমানদের মধ্যে একটি বিশাল জায়গা দখল করে আছে। সেই জন্য আমাদের মধ্যে অনেকের মধ্যে আরব প্রীতি দেখা যায়। অনেক মোল্লা অন্ধ ভাবে আরবদের অনুসরণ করেন। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে যখন কোন বিষয় নিয়ে মোল্লাদের মধ্যে মতের অমিল হয়, তখন অনেক সময় মোল্লারা তাদের যুক্তির পক্ষে আরব দেশের উদাহরণ টানেন। এতে দোষের কিছু নেই। এটা মানুষের স্বভাবিক প্রবৃত্তি। কিন্তু সমস্যা হয় যখন এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয়। এই বাড়াবাড়ি কোন পর্যায়ের তা কল্পনাতীত। মানুষের প্রবৃত্তি যাই হোক না কেন, আল্লাহর আইনে কোন জাতি, বর্ণ, ভাষা বা বংশ ধারাকে একটির উপরে অন্যটিকে প্রাধান্য দেন নি। আমাদের মনে রাখতে হবে, আল্লাহর আইন সবার ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য। আল্লাহ যেমন এই আরবদের তার দ্বীনের সোল এজেন্ট হিসাবে নিয়োগ করেন নি, এবং এই আরবদের শুধু মাত্র আরব বলেই যেমন অন্য জাতির উপর কোন শ্রেষ্ঠত্ব নেই, তেমনি অন্য জাতির শুধুমাত্র অন্য জাতি বলে আরবদের উপর কোন শ্রেষ্ঠত্ব নেই। এই শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি কোন জাতি নয়, বরং ত্বাকওয়া। এই কথা স্বয়ং আমাদের নবী বিদায় হজ্বের ভাষণে বলে গেছেন।

কিন্তু সমস্যা হল, এইগুলি আমরা জানি, বুঝি, সবাইকে এই কথাই বলি, কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে মানি না। এর কারন কি? অন্ধ ভালবাসা নাকি অন্য কিছু?

সাধারন মুসলমানদের নিয়ে কিছু বলব না, কারন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা তাদের পূজনীয় পূর্ব পুরুষদের (মোল্লা, উলামা, ইমাম, পীর ইত্যাদি) অনুসরণ করে থাকেন। কিন্তু যারা জ্ঞানী হিসাবে সমাজে স্বীকৃত, যাদেরকে মানুষ কোন প্রশ্ন ছাড়াই অনুসরণ করেন, তারা তাদের আরব প্রীতির জন্য কোরআনের শব্দের অর্থের পরিবর্তন করতেও পিছপা না, তাদের কে কি বলব?

উদাহরণ দেবার আগে একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করি। আপনারা যারা বাংলা অথবা ইংরেজীতে কোরআনের অনুবাদ পড়েন (যেহেতু আমার মত অনেকেই আরবী ভাষা জানেন না) তারা আরবদের সম্পর্কে কোরআনে কিছু পেয়েছেন কি? আরবদের সম্পর্কে কোরআনে আল্লাহ কিছু বলেছেন এমন কোন আয়াত মনে করতে পারছেন কি? সম্ভবত না। কারন, যদিও মুল ভাষায় এই “আরব” শব্দটা এসেছে, কিন্তু কোন আনুবাদেই এই “আরব” শব্দটা আসেনি। আপনার বিশ্বাস না হলে আপনার বাসায় রাখা কোরআন খুলে অনুবাদ দেখুন।
الاعراب বা আল- আরাবী/ আল- আরাবু এই শব্দটার অর্থ the Arabs বা আরব জনগণ কে বুঝানো হয়েছে। কিন্তু যখন এর অনুবাদ করা হয়েছে তখন এই الاعرابএর ইংরেজী অর্থ করা হয়েছে “Bedouin”, “wandering Arabs”, “dwellers of the desert”, “Arabs of the desert”, “The nomads” ইত্যাদি। বাংলায় অর্থ করা হয়েছে “বেদুইন”, “মরুবাসী”। আরেক বাংলা অনুবাদে দেখছিলাম এই শব্দের অর্থ করা হয়েছে “গ্রামবাসী” (এই অনুবাদ টা খুজে পাচ্ছিনা) । এই সহজ একটা আরবী শব্দের (الاعراب )এই রকম ভিন্ন ভিন্ন অর্থ করার কারন কি?

