নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফানডামেনটাল

;

হানিফঢাকা

So peace is on me the day I was born, the day that I die, and the day that I shall be raised up to life (again) (১৯:৩৩)

হানিফঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈসা (আঃ) এর প্রকৃত জন্ম রহস্য- এবং আমাদের ভুল ধারনা। (পর্ব ১)

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৪

সমগ্র পৃথিবীর মুসলমানরা বিশ্বাস করে ঈসা (আঃ) এর জন্ম হয়েছে পিতা ছাড়া। উনার জন্ম হয়েছে ইম্মেকুলেট কন্সেপশণ এর মাধ্যমে। অর্থাৎ কোন পরুষের সান্নিধ্য ছাড়াই উনার মাতা মরিয়ম গর্ভ ধারন করেছিলেন। মরিয়ম একজন কুমারী, এবং মরিয়ম কখনো কারো সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন নি। খৃস্টানদের বিশ্বাসও প্রায় একি রকম। ইনফ্যাক্ট খৃষ্টান ধর্মের বিশ্বাসের মুল ভিত্তির একটা হচ্ছে যে ঈসা (আঃ) এর পিতা বিহীন জন্ম লাভ করা। এর ফলে ঈসা (আঃ) কে তারা ঈশ্বর পুত্র এবং রক্ষাকর্তা হিসাবে মর্যাদা দিয়েছেন, যদিও বাইবেলে ঈসা (আঃ) এর একজন পিতার কথা বলা আছে যার নাম জোসেফ (সে আসলেই ঈসা (আঃ) এর পিতা কি না সেটা আমার বিষয় না)। যদিও মুসলমানরা ঈশ্বর পুত্র থিওরীতে বিশ্বাস করে না কিন্তু তার জন্মের ব্যপারে প্রায় সবকিছু খৃষ্টানদের সাথে মুসলমানদের বিশ্বাস একি রকম।

বিশ্বাসের মুল ভিত্তিঃ
মুসলমানদের এই বিশ্বাসের মুল ভিত্তি হচ্ছে কোরআনের বেশ কিছু আয়াত, যেখানে আল্লাহ ঈসা (আঃ) কে বলেছেন কালিমুল্লাহ অর্থাৎ নিদর্শন, তার মাতাও নিদর্শন, আল্লাহ মরিয়মের গর্ভে রুহ ফুকে দিয়েছিলেন, এবং তাকে “কুন” অর্থাৎ “হও” শব্দ দ্বারা তৈরি করেছেন। এখানে আরও বলা হয়ে থাকে যে কোরআনের কোথাও বলা হয়নি যে মরিয়মের কোথাও বিবাহ সম্পর্কিত সম্পর্ক ছিল অর্থাৎ তিনি বিবাহিত ছিলেন অথবা ঈসা (আঃ) এর পিতার কথা কোরআনের কোথাও উল্লেখ করা হয়নি।

আমি ব্যক্তিগতভাবে লক্ষ্য করেছি যে, এই সংক্রান্ত বিষয়ে যখন কোন প্রশ্ন করা হয় তখন কিছু সিলেক্টেড আয়াত প্রমানের স্বপক্ষে বলা হয়। সবগুলি আয়াত এক সাথে বলা হয় না। এই ক্ষেত্রে, খৃষ্টানদের মত আমরাও আমাদের বিশ্বাস কে বিভিন্ন স্কলারদের হাতে ছেড়ে দিয়েছি, স্কলাররা যা বলেন আমরা বিনা বাক্য ব্যয়ে মেনে নিই, কখনো পড়ে দেখিনা অথবা পড়লেও সেই কন্টেক্সট ছাড়া সিলেক্টেড কিছু আয়াত। আমি স্কলার নই, কিন্তু আল্লাহর আয়াত না বুঝার মত গাধাও নই।

মুল সমস্যাঃ
আমার কাছে যেটা মুল সমস্যা মনে হচ্ছে তা হচ্ছে কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় আল্লাহ বলে দিয়েছেন যে আল্লাহর আইন অপরিবর্তনশীল।
This has been Allah’s Sunnat (Law) and there will never be a change in this (10:64,48: 23, 17:77, 35:43)।

আল্লাহ আরও বলেছেনঃ
So set your face to the religion upright. Nature (made by) Allah (upon) which He has created mankind [on it]. No change (should there be) in the creation (of) Allah[ /sb] .That (is) the religion the correct, but most men (do) not know. (৩০:৩০)
(এই আয়াত গুলি মানলে এবং মনে রাখলে আমার মনে হয় আমাদের সমাজে প্রচলিত ৯০% ধর্মীয় কল্প কাহিনী /কু সংস্কার দূর হয়ে যাবে)
এই বিষয়ে একটু পড়ে প্রসঙ্গক্রমে আলোচনা করা হবে।

আমার কথাঃ
(আমার মুল উদ্দেশ্য ছিল খৃস্টানদের ১৮৬২ এবং ১৯৪৫ সালে খুজে পাওয়া (Dead Sea Scroll and scroll in Nag Hamidi )নিয়ে লিখিত বই গুলি এবং “গসপল অব মার্ক” এর বেশ কিছু ভার্স নিয়ে- যেখানে ঈসা (আঃ) এর ক্রুশবিদ্ধ হওয়া এবং স্বর্গারোহণের কথা বলা আছে। যেহেতু মুল scroll গুলি ইন্টারনেটে নাই, এই গুলি পড়া ও সম্ভব না, তাই এই সংক্রান্ত যে বই গুলি লেখা হয়েছে তা পড়া। এই গুলি পড়তে গিয়ে সাথে এই বিষয়েও জানতে পারি এবং পড়ে এই নিয়ে লেখা পড়া করি।)


ঈসা (আঃ) এর পিতা ছিলেন না- এই বিশ্বাসের মুল ভিত্তি যাচাই করতে গেলে কোরআন বর্ণিত এই সম্পর্কিত আয়াত গুলি কে এক করে তার পর দেখতে হবে। শুধু ঈসা (আঃ) এর জন্মই নয়, এর সাথে অন্যান্য জন্ম কাহিনী, মানুষ সৃস্টির কাহিনী এক করে এবং বিভিন্ন শব্দের অর্থ কোরানের প্রেক্ষিতে এনালাইসিস করে তবে একটা পরিষ্কার চিত্র পাওয়া যায়। এটা আমার জন্য অবশ্যই একটা কঠিন কাজ। এই নিয়ে পড়া লেখা করতে গিয়ে যে দেখেছি যে এই বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত প্রচুর আয়াত কোরআনে রয়েছে।

পিতার কথা উল্লেখ না করার অর্থ পিতা ছিল না – এটা কোন যুক্তি নাঃ
উদাহরণ স্বরূপ আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর পিতার কথাও কোরআনে কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। এমনিভাবে অনেক নবীর পিতার কথা কোরআনে উল্লেখ করা হয়নি। যেম নুহ (আঃ), মুসা (আঃ), হারুন (আঃ),দাউদ (আঃ) , যাকারিয়া (আঃ) প্রমুখ। তাদের কি পিতা ছিল না? অবশ্যই ছিল। সুতরাং কোরআনে কোন নবীর পিতার কথা উল্লেখ না করলেই যে ঐ নবীর পিতা ছিলনা এই কথা বলা যাবে না। এইটা সিম্পল যুক্তি।


