নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফানডামেনটাল

;

হানিফঢাকা

So peace is on me the day I was born, the day that I die, and the day that I shall be raised up to life (again) (১৯:৩৩)

হানিফঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইমাম বুখারি এবং হাদিসের অঙ্ক

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫৬

হাদিস নিয়ে ব্লগে অনেকই পোস্ট দেন আর অনেকেই কমেন্টে “আলহামদুলিল্লাহ”, “সুবাহানাল্লাহ”,“জাযাকাল্লাহ” বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন। এই রকম চর্চা ফেসবুকে বেশি দেখা যায়। শুধু হাদিস হলে কথা ছিল, যে কোন একটা ছবি দেখিয়ে উহা অমুক নবীর কবর, অমুকের পায়ের ছাপ, মাছের পিঠে ছাগলের পিঠে বিভিন্ন নাম লেখা দেখিয়ে বলে বলুন “আলহামদুলিল্লাহ”/ “সুবাহানাল্লাহ”/“জাযাকাল্লাহ”। এই ধরনের কোন ফেসবুকার যদি ব্লগে থেকে থাকেন তবে আমার এই লেখা থেকে দূরে থাকবেন, কারন আমার এই লেখাটি কোনভাবেই তাদের জন্য নয়।

ছোট একটা ভুমিকা দেই। প্রথমে ভেবেছিলাম ইসলামের ইতিহাস নিয়ে লেখব, পড়ে দেখলাম উহা হাদিস কালেকশনের সাথেও জড়িত, পড়ে ভাবলাম হাদিস সংগ্রহ নিয়ে লেখি, কিন্তু উহা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যপার। পড়ে ভাবলাম বুখারি নিয়ে কিছু লিখি, কতটুকু লিখেছিলামও, পরে আর হয়ে উঠেনি। পরে ভাবলাম সব না হোক একটা ছোট বিষয় নিয়ে লিখি। তাই আজকের লেখা।

একটা অঙ্ক মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। আশা করি ব্লগার ভাইয়েরা এই অঙ্কের সমাধান দিতে পারবেন। অঙ্কটা জটিল কোন ক্যালকুলাস না, সাধারন পাটিগণিত জানলেই করা যাবে। আশা করি গালা গালি না করে সবাই অঙ্কের দিকে মনোযোগ দিবেন।

ব্যাকগ্রাউন্ডঃ
বুখারির সময়কাল ১৯৪-২৫৬/২৬০ হিজরি। তাহলে উনি বেচে ছিলেন ৬২ অথবা ৬৬ বছর। ধরে নিলাম উনার জীবন কাল ৬৫ বছর। সেই সময়ে কোন মোবাইল, ইন্টারনেট, মোটর গাড়ি, বিমান কিছু ছিলনা। মানুষের চলাচলের মাধ্যম ছিল পায়ে হেটে, কোন বাহনে চড়ে (যেম্ন ঘোড়া, গাধা, উট ইত্যাদি) অথবা পালতোলা জাহাজে করে। আমার কাছে যে বুখারী বইটা আছে তাতে লেখা আছে যে উনি দীর্ঘ ১৬ বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে হাদিস সংগ্রহ করেছেন এবং এই বইয়ের ৩০ নম্বর পাতায় লেখা আছে যে ইমাম বুখারী মোট ৬০০,০০০ (ছয় লাখ) হাদিস সংগ্রহ করেছেন। এই সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে বর্ণনাকারীর সাথে যোগাযোগ করা, বর্ণনাকারীর কাছে থেকে হাদিস সংগ্রহ করা, ঐ হাদিসের ইসনাদ অর্থাৎ চেইন অব নেরেটরস যাচাই বাচাই করা, প্রয়োজনে এই ইসনাদের বিশুদ্ধতা যাচাই বাচাই করার জন্য আবার অন্য কারো কাছে যাওয়া, এর পর ঐ হাদিসের গুনাগুন বিচার করা অর্থাৎ (ঐ হাদিস আরও কেউ বলেছে কিনা তা যাচাই বাচাই করা) তার পর উনার হিসাবে হাদিস শুদ্ধ মনে হলে গ্রহণ করা না হলে বর্জন করা। অনেক কষ্টসাধ্য এবং সময়সাপেক্ষ ব্যপার। এইবার আপনাদের জন্য অঙ্কঃ