এখন “wandering Arabs”, “dwellers of the desert”, “Arabs of the desert এই শব্দ গুলির সমস্যা হচ্ছেঃ

১। মুল ভাষায় wandering, dwellers of the desert, of the desert, “মরুবাসী”- এই ধরনের কোন শব্দ নাই, এবং কোন ভাবেই ঐ শব্দ গুলিকে বোঝানো হয়না। কোরআনের অন্য কোন আয়াতের রেফারেন্স দিয়ে এই অতিরিক্ত শব্দ গুলিকে জাস্টিফাই করা যাচ্ছেনা।

২। الاعراب এইটার অর্থ কোনভাবেই Bedouin, The nomads , “বেদুইন”, করা যায় না। এটা বুঝার জন্য জ্ঞানী হওয়া লাগেনা। কোরআনের ৩৩:২০ আয়াতে এই بَادُونَ শব্দটা এসেছে।

৩। মরুভুমি বা desert শব্দটার আরবী শব্দ হচ্ছে صحراء (সাহারা)।

তাহলে কেন এই অনুবাদকারীরা কেন আরবী ভাষা থেকে যখন অন্য ভাষায় অনুবাদ করেছেন তখন এই الاعراب শব্দের ইচ্ছাকৃত ভুল অর্থ করেছেন। এর কারন হল মোল্লাদের আরব প্রীতি। কারন আল্লাহ এই আরবদের সম্পর্কে যা বলেছেন তার বেশিরভাগই নেগেটিভ। উদাহরণ স্বরূপঃ

মুল আনুবাদ (৯:৯৭)
বেদুইনরা কুফর ও মোনাফেকীতে অত্যন্ত কঠোর হয়ে থাকে এবং এরা সেসব নীতি-কানুন না শেখারই যোগ্য যা আল্লাহ তাআলা তাঁর রসূলের উপর নাযিল করেছেন। বস্তুতঃ আল্লাহ সব কিছুই জানেন এবং তিনি অত্যন্ত কুশলী।(৯:৯৭)

সঠিক অনুবাদ(৯:৯৭)
আরবরা কুফর ও মোনাফেকীতে অত্যন্ত কঠোর হয়ে থাকে এবং এরা সেসব নীতি-কানুন না শেখারই যোগ্য যা আল্লাহ তাআলা তাঁর রসূলের উপর নাযিল করেছেন। বস্তুতঃ আল্লাহ সব কিছুই জানেন এবং তিনি অত্যন্ত কুশলী।(৯:৯৭)

মুল আনুবাদ (৯:৯৮)
আবার কোন কোন বেদুইন এমন ও রয়েছে যারা নিজেদের ব্যয় করাকে জরিমানা। বলে গন্য করে এবং তোমার উপর কোন দুর্দিন আসে কিনা সে অপেক্ষায় থাকে। তাদেরই উপর দুর্দিন আসুক। আর আল্লাহ হচ্ছেন শ্রবণকারী, পরিজ্ঞাত।(৯:৯৮)

সঠিক অনুবাদ(৯:৯৮)
আবার কোন কোন আরবএমন ও রয়েছে যারা নিজেদের ব্যয় করাকে জরিমানা। বলে গন্য করে এবং তোমার উপর কোন দুর্দিন আসে কিনা সে অপেক্ষায় থাকে। তাদেরই উপর দুর্দিন আসুক। আর আল্লাহ হচ্ছেন শ্রবণকারী, পরিজ্ঞাত।(৯:৯৮)

মুল আনুবাদ (৯:৯৯)
আর কোন কোন বেদুইন হল তারা, যারা ঈমান আনে আল্লাহর উপর, কেয়ামত দিনের উপর এবং নিজেদের ব্যয়কে আল্লাহর নৈকট্য এবং রসূলের দোয়া লাভের উপায় বলে গণ্য করে। জেনো! তাই হল তাদের ক্ষেত্রে নৈকট্য। আল্লাহ তাদেরকে নিজের রহমতের অন্তর্ভূক্ত করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুনাময়।(৯:৯৯)