ঈসা (আঃ) এর পিতার কথা কোরআনে উল্লেখ করা আছেঃ
কোরআনের ৬:৮৪-৮৭ নম্বর আয়াতে ১৮ জন নবীর নাম উল্লেখ করা আছে, যেখানে ৬:৮৫ নম্বর আয়াতে ঈসা (আঃ) এর নাম রয়েছে। এর পর আল্লাহ ৬:৮৭ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে তাদের পিতৃপুরুষ, সন্তান এবং ভাইদেরকে সরল পথে চালিত করেছেন।

And We bestowed to him Ishaq and Yaqub, all We guided. And Nuh, We guided before; and of his descendents, Dawood and Sulaiman and Ayyub and Yusuf and Musa and Harun. And thus We reward the good-doers. And Zechariah and John and Jesus and Elias - and all were of the righteous. And Ishmael and Elisha and Jonah and Lot - and all [of them] We preferred over the worlds. (৬ঃ৮৪-৮৬)

এই ১৮ জন নবীর নাম নেবার পর, তাদের সম্পর্কে এর পরের আয়াতে আল্লহ বলেছেন

আক্ষরিক অনুবাদঃ
And from their fathers and their descendants and their brothers - and We chose them and We guided them to a straight path (৬ঃ৮৭)

Yusuf Ali (Saudi Rev. 1985)
(To them) and to their fathers, and progeny and brethren…

M. M. Pickthall
With some of their forefathers and their offspring and their brethren…

Shakir
And from among their fathers and their descendants and their brethren…

Muhammad Mahmoud Ghali
And of their fathers, and of their off springs, and of their brethren; …

T.B.Irving
We picked out some of their forefathers, their offspring and their brethren,…

এইখানে ক্রিটিক্যাল শব্দটা হচ্ছে “Wamin aba-ihim” । আসুন দেখি, এই শব্দের অর্থ কি। Wa= And/এবং, min= From/হইতে, aba= Father/পিতা (আপনি যেমন বাংলায় আব্বা ডাকেন, উহা সেই একই আব্বা) ihim= Among theirs/তাদের মধ্যে। একসাথে এর অর্থ দ্বারায় And from among their fathers/ এবং তাদের পিতাদের মধ্য হইতে…

এই ৬:৮৭ আয়াত অনুবাদ করতে গিয়ে স্কলাররা বেশ সমস্যায় পরেছেন। তারা তাদের বিশ্বাস কে জাস্টিফাই করার জন্য এই Wamin aba-ihim শব্দটার বিভিন্ন অর্থ করেছেন। যেমন পিকথল এবং ইরভিং এর অর্থ করেছেন some of their forefathers অর্থাৎ তদের কিছু সংখ্যক পিতৃপুরুষদেরকে সিলেক্ট করা হয়েছিল এবং গাইড করা হয়েছিল, যদিও এইখানে বলা হয়নি তাদের কিছু সংখ্যকের পিতা ছিল এবং তাদেরকে গাইড করা হয়েছিল এবং কিছু সংখ্যকের পিতা ছিল না এবং তাদের গাইড করা হয় নি, এবং মুল বাক্যে এই some শব্দটা কোথাও নেই। দয়া করে ৬:৮৭ আবার পড়ুন।

যদি অনুবাদে এই “কিছু সংখ্যক” শব্দটা বসানো হয় তবে প্রশ্ন জাগে যে উল্লেখিত ১৮ জন নবীর মধ্যে কাদেরকে আল্লাহ গাইড করেন নই বা সিলেক্ট করেন নি।

এখন আসি aba শব্দ নিয়ে। এটা আমাদের বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত শব্দ যার অর্থ হচ্ছে পিতা। অনেকে এই “আব্বা” শব্দের অর্থ করেছেন পিতৃপুরুষ (যেমন পিকথল এবং ইরভিং),অর্থাৎ আব্বা শব্দের অর্থ পিতা নয়, বরং পিতৃপুরুষ। মিনিমাম ১০টা অনুবাদে এই অর্থ পাবেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যদি ইসা (আঃ) এর পিতাই না থাকে তা হলে কিভাবে পিতৃপুরুষের প্রশ্ন আসে? অনেক আরও ম্যনিপুলেট করেছেন। এই আব্বা শব্দের অর্থ দ্বারা ancestor, predecessor or progenitor ইত্যাদি অর্থ করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন একই, একজন পুরুষ মানুসের পিতা ছাড়া ancestor, predecessor or progenitor হতে পারেনা।

অনেকেই যুক্তির খাতিরে বলে থাকবেন এই পিতৃপুরুষ বলতে ইসা (আঃ) এর মায়ের দিক থেকে পূর্ব পুরুষ বুঝানো হয়েছে, সেই ক্ষেত্রে আমি বলব এই আয়াতের কন্টেক্সটে এই যুক্তি খাটেনা। তারপরও যদি আর্গুমেন্ট করতে চান, দয়া করে বাকী অংশটুকু পড়ুন।

আল্লাহর আইন অপরিবর্তনশীলঃ
এইখানে একটা বিষয়ে দৃস্টি আকর্ষণ করছি। এই ৬:৮৭ আয়াতে আল্লাহ “ইল্লা ইসা” বা ইসা ব্যাতিত এই ধরনের কোন কথা বলে নাই, অর্থাৎ ইসা (আঃ) যে ব্যতিক্রম এই ধরনের কোন কথা বলা হয় নাই যা কোরআনের বনর্নার একটি বৈশিস্ট। যারা মেজরিটি রুল এপ্লাই করতে চান তাদের জন্য এই কথা বলা। কোরআনে কোন সাধারন বর্ননার বিষয়ে যদি কোন ব্যতিক্রম থাকে তবে তা উল্লেখ করা থাকে। যেমনঃ

১। আল্লাহ নুহ (আঃ) এবং তার পরিবার কে রক্ষা করেছিলেন কিন্তু তার স্ত্রী (৬৬:১০) এবং ছেলে (১০:৪৩) ছাড়া। এই ব্যতিক্রম আল্লাহ বলেছেন।

২। আল্লাহ লুত (আঃ) এবং তার পরিবার বর্গকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন এবং এই ক্ষেত্রেও তার স্ত্রী ব্যতিক্রম ছিলেন এটাও বলা হয়েছে। (৭:৮৩, ১১:৮১, ১৫:৬০, ২৬:১৭১, ২৭:৫৭, ২৯:৩২)