ইনপুটঃ
১। বুখারির জীবন কাল ৬৫ বছর
২। উনি ১৬ বছরে এই হাদিস শেষ করেছেন
৩। ১ বছর= ৩৬৫ দিন
৩। ১দিন= ২৪ ঘণ্টা
৪। ১ ঘণ্টা = ৬০মিনিট

প্রশ্ন
১ঃ যদি উনি ১৬ বছরে ৬ লক্ষ হাদিস সংগ্রহ করে থাকেন, তবে একটি হাদিস সংগ্রহ করে যাচাই বাচাই করে তা সঠিক না ভুল এটা বের করতে তার কত সময় লেগেছিল? ধরে নিন ১৬ বছরে উনি কোন বিশ্রাম, খাওয়া দাওয়া বা ঘুম কিছুই করেন নাই। টানা ১৬ বছর ২৪ ঘণ্টা দিন ধরে কাজ করেছেন।

২। উনি যদি জন্মের পরে থেকি টানা এই হাদিস সংগ্রহের কাজ করে থাকেন, তবে একটি হাদিস গ্রহণ বা বর্জন করতে কত সময় লেগেছিল?

৩। দৈনিক ১৫ ঘণ্টা হাদিসের পিছনে ব্যয় করা হয়েছে এটা ধরে নিলে, ৬৫ বছরে ৬০০,০০০ হাদিস কালেকশন করলে, প্রতি হাদিসের পিছনে কতটুকু সময় লেগেছে?

৪। দৈনিক ১৫ ঘণ্টা হাদিসের পিছনে ব্যয় করা হয়েছে এটা ধরে নিলে, ১৬ বছরে ৬০০,০০০ হাদিস কালেকশন করলে, প্রতি হাদিসের পিছনে কতটুকু সময় লেগেছে?

৫। উনি ৬০০,০০০ হাদিস থেকে ৭২৭৫ টি হাদিস গ্রহণ করেছিলেন (রিপিটিশন ছাড়া ২৭৬২)। তাহলে উনি কত % হাদিস বর্জন করেছিলেন?

৬। কেউ যদি বুখারির সংগ্রহীত হাদিসের সব বর্জন ঘোষণা করে (অর্থাৎ ঐ ৬০০,০০০ হাদিস) তবে তার মতের সাথে বুখারীর মতের পার্থক্য কত পারসেন্ট।

দয়া করে পাটি গণিতের মাধ্যমে সমাধান দিয়ে উপকৃত করবেন। আর ইচ্ছা করলে উপরে আমি যে ব্যকগ্রাউন্ড দিয়েছি তার সাথে আপনার উত্তর কতটা সমর্থন যোগ্য তা নিজেই যাচাই করেন।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:০৫

কালনী নদী বলেছেন: ব্যাপারটা হয়তো আপনি যেভাবে ভাবছেন তেমন না।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫

হানিফঢাকা বলেছেন: হতে পারে। আপনি নিজে ঐ ৬ টা প্রশ্নের উত্তর বের করে দেখুন। সমস্যা হবার কথা না, কারন ঐ গুলি বেসিক অঙ্ক। খুশি হব যদি উত্তর গুলি এইখানে কমেন্টে দেন।

ধন্যবাদ।

২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৮

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: @কালনী নদী- কি হতে পারে বলে আপনি মনে করেন? এই সম্পর্কে যারা জানেন তারা এগিয়ে আসুন।সত্যটা যুক্তির সাথে জানতে চাই।

এই বিষয়ে সবার মন্তব্য আশা করছি।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭

হানিফঢাকা বলেছেন: এই অঙ্ক গুলির সমাধান করতে পারলেই সত্য সম্পর্কে জানতে পারবেন বলে আশা করি। সুতরাং অঙ্ক করা শুরু করেন এবং রেজাল্ট শেয়ার করেন। ধন্যবাদ

৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯

ডি এইচ রিমেল বলেছেন: সত্যটা যুক্তির সাথে জানতে চাই। সাথে আছি।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮

হানিফঢাকা বলেছেন: সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০২

এ আর ১৫ বলেছেন: বুখারি হাদিসের ব্যপারে মেহেদি পরাগের লেখার লিংক গুলো দিলাম । আশা করি অনেক কিছু জানতে পারবেন

পর্ব-১ - হাদীস সংকলনের ইতিহাসঃ শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতা
পর্ব-২- বুখারী হাদীস গ্রন্থ ত্রুটিমুক্ত নয়ঃ শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতা
পর্ব-৩- ইমাম বুখারীর হাদীস সত্যায়ণ করার পদ্ধতির ভুল ভ্রান্তিসমূহঃ শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতা
পর্ব-৪- ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিমের মাঝে ঝগড়া ও বিরোধের ইতিহাসঃ শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতা
পর্ব-৫- বুখারী শরীফ একটি বিকৃত গ্রন্থঃ শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতা
পর্ব-৬ - যে কারণে মানুষ উদ্ভট হাদীসগুলো বিশ্বাস করেঃ শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতা

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১১

হানিফঢাকা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার লিঙ্কের জন্য। উনার লেখা গুলি সুন্দর এবং যুক্তি পূর্ণ। আমিও ভেবেছিলাম এই নিয়ে লিখব। যেহেতু উনি লিখেছেন তাই আমি আর নতুন করে লিখার প্রয়োজন মনে করছিনা। আমি বরং ইসলামের ইতিহাসের বিকৃতি নিয়ে লেখার চেষ্টা করব।

ধন্যবাদ।

৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৩

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: গ্যালারিতে বসলাম. দেখি কি উত্তর আসে

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১২

হানিফঢাকা বলেছেন: দেখতে থাকুন।

৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রসুল (স) বিদায় হজের ভাষনে হাদিস নিয়ে হানাহানি না করে সুধু কোরান ফলো করতে বলেছিলেন।
কিন্তু তার এই উপদেশ অনেকেই মানেনি।
হাদিস লিখিত আকারে এসেছে হজরত মোহম্মদ (স) এর মৃত্যুর ৩০০ বছর পর।
অর্থাৎ ৬ টি জেনারেশন হাদিসের কথাগুলো যুদ্ধরত বিশৃক্ষল গোত্রের আলেমদের মুখে মুখে ছিল। পরষ্পর বিরোধী গোত্রগুলো বানোয়াট বিভ্রান্ত হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে হানহানি করে গেছে দির্ঘদিন (এখনো হানাহানি চলমান)।
তখন পরস্পরকে ঘায়েল করতে ও অনান্য কারনে অনেক জাল হাদিস তৈরি হয়েছিল।

৩০০ বছর পর মানুষের মুখের কথা সুনে শুনে হাদিস লেখা সুরু হয়। তাই কোন হাদিসই নির্ভরযগ্য নয়।
তবে অল্প কিছু হাদিস কোরানের আয়াতকে সমর্থন করে। কোরান সমর্থনকারি হাদিসগুলো অবস্যই গ্রহনযগ্য।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯

হানিফঢাকা বলেছেন: কোরান সমর্থনকারি হাদিসগুলো অবস্যই গ্রহনযগ্য।- এই কথাটাই আমি বিশ্বাস করি, মানি। হাদিস সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ পদ্ধতি নিয়ে আমার কিছু পড়া লেখা আছে। ইমামগন হাদিস গ্রহণযোগ্য হবার জন্য যে সব মাপকাঠি ঠিক করেছিলেন তাও ভাল করে দেখেছি। কিন্তু শুনলে আশ্চর্য হবেন যে কোন ইমাম হাদিস সত্য না মিথ্যা তা বের করার জন্য কোরআনকে কখনোই মাপকাঠি হিসাবে ধরেন নাই। কেউ সে যেই হোক এটা দেখাতে পারবে না।