সঠিক অনুবাদ (৯:৯৯)ঃ
আর কোন কোন আরব হল তারা, যারা ঈমান আনে আল্লাহর উপর, কেয়ামত দিনের উপর এবং নিজেদের ব্যয়কে আল্লাহর নৈকট্য এবং রসূলের দোয়া লাভের উপায় বলে গণ্য করে। জেনো! তাই হল তাদের ক্ষেত্রে নৈকট্য। আল্লাহ তাদেরকে নিজের রহমতের অন্তর্ভূক্ত করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুনাময়।(৯:৯৯)

যারা এতক্ষণ ধরে এই লেখা পড়েছেন, তারা আশা করি এই ইচ্ছাকৃত ভুল অনুবাদ ধরতে পেরেছেন এবং ধারনা করতে পেরেছেন এর কারন কি। যারা ধারনা করতে পারেন নি, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আল্লাহ এই আরবদের সম্পর্কে যা বলেছেন তা বেশিরভাগই নেতিবাচক। কিন্তু আমাদের মোল্লারা আল্লাহর বলা এই আরবদের উদ্দেশ্যে এই নেতিবাচক কথাগুলি অর্থ বিকৃতির মাধ্যমে বেদুইন, যাযাবর বা ম্রুবাসী অর্থ করে আরবদের উদ্দেশ্যে বলা নেতিবাচক শব্দগুলিকে আড়াল করে রাখার অপ্প্রায়াস চালিয়েছেন। এই অনুবাদ গুলি পড়লে মনে হবে এই নেতিবাচক কথা গুলি আরবদের উদ্দেশ্যে নয়, বরং ঐ বেদুইন বা ম্রুবাসীদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে। আর এটা করে তারা আরবদের দোষ ঢেকেছেন। এর ফলাফল কি তা একটু চোখ কান খোলা রাখলেই দেখতে পাবেন।
আরবদের সম্পর্কে আল্লাহ যা বলেছেন তা ৯:৯০, ৯ঃ৯৭-১০১, ৯:১২০, ৩৩:২০, ৪৮:১১, ৪৮:১৬ এই আয়াতগুলিতে আছে। আমি শুধু তিনটার অনুবাদ দেখালাম, আপনার ইচ্ছা করলে সবগুলি আয়াত পড়ে দেখতে পারেন এবং পড়ার সময় আরবী ভাষা এবং অনুবাদের দিকে খেয়াল রাখলেই বুঝতে পারবেন।

ধন্যবাদ।


মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:০২

রিফাত হোসেন বলেছেন: ++

২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১৯

মোশারফ তানভীর বলেছেন: অনেক বন্ধুবান্ধবের সাথে এই বিষয়টা নিয়া প্রায়ই তর্ক হয় । ওরা মনে করে যেহেতু কোরঅান নাজিল হয়েছে সেখানে আবার ইসলামের মূল কেন্দ্রবিন্দু সেখানে সুতরাং তারা সবসময় সঠিক । ভুল করলেও সঠিক মনে করে ওরা ।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৮

হানিফঢাকা বলেছেন: কেউই সব সময় সঠিক নয়। সঠিক হবার মাপকাঠি হচ্ছে কোরআন।

৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫

দরবেশমুসাফির বলেছেন: কোন আরব কোন অনারবের চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয়। না কোন অনারব শ্রেষ্ঠ কোন আরবের চেয়ে। ----- হজরত মুহাম্মাদ সাঃ

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪২

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ। এটা আপনি, আমি সবাই জানি কিন্তু কার্যক্ষেত্রে এটা আমরা প্রায় সময় ভুলে যাই।

৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৩

মোহাম্মদ জামিল বলেছেন: হানিফ ভাই এটার জন্য একটা হাদিস আছে- যেটা মুলত ওয়াবী মাজহাব [তবলীগ] জামাত প্রচার এবং প্রসার করে । সেই হাদিসটার মুল কথা হল "আরবদের নিয়ে সমালোচনা ও করা যাবে না"।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৫:০৩

হানিফঢাকা বলেছেন: কিতা কইতাম?

৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:০৩

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: বিদায় হজ্জের ভাষণেই নবিজী ষ্পষ্ট করে গেছেন যে আরব অনারব ব্যবধান বলে কোন বিষয় আর থাকবেনা আজ থেকে। এবং আরব জাতি যে কত বড় অভিশপ্ত জাতি ছিলো এবং কিছু ক্ষেত্রে এখনো আছে তা শুধু যারা আরবে ঘুরে বেড়িয়েছেন তারাই জানেন।

দুনিায়তে এত কঠিন আত্মার মানুষ খুব কম আছে, নবীজীর সুন্দর চেহারা আর অলোকিকতা এত সব দেখেও যাদের মন গলেনি তারাই আরব, আর আমরা কেউ যদি শুধু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে তাকেই মাথায় তুলে রাখি।আমাদের ধর্ম ভয় ভক্তি ব্যবহার বাধন আরবদের চেয়ে অনেক অনেক উপরে।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৯

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। বিদায় হজ্জের ভাষণ আমরা সবাই কম বেশি জানি। বেশিরভাগ সময়ই মোল্লারা এই সব আমলে নেয়না।

৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৭

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: ভালো লাগলো +++

৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৬

৮৩১আবীর১৯৮৩ বলেছেন: আরে ও আসলে একটা বাঙাল। বাক্যে বাঙাল অর্থ কি বাঙালী ?

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি ঠিক কি বুঝাতে চাচ্ছেন?

৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৮

৮৩১আবীর১৯৮৩ বলেছেন: যেমনিভাবে আমারা বাঙাল বলি গেয়ো টাইপের লোকদের তেমনিভাবেই অর্থ করা হয়েছে আরব এর মরুবাসী। আপনি যেভাবে আরব খারাপ প্রমান করছেন তা একেবারেই অযৌক্তিক।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০২

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি বলেছেন " আপনি যেভাবে আরব খারাপ প্রমান করছেন তা একেবারেই অযৌক্তিক। "- আপনি আমার লেখার থিম ধরতে ভুল করেছেন। আমি দেখাতে চেয়েছি নিজের বিশ্বাস, মতবাদ, ধরানা থেকে মানুষ কিভাবে অনুবাদের বিকৃতি করে। এইটা একটা উদাহরণ মাত্র। আরব দেশের সাথে আমার নিজস্ব কোন শত্রুতা নেই। আশা করি বুজতে পেরেছেন। এইবার আসি অনিবাদের প্রসঙ্গেঃ

আপনি যা বলেছেন তা কোরআনের থিমের সাথে মিলে না। আল্লাহ কোথাও তাচ্ছিল্য বা কৌতুক করে কিছু বলে না, কোরআনের থিম এই রকম না। God does not speak like this. লেখাটা আবার পড়েন। বেদুইন, মুরু এইসব শব্দ কোরআনে পৃথকভাবে এসেছে। সুতরাং আল-আরাবু-মানে মরুবাসী বা বেদুইন অর্থ করার কোন সুযোগ নেই। আল্লাহ সব আরব কে খারাপ বলেন নি। ৯:৯৯ আয়াত এর একটা উদাহরণ।


৯| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯

মধুমিতা বলেছেন: যা পেলামঃ There is deference between عرب and أعرب

أعْراب ( اسم ) : بَدْو
Arabs of the desert ; Bedouins ; nomads
- Bedouins
- desert-dwellers; nomadic Arabs of the desert
- Arab Bedouins inhabiting the desert

عَرَب ( اسم ) : عَرَب
Arabs - Semitic people inhabiting Saudi Arabia and neighboring countries
عَرَب :
Arabs

১১ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১

হানিফঢাকা বলেছেন: الاعراب এইটার অর্থ কোনভাবেই Bedouin, The nomads , “বেদুইন”, করা যায় না। এটা বুঝার জন্য জ্ঞানী হওয়া লাগেনা। কোরআনের ৩৩:২০ আয়াতে এই بَادُونَ শব্দটা এসেছে।

মরুভুমি বা desert শব্দটার আরবী শব্দ হচ্ছে صحراء (সাহারা)।

যেখানে বেদুইন শব্দটা ব্যাবহার করা হয়েছে, সেখানে لاعراب দিয়ে বেদুইন বুঝানো হয়, এটা মেনে নেওয়ার কোন কারন নেই। কোরানিক থিমে একি গোস্টি, জাতি, এলাকার নাম এই সবের জন্য ইউনিক নাম ব্যাবহার কারা হয়েছে। কোন সমার্থক শব্দ নয়। আপনি যেই ব্যখাটা দিয়েছেন, তা হচ্ছে তাদের ম্যানিপুলেশন কে যাস্টিফাই করার ব্যাখ্যা।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.