এই ঘটনা গুলি ছিল জীবন সম্পর্কিত সাধারন ঘটনা, এই ক্ষেত্রেও আল্লাহ যেখানে ব্যতিক্রম হয়েছে সেখানে উল্লেখ করেছে। কিন্তু প্রাকৃতিক নিয়মের ব্যাপারে আল্লাহ বলেছেন আল্লাহর আইন অপরিবর্তনশীল।
আল্লাহ বলেছেনঃ
So set your face to the religion upright. Nature (made by) Allah (upon) which He has created mankind [on it]. No change (should there be) in the creation (of) Allah .That (is) the religion the correct, but most men (do) not know. (৩০:৩০)
বোল্ড করা অংশটুকু ভাল করে পড়ুন। এই আয়াত লেখার প্রথম দিকে উল্লেখ করেছি, এখনও করছি। তাহলে প্রাকৃতিক ব্যপারে কোন ব্যতিক্রম হলে অবশ্যই আল্লহ উল্লেখ করতেন। সন্তান জন্ম দেওয়া এবং এর পদ্ধতি প্রাকৃতিক নিয়ম। এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হলে অবশ্যই বলতেন। বরং এর বিপরীত কথাই বলা আছে।

তাহলে কিভাবে আল্লাহর কথা আমরা অস্বীকার করব। এই ৬:৮৭ আয়াত হচ্ছে ইসা (আঃ) এর পিতা থাকার এবং স্বভাবিক জন্মের প্রমান

এইবার দেখি কোরআনের কোন কোন আয়াত দিয়ে ইসা (আঃ) এর পিতা ছাড়া জন্ম এবং মরিয়ম (আঃ) কে কুমারী মাতা বলা হয়ে থাকে। আমরা দেখব, স্কলাররা যে আয়াতের ভিত্তিতে এই ধরনের কথা বলে থাকেন, তার সত্যতা কতটুকু।

ইসা (আঃ) আল্লাহর কালিমাহ (word/বানী)ঃ
কোরআনে বলা হয়েছে ইসা (আঃ) আল্লাহর কালিমাহ অর্থাৎ word/বানী। এই থেকে অনেক স্কলার বলেন যেহেতু আল্লাহ এই শব্দ “কালিমাহ” ব্যবহার করেছেন সেহেতু ইসা (আঃ) এর পিতা ছাড়া জন্ম লাভ করা সম্ভব। তাহলে এই কালিমাহ শব্দ কোন জার্ম সেল অর্থাৎ শুক্রাণু হিসাবে হিসাবে কাজ করতে হবে যা মরিয়মের গর্ভ ধারনের অণুঘটক হিসাবে কাজ করতে হবে।

এই কালিমাহ শব্দের অর্থ "a word", "a decree", "a prophecy", "a command"। ইসা (আঃ) আল্লাহর কালিমাহ হিসাবে জন্ম নিয়েছিলেন অর্থাৎ আল্লাহর কথা, ভবিষ্যৎবাণী পুরন করেছিলেন। এই আয়াত গুলি দেখা যাকঃ

when the angels said, "O Mary, indeed Allah gives you good tidings of a word (কালিমাহ) from Him, whose name will be the Messiah, Jesus, the son of Mary – (৩:৪৫)

…The Messiah, Jesus, the son of Mary, was but a messenger of Allah and His word (কালিমাহ) which He directed to Mary and a soul from Him…. (৪:১৭১)

এই কালিমাহ শব্দ নিয়ে প্রচুর লেখা হয়েছে এবং অনেকেই বলে থাকেন এই “কালিমাহ” শব্দই ইসা (আঃ) এর পিতা ছাড়া জন্ম গ্রহণের প্রমান অর্থাৎ এই শব্দই প্রমান করে মরিয়ম (আঃ) কোন পুরুষ ছাড়াই গর্ভ ধারন করেছিলেন। ঠিক আছে। তাহলে দেখা যাক আল্লাহ ইয়াহিয়া (আঃ) সম্পর্কে কি বলেছিলেন? মজার বিষয় হচ্ছে আল্লাহ কোরআনে ইয়াহিয়া (আঃ) সম্পর্কেও এই একই শব্দ ব্যবহার করেছেন এবং বলেছেন ইয়াহিয়া (আঃ) আল্লাহর কালিমাহ অর্থাৎ শব্দ অথবা বানী। তাহলে এই একই শব্দ কিভাবে ইয়াহিয়া (আঃ) এর ক্ষেত্রে তার মাতার গর্ভ ধারনের কারন হল না? নাকি বলবেন ইয়াহিয়া (আঃ) ও পিতা ছাড়া জন্ম নিয়েছিলেন। আসুন দেখি কোরআন কি বলে। এখানে ইয়াহিয়া (আঃ) এর পিতা জাকারিয়া (আঃ) কে বলা হচ্ছেঃ

Then called him the Angels when he (was) standing - praying in the prayer chamber. "Indeed, Allah gives you glad tidings of Yahya, confirming (of) a Word from Allah and a noble and chaste and a Prophet among the righteous (৩:৩৯)

He said, "My Lord how can (there) be for me a son, and verily has reached me [the] old age and my wife (is) [a] barren?" He said, "Thus; Allah does what He wills." (৩:৪০)

এই ৩:৪০ এ বলা "Thus; Allah does what He wills." পড়ে মনে হতে পারে যে আল্লাহ তাৎক্ষনিক ইয়াহিয়া (আঃ) কে সৃস্টি করে ফেলেছেন।এই ক্ষেত্রে স্কলাররা বিভিন্ন গল্প বের করেছেন। এই স্কলাররা মুসলমানদের এই বলে বোকা বানাতে চায় যে কালিমাহ শব্দ একাই পিতা ছাড়া জন্ম গ্রহণের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু তারা এইখানেই থেমে যান। এর সাথে সম্পর্কিত ২১:৯০ এর কথা তারা বলে না, কারন এই ২১:৯০ এর কথা বললে এই কালিমাহ এর মিরাকল (পিতা ছাড়া জন্ম অর্থে) বলে কিছু থাকে না

So We responded to him, and We bestowed on him Yahya, and We cured for him his wife. (২১:৯০)

সুতরাং বলা যায় যে যদিও ইয়াহিয়া (আঃ) ও আল্লাহর কালিমাহ, তার জন্ম ছিল স্বভাবিক। আল্লাহ জাকারিয়া (আঃ) এর স্ত্রীর বান্ধাত্য দূর করে দিয়েছিলেন এবং তাদের স্বভাবিক দাম্পত্য জীবনের কারনেই ইয়াহিয়া (আঃ) এর জন্ম হয়েছিল। এখানে ইয়াহিয়া (আঃ) এর ক্ষেত্রে কালিমাহ শব্দ যেমন কোন অলৌকিক কিছু বহন করে না অথবা কোন জার্ম সেল অর্থাৎ শুক্রাণু হিসাবেও গর্ভ ধারনের অণুঘটক হিসাবে কাজ করেনি, একই কথা প্রযোজ্য ইসা (আঃ) এর ক্ষেত্রেও।

এই কালিমাহ শব্দ আল্লাহ কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করেছেন। আল্লাহ বলেছেন সমস্ত সৃস্টি তার এই কালিমাহ/ কমান্ড/বানীর বহিঃপ্রকাশ। এই শব্দের ব্যবহারের জন্য দেখতে পারেন ১৮:১০৯, ৩১:২৭, ৬:৩৪, ৬:১১৬, ১০:৬৪, ১৮:২৭ আয়াতে।