অঙ্কগুলির সমাধান এখানে কেউ দিচ্ছে না।

৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩

কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: আপনার প্রশ্ন খুবই যৌক্তিক। লাখ লাখ হাদিস একজন কিভাবে সংরহ করে এক জীবনে? এর সবই নাকি আবার সহী। হাদীস যদি এতোই জরুরী হইতো তবে তা নবী (সাঃ) এর আমলেই স্পস্ট নির্দেশনা দিয়ে মেনে চলতে বলা হইতো। আমার তো মনে হয় হাদীস নিয়ে মাতামাতি সুবিধাবাদীদের কারনেই চালু হইছে। হাদিসগুলা সঠিক হওয়ার চেয়ে ভুল হওয়ার সম্ভাবনাই অনেক অনেকগুন বেশি এবং সত্য ব্যাপার হচ্ছে যে এগুলর বেশিরভাগই অন্য কোন হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক এবং ক্ষেত্রি বিশেষে করানের সাথেও।

যাজাকাল্লাহ খায়রান বলা একশ্রেনীর ফ্যাশনে পরিনত হইছে। কান চুলকানোর পর ময়লা বের হইলেও এরা তা বলবে। অতি ভক্তি সবসময়ই চোরের লক্ষন।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২০

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

৮| ২২ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৪৯

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: এটাকে হাদিসের অংক না বলে গোজামিলের অংক বলা উচিত । আর প্রশ্নগুলোও পাগলের প্রলাপের মত । আপনার পূরো প্রশ্ন এবং গোজামিল অংকের সমাধান নিচে দেয়া হল-
১) বুখারী রহঃ সহ সকল মুহাদ্দিসের হাদিস সহী নির্ধারনের পদ্ধতিটা আগে জানা উচিত ছিল তাহলে এমন গোজামিল অংক কসতেও লজ্জা লাগত কারন- তিনারা হাদিস নির্ধারন করতেন বর্ননাকারী মিথ্যুক বা ধোকাবাজ কিনা তার উপর নির্ভর করে অর্থাৎ কুরানে বর্নিত সত্যবাদীর সাক্ষ্যর মাপাকাঠি অনুযায়ি তবে হাদিসে বর্নিত কুরানের সাথে মিলানোকে ২য় পর্যায়ে রেখেছেন আর দুজন বর্ননাকারী রাবীদের মাঝে সাক্ষাত হয়েছে কিনা এটাকে ৩য় পর্যায়ে রেখেছেন আর এমন নিয়মে হাদিস সংকলন করলে তো পুরো একদিনেই শুধুমাত্র এক জন সত্যবাদী রাবীর কাছে সাক্ষাত করেই অসংখ্য সহী হাদিসের পান্ডুলিপি সংগ্রহ করা সম্ভব কেননা সত্যবাদী রাবীদের নিকট অসংখ্য সহী হাদিস লিখিত থাকত আর এরকম একজনের কাছে গিয়ে যদি শুধু তাকে বলি আপনার কাছে সহী মনে হয় এমন হাদিসগুলিই শুধু দিন তবে তো যেকোন রাবীই গড়ে একদিনেই হাজারটির মত সহী হাদিসের পান্ডুলিপি দিতে পারবেন । আর ইমাম বুখারীর শিক্ষক ইমাম মুহাম্মদ হাম্বল তিনি নিজেই তো বড় মুহাদ্দিস এবং মুজতিহাদ ছিলেন এবং সত্যবাদী ছিলেন তাই একমাত্র বুখারীর শিক্ষকের কাছ থেকেই হাজার হাজার সহী হাদিস কোনরকম গবেষনা ছারাই সংগ্রহ করা সম্ভব ছিল । আর ইমাম মুসলিমও ইমাম মুহাম্মদ হাম্বল এর ছাত্র ছিলেন । তাইতো দেখা যায় বুখারী এবং মুসলিমের প্রায় হাদিসই একই রকম কারন তিনারা উভয়ে প্রায় একই ব্যাক্তির কাছ থেকেই অসংখ্য হাদিস নিয়েছিলেন যা তিনাদের হাদিস সংগ্রহের নীতিমালা অনুযায়ি ছিল সহী ।

৯| ২২ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:০৯

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ২ ) এখন কেউ যদি তার মাথামোটা মস্তিস্ক নিয়ে চিন্তা করে যে - শুধুমাত্র একটি সহী হাদিস সংকলনের জন্য যেতে হয়েছিল কোনরুপ পুর্ব প্লান ছারাই ঘোড়া নিয়ে হাজার মাইল দূরে অতঃপর কোন সত্যবাদী রাবিকে খুজতে লাগল আরো এক সপ্তাহ অতঃপর যাকে খুজে পাওয়া গেল সে যা জানে সেগুলো সে নিজেই কতটুকু সত্য জানে তাও বের করতে গেল আরো একদিন অতঃপর একজন রাবীর কাছে শুধু একটি সহী হাদিসই মিলিল অতঃপর সেটি বুখারীর মুখস্ত করিতে লাগিল আরো এক বেলা অ্তঃপর আবারও বুখারী বাড়ী ফিরিয়া ইস্তিখারা করিয়া সিদ্ধান্তে পৌছাইয়া গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করিতে করিতে সময় লাগিল আরো পনের দিন তারপর তিনি আবার অজানা দেশে পারি দিলেন হাদিস এর উদ্দশ্যে এবং এবারও তিনি একেক জন রাবীর কাছে দূর্ভাগার মতন শুধু একটি দুটি করেই হাদিস পাচ্ছেন। এই যদি হত তখনকার সত্যিকারের ঘটনা তবে অবশ্যই উপরে উল্লেখিত গোজামিল অংককে পাগলের প্রলাপ বলা শোভা পেত না কিন্তু বুদ্ধিমান ব্যাক্তিবর্গ এবং মুহাদ্দিসিনদের কাছে আমার প্রশ্ন যে - সত্যিই কি এভাবেই বুখারী রহঃ হাদিস সংকলন করতেন ? হে হে হে । উপরের কমেন্টে দেখলাম কেউ কেউ উনার গোজামিল অংকে হাবুডুবু খেয়েছেন যা দেখে আমার বড়ই আফসোস হল । তাই কমেন্টে গোজামিল ধরে দিলাম ।

১০| ২৭ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:২১

শিশির৫৪ বলেছেন: ইসলামি চিন্তাবিদ, ভাই, ভীষণ ভাল লাগলো আপনার ২টি মন্তব্য পড়ে। তবে কি জানেন, এদের চেতনা আসবেনা। এরা যুক্তি দিয়ে ধর্ম বোঝে। ধর্ম যে তাদের যুক্তির ৫ পয়সা দাম দেয় না, ইসলাম যে শুধু একজন মানুষের কথায় চলে যার নাম মোহাম্মদ (সাঃ) তা এরা বুঝবে না। আপনার সাথে একমত হয়ে কিছু লিঙ্ক দিলাম নিচে। যদি কারো কোন প্রশ্ন থাকে তবে তারা উত্তর খুজে পাবে আশা করি।
ইলমে হাদীছ- ১ম পর্ব
https://www.youtube.com/watch?v=Do-ujrXcO_U
ইলমে হাদীছ ২য় পর্ব (হাদীছ সংকলন সংক্রান্ত অভিযোগের জবাব)
https://www.youtube.com/watch?v=5hGFGFSZ_Wk
ইলমে হাদীছ- ৩য় পর্ব (ছাহাবীগণের যুগে হাদীছ শাস্ত্র)
https://www.youtube.com/watch?v=J2hDznBzS7s
ইলমে হাদীছ- ৪র্থ পর্ব (মুয়াত্তা মালেকের পরিচয়)
https://www.youtube.com/watch?v=02cnfxZ1krI

১১| ২৭ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২১

এ আর ১৫ বলেছেন: শিশির৫৪ ----
নিচে ইসলাম অবমাননা কারি , বিদ্রুপকারিদের হত্যা করার সহি হাদিস সমুহ দেওয়া হোল যে গুলোর উপর আপনার ঈমান অসিম !!!!
==========
আনসারুল ইসলামের অনলাইনে ওদের প্রচারিত বই “উন্মুক্ত তরবারী” তে তারা বুখারী শরীফের ৪০৩৯ নাম্বার হাদীসের উদাহরণ দিয়েছে এবং সেই হাদিস থেকে স্পস্ট দেখিয়েছে যে ইহুদী “আবু রা’ফে” কে হত্যা করবার জন্য স্বয়ং নবী মুহম্মদ কিভাবে আব্দুল্লাহ ইবনে আতিককে নেতা বানিয়ে একটি স্লিপার সেল বানিয়ে পাঠিয়েছিলো। কারন নাকি নবী (সা) সম্পর্কে কটু মন্তব্য করে ছিলেন আবু রা' ফে' তাই ।
আনসার আল ইসলামের ওই বইতে বর্ণনা করা হয়েছে তারা কিভাবে নবীর (সা) নির্দেশে ইবনে খাতাল, কা’ব ইবনে আশরাফ,আবু আফাক, একজন অন্ধ সাহাবী কর্তৃক নিজ দাসীকে হত্যা করা এই ভাবে সব মিলিয়ে প্রায় ৫/৬টা হত্যা কান্ডের ঘটনা উল্লেখ করেছে যেখানে কেউ নবীজি সম্পর্কে কোনো মন্তব্য বা সমালোচনা কিংবা অশভোন কথা বললেই তাকে হত্যা করা হোতো।

আবার উন্মুক্ত তরবারী গ্রন্থে হাদীস গ্রন্থ আবু দাউদের ৪৩৬৩ নং হাদীসে মহানবীর একজন অন্ধ সাহাবা তার দাসীকে যে মেরে ফেলেছে সেটির বর্ণনা আছে। সেই দাসীর অপরাধ ছিলো যে তিনি নবীকে নিয়ে ব্যঙ্গ করত। এই ব্যাঙ্গ করার কারনে সেই সাহাবা মহিলাটিকে মেরে ফেলে। মেরে ফেলবার পর নবী অত্যন্ত খুশি হয় এই ঘটনায় এবং সেই হত্যার শিকার মহিলার রক্ত মূল্যহীন এমনটাই ঘোষনা করে। এ ছাড়াও এই গ্রন্থ থেকে বুখারী হাদীস ১৮৪৬ বর্ণনা করেছে নবী সম্পর্কে বিদ্রুপাত্নক গান গাইবার অপরাধে খুন করা হয়েছে ইবনে খাতাল কে। সেই ইবনে খাতাল কাবার গিলাফ ধরে বাঁচার প্রাণ পন চেষ্টা করলেও মহানবী তাকে ঐ অবস্থায় খুন করতে নির্দেশ দেন। =======

বিদ্রুপকারিদের জন্য আল্লাহর কোরানের বাণী সমুহ
এই হাদিস গুলির মেরিট আমরা বিচার কোরবো কোরানের আয়াত দিয়ে । আদৌ কি শুধু বিদ্রুপ করার জন্য রসুল (সা) এর পক্ষে এই ধরনের হ্ত্যা কান্ডের নির্দেশ দেওয়া সম্ভব ?? দেখুন সুরা হিজরে আয়াত ৯৫ তে আল্লাহ কি বোলছেন -- বিদ্রুপকারীদের জন্য আমিই আপনার পক্ষ থেকে যথেষ্ট"----- সুতরাং এই আয়াত স্পষ্ঠ করে বলেছে বিদ্রুপকারীদের আল্লাহ নিজে শাস্তি দিবেন ।
তাহোলে ঐ হাদিস গুলো যদি সত্য হয় তাহোলে সেটা সরাসরি কোরান লংঘন হয়ে যাবে এবং এটা কখনোই সম্ভব নয় । আরো তিনটি কোরানের আয়াত দেখুন ---
সুরা মোজ্জামেল ( ৭৩--১0 ) কাফেররা যা বলে, তজ্জন্যে আপনি সবর করুন এবং সুন্দরভাবে তাদেরকে পরিহার করে চলুন।

সুরা নিসা আয়াত ১৪0- আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন।

সুরা ক্কাফ (৫০-- ৩৯) অতএব, তারা যা কিছু বলে, তজ্জন্যে আপনি ছবর করুন এবং, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে আপনার পালনকর্তার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করুন। --

সুতরাং হাদিস গুলোর সাথে কোরানের আয়াত কোন ভাবেই মিলে না । আনসার আল ইসলাম উপরের হাদিস গুলোর উপর ভিত্তি করে ছোট ছোট স্লিপার শেল গঠন করে হত্যা কান্ড চালাচ্ছে । বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা যায় কিছু লোককে স্লিপার শেল গঠন করে হত্যা করা হয়েছিল সে গুলো ছিল গুপ্তচর বৃত্তি, বিদ্রোহে মদদ দেওয়া , সরযন্ত্র করা ইত্যাদি কারন, যদি শুধু ব্যঙ্গ বিদ্রুপের কারনে কাউকে হত্য করা হয়ে থাকে উপরের হাদিস গুলোর বর্ণনা অনুসারে তাহোলে সেটা সরাসরি কোরানের লংঘন হয়ে যায় ।

১২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮

শিশির৫৪ বলেছেন: আমার ভিষণ অবাক লাগে, যখন দেখি কেউ কোরান মানে কিন্তু হাদিসের বিরোধিতা করে। তার উদ্দেশ্যে আমার একটা প্রশ্ন- "ভাই, আপনি কোরান পেয়েছেন কার কাছ থেকে?" আল্লাহ্‌ কি কোরান আপনার উপর নাযিল করেছেন, নাকি আপনই স্বপ্নে পেয়েছেন? যদি তা না হয় তবে আপনাকে মান্তেই হবে যে, রাসুল (সাঃ) যদি না বলতেন এটা কোরানের বাণী, আপনার পক্ষে কখনোই সম্ভব হত না কোরান পাওয়া।
তাহলে আপনই ই বলুন, রাসুল (সাঃ) এর কথার উপর ভিত্তি করেই কোরান এবং হাদিস, তবে হাদিস কেন মানেন না?

১৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮

এ আর ১৫ বলেছেন: শিশির৫৪ --- তাহলে আপনই ই বলুন, রাসুল (সাঃ) এর কথার উপর ভিত্তি করেই কোরান এবং হাদিস, তবে হাদিস কেন মানেন না?
ও আপনি বুঝি মনে করেছেন ----- হাদিস যেমন ৩০০ বৎসর পরে লিখা শুরু হয়েছিল , ঠিক তেমনি কোরানের আয়াত গুলো ৩০০ বৎসর পর লিখা এবং মুখাস্ত করান শুরু হয়েছিল ( নাউযুবিল্লাহ) তাই ৩০০ বৎসর পর সংকলিত কোরান যদি মানতে পারি তাহোলে ৩০০ বৎসর পর সংকলিত হাদিস কেন মানি না ।
আপনার মন্তব্য থেকে স্পষ্ঠ যে কোরান কখন কি ভাবে লিখা হয়েছিল এবং সাহাবিদেরকে মুখস্ত করিয়ে হাফেজ করা হয়েছিল সেটা আপনি জানেন না তাই কোরান আর হাদিসকে একই পাল্লায় এনে বোলছেন কোরান এবং হাদিস উভয়ই রসুল (সা: ) কথা উপর ভিত্তি করে ইত্যাদি ।
কোরান যদি হাদিসের মত ৩০০ বৎসর পর লিখা হোত তাহোলে সেটাকে মানতাম না , ৩০০ বৎসর পর লিখা হাদিস কোরানের সাথে যদি না মিলে তাহলে কি কারনে মানবো , যদি মিলে তখন একশ বার মানবো এবং যে হাদিস গুলো মিলে শুধু সেগুলো মানবো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.