নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফানডামেনটাল

;

হানিফঢাকা

So peace is on me the day I was born, the day that I die, and the day that I shall be raised up to life (again) (১৯:৩৩)

হানিফঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবী ইব্রাহিমের কথিত কোরবানি- কোরআন বনাম বাইবেল

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:২৬

এই ঈদে কোরবানি সংক্রান্ত অনেক গুলি পোস্ট ব্লগে এসেছে। বেশিরভাগ লেখাই আমি পড়েছি। লেখাগুলি পড়ে আমি যা বুঝতে পেরেছি তা হচ্ছে, এই লেখা গুলিকে মুলত দুইভাগে ভাগ করা যায়।

প্রথমতঃ অনেকে কোরবানির মাহত্ন্য, ইতিহাস, নিয়মাবলী, উপকার ইত্যাদি বর্ণনা করেছেন।
দ্বিতীয়তঃ পশু জবাই নিয়ে নাস্তিকদের করা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

যারা এই দুই বিষয়ে লেখেছেন, তাদের প্রতি যথাবিহিত সম্মান দেখিয়ে বলতে চাই যে, সবাই বিভিন্ন যুক্তি দেখিয়েছেন, কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে যে এই কুরবানি সম্পর্কে সঠিক ইতিহাস বা আল্লাহ কি বলেছেন তা বেশিরভাগ মানুষই জানেন না। বেশিরভাগ মানুষই এই ইতিহাস শিখেছে পরিবার, মোল্লা বা মসজিদের ইমামের কাছ থেকে। আবার অনেকেই কোরআনের অনুবাদ পড়েও জেনেছেন। কিন্তু কোরআনের অনুবাদ পড়ার সময় আগে থেকে জানা কোরবানির ইতিহাসের কারনে কোরআন থেকেও সঠিক বিষয়টা জানতে পারছেন না। আমি যেটা বুঝি যে, এই কথিত কোরবানির ইতিহাস যা আমরা সবাই জানি তার মুল অংশ বাইবেল থেকে নেওয়া, এই সংক্রান্ত হাদিস গুলির সাথে বাইবেলের অত্যাধিক মিল লক্ষণীয়, যেখানে এই বিষয়ে কোরআনের সাথে এই হাদিস বা বাইবেলের মিল খুব কম। আমি ইহুদীদের মুল গ্রন্থ “পুরাতন নিয়ম” বা “ওল্ড টেস্টামেন্ট” এবং মুসলমানদের প্রধান এবং মুল গ্রন্থ “কোরআন” থেকে এই কথিত কোরবানি সংক্রান্ত লেখা গুলি দেখব যাতে এই বিষয়ে দুই গ্রন্থের পার্থক্য বুঝা যায়, এবং সত্য ঘটনা কি ছিল তা বের করার চেষ্টা করব।

কে ইব্রাহিম কে তার পুত্রকে বলি/কোরবানি/যবেহ দিতে আদেশ করেছিল?

বাইবেল অনুসারেঃ জেনেসিস ২২:১-২
এ সমস্ত ঘটনার পর পরমেশ্বর আব্রাহাম কে যাচাই করলেন। তিনি তাকে বললেন, “ আব্রাহাম, আব্রাহাম!” তিনি উত্তর দিলেন “এই যে আমি”। তিনি বলে চল্লেন, “তোমার সন্তান কে, তোমার সেই একমাত্র সন্তান কে যাকে তুমি ভালবাস, সেই ইসায়াক কে নাও ও মোরিয়া দেশে যাও, আর সেখানে যে এক পর্বতের কথা আমি তোমাকে বলব, তার উপর তাকে আহুতিরুপে বলিদান কর।

কোরআন ৩৭:১০২
অতঃপর সে যখন পিতার সাথে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হল, তখন ইব্রাহীম তাকে বললঃ বৎস! আমি স্বপ্নে দেখিযে, তোমাকে যবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি দেখ। সে বললঃ পিতাঃ! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তাই করুন। আল্লাহ চাহে তো আপনি আমাকে সবরকারী পাবেন।

বিশ্লেষণঃ
বাইবেল অনুসারে ঈশ্বর ইব্রাহিম কে যাচাই করতে চান এবং ইব্রাহিমের পুত্রকে বলি দিতে বলেন। এইখানে এটা পরিষ্কার যে বাইবেল অনুসারে, ঈশ্বর স্বয়ং এই কাজের আদেশ দিয়েছিলেন।

কিন্তু কোরআনের ৩৭:১০২ আয়াত সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলছে। এই আয়াত দরকার হলে আরেক বার পড়ে দেখুন। এই আয়াত কোরআনের প্রেক্ষিতে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়...


১। কোরআন অনুযায়ী (৩৭:১০২) কোথাও বলা নেই যে আল্লাহ নবী ইব্রাহিম কে এই কাজের আদেশ দিয়েছেন। বরং বলা হয়েছে নবী ইব্রাহিম একটা স্বপ্ন দেখছিলেন, এবং কোরআনে কোনভাবেই বলা হয়নি এই স্বপ্ন আল্লাহ দেখিয়েছেন।

২। আমরা কোরআনে দেখতে পাই, আল্লাহ বলেছেনঃ
“মুসলমানের কাজ নয় যে, মুসলমানকে হত্যা করে; কিন্তু ভুলক্রমে (And never is it for a believer to kill a believer except by mistake)”......(৪:৯২)

যে ব্যক্তি স্বেচ্ছাক্রমে মুসলমানকে হত্যা করে, তার শাস্তি জাহান্নাম, তাতেই সে চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন, তাকে অভিসম্পাত করেছেন এবং তার জন্যে ভীষণ শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন।(৪:৯৩)

আল্লাহ মন্দকাজের আদেশ দেন না। এমন কথা আল্লাহর প্রতি কেন আরোপ কর, যা তোমরা জান না।(Say, "Indeed, Allah does not order immorality. Do you say about Allah that which you do not know?") (৭:২৮)

সুতরাং উপরের এই তিনটি আয়াত পড়লে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে আল্লাহ কোন খারাপ কাজের আদেশ দেন না, এবং মানুষ হত্যা অথবা বিশ্বাসীদের হত্যা করা অনেক বড় পাপ কাজ, যার শাস্তি চিরকাল জাহান্নাম। আল্লাহ তাহলে কিভাবে মানুষ হত্যার আদেশ দিতে পারে যেখানে ইব্রাহিম এবং তার ছেলে উভয়েই বিশ্বাসীদের অন্তর্ভুক্ত। যদি ধরে নেওয়া হয় যে এই আদেশ আল্লাহ দিয়েছেন, তবে কোরআনের ৭:২৮ আয়াতের সাথে সরাসরি কনফ্লিক্ট করে যা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমরা জানি আল্লাহর কথা চিরন্তন এবং উনার কথা বদল হয় না (The word of Allah is absolute and Allah never change His mind). এই জন্য ৩৭:১০২ আয়াতে এই স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে এই ধরনের কোন কথা বা ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। এইটা বাইবেলের প্রভাবের দরুন মোল্লারা ঐ খান থেকে কপি করেছে। এটা বাইবেলের গল্প কোরআনের নয়।

৩। আমাদের মোল্লারা স্মার্ট। তারা বলেন নবীদের স্বপ্ন হচ্ছে ওহী। কথা সত্য, কিন্তু সব ক্ষেত্রে নয়। এর কারন হচ্ছে যদি ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কোন স্বপ্ন দেখানো হয় তাহলে যদি এই স্বপ্ন সত্যি না হয়, তবে এই স্বপ্ন আল্লাহর কাছ থেকে এসেছে এটা সত্য নয়। কারন “নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর ওয়াদার অন্যথা করেন না" (৩:৯৩) । সুতরাং যদি ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কোন কিছু দেখানো হয় এবং এটা সত্য না হয়, তবে এটা আল্লাহর কাছ থেকে এসেছে তা বলা যাবে না। উদাহরণ সরূপ আল্লাহ আমাদের নবীকে স্বপ্নের মাধ্যমে যা দেখিয়েছেন তা পূর্ন হয়েছে (৮:৪৩, ৪৮:২৭)। আবার নবী ইউসুফ যে স্বপ্ন দেখেছেন তা বাস্তবায়িত হয়েছে (১২:৪, ১২:১০০)। কিন্তু নবী ইব্রাহিমের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়নের সময় আল্লাহ তা থামিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহর কোন কথার মধ্যে বৈপিরিত্ত নেই (৪:৮২)। যেই জিনিষ আল্লাহ স্বপ্নের মধ্যে দেখিয়েছেন (যদি তা আল্লাহ দেখিয়ে থাকেন) তা করতে কেন তিনি বাধা দিবেন? সেই স্বপ্ন সফল হয়নি। তার অর্থ ঐ স্বপ্ন আল্লাহর তরফ থেকে আসেনি।

৪। নবীরাও মানুষ। তারাও বিভ্রান্ত হতে পারে। আল্লাহ বলেছেন “আমি আপনার পূর্বে যে সমস্ত রাসূল ও নবী প্রেরণ করেছি, তারা যখনই কিছু কল্পনা করেছে, তখনই শয়তান তাদের কল্পনায় কিছু মিশ্রণ করে দিয়েছে। অতঃপর আল্লাহ দূর করে দেন শয়তান যা মিশ্রণ করে। এরপর আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহকে সু-প্রতিষ্ঠিত করেন এবং আল্লাহ জ্ঞানময়, প্রজ্ঞাময়”।(২২:৫২)

কোরআনের ৩৭:১০২ এ যা বলা হয়েছে “তখন ইব্রাহীম তাকে বললঃ বৎস! আমি স্বপ্নে দেখিযে, তোমাকে যবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি দেখ”- এই বাক্যটুকু দ্বারা বুঝা যায় যে স্বপ্ন দেখার পর নবী ইব্রাহিম কিছুটা কনফিউসড ছিল। কারন যদি তিনি সম্পূর্ণ ভাবে নিশ্চিত হতেন যে এটা আল্লাহর আদেশ তবে উনি এই বিষয়ে উনার ছেলের অভিমত জানতে চাইতেন না। উনি সরাসরি আদেশ বাস্তবায়ন করতেন। কিন্তু এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি উনি নিশ্চিত না সেই জন্য উনি তার ছেলের আভিমত জানতে চেয়েছেন।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে নবী ইব্রাহিম যে স্বপ্ন দেখেছেন তা আল্লাহর কাছ থেকে এসছে বা আল্লাহ এই স্বপ্ন দেখিয়েছেন কোরআন অনুসারে এই ধরনের কথার কোন ভিত্তি নেই।

আল্লাহ নবী ইব্রাহিমের পুত্রের বলি/কোরবানি/যবেহ বদলে কি দিয়েছেনঃ

বাইবেল অনুসারেঃ জেনেসিস ২২:১৩
তখন আব্রাহাম চোখ তুলে দেখতে পেলেন, পাশে একটা ভেড়া, তার শিঙ একটা ঝোপের মধ্যে জড়ানো। আব্রাহাম গিয়ে সেই ভেরাটা নিলেন ও নিজের ছেলের বদলে আহুতি রুপে তা বলিদান করলেন।

কোরআন ৩৭:১০৭
وَفَدَيْنَاهُ بِذِبْحٍ عَظِيمٍ
We made a concession for him in place of a great slaughter
And We ransomed him with a great sacrifice
And We ransomed him with a momentous sacrifice

বিশ্লেষণঃ
আমাদের মুসলমানদের মধ্যে যে গল্প চালু আছে যে নবী ইব্রাহিমের ছেলের পরিবর্তে আল্লাহ একটা ভেড়া পাঠিয়ে দিয়েছেন, এবং নবী ইব্রাহিম ঐ ভেড়া জবাই করেছেন তার উৎস ঐ বাইবেল। কোরআনে এই ধরনের কোন কথা বলা হয় নি।

কোরআনের ৩৭:১০৭ আয়াতে তিনটা শব্দ এসেছে। প্রথম শব্দ وَفَدَيْنَاهُ বা “ফাদাইনাহ” এর অর্থ concession or ransom । এর অর্থ কোনভাবেই কোরবানি বা স্যক্রিফাইস না । এর জন্য ২:১৯৬ দেখুন।

দ্বিতীয় শব্দঃ بِذِبْحٍ “বিজিবিহিন” অর্থ “with slaughter” or “in place of slaughter” কোরআনের ৩৭:১০৭ এর অর্থ অনুযায়ী এই slaughter দ্বারা নবী ইব্রাহিমের পুত্রকে জবাই করা অর্থে বোঝানো হয়েছে, অন্য কোন প্রানী বা ভেড়া কে বুঝানো হয়নি। কারন ৩৭:১০২ এ أَذْبَحُكَ শব্দ দ্বারা নবী ইব্রাহিমের পুত্রকে জবাই করা অর্থে বোঝানো হয়েছে। তাহলে ৩৭:১০৭ এ কেন অন্য প্রানী বা ভেড়া জবাই করা উদ্দেশ্যে এই শব্দ ব্যবহার হবে যেখানে কোথাও এই ধরনের প্রানীর অস্তিত্ব নেই।

তৃতীয় শব্দঃ عَظِيمٍ শব্দের অর্থ Great

এখন এই কোরআনের প্রেক্ষিতে এই তিনটা শব্দের অনুবাদ করলে যা অর্থ দাড়ায় তা হল ঃ, যদিও এই আদেশ আল্লাহর পক্ষ থেকে ছিলনা, তবু নবী ইব্রাহিম এটাকে আল্লাহর আদেশ ভেবে তার সবচেয়ে প্রিয় একমাত্র সন্তানকে জবাই করতে উদ্যত হতে দ্বিধা করেন নাই। সেই জন্য ৩৭ঃ১০৫, ১১০-১১ অনুযায়ী আল্লাহ নবী ইব্রাহিমের প্রতি তার আল্লাহ ভক্তির কারনে খুশি হয়ে আল্লাহ সরাসরি হস্তক্ষেপে নবী ইব্রাহিম কে একটা বড় পাপ কাজ (৪:৯৩)থেকে রক্ষা করেন এবং তার পুত্রকেও জবাই হওয়া থেকে রক্ষা করেন । এইরকম ঘটনার আরও উদাহরণ হচ্ছে সূরা ইউসুফ যেখানে নবী ইউসুফ কেও আল্লাহ সরাসরি পাপ কাজ (ব্যভিচার) থেকে বিরত রেখেছিলেন (১২:২৪)।

সাধারণত আল্লাহ কাউকে পাপা বা পুন্য কাজে বাধা প্রদান করেন না। মানুষ পাপ বা পুন্য করে তার ইচ্ছা বা ব্যক্তি স্বাধীনতা অনুযায়ী (ফ্রি উইল)। কিন্তু এই ক্ষেত্রে আল্লাহ সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছেন। আর এই জন্যই আল্লাহ একে বলেছেন concession or ransom। আর এটাই হচ্ছে নবী ইব্রাহিমের আল্লাহ ভক্তির পুরস্কার।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে কোরবানি নিয়ে প্রচলিত যে গল্প আমাদের মধ্যে চালু আছে তা আসলে বাইবেলের গল্প। আমরা কোরআনে যা বলেছে তা না দেখে অথবা বাইবেল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কোরআনের অনুবাদ করে এর অর্থ পরিবর্তন করে বাইবেলের গল্পকেই প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছি।


মন্তব্য ১৩১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:২২

নতুন বলেছেন: আমাদের সমাজে অনেক প্রচলিত কাহিনিই বাইবেলের থেকে নেওয়া কিন্তু সবাই ইসলামের কাহিনি বলে বিশ্বাস করে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৮

হানিফঢাকা বলেছেন: জ্বী আপনি ঠিকই বলেছেন। অনেক ধর্ম বিশ্বাস আছে যা বাইবেল থেকে নেওয়া, যেখানে কোরআনের সাথে এর কোন মিল নেই। আমি এই ধরনের কিছু জিনিষের একটা তালিকা বানানোর চেষ্টা করেছিলাম, পরে বাদ দিয়েছি। আমাদের মোল্লারা এই সব ঘটনাকে বলে ইসারালিয়াত। নিজে থেকে বলে না, চেপে ধরলে বলে।
আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২৭

বিজন শররমা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে । আপনি যা উপলব্ধি করেছেন এই সত্যটা অনেকেই বুঝতে পারে না । আপনি কি লক্ষ করেছেন আসমানী কেতাবের মানুষকে প্রথমে গডের উপাসক বলে দাবী করে তারপর তাদের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে ? মার্মাডুকে পিকথলের অনুবাদে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দলের মধ্যে যুদ্ধ, চুক্তি ইত্যাদির কারনে নানা সময়ে বক্তব্য অনুরূপ বদল হয়েছে । এটা মানুষের পক্ষে করা স্বাভাবিক, গডের পক্ষে স্বাভাবিক কি ?

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৭

হানিফঢাকা বলেছেন: The word of Allah is absolute and Allah never change His mind

৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৯

রোষানল বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বহুল একটা পোষ্ট । এই পোস্ট থেকে কুরবানির বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করার সুজক মিলবে।

লেখকের প্রতি শুভ কামনা রইলো

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৭

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৫

নাঈম বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৮

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪১

পিচ্চি হুজুর বলেছেন: জাতির এমন ক্রান্তিকালে এমন অতীব গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট জাতিকে নতুন দিনের আশা দেখাবে। আর জাতিকে বলতে হবে না কে মোদের আশা কে দিবে ভরসা!!!!

৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪

এম এ কাশেম বলেছেন: বেশী বুঝলে যে সমাস্যা হয় - তাহাই হয়েছে।
অতীতের মুজাদ্দিদ মুফাস্সির আর মোহাদ্দিসরা ভুল করে গেছেন
আপনি তা নতুন করে উদয় হয়েছেন।

মন গড়া ব্যাখ্যা দিয়ে মানয়/শকে বিভ্রান্ত করবেন না।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৩

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি বলেছেন "অতীতের মুজাদ্দিদ মুফাস্সির আর মোহাদ্দিসরা ভুল করে গেছেন"- আমি আপনার মত ব্যক্তি পুজা করিনা। কোন মানুষই ভুলের উর্ধে না। একমাত্র কোরআনেই কোন ভুল নেই। তাহলে কোরআনের আয়াত মানতে আপনার এত সমস্যা হচ্ছে কেন?

জীবনে ত অনেক মুজাদ্দিদ মুফাস্সির আর মোহাদ্দিসর -এর লেখা পড়েছেন। কোনদিন কোরআন পড়ে দেখেছেন?

কোরআনের ৩৭:১০২ থেকে ৩৭:১০৭ এর অর্থ কি তা কোরআনের প্রেক্ষিতে আপনি নিজে পড়ে বলেন। কোরআনের কোথায় বলা হয়েছে যে আল্লাহ নবী ইব্রাহিমকে তার পুত্রকে কোরবানি করতে বলেছেন? কোথায় বলা হয়েছে নবী ইব্রাহিমের পুত্রের বদলে আল্লাহ একটা ভেড়া পাঠিয়ে দিয়েছেন? একটা ভেড়া কিভাবে নবী ইব্রাহিমের পুত্রের জীবনের বদলে great slaughter হয়?
কার ব্যখ্যা মন গড়া? আপনার ঐ মুজাদ্দিদ মুফাস্সির আর মোহাদ্দিস রা এই গুলি কোনখান থেকে পেয়েছে? তাদের উপর কি কোন ওহী নাযিল হয়েছিল? যদি তা না হয়ে থাকে, এবং কোরআনে এইগুলি বলা হয়ে না থাকে তাহলে তারা কোনখান থেকে এইগুলি পেয়েছে? বাইবেলের উদ্দৃতি দিয়েছি। বাইবেল আর কোরআন পাশাপাশি নিয়ে বসেন তাহলে বুঝতে পারবেন।

৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:

কারো সাথে মতের অমিল হলে তাঁকে ট্যাগ দেয়া খুবই দুঃখজনক। আপনি যদি ভুল বলে থাকেন, তাহলে কেউ সেটার যৌক্তিক আলোচনা করুক। আমরাও সত্য সঠিক জানতে চাই, কিন্তু গালি দিয়ে, বা হেয় বক্তব্য দিয়ে কিছু বলা হলে সত্য বাঁধা প্রাপ্ত হবে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমি এইখানে প্রচলিত সব বিশ্বাস/মতবাদ কে এক পাশে রেখে মুসলমানদের মুল গ্রন্থ কোরআন এবং ইহুদীদের মুল গ্রন্থ বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্ট এই সংক্রান্ত কি বলা হয়েছে তা পাসাপাশি বর্ণনা করেছি। আমার লেখায় দুই গ্রন্থেরই রেফারেন্স দিয়েছি যাতে সবাই বুজতে পারে কোন গ্রন্থ কি বলেছে। কারো যদি কোন রেফারেন্সে আপত্তি থাকে বা আমার লেখার কোন অংশে আপাত্তি থাকে সেটা নিয়ে অবশ্যয় আলোচনা হতে পারে। আমি নিজেও ভুল প্রমানিত হতে পারি। কিন্তু আমার যে দুইটা মুল পয়েন্ট আমি বলতে চাচ্ছি কোরআন অনুযায়ী যেঁ

১। আল্লাহ এই আদেশ দেন নাই
২। কোন ভেড়া বা অন্য কোন প্রানী স্বর্গ থেকে ইব্রাহিমের পুত্রের বদলে কোরবানি করতে পাঠান নাই
সেই সম্পর্কে ত কেউ কিছু বলছে না। এর বদলে বিভিন্ন ধরনের কথা বলা শুরু করেছে।

৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৮

দি রিফর্মার বলেছেন: আংশিক দৃস্টি ভঙ্গি কোন সময় পূর্ণাঙ্গ হয় না। তাই কিছু শব্দের আংশিক অনুবাদ বা মর্মার্থ বুঝে কোরআন ব্যাখ্যা করা যায় না। এখানে যে বিষয়টি হাইলাইট করার চেষ্টা করা হয়েছে তা হল কোরবাণীর কাহিনীটি বাইবেল থেকে নেয়া হয়েছে। কিন্তু যারা হাদিস পড়েছেন তারা জানেন সেখানে অনেক ইসলামিক রীতিনীতি আছে যা পূর্ববর্তী নবীদের যুগে প্রচলিত ছিল। কোরবানীও তেমন একটি প্রচলিত প্রথা। এটি হচ্ছে সুন্নতে ইব্রাহীম। সুতরাং হাদিস অনুযায়ী এবং ইতিহাস অনুযায়ী কোরবানীর প্রচলিত ঘটনাটি সঠিক বলে প্রতীয়মান হয়। আরেকটি কথা বলে রাখি যে, ইসলাম ধর্মের বয়স দেড় হাজার বছর। সুতরাং ইসলাম ধর্মের এমন কোন বিষয় নেই যে, যার বিষয়ে কোন গবেষণা, যুক্তি-তর্ক ও সঠিক বিষয়টি সুনির্দিষ্ট হয়নি। কোরবানী কোন নতুন বিষয় নয় যে এ বিষয়ে ভাববার অবকাশ আছে। এটি আড়াই হাজার বছর যাবৎ চলে আসছে। তাই আজকের দিনে নতুন কোন সমস্যা ব্যতীত কোন বিষয়ে তর্কে যাওয়া সময় নষ্ট করারই নামান্তর। সুতরাং প্রতিষ্ঠিত কোন বিষয়ে বিতর্ক না করার আহবান জনাচ্ছি। আর আপনি সম্ভবত আহলে কোরআনের অনুসারী যারা শুধু কোরআন মানে হাদিস মানে না। সুতরাং আপনার পক্ষে বিভ্রান্ত হওয়াই স্বাভাবিক।
আপনি যদি সত্যিকারভাবে একজন মুসলমান হিসেবে নিজেকে মনে করেন তবে সমসাময়িক অনেক বিষয় রয়েছে যা নিয়ে আপনি আপনার গবেষণা চালিয়ে যেতে পারেন। মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না।

ধন্যবাদ।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনি বলেছেন" তাই কিছু শব্দের আংশিক অনুবাদ বা মর্মার্থ বুঝে কোরআন ব্যাখ্যা করা যায় না"- আমি এখানে কোরআনের ৩৭:১০২-১০৭, ৪ঃ৯২-৯৩, ৭:২৮, ৮:৪৩, ৪৮:২৭, ১২:৪, ১২:১০০, ৪:৮২ এই আয়াতগুলির রেফারেন্স দিয়েছি। এরপরেও যদি আপনি এটাকে আংশিক মনে করেন তবে আপনি আরও কিছু রেফারেন্স দেন, আমরা আলোচনা করি। এতে কোন সমস্যা নাই।
আপনি যদি কোরআন পড়ে থাকেন তা হলে দেখবেন কোরআন দাবী করে কোরআনের ব্যাখা কোরআন নিজেই। কোরআনের ব্যখ্যার জন্য অন্য কোন গ্রন্থের প্রয়োজন নেই। আপনি ৪৫ঃ৬ দেখতে পারেন।
কোরআন নিজেকে দাবী করে "ফোরকান হিসাবে"(২:১৮৫, ২৫ঃ১)। এর অর্থ সত্য মিথ্যা পার্থক্য নির্ণয়কারী। হাদিস বা ইতিহাসে ধর্মের ব্যপারে যা এসেছে কোরআন দিয়ে আপনি এটার সত্যতা নির্ণয় করতে পারেন। এটা আমি বলিনি, আল্লাহ বলেছেন ফোরকান শব্দের মধ্যে দিয়ে।
আপনি বলেছেন "এটি হচ্ছে সুন্নতে ইব্রাহীম"। কিভাবে সম্ভব? কোরআনে এই ধরনের কোন কথা বলা নাই যেঁ নবী ইব্রাহিম তার ছেলের বদলে আল্লাহ প্রদত্ত ভেড়া জবাই করেছেন। তাহলে এটা মুসলমানদের জন্য সুন্নত হয় কিভাবে। বাইবেল অনুসারে?
আপনি বলেছেন " সুতরাং ইসলাম ধর্মের এমন কোন বিষয় নেই যে, যার বিষয়ে কোন গবেষণা, যুক্তি-তর্ক ও সঠিক বিষয়টি সুনির্দিষ্ট হয়নি। " - আপনার আশে পাশে চোখ কান খোলা রাখেন, তাহলে বুঝবেন আপনার এই ধরনা ভুল। আপনার এই কথা সত্য শুধুমাত্র কোন বিশেষ বিশেষ দল/মতবাদের জন্য। সুন্নীদের মতবাদ শিয়ারা বিশ্বাস করেনা আবার শিয়ারা সুন্নীদেরটা বিশ্বাস করে না। আবার সুন্নী এবং শিয়াদের মধ্যে উপদল গুলি একজন আরেকজনের ব্যাখ্যা বিশ্বাস করে না।

আপনি বলেছেন" আপনি সম্ভবত আহলে কোরআনের অনুসারী"- এই ব্লগে আমি বিভিন্ন সময় বলেছি আমি কোন মতবাদ/দলে বিশ্বাসী না। দয়া করে আমাকে কোন দলে ফেলার চেষ্টা করবেন না। নিজেকে মুসলমান হিসাবে পরিচয় দেই, কোন দলের অন্তরভুক্ত হিশাবে নই।
আপনি বলেছেন "যারা শুধু কোরআন মানে হাদিস মানে না। সুতরাং আপনার পক্ষে বিভ্রান্ত হওয়াই স্বাভাবিক"।- আমি আপনার এই কথা শুনে একটু অবাক হলাম। শুধু কোরআন পড়লে বিভ্রান্তি হয় এইটা প্রথম শুনলাম। আল্লাহ নিজে এই ধরনের কথা বলেন নি, বরং এর বিপরীত অনেক কথা কোরআনে আছে। কার কথা বিশ্বাস করব আপনার না আল্লাহর?
আমি হাদিস মানি না এইটা সত্য না। বরং সত্য হচ্ছে এই যেঁ আমার হাদিস মানার ক্রাইটেরিয়া হচ্ছে কোরআন। সুতারং যেসব হাদিস কোরআনের সাথে বিপরীত আমি সেইগুলি মানি না আর যেই সব হাদিস কোরআনের সাথে একই সুরে কথা বলে আমি সেইগুলি মানি। আমার ক্রাইটেরিয়া কোন ইমাম বা কোন বিখ্যাত হাদিস বই না, বরং আমার ক্রাইটেরিয়া হচ্ছে কোরআন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
আপনি বলেছেন "মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না"।- মানুষকে বিভ্রান্ত করে আমার কি লাভ? কোরআনের আয়াত বললে বিভ্রান্ত হন কেন? আমি যদি ভুল ব্যাখ্যা করে থাকি তবে স্পেসিফিকেলি বলেন কোথায় ভুল হয়েছে। যেঁ আয়াত গুলি দিয়েছি সেগুলি দেখেন তার পর বলেন।

৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩

জাহিদ ২০১০ বলেছেন: পৃথিবিতে যত নবী ও রাসূল (আঃ) এসেছিলেন তাদের মধ্যে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) কে আল্লাহ তাআলা সবচাইতে বেশি ঈমানী পরীক্ষা নিয়েছেন। কোরবানীর যে ঘটনা ঘটেছিল এটাও একটা ঈমানী পরীক্ষা ছিল। আর দুনিয়াতে ৪টি ধর্মগ্রন্থ এবং ১০০টি সহিফা নাযিল হয়েছে। তাওরাত, যবুর, ইঞ্জিল এবং কোরআন হলো উক্ত ৪টি ধর্মগ্রন্থ। এই ইঞ্জিল ধর্মগ্রন্থ কেই খ্রিষ্টান রা বাইবেল বলে থাকে।

আপনি বলেছেন যে, যেহেতু এটা একটা স্বপ্ন যা আল্লাহর তরফ থেকে দেখানো হয় নাই।

আমার প্রশ্ন আপনি কিভাবে বুঝলেন এই স্বপ্ন আল্লাহর তরফ থেকে দেখানো হয় নাই????

যেহেতু হযরত ইসমাঈল (আঃ) উনি নিজেও একজন নবী সে কারনে উনার জন্যও এটা একটা পরীক্ষা ছিল। উনার ঈমান পরীক্ষা করার জন্যই পিতা ইব্রাহিম (আঃ) তার পুত্রকে স্বপ্নের কথা বলেছিলেন। ইব্রাহিম (আঃ) এই স্বপ্নের ব্যাপারে কিভাবে কনফিউজড হলেন, যেখানে উনি জানেন যে, এটা উনার জন্য একটা পরীক্ষা। এই পরীক্ষাটা শুধুমাত্র নবী ইব্রাহীম (আঃ) এবং তার পরিবারের জন্যও ছিল।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি বলেছেন " আমার প্রশ্ন আপনি কিভাবে বুঝলেন এই স্বপ্ন আল্লাহর তরফ থেকে দেখানো হয় নাই????" এর উত্তর আমি আমার লেখাতেই দিয়েছি। ৭:২৮ হচ্ছে এর উত্তর।

১০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৮

টরপিড বলেছেন: ইসলামিক চিন্তাবিদরা এতদিন ধরে যা বলে আসছেন, কিংবা আপনি যা বলেছেন এখানে, এসব নিয়ে ঠিক-ভূল মন্তব্য করার জ্ঞাণ আমার নেই। কোরআন, হাদিস এবং এগুলোর ব্যাখ্যা অনেক ব্যাপক, বিশাল। সেখান থেকে অল্প একটু অনুবাদের উপর নির্ভর করে কোন সিদ্বান্তে আসলে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। তবে অহেতুক ট্যাগ দেয়া, গালাগালি করা দুঃখজনক। আশা করছি কেঊ সঠিক ব্যাখ্যাসহ মন্তব্য করবেন।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। একটা বিষয় পরিষ্কার করা দরকার যেঁ আমি কোথাও পশু জবাই বা আমদের সমাজে প্রচলিত কোরবানির কোন বিরোধিতা করিনি। আমার মুল পয়েন্ট হচ্ছেঃ
১। আল্লাহ এই আদেশ দেন নাই
২। কোন ভেড়া বা অন্য কোন প্রানী স্বর্গ থেকে ইব্রাহিমের পুত্রের বদলে কোরবানি করতে পাঠান নাই

১১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২০

আমি মিন্টু বলেছেন: মানুষ কেন যে ধর্ম নিয়ে এত বাড়াবাড়ি করে তা আমার মাথায় ডুকে না ।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫

হানিফঢাকা বলেছেন: এখানে বাড়াবাড়ির কি দেখলেন?

১২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি হয় জানেন না অথবা জেনে বিভ্যান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা করছেন।

হয়রত ইব্রাহিম আ: মুসলিম জাতির পিতা। আপনি তাঁর স্বপ্নকে আল্লাহর নয় বলে উড়িয়ে দিতে চাইছেন!?
অথচ সেই সূরারই আরেকটি অংশ বলেন নি ? যেখানে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে- আল্লাহর তাঁর কোরবানী কবুল করেছেন- মানবজাতির প্রতি আল্লাহর দয়া সহযোগে তার পরিবর্তে একটি মহান যবহ প্রদান করার মাধ্যমে। যদি স্বপ্ন মিথ্যা হতো তবে আল্লাহ এই আয়াত নাজিল করতে না। বা এত ষ্পষ্ট করে বলতেন না- ‘নিশ্চয়ই এটি একটি সুস্পষ্ট পরীক্ষা’।
@
‘অতঃপর (পিতা-পুত্র) উভয়ে যখন আত্মসমর্পণ করল এবং পিতা পুত্রকে উপুড় করে শায়িত করল’। ‘তখন আমরা তাকে ডাক দিয়ে বললাম, হে ইবরাহীম’! ‘তুমি তোমার স্বপ্ন সত্যে পরিণত করেছ। আমরা এভাবেই সৎকর্মশীলগণের প্রতিদান দিয়ে থাকি’। ‘নিশ্চয়ই এটি একটি সুস্পষ্ট পরীক্ষা’। ‘আর আমরা তার পরিবর্তে একটি মহান যবহ প্রদান করলাম’ ‘এবং আমরা এ বিষয়টি পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিলাম’। ‘ইবরাহীমের উপর শান্তি বর্ষিত হৌক’ (ছাফফাত ৩৭/১০৩-১০৯)।@

তাই আপনার বোঝার ভূলে বা বুঝতে না পারার কারণে হাজার বছরের প্রসিদ্ধ সকল ইমাম গণকে আপনি ভুল বলার মতো অর্বাচিনতা, ধৃষ্টতা দেখাতে পারেন- আপনি কি তারচে মহত?
আপনি কি মানুষ নন?
সুতরাং আপনি যেখানে বুঝতে পারছেন না- তাকি আপনার উপলদ্ধির ব্যর্থতা হতে পারে না?
তাই স্বত:সিদ্ধ ঘোষনা না দিয়ে বরং এভঅবে বলূন যে এই বিষয়টা আমার খটকা লাগছে। আল্লাহ চাহেনতো অনেকেই আপনার পাশে আসবেন বুঝীয়ে দিতে।

খুব ষ্পষ্ট করে বলা আয়াত গুলোকে ধারাবাহিক পড়ুন.

(101
সুতরাং আমি তাকে এক সহনশীল পুত্রের সুসংবাদ দান করলাম।
So We gave him the good news of a boy ready to suffer and forbear.

فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ قَالَ يَا بُنَيَّ إِنِّي أَرَى فِي الْمَنَامِ أَنِّي أَذْبَحُكَ فَانظُرْ مَاذَا تَرَى قَالَ يَا أَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ سَتَجِدُنِي إِن شَاء اللَّهُ مِنَ الصَّابِرِينَ (102
অতঃপর সে যখন পিতার সাথে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হল, তখন ইব্রাহীম তাকে বললঃ বৎস! আমি স্বপ্নে দেখিযে, তোমাকে যবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি দেখ। সে বললঃ পিতাঃ! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তাই করুন। আল্লাহ চাহে তো আপনি আমাকে সবরকারী পাবেন।
Then, when (the son) reached (the age of) (serious) work with him, he said: "O my son! I see in vision that I offer thee in sacrifice: Now see what is thy view!" (The son) said: "O my father! Do as thou art commanded: thou will find me, if Allah so wills one practising Patience and Constancy!"

فَلَمَّا أَسْلَمَا وَتَلَّهُ لِلْجَبِينِ (103
যখন পিতা-পুত্র উভয়েই আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহীম তাকে যবেহ করার জন্যে শায়িত করল।
So when they had both submitted their wills (to Allah., and he had laid him prostrate on his forehead (for sacrifice),

وَنَادَيْنَاهُ أَنْ يَا إِبْرَاهِيمُ (104
তখন আমি তাকে ডেকে বললামঃ হে ইব্রাহীম,
We called out to him "O Abraham!

قَدْ صَدَّقْتَ الرُّؤْيَا إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ (105
তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে! আমি এভাবেই সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।

(106
নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা।
For this was obviously a trial-

وَفَدَيْنَاهُ بِذِبْحٍ عَظِيمٍ (107
আমি তার পরিবর্তে দিলাম যবেহ করার জন্যে এক মহান জন্তু।
And We ransomed him with a momentous sacrifice:

وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ (108
আমি তার জন্যে এ বিষয়টি পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিয়েছি যে,
And We left (this blessing) for him among generations (to come) in later times:

سَلَامٌ عَلَى إِبْرَاهِيمَ (109
ইব্রাহীমের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।

এখানে ধারাবাহিক আয়াতের মাঝখানের কোন এক অংশ নিয়ে আপনি নিজের মন মতো ভাবলেতো হবে না। ১০৫ এ তো ষ্পষ্ট করে বলে দেয়া স্বপ্ন আল্লাহরই দেখানো যা সত্যে পরিণত করায় ১০৬এ বল্লেন এ ষ্পস্ট পরীক্ষা আর ১০৭ এ তার পরিবর্তে ঘোষনা দিয়েছেন এক মহান বস্তু তার পরিবর্তে কবুল করার। এবং এটাকে পরবর্তীদের জন্য রেখৈ দিয়েছেন বলেও ঘোষনা তাঁরই।

তাই আগে নিজে বুঝতে চেষ্টা করুন। না পারলে বিজ্ঞ কারো সাহায্য নিন। নিশ্চয় ফিতনা সুষ্টি হত্যা অপেক্ষা ভয়ানক।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭

হানিফঢাকা বলেছেন: আল্লাহ কাউকে খারপ কাজের আদেশ দেন না (৭:২৮)। সুতরাং খারাপ কাজের আদেশ দিয়ে কাউকে পরীক্ষা করার প্রশ্নই আসেনা। সে জন্য কোথাও বলা হয়নি আল্লাহ এই স্বপ্ন দেখিয়েছেন।

আপনি ৩৭ঃ১০৬ ধরে যেঁ কথা বলতে চাচ্ছেন তার উত্তর আমার লেখার শেষ অংশে (৩৭:১০৭ এর অর্থ সহ) দেয়া আছে। দয়া করে পড়ুন।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

হানিফঢাকা বলেছেন: প্রথম কথা হচ্ছে আপনি কোন যুক্তি দেন নি। আপনি যা করেছেন তা কোরআনের ৩৭ঃ১০২-১০৯ পর্যন্ত কোরআনের আয়াত বর্ণনা করেছেন। এই সব গুলি আয়াত আমি নিজে অনেকবার পড়েছি। এই আয়াত গুলি বিক্ষিপ্ত ভাবে পড়ার কোন সুযোগ নেই। কোরআনের প্রেক্ষিতেই এর অর্থ করতে হবে। এই জিনিসগুলি আমার মুল লেখায় আমি দিয়েছি, কিন্তু মনে হচ্ছে আপনারা সেটা অভারলুক করে গেছেন। যাই হোক আবার বলছিঃ

And when they commit an immorality, they say, "We found our fathers doing it, and Allah has ordered us to do it." Say, "Indeed, Allah does not order immorality. Do you say about Allah that which you do not know?" (৭:২৮)

Satan threatens you with poverty and orders you to immorality, while Allah promises you forgiveness from Him and bounty. And Allah is all-Encompassing and Knowing. (২:২৬৮)

And We did not send before you any messenger or prophet except that when he spoke [or recited], Satan threw into it [some misunderstanding]. But Allah abolishes that which Satan throws in; then Allah makes precise His verses. And Allah is Knowing and Wise. (২২:৫২)

And never is it for a believer to kill a believer except by mistake. And whoever kills a believer by mistake। (৪:৯২)

But whoever kills a believer intentionally - his recompense is Hell, wherein he will abide eternally, and Allah has become angry with him and has cursed him and has prepared for him a great punishment (৪:৯৩)

উপরের এই পাঁচটি আয়াত একসাথে পড়লে কি অর্থ দ্বারায়ঃ
১। আল্লাহ মন্দ কাজের আদেশ দেন না (৭:২৮)
২। শয়তান মন্দ কাজের আদেশ দেয় (২:২৬৮)
৩। শয়তান সবসময় নবীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, কিন্ত আল্লাহ সেই চেষ্টা নস্ট করে দেয়। (২২:৫২)
৪। বিশ্বাসীদের হত্যা করা মন্দ কাজ এবং এর পরিনাম জাহান্নাম (৪:৯২,৯৩)

এখন আসেন ৩৭:১০২ এর অর্থ করি।
And when he reached with him [the age of] exertion, he said, "O my son, indeed I have seen in a dream that I [must] sacrifice you, so see what you think." He said, "O my father, do as you are commanded. You will find me, if Allah wills, of the steadfast." (৩৭:১০২)

এই খানে বলে নাই এই স্বপ্ন আল্লাহ দেখিয়েছেন। বলা হয়েছে নবী ইব্রাহিম একটা স্বপ্ন দেখেছেন। উপরের ৫ টি পয়েন্ট পড়লে কি ভাবে বিশ্বাস করতে পারেন এইটা আল্লাহ দেখিয়েছেন। কারন বিশ্বাসীদের হত্যা করা মন্দ কাজ এবং এর পরিনাম জাহান্নাম (৪:৯২,৯৩), এবং আল্লাহ এই কাজের আদেশ আল্লাহ দিতে পারেন না দিতে পারেন না (৭:২৮)
আপনার কি মনে হয় আল্লাহ ৭:২৮ বলা কথার ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন?

৩৭:১০৪ We called to him, "O Abraham
৩৭:১০৫ You have fulfilled the vision." Indeed, We thus reward the doers of good.
৩৭:১০৬ Indeed, this was the clear trial

৩৭:১০৫ এ আল্লাহ বলেছেন “You have fulfilled the vision."- এই খানেও বলা হ্য় নাই আল্লাহ এই স্বপ্ন দেখিয়েছেন। ৩৭:১০৬ এ বলেছেন “Indeed, this was the clear trial”। এখন আপনার যুক্তি এটা দ্বারা বুঝানো হয়েছে এই স্বপ্ন আল্লাহর কাছ থেকে এসেছে। কিন্তু প্রথমেই এটা প্রমানিত এটা আল্লাহর কাছ থেকে আসে নাই। এটা পরীক্ষা ছিল, কিন্ত এই পরীক্ষার উৎস আল্লাহ না। নবী ইব্রাহিম এই স্বপ্ন দেখার পর এটা আল্লাহ প্রদত্ত ভেবেছিলেন, সেই জন্য এই স্বপ্ন পূর্ণ করতে গিয়েছিলেন যেখানে আল্লাহ এই আদেশ দেন নাই। সুতরাং এটা পরীক্ষা ছিল যে আল্লাহর আদেশ মনে করে সে এই কাজ করবে কি না। যখন নবী ইব্রাহিম এই কাজ করতে উদ্যত হল তখন ২২:৫২ অনুযায়ী (উপরে আয়াতটি দেখুন) ৩৭:১০৪-১০৫ এ বলেছেনঃ We called to him, "O Abraham। You have fulfilled the vision." Indeed, We thus reward the doers of good.
এই খানে কনফিউশনের কি আছে? যারা এর পরেও বলছেন যে এটা আল্লাহর আদেশ ছিল তারা স্পষ্টত ৭:২৮ কে অস্বীকার করছেন।


এইবার ভেড়া/মহান জন্তু/ momentous sacrifice/ great sacrifice/ great slaughter দ্বারা আপনি কি বুঝেছেন?
এর ব্যখ্যা আমি আমার লেখার দ্বিতীয় অংশে বলেছি। দরকার মনে করলে আপনি ডিকশনারি খুলে মিলিয়ে নিতে পারেন। প্রচলিত অর্থে বলা হয়ে থাকে যে আল্লাহ একটা ভেড়া পাঠিয়ে দিয়েছিলেন (বাইবেলের উদাহরণ দেখুন) এবং এটাকেই বলা হয় great slaughter।

প্রথমতঃ আমার লেখায় আমি যা বলেছি তা হল” দ্বিতীয় শব্দঃ بِذِبْحٍ “বিজিবিহিন” অর্থ “with slaughter” or “in place of slaughter” কোরআনের ৩৭:১০৭ এর অর্থ অনুযায়ী এই slaughter দ্বারা নবী ইব্রাহিমের পুত্রকে জবাই করা অর্থে বোঝানো হয়েছে, অন্য কোন প্রানী বা ভেড়া কে বুঝানো হয়নি। কারন ৩৭:১০২ এ أَذْبَحُكَ শব্দ দ্বারা নবী ইব্রাহিমের পুত্রকে জবাই করা অর্থে বোঝানো হয়েছে। তাহলে ৩৭:১০৭ এ কেন অন্য প্রানী বা ভেড়া জবাই করা উদ্দেশ্যে এই শব্দ ব্যবহার হবে যেখানে কোথাও এই ধরনের প্রানীর অস্তিত্ব নেই।“

দ্বিতীয়তঃ
What is so great about slaughtering a sheep? কিন্তু যদি এই slaughter দ্বারা নবী ইব্রাহিমের পুত্রকে বোঝায় তাহলে এর অর্থ দাড়ায় নবী ইব্রাহিম একটা বড় পাপ কাজ করতে যাচ্ছিলেন (৪:৯৩) যা আল্লাহ সরাসরি বাধা দান করেন। সেই জন্য আল্লাহ বলেছেনঃ
And We left for him [favorable mention] among later generations। "Peace upon Abraham."। Indeed, We thus reward the doers of good. (৩৭:১০৮-১১০)








১৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫

জাহিদ ২০১০ বলেছেন: অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী। একটা কথা আছে।

ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু ভাই। সঠিক তথ্য দিয়ে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য।

@লেখক,, যদি পারেন বিদ্রোহী ভৃগু ভাইয়ের যুক্তি খন্ডন করেন।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫

হানিফঢাকা বলেছেন: ১৩ নং কমেন্টের উত্তর দেওয়া হয়েছে। দয়া করে পড়েন।

১৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১

দরবেশমুসাফির বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু যে যুক্তি প্রমান দিয়েছেন তাতে দেখা যাচ্ছে যে আপনি ভুল করেছেন। মানুষ মাত্রই ভুল করে কেউই ভুলের উরধে নয়।
ভুল স্বীকার করে সঠিক মত মেনে নেওয়াই সত্যিকার জ্ঞান অন্বেষীর বৈশিষ্ট ।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫

হানিফঢাকা বলেছেন: ১৩ নং কমেন্টের উত্তর দেওয়া হয়েছে। দয়া করে পড়েন।

১৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪

জাহিদ ২০১০ বলেছেন: আর আরেকটা কথা নবী ও রাসূল দের নাম নেওয়ার সময় সম্মান ও আদবের সহিত আলাইহিমুস সালাম বলতে হয় যা লেখার সময় (আঃ) এভাবে লেখা হয়।

আর আপনি বর্তমান যুগের আলেম-ওলামাদের যেভাবে হেয় প্রতিপন্ন করলেন মনে হয় যেন উনারা আপনার থেকে কম জানেন??

সামান্য কুরআনের একটা আয়াত নিয়ে এতো লাফালাফি??? বাহবা বাহবা

বেআদব কে আল্লাহ তাআলা পছন্দ করেন না। শুধু আল্লাহ কেন দুনিয়ার কেউই বেআদব কে পছন্দ করে না। আলেম-ওলামারা হলেন নবী করীম (সাঃ) ওয়ারিশ। তাদের মধ্যে ভালো খারাপ থাকতেই পারে তাই বলে সবাইকে হেয় প্রতিপন্ন করা বা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা একটা চরম বেআদবী।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি বুঝতে ভুল করেছেন এবং সম্ভবত রাগের মাথায় কথা গুলি বলেছেন।

আপনি বলেছেন "সামান্য কুরআনের একটা আয়াত নিয়ে এতো লাফালাফি??? বাহবা বাহবা"- কোরআনের আয়াত সামান্য। এইটা কি আপনার আলেম-ওলামারা শিখিয়েছে? ধরে নিলাম রাগের মাথায় বলেছেন, তাই কিছু বললাম না মনেও করলাম না।

১৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪

নরক গুলজার বলেছেন: [37:102] মুহিউদ্দীন খান
অতঃপর সে যখন পিতার সাথে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হল, তখন ইব্রাহীম তাকে বললঃ বৎস! আমি স্বপ্নে দেখিযে, তোমাকে যবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি দেখ। সে বললঃ পিতাঃ! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তাই করুন। আল্লাহ চাহে তো আপনি আমাকে সবরকারী পাবেন।
[37:103] মুহিউদ্দীন খান
যখন পিতা-পুত্র উভয়েই আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহীম তাকে যবেহ করার জন্যে শায়িত করল।
[37:104] মুহিউদ্দীন খান
তখন আমি তাকে ডেকে বললামঃ হে ইব্রাহীম,
[37:105] মুহিউদ্দীন খান
তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে! আমি এভাবেই সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
[37:106] মুহিউদ্দীন খান
নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা।
[37:107] মুহিউদ্দীন খান
আমি তার পরিবর্তে দিলাম যবেহ করার জন্যে এক মহান জন্তু।
[37:108] মুহিউদ্দীন খান
আমি তার জন্যে এ বিষয়টি পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিয়েছি যে,
[37:109] মুহিউদ্দীন খান
ইব্রাহীমের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।
[37:110] মুহিউদ্দীন খান
এমনিভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
[37:111] মুহিউদ্দীন খান
সে ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের একজন।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০০

হানিফঢাকা বলেছেন: ১৩ নং কমেন্টের উত্তর দেওয়া হয়েছে। দয়া করে পড়েন।

১৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮

কামের কথা কন!! বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু সুন্দর করে উত্তর দেয়ার জন্য।

এত আবাল এখন ব্লগে আসছে যে কি আর বলা।অল্প বিদ্যা ভয়ংকর এই কথা ই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। কুরআন এ অনেক কিছুই বিস্তারিত বলা নাই এই জন্য অনেকে সেই বিষয় গুলো নিয়ে তাফসির করে। আমার একজন পরিচিত আছে যে কিনা কুরআন এর একটা ছোট আয়াত নিয়ে তাফসির করতেছে (ব্যাখ্য) মালায়াশিয়াতে।

এই জেনারেশন ভয়ংকর বিপদের মধ্যে আছে, এই বিপদ নেশা আর আমাদের ভাঙাচুরা শিক্ষা ব্যবস্তাই দায়ী।

জাযাকাল্লাহ খায়ের আল্লাহ মুসলিম দের কে হেদায়াত দান করুন এবং সবাই কে ভালভাবে বুঝার ও ধ্রজ্য ধারন করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

১৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৭

বিজন শররমা বলেছেন: লেখক বলেছেন: The word of Allah is absolute and Allah never change His min।

If that be the case, why does the book expressing Allah's words contain someone's personal matters, including family problems, family matters and even how to solve those ? Is not human society much bigger than a family living in a particular country at a particular age ?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪২

হানিফঢাকা বলেছেন: I think you have misunderstood the book of Allah. The solution that Allah expresses on personal matter are divine and also applicable to human's personal matter in any time to come. The command of such personal things, if you read carefully, you will find that those are not dependent on or influenced by any country or particular age, thus applicable to any time. if you have any confusion or question regarding the Quranic command, you can ask me. I do not say I know all, but I can say even if I do not know, I can learn and try to find the answer. In fact, this is one way of learning the Quran.
Thanks.

১৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৯

সামুরাই_কাতানা বলেছেন: আপনি মানুষকে স্পস্টই বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। কারন
প্রথম: আপনার প্রথম ভুল- আপনি বাইবেল আর কোরআন এক ভাবে দেখছেন। আপনার উচিত ছিল কোরাআনের বানী দিয়ে বাইবেল কে তূলনা করা। কিনতু আপনি করেছেন উল্টাটা। যে কিতাব মানুষ দ্বারা বিকৃত হয়ে গেছে সেটা সঠিক ধরে নিলেন আর যে কোরআন এখন পর্যন্ত অবিকৃত সেটাকে আপনি বলছেন বাইবেল থেকে নেয়া।

দ্বিতীয়: আপনার সবচেয়ে গহিৃত অপরাধ : আপনি নিজে নিজে অর্থ দ্বার করিয়েছেন। কোরআনের আয়াতগুলো যখন নাযিল হয় তখন এর শানে নুযুল থাকে। কি কারনে এই আয়াত গুলো নাযিল হয়েছে। আপনি সেগুলোর একটিও উল্রেখ করনে নাই। শুধু মাত্র কোরআনের আয়াত দিয়ে আপনার মত দিয়েছেন।

তৃতীয়: সবচেয়ে বড় আপরাধ যেটা করেছেন সেটা হলো আপনি মাঝখান থেকে আয়াত নিয়ে নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন। আয়াতের আগে পিছনের আয়াত গুলো মানুষকে না জানিয়ে শুধু এক আয়াত দিয়ে ব্যাখ্যা করে করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।




২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৪

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি বলেছেন" আপনার প্রথম ভুল- আপনি বাইবেল আর কোরআন এক ভাবে দেখছেন। আপনার উচিত ছিল কোরাআনের বানী দিয়ে বাইবেল কে তূলনা করা। কিনতু আপনি করেছেন উল্টাটা। " দয়া করে আমার লেখাটা আরেকবার পড়ুন। আমি বাইবেল দিয়ে কোরআন কে জাস্টিফাই করিনি, বরং দুই জায়গায় কি লেখা আছে তা পাশাপাশি দেখিয়েছি, এবং কোরআন দাড়া জাস্টিফাই করেছি।

আপনি বলেছেন" যে কিতাব মানুষ দ্বারা বিকৃত হয়ে গেছে সেটা সঠিক ধরে নিলেন আর যে কোরআন এখন পর্যন্ত অবিকৃত সেটাকে আপনি বলছেন বাইবেল থেকে নেয়া।"- আমার লেখার কোথায় এই ধরনের কথা পাইছেন তা একটু বলবেন কি? আপনি কি বাংলা লেখা পড়ে এর অর্থ বুঝতে পারেন না?

২০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

জাহিদ ২০১০ বলেছেন: বেক্কল শাহের মুরিদ (লেখক) টা গেল কই????

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৬

হানিফঢাকা বলেছেন: এই যে আমি

২১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫২

কহেন কবি কালিদাস বলেছেন: ভাই পবিত্র কোরআনে যা বলা আছে তার মধ্যে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই । পবিত্র কোরআনের ব্যাখ্যা হচ্ছে আল হাদিস । আর যা কিছুর ব্যাখ্যা হাদিসে নেই তার জন্য আছে ইজমা/কিয়াস ।
আর আমি যতটুকু জানি, নবী/রাসুলদেরকে ইবলিশ মিথ্যা সপ্ন দেখাতে পারে না । কারন নবী/রাসুলদেরকে নিষ্পাপ বলা হয়েছে।

বিদ্রোহী ভৃগু ভাইকে ধন্যবাদ ...

পরিশেষে একটা কথা ,ধর্ম খুব সেন্সিটিভ বিষয় । আপনার/আমার একটা ভুল তথ্য/ব্যাখ্যার জন্য সমাজে অনেক বড় ফেতনা তৈরি হতে পারে । কাজেই আমাদের সবাইকেই এই বাপারে সতর্ক থাকতে হবে ।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৮

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি জানতে চাচ্ছি এই ভুল তথ্যটা কোথায় আছে? কোরআনে না প্রচলিত বিশ্বাসে?

২২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯

এ আর ১৫ বলেছেন: 37 -107 . Kindly people give the proper answer if it is wrong. The explanation has given by Hanif Dhaka kindly give similar answer . Personal attack reveals week ness to answer.

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫২

হানিফঢাকা বলেছেন: কমেন্ট এবং উত্তর এই দুইটাই দেখেন।

২৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩

জাহিদ ২০১০ বলেছেন: এ আর ১৫ আপনি বিদ্রোহী ভৃগু ভাইয়ের কমেন্ট টা দেখেন

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫১

হানিফঢাকা বলেছেন: কমেন্ট এবং উত্তর এই দুইটাই দেখেন।

২৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: প্রথমেই আল্লাহর কাছে দোয়া করছি, আল্লাহ তা'লা আপনাকে সহীহ বুঝ দান করুন এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করার যে শয়তানি ওয়াসওয়াসা আপনার মধ্যে তৈরী হয়েছে সেটা দূর করে দিন। আমিন।

আপনি স্পষ্টতই অপব্যাখ্যার মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন, হয়ত ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়। উপযুক্ত জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও কোন বিষয় নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে গেলেও এরুপ ভুল হয়।

যাহোক, অনেকেই আপনাকে যথেষ্ট ব্যাখ্যা দিয়ে গেছেন। আমি শুধু দু'টো কথা বলতে চাই, বাইবেল (যেটাকে মুসলমানগণ ইঞ্জিল বলে জানেন) এবং কুরআন দু'টোই আল্লাহ তা'লার বাণী। এখানে বাইবেল বলতে আমি মূল একক ইঞ্জিল কিতাবকে বোঝাতে চাচ্ছি, বর্তমানের চৌদ্দ রকম বাইবেল নয়। যেহেতু বাইবেল বিকৃত করেছে মানুষ, তাই এখানে অবিকৃত আল্লাহর কিছু বাণীও আছে। সেই প্রেক্ষাপটে যদি আমি কোরবাণীর ইতিহাস এর কথা বলি, তাহলে এটা কি সম্ভব যে, আল্লাহ তা'লা ইব্রাহীম (আঃ) এর একই কুরবাণীর কথা তার দুই গ্রন্থে দুইভাবে বলবেন? বাচ্চাদের জ্ঞান দিয়ে চিন্তা করে দেখুন, বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই। বুঝতে পেরেছেন, কোথায় গর্হিত অপরাধ করেছেন?

দ্বিতীয়তঃ, আপনি কোথাও কোন হাদিসের রেফারেন্স আনেননি, অথচ কোরআনের ব্যাখ্যাই হচ্ছে হাদিস, রাসূল (সঃ) এর সুন্নাহ, রাসূল(সঃ) এর জিন্দেগী ! কোরআনের একটা আয়াত থেকে দেখাতে পারবেন, নামায কয় ওয়াক্ত পড়তে হবে? কয় রাক'আত পড়তে হবে? কোথা থেকে পেয়েছি আমরা, রাসূল(সঃ) এর সুন্নাহ থেকে ! আর রাসূল (সঃ) বলেছেন, তিনি তার নিজের ইচ্ছে থেকে কোন কথা বা কাজ করেন না, যা করেন আল্লাহর হুকুমেই করেন। তার মানে কি? তার জীবনে তিনি যা করেছেন, সেটা মূলতঃ আল্লাহ সোবহানা তা'লার নির্দেশের বাস্তবায়ন। ইব্রাহীম (আঃ) এর কোরবাণীর উপর আয়াত নাজিল হওয়ার সময় নিশ্চয় রাসূল (সঃ) সাহাবা (রাঃ) কে এই সম্পর্কে বলেছেন, সেগুলো আপনি আপনার লেখায় উল্লেখ্য করেন নি কেন?

সুতরাং, আলেম ওলামাদের সম্মান করুন। হাদিসেই আছে, ওলামাগণ আম্বিয়া কেরামের উত্তরাধীকারী, কিসের? সম্পদের? না তাদের জ্ঞানের। যুগ যুগ ধরে ওলামায়ে কেরামের হাত ধরেই আমরা ইসলাম পেয়েছি, দ্বীন পেয়েছি। সুতরাং, তাদের প্রতি বেয়াদবি করলে আল্লাহ নিশ্চয় খুশী হবেন না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন, আমিন।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

হানিফঢাকা বলেছেন: আমি জানতে চাচ্ছি আমার কোন কথাটা আপনার কাছে অপব্যাখ্যা মনে হয়েছে। আমার মুল কথা হচ্ছে যদি আল্লঃ২৮৩৭ঃ১০২ এ এই আদেশ দিয়ে থাকেন তবে তা ৭:২৮ এর সাথে কনফ্লিক্ট করে। যা ৪:৮২ অনুযায়ী কোনভাবে সম্ভব না। শুধু এই কথাটার কোন ব্যখ্যা কেউ দিচ্ছেনা।

আপনার কথা ধরেই বলি, বাইবেল বিকৃত হয়েছে, কিন্তু কোরআন অবিকৃত রয়েছে। এই জন্য আল্লাহ কোরআন কে বলেছেন ফোরকান- অর্থাৎ সত্য মিথ্যা পার্থক্য নির্ণয়কারী। সুতরাং আমরা কোরআনের আলকে দেখব যে বাইবেলের কথা সঠিক কি না। আমি সেই কাজটাই করেছি। এবং পাশাপাশি দেখিয়েছি যে দুই গ্রন্থের কথা এক নয়। আমি কোরআনে বিশ্বাস করি, তাই কোরআনের কথাই সঠিক ধরে নিয়েছি। কিন্তু অন্যরা কোরআনে বিশ্বাস করে কিন্তু বাইবেলের কথা সঠিক বলে ধরে নিয়েছে। সমস্যাটা হচ্ছে এইখানে।
আপনার বিশ্বাস কে আমি পরিবর্তন করতে পারবনা, আমার উদ্দেশ্যও সেইটা না। আমি এখানে কোরআনের প্রেক্ষিতে কোরআন দিয়েই এর অর্থ করেছি। এখন যদি আপনার এইটা অপব্যাখ্যা মনে হয় তবে কোরআন অনুযায়ী আপনার ব্যখ্যা কি তা জানতে চাই। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

আপনি হাদিসের কথা বলেছেন। হাদিস সম্পর্কে আমার পড়ালেখা আছে। যদি হাদিস নিয়ে আলোচনা করতে চান আমি রাজি আছি। তবে এই লেখায় নয়, আমি চাই এইখানে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা হোক।
ধন্যবাদ।

২৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮

ইমরান আশফাক বলেছেন: আশা করি লেখক তার ভূলটা ইতিমধ্যেই ধরতে পেরেছেন।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫০

হানিফঢাকা বলেছেন: ভুলটা কোথায় করেছি একটু বলবেন কি?

২৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার বিশ্লেষণ ধর্মীপোস্ট এতে সন্দেহ নেই । তবে আমাদের ধর্মীয় নেতারা বাইবেল পরেন এটা আমার বিশ্বাস হয় না । হলেও এতটা পড়েন না । আর কুরবানীর বাপারটি কুরআনের বিবৃত আছে । অসংখ্য হাদীসও আছে এর সমর্থনে । তাছাড়া ইবরাহীম আঃ কে মুসলমান জাতির পিতা বলা হয় ।তাকে স্রষ্টা পরীক্ষা করেছেন । তিনটি পরীক্ষায় পাশ করে পরেই তিনি খলিলুল্লাহ উপাধী লাভ করেছেন । কুরবানীর ব্যাপারটি অস্পষ্ট কিছু নয় ।

আশারাফ আলী থানবীর বেহেশতি জেওর খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সেখানে কুরবানীর মাস আলা বিশদ ভাবে বর্ণিত হয়েছে ।
হাদীস সমূহ কুরআনের ব্যাখ্যা । সেখানেও সুস্পষ্ট ভাবে কুরবানীর নিয়ম কানুন বর্ণিত আছে ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৮

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমি কোরবানির বিপক্ষে কিছু বলছিনা।

২৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৯

কোলাহল বলেছেন: আপনার লেখা থেকে একটি বিষয় আমার পরিস্কার হলো যে মুসলমানদের মধ্যে অনেক ভুল ধারনার জন্ম হবার জন্য আপনার মত গবেষকরাই দায়ী। আপনার মত যারা বাইবেল নিয়ে গবেষনা করেন তারা বাইবেলের গল্পকে খুব সুকেৌশলে মুসলমানদের মধ্যে ঢুকিয়ে দেন। আমাদের দেশে এরকম অনেক বই পাওয়া যায়। ইউসুফ জুলেখার রসালো প্রেমের কাহিনী আপনাদের মত গবেষকরাই মনে হয় ছড়িয়েছে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৯

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি ত পুরা উলটা কথা বললেন। আমি যেখানে বলতে চাচ্ছি কোরআনে এই ধরনের কোন কথা নাই, এই গুলি বাইবেল এ আছে, আর আপনি বুঝছেন আমি বাইবেলের গল্পকে খুব সুকেৌশলে মুসলমানদের মধ্যে ঢুকিয়ে দিচ্ছি। ভাই আমার লেখাটা আবার পড়েন। আশা করি বুঝতে পারবেন।

আমি বলতে চেয়েছিঃ কোরআনে আল্লাহ এই আদেশ দেন নাই, বাইবেলে ঈশ্বর এই আদেশ দিয়েছেন। কোরআনে আল্লাহ কোথাও ভেড়ার কথা বলে নাই, বাইবেলে বলেছে। এখন আমি কোরআনে বিশ্বাস করি বলে বলছি যে কোরআনে এই ধরনের কথা নাই, এইগুলি বাইবেলে আছে। তাহলে আমি কিভাবে বাইবেলের গল্প কোরআনের বলে চালিয়ে দিলাম। বরং যারা এইখানে কমেন্ট করছে তারা বেশিরভাগই এই বাইবেলের গল্প কে আঁকড়ে ধরে আছে। এখানে আমার দোষ কোথায়।

২৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @লৈখক বলেছেন---
উপরের এই পাঁচটি আয়াত একসাথে পড়লে কি অর্থ দ্বারায়ঃ
১। আল্লাহ মন্দ কাজের আদেশ দেন না (৭:২৮)
২। শয়তান মন্দ কাজের আদেশ দেয় (২:২৬৮)
৩। শয়তান সবসময় নবীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, কিন্ত আল্লাহ সেই চেষ্টা নস্ট করে দেয়। (২২:৫২)
৪। বিশ্বাসীদের হত্যা করা মন্দ কাজ এবং এর পরিনাম জাহান্নাম (৪:৯২,৯৩)

আপনি যে আয়াত গুলো উল্লেখ করেছেন তা ভিন্ন ভিন্ন সুরার। তার আগে পিছে সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলীর উপর নির্ভরশীল। এখন নিজের প্রয়োজনে যদি ভিন্ন ভিন্ন আয়াতকে বিচ।ছিন্ন ভাবে সাজাই দেখা যাবে অনেক অবৈধ বিষয়কেও বৈধ করা যাবে!
মদে তোমাদের জন্য রয়েছে উপকার! শেষৈর অংশটুকু বাদ দিয়ে যদি ভলি.. আবার তার সাথৈ ধরুন আরেক আয়াতের অংশ বিশেষ জুড়ে দিলাম নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের কল্যানের জন্যই সব কিছূ সৃজন করেছেন! কিংবা আল্লাহ মানুষর মঙ্গল চান!
তবে কি দাড়াল বিচ্ছিন্ন আয়াতের সুবিধাবাদী সন্নিবেশনের মাধ্যমে হারাম মদের পক্ষে কু-যুক্তি দাড় করাতে পারলাম!
তা কি সঠিক হবে? এভাবে অনেক নিষীদ্ধ বিষয় ব্যভিচার, যৌনতাকে, অন্যায়কে বৈধ করা যাবে বিচ্ছিন্ন ভাবে সুবিধাবাদী মানসিকতায় বিচ্ছিন্ন আয়াতকে খন্ড খন্ড ভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে
যা সুষ্পষ্ট অন্যায় এবং কোরআন টেম্পারিং বলেই গণ্য হবে এবং মহা পাপ!

আবার বলেছেন...

এখন আসেন ৩৭:১০২ এর অর্থ করি।
And when he reached with him [the age of] exertion, he said, "O my son, indeed I have seen in a dream that I [must] sacrifice you, so see what you think." He said, "O my father, do as you are commanded. You will find me, if Allah wills, of the steadfast." (৩৭:১০২)

এই খানে বলে নাই এই স্বপ্ন আল্লাহ দেখিয়েছেন। বলা হয়েছে নবী ইব্রাহিম একটা স্বপ্ন দেখেছেন। উপরের ৫ টি পয়েন্ট পড়লে কি ভাবে বিশ্বাস করতে পারেন এইটা আল্লাহ দেখিয়েছেন। কারন বিশ্বাসীদের হত্যা করা মন্দ কাজ এবং এর পরিনাম জাহান্নাম (৪:৯২,৯৩), এবং আল্লাহ এই কাজের আদেশ আল্লাহ দিতে পারেন না দিতে পারেন না (৭:২৮)
আপনার কি মনে হয় আল্লাহ ৭:২৮ বলা কথার ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন?

আগের কথাই খাটে আপনার এই কু-যুক্তির বেলায়। আপনি ৩৭: ১০২কে বুঝতে কেন ৭:২৮ এর ব্যবহার করবেন? আপনার মনে চাইছে তাই????

অথচ আল্লাহতো এই আয়াতকে পরের আয়াত দিয়েই জাস্টিফাই করেছেন..
" যখন পিতা-পুত্র উভয়েই আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহীম তাকে যবেহ করার জন্যে শায়িত করল।"
So when they had both submitted their wills (to Allah., and he had laid him prostrate on his forehead (for sacrifice),
এখনে লক্ষ্য করুন আল্লাহ কি বলছেন? আনুগত্য প্রকাশ করলে। তার মানে কি আনুগত্য শয়তানের? না আল্লাহর দেখানো স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে আল্লাহর!
শয়তানের আনুগত্য হলেতো আল্লাহ বলতেই পারতেন- হে ইব্রাহিম তুমি কি শয়তানের আনুগত্য প্রকাশ করলে!? কিন্তু এমনটি কি বলেছেন। বলেন নি। তাই আপনার অবাস্তব কু-যুক্তি খাটে না।

তারপরে আপনার ব্যক্তি ভাবনার অপেক্ষা না কলেই আল্লাহ আরো স্পষ্ট করে দিলেন পরের আয়াত সমস্টিতে

105
তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে! আমি এভাবেই সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
(106
নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা।
For this was obviously a trial-

<< এখানেতো কোন ফাক নেই। স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে। এটা শয়তানের হলেতো আল্লাহ বলতনে বা হুশীয়ারী দিতেন- তুমি কি শয়তানের স্বপ্নে বিভ্রান্ত হয়েছিলে! কিন্তু তা কিন্তু বলেন নি। মানে আল্লা্হই স্বপ্ন দেখিয়েছেন। যার বাস্তবায়নের ডেডিকেটেড চেষ্টাতে কথা মান্য করায়, আনুগত্য প্রকাশ করায় সুন্তুষ্ঠি প্রকাশ করেছেন। এবং ১০৬ তে ষ্পষ্ট বলে দিলেন সেই স্বপ্ন ছিল আল্লাহ প্রেমে ত্যাগের পরীক্ষা!
তবে আপনার নিজস্ব না বোঝা ভাবনা প্রক্ষেপনের সুযোগ রইল কই?????

আবার বলেছেন-
প্রথমতঃ আমার লেখায় আমি যা বলেছি তা হল” দ্বিতীয় শব্দঃ بِذِبْحٍ “বিজিবিহিন” অর্থ “with slaughter” or “in place of slaughter” কোরআনের ৩৭:১০৭ এর অর্থ অনুযায়ী এই slaughter দ্বারা নবী ইব্রাহিমের পুত্রকে জবাই করা অর্থে বোঝানো হয়েছে, অন্য কোন প্রানী বা ভেড়া কে বুঝানো হয়নি। কারন ৩৭:১০২ এ أَذْبَحُكَ শব্দ দ্বারা নবী ইব্রাহিমের পুত্রকে জবাই করা অর্থে বোঝানো হয়েছে। তাহলে ৩৭:১০৭ এ কেন অন্য প্রানী বা ভেড়া জবাই করা উদ্দেশ্যে এই শব্দ ব্যবহার হবে যেখানে কোথাও এই ধরনের প্রানীর অস্তিত্ব নেই।“

আপনার যুক্তির বহর দেখৈ তাসলিমার কথা মনে পরে যায়। যে ইসলাম আরবী সম্পর্কে অল্পজ্ঞানী হয়েও আরবী অনুবাদ করেছিল ওয়া হাজার বালাদিল আমিন মানে- এই বলদ আমিনের।!!!
আপনি বিজিবিহীন বা গ্রেট স্লটার বলে ইব্রাহিম পুত্রকে জবাই করাকে বুঝেছেন। কিন্তু ধরুন আমি বলছি তা ছিল ইব্রাহিম আ: এর আত্মত্যাগকে মিন করে। তিনি আল্লাহর রাহে যে নিজের সবচে প্রিয় জিনিষকেও ত্যাগ করতে রাজি ছিলেন সেই আত্মত্যাগের মাহাত্বকে মানসিকতাকে মিন করেছে!
এই ক্ষেত্রে আপনাকে আরো পিছনের মূল সত্য জেনে আসতে হবে।
তাহলে আর বোকার মতো এ কথা বলার ধৃষ্টতা দেখাবেন না ইব্রাহিম আ: ভুল করেছেন!!!!

একজন মানুষের কাছে সন্তান কতটা প্রিয়? অনেক। কিন্তু যখন একজন মানুষ নি:সন্তান অবস্থায় ৫০-৬০ বছর পার করে দেয় তার কাছে কতটা প্রিয়? এটা ধারনাও করতে পারবেন না। তারপর যখন সন্তান আসে সেই সন্তানের মূল্য আমাদের সাধারন বোধে্ ধারন করতে পারবনা। এ গেল এক বিষয়।
আবার ঐ স্বপ্ কিন্তু একদিনই দেখেন নি। এবং প্রথম ধাক্কায়ই ছেলেকে নিয়ে কোরবানি দিতে ছোটেন নি। প্রথম দিন দেখার পর ১০০ দুম্বা কোরবানি দিলেন।
পরের দিন আবারও একই স্বপ্ন দেখলেন- তোমার প্রিয় জিনিষ আল্লাহর রাহে কোরবানী কর?
আবারও ১০০ দুম্বা কোরবানী দিলেন। এভাবে তিন দিন কোরবানী দেবার পরও যখন আবারও স্বপ্ন দেখলেন- তখন তিনি ভাবলেন এরচে প্রিয় কে?
তখন বুঝলেন সবচে প্রিয় শেষ বয়সের সন্তান ইব্রাহিম। তাফসির গুলৌ ভাল করে পড়ুন। বোঝার চেষ্টা করুন। তবে আর নবী শুধূ নন নবীদের সবার চেয়ে বৈশিষ্টপূর্ন মর্যাদাবান মুসলিম জাতির পিতা ইব্রাহিম আ: সম্পর্কে মন্দ সাধারন ভাবনা ভাবার আগে শতবার ভাববেন।

আর যদি লক্ষ্য হয় ফেতনা সৃষ্টি করা তবে আপনাকে মহান আল্লাহর হাতেই সোপর্দ করলাম। তিনিই আপনার জন্য উত্তম ব্যবস্থাকারী।
কারন ফেতনা হত্যার চেয়ে জঘন্য।










২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৬

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি বলেছেন” আপনি যে আয়াত গুলো উল্লেখ করেছেন তা ভিন্ন ভিন্ন সুরার। তার আগে পিছে সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলীর উপর নির্ভরশীল। এখন নিজের প্রয়োজনে যদি ভিন্ন ভিন্ন আয়াতকে বিচ।ছিন্ন ভাবে সাজাই দেখা যাবে অনেক অবৈধ বিষয়কেও বৈধ করা যাবে!”- আমি যে রেফারেন্স গুলি দিয়েছি ঐ গুলির কোনটা কন্টেক্সটের বাইরে? আপনি ঐ গুলির কন্টেক্সট যাচাই করে দেখেন এবং বলেন কোন টা আউট অফ কন্টেক্সট।

খন্ড খন্ড উপস্থাপন ত আমি করছি না। করছেন আপনি। আপনি কোরআনের একটা আয়াত দেখান যেখানে এই রেফারেন্স কনফ্লিক্ট করে। আপনি পারবেন না। কোরআনের আয়াত নিয়ে যখন গবেষণা করতে হয় বা এর প্রকৃত অর্থ অনুসন্ধান করতে হয় তখন ঐ সংক্রান্ত সব গুলি আয়াত একসাথে করে দেখতে হয়। এই সাধারন জিনিসটা আপনি জানেন না?

আপনি বলেছেনঃ “আগের কথাই খাটে আপনার এই কু-যুক্তির বেলায়। আপনি ৩৭: ১০২কে বুঝতে কেন ৭:২৮ এর ব্যবহার করবেন? আপনার মনে চাইছে তাই????”- জ্বী না, আমার মনে চাইছে বইলা না। এইটা আল্লাহ বলেছেন। আল্লাহ ৪:৮২ তে বলেছেনঃ
“Then do they not reflect upon the Qur'an? If it had been from [any] other than Allah , they would have found within it much contradiction.”
এইটার অর্থ বুঝছেন? এর অর্থ কোরআনে কোন কন্ট্রাডিকশন নাই। সমগ্র কোরআনের কথা বলা হয়েছে, আপনার ঐ খন্ড খন্ড কথা বলা হয় নাই। এখন আল্লাহ যদি এই আদেশ দিয়ে থাকেন তবে ৩৭:১০২ এর সাথে ৭:২৮ সুস্পস্ট ভাবেএর সাথে কনফ্লিক্ট করে। এই মিনিমাম ঘিলু টুকু থাকা উচিৎ। এই কথা আমি আমার মুল লেখা এবং মন্তব্যেও বলেছি। এটা বুঝতে এত কষ্ট হচ্ছে কেন।

আপনার কাছে আমার প্রশ্নঃ
১। আপনি কি ৭:২৮ বিশ্বাস করেন?
২। যদি করে থাকেন তবে ৩৭:১০২ এ যদি আল্লাহ আদেশ দিয়ে থাকেন তবে এর সাথে যে এটা কনফ্লিক্ট করে তা আপনি কিভাবে সমাধান করবেন?
প্রথমে আমি আপনার কাছ থেকে এই দুইটা প্রশ্নের উত্তর চাই।

এর পর,
আপনি বলেছেন “এটা শয়তানের হলেতো আল্লাহ বলতনে বা হুশীয়ারী দিতেন- তুমি কি শয়তানের স্বপ্নে বিভ্রান্ত হয়েছিলে! কিন্তু তা কিন্তু বলেন নি।“- এটাই ৩৭:১০৪ থেকে আল্লাহ এই কথাই বুঝিয়েছেন, এবং তার পুত্রকে জবাই করা থেকে বাচিয়ে পুরস্কারও দিয়েছেন।

আপনি শেষে যে কমেন্ট করেছেন তা হাস্যকর। কারন ৩৭:১০২ এ স্পষ্ট বলা আছে "বৎস! আমি স্বপ্নে দেখিযে, তোমাকে যবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি দেখ"।

আর আপনি বলছেন “আবার ঐ স্বপ্ কিন্তু একদিনই দেখেন নি। এবং প্রথম ধাক্কায়ই ছেলেকে নিয়ে কোরবানি দিতে ছোটেন নি। প্রথম দিন দেখার পর ১০০ দুম্বা কোরবানি দিলেন।
পরের দিন আবারও একই স্বপ্ন দেখলেন- তোমার প্রিয় জিনিষ আল্লাহর রাহে কোরবানী কর?
আবারও ১০০ দুম্বা কোরবানী দিলেন। এভাবে তিন দিন কোরবানী দেবার পরও যখন আবারও স্বপ্ন দেখলেন- তখন তিনি ভাবলেন এরচে প্রিয় কে?”

এই সব আপনার পক্ষে বলা সম্ভব। আপনি আমাকে বিশ্বাস করতে বলছেন যে নবী ইব্রাহিম স্বপ্নে নিজের ছেলেকে জবাই করতে দেখার পরও বুঝতে পারছিলনা কি জবাই করছেন?, নিজের ছেলেকে না দিয়ে ১০০ করে দুম্বা জবাই করতে লাগল? ৩৭:১০২ আর আপনার কথা ত বিপরীত।

২৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৮

আলামিন১০৪ বলেছেন: ইত্তেফাকের মতো একটা স্বনামধন্য দৈনিকে এরকম একটি বিভ্রান্তিকর পোস্টের লিঙ্ক দেখে আমি বিস্মিত।
আপনার আসল উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, এই নব আবিস্কার এর জন্য যে অনেক পড়াশুনা করেছেন সে জন্য ধন্যবাদ নিন। আরেকটু পরিশ্রম করে হাদিস সংগ্রহকারিদের ইতিহাস পড়ুন, আপনি বুঝতে পারবেন ভুল হাদিস এড়াতে কি পরিমাণ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। আমাদের সৌভাগ্য কিংবা দুর্ভাগ্য যে অবিকৃত কোরআনের পাশাপাশি প্রামাণ্য হাদিস গ্রন্থেরও উত্তরাধিকার আজকের মুসলিম জাতি। দুর্ভাগ্য বলছি এ কারনে যে, হাদিস লিপিবদ্ধ না থাকলে ইসলামের শরিয়তের বিস্তারিত না জানার অজুহাতে আমাদের কাজ অনেক সহজ হয়ে যেত। তবে, আমার ধারনা আল্লাহতাআলার আল-কুরানে বিস্তারিত না বলার কারনও তার রহমত ছাড়া আর কিছু নয়। সুরা বাকারার ইহুদিদের ঘটনা এর ইংগিত বহন করে। তিনি কিয়ামতের দিন মুমিন বান্দাদের ক্ষমা করার উসিলা খুজবেন।
লেখকের উদ্দেশ্যে একটা কথা, আপনি মনে হয় অবগত নন যে, নবি-রাসুলদের স্বপ্ন পুরোপুরি সত্য কিংবা সত্যের কাছাকাছি (রূপক, যেমনটা ইউসুফ(আঃ) দেখেছিলেন) । হুদায়বিয়ার সন্ধির আগে রাসুল(সঃ) হজ্জে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে সাহাবীদের নিয়ে মক্কার পথে রওয়ানা করেছিলেন। পথি মধ্যে মূর্তি পূজারিরা বাধা দেয় যার ফল সেই চুক্তি। সেই বছর হজ্জ না করাতে উমর এর মত সাহাবীও খটকায় পতিত হয়েছিলেন, তিনি নবীকে কৈফিয়ত তলবের সুরে স্বপ্নের সত্যতার বিষয়ে জিজ্ঞাসাও করেছিলেন। কারন সাহাবিরা জানতেন, নবীর স্বপ্ন সত্য। রাসুল (সঃ) উত্তরে বলেছিলেন তিনি যে সেই বছর হজ্জে যাবেন সেরকম কিছু স্বপ্নে দেখেন নি। সন্ধির চুক্তি অনুযায়ী পরবর্তী বছর মুসলিমরা হজ করতে গিয়েছিলেন। আর উমর (রাঃ) সেই প্রশ্নের কারনে আল্লাহর কাছে অনেক ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন সেই বর্ণনাও হাদিসে আছে।
আর কুরবানি নিয়ে নব্য নাস্তিকের চুলকানির জবাব আরেক দিন দেয়া যাবে।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০২

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমি এখানে কোরআন নিয়ে কথা বলছি। যদি আপনি হাদিস, সুন্নাহ বা অন্য কিছু নিয়ে কথা বলতে চান তবে আমি রাজী আছি। আলোচনা করতে আমার কোন সমস্যা নাই। তবে এইখানে এই প্রসঙ্গেই আলোচনা হওয়া উচিত।

৩০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৮

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: এই পাঁচটি আয়াত একসাথে পড়লে কি অর্থ দ্বারায়ঃ
১। আল্লাহ মন্দ কাজের আদেশ দেন না (৭:২৮)
২। শয়তান মন্দ কাজের আদেশ দেয় (২:২৬৮)
৩। শয়তান সবসময় নবীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, কিন্ত আল্লাহ সেই চেষ্টা নস্ট করে দেয়। (২২:৫২)
৪। বিশ্বাসীদের হত্যা করা মন্দ কাজ এবং এর পরিনাম জাহান্নাম (৪:৯২,৯৩)


১। আল্লাহ মন্দ কাজের আদেশ দেন না (৭:২৮)-----এখানে মন্দ কাজ বলতে আপনি কোনটাকে বোঝাচ্ছেন?আল্লাহ ইবরাহিম (আ:) কে তার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস কুরবানি দিতে বলেছেন,হত্যা নয়---কুরবানি আর হত্যার মধ্যে পার্থক্য নিশ্চয়ই বোঝেন। এখন আসেন আল্লাহ কেন একজন বিশ্বাসিকে কুরবানি দিতে বললেন। এর উত্তর এখানে--
আমি তার জন্যে এ বিষয়টি পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিয়েছি যে,
And We left (this blessing) for him among generations (to come) in later times:
--অর্থাৎ পরবর্তী জেনারেশন এর শিক্ষার জন্য তিনি ইবরাহিম (আ:) কে এমন আদেশ দিয়েছেন। আল্লাহ কি জানতেন না ইবরাহিম (আ:) কি করবেন? তিনি অবশ্যই জানতেন যে ইবরাহিম আ: তার প্রিয় ছেলে কে কুরবানি দিতে রাজি হবেন,তিনি এও জানতেন তিনি(আল্লাহ) কি করতে চলেছেন;কাজেই এখানে বিশ্বাসিকে হত্যার প্রসংগ কিভাবে আসে?!এটা আল্লার পক্ষ থেকে ইবরাহিম আ: এর জন্য তাকওয়ার একটি কঠিন পরীক্ষা,যে পরীক্ষায় তিনি পাস করেন, আর অনাগত সকল মানব জাতির জন্য তিনি রেখে যান তাকওয়ার এক অনুপম উদাহরণ---সুরা হাজ্জ এ আল্লাহ বলেন--কুরবানির মাংস বা রক্ত এর কোন কিছুই আল্লার কাছে পৌচে না পৌছে শুধু তার কাছে তোমাদের তাকওয়া

২। শয়তান মন্দ কাজের আদেশ দেয় (২:২৬৮)
৩। শয়তান সবসময় নবীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, কিন্ত আল্লাহ সেই চেষ্টা নস্ট করে দেয়। (২২:৫২
---এখানে শয়তানের প্রসংগ আসে কিভাবে! ৩৭:১০৫ You have fulfilled the vision." Indeed, We thus reward the doers of good.----শয়তান যদি ইবাহিম আ: কে ধোকা দিয়েই থাকে তাহলে আল্লাহ কেন বল্লেন Indeed, We thus reward the doers of good--এখানে আল্লার ইবরাহিম আ: কে তার তাকওয়ার জন্য পুরস্কারের কথা বলেছেন,যদি শয়তানের ধোকায় পরতেন তাহলে কিভাবে আল্লাহ বলেন doers of good আশা করি উত্তর দিবেন।

আপনার উক্তি এই খানে বলে নাই এই স্বপ্ন আল্লাহ দেখিয়েছেন।---আপনি এখন আমাকে দেখান কোথায় বলা আছে স্বপ্ন শয়তান দেখিয়েছে
আপনার উক্তি এটা পরীক্ষা ছিল, কিন্ত এই পরীক্ষার উৎস আল্লাহ না। এই পরীক্ষার উৎস কে? শয়তান? কোথায় বলা আছে কোরানের যেখানে আল্লাহ নিজেই বলছেন
105।তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে! আমি এভাবেই সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
10.নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা।
For this was obviously a trial-

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২২

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি ৩৭:১০২ আবার পড়েন। বৎস! আমি স্বপ্নে দেখিযে, তোমাকে যবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি দেখ।
৭:২৮ অনুযায়ী এই স্বপ্ন আল্লাহ দেখাতে পারেন না। বোল্ড করা অংশটুকু পড়েন।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি বলেছেনঃ “এখানে মন্দ কাজ বলতে আপনি কোনটাকে বোঝাচ্ছেন?আল্লাহ ইবরাহিম (আ কে তার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস কুরবানি দিতে বলেছেন,হত্যা নয়---কুরবানি আর হত্যার মধ্যে পার্থক্য নিশ্চয়ই বোঝেন” – আমি বুঝি, কিন্তু আমার প্রশ্ন আপনি কি বুঝেন। আপনার কথা হচ্ছে “আল্লাহ নবীকে তার প্রিয় জিনিষ কোরবানি করতে বলেছেন, হত্যা নয়”।

আমার মনে হচ্ছে আপনি হয় অন্ধ অথবা বাংলা পড়তে জানেন না। আসেন আবার দেখি আল্লাহ ৩৭:১০২ এ কি বলেছেনঃ

অতঃপর সে যখন পিতার সাথে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হল, তখন ইব্রাহীম তাকে বললঃ বৎস! আমি স্বপ্নে দেখিযে, তোমাকে যবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি দেখ। সে বললঃ পিতাঃ! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তাই করুন। আল্লাহ চাহে তো আপনি আমাকে সবরকারী পাবেন।

১। এইখানে কোথায় বলা হয়েছে তোমার প্রিয় বস্তু কোরবানি কর? “প্রিয় বস্তু”- এই শব্দটা এই আয়াতে কোথায় আছে? অথবা কোরআনের অন্য কোথায় কোন আয়াতে আল্লাহ ইব্রাহিম নবীকে তার প্রিয় বস্তু কোরবানি করার কথা বলেছেন? এখানে বারে বারে স্পষ্ট ভাবে আয়াত লিখে দেওয়ার পর, আপনার প্রচলিত বিশ্বাসের সাথে কোরআনকে গুলিয়ে ফেলছেন কেন?

২। আপনাকে আমি হাইলাইটস করে দিয়েছি “যবেহ” শব্দটা। এইখানে কোরবানি বলে কোন শব্দ নেই। দরকার হলে চোখ কচলিয়ে আবার পড়েন। শব্দটা যবেহ, কোরবানি নয়। এই দুইটা শব্দের পার্থক্য আমি বুঝি, আপনি বুঝেন? বুঝার কথা কারন এই প্রশ্ন আপনি আমাকে করেছেন।

৩। “যবেহ”- শব্দ দ্বারা কোরবানি বুঝানো হয়েছে বা এটা যবেহ শব্দের সমার্থক কোরআনের প্রেক্ষিতে এটা ভাবার কোন সুযোগ নেই। কেন নেই? কারন কোরবানি বলতে আপনি যা বুঝেন সেই অর্থে এই কোরবানি শব্দটা কোরআনের ৫:২৭ এবং ৩:১৮৩ আয়াতে “কোরবানি” শব্দ হিসাবেই ব্যবহার হয়েছে। তাহলে আল্লাহ কোরবানি এবং যবেহ দুইটা পৃথক শব্দ ব্যবহার করেছেন কেন? আল্লাহ যদি কোরবানি চাইত তাহলে এই ৩৭:১০২ এ “যবেহ” শব্দটা ব্যবহার করতনা, কোরবানি শব্দ ব্যবহার করত। এরপরেও যদি মানুষ কোরবানি করার কথা বলত, তবু এটা মন্দ কাজ।

৪। এই জন্য ৩৭:১০২ এ বলা হয়েছে, নবী ইব্রাহিম একটা স্বপ্ন দেখেছে যেখানে উনি তার নিজের পুত্রকে “যবেহ” করছে। আর আল্লাহ ৭:২৮ অনুযায়ী এই আদেশ দেন নাই, এবং ৩৭:১০২ এ আল্লাহ এ আদেশ দিয়েছেন তাও বলা হয় নাই।

আপনি বলেছেন” শয়তান যদি ইবাহিম আ: কে ধোকা দিয়েই থাকে তাহলে আল্লাহ কেন বল্লেন Indeed, We thus reward the doers of good--এখানে আল্লার ইবরাহিম আ: কে তার তাকওয়ার জন্য পুরস্কারের কথা বলেছেন,যদি শয়তানের ধোকায় পরতেন তাহলে কিভাবে আল্লাহ বলেন doers of good আশা করি উত্তর দিবেন।“- এর উত্তর আমার লেখাতেই আমি দিয়েছি। আপনার জন্য আবার কপি পেস্ট দিলাম

“এখন এই কোরআনের প্রেক্ষিতে এই তিনটা শব্দের অনুবাদ করলে যা অর্থ দাড়ায় তা হল ঃ, যদিও এই আদেশ আল্লাহর পক্ষ থেকে ছিলনা, তবু নবী ইব্রাহিম এটাকে আল্লাহর আদেশ ভেবে তার সবচেয়ে প্রিয় একমাত্র সন্তানকে জবাই করতে উদ্যত হতে দ্বিধা করেন নাই। সেই জন্য ৩৭ঃ১০৫, ১১০-১১ অনুযায়ী আল্লাহ নবী ইব্রাহিমের প্রতি তার আল্লাহ ভক্তির কারনে খুশি হয়ে আল্লাহ সরাসরি হস্তক্ষেপে নবী ইব্রাহিম কে একটা বড় পাপ কাজ (৪:৯৩)থেকে রক্ষা করেন এবং তার পুত্রকেও জবাই হওয়া থেকে রক্ষা করেন । এইরকম ঘটনার আরও উদাহরণ হচ্ছে সূরা ইউসুফ যেখানে নবী ইউসুফ কেও আল্লাহ সরাসরি পাপ কাজ (ব্যভিচার) থেকে বিরত রেখেছিলেন (১২:২৪)।

সাধারণত আল্লাহ কাউকে পাপা বা পুন্য কাজে বাধা প্রদান করেন না। মানুষ পাপ বা পুন্য করে তার ইচ্ছা বা ব্যক্তি স্বাধীনতা অনুযায়ী (ফ্রি উইল)। কিন্তু এই ক্ষেত্রে আল্লাহ সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছেন। আর এই জন্যই আল্লাহ একে বলেছেন concession or ransom। আর এটাই হচ্ছে নবী ইব্রাহিমের আল্লাহ ভক্তির পুরস্কার।

আপনি বলেছেন “এই খানে বলে নাই এই স্বপ্ন আল্লাহ দেখিয়েছেন।---আপনি এখন আমাকে দেখান কোথায় বলা আছে স্বপ্ন শয়তান দেখিয়েছে”- জ্বী এইখানে এই কথাও বলা নাই। যেহেতু আল্লাহ এই স্বপ্ন দেখান নাই, তাহলে কে দেখিয়েছে?

৩৭:১০২ এ যে যুক্তি ব্যবহার করেছি, সেই একই যুক্তি এইখানে প্রযোজ্য। ২:২৬৮, ২২:৫২ । মানুষ যবেহ করা নিঃসন্দেহে একটা মন্দ কাজ, এবং এর পরিণাম ভয়ঙ্কর শাস্তি (৪:৯৩)। এবং মন্দ কাজের আদেশ দেয় শয়তান। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

৩১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০২

ওয়াছেকুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন: হানিফঢাকা, আপনার মতলবটা কি জানিনা। আল্লাহ আপনাকে এবং সকল ফেতনাবাজকে সুপথে চালিত করুন। জানা না থাকলে ১৩, ২৯ এবং অন্যান্য কমেন্টস থেকে জানুন, আর যদি অন্তরে শয়তানী প্ররোচনা থাকে তবে আপনার জন্য ধ্বংস অপেক্ষা করছে।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১২

হানিফঢাকা বলেছেন: ১৩ এবং ২৯ নম্বর কমেন্টের উত্তর আমি দিয়েছি। আপনি দেখে নিতে পারেন। আমার অন্তরে কোন শয়তানী প্ররোচনা নেই।

আপনি বলেছেন ঃ "আপনার জন্য ধ্বংস অপেক্ষা করছে"। - এইটা দিয়ে কি আপনি আমাকে হুমকি দিচ্ছেন? দয়া করে এটা করবেন না। আপনার সাথে আমার মতের অমিল হতে পারে, তাই বলে এই ধরনের কথা বলা কি ঠিক? যদি সত্যি সত্যি আপনি হুমকি দিয়ে থাকেন তবে এটলিস্ট প্রানের ভয়ে হলেও আমি আপনার মতকে প্রাধান্য দেব। দয়া করে আপনি বিষয়টা পরিষ্কার করেন। দরকার হলে আমি আমার সব লেখা মুছে ফেলব এবং আইডি ডি-এক্টিভেট করে দিব।

আশা করি আপনার উত্তর এবং মতামত জানাবেন।

৩২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

মিহির সাহা বলেছেন: ইসলামকে ‍ডিসক্রেডিট করে এমন সব লেখাই সামু প্রমোট করে।কাভার মন্তব্য দ্রষ্টব্য। হানিফঢাকাই কী কাল্পনিক ভালবাসা ? ইসলামী বিশ্বাস আকীদাকে চ্যালেঞ্জকারী এই পোস্টের বিরূদ্ধে সরকারের কাছে নালিশ জানানো হলো।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৭

হানিফঢাকা বলেছেন: আমার মুল কথা হচ্ছে যদি আল্লঃ৩৭ঃ১০২ এ এই আদেশ দিয়ে থাকেন তবে তা ৭:২৮ এর সাথে কনফ্লিক্ট করে। যা ৪:৮২ অনুযায়ী কোনভাবে সম্ভব না। শুধু এই কথাটা বলার জন্যই আমার লেখা ইসলামকে ‍ডিসক্রেডিট করে?

৩৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৮

মোহাম্মদ জামিল বলেছেন: ৩১:২২ " এবং যখন তাহাদিগকে বলা হয়, "আল্লাহ যাহা কিছু নাযেল করিয়াছেন, তোমরা উহার অনুসরন কর, তখন তাহারা বলে, না, বরং আমরা সেই পথের অনুসরন করিব যাহার উপর আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদিগকে পাইয়াছি। কী! শয়তান যদি তাহাদিগকে দোযখের আযাবের দিকে ডাকে তবুও? "

জন্মের পর আমার বাবা-মা আমাকে বলেছিল আমি মুসলিম, তাই আমি মুসলিম
জন্মের পর আমার হুজুর আমাকে বলেছিল কোরান মুখস্ত কর, সোয়াব পাবা [বুঝে পরতে বলেন নাই]
জন্মের পর হুজুর মা-বাবা বলেছিল গরু কোরবানী দিয়া ফরজ।

কিন্তু আল্লাহ আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন, মাষ্টার ডিগ্রী পাস করাইছেন, কোরান বাংলায় পড়ে বোঝার তাগিদ দিয়েছন। এই কোরান আমাকে শিক্ষা দেয় "কোরবানী" মানে নিজের প্রিয় সম্পদ মানুষের কল্যান এ ত্যাগ কর। সেই সব মানুষ যারা দুবেলা খেতে পারে না, থাকার জায়গা নাই, কাজ নাই, পরনের কাপড় নাই। তবেই তোমরা সমাজ তথা দেশ দারিদ্র মুক্ত হবে, প্রকৃত সোনার বাংলা হবে। ২০১৫ এ আমার/আমাদের প্রিয় সম্পদ হচ্ছে "টাকা"। আসুন আমরা সে টাকার কোরবানী দেই---- মাংসের নয়। আল্লাহ বলেছেন "পশুর মাংস কিংবা রক্ত আল্লাহর কোন কাজে আসে না"। টনকে টন মাংস দিয়ে বিগত হাজার হাজার বছর "গরীব মানুষের কি দারিদ্র দুর হয়েছে"? সবার কাছে এ প্রশ্ন রইল।



২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৩৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @ লেখক বলেছেন..
এইটার অর্থ বুঝছেন? এর অর্থ কোরআনে কোন কন্ট্রাডিকশন নাই। সমগ্র কোরআনের কথা বলা হয়েছে, আপনার ঐ খন্ড খন্ড কথা বলা হয় নাই। এখন আল্লাহ যদি এই আদেশ দিয়ে থাকেন তবে ৩৭:১০২ এর সাথে ৭:২৮ সুস্পস্ট ভাবেএর সাথে কনফ্লিক্ট করে। এই মিনিমাম ঘিলু টুকু থাকা উচিৎ। এই কথা আমি আমার মুল লেখা এবং মন্তব্যেও বলেছি। এটা বুঝতে এত কষ্ট হচ্ছে কেন।

<< আপনার ফিতনা আপনাকে অন্ধ করে রেখেছে। তাই আপনি অন্ধের মতোই নিজের বাইরে কারো সাধারন, চিরন্তন কোন সত্যকেই মানতে চাইছেন না। ৩৭ :১০২ এর সাথে ৭: ২৮ এর কফ্লিক্টের কথা বারবার বলছেন।
চলুন দেখি কি আছে ৭:২৮ এ
সূরা আল আরাফের নম্বর সাত। সেখানে আদম আ: সৃষ্টি পর্ব এবং শয়তানের অবাধ্যতা বিতাড়িত হওয়া বিষয়ে আয়াত এসেছ..
যার এক পর্যায়ে ধারাবাহিকতায় বলা হচ্ছে
لُواْ فَاحِشَةً قَالُواْ وَجَدْنَا عَلَيْهَا آبَاءنَا وَاللّهُ أَمَرَنَا بِهَا قُلْ إِنَّ اللّهَ لاَ يَأْمُرُ بِالْفَحْشَاء أَتَقُولُونَ عَلَى اللّهِ مَا لاَ تَعْلَمُونَ (28
তারা যখন কোন মন্দ কাজ করে, তখন বলে আমরা বাপ-দাদাকে এমনি করতে দেখেছি এবং আল্লাহও আমাদেরকে এ নির্দেশই দিয়েছেন। আল্লাহ মন্দকাজের আদেশ দেন না। এমন কথা আল্লাহর প্রতি কেন আরোপ কর, যা তোমরা জান না।

ভাল করে দেখূন লেখক এবং যারা অংশগ্রহন করছেন। তিনি পূর্ণাঙ্গ আয়াতের আগে পিছে বহু অংশ ছেড়ে শুধূ আল্লাহ মন্দ কাজের আদেশ দেননাকে হাইলাইটস করে তাকে ইব্রাহিম আ: এর কোরবানীর মতো পবিত্র ইস্যুকে বিতর্কিত করতে ব্যবহার করছেন।

অথচ এর পূর্ববর্তী আয়াতের সাথৈ মিলালে এর পরিপূর্ণতা পাওয়া যায় যা কোনভাবেই কোরবানীর সাথে সংশ্লীষ্ট নয়।

نِي آدَمَ لاَ يَفْتِنَنَّكُمُ الشَّيْطَانُ كَمَا أَخْرَجَ أَبَوَيْكُم مِّنَ الْجَنَّةِ يَنزِعُ عَنْهُمَا لِبَاسَهُمَا لِيُرِيَهُمَا سَوْءَاتِهِمَا إِنَّهُ يَرَاكُمْ هُوَ وَقَبِيلُهُ مِنْ حَيْثُ لاَ تَرَوْنَهُمْ إِنَّا جَعَلْنَا الشَّيَاطِينَ أَوْلِيَاء لِلَّذِينَ لاَ يُؤْمِنُونَ (27
হে বনী-আদম শয়তান যেন তোমাদেরকে বিভ্রান্ত না করে; যেমন সে তোমাদের পিতামাতাকে জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছে এমতাবস্থায় যে, তাদের পোশাক তাদের থেকে খুলিয়ে দিয়েছি-যাতে তাদেরকে লজ্জাস্থান দেখিয়ে দেয়। সে এবং তার দলবল তোমাদেরকে দেখে, যেখান থেকে তোমরা তাদেরকে দেখ না। আমি শয়তানদেরকে তাদের বন্ধু করে দিয়েছি, , যারা বিশ্বাস স্থাপন করে না।

আবার পরের আয়াতেও খূঁজে দেখূনতো কোরবানী বা ঐ বিষয়ের কোন হিন্টস কি সেখানে আছে যা ৩৭:১০২ এর সাথৈ কোনভাবে তুলনাযোগ্য

لْ أَمَرَ رَبِّي بِالْقِسْطِ وَأَقِيمُواْ وُجُوهَكُمْ عِندَ كُلِّ مَسْجِدٍ وَادْعُوهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ كَمَا بَدَأَكُمْ تَعُودُونَ (29
আপনি বলে দিনঃ আমার প্রতিপালক সুবিচারের নির্দেশ দিয়েছেন এবং তোমরা প্রত্যেক সেজদার সময় স্বীয় মুখমন্ডল সোজা রাখ এবং তাঁকে খাঁটি আনুগত্যশীল হয়ে ডাক। তোমাদেরকে প্রথমে যেমন সৃষ্টি করেছেন, পুনর্বারও সৃজিত হবে।

এই সাধারন সত্যকে বোঝার মিনিমাম ঘিলু টুকু কার নাই পাঠক বুঝে নিন।

@ লেখক বলছেন - আপনার কাছে আমার প্রশ্নঃ
১। আপনি কি ৭:২৮ বিশ্বাস করেন?

<< হ্য করি । এবং আপনি যে আরোপ করছেন তার বিন্দু মাত্রও সেই আয়াতের সাথে কনফ্লিক্টের কিছূ নাই। সবার দেখার জন্য উপরে তা কোট করেছি । আপনি আবার চোখ দুটো মেলে ভাল করে দেখে নিন।

@ ২। যদি করে থাকেন তবে ৩৭:১০২ এ যদি আল্লাহ আদেশ দিয়ে থাকেন তবে এর সাথে যে এটা কনফ্লিক্ট করে তা আপনি কিভাবে সমাধান করবেন?
প্রথমে আমি আপনার কাছ থেকে এই দুইটা প্রশ্নের উত্তর চাই।

<< আপনার কনফ্লিক্টের ধারনাটাইতো ভূল । উপরে পাজল ডক আপনাকে সুন্দর করে তুলে ধরেছেন।
এখানে মন্দ কাজ বলতে আপনি কোনটাকে বোঝাচ্ছেন? আল্লাহ ইবরাহিম আ: কে তার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস কুরবানি দিতে বলেছেন,হত্যা নয়---কুরবানি আর হত্যার মধ্যে পার্থক্য নিশ্চয়ই বোঝেন! আর যে আয়াতের রেফারেন্স দিচ্ছে সেখানে মন্দ কাজ বলতে অবিশ্বাসীদের খোদার পথের নামে ধর্মহীন যে সকল কাজ করতে ( যেমন কাবায় ৩৬০ টি মূর্তি ছিল এবং তারাও বলত বাপ দাদায় করত আমরা্ও করছি এবং এ আল্লাহর আদেশ বা নির্দেশ! ঐ জাতীয় লোকদের ঐ জাতীয় ভূল কথাকে ইংগিত করেছে আল্লাহ ঐ আয়াতে। আর আপনি তাকে জুড়ে দিচ্ছেন কোথায়?????

@ এর পর,
আপনি বলেছেন “এটা শয়তানের হলেতো আল্লাহ বলতনে বা হুশীয়ারী দিতেন- তুমি কি শয়তানের স্বপ্নে বিভ্রান্ত হয়েছিলে! কিন্তু তা কিন্তু বলেন নি।“- এটাই ৩৭:১০৪ থেকে আল্লাহ এই কথাই বুঝিয়েছেন, এবং তার পুত্রকে জবাই করা থেকে বাচিয়ে পুরস্কারও দিয়েছেন।

আপনি ভূল বলছেন। ৩৭: ১০৪ এ স্রেফ আহবান করা হয়েছে-
104
তখন আমি তাকে ডেকে বললামঃ হে ইব্রাহীম,
We called out to him "O Abraham!
আয়াত শেষ। আহবানের পর কি বলছেন তা পরের আয়াতে-

قَدْ صَدَّقْتَ الرُّؤْيَا إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ (105
তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে! আমি এভাবেই সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।

এখানে কোন ভাবেই স্বপ্ন মিথ্যা বা শয়তানের তা প্রতিপন্ন হয় না। বরং এই আয়াতই প্রতিপন্ন করে আপনার দাবী মিথ্যা। তুমিতো স্বপ্ন প্রতিপন্ন করে দেখােল! মানে কি। আমি যে স্বপ্ন তোমাকে দেখীয়েছি তা বাস্তবায়ন করে দেখালে।
তার পর যা বল্লেন তার অর্থ বুঝতে এর পরের দু আয়াত মিলিয়ে বুঝতে হবে- কারণ তা ধারাবাহিত।


@আপনি শেষে যে কমেন্ট করেছেন তা হাস্যকর। কারন ৩৭:১০২ এ স্পষ্ট বলা আছে "বৎস! আমি স্বপ্নে দেখিযে, তোমাকে যবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি দেখ"।
আর আপনি বলছেন “আবার ঐ স্বপ্ কিন্তু একদিনই দেখেন নি। এবং প্রথম ধাক্কায়ই ছেলেকে নিয়ে কোরবানি দিতে ছোটেন নি। প্রথম দিন দেখার পর ১০০ দুম্বা কোরবানি দিলেন।পরের দিন আবারও একই স্বপ্ন দেখলেন- তোমার প্রিয় জিনিষ আল্লাহর রাহে কোরবানী কর?
আবারও ১০০ দুম্বা কোরবানী দিলেন। এভাবে তিন দিন কোরবানী দেবার পরও যখন আবারও স্বপ্ন দেখলেন- তখন তিনি ভাবলেন এরচে প্রিয় কে?”

এই সব আপনার পক্ষে বলা সম্ভব। আপনি আমাকে বিশ্বাস করতে বলছেন যে নবী ইব্রাহিম স্বপ্নে নিজের ছেলেকে জবাই করতে দেখার পরও বুঝতে পারছিলনা কি জবাই করছেন?, নিজের ছেলেকে না দিয়ে ১০০ করে দুম্বা জবাই করতে লাগল? ৩৭:১০২ আর আপনার কথা ত বিপরীত।

<< হ্যা হাস্যকরতো লাগবেই। কারন যে নিজের খন্ডিত বোধে কোরআনকে প্রশ্নের মূখ ফেলে মুসলিম জাতির পিতাকে ভুল করেছে বলে তার কাছে অনেক স্বাভাবিক বিষয়ই অস্বাভাবিক লাগবে!
আর দুনিয়ার তাবত বিজ্ঞ মুহাদ্দিস মুফাস্সির, আলেম ওলামার জ্ঞান আপনি এক ফুয়ে উড়িয়ে দিতে চান। আপনার সুস্থতা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে পারে।

আপনাকে কে বলেছেন যে স্বপ্নটা একবারই দেখেছিলেন? একটা বিষয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে ২ বা ৩ বার এর ইশারা আশাতে তো কোন বাধা নেই। এবং শেষ ইশারা বা চূড়ান্ত স্বপ্নটারই উল্লেখ আছে। কারণ কোরআন যদি সব বিস্তারিত উল্লেখ করতে যায় এইরকম ৩০০ ভলিউমেও তা শেষ হবে না। যে জন্য তাফসির সমূহ দেখূন। একটা সুরা বা পারার তাফসির দেখা যাচ্ছে বহু বহু ভলিউমে শেষ হচ্ছে। তাই আমার কথা বিপরীত নয় বরং ধারাবাহিক। যার শেষাংশ শুধু চূড়ান্তে উল্লেখ আছে।

আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত যোগ্য হলে হেদয়েত নসীব করুন। অথবা অন্য দলভূক্ত হলে আল্লাহর কাছেই পুন: সোপর্দ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৬

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি আমার দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর দেন নি। আপনি বলেছেন ৭:২৮ ঐ স্পেসিফিক লোকদের উদ্দেশ্য বলা হয়েছে। এইটা একটা চিরন্তন কমান্ড যে আল্লাহ মন্দ কাজের আদেশ দেন না। আপনি এই টাকে সেপ্সিফিক করে ফেলেছেন। ঠিক আছে, তাহলে বলেন আল্লাহ কি মন্দ কাজের আদেশ দিতে পারেন?

৩৭:১০২ এ যে শব্দটা এসেছে তা হচ্ছে "যবেহ"। এতটুকুই বোঝার জন্য যথেষ্ট হওয়া উচিত।

আমি আমার লেখার কোথাও কোরবানির বিরোধিতা করছি না। আপনি যে কোরবানির কথা বলেছেন তা হজ্বের আয়াতের সাথে সম্পর্কযুক্ত। আমি এইখানে শুধু এই ঘটনার কথা বলেছি।

আপনি বলেছেন "আর দুনিয়ার তাবত বিজ্ঞ মুহাদ্দিস মুফাস্সির, আলেম ওলামার জ্ঞান আপনি এক ফুয়ে উড়িয়ে দিতে চান"। - না আমি এই কথা বলিনি। কিন্তু যদি কারো কথা,( সে যাই হোক না কেন) কোরআনের সাথে কনফ্লিক্ট করে আমি কোরআনকেই বিশ্বাস করি। আমি অন্ধভাবে কাউকে অনুসরণ করিনা।

কোরআনের তফসির নিয়ে যদি কথা বলতে চান অন্য লেখায় আমি রাজি আছি। আমার কোন সমস্যা নেই।

আপনি তফসিরের কথা বলেছেন, অপ্রাসঙ্গিক ভাবে একটা কথা বলি। মুসলিম সমাজের বিখ্যাত ইমাম "ইবনে তাবারি" তার তফসিরে বলেছেন ইসমাইল নয়, ইসহাক কে কোরবানি/যবেহ দিতে বলা হয়েছিল। খ্রিস্টানরা এইটাকে রেফারেন্স হিসাবে ধরে থাকে। এইটা নিয়ে অনেক ফাইট আছে। কিন্তু কোরআন পড়লে আমি বুঝি নবী ইসমাইল কে কুরবানি /যবেহ (দুইটার অর্থ এক না) দিতে চেয়েছিল। এই কথাটা বলার উদ্দেশ্য হল মানুষ ভুল করতে পারে, কিন্ত আল্লাহ ভুল করেন না। তাই কোরআনের চেয়ে সঠিক কিছু নাই।


৩৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৩

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: আপনি আমার মন্তব্য পড়েন নাই বা এড়িয়ে যাচ্ছেন। ৭;২৮ সম্পর্কে আমার মন্তব্যে বলেছি।

স্পেসেফিকালি আমার প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিন।টাইম নেন সমস্যা নাই,আপনাকে অনেকেই প্রশ্ন করছ.
কিন্তু এড়িয়ে গেলে বুঝব আপনি কোন প্রপাগান্ডা নিয়ে ব্লগে এসেছেন।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৯

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনার প্রশ্নের উত্তর ছোট করে দিয়েছি। আপনার মনে হয় পছন্দ হয়নি। আপনার প্রশ্নের উত্তর গুলি বিভিন্ন কমেন্টে দেয়া আছে। আপনি চাইলে দেখে নিতে পারেন। অথবা আমি আপনাকে এইগুলির উত্তর আবার নতুন করে দিব, আমার কোন সমস্যা নেই।

ভাই আমি ক্লান্ত। অনেক্ষন ধরে উত্তর দিচ্ছি। দয়া করে ভুল বুজবেন না। আমি ইনশাল্লাহ অবশ্যয় আগামিকাল আপনার প্রশ্নের উত্তর দিব। একটু অপেক্ষা করুন।

ধন্যবাদ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি।

৩৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৫

ওয়াছেকুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন: হানিফঢাকা, ভয়ের কোন কারণ নেই। আপনি যদি অজ্ঞতা বশত: লিখতে থাকেন, তবে আল্লাহ আপনাকে সঠিক জ্ঞান দান করুন এবং সুপথে পরিচালিত করুন-আমিন।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৬

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

৩৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৭

ওয়াছেকুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন: হানিফঢাকা, ভয়ের কোন কারণ নেই। আপনি যদি অজ্ঞতা বশত: লিখতে থাকেন, তবে আল্লাহ আপনাকে সঠিক জ্ঞান দান করুন এবং সুপথে পরিচালিত করুন-আমিন।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৭

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

৩৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৯

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: সাধু সাবধান ! সব কিছু সহজ ..। ঝামেলা টা কি ?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৯

হানিফঢাকা বলেছেন: কোন ঝামেলা নেই

৩৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৬

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: কোলাহলের সহিত একমত..

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৯

হানিফঢাকা বলেছেন: ব্লগার কোলাহল কে উত্তর দেওয়া হয়েছে। দয়া করে দেখতে পারেন।

৪০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৬

নিয়েল হিমু বলেছেন: বিশ্বাসীরা মনে করি কোরান কেয়ামত পর্যন্ত অবিকৃত থাকবে । এর পূর্বের গ্রন্থ গুল পরিবর্তিত, বিকৃত এবং বিলুপ্ত হয়েছে । তাই বাইবেলের রেফারেন্স আমরা গ্রহণ করব না ।
তবে আমার ব্যখ্যা করার ক্ষেত্রে কঠিন বিষয়টা হচ্ছে কোরানকেই আপনি কোরানের বিপরীতে দাড় করিয়েছেন । ভাল কোন আলেম আপনার ভুল বোঝাটা ধরিয়ে দিতে পারবেন ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯

হানিফঢাকা বলেছেন: আপানর বুঝতে ভুল হচ্ছে। কোরআন কে কোরআনের বিপরীতে দাড় করানোর কোন সুযোগ নেই। এই চেষ্টা ও আমি করি নাই। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি তা হল যদি প্রচলিত কাহিনিকে বিশ্বাস করা হয় তবে কোরআনের সাথে এটা মিলে না। মানুষ মুখে বলে কোরআন বিশ্বাস করে, কিন্তু কোরআনে কি লেখা আছে পড়ে দেখেনা। যার ফলে কোনটা বাইবেলের গল্প আর কোনটা কোরআনের সেই পার্থক্য ধরতে পারে না। বাইবেলের গল্পকেই কোরআনের বলে বিশ্বাস করে। আমার লেখার শেষ অংশে আমি বলেছি

"সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে কোরবানি নিয়ে প্রচলিত যে গল্প আমাদের মধ্যে চালু আছে তা আসলে বাইবেলের গল্প। আমরা কোরআনে যা বলেছে তা না দেখে অথবা বাইবেল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কোরআনের অনুবাদ করে এর অর্থ পরিবর্তন করে বাইবেলের গল্পকেই প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছি"।- এই কথা দিয়ে আশা করি আমার অবস্থান বুজতে পারছেন।

৪১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৪৪

বাধন খান বলেছেন: মুসলিম ভাইয়েরা আপনারা নিজ নিজ দূরত্ব বজায় রাখুন নাস্তিক কুত্তারা কামড়াকামড়ি করতেসে। আমি ও যাইগা নাইলে কুত্তায় কামড়াইতে পারে ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫০

হানিফঢাকা বলেছেন: এইটা কি ধরনের কথা বললেন?

৪২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৫৩

অাহসান শান্ত বলেছেন: do you know there is Bible called "New testament" and "old testament" ? Do you have any idea about Gospels?Do you have any idea how it is vetted? How its changed? There is a study called "biblical archeology" for manipulation and changed contents among them the archeologist can't rely on Bible. Pork is Haram or non kosher food in old testament yet its changed in new testament. You are too dumb to understand its a test on Abraham (peace be upon Him). (Say, "Indeed, Allah does not order immorality. Do you say about Allah that which you do not know?";)7:28. its not the start of that sura yet there is circumstances of that Aayat. Do you know the story of Abel & Cain? i mean according to Bible? one sacrifice is granted another not? why? you are scholer please let me know according to Bible and Holy Qur'an. Just know this much Bible was 1st transcripted CE 125 after almost 100 years of death of Jesus and new testament is vetted in 17th century for what will be included and what will be rejected including "Gospel of Mary Magdalene". So how in this earth you rely on Bible and reject Quran? Allah don't give order which can harm others does not mean it's wrong, in greater good or future it's necessary. Every Aayat has meaning but its in rhyme or indirectly. and there is no contradiction if so then whole Quran will be lie. People tried to find fault you are not the 1st. but tried and failed. Girish Chandra Sen tried also. no worry you keep trying. But 1st read whole bible 18 parts including Gospels and Qur'an and try to understand where are the differences and manipulated. so read more and guess less and don't write without knowing. ok?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৮

হানিফঢাকা বলেছেন: Dear, my recommendation to you is first read what I write then comment. After reading your comment, I have impression that you did not read the whole writing. you just comment based on the title, and tried to show me your knowledge on Bible. Yes, its good that you know what is Bible. I also do have some study on it. The question you asked me here regarding bible is irrelevant here. therefore, I am not going to answer your question regarding bible matters. what I will answer here is....

you said: "So how in this earth you rely on Bible and reject Quran?- show me where did I say or mean it? please tell me on what basis of my writing you made this comment. I do not reject Quran, I reject that Biblical story that does not have any relation with Quran. if you don't understand read again. I would say--you totally misunderstood me. Look what I wrote in my last paragraph:
""সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে কোরবানি নিয়ে প্রচলিত যে গল্প আমাদের মধ্যে চালু আছে তা আসলে বাইবেলের গল্প। আমরা কোরআনে যা বলেছে তা না দেখে অথবা বাইবেল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কোরআনের অনুবাদ করে এর অর্থ পরিবর্তন করে বাইবেলের গল্পকেই প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছি"

you said "People tried to find fault you are not the 1st"- show me where I tried to find fault or wrong in Quran. By reading your comment I have impression that either you did not read my writing or your level of understanding is very low. Sorry to say that.

৪৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৩৭

কোলাহল বলেছেন: আপনার লেখার মুল উদ্দেশ্য যদি হয় একথা বুঝানো যে বাইবেলের অনেক গল্প মুসলিমরা কোরানের কাহিনী মনে করে বিশ্বাস করে বসে আছে তাহলে আপনার সাথে আমি একমত। সেক্ষেত্রে আপনাকে আরো সংক্ষেপে বলতে হবে বাইবেলের রেফারেন্স নিয়ে প্রচলিত ভুল বিশ্বাসটি কি এবং কোরআনের বক্তব্য অনুযায়ী আসল ইতিহাস কি হবে।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬

হানিফঢাকা বলেছেন: প্রথমে আমাকে গালাগালি করে অভিযোগ করলেন। এর উত্তর আমি দিলাম। এর পর আপনি বলেছেন "আপনার লেখার মুল উদ্দেশ্য যদি হয় একথা বুঝানো যে বাইবেলের অনেক গল্প মুসলিমরা কোরানের কাহিনী মনে করে বিশ্বাস করে বসে আছে তাহলে আপনার সাথে আমি একমত। "- আমার লেখার শেষ অংশটুকু পড়লে আপনি আমার কথার অর্থ বুজতে পারতেন। আমার উদ্দেশ্য নিয়ে কিছু মনে করা লাগত না। আপনার জন্য আমার লেখার শেষ অংশ টুকু আবার কপি করে দিলামঃ

"সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে কোরবানি নিয়ে প্রচলিত যে গল্প আমাদের মধ্যে চালু আছে তা আসলে বাইবেলের গল্প। আমরা কোরআনে যা বলেছে তা না দেখে অথবা বাইবেল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কোরআনের অনুবাদ করে এর অর্থ পরিবর্তন করে বাইবেলের গল্পকেই প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছি"।-আশা করি আপনার মণের সন্দেহ দূর হয়েছে। আই কোন বাইবেলের গল্প মুসলমানদের মধ্যে ঢুকিয়ে দিচ্ছিনা, বরং পৃথক করার চেষ্টা করছি।

আপনি বলেছেন" সেক্ষেত্রে আপনাকে আরো সংক্ষেপে বলতে হবে বাইবেলের রেফারেন্স নিয়ে প্রচলিত ভুল বিশ্বাসটি কি এবং কোরআনের বক্তব্য অনুযায়ী আসল ইতিহাস কি হবে"।- ভাই দয়া করে আমার লেখাটা পড়েন। সেইখানে আমি এর উত্তর ভাল্ভাবেই দিয়েছি। আমার মনে হচ্ছে আপনি না পড়ে মন্তব্য করছেন।


৪৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৬

রোষানল বলেছেন: মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেনঃআপনি কোথাও কোন হাদিসের রেফারেন্স আনেননি, অথচ কোরআনের ব্যাখ্যাই হচ্ছে হাদিস, এটা কি আপনার মনগড়া কথা ?
এই আয়াত গুলি পড়ুনঃ আমি এই কোরআনে নানাভাবে বুঝিয়েছি, যাতে তারা চিন্তা করে। অথচ এতে তাদের কেবল বিমুখতাই বৃদ্ধি পায়।
সুরাঃবনি ইস্রাইল,আয়াতঃ৪১
আমি এই কোরআনে মানুষকে বিভিন্ন উপকার দ্বারা সব রকম বিষয়বস্তু বুঝিয়েছি। কিন্তু অধিকাংশ লোক অস্বীকার না করে থাকেনি।
সুরাঃবনি ইস্রাইল,আয়াতঃ৮৯
নিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষকে নানাভাবে বিভিন্ন উপমার দ্বারা আমার বাণী বুঝিয়েছি। মানুষ সব বস্তু থেকে অধিক তর্কপ্রিয়।
সুরাঃকাহফ।আয়াতঃ৫৪
এটা কিতাব, এর আয়াতসমূহ বিশদভাবে বিবৃত আরবী কোরআনরূপে জ্ঞানী লোকদের জন্য।
সুরাঃ হা-মীম সেজদাহ,আয়াতঃ৩
নিশ্চয় যারা গোপন করে, আমি যেসব বিস্তারিত তথ্য এবং হেদায়েতের কথা নাযিল করেছি মানুষের জন্য কিতাবের মধ্যে বিস্তারিত বর্ণনা করার পরও; সে সমস্ত লোকের প্রতিই আল্লাহর অভিসম্পাত এবং অন্যান্য অভিসম্পাতকারীগণের ও।
সুরাঃবাকারাহ,আয়াতঃ১৫৯

এখন বলুন আপনি কি আল কোরআনের বিপরীতে কথা বললেন না??

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫১

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৪৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৮

জাহিদ ২০১০ বলেছেন: কুরআনের আয়াত কে সামান্য বলার দৃষ্ট্যতা আমি কখনোই করি নাই এবং কোনদিন করবোও না। আমি আপনার পান্ডিত্যের এবং জ্ঞানের ঘিলুর পরিমান টাই বলছি।

সম্মানিত ব্যক্তিদের সম্মান কিভাবে করতে হয় সেটা জানতে হয়। যদি না জানেন সেটা আপনার যাচিত জ্ঞানের দোষ।

আপনি আপনার লেখায় এমন ভাব ধরেছেন যেন আপনি সব জানেন আর আলেম- ওলামারা কিছুই জানেন না।

ভালো করে লক্ষ্য করে দেখুন আপনার পোষ্টে কমেন্টকারীদের মধ্যে কয়জন আপনাকে বাহবা দিচ্ছে আর কয়জন আপনাকে আপনার ভুল ধরিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছে???? তারপর ও যদি না বুঝেন তাহলে সবচেয়ে ভালো হয়, ভালো কোন অভিজ্ঞ আলেম এর কাছে গিয়ে কোরআন এবং হাদিসের আলোকে সব কিছু বোঝা।

আকলমান্দ কে লিয়ে ইশারাই কাফি হ্যায়।।।। এমন কখনোই মনে করার চেষ্টা করবেন না "" যে যাই বলুক তাল গাছ টা আমার"""

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৭

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি কি বলেছেন তা এইখানে রেকর্ড আছে।

আপনি বলেছেন "আমি আপনার পান্ডিত্যের এবং জ্ঞানের ঘিলুর পরিমান টাই বলছি"।- ভাই আমি আপনার মত জ্ঞানী না এই কথাটা স্বীকার করতে আমার কোন রকম রকম লজ্জা হচ্ছেনা।

আপনি বলেছেন "আপনি আপনার লেখায় এমন ভাব ধরেছেন যেন আপনি সব জানেন আর আলেম- ওলামারা কিছুই জানেন না"।- আমি এই ধরনের কোন ভাব ধরি নি। আমি এইখানে কোরআনের স্পষ্ট রেফারেন্স সহকারে কথা বলছি। এর বিপরীতে কিছু বলার থাকলে বলতে পারেন। আল্লাহ যা বলেছেন তা কোন আলেম- ওলামার কথা দ্বারা এর পরিবর্তন হতে পারেনা। দুনিয়ার সব আলেমও যদি কোরআনের বিপরীত কথা বলে, তবু কোরআনই সঠিক। এই কথা দ্বারা আলেমদের অসম্মান করা হয় না।

আপনি বলেছেন "ভালো করে লক্ষ্য করে দেখুন আপনার পোষ্টে কমেন্টকারীদের মধ্যে কয়জন আপনাকে বাহবা দিচ্ছে আর কয়জন আপনাকে আপনার ভুল ধরিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছে???? তারপর ও যদি না বুঝেন তাহলে সবচেয়ে ভালো হয়, ভালো কোন অভিজ্ঞ আলেম এর কাছে গিয়ে কোরআন এবং হাদিসের আলোকে সব কিছু বোঝা"। - আমি বাহবা পাবার জন্য লিখি না। কোরআনে যেটা বলেছে সেটাই লিখেছি। আর সবাই বাহবা দিলেই কোরআনের কথা সত্য আর না দিলেই কোরআনের কথা মিথ্যা এইটা আমি মানি না। সবার উপরে আমি আল্লাহকেই মানি।

৪৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২২

সবুজ সাথী বলেছেন: আপনি কি কোরআন অনলি গ্রুপের কেউ?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩২

হানিফঢাকা বলেছেন: জ্বী না। আমি কোন গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত নই। আমার ধর্ম ইসলাম এবং আমি মুসলমান। আমি কোন কোরআন অনলি, শিয়া, সুন্নী, কাদিয়ানী গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত নয়।

আপনার প্রশ্নটা এখানে অপ্রাসঙ্গিক, তার পরেও উত্তর দিলাম। লেখার বিষয়ে কোন আপত্তি থাকলে যুক্তি সহকারে প্রশ্ন করুন, উত্তর দেবার চেষ্টা করব।

৪৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪

জাহিদ ২০১০ বলেছেন: যে সমস্ত মানুষ নিজেদের নিজস্ব চিন্তা ভাবনা দিয়ে কুরআন এবং হাদিস কে ব্যাখ্যা করে তারা এক সময়ে নিজেরাই গোমরাহ হয়ে যায়।

একটা কথা আছে, মুর্খদের সাথে তর্ক করতে নাই। যখন তারা তর্ক করতে আসে তখন বলতে হয় সালাম।

ভালো থাকবেন ভাই। আল্লাহ যেন আপনাকে এবং আমাদের সবাইকে দ্বীন ইসলামের সহী বুঝ ও জ্ঞান দান করেন।

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ


২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি জ্ঞানী মানুষ। আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করি, দয়া করে উত্তর দিবেন। আমার এই লেখাতে আপনি এই পর্যন্ত কোন যুক্তি দিয়েছেন? আপনি বরং কোন যুক্তি না দিয়ে আমাকে ...

১। অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী।
২। বেআদব
৩। বেক্কল শাহের মুরিদ
৪। পান্ডিত্যের এবং জ্ঞানের ঘিলুর পরিমান
৫। সম্মানিত দের কিভাবে সম্মান করতে হয় তা জানি না
৬। মুর্খ
এইসব কথা বলেছেন। আমিত জানতেই পারলাম না কেন আপনি আমাকে এই ধরনের কথা গুলি বলেছেন। এর পক্ষে ত আপনি কোন যুক্তি দেন নি। আমি আমার লেখায় এবং কমেন্টের উত্তরে বার বার যুক্তি দিয়েছি। কিন্তু আপনি তা না করে কেন আমাকে এই সব আক্রম্নাত্নক বা অপমানসুচক কথা গুলি বললেন এর উত্তর কি আপনার কাছে আছে?

৪৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩

জাহিদ ২০১০ বলেছেন: আপনি তো যুক্তি চান তাই না?? তাহলে বিদ্রোহী ভৃগু ভাইয়ের কমেন্ট গুলো বারংবার পড়ুন।

আপনি কুরআন এবং কুরআনের আয়াত নিয়েই কথা বলছেন কিন্তু কুরআনের তফসীরে কেন আপনার এতো অনীহা??

কোরআনের তফসির নিয়ে যদি কথা বলতে চান অন্য লেখায় আমি রাজি আছি। আমার কোন সমস্যা নেই।

আপনি তফসিরের কথা বলেছেন, অপ্রাসঙ্গিক ভাবে একটা কথা বলি। মুসলিম সমাজের বিখ্যাত ইমাম "ইবনে তাবারি" তার তফসিরে বলেছেন ইসমাইল নয়, ইসহাক কে কোরবানি/যবেহ দিতে বলা হয়েছিল। খ্রিস্টানরা এইটাকে রেফারেন্স হিসাবে ধরে থাকে। এইটা নিয়ে অনেক ফাইট আছে। কিন্তু কোরআন পড়লে আমি বুঝি নবী ইসমাইল কে কুরবানি /যবেহ (দুইটার অর্থ এক না) দিতে চেয়েছিল। এই কথাটা বলার উদ্দেশ্য হল মানুষ ভুল করতে পারে, কিন্ত আল্লাহ ভুল করেন না। তাই কোরআনের চেয়ে সঠিক কিছু নাই।


কুরবানীর যে আয়াত গুলোকে নিয়ে আপনি কথা বলছেন তার তাফসীর গুলো সবার আগে পড়ুন, বুঝুন এবং সে অনুযায়ী অন্যকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। কিন্তু একটা কথা মনে রাখবেন, ভুলেও কখনো কোরআনের আয়াতের মনগড়া ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। ব্যাখ্যা যা দেওয়ার বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরামগণ সর্ব সম্মিলিত ভাবে দিয়েছেন।

এই জন্য তাফসীরুল মা'আরেফুল কোরআন কিতাব টা আপনাকে অনেক সাহায্য করবে।

আপনাকে আমি যে সব আক্রম্নাত্নক বা অপমানসুচক কথা গুলি বলেছি তার একটাই কারন, আপনি কুরআনের আয়াত দিয়েই সব যুক্তি দিচ্ছেন কিন্তু উক্ত আয়াত গুলোর তাফসীর বা ব্যাখ্যা দিয়ে কেউ বুঝালে সেটা কেন বুঝতে চান না???

একটা কথা বলি, কোরআন এবং হাদিস একে অপরের পরিপূরক। কোরআন বুঝতে হলে এর তাফসীর ভালো করে বুঝতে হবে। এ সংক্রান্ত হাদীস পড়তে হবে।

আশাকরি আমার কথা গুলো আপনি বুঝতে পারছেন। এবং ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আপনাকে ঐসব আক্রমনাত্মক কথাগুলো বলার জন্য।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

হানিফঢাকা বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ভাইয়ের করা সবগুলি কমেন্টের উত্তর আমি দিয়েছি। আপনি সেগুলি পড়লেই বুঝবেন। উনি এক জায়গায় এসে মেলাতে পারছেন না সেটা হল ৭:২৮। উনি বলেছেন ৭:২৮ উনি বিশ্বাস করেন, তার অর্থ আল্লাহ মন্দ কাজের আদেশ দিতে পারেন না, কিন্তু উনি উনার কথা দ্বারা বার বার বোঝাতে চেয়েছেন আল্লাহ মন্দ কাজের আদেশ দিতে পারেন। এর জন্য উনি আমার করা ২ নম্বর প্রশ্নটি এড়িয়ে গেছেন। তর্কের খাতিরে তর্ক না করে বিষয়গুলি বুঝার চেষ্টা করুন। আশা করি বুজতে পারবেন।

আপনি কোরআনের তফসীরের কথা বলেছেন। আমি জানিনা আপনি কত ধরনের তফসির পড়েছেন বা আসলেও পড়েছেন কিনা। আমার বেশকিছু তফসির সম্পূর্ণ ভাবে পড়া আছে। আমি তফসিরে যেতে চাচ্ছিনা এই কারনে যে কোরআনের তফসির কোরআন নিজেই। কোরআনে বহুবার বলা হয়েছে কোরআন সম্পূর্ণ, ডিটেইলস, সব রকমের উদাহরণ দেওয়া। ৪৫ নম্বর কমেন্টে রোষানল ভাই কোরআন থেকে কোরআন সম্পর্কে কিছু আয়াত দিয়েছেন, তা দেখতে পারেন। দরকার হলে আমি আপনাকে আরও বেশি আয়াতের রেফারেন্স দিতে পারব, কিন্তু এইখানে এইটা অপ্রাসঙ্গিক।

আপনি বলেছেন "কোরআন এবং হাদিস একে অপরের পরিপূরক। কোরআন বুঝতে হলে এর তাফসীর ভালো করে বুঝতে হবে। এ সংক্রান্ত হাদীস পড়তে হবে"। - আপনি শুনলে অবাক হবেন যে এই ধরনের কোন কথা আল্লাহ কোরআনে বলেন নাই। এইগুলি আপনারা নিজেরা বানিয়েছেন। আল্লাহ কোরআন ছাড়া অন্য কিছু অনুমোদন করেন নাই। একটা রেফারেন্স দেই। ৪৫ঃ৬ দেখুন। যেহেতু টপিকের সাথে এই কথা গুলি অপ্রাসঙ্গিক, তাই আমি এইখানে এইটা নিয়ে আর কথা বলতে চাইনা, কারন আলোচনার মোড় অন্যদিকে ঘুরে যেতে পারে। আমি চাই এইখানে শুধু এই বিষয়েই আলোচনা হোক। সেই জন্যই আমি বিদ্রোহী ভৃগু ভাইকে বলেছি তফসির নিয়ে আলোচনা করতে চাইলে আমি রাজি আছি, কিন্তু এই লেখাতে নয়।
ধন্যবাদ আপনাকে।

৪৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৯

এ আর ১৫ বলেছেন: এখন তো মনে হচ্ছে আমরা এত দিন বাইবেলের কন্সেপকে কোরানের কন্সেপ বলে বিশ্বাষ করে এসেছি । ৩৭-১০২ তে দেখা যাচ্ছে ইব্রাহীম (আ) স্বপ্নে দেখেছেন তিন নিজ পুত্রকে যবেহ করছেন তারমানে কোরবানি নয় -- তার মানে আ্ল্লাহর নির্দেশে নিজ পুত্রকে কোরবানি করছেন এটা ঠিক নহে বা এটা বাইবেলের কাহিণী । আমরা যে কাহিণী জানি আল্লাহ ইসমাইল (আ) বদলে দুম্বা পাঠিয়েছেন সেটা কি আয়াত ৩৭-১০৭ এ সমর্থন করে ? And We ransomed him with a great sacrifice------- রেনসম শব্দের অর্থ a ​large ​amount of ​money that is ​demanded in ​exchange for someone who has been taken ​prisoner, or sometimes for an ​animal: আবার রেনসম শব্দ এই ভাবে ব্যবহার হেনয় -- They ​demanded a ​huge ransom for the ​return of the little ​girl whom they had ​kidnapped. অথবা obtain the release of (a captive) by paying a ransom. তাহোলে এখানে কোন জন্তু আসলো কি করে ? তার মানে তো দাড়াচ্ছে ইব্রাহীম (আ)কে যবেহ করা থেকে বিরত করা হয়েছে । এখানে রেনসম শব্দটা দিয়ে টাকার বা অন্য কোন কিছুর বিনিময়ে মুক্ত করা বুঝানো হয়েছে ইংলিশ ডিকশনারিতে -- আয়াত ৩৭-১০৭ অর্থ দাড়ায় ইসমাইল (আ) সেভ করা হয়েছিল যার বিনিময়ে (রেনসম) সেটা হোল হযরত ইব্রাহীম (আ) বিরাট উৎসর্গ বা great sacrifice এর বিনিময়ে . এখানে ভেড়া বা দুম্বার অন্তর্ভুক্তি বাইবেল দ্বারা প্রভাবিত । ধন্যবাদ জনাব হানিফ এমন একটা কঠিন জিনিস নিয়ে আসার সাহস দেখিয়ে ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১২

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। কোরআনের পরিষ্কার আয়াত দিয়ে বলার পরও, সবাই এই আয়াত দেখার পড়েও বিশ্বাস করতে পারছে না। উলটা আমি বিভিন্ন বিশেষণে ভূষিত হয়ে গেছি। আসলে মুল সমস্যাটা হচ্ছে যে এতদিন ধরে শুনে আসা, জানা জিনিসের বিপরীতে কোন কথা বললে এইটা মানতে কষ্ট হয়। আমি সেই জন্য এই ধরনার উৎপত্তি বাইবেলের রেফারেন্স ও দিয়েছি। কেউ কেউ লেখাটা না পড়েই মন্তব্য করছে যে আমি নাকি কোরআন রিজেক্ট করে বাইবেলের কাহিনী কে প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছি। এই সব মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে আমি নিজেই অনুভূতিহীন হয়ে গেছি।

৫০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭

জাহিদ ২০১০ বলেছেন:
জনাব এ আর ১৫ এই কমেন্ট টা পড়ে বলুন তো এগুলো কি কুরআনের আয়াত নাকি বাইবেলের??

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি হয় জানেন না অথবা জেনে বিভ্যান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা করছেন।

হয়রত ইব্রাহিম আ: মুসলিম জাতির পিতা। আপনি তাঁর স্বপ্নকে আল্লাহর নয় বলে উড়িয়ে দিতে চাইছেন!?
অথচ সেই সূরারই আরেকটি অংশ বলেন নি ? যেখানে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে- আল্লাহর তাঁর কোরবানী কবুল করেছেন- মানবজাতির প্রতি আল্লাহর দয়া সহযোগে তার পরিবর্তে একটি মহান যবহ প্রদান করার মাধ্যমে। যদি স্বপ্ন মিথ্যা হতো তবে আল্লাহ এই আয়াত নাজিল করতে না। বা এত ষ্পষ্ট করে বলতেন না- ‘নিশ্চয়ই এটি একটি সুস্পষ্ট পরীক্ষা’।
@
‘অতঃপর (পিতা-পুত্র) উভয়ে যখন আত্মসমর্পণ করল এবং পিতা পুত্রকে উপুড় করে শায়িত করল’। ‘তখন আমরা তাকে ডাক দিয়ে বললাম, হে ইবরাহীম’! ‘তুমি তোমার স্বপ্ন সত্যে পরিণত করেছ। আমরা এভাবেই সৎকর্মশীলগণের প্রতিদান দিয়ে থাকি’। ‘নিশ্চয়ই এটি একটি সুস্পষ্ট পরীক্ষা’। ‘আর আমরা তার পরিবর্তে একটি মহান যবহ প্রদান করলাম’ ‘এবং আমরা এ বিষয়টি পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিলাম’। ‘ইবরাহীমের উপর শান্তি বর্ষিত হৌক’ (ছাফফাত ৩৭/১০৩-১০৯)।@

তাই আপনার বোঝার ভূলে বা বুঝতে না পারার কারণে হাজার বছরের প্রসিদ্ধ সকল ইমাম গণকে আপনি ভুল বলার মতো অর্বাচিনতা, ধৃষ্টতা দেখাতে পারেন- আপনি কি তারচে মহত?
আপনি কি মানুষ নন?
সুতরাং আপনি যেখানে বুঝতে পারছেন না- তাকি আপনার উপলদ্ধির ব্যর্থতা হতে পারে না?
তাই স্বত:সিদ্ধ ঘোষনা না দিয়ে বরং এভঅবে বলূন যে এই বিষয়টা আমার খটকা লাগছে। আল্লাহ চাহেনতো অনেকেই আপনার পাশে আসবেন বুঝীয়ে দিতে।

খুব ষ্পষ্ট করে বলা আয়াত গুলোকে ধারাবাহিক পড়ুন.

(101
সুতরাং আমি তাকে এক সহনশীল পুত্রের সুসংবাদ দান করলাম।
So We gave him the good news of a boy ready to suffer and forbear.

فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ قَالَ يَا بُنَيَّ إِنِّي أَرَى فِي الْمَنَامِ أَنِّي أَذْبَحُكَ فَانظُرْ مَاذَا تَرَى قَالَ يَا أَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ سَتَجِدُنِي إِن شَاء اللَّهُ مِنَ الصَّابِرِينَ (102
অতঃপর সে যখন পিতার সাথে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হল, তখন ইব্রাহীম তাকে বললঃ বৎস! আমি স্বপ্নে দেখিযে, তোমাকে যবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি দেখ। সে বললঃ পিতাঃ! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তাই করুন। আল্লাহ চাহে তো আপনি আমাকে সবরকারী পাবেন।
Then, when (the son) reached (the age of) (serious) work with him, he said: "O my son! I see in vision that I offer thee in sacrifice: Now see what is thy view!" (The son) said: "O my father! Do as thou art commanded: thou will find me, if Allah so wills one practising Patience and Constancy!"

فَلَمَّا أَسْلَمَا وَتَلَّهُ لِلْجَبِينِ (103
যখন পিতা-পুত্র উভয়েই আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহীম তাকে যবেহ করার জন্যে শায়িত করল।
So when they had both submitted their wills (to Allah., and he had laid him prostrate on his forehead (for sacrifice),

وَنَادَيْنَاهُ أَنْ يَا إِبْرَاهِيمُ (104
তখন আমি তাকে ডেকে বললামঃ হে ইব্রাহীম,
We called out to him "O Abraham!

قَدْ صَدَّقْتَ الرُّؤْيَا إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ (105
তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে! আমি এভাবেই সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।

(106
নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা।
For this was obviously a trial-

وَفَدَيْنَاهُ بِذِبْحٍ عَظِيمٍ (107
আমি তার পরিবর্তে দিলাম যবেহ করার জন্যে এক মহান জন্তু।
And We ransomed him with a momentous sacrifice:

وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ (108
আমি তার জন্যে এ বিষয়টি পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিয়েছি যে,
And We left (this blessing) for him among generations (to come) in later times:

سَلَامٌ عَلَى إِبْرَاهِيمَ (109
ইব্রাহীমের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।

এখানে ধারাবাহিক আয়াতের মাঝখানের কোন এক অংশ নিয়ে আপনি নিজের মন মতো ভাবলেতো হবে না। ১০৫ এ তো ষ্পষ্ট করে বলে দেয়া স্বপ্ন আল্লাহরই দেখানো যা সত্যে পরিণত করায় ১০৬এ বল্লেন এ ষ্পস্ট পরীক্ষা আর ১০৭ এ তার পরিবর্তে ঘোষনা দিয়েছেন এক মহান বস্তু তার পরিবর্তে কবুল করার। এবং এটাকে পরবর্তীদের জন্য রেখৈ দিয়েছেন বলেও ঘোষনা তাঁরই।

তাই আগে নিজে বুঝতে চেষ্টা করুন। না পারলে বিজ্ঞ কারো সাহায্য নিন। নিশ্চয় ফিতনা সুষ্টি হত্যা অপেক্ষা ভয়ানক।

৫১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫১

এ আর ১৫ বলেছেন: জনাব জাহিদ -- এই আয়াত গুলো বহু বার আলোচনা হয়েছে এবং জনাব হানিফ তা জবাব দিয়েছেন । যদি এইটা আল্লার নির্দেশ হয় তাহোলে সেটা ৭:২৮ সাথে কন্ফিট হয় । ৩৭-১০৫ তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে! আমি এভাবেই সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি। -- আল্লাহ এইটাকে স্বপ্ন বলেছেন । এটা যদি আ্ল্লাহর নির্দেশ বলে ইব্রাহীম (আ) মনে করতেন তাহোলে পুত্রের অনুমুতি নিতেন কেন । তার মানে স্বং নবী এটাকে স্বপ্ন মনে করেছেন । -- ৩৭-১০৫ আমি এভাবেই সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি-- তার অর্থ তার এই ত্যগের পুরুস্কার স্বরুপ তার পুত্রের জীবন রক্ষা করেছেন । ৩৭-১০৭ And We ransomed him with a momentous sacrifice: --- বাংলা অনুবাদে জন্তুর বিনিময়ে বলা হয়েছে -- জন্তু শব্দটাকি মুল আয়াততে আছে । ইংলিশ অনুবাদ অনেক সঠিক মনে হচ্ছে ।A MOMENTOUS SACRIFICE
In the Qur'an in Sura as-Saffat, where this incident is related, it says "For this was obviously A trial - And We (God) ransomed him (Abraham) With a momentous sacrifice:" (Qur'an 37:106-107). What was the momentous sacrifice that ransomed Abraham? Some suggest it was the ram. Would a ram be a momentous sacrifice compared to Abraham's son? Also - the ram ransomed the son - not Abraham. So the Qur'an must be referring to some other sacrifice - a necessary sacrifice - even greater than Abraham's son - offered by God himself - in order to ransom Abraham. This raises two questions. What was the sacrifice and when did God offer it? The Qur'an does not provide the details. For example the Qur'an does not say whether this son was Ishmael or Isaac. From the Kalam-e-Muqaddas (the Holy Bible) we learn it was Isaac. (Genesis 22)

৫২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫

বাংলার আকাশ বলেছেন: অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী , তোরে গদাম /

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৫

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনার কমেন্ট দেখেই বুঝতে পারছি।

৫৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: চমৎকার পোস্ট!
তবুও অনেকে গদাম দিয়েছেন !!
মানুষকে খুশী করা সত্যিই দুঃস্কর !!!

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৪

হানিফঢাকা বলেছেন: ঠিকই বলেছেন।

৫৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২০

ফ্লাইং সসার বলেছেন: পোস্ট পইড়া মনে হইল কেয়ামত কাছাকাছি ,নিজের ইচ্ছা মত কুরআন ব্যাখ্যা করতাছে।
টেকা পয়সা থাকলে সিংগাপুর গিয়া সাইক্রায়াট্রিস্ট দেখান।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৩

হানিফঢাকা বলেছেন: টেকা পয়সা নাই। আর সাইক্রায়াট্রিস্ট দেখানোর কোন প্রয়োজন মনে করছিনা।

৫৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৯

জাহিদ ২০১০ বলেছেন: এ আর ১৫ বলেছেন: জনাব জাহিদ -- এই আয়াত গুলো বহু বার আলোচনা হয়েছে এবং জনাব হানিফ তা জবাব দিয়েছেন ।

জ্বি ভাই উনি তো উত্তর দিছেন। এই বার আপনারা আমাকে দুইটা প্রশ্নের উত্তর দেন।

প্রত্যেকটা কাজের বা বস্তুর একটা উদ্দেশ্য থাকে। উদ্দেশ্য ছাড়া কোন কাজ হয় না ঠিক তেমনি

আমরা কোরআনে দেখতে পাই, আল্লাহ বলেছেনঃ
“মুসলমানের কাজ নয় যে, মুসলমানকে হত্যা করে; কিন্তু ভুলক্রমে (And never is it for a believer to kill a believer except by mistake)”......(৪:৯২)

যে ব্যক্তি স্বেচ্ছাক্রমে মুসলমানকে হত্যা করে, তার শাস্তি জাহান্নাম, তাতেই সে চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন, তাকে অভিসম্পাত করেছেন এবং তার জন্যে ভীষণ শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন।(৪:৯৩)

আল্লাহ মন্দকাজের আদেশ দেন না। এমন কথা আল্লাহর প্রতি কেন আরোপ কর, যা তোমরা জান না।(Say, "Indeed, Allah does not order immorality. Do you say about Allah that which you do not know?";) (৭:২৮)


এই আয়াত গুলো নাযিলের উদ্দেশ্য এবং শানে নূযূল কি ছিলো?? এবং

অতঃপর সে যখন পিতার সাথে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হল, তখন ইব্রাহীম তাকে বললঃ বৎস! আমি স্বপ্নে দেখিযে, তোমাকে যবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি দেখ। সে বললঃ পিতাঃ! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তাই করুন। আল্লাহ চাহে তো আপনি আমাকে সবরকারী পাবেন।
Then, when (the son) reached (the age of) (serious) work with him, he said: "O my son! I see in vision that I offer thee in sacrifice: Now see what is thy view!" (The son) said: "O my father! Do as thou art commanded: thou will find me, if Allah so wills one practising Patience and Constancy!"

فَلَمَّا أَسْلَمَا وَتَلَّهُ لِلْجَبِينِ (103
যখন পিতা-পুত্র উভয়েই আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহীম তাকে যবেহ করার জন্যে শায়িত করল।
So when they had both submitted their wills (to Allah., and he had laid him prostrate on his forehead (for sacrifice),

وَنَادَيْنَاهُ أَنْ يَا إِبْرَاهِيمُ (104
তখন আমি তাকে ডেকে বললামঃ হে ইব্রাহীম,
We called out to him "O Abraham!

قَدْ صَدَّقْتَ الرُّؤْيَا إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ (105
তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে! আমি এভাবেই সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।

(106
নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা।
For this was obviously a trial-

وَفَدَيْنَاهُ بِذِبْحٍ عَظِيمٍ (107
আমি তার পরিবর্তে দিলাম যবেহ করার জন্যে এক মহান জন্তু।
And We ransomed him with a momentous sacrifice:

وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ (108
আমি তার জন্যে এ বিষয়টি পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিয়েছি যে,
And We left (this blessing) for him among generations (to come) in later times:

سَلَامٌ عَلَى إِبْرَاهِيمَ (109
ইব্রাহীমের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।

এই আয়াত গুলোর নাযিলের উদ্দেশ্য এবং শানে নূযূল কি ছিলো??

কুরআনের সঠিক তাফসির জেনে তারপর কমেন্টে উত্তর দিবেন। নিজেদের মনগড়া কোন যুক্তি দিয়ে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন না।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি এ আর ১৫ ভাইকে যে প্রশ্নগুলি করেছেন, উনি চাইলে উত্তর দিতে পারেন। কিন্তু আমিও কিছু বলতে চাই। আপনি শানে নযুল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এর উত্তরে আমি বলব আপনি বিদ্রোহী ভৃগু ভাইয়ের মত একই ভুল করতে যাচ্ছেন। এর কারনঃ

আপনি যদি বলতে চান ঐ আয়াত গুলি কোন বিশেষ ঘটনা স্পেসিফিক, কোন ডিভাইন কমান্ড না অর্থাৎ সবক্ষেত্রে প্রযোজ্য না, তাহলে আপনি কোরআনকেই অস্বীকার করছেন যে কোরআন সর্বকালের জন্য মানব জাতির পথ প্রদর্শক। ছোট একটা উদাহরণ দেই, ৪:৯২ এ ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং ৪:৯৩ এ এটা পাপ এর শাস্তি জাহান্নাম বলা হয়েছে। এখন এর শানে নযুল যাই হোক না কেন আল্লাহর এই বিধান সবক্ষেত্রে সবসময় প্রযোজ্য। যদি আপনার কথা অনুযায়ী এই কমান্ডগুলি শুধুমাত্র কোন বিশেষ ঘটনার জন্য নাযিল হয়েছিল এবং শুধু মাত্র ঐ ঘটনার জন্যই প্রযোজ্য- অর্থাৎ কোন ডিভাইন কমান্ড না, তা হলে এখন মানুষ হত্যা জায়েজ এবং আপনি যত খুশি মানুষ হত্যা করেন এতে কোন সমস্যা নাই, আপনি এই জন্য জাহান্নমে যাবেন না- কারন আপনার ভাষ্য অনুযায়ী ঐ কমান্ড গুলি এখন প্রযোজ্য না। এর ফলে যা দাঁড়ায় যে, কোরআনের বিভিন্ন আয়াতের বিভিন্ন শানে নযুল আছে যা আপনারা কথা অনুযায়ী ঐ বিশেষ ঘটনা স্পেসিফিক। তাহলে কোরআন ডিভাইন কমান্ড এই কথাটা খাটে না। এটা একটা বিশাল ভুল কনসেপ্ট। কোরআন সম্পর্কে স্বল্প জ্ঞানের দরুন এই ধরনের কথা বলা হচ্ছে। আশা করি আমি জিনিসটা বুজাতে পেরেছি।
আপনার বাকি অংশের উত্তর আমি বহুবার দিয়েছি। তারপরেও যদি আপনি সন্তুষ্ট না হন, তবে পাজল্‌ড ডক এর ৩১ নম্বর কমেন্টের আমি যে উত্তর দিয়েছি তা দেখার অনুরুধ রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনি ৪:৯৩ এর শানে নযুল জানতে চেয়েছেন। ৪ঃ

৫৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৯

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: চরম ক্যাচাল পোস্ট...আমি বরং দেখি মঙ্গলে পানি পাওয়া যায় কী না... =p~

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪

হানিফঢাকা বলেছেন: পাইলে আমারে জানাইয়েন।

৫৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ভাইয়ের করা সবগুলি কমেন্টের উত্তর আমি দিয়েছি। আপনি সেগুলি পড়লেই বুঝবেন। উনি এক জায়গায় এসে মেলাতে পারছেন না সেটা হল ৭:২৮। উনি বলেছেন ৭:২৮ উনি বিশ্বাস করেন, তার অর্থ আল্লাহ মন্দ কাজের আদেশ দিতে পারেন না, কিন্তু উনি উনার কথা দ্বারা বার বার বোঝাতে চেয়েছেন আল্লাহ মন্দ কাজের আদেশ দিতে পারেন। এর জন্য উনি আমার করা ২ নম্বর প্রশ্নটি এড়িয়ে গেছেন। ---

অথ্যন্ত দু:খের সাথৈ বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনি হয় মিথ্যাচার করছেন অথবা না পরেই কমেন্টের উত্তর দিচ্ছেন।
আপনার প্রশ্ন ১ এবং ২ এর উত্তর স্পষ্ট ভাবে কমেন্ট ৩৫ এ দেয়া হয়েছে। অথচ আপনি ৪৯ নং কমেন্টের উত্তরে দিব্যি বললেন আমি ২ নং প্রশ্নটি এড়িয়ে গেছি!!!!!!!!!!!!!!!!!!

ইগোর সমস্যা থাকলে ঝেড়ে ফেলে আবার ভাল করে পড়ুন।
খুব ক্লিন এন্ড ক্লিয়ার বিষয় হল ইসলামে কোন জিনিষ বাইবেল থেকে আসে নি। আল্লাহ অবস্থার প্রেক্ষাপটে সেইসব ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন প্রয়োজনানুপাতে। যা তাদের গ্রন্থেও আছে। তবে তা পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রক্ষেপনে আসল রুপ হারিয়ে ফেলা। তাই কিছূ কিছূ জিনিষ আপাত: মিল থাকলেও মূল বিষয়গুলোতে কোরআনের বর্ণনাই সত্য।

তাই কোন বিচ্ছিন্ন শব্দ বা আয়াতের অংশ বিশেষ দিয়ে গোজামিল প্রমাণ করার চেষ্টা বাতুলতা এবং ফেতনা সৃষ্টিরই নামান্তর।
যবেহ, হত্যা আর কোরবানীর মধ্যেকার মৌলিক পার্থক্যটাই আপনি গুলীয়ে ফেলেছেন।
ইব্রাহিম আ: কোরবানীর উদ্দ্যেশ্যে যবেহ করতে উদ্যত হয়েছিলেন। যা আল্লাহ ঘটতে দেননি। এবং উনার এই বিশাল মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে পশু কোরবানীর মাধ্যমে এই মহান ত্যাগকে কবুল করে স্মরণীয় করতে তা বিধান হিসাবে জারি করেছেন।
যাতে ভবিষ্যত প্রজন্মও আল্লাহর রাহে, আল্লাহর প্রেমে কোরবানীর চেতনা অন্তরে ধারন করতে পারে।

তিনি কোন হত্যা করতে যাননি। তাই আল্লাহ মন্দ কাজের আদেশ দিতে পারেন না এই কথা ইব্রাহিম আ: এর ক্ষেত্রে খাটে না। আর অন্য নবী রাসূলদের বিষয়ে যে আয়াত তা দিয়ে আপনি আপনার কু-যুক্তিকে জাস্টিফাই করার যে চেষ্টা করেছেন তাও ইব্রাহিম আ: এর ক্ষেত্রে খাটে না। কারণ বৈশিষ্ট পূর্নতার মর্যাদায় আল্লাহ যে সকল নবী রাসূর গণকে অতি উচ্ছ স্থান দিয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম তিনি। আপনি আমি বিশ্বাসী সকল মুসলমান প্রতি তাশাহুদে ইব্রাহিম আ: এর জন্য সালাম ও দুয়া করেন। সুতরাং
ইব্রাহিম আ: এর স্বপ্ন বা কোরবানী নিয়ে আপনার ব্যক্তিক চিন্তা কেবলই আপনার। অবিশ্বাসীরাতো ইসলাম কোরআন নবী রাসুল আল্লাহ কিছূই বিশ্বাস করেনা। তাই কি তাই সত্যি।
আপনি আপনার মনগড়া ভাবনায় একটা অর্থের গভীরতা বুঝতে না পারতেই পারেন- তাতেতো তা মিথ্যা হবেনা। বরং এরকম ওপেন প্লটফর্মে সে বিষয়ের এইরকম গোজামিল অবতারনা দ্বারা আপনি নিজের অবস্থানকে পরিস্কার করলেন, আর কিছু অবিশ্বাসীর ভুল তথ্যের খৌরাক দিলেন এবং ফিতনা সৃষ্টির মাধ্যমে বিশ্বাসীদের অন্তরে আঘাত দিলেন। এর বেশী কিছু বৈতো নয়। আপনার আমল আপনার।
এবং ভাসা ভাসা আংশিক, খন্ডিত আয়াত দিয়ে আরো কি কি করা যায় আমি উপরের অন্য কমেন্টে বলেছি।
আল্লাহ আপনাকে সঠিক বুঝ দান করুন। আপনি যদি আহলে বায়াত হয়ে থাকেন তবে আপনার গুরু, মুর্শিদ বা উস্তাদের কাছে বিনয়ের সাথে জানতে চাইবেন বিষয়টি নিয়ে- আশা করি তিন আপনার বিভ্রান্তি দূর করতে সক্ষম হবেন।

সালাম।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩০

হানিফঢাকা বলেছেন: আমি আপনাকে প্রশ্ন করেছিলাম আপনি ৭:২৮ মানেন কি না? আপনি বলেছেন মানেন। আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল তাহলে ৭:২৮ আয়াত ৩৭:১০২ এর সাথে যে কনফ্লিক্ট করে তার সমাধান কি? আপনি এর সরাসরি উত্তর না দিয়ে অনেক কথা বলেছেন। কারন এর কোন উত্তর আপনার কাছে নেই। আপনি আমাকে কোরবানি, যবেহ এবং হত্যার পার্থক্য বুঝানোর চেষ্টা করেছেন। আপনার মত জ্ঞানী মানুষকে সালাম।

আপনি বার বার এইটা কোরবানি বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছেন। আপনি বলেছেন “উপরে পাজল ডক আপনাকে সুন্দর করে তুলে ধরেছেন।
এখানে মন্দ কাজ বলতে আপনি কোনটাকে বোঝাচ্ছেন? আল্লাহ ইবরাহিম আ: কে তার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস কুরবানি দিতে বলেছেন,হত্যা নয়---কুরবানি আর হত্যার মধ্যে পার্থক্য নিশ্চয়ই বোঝেন! আর যে আয়াতের রেফারেন্স দিচ্ছে সেখানে মন্দ কাজ বলতে অবিশ্বাসীদের খোদার পথের নামে ধর্মহীন যে সকল কাজ করতে ( যেমন কাবায় ৩৬০ টি মূর্তি ছিল এবং তারাও বলত বাপ দাদায় করত আমরা্ও করছি এবং এ আল্লাহর আদেশ বা নির্দেশ! ঐ জাতীয় লোকদের ঐ জাতীয় ভূল কথাকে ইংগিত করেছে আল্লাহ ঐ আয়াতে। আর আপনি তাকে জুড়ে দিচ্ছেন কোথায়?????”


৩১ নং কমেন্টের উত্তরে আমি যা বলেছি তার কিছু অংশ আপনার জন্য কপি করে দিচ্ছিঃ

আসেন আবার দেখি আল্লাহ ৩৭:১০২ এ কি বলেছেনঃ

অতঃপর সে যখন পিতার সাথে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হল, তখন ইব্রাহীম তাকে বললঃ বৎস! আমি স্বপ্নে দেখিযে, তোমাকে যবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি দেখ। সে বললঃ পিতাঃ! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তাই করুন। আল্লাহ চাহে তো আপনি আমাকে সবরকারী পাবেন।

১। এইখানে কোথায় বলা হয়েছে তোমার প্রিয় বস্তু কোরবানি কর? “প্রিয় বস্তু”- এই শব্দটা এই আয়াতে কোথায় আছে? অথবা কোরআনের অন্য কোথায় কোন আয়াতে আল্লাহ ইব্রাহিম নবীকে তার প্রিয় বস্তু কোরবানি করার কথা বলেছেন? এখানে বারে বারে স্পষ্ট ভাবে আয়াত লিখে দেওয়ার পর, আপনার প্রচলিত বিশ্বাসের সাথে কোরআনকে গুলিয়ে ফেলছেন কেন?

২। আপনাকে আমি হাইলাইটস করে দিয়েছি “যবেহ” শব্দটা। এইখানে কোরবানি বলে কোন শব্দ নেই। দরকার হলে চোখ কচলিয়ে আবার পড়েন। শব্দটা যবেহ, কোরবানি নয়। এই দুইটা শব্দের পার্থক্য আমি বুঝি, আপনি বুঝেন? বুঝার কথা কারন এই প্রশ্ন আপনি আমাকে করেছেন।

৩। “যবেহ”- শব্দ দ্বারা কোরবানি বুঝানো হয়েছে বা এটা যবেহ শব্দের সমার্থক কোরআনের প্রেক্ষিতে এটা ভাবার কোন সুযোগ নেই। কেন নেই? কারন কোরবানি বলতে আপনি যা বুঝেন সেই অর্থে এই কোরবানি শব্দটা কোরআনের ৫:২৭ এবং ৩:১৮৩ আয়াতে “কোরবানি” শব্দ হিসাবেই ব্যবহার হয়েছে। তাহলে আল্লাহ কোরবানি এবং যবেহ দুইটা পৃথক শব্দ ব্যবহার করেছেন কেন? আল্লাহ যদি কোরবানি চাইত তাহলে এই ৩৭:১০২ এ “যবেহ” শব্দটা ব্যবহার করতনা, কোরবানি শব্দ ব্যবহার করত। এরপরেও যদি মানুষ কোরবানি করার কথা বলত, তবু এটা মন্দ কাজ।

৪। এই জন্য ৩৭:১০২ এ বলা হয়েছে, নবী ইব্রাহিম একটা স্বপ্ন দেখেছে যেখানে উনি তার নিজের পুত্রকে “যবেহ” করছে। আর আল্লাহ ৭:২৮ অনুযায়ী এই আদেশ দেন নাই, এবং ৩৭:১০২ এ আল্লাহ এ আদেশ দিয়েছেন তাও বলা হয় নাই।
সুতরাং আপনার প্রচলিত গল্প প্রিয় বস্তু কোরবানি কর এইটা কোরআনের প্রেক্ষিতে খাটেনা। এইটা আপানার মোল্লারা বানিয়েছে। কোরআনে এইধরনের কোন কথা নাই।

আপনি আমার একটা লেখার অংশ যেখানে আমি বলেছি “৩৭:১০২ এ أَذْبَحُكَ শব্দ দ্বারা নবী ইব্রাহিমের পুত্রকে জবাই করা অর্থে বোঝানো হয়েছে। তাহলে ৩৭:১০৭ এ কেন অন্য প্রানী বা ভেড়া জবাই করা উদ্দেশ্যে এই শব্দ ব্যবহার হবে যেখানে কোথাও এই ধরনের প্রানীর অস্তিত্ব নেই”।
এর উত্তর দিতে গিয়ে বলেছেনঃ “আপনার যুক্তির বহর দেখৈ তাসলিমার কথা মনে পরে যায়। যে ইসলাম আরবী সম্পর্কে অল্পজ্ঞানী হয়েও আরবী অনুবাদ করেছিল ওয়া হাজার বালাদিল আমিন মানে- এই বলদ আমিনের।!!!
আপনি বিজিবিহীন বা গ্রেট স্লটার বলে ইব্রাহিম পুত্রকে জবাই করাকে বুঝেছেন। কিন্তু ধরুন আমি বলছি তা ছিল ইব্রাহিম আ: এর আত্মত্যাগকে মিন করে। তিনি আল্লাহর রাহে যে নিজের সবচে প্রিয় জিনিষকেও ত্যাগ করতে রাজি ছিলেন সেই আত্মত্যাগের মাহাত্বকে মানসিকতাকে মিন করেছে!
এই ক্ষেত্রে আপনাকে আরো পিছনের মূল সত্য জেনে আসতে হবে।
তাহলে আর বোকার মতো এ কথা বলার ধৃষ্টতা দেখাবেন না ইব্রাহিম আ: ভুল করেছেন!!!!

এইখানে ৩৭ঃ১০২এ আত্নত্যাগ, কোরবানি কোথায় পেয়েছেন? আপনি বলতে চাচ্ছেন যবেহ শব্দ দ্বরা আত্নত্যাগ মিন করেছেন? আপনার মোল্লা আপনাকে শিখাইছে? কোরআনের কন্টেক্সটে এই ধরেনর কথার কোন সমর্থন পাওয়া যায় না।

আপনি বলেছেন” ইব্রাহিম আ: কোরবানীর উদ্দ্যেশ্যে যবেহ করতে উদ্যত হয়েছিলেন। যা আল্লাহ ঘটতে দেননি। এবং উনার এই বিশাল মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে পশু কোরবানীর মাধ্যমে এই মহান ত্যাগকে কবুল করে স্মরণীয় করতে তা বিধান হিসাবে জারি করেছেন।“-
এইবার কথা একটু পরিবর্তন করেছেন। “কোরবানির উদ্দেশ্যে যবেহ”- সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এই “কোরবানির উদ্দেশ্য”- কথাটা কোথায় পাইছেন? কোরআনের কোন জায়গায় এইধরনের কথা বলা আছে বা ৩৭:১০২-১০৭ এ এটা বলা আছে?
এই পশু কোরবানি এইখানে কই পাইলেন। আপনি নিজেই বলেছেন “খুব ক্লিন এন্ড ক্লিয়ার বিষয় হল ইসলামে কোন জিনিষ বাইবেল থেকে আসে নি। আল্লাহ অবস্থার প্রেক্ষাপটে সেইসব ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন প্রয়োজনানুপাতে। যা তাদের গ্রন্থেও আছে। তবে তা পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রক্ষেপনে আসল রুপ হারিয়ে ফেলা। তাই কিছূ কিছূ জিনিষ আপাত: মিল থাকলেও মূল বিষয়গুলোতে কোরআনের বর্ণনাই সত্য”।–
এখন ৩৭:১০২-১০৭ এ কোন পশুর কথা বলা নাই। এই পশু আপনি কই পাইলেন? ইব্রাহিমের পুত্রের জীবনের বিনিময় বা ইব্রাহিমের আত্নত্যগের বিনিময় একটা ভেড়া বা পশু? আপনি আলেমরা হাজার বছর ধইরা গবেষণা কইরা এইটা বাইর করছেন? এইজন্য গল্প বানাইছে দফায় দফায় ১০০ কইরা দুম্বা জবাই করছে? আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনার বিশ্বাসের উৎপত্তি কোরআন থেকে নয়, আপনার ঐ কথিত আলেমদের থেকে। মুখে বলেন বাইবেল বিশ্বাস করেন না, কোরআন বিশ্বাস করেন। কিন্তু আপনার কথায় ত বিপরীত দেখতেছি।

৫৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২২

জামাল হোসেন (সেলিম) বলেছেন: সন্মানিত রিডার্স, পাগলকে আমরা যতই বলি সে নিজেকে কখনোই পাগল বলে মানবে না। (যদিও একে আমার ঠিক পাগল বলে মনে হচ্ছে না। এ জ্ঞান পাপী।)
অনেকটা আজ কালকার ধর্ষকদের মত। তাকে যতই উপদেশ আর যুক্তিতর্ক দিয়ে বুঝানো হোক, সে তার নিজের দোষ দেখতে পাবেনা। তার কাজের সপক্ষে ঠিকই সে বিভিন্ন যুক্তি তর্ক তুলে ধরতে পারবে। আর যদি কখনো নাই পারে, তখন বলবে, আমি বুঝতে পারছি না ওরা কেন এমন করছে?
যেমন জাহিদ ২০১০ এর কমেন্টের রিপ্লাইতে লেখক বলেছেন: আপনি জ্ঞানী মানুষ। আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করি, দয়া করে উত্তর দিবেন। আমার এই লেখাতে আপনি এই পর্যন্ত কোন যুক্তি দিয়েছেন? আপনি বরং কোন যুক্তি না দিয়ে আমাকে ...

১। অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী।
২। বেআদব
৩। বেক্কল শাহের মুরিদ
৪। পান্ডিত্যের এবং জ্ঞানের ঘিলুর পরিমান
৫। সম্মানিত দের কিভাবে সম্মান করতে হয় তা জানি না
৬। মুর্খ
এইসব কথা বলেছেন। আমিত জানতেই পারলাম না কেন আপনি আমাকে এই ধরনের কথা গুলি বলেছেন। এর পক্ষে ত আপনি কোন যুক্তি দেন নি। আমি আমার লেখায় এবং কমেন্টের উত্তরে বার বার যুক্তি দিয়েছি। কিন্তু আপনি তা না করে কেন আমাকে এই সব আক্রম্নাত্নক বা অপমানসুচক কথা গুলি বললেন এর উত্তর কি আপনার কাছে আছে?

এমন আরো অনেক গুলাই দেখলাম তাঁর রিপ্লাই!

এ নিজেকে মুসলিম দাবী করছে। কোরআন মান্যকারী বলছে। অথচ একটা যায়গাতেও সে স্মমান সুচক কোন শব্দ ( যেমন (সঃ) (আঃ) (রঃ) ইত্যাদি) উচ্চারন করেনি। পোষ্টের হেডিংটাই তো আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে এর ক্যারেক্টার!

যথেষ্ট পড়াশুনা করেই এ ফিল্ডে নেমেছে, বুঝা যায়। এর থেকে সাবধান!!

৫৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৩

আহলান বলেছেন: ব্যপক জ্ঞ্যনী পোষ্ট .... !

৬০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৯

কয়েস সামী বলেছেন: তাফসীরে জালালাইনে সুরা আস সাফফাতের ১০৭ নং আয়াতের বাংলা অনুবাদ এভাবে করা হয়েছে- “আর আমি ছাড়িয়ে নিলাম তাকে একটি মহান কুরবানীর বিনিময়ে”। ব্যাখ্যা করা হয়েছে এভাবে- “আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন আমি ইসমাইল (আঃ) এর পরিবর্তে একটি বড় কুরবানী দান করেছি। বর্ণনায় এসেছে যে হযরত ইবরাহীম (আঃ) উক্ত আওয়াজ শুনে আকাশের দিকে তাকালেন। তখন দেখলেন যে হযরত জিব্রাঈল (আঃ) একটি দুম্বা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।” কোথা থেকে বর্ণনা এসেছে সেটা কিন্তু বলা হয় নি। ইংরেজী অনুবাদে আছে,Then We ransomed him, (the one whom he had been commanded to sacrifice, namely, Ishmael or Isaac — two different opinions) — with a mighty sacrifice, ([a mighty] ram from Paradise, the same one that Abel had offered as as sacrifice: Gabriel, peace be upon him, brought it and the lord Abraham sacrificed it as he cried, Allāhu akbar, ‘God is Great’.)
তাফসীর ফি জিলালিল এর বাংলা অনুবাদে আছে, “(এ কারনেই) আমি (তার ছেলের পরিবর্তে) একটা বড় কুরবানী (- র জন্তু সেখানে) দান করলাম।” ব্যাখ্যা করা হয়েছে এভাবে - “বর্ণিত আছে আল্লাহ ইসমাইল (আ.) এর পরিবর্তে কুরবানী করার জন্য একটি দুম্বা পাঠিয়েছিলেন...” ফি জিলালিলের ইংরেজী অনুবাদ এভাবে করা হয়েছে, “We ransomed (Ishmael) with a noble sacrifice.”ইংরেজী ব্যাখ্যাতেও বাংলার মতো করেই আছে,Reported that কথাটি।
তাহফীমুল কোরআনে আয়াতটির অনুবাদ এভাবে আছে-“ একটি বড় কুরবানীর বিনিময়ে আমি এ শিশুটিকে ছাড়িয়ে নিলাম।” ব্যাখ্যাতে লেখা আছে, বড় কুরবানী বলতে বাইবেল ও ইসলামী বর্ণনা অনুসারে একটি ভেড়া। ইংরেজী অনুবাদে আছে, We ransomed his son from a great sacrifice.ব্যাখ্যাতে আছে, “"A great sacrifice" : A ram, as mentioned in the Bible and the Islamic traditions, that Allah's angel presented at the time before the Prophet Abraham, so that he should sacrifice it instead of his son. This has been called "a great sacrifice" because it was to serve as a ransom from a faithful servant like Abraham for a patient and obedient son like Ishmael, and Allah made it a means of fulfilling the intention of an unprecedented sacrifice.
ইবনে কাসীরের তাফসীরে ইংরেজী অনুবাদ হয়েছে এভাবে “ We ransomed him with a great sacrifice.” বাংলা অনুবাদে আছে, “ আমি তাকে মুক্ত করলাম এক মহান কুরবানীর বিনিময়ে।” ব্যাখ্যায় আছে, মুসনাদে আহমদে হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে একটি একটি বর্ণনা রয়েছে যে... এমন সময় শব্দ এল “হে ইবরাহীম (আ.) তুমি তো স্বপ্নাদেশ সত্যিই পালন করলে।” তখন তিনি ফিছনে ফিওে একটি দুম্বা দেখতে পেলেন, যার শিং ছিল বড় বড় এবং চক্ষুদ্বয় ছিল সুন্দর।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১০

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি যেটা কোট করেছেন সেখানে পরিষ্কার বলা আছে “A ram, as mentioned in the Bible and the Islamic traditions” । এখানে এই তফসিরের কোথাও বলা নেই যে কোরআনের বর্ণনা অনুসারে অথবা কোরআনে “ভেড়া”র কথা বলা হয়েছে। এই বর্ণনা এসেছে বাইবেল এবং ট্র্যাডিশন থেকে, কোরআন থেকে নয়। আমি এই কথাটাই বলতে চাচ্ছি। কোরআনের মুল বর্ণনায় এই কোরবানি শব্দটা অনুপস্থিত। কিন্তু বাইবেলে “আহুতি” শব্দটা আছে। সুতরাং এই ট্র্যাডিশনের বর্ণনা বাইবেলের সাথে বেশি মিলে, কোরআনের সাথে নয়।

৬১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬

জাহিদ ২০১০ বলেছেন: মাননীয় লেখক আপনার ৫৮ নং কমেন্টের উত্তরের মাধ্যমে আপনার আকিদা এবং আপনার বিশ্বাস সর্ম্পকে যা জানলাম, সে অনুযায়ী আপনাকে বেশকিছু প্রশ্ন করবো আশাকরি কোন ধরনের ত্যানা না প্যাচায়াই সঠিক সঠিক উত্তর দিবেন। (আমি আমার আগের দুইটা প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে পাই নাই, খালি ত্যানা প্যাচাঁইছেন।) এইবার আশাকরি ১,২,৩ ক্রমিক নং আকারে যেভাবে প্রশ্ন করবো ঠিক সেই ভাবে ক্রমিক নং আকারে উত্তর দিবেন কেমন------


অতঃপর সে যখন পিতার সাথে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হল, তখন ইব্রাহীম তাকে বললঃ বৎস! আমি স্বপ্নে দেখিযে, তোমাকে যবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি দেখ। সে বললঃ পিতাঃ! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তাই করুন। আল্লাহ চাহে তো আপনি আমাকে সবরকারী পাবেন।
Then, when (the son) reached (the age of) (serious) work with him, he said: "O my son! I see in vision that I offer thee in sacrifice: Now see what is thy view!" (The son) said: "O my father! Do as thou art commanded: thou will find me, if Allah so wills one practising Patience and Constancy!"

فَلَمَّا أَسْلَمَا وَتَلَّهُ لِلْجَبِينِ (103
যখন পিতা-পুত্র উভয়েই আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহীম তাকে যবেহ করার জন্যে শায়িত করল।
So when they had both submitted their wills (to Allah., and he had laid him prostrate on his forehead (for sacrifice),

وَنَادَيْنَاهُ أَنْ يَا إِبْرَاهِيمُ (104
তখন আমি তাকে ডেকে বললামঃ হে ইব্রাহীম,
We called out to him "O Abraham!

قَدْ صَدَّقْتَ الرُّؤْيَا إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ (105
তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে! আমি এভাবেই সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।

(106
নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা।
For this was obviously a trial-

وَفَدَيْنَاهُ بِذِبْحٍ عَظِيمٍ (107
আমি তার পরিবর্তে দিলাম যবেহ করার জন্যে এক মহান জন্তু।
And We ransomed him with a momentous sacrifice:

وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ (108
আমি তার জন্যে এ বিষয়টি পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিয়েছি যে,
And We left (this blessing) for him among generations (to come) in later times:

سَلَامٌ عَلَى إِبْرَاهِيمَ (109
ইব্রাহীমের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।


তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম আপনিই সঠিক!!!! ইবরাহীম (আঃ) এমনি এমনি একটা স্বপ্ন দেখছেন। উনার পুত্র ইসমাঈল (আঃ) এর কাছ থেকে অনুমতি চাইলেন তখন পুত্র বলল আপনি আমাকে যবেহ করতে চান, করেন। এরপর একমাত্র পুত্রকে যবেহ করার জন্য ইবরাহীম (আঃ) তার পুত্রকে শায়িত করলেন। আর তখনি আল্লাহ তাআলা দেখলেন যে, আরে আমার প্রেরিত নবী ইবরাহীম (আঃ) তার পুত্রকে হত্যা করতেছে, এটাতো মন্দকাজ এর আদেশ তো আমি দেই নাই। তখনি আল্লাহ তাআলা একটি মহান জন্তু পাঠিয়ে দিলেন।

এইবার আমি আমার প্রশ্ন শুরু করলাম (প্রশ্ন শুরু করার আগে আমি প্রথমেই মহান আল্লাহ তাআলার নিকট করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যদি কোন ভূল হয়, যদি কোন বেআদবী হয় আল্লাহ যেন আমাকে মাফ করেন)--

105
তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে! আমি এভাবেই সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।

(106
নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা।
For this was obviously a trial-


প্রশ্ন নাম্বার-- এক এইখানে আল্লাহ তাআলা কিসের পরীক্ষার কথা বলছেন, কোন ধরনের পরীক্ষা (৩৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষা নাকি বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালকের পরীক্ষা নাকি অন্য কিছু আর সেটা কি???)

প্রশ্ন নাম্বার-- দুই পরীক্ষা নেওয়ার মূল কারন বা উদ্দেশ্য কি ছিল??? কেন এই পরীক্ষা???

প্রশ্ন নাম্বার-- তিন যবেহ এর সাথে পরীক্ষার সর্ম্পক কি আর পরীক্ষার সাথে যবেহ এর সম্পর্ক কি??

107
আমি তার পরিবর্তে দিলাম যবেহ করার জন্যে এক মহান জন্তু।
And We ransomed him with a momentous sacrifice


প্রশ্ন নাম্বার-- চার আচ্ছা যবেহ করার আগ পযর্ন্ত ইবরাহীম (আঃ) এর স্বপ্ন দেখা, সেই স্বপ্ন নিয়ে পিতা পুত্রের কথোপকথন এই বিষয়গুলো সর্ম্পকে আল্লাহ তাআলা কিছুই জানতেন না??? যে কারনে নবী ইবরাহীম (আঃ) কে মন্দকাজ থেকে বিরত রাখার জন্য সাথে সাথে এক মহান জন্তু পাঠিয়ে দিলেন। তাহলে আল্লাহ তাআলা কি সর্ব বিষয়ে বিজ্ঞ নন???

আশাকরি কোরআনের আয়াতের আলোকে উপরোক্ত চারটি প্রশ্নের উত্তর দিবেন।

এইবার আমি অন্য প্রসঙ্গে কথা বলি কিছু মনে করবেন না কেমন-----

আপনি ৫৮ নং কমেন্টে বেশ কিছু কথা বলছেন যা আমি খন্ড খন্ডভাবে পেশ করছি-

এইখানে ৩৭ঃ১০২এ আত্নত্যাগ, কোরবানি কোথায় পেয়েছেন? আপনি বলতে চাচ্ছেন যবেহ শব্দ দ্বরা আত্নত্যাগ মিন করেছেন? আপনার মোল্লা আপনাকে শিখাইছে? কোরআনের কন্টেক্সটে এই ধরেনর কথার কোন সমর্থন পাওয়া যায় না।


এখন ৩৭:১০২-১০৭ এ কোন পশুর কথা বলা নাই। এই পশু আপনি কই পাইলেন? ইব্রাহিমের পুত্রের জীবনের বিনিময় বা ইব্রাহিমের আত্নত্যগের বিনিময় একটা ভেড়া বা পশু? আপনি আলেমরা হাজার বছর ধইরা গবেষণা কইরা এইটা বাইর করছেন? এইজন্য গল্প বানাইছে দফায় দফায় ১০০ কইরা দুম্বা জবাই করছে? আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনার বিশ্বাসের উৎপত্তি কোরআন থেকে নয়, আপনার ঐ কথিত আলেমদের থেকে। মুখে বলেন বাইবেল বিশ্বাস করেন না, কোরআন বিশ্বাস করেন। কিন্তু আপনার কথায় ত বিপরীত দেখতেছি।

আপনার উক্ত কথাগুলোর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, ইসলাম ধর্মে কোরআনই একমাত্র গ্রন্থ যা মুসলমানরা মান্য করবে, অন্য কোন গ্রন্থ (যেমন- কোরআনের তাফসির, হাদিসের সহী কিতাব গুলো এবং বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্হ) গুলো মান্য ও করা যাবে না এবং বিশ্বাসও করা যাবে না।

কারন এগুলো আলেমরা হাজার বছর ধইরা গবেষণা কইরা এইটা বাইর করছে এবং মোল্লা আমাদেরকে শিখাইতেছে!!!

তর্কের খাতিরে আমি আবারও আপনার কথা মেনে নিলাম। এইবার এই সংক্রান্ত আরো কিছু প্রশ্নের জবাব আপনি দিবেন--

প্রশ্ন নাম্বার- পাঁচ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে কালেমা, নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত এর মধ্য থেকে কালিমা হলো সম্পূর্ন বিশ্বাস এবং একীনের সাথে সর্ম্পকযুক্ত। বাকী যে চারটি স্তম্ভ আছে এগুলোর মধ্যে নামাজ কিভাবে আদায় করব, কত ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে, কোন ওয়াক্তে কত রাকায়াত পড়তে হবে, নামাজের সম্পূর্ন নিয়মাবলী, রোজার রাখার সর্ম্পূন নিয়মাবলী, পবিত্র হজ্ব পালন করার নিয়মকানুন, যাকাত প্রদান করার নিয়মাবলী ইত্যাদি কোরআনের কোন সূরার কত নাম্বার আয়াতে আছে???

প্রশ্ন নাম্বার- ছয় প্রচলিত নিয়মে আমরা যেভাবে নামায, রোজা, হজ্ব এবং যাকাত ইত্যাদি পালন করি এইগুলো সবই যদি মোল্লা এবং আলেমদের হাজার হাজার বছরের গবেষনার ফসল হয় তাহলে অবশ্যই এইগুলো সম্পূর্ন বেদায়াত। এইক্ষেত্রে আপনি কিভাবে নামায, রোজা, হজ্ব এবং যাকাত ইত্যাদি পালন করেন??


মাননীয় লেখক আমি আবারও বলছি, ভূলেও কোন ত্যানা প্যাচানো যাবে না। যেভাবে ক্রমিক আকারে আমি প্রশ্নগুলো করছি ঠিক সেইভাবে ক্রমিক নং অনুযায়ী উত্তর দিবেন। আরেকটা কথা অমুক কমেন্টে আমি উত্তর দিছি সেইটা দেখেন, অমুক ভাষন আমি তমুক জায়গায় দিছি খুইজ্জা লন, এতো কইবার পারুম না। এই সমস্ত কথা গুলাও বলা যাবে না। যেই প্রশ্ন করছি ঠিক সেই ক্রমিক নং অনুসারে উত্তর পুংখানুপূংখ রূপে দিতে হইব।

আমি আপনার উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৫:৫১

হানিফঢাকা বলেছেন: প্রশ্ন নাম্বার-- এক এইখানে আল্লাহ তাআলা কিসের পরীক্ষার কথা বলছেন, কোন ধরনের পরীক্ষা (৩৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষা নাকি বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালকের পরীক্ষা নাকি অন্য কিছু আর সেটা কি???)

উত্তরঃ নবী ইব্রাহিম একটা স্বপ্ন দেখেন যে উনি উনার পুত্রকে যবেহ করছেন (৩৭:১০২)। উনি উনার স্বপ্নের ব্যপারে কনফিউসজড ছিলেন তাই এই ব্যাপারে উনি উনার পুত্রের সাথে কথা বলেন এবং পুত্রের অভিমত জানতে চান (৩৭:১০২) । উনি এবং উনার পুত্র উভয়েই এই স্বপ্নকে আল্লাহর আদেশ ভেবে নেন। যেহেতু উনি এবং উনার পুত্র এই স্বপ্নকে আল্লাহর আদেশ ভেবেছেন, এখন এই আদেশ উনি পালন করেন কি না এইটা হচ্ছে পরীক্ষা (৩৭:১০৬)।

প্রশ্ন নাম্বার-- দুই পরীক্ষা নেওয়ার মূল কারন বা উদ্দেশ্য কি ছিল??? কেন এই পরীক্ষা???

উত্তরঃ যেহেতু এই স্বপ্ন আল্লাহর কাছ থেকে আসে নাই, সেহেতু এই পরীক্ষার উৎস আল্লাহ নন। কিন্তু আল্লাহ দেখতে চেয়েছেন যেহেতু নবী ইব্রাহিম এইটা আল্লাহর আদেশ ভেবেছেন, তা উনি পালন করতে কোন রকম দ্বিধা করেন কি না।

প্রশ্ন নাম্বার-- তিন যবেহ এর সাথে পরীক্ষার সর্ম্পক কি আর পরীক্ষার সাথে যবেহ এর সম্পর্ক কি??

উত্তরঃ উত্তরটা আপনার ১ নাম্বার প্রশ্নের উত্তরে দেওয়া আছে। যেহেতু আপনি প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর প্রশ্নের সাথেই চাচ্ছেন তাই এইখানে আবার কপ পেস্ট করলাম।
নবী ইব্রাহিম একটা স্বপ্ন দেখেন যে উনি উনার পুত্রকে যবেহ করছেন (৩৭:১০২)। উনি উনার স্বপ্নের ব্যপারে কনফিউসজড ছিলেন তাই এই ব্যাপারে উনি উনার পুত্রের সাথে কথা বলেন এবং পুত্রের অভিমত জানতে চান (৩৭:১০২) । উনি এবং উনার পুত্র উভয়েই এই স্বপ্নকে আল্লাহর আদেশ ভেবে নেন। যেহেতু উনি এবং উনার পুত্র এই স্বপ্নকে আল্লাহর আদেশ ভেবেছেন, এখন এই আদেশ উনি পালন করেন কি না এইটা হচ্ছে পরীক্ষা (৩৭:১০৬)।

প্রশ্ন নাম্বার-- চার আচ্ছা যবেহ করার আগ পযর্ন্ত ইবরাহীম (আঃ) এর স্বপ্ন দেখা, সেই স্বপ্ন নিয়ে পিতা পুত্রের কথোপকথন এই বিষয়গুলো সর্ম্পকে আল্লাহ তাআলা কিছুই জানতেন না??? যে কারনে নবী ইবরাহীম (আঃ) কে মন্দকাজ থেকে বিরত রাখার জন্য সাথে সাথে এক মহান জন্তু পাঠিয়ে দিলেন। তাহলে আল্লাহ তাআলা কি সর্ব বিষয়ে বিজ্ঞ নন???

উত্তরঃ আপনি বলেছেন “যে কারনে নবী ইবরাহীম (আঃ) কে মন্দকাজ থেকে বিরত রাখার জন্য সাথে সাথে এক মহান জন্তু পাঠিয়ে দিলেন”- আল্লাহ একটা মহান জন্তু পাঠিয়ে দিয়েছেন এই ধরনের কথা কোরআনে কোথাও বলা নেই। বাইবেলে ভেড়ার কথা বলা আছে। আপনি কোরআন নয়, বরং বাইবেল্ কে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করছেন।
আল্লাহ সর্ব বিষয়ে বিজ্ঞ এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।

আপনি বলেছেন "আপনার উক্ত কথাগুলোর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, ইসলাম ধর্মে কোরআনই একমাত্র গ্রন্থ যা মুসলমানরা মান্য করবে, অন্য কোন গ্রন্থ (যেমন- কোরআনের তাফসির, হাদিসের সহী কিতাব গুলো এবং বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্হ) গুলো মান্য ও করা যাবে না এবং বিশ্বাসও করা যাবে না"।
আপনি নিজেই কোরআন পড়ে বলেন এই সংক্রান্ত বিষয়ে আল্লাহ কি বলেছে? আপনি কি বিশ্বাস করেন সেইটা না, বরং কোরআন কি বলেছে সেটা জানার চেষ্টা করুন, কারন আপনার বিশ্বাসের সাথে কোরআন কি বলেছে তা সবসময় এক নাও হতে পারে।

আপনার ৫ এবং ৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর অনেক বিশাল এবং এই খানের টপিকের সাথে অপ্রাসংগিক। আপনার এই সব প্রশ্নের উত্তর কোরআনের বিভিন্ন জাইয়গায় দেওয়া আছে, জানতে চাইলে নিজ দায়িত্বে পড়ে দেখবেন। আমার ব্লগেও কিছু বিষয়ে লেখা আছে, চাইলে তাও দেখতে পারেন।

৬২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন:


একটা তথাকথিত মুসলমান প্রধান দেশ হয়েও আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থার যে অবস্থা এবং এর ফলশ্রুতিতে আমাদের বেশীর ভাগের যে ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান, (!!) তার পরিপ্রেক্ষিতে এই বলা যায় যে সাধারন মুসলমানকে কিংকর্তব্যবিমুড় করে দিয়ে , প্রচলিত তথাকথিত সত্য ইসলামিক রীতিনীতি সম্পর্কে তাদের মনে দদুল্যমনতা তৈরি করার জন্য আপনার এই লেখাটা একটা মাস্টার পিস। সঙ্গত কারনেই আমি অবাক হই নাই যে মর্ডারেটররাও এই লেখাকে নির্বাচিত করে সুন্দর যৌক্তিক আলোচনার আশায় পুলকিত হয়েছেন। বিদ্রোহী ভৃগু ভাইয়ের প্রথম মন্তব্যের পরে আপনার চেতনার উদয় হবে বলে আশা করছিলাম। কিন্তু আপনি কি বুঝেছেন এবং কি বোঝাতে চাচ্ছেন তা আসলে আমি কিছুটা মনে হয় বুঝতে পেরেছি। হানিফ ভাই, মানুষের দুই পায়ের পিছনে দুটো মাংশপেশী আছে আর ঘাড়ের পিছনে দুটা মাংশপেশী আছে যে গুলোকে প্রকৃতি রক্ত সঞ্চালনের ক্ষমতা দিয়েছে, যদিয় রক্ত সঞ্চালন হৃদপেশীর একান্ত নিজেস্ব ব্যাপার, বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসক গন ঐ চার ঐচ্ছিক পেশীকে সম্মান করে মাঝে মাঝে বাহ্যিক হৃদয় বলে ডাকলেও তাদের রক্ত সঞ্চালনের ক্ষমতা নিয়ে বিন্দু মাত্র আগ্রহ তাদের নেই।

*** আসলে কুরয়ান মানব রচিত মিথ্যা ভ্রান্তিমুলক এক গ্রন্থ।*

এর আয়াত গুলোর মধ্য প্রচুর পারস্পরিক বৈপরিত্য বিদ্যমান*। যেমন দেখুন এই গ্রন্থের সো-কলড লেখক* আল্লাহ সূরা বাকারায় বলেছেন " “দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়ে গেছে। এখন যারা গোমরাহকারী ‘তাগুত’দেরকে মানবে না এবং আল্লাহতে বিশ্বাস স্থাপন করবে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল যা ভাংবার নয়। আর আল্লাহ সবই শুনেন এবং জানেন।” " (আয়াত ২৫৭)

আবার উনিই সূরা ইমরানে বলেছেন " নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম। এবং যাদের প্রতি কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশতঃ, যারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহের প্রতি কুফরী করে তাদের জানা উচিত যে, নিশ্চিতরূপে আল্লাহ হিসাব গ্রহণে অত্যন্ত দ্রুত। " (আয়াত ১৯)

কি রকম উলটা পালটা তাই না পুরাই ৯-৬ !*

আরো একটা দেখেন উনি সূরা আনামে বলছেন " "যদি আল্লাহ চাইতেন তবে তারা শেরক করত না। আমি আপনাকে তাদের সংরক্ষক করিনি এবং আপনি তাদের কার্যনির্বাহী নন। তোমরা তাদেরকে মন্দ বলো না, যাদের তারা আরাধনা করে আল্লাহকে ছেড়ে। তাহলে তারা ধৃষ্টতা করে অজ্ঞতাবশতঃ আল্লাহকে মন্দ বলবে। এমনি ভাবে আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিতে তাদের কাজ কর্ম সুশোভিত করে দিয়েছি। অতঃপর স্বীয় পালনকর্তার কাছে তাদেরকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তখন তিনি তাদেরকে বলে দেবেন যা কিছু তারা করত।" " (আয়াত ১০৭,১০৮ ) এইরকম একটা ভালো কথা বইলা আবার সূরা সাফফাতে দেখেন আবার আপনার নবী ইব্রাহীমরে মূর্তি ভাঙ্গবার জন্য বাহাবা দিচ্ছেন আর তার পক্ষে লড়াই করছেন " অতঃপর সে তাদের দেবালয়ে, গিয়ে ঢুকল এবং বললঃ তোমরা খাচ্ছ না কেন? তোমাদের কি হল যে, কথা বলছ না?অতঃপর সে প্রবল আঘাতে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল।তখন লোকজন তার দিকে ছুটে এলো ভীত-সন্ত্রস্ত পদে।সে বললঃ তোমরা স্বহস্ত নির্মিত পাথরের পূজা কর কেন? অথচ আল্লাহ তোমাদেরকে এবং তোমরা যা নির্মাণ করছ সবাইকে সৃষ্টি করেছেন। তারা বললঃ এর জন্যে একটি ভিত নির্মাণ কর এবং অতঃপর তাকে আগুনের স্তুপে নিক্ষেপ কর।তারপর তারা তার বিরুদ্ধে মহা ষড়যন্ত্র আঁটতে চাইল, কিন্তু আমি তাদেরকেই পরাভূত করে দিলাম। " (আয়াত ৯২-৯৮)

কি মজার তাই না???*

আবার আপনার পিভটাল আয়াতাংশ বা কোড গুলো দেখুন

১। আল্লাহ মন্দ কাজের আদেশ দেন না (৭:২৮)
২। শয়তান মন্দ কাজের আদেশ দেয় (২:২৬৮)
৩। শয়তান সবসময় নবীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, কিন্ত আল্লাহ সেই চেষ্টা নস্ট করে দেয়। (২২:৫২)
৪। বিশ্বাসীদের হত্যা করা মন্দ কাজ এবং এর পরিনাম জাহান্নাম (৪:৯২,৯৩)


এই কথা গুলো আপনার বইতে* লেখার পরেও সূরা কাহাফে দেখুন আল্লাহ (তথা কথিত কুরআন লেখক*) আপনার মূসা নবীকে এক খুনী* অবিবেচকের* কাছে জ্ঞান নিতে পাঠাচ্ছেন " অতঃপর তাঁরা আমার বান্দাদের মধ্যে এমন একজনের সাক্ষাত পেলেন, যাকে আমি আমার পক্ষ থেকে রহমত দান করেছিলাম ও আমার পক্ষ থেকে দিয়েছিলাম এক বিশেষ জ্ঞান। মূসা তাঁকে বললেনঃ আমি কি এ শর্তে আপনার অনুসরণ করতে পারি যে, সত্যপথের যে জ্ঞান আপনাকে শেখানো হয়েছে, তা থেকে আমাকে কিছু শিক্ষা দেবেন? তিনি বললেনঃ আপনি আমার সাথে কিছুতেই ধৈর্য্যধারণ করে থাকতে পারবেন না। যে বিষয় বোঝা আপনার আয়ত্তাধীন নয়, তা দেখে আপনি ধৈর্য্যধারণ করবেন কেমন করে? মূসা বললেনঃ আল্লাহ চাহেন তো আপনি আমাকে ধৈর্য্যশীল পাবেন এবং আমি আপনার কোন আদেশ অমান্য করব না। তিনি বললেনঃ যদি আপনি আমার অনুসরণ করেনই তবে কোন বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করবেন না, যে পর্যন্ত না আমি নিজেই সে সম্পর্কে আপনাকে কিছু বলি।অতঃপর তারা চলতে লাগলঃ অবশেষে যখন তারা নৌকায় আরোহণ করল, তখন তিনি তাতে ছিদ্র করে দিলেন। মূসা বললেনঃ আপনি কি এর আরোহীদেরকে ডুবিয়ে দেয়ার জন্যে এতে ছিদ্র করে দিলেন? নিশ্চয়ই আপনি একটি গুরুতর মন্দ কাজ করলেন। তিনি বললেনঃ আমি কি বলিনি যে, আপনি আমার সাথে কিছুতেই ধৈর্য্য ধরতে পারবেন না ? মূসা বললেনঃ আমাকে আমার ভুলের জন্যে অপরাধী করবেন না এবং আমার কাজে আমার উপর কঠোরতা আরোপ করবেন না। অতঃপর তারা চলতে লাগল। অবশেষে যখন একটি বালকের সাক্ষাত পেলেন, তখন তিনি তাকে হত্যা করলেন। মূসা বললেন? আপনি কি একটি নিস্পাপ জীবন শেষ করে দিলেন প্রাণের বিনিময় ছাড়াই? নিশ্চয়ই আপনি তো এক গুরুতর অন্যায় কাজ করলেন।তিনি বললেনঃ আমি কি বলিনি যে, আপনি আমার সাথে ধৈর্য্য ধরে থাকতে পারবেন না। মূসা বললেনঃ এরপর যদি আমি আপনাকে কোন বিষয়ে প্রশ্ন করি, তবে আপনি আমাকে সাথে রাখবেন না। আপনি আমার পক্ষ থেকে অভিযোগ মুক্ত হয়ে গেছেন। অতঃপর তারা চলতে লাগল, অবশেষে যখন একটি জনপদের অধিবাসীদের কাছে পৌছে তাদের কাছে খাবার চাইল, তখন তারা তাদের অতিথেয়তা করতে অস্বীকার করল। অতঃপর তারা সেখানে একটি পতনোম্মুখ প্রাচীর দেখতে পেলেন, সেটি তিনি সোজা করে দাঁড় করিয়ে দিলেন। মূসা বললেনঃ আপনি ইচ্ছা করলে তাদের কাছ থেকে এর পারিশ্রমিক আদায় করতে পারতেন। " (আয়াত ৬৫-৭৭)

চিন্তাকরেন এই খুনি* অবিবেচক লোকটাকে* কুরয়ান লেখক* নাকি রহমত আর জ্ঞান দান করেছেন, আর নবীর আকুতি দেখেন খুনিটার* সাথে থাকার জন্য!!!!!!!!!!


আসলে আপনার নবীজীও অনেক কাফের কে বুঝাইতে পারে নাই আর বিদ্রোহী ভৃগু ভাই কি এমন ******ল !!!!???
ভৃগু ভাই আসসালামুয়ালাইকুম এবং অন্য সকলকে সালাম যারা হযরত ইব্রাহীম আঃ এর কুরবানীকে আল্লাহের কাছে কবুল হওয়া বিরাট এবং সত্য পরীক্ষা বলে জানেন,!!

*** আসলে কুরয়ান মানব রচিত মিথ্যা ভ্রান্তিমুলক এক গ্রন্থ *। (যে এ্যলগোরিদম বা গানিতিক যুক্তিতে আপনি ভাবেন তার প্রেক্ষিতে)
* নাউজুবিল্লাহ পড়তে হবে।

৬৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

মিনহাজ শুভ বলেছেন: আপনার বেশিরভাগ পোস্টই ক্যাচালযুক্ত ও সন্দেহজনক বলেই মনে হলো.................আপনার উদ্দেশ্যটা বোঝা যাচ্ছে না

৬৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১

আলামিন১০৪ বলেছেন: হানিফ ভাই, আপনি পুরো কোরআন শরিফ আগে পড়েন তারপর আপনি নিজেই আপনার ভুল বুঝতে পারবেন যদি আপনার সত্য জানার স্পৃহা থাকে আর এজন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনাও জরুরি।
সুরাহ কাহফ পড়েছেন তো? সেখানে খিযির নামে একজন যিনি নবীও ছিলেন না, আল্লাহর ইশারা পেয়ে তিনি এক বাচ্চা ছেলে কে হত্যা করেন। আপনার যুক্তি যদি সঠিক হয় তাহলে কোরআনের আরেক আয়াত অনুসারে বিনা কারনে এই হত্যাকারীর জাহান্নামে যাওয়ার কথা। আবার দেখুন কোরআনের আরেক আয়াতে আল্লাহ বলেন ".......তবে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশ বিশ্বাস কর এবং কিছু অংশ প্রত্যাখ্যান কর সুতরাং তোমাদের মধ্যে যাহারা এরূপ করে তাহাদের একমাত্র প্রতিফল পার্থিব জীবন হীনতা এবং কিয়ামতের দিন তাহারা কঠিনতম শাস্তির দিকে নিক্ষিপ্ত হবে.....।" (সূরা আল বাকারা : ৮৫)
তাই কোরআন বুঝতে হলে আপনাকে পুরো কোরআন আগে পড়তে হবে। আমার ধারনা, আপনি বুঝতে সক্ষম হবেন ..কারন
"Nay more, it is for Us to explain it (and make it clear): - 75:19

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৫:৩৩

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। সূরা কাহাফ আমি পড়েছি। আপনার কথা শুনে আরও একবার পড়লাম। আপনি যে ঘটনার কথা বলছেন তার প্রেক্ষিতে বলছি, আপনি নিজে কোরআন খুলেন এবং ১৮ঃ৬০ থেকে ভাল মত পড়েন। ঐখানে খিযির নামক কোন ব্যক্তির কথা বলা নাই, বলা আছে "And they found a servant from among Our servants to whom we had given mercy from us and had taught him from Us a [certain] knowledge." (১৮ঃ৬৫)। কোথাও বলা নাই আল্লাহর ইশারাতে ঐ বালক কে হত্যা করা হয়েছে। আল্লামা আসাদের " দ্যা মেসেজ অফ দি কোরআন" এ এর একটা সুন্দর ব্যখা পাবেন। তাহলেই বুজতে পারবেন।
আমি কোরআনের পুরাটাই বিশ্বাস করি, আপনি করেন? সমস্যা হচ্ছে সারা জীবন কোরবানি কোরবানি কোরবানি, ভেড়া ভেড়া ভেড়া ভেড়া শুনে আসছেন। এর ফলে ৩৭:১০২-১০৭ এ যদিও কোথাও এই গুলি বলা হয়নাই, তারপরেও আপনি জোর করে এই কলপিত শব্দ গুলি খুজে পাওয়ার চেষ্টা করছেন আপানার বিশ্বাস কে জাস্টিফাই করার জন্য। একটা কথা বলিঃ
Do Not try to justify your belief with the Quran, rather let the Quran justify your belief.

৬৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:৪৯

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: আপনার সব পোস্টা আমার মোটামুটি পড়া হয়েছে, ধর্ম নিয়ে আপনার বিচার বিশ্লেষণ সত্যি প্রশংসনীয় কিন্তু এই বিষয়ে আপনাকে আরেকটু সময় দিতে হবে, আমার মনে হচ্ছে আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে,তবে প্রচলিত গরু কোরবান মুলত কোরবানের প্রধান উদ্দেশ্য যে নয় সে আমি নিশ্চিৎ। ইব্রাহীম আঃ এর স্বপ্ন পু্ত্র ত্যাগ এবং তার প্রেক্ষিতে উট বা দুম্বা দান এসব নিয়ে আমার কোন সন্দেহ বা সংশয় নেই ,এসবের দিয়ে আল্লাহ মানুষকে তা অনুগত এবং প্রতিদিন ত্যাগ বা কোরবাণ দিতে শিখিয়েছেন কিন্তু মানুষ বড় বেশি চালাক,এই ত্যাগ তারা সম্পুর্ণ ভাবে অসহায় গরুর উপর চালিয়ে দিয়েছেন।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি নিজে দয়া করে কোরআন পড়ে দেখুন, কারো শোনা কথায় বিশ্বাস করার দরকার কি, যখন আপনার কাছে কোরআন আছে। শুধু একটা বিষয়ে পরামর্শ দিব তা হল কোরআনের অনুবাদ পড়ার সময় মুল ভাষা আরবির দিকে একটু খেয়াল রাখতে হবে, কারন বেশিরভাগ অনুবাদকই তার নিজের মতবাদ অনুযায়ী অনুবাদ করেছেন। এর ফলে অনেক সময় অনুবাদ পড়ে মুল কথা বুঝা যায়না।

৬৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮

আলামিন১০৪ বলেছেন: "...And I did it not of my own accord...." (১৮:৮২) এটা কি আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে? খিজির তাহলে কার ইচ্ছায় বালক কে হত্যা করলেন? তাহলে কি এবারও শয়তানকে দুষবেন?
আরেক জায়গায় দেখুন, "------- আমি কি তোমাকে দেইনি দুই চোখ, জিহবা, নাক?-----" এখন যদি এই আয়াত পড়ে আপনি নিশ্চিত হয়ে জান যে সবাইকেই আল্লাহ দৃষ্টি শক্তি দিয়ে পাঠিয়েছেন তাহলে আমার কিছুই বলার নাই।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:১৮

হানিফঢাকা বলেছেন: কোরআনে স্পষ্ট ভাবে ৭:২৮ এবং ৬:১৫১ আয়াত পড়লে এটা স্পষ্ট প্রমানিত যে আল্লাহ কোন নিষ্পাপ মানুষকে হত্যার আদেশ দেন না এবং দিতে পারেন না। এখন ১৮:৮২ আয়াতের রেফারেন্স দিয়ে আপনি বলতে চাচ্ছেন যে আল্লাহ এই আদেশ দিতে পারেন। তাহলে আপনার কথা অনুযায়ী এর অর্থ দাড়ায়ঃ

১। ৭:২৮ এবং ৬:১৫১ এর সাথে ১৮:৮২ কনফ্লিক্ট করে- যা কোনভাবে সম্ভব না
২। আল্লাহ নিষ্পাপ মানুষকে হত্যার আদেশ দেন বা দিতে পারেন।

আমি নিজে কোরআন পড়ে এর মধ্যে কোন সমস্যা দেখছিনা। কিন্তু আপনি আপনার প্রচলিত মতামতকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কোরআন থেকে এমন একটা রেফারেন্স দিয়েছেন যার উত্তরে আমি যদি বলি এই বর্ণনার অনেক কিছুই রুপক আপনি বিশ্বাস করবেন না, কারন আপনি আপনার মতকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আপনার চিন্তা ধারা “আল্লাহ বিনা কারনে মানুষ হত্যার আদেশ দিতে পারে,বা তার নিজের কথার সাথে কনফ্লিক্ট করতে পারে এই রকম বিশ্বাস করতেও দ্বিধা করছেন না, যা কোরআনের সাথে সম্পূর্ণ বিপরীত।

এখন এই প্রেক্ষিতে আমাদের ১৮:৮২ আয়াত দেখতে হবে- আসলে আল্লাহ কাকে কি আদেশ দিয়েছেন বা কি বলেছেন।
প্রথমেই আমি বলতে চাই এই ঘটনার অনেক কিছুই রুপক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন “মাছ”- রুপক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। “খিজির” শব্দটা কোরআনে নেই, হাদিস থেকে এসছে। এর অর্থ “সবুজ” বা “চির সবুজ”। আপনি আমার এই কথা গুলি বিশ্বাস করবেন না ধরেই আমি পরবর্তী লেখায় যাচ্ছি। সেই জন্য আমাদের বুঝতে হবে এই “খিজির” বলতে কোন মানুষ, জ্ঞান, ফেরেস্তা বা অন্য কিছু বুঝিয়েছে কি না? আর তা বের করতে পারলেই আপনার প্রশ্নের উত্তর বের করা যাবে। আপনি নিজে এই সংক্রান্ত ব্যাখা বিভিন্ন বই পড়ে বের করতে পারেন। তবে আপনার সুবিধার জন্য আমি আপনাকে তাহফিমুল কোরআন থেকে এর ব্যাখ্যা কপি পেস্ট করছি।

যদিও ইংলিশে লেখা তবু আপনার প্রতি অনুরুধ রইল একটু কষ্ট করে দয়া করে প্রতিটা লাইন পড়বেন।

In connection with this story, a very hard problem arises to which an answer must be found: Two of the three things done by Hadrat Khidr are obviously against those commandments of the Law which have always been in force since the creation of man. No law allows anyone the right to damage the property of another and kill an innocent person. So much so that if a man were to know by inspiration that some usurper would illegally seize a certain boat, and that a certain boy would be involved in a rebellion and unbelief, even then no law, sent down by Allah, makes it lawful that one should bore a hole in the boat and kill the innocent boy by virtue of one’s inspiration.

If in answer to this, one were to say that Hadrat Khidr committed these two acts by the Commands of Allah, this does not solve the problem, for the question is not this, “By whose command did Hadrat Khidr commit these acts”? but it is this: “What was the nature of these commands”? This is important because Hadrat Khidr did these acts in accordance with Divine Command, for he himself says that these acts of his were not done by his own authority, but were moved by the mercy of Allah, and Allah Himself has testified this by saying: “We gave him a special knowledge from Ourselves”. Thus it is beyond any doubt that these acts were done by the Command of Allah, but the question about the nature of the command remains there, for it is obvious that these commands were not legal because it is not allowed by any Divine Law, and the fundamental principles of the Qur’an also do not allow that a person should kill another person without any proof of his guilt. Therefore we shall have to admit that these commands belonged to one of those decrees of Allah in accordance with which one sick person recovers, while another dies: one becomes prosperous and the other is ruined. If the Commands given to Hadrat Khidr were of this nature, then one must come to the conclusion that Hadrat Khidr was an angel (or some other kind of Allah’s creation) who is not bound by the Divine Law prescribed for human beings, for such commands as have no legal aspect, can be addressed to angels only.
This is because the question of the lawful or the unlawful cannot arise about them: they obey the Commands of Allah without having any personal power. In contrast to them, a man shall be guilty of a sin whether he does any such thing inadvertently by intuition or by some inspiration, if his act goes against some Divine Commandment. This is because a man is bound to abide by Divine Commandments as a man, and there is no room whatsoever in the Divine Law that an act may become lawful for a man merely because he had received an instruction by inspiration and had been informed in a secret way of the wisdom of that unlawful act.
The above-mentioned principle has been unanimously accepted by scholars of the Divine Law and the leaders of Sufism. `Allamah Alusi has cited in detail the sayings of ‘Abdul Wahhab Shi`irani, Muhy-ud-Din ibn-`Arabi, Mujaddid Alf Thani, Shaikh ‘Abdul-Qadir Jilani, Junaid Baghdadi, Sirri Saqti, Abul-Hussain An-nuri, Abu Said-al-Kharraz, Ahmad ud-Dainauri and Imam Ghazzali to this effect that it is not lawful even for a sufi to act in accordance with that inspiration of his own which goes against a fundamental of law. (Ruh-ul-Ma ani, Vol. XVI, pp. 16-18). That is why we have come to the conclusion that Hadrat Khidr must be an angel, or some other kind of Allah’s creation, exempted from human law, for he could not be the only exception to the above-mentioned formula. Therefore we inevitably come to the conclusion that he was one of those Servants of Allah who act in accordance with the will of Allah and not in accordance with the Divine Law prescribed for human beings.
We would have accepted the theory that Hadrat Khidr was a human being, if the Qur’an had plainly asserted that the “servant” to whom Prophet Moses was sent for training, was a man, but the Qur’an does not specifically say that he was a human being but says that he was “one of Our Servants” which does not show that he was necessarily a human being. Besides this, there is no Tradition which specifically says that Hadrat Khidr was a human being. In the authentic traditions related by Said bin Jubair, Ibn `Abbas, Ubayy bin Ka`ab from the Holy Prophet, the Arabic word, ,}i~ (rajul) has been used for Hadrat Khidr, which though generally used for human beings, is not exclusively used for human beings. In the Holy Qur’an itself, this word has been used for Jinns also (LXXIII 6). It is also obvious that when a jinn or an angel or an invisible being will come before a human being, he will surely come in human shape and, in that form; he will be called a bashar (man), just like the angel who came before Mary in the shape of a human being (XIX: 17). Thus the word rajul, used for Hadrat Khidr in the above mentioned Tradition by the Holy Prophet, does not necessarily mean that he was a human being. Therefore we are quite justified in the light of the above discussion to believe that Hadrat Khidr was one of the angels or some other kind of Allah’s creation who is not bound by the Divine Law prescribed for human beings. Some of the former scholars of the Qur’an have also expressed the same opinion which. has been cited by lbn Kathir in his Commentary on the authority of Mawardi

৬৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪০

মীর মোহাম্মদ উল্লাহ বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ভাইয়ের কমেন্ট গুলোই যথেস্ট।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৬

হানিফঢাকা বলেছেন: Say, "Come, I will recite what your Lord has prohibited to you. [He commands] that you not associate anything with Him, and to parents, good treatment, and do not kill your children out of poverty; We will provide for you and them. And do not approach immoralities - what is apparent of them and what is concealed. And do not kill the soul which Allah has forbidden [to be killed] except by [legal] right. This has He instructed you that you may use reason."

৬৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯

আরব বেদুঈন বলেছেন: সোজা বাঙলায় এই ফিতনা সৃষ্টি কারি কে ব্যান্ড করে দেওয়া উচিত।তামাম দুনিয়ার লোক ভুল বলসে আর উনি রাইট।পৃথীবির সকল হাদিস ভুল উনি ঠিক।আচ্ছা আপনার ধর্ম কি? শিয়া মতালম্বী? না সুন্নি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.