ইসা (আঃ) এর সাদৃশ্য আদম (আঃ)মতঃ
সুরা আল ইমরানের ৩:৫৯ নম্বর আয়াত দিয়ে অনেক সময় জাস্টিফাই করার চেষ্টা করা হয় যে ইসা (আঃ) পিতা ছাড়া জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। এই ৩:৫৯ এ বলা আছে ইসা(আঃ) তুলনা হচ্ছে আদম (আঃ) এর মত।যখনই এই তুলনা বা দৃষ্টান্তের কথা বলা হয়েছে তখন স্কলাররা এই দৃষ্টান্তকে ঈসা (আঃ) অলৌকিক জন্মের সাথে রিলেট করার চেষ্টা করেছেন। তারা বলেন যে আদম (আঃ) জন্ম হয়েছে পিতা এবং মাতা ছাড়া, এবং ঈসা (আঃ) এর জন্ম মাতা ছাড়া হয়েছে। এটাই হচ্ছে দুইজনের সাদৃশ্য। ভুল যুক্তি, কিন্তু আপাত দৃষ্টিতে মনে হয় অকাট্য। +

The similitude of Jesus before Allah is as that of Adam; He created him from dust, then said to him: "Be". And he was. (৩:৫৯)
নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট ঈসার দৃষ্টান্ত হচ্ছে আদমেরই মতো। তাকে মাটি দিয়ে তৈরী করেছিলেন এবং তারপর তাকে বলেছিলেন হয়ে যাও, সঙ্গে সঙ্গে হয়ে গেলেন।(৩:৫৯)

(এই সম্পর্কে কিছু বলার আগে একটু ভুমিকা দরকার, তা হচ্ছে এইখানে আদম বলতে প্রথম মানব বোঝানো হয়েছে নাকি প্রথম দিকের মানবজাতিকে বুঝানো হয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক আছে। এই নিয়ে আমি অনেক আগে প্রচুর পড়ালেখা করেছি এবং উভয় পক্ষের বক্তব্য কোরআনের সাথে মিলিয়ে দেখেছি। আমার মন্তব্য হচ্ছে আদম বলতে প্রথম দিকের মানবজাতিকে বুঝানো হয়েছে। যারা আদম বলতে প্রথম মানব মনে করেন তাদের জন্য বলছি, এটা কোরআন দিয়ে প্রতিষ্ঠা করা যায় না, অনেক গোঁজামিল দিতে হয়। আর মনে রাখবেন কোরআনে নবুয়াতের কথা নুহ (আঃ) কে দিয়ে শুরু হয়েছে। এইখানে আমার লেখায় প্রথম মানব বা মানব জাতি যাই ধরি না কেন তাতে ব্যখ্যার কোন পার্থক্য হবে না। যেহেতু বেশিরভাগ মানুষ আদম বলতে প্রথম মানবকেই বুজেন, আমি এটা ধরেই লিখছি )
স্ক্লারদের কথা অনুযায়ী আদম (আঃ) এর সাথে ঈসা (আঃ) এর জন্ম সংক্রান্ত সাদৃশ্য আছে কিনা দেখি।

১। আদমের পিতা এবং মাতা উভয়েই ছিল না, ঈসা (আঃ) এর মাতা ছিল। তাহলে একি রকম হয় কি করে।

২। আদম কে সৃষ্টি করা হয়েছে (he was created), ঈসা (আঃ) জন্ম নিয়েছেন (born )।

৩। ঈসা (আঃ) মায়ের পেটে নিদৃস্ট সময় পর্যন্ত ছিলেন, আদম (আঃ) ছিলেন না

৪। আদম (আঃ) কে তৈরি করা হয়েছিল কাদামাটি (clay) যার আরবী হচ্ছে ত্বিন। (৭ঃ১২, ১৭ঃ৬১, ৩৮:৭১,৭৬)। কিন্তু ঈসা (আঃ) কে তৈরী করা হয়েছে তুরাব বা dust থেকে। তাহলে তাদের মধ্যে জন্ম বিষয়ক কি মিল আছে?

এখানে যে কারো বুঝা উচিত যে তাদের মধ্যে জন্ম সংক্রান্ত কোন মিল নেই।কোরআনের এই আয়াতে তাদের জন্ম সংক্রান্ত কোন মিলের কথা বলাও হয়নি।এইটা স্ক্লারদের ম্যনিপুলেশন ছাড়া আর কিছু না। আয়াতটি আবার পড়ুন। “He created him from dust/ তাকে মাটি দিয়ে তৈরী করেছিলেন”। এখানে বলা হয়েছে him/ তাকে, বলা হয়নি their/তাদের। এইখানে him/ তাকে বলতে ঈসা (আঃ) কেই বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ ঈসা (আঃ) কে dust(তুরাব) থেকে তৈরী করা হয়েছে।


মজার বিষয় হচ্ছে আল্লাহ সব মানুষকেই এই তুরাব বা dust থেকে তৈরী করেছেন। প্রমান দেখতে চাইলে দেখুন ১৮:৩৭, ২২:৫, ৩০:২০, ৩৫:১১, ৪০:৬৭। সুতরাং ঈসা (আঃ) এর সৃস্টি কিভাবে অন্য মানুষ সৃষ্টি থেকে ভিন্ন? কোন উত্তর আছে?
O mankind! If you have a doubt about the Resurrection, then We have created you from dust (turab) ,then out of a sperm, then from leech-like blood-clot (২২:৫)

Among His Signs is this, that He has created you from dust (turab).. (৩০:২০)


It is He Who has created your from dust (turab) , then from sperm-drop, then from an leech-like clot,..(৪০:৬৭)

তাহলে আল্লাহ এই দুইজনের মধ্যে কিসের সাদৃশ্যের কথা বলছেন। আল্লাহ তাদের মধ্যে সাধারন সাদৃশ্যের কথা বলছেন। যেমন তাদের দুইজনেরই সন্তান ছিল, স্ত্রী ছিল, দুইজনই মৃত্যু বরন করেছেন, ইত্যাদি। যারা ঈসা (আঃ) এর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এটা বিশ্বাস করতে চান না তাদের জন্য আমার একটা লেখা আছে, পড়ে দেখতে পারেন। (Click This Link)

আগামী পর্বে সমাপ্য

পরের পর্ব
http://www.somewhereinblog.net/blog/hanifdhaka/30094980

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: অপেক্ষায় থাকলাম।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৫

হানিফঢাকা বলেছেন: Click This Link

২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৮

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ফলো করছি...........

৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৫

আমি মিন্টু বলেছেন: একমিনিট দাঁড়ান ভাই আমার ছোট একটি প্রশ্ন আছে
সুতরাং বলা যায় যে যদিও ইয়াহিয়া (আঃ) ও আল্লাহর কালিমাহ, তার জন্ম ছিল স্বভাবিক। আল্লাহ জাকারিয়া (আঃ) এর স্ত্রীর বান্ধাত্য দূর করে দিয়েছিলেন এবং তাদের স্বভাবিক দাম্পত্য জীবনের কারনেই ইয়াহিয়া (আঃ) এর জন্ম হয়েছিল। এখানে ইয়াহিয়া (আঃ) এর ক্ষেত্রে কালিমাহ শব্দ যেমন কোন অলৌকিক কিছু বহন করে না অথবা কোন জার্ম সেল অর্থাৎ শুক্রাণু হিসাবেও গর্ভ ধারনের অণুঘটক হিসাবে কাজ করেনি, একই কথা প্রযোজ্য ইসা (আঃ) এর ক্ষেত্রেও।

এই কালিমাহ শব্দ আল্লাহ কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করেছেন। আল্লাহ বলেছেন সমস্ত সৃস্টি তার এই কালিমাহ/ কমান্ড/বানীর বহিঃপ্রকাশ। এই শব্দের ব্যবহারের জন্য দেখতে পারেন ১৮:১০৯, ৩১:২৭, ৬:৩৪, ৬:১১৬, ১০:৬৪, ১৮:২৭ আয়াতে।
আপনারও দেখছি স্ক্লার ম্যানদের মত ফাকিবাজির অব্যাস আছে । আপনি কোন জায়গায় সুরার নাম উল্যেখ্য করেন
নাই । মানে কোন সুরার আয়াতগুলো দেখবো সেই সুরার নামগুলো বলুন । :)

৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫১

হ্যাঁ এবং না বলেছেন: চিন্তার খোরাক জোগাবে লেখাটা। অপেক্ষায় থাকলাম।

৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৭

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আমি মিন্টু কে বলছি <

১৮:১০৯, ৩১:২৭, ৬:৩৪, ৬:১১৬, ১০:৬৪, ১৮:২৭ আয়াতের মানে হলো <

১৮ নং সুরার ১০৯ নং আয়াত। ৩১ নং সুরার ২৭ নং আয়াত। ৬ নং সুরার ৩৪ নং আয়াত এভাবে পড়তে হয়

৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৮

আমি মিন্টু বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মেঘনা পাড়ের ছেলে@ ভাইকে বিষয়টি সুন্দর ভাবে বিশ্লেসন করার জন্য । :)

৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০৬

আরব বেদুঈন বলেছেন: রাসূল সঃ বলেছেন হযরত ঈসা আঃ কিয়ামতের আগে অবশ্যই দুনিয়াতে আসবে এবং এটাও বলেছেন যে আল্লাহ তাকে স্বসরিরে উঠিয়ে নিয়েছেন। তাহলে আপনি কি কুরান মুহাম্মাদ সঃ এর থেকে বেশি বুঝেছেন?
এই যে শুধু মাত্র আপনার মত কতিপই কাফেরের জন্য আজ আমাদের মুসলিম সমাজে মুরতাদ বেড়েই চলছে।আমি স্বীকার যে আপনি আনেক সুন্দর করে এই মিথ্যা রটনা করেছেন আপনি স্বিকার করেছেন যে আপনি আরবি বুঝেন না আমিও কিন্তু বুঝি না।কিন্তু আপনি জোর গলাই যে মিথ্যা রটনা করেছেন তা আমি কিভাবে মানব?আপনি তো আরবি পড়াই জানেন না কুরানে বাংলা দেখে কি বোঝাতে চান???
আপনি এটাই বুজাতে চান কুরান মিথ্যা কজ আল্লাহ বলেচেহ কেউ যদি কুরানের একটা আয়াত মিথ্যা প্রমাণ করতে পারে তাহলে পুরো কুরান মিথ্যা।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি বলেছেন "রাসূল সঃ বলেছেন হযরত ঈসা আঃ কিয়ামতের আগে অবশ্যই দুনিয়াতে আসবে এবং এটাও বলেছেন যে আল্লাহ তাকে স্বসরিরে উঠিয়ে নিয়েছেন। তাহলে আপনি কি কুরান মুহাম্মাদ সঃ এর থেকে বেশি বুঝেছেন?"- - এই ধরনের কথা আমি কোরআনের কোথাও পাইনি, বরং এর উলটা কথা আছে। আমার বিশ্বাস করার কোন কারন নেই যে আমাদের নবী কোরআনের বিপরীত কিছু বলেছেন। সুতরাং এই সংক্রান্ত হাদিস গুলি জাল। কোরআন সংক্রান্ত অজ্ঞতা এবং হাদিসের ইতিহাস সম্পর্কে না জানার কারনেই এই কথা বলছেন। হাদিস নিয়ে অনেক কিছু বলতে পারতাম, বললাম না। এই নিয়ে আমার ছোট একটা লেখা আছে সেটা দেখতে পারেন। Click This Link

আপনি আমাকে কাফের বলেছেন কোন ভিত্তিতে? কোরআনের কথা বললে মানুষ কাফের হয়ে যায় এই কথা কোথায় পেয়েছেন? বরং তার বিপরীত মত ই কি সঠিক নয়?

আপনি বলেছেন, আমি সুন্দর করে মিথ্যা রচনা করেছি। ঠিক আছে। আপনি মিথ্যা ধরতে পেরেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ। আপনাকে শুধু একটা প্রশ্ন করি, আমার লেখায় আমি কোন জায়গায় মিথ্যা কথা বলেছি দেখান। আপনার বিশ্বাসের বিপরীত কিছু হলেই সেটা মিথ্যা হয়ে যায় না। এর জন্য প্রমান লাগে। আপনার কাছে প্রমান চাইছি। ধন্যবাদ।

৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১১

সজিব্90 বলেছেন: আপাতত প্রিয়তে রাখলাম ।

৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪৩

কামরুল হাসান বলেছেন: Very bad. There have a lot of hidden verses. In the holy Quran Allah definately clear it that Isa is one of his miracle.In a verse jibrile said Morium that she concept a holy baby, at that time Morium said that how is it possible because no man didn’t touch her yet. In the holy quran many verses allah said it by another way.In the holy hadith Mohammed(s) said it many times.
Brother,
Please doesn’t express lie. But research is very god job. Without proper research doesn’t take any decision.

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০১

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। কোরআনে কোন হিডেন ভার্স নেই। যাই হোক। আপনার কথা মতে, ধরেন আমি কোন ডিসিশন বা উপসংহার টানলাম না। নিরপেক্ষ ভাবে -এখানে আমি কিছু যুক্তি দিয়েছি, পরের পর্বে আরও কিছু যুক্তি দিব। এখন আপনার উচিত এর বিপরীত যুক্তি দেওয়া অথবা এই যুক্তি খন্ডন করা। তাহলে আমরা আলোচনার মধ্যে একটা সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারব।

সুতরাং আমি এইখানে যা বলেছি যদি কোন কিছু ভুল বলে থাকি তাহলে আমি তা মানতে প্রস্তুত। ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১৯

বাংলার পুলা বলেছেন: কোরআনের ব্যাখ্যা ইংরেজি, বাংলা থেকে নয়। এর মূল ভাষা আরবি থেকে না করলে এটার গ্রহণযোগ্য নয়।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৩

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি বোধহয় বুঝতে একটু ভুল করেছেন। আমি এটার মুল ভাসাআরবী থেকেই এর অনুবাদ নিয়েছি।

১১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১০

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: @হানিফ ঢাকা:
এর আগেও আপনি ইসলামের কিছু বিষয় যা মুসলমানদের মধ্যে প্রচলিত তা নিয়ে ভিন্ন মত দিয়েছেন,এবং ব্লগাররা আপনার যুক্তির বিরুদ্ধে যুক্তি দিলেও আপনি সেটা মানতে চান নি।

আবারও আপনি একটি খুবই প্রচলিত বিশ্বাস সম্পর্কে ভিন্নমত প্রকাশ করলেন এবং ব্লগে সেটা পাবলিশ করলেন। আপনার গবেষণার ব্যাপারটা খুবই অভিনন্দনযোগ্য এবং আপনার সত্য জানার ইচ্ছা প্রশংসা যোগ্য।

কিন্তু এইসব প্রচলিত বিশ্বাস যা মুসলমানদের মধ্যে প্রায় সবাই মেনে নিয়েছেন তা আপনি ভুল প্রমাণ করার জন্য ব্লগ মাধ্যমকে কেন বেছে নিলেন তা আমার বোধগম্য নয়। আপনার এটা অজানা নয় যে এখানে ব্লগারদের ইসলামিক নলেজ ভাসা ভাসা(অধিকাংশের) এবং তারা কেউ এসব নিয়ে গবেষণা করেনি।
এই ধরনের লেখা কেবল ব্লগারদের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াবে আর আপনি কিছু গালি খাবেন।

আমার বিশ্বাস আপনি সত্যি সত্যিই ইসলামের মধ্যে প্রচলিত ভুল ত্রুটি গুলো দূর করতে আন্তরিক ; সেক্ষেত্রে আপনি আপনার গবেষণা লন্ধ ধারণা এবং প্রমাণ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার গুলোতে পাঠিয়ে এসব গবাষণা নিয়ে আরো এগিয়ে যেতে পারেন বলে আমার বিশ্বাস। আপনার লেখা পড়ে মনে হয় আপনি বেশির ভাগ ইসলামিক স্কলারকেই প্রশ্নবিদ্ধ ভাবেন; সেক্ষেত্রে আপনি আপনার পছন্দমত(যে রিসার্চ সেন্টার/ইসলামিক ইউনিভার্সিটি কে আপনার যোগ্য মনে হয়) পৃথিবীর যেকোন স্কলার বা ইউনিভার্সিটিতে পাঠাতে পারেন,তাদের সাথে কথা বলতে পারেন। এতে ইসলামেরই লাভ হবে ,আপনার গবেষণাও প্রতিষ্ঠা পাবে বলে আমার বিশ্বাস।

আর যদি আপনি মনে করেন পৃথিবিতে শুধুমাত্র আপনিই সত্যিটা ধরতে পেরেছেন বাকিরা অন্ধ অনুসরন করেছে কেবল, তাহলে আপনার উদ্দেশ্য ব্লাগাররা ঠিকই বুঝে নিবে।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৪

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি বলেছেন "আর যদি আপনি মনে করেন পৃথিবিতে শুধুমাত্র আপনিই সত্যিটা ধরতে পেরেছেন বাকিরা অন্ধ অনুসরন করেছে কেবল"- আপনার জ্ঞাতার্থে বলছি এইটা আপনার ভুল ধারনা। ইসলামের বিভিন্ন দিক নিয়ে অনেক গবেষণা লব্দ বই, আর্টিকেল আছে। এইগুলি সম্পর্কে না জানার কারনেই আপনি এই কথা বলেছেন। ভুল বিশ্বাস নিয়ে প্রচুর বই এবং আর্টিকেল আছে যা পড়লে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। এই গুলি না পড়ার কারনেই আপনি এই ধরনের কথা বলছেন, এতে আপনার খুব একটা দোষ নেই।

সমস্যা হল এই ধরনের বই গুলি বাংলায় পাওয়া যায় না। কেউ বাংলায় অনুবাদ করতেও চায়না। এর কারন হচ্ছে এই অন্ধ অনুসরণ। একটা উদাহরণ দেই।

আব্দুল মালেক- একজন স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক স্কলার যে কিনা বাংলাদেশী। সে একটা বই লিখেছে " এ স্টাডি অফ কোরআন"- খুবই তথ্যবহুল। কিন্তু এই বইয়ের বাংলা অনুবাদ সে বের করে নাই, কারন একটাই , যেটা আমি ব্লগে ফেস করতেছি, একি কারন। অনলাইনে ফ্রি পাওয়া যায়। একটু পড়ে দেখুন।

সত্য অনেক আগে থেকেই প্রকাশিত। সেটার একসেস খুব কম।

১২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৫

তট রেখা বলেছেন: কুরান সালফে সালেহীন যে ভাবে বুঝেছেন, সেভাবে না ভেবে, যে নিজের মত বুঝতে চাইবে, সেই পথ ভ্রষ্ট হবে। আল্লাহর কাছে গোমরাহী থেকে আশ্রয় চাইছি।

নাউজবিল্লাহ।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৩

হানিফঢাকা বলেছেন: আব্বাসীয় যুগে এই কথা বলে সকল কোরআন সংক্রান্ত সকল ধরনের গবেষণার পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই ধারনা থেকে এখনো বের হতে পারেন নি।

১৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩

কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: ভালো পোস্ট। কারো কারো অবশ্য বুঝে কিংবা না বুঝেও নাউজুবিল্লাহ নাউজুবিল্লাহ বলা শুরু হয়ে যায়। যে যেইভাবে শান্তি পায় আরকি

১৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১

পিচ্চি হুজুর বলেছেন: And [mention] the one who guarded her chastity, so We blew into her [garment] through Our angel [Gabriel], and We made her and her son a sign for the worlds. [২১:৯১]
এইটা সুরা আম্বিয়ার আয়াত। কেউ যদি এখন কোরআন এর আয়াত কে অস্বীকার করে তাহলে সে আসলে আকীদাগত ভাবে মুসলিম থাকে কিনা এইটা বুঝার জন্য পি এইচ ডি করা লাগে না।
যারা কোরআন মানেই না তারা নানা কথা বলবেই। ঈসা (আ) এর জন্ম এর ব্যাপারে আল্লাহ স্পষ্টত এবং এক্সপ্লিসিটলি কোরআন এ বলছে। পুরা দুনিয়া এক হয়ে এইটার বিপক্ষে বললেও একজন মুসলিম হিসেবে যেইটা কোরআন এ বলা আছে সেইটা মানতে হবে। এতে কারো খারাপ লাগলে কিছু করার নাই। আর এতে মুসলমানদের ধর্মান্ধ কুপমন্ডূক গালি দিলেও কিছু করার নাই। যেইটা ফ্যাক্ট সেইটা ফ্যাক্ট।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৬

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমার পরের পর্বের বেশিরভাগ অংশ এই আয়াত নিয়ে। আশা করি বুজতে পারবেন। ধন্যবাদ।

১৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৬

কামরুল হাসান বলেছেন: ভাই,
আমি কোরআনে কোন হিডেন আয়াতের কথা বলিনি । আমি বলেছি আপনি অনেক জিনিস হিডেন করেছেন ।আমার হয়তো কোরআন নিয়ে এত গবেষণা নেই।কিন্তু কোরআন গবেষনার একটি মূলনীতি আছে। তা আল্লাহ কোরআনে বলে দিয়েছেন,কোরআনে যে আয়াত গুলো সুস্পষ্ঠ সেগুলোর সরল অর্থ গ্রহণ করার জন্য বলেছেন আর যেগুলো রূপকধর্মী এবং চিন্তার উদ্রেক করে সেগুলো নিয়ে গবেষনার জন্য বলেছেন। তবে কখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যাবেননা। তবে ইজতিহাদের মতো তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে কখনও অকাট্য বলবেন না ।ভাই বিজ্ঞানীরাও তাদের প্রমাণিত থিয়োরিগুলোকে এখন আর অকাট্য বলছেন না।
ভাই আমরা খুবই ছোট একটা জগতের বাসিন্দা ।এই বিশাল জগতে আরো অনেক জগৎ আছে। সে সব জগতেও আল্লাহর আদেশ অবতীর্ন হয় । তাহলে আমরা আ্ল্লাহর আইনের কতোটুকু জানি। আল্লাহর আইন অপরিবর্তনীয় ।এক্ষেত্রেও আপনি সঠিক নির্দেশনা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই আয়াত দ্বারা তিনি এই নির্দেশ দিয়েছেন,আমাদের দুনিয়ার নিজেদের গড়া সংবিধান যেভাবে পরিবর্তন করি কোরআনের বিধান সেভাবে পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫০

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার বক্তব্য পরিষ্কার করার জন্য। আপনার কথা অনুযায়ী আমি অনেক জিনিষ হিডেন করেছি। আমার উত্তর হচ্ছে, শিরোনামে দেখবেন এটা প্রথম পর্ব। এতটুকু পরে আপনার মনে হতে পারে আমি কিছু জিনিষ হিডেন করেছি। আমার মনে হয় ের পরের পর্ব পড়লে আপনার কাছে আরও পরিষ্কার হবে। এর পরের পর্ব দেওয়ার পর অর্থাৎ সম্পূর্ণ লেখা দেওয়ার পর যদি আপনার অব্জেকশন একি থাকে সেক্ষেত্রে আমি আপনার কাছে জানতে চাইব স্পেসিফিক্যলি কি হিডেন করেছি। সুতরাং, আমার মনে হয় একটু অপেক্ষা করুন, উত্তর পেয়ে যাবেন।

আপনি কোরআনের ৩ঃ৭ এর কথা বলেছেন। আমি আপনার মত এটা বিশ্বাস করি এবং সেভাবেই চিন্তা করি।

আপনি বলেছেন " আল্লাহর আইন অপরিবর্তনীয় ।এক্ষেত্রেও আপনি সঠিক নির্দেশনা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই আয়াত দ্বারা তিনি এই নির্দেশ দিয়েছেন,আমাদের দুনিয়ার নিজেদের গড়া সংবিধান যেভাবে পরিবর্তন করি কোরআনের বিধান সেভাবে পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই।"- আপনি ঠিকই বলেছেন। এখন আপনাকে একটা প্রশ্ন করি, যেহেতু আল্লাহর বিধান অপরিবর্তনীয়, আল্লাহ যেখানে মানুষ সৃস্টী/জন্মের বিধান কোরআনে লিখে দিয়েছেন, সেটা পরিবর্তনের কোন সুযোগ আছে কি?

১৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৯

আম্মানসুরা বলেছেন: চিন্তা জাগানিয়া পোস্ট

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২২

হানিফঢাকা বলেছেন: দয়া করে পরের পোস্ট টাও পড়বেন। তাহলে চিন্তার আরও খোরাক পাবেন। ধন্যবাদ।

১৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৩

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ مَرْيَمَ إِذِ انتَبَذَتْ مِنْ أَهْلِهَا مَكَانًا شَرْقِيًّا
16

এই কিতাবে মারইয়ামের কথা বর্ণনা করুন, যখন সে তার পরিবারের লোকজন থেকে পৃথক হয়ে পূর্বদিকে এক স্থানে আশ্রয় নিল।

فَاتَّخَذَتْ مِن دُونِهِمْ حِجَابًا فَأَرْسَلْنَا إِلَيْهَا رُوحَنَا فَتَمَثَّلَ لَهَا بَشَرًا سَوِيًّا
17

অতঃপর তাদের থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্যে সে পর্দা করলো। অতঃপর আমি তার কাছে আমার রূহ প্রেরণ করলাম, সে তার নিকট পুর্ণ মানবাকৃতিতে আত্নপ্রকাশ করল।

قَالَتْ إِنِّي أَعُوذُ بِالرَّحْمَن مِنكَ إِن كُنتَ تَقِيًّا
18

মারইয়াম বললঃ আমি তোমা থেকে দয়াময়ের আশ্রয় প্রার্থনা করি যদি তুমি আল্লাহভীরু হও।

قَالَ إِنَّمَا أَنَا رَسُولُ رَبِّكِ لِأَهَبَ لَكِ غُلَامًا زَكِيًّا
19

সে বললঃ আমি তো শুধু তোমার পালনকর্তা প্রেরিত, যাতে তোমাকে এক পবিত্র পুত্র দান করে যাব।

قَالَتْ أَنَّى يَكُونُ لِي غُلَامٌ وَلَمْ يَمْسَسْنِي بَشَرٌ وَلَمْ أَكُ بَغِيًّا
20

মরিইয়াম বললঃ কিরূপে আমার পুত্র হবে, যখন কোন মানব আমাকে স্পর্শ করেনি এবং আমি ব্যভিচারিণীও কখনও ছিলাম না ?

قَالَ كَذَلِكِ قَالَ رَبُّكِ هُوَ عَلَيَّ هَيِّنٌ وَلِنَجْعَلَهُ آيَةً لِلنَّاسِ وَرَحْمَةً مِّنَّا وَكَانَ أَمْرًا مَّقْضِيًّا
21

সে বললঃ এমনিতেই হবে। তোমার পালনকর্তা বলেছেন, এটা আমার জন্যে সহজ সাধ্য এবং আমি তাকে মানুষের জন্যে একটি নিদর্শন ও আমার পক্ষ থেকে অনুগ্রহ স্বরূপ করতে চাই। এটা তো এক স্থিরীকৃত ব্যাপার।

একটু খেয়াল করে দেখুন।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৬

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার লেখার জন্য। কষ্ট করে আয়াত গুলি এখানে দিয়েছেন, রেফারেন্স দিলেই হত। এই আয়াত গুলির কোরআনের প্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা পরবর্তী পোস্টে আসবে ইনশাল্লাহ। তখন যদি আপনার বলার কিছু থাকে অবশ্যই বলবেন।

আরেকটা কথা ৬:৮৭ নিয়ে আপনার মন্তব্য কি?

ধন্যবাদ।

১৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৩

নতুন বলেছেন: ঈসা আ: এর পিতা আছে এবং তার জন্ম স্বাভাবিক ভাবেই হয়েছে এটা মেনে নিতে সবার সমস্যা হচ্ছে....

কিন্তু পিতা ছাড়া জন্মযে কতটা অস্বাভাবিক সেটা চিন্তা করে না। সেটা নিয়ে একটা পোস্ট করেছিলাম...সেখানে আপনি এই পোস্টের বিষয়ে ঈঙ্গিত দিয়েছিলেন... এটার পুরা ব্যাক্ষার জন্য অপেক্ষা করছিলাম... ধন্যবাদ..

সত্য চিনে নেওয়া কত কস্টকর সেটা সবাই বোঝে না... সাধারন মানুষ বাজারে সেই কাহিনি চলছে তাই সত্য হিসেবে মেনে নেয়।

বাজারে সৃস্টি, আদম আ: নুহ আ:, মুসা আ: সম্পকে যেই সব কাহিনি বিশ্বাস করে সেটার ৯০% হলো বাইবেল,ওল্ড/নিউ টেস্টিমেন্টের ভাসা`ন।

আরেকটা বিষয় সেটা হইলো মানুষ সবাই মন্তব্যে যুক্তি দিয়েছে যে আপনি ভুল হতে পারেন কিন্তু তার পেছনে কি কোরানের আয়াতের রেফারেন্স দিয়েছে?

প্রচলিত আরেকটা কাহিনিতে বলে যে ঈসা আ: ক্রুসে মারা যাননি এবং তিনি ভারতের কাশ্মীরে এসেছিলেন এবং সেখানে মারা জান এবং তার একটা মাজারও আছে...সেটা নিয়ে একটা ব্লগ লিখেছিলাম...


উপরে বলেছিলেন যে এইগুলি নেটে নাই তাই খুজে দেখলাম... আপনার জন্য লিংক..
Click This Link ডেডসি স্ক্রোলের ওয়েব সাইট...

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩১

হানিফঢাকা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সত্য মেনে নেওয়া আসলেও খুব কষ্টকর।

প্রচলিত কাহিনী যেটা বলে ঈসা (আঃ) কাশ্মীরে এসেছিলেন সেটা ফেব্রিকেটেড। যতটুকু মনে পরে এর জন্য সম্ভবত কোন বৌদ্ধ সাধুর রেফারেন্স দেওয়া হয়েছিল। ঐ রেফারেন্সটা ফেব্রিকেটেড।

আপনার লিঙ্কের জন্য ধন্যবাদ।

১৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৮

নেবুলাস বলেছেন: ১৯:১৬ এই কিতাবে মারইয়ামের কথা বর্ণনা করুন, যখন সে তার পরিবারের লোকজন থেকে পৃথক হয়ে পূর্বদিকে এক স্থানে আশ্রয় নিল।

১৯:১৭ অতঃপর তাদের থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্যে সে পর্দা করলো। অতঃপর আমি তার কাছে আমার রূহ প্রেরণ করলাম, সে তার নিকট পুর্ণ মানবাকৃতিতে আত্নপ্রকাশ করল।

১৯:১৮ মারইয়াম বললঃ আমি তোমা থেকে দয়াময়ের আশ্রয় প্রার্থনা করি যদি তুমি আল্লাহভীরু হও।

১৯:১৯ সে বললঃ আমি তো শুধু তোমার পালনকর্তা প্রেরিত, যাতে তোমাকে এক পবিত্র পুত্র দান করে যাব।

১৯:২০ মরিইয়াম বললঃ কিরূপে আমার পুত্র হবে, যখন কোন মানব আমাকে স্পর্শ করেনি এবং আমি ব্যভিচারিণীও কখনও ছিলাম না ?

১৯:২১ সে বললঃ এমনিতেই হবে। তোমার পালনকর্তা বলেছেন, এটা আমার জন্যে সহজ সাধ্য এবং আমি তাকে মানুষের জন্যে একটি নিদর্শন ও আমার পক্ষ থেকে অনুগ্রহ স্বরূপ করতে চাই। এটা তো এক স্থিরীকৃত ব্যাপার।

১৯:২২ অতঃপর তিনি গর্ভে সন্তান ধারণ করলেন এবং তৎসহ এক দূরবর্তী স্থানে চলে গেলেন।

১৯:২৩ প্রসব বেদনা তাঁকে এক খেজুর বৃক্ষ-মূলে আশ্রয় নিতে বাধ্য করল। তিনি বললেনঃ হায়, আমি যদি কোনরূপে এর পূর্বে মরে যেতাম এবং মানুষের স্মৃতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে, যেতাম!

১৯:২৪ অতঃপর ফেরেশতা তাকে নিম্নদিক থেকে আওয়ায দিলেন যে, তুমি দুঃখ করো না। তোমার পালনকর্তা তোমার পায়ের তলায় একটি নহর জারি করেছেন।

১৯:২৫ আর তুমি নিজের দিকে খেজুর গাছের কান্ডে নাড়া দাও, তা থেকে তোমার উপর সুপক্ক খেজুর পতিত হবে।

১৯:২৬ যখন আহার কর, পান কর এবং চক্ষু শীতল কর। যদি মানুষের মধ্যে কাউকে তুমি দেখ, তবে বলে দিওঃ আমি আল্লাহর উদ্দেশে রোযা মানত করছি। সুতরাং আজ আমি কিছুতেই কোন মানুষের সাথে কথা বলব না।

১৯:২৭ অতঃপর তিনি সন্তানকে নিয়ে তার সম্প্রদায়ের কাছে উপস্থিত হলেন। তারা বললঃ হে মারইয়াম, তুমি একটি অঘটন ঘটিয়ে বসেছ।

১৯:২৮ হে হারূণ-ভাগিনী, তোমার পিতা অসৎ ব্যক্তি ছিলেন না এবং তোমার মাতাও ছিল না ব্যভিচারিনী।

১৯:২৯ অতঃপর তিনি হাতে সন্তানের দিকে ইঙ্গিত করলেন। তারা বললঃ যে কোলের শিশু তার সাথে আমরা কেমন করে কথা বলব?

১৯:৩০ সন্তান বললঃ আমি তো আল্লাহর দাস। তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন এবং আমাকে নবী করেছেন।

১৯:৩১ আমি যেখানেই থাকি, তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন। তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, যতদিন জীবিত থাকি, ততদিন নামায ও যাকাত আদায় করতে।

১৯:৩২ এবং জননীর অনুগত থাকতে এবং আমাকে তিনি উদ্ধত ও হতভাগ্য করেননি।

১৯:৩৩ আমার প্রতি সালাম যেদিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি, যেদিন মৃত্যুবরণ করব এবং যেদিন পুনরুজ্জীবিত হয়ে উত্থিত হব।

১৯:৩৪ এই মারইয়ামের পুত্র ঈসা। সত্যকথা, যে সম্পর্কে লোকেরা বিতর্ক করে।

১৯:৩৫ আল্লাহ এমন নন যে, সন্তান গ্রহণ করবেন, তিনি পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, তিনি যখন কোন কাজ করা সিদ্ধান্ত করেন, তখন একথাই বলেনঃ হও এবং তা হয়ে যায়।

১৯:৩৬ তিনি আরও বললেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ আমার পালনকর্তা ও তোমাদের পালনকর্তা। অতএব, তোমরা তার এবাদত কর। এটা সরল পথ।

১৯:৩৭ অতঃপর তাদের মধ্যে দলগুলো পৃথক পৃথক পথ অবলম্বন করল। সুতরাং মহাদিবস আগমনকালে কাফেরদের জন্যে ধবংস।

১৯:৩৮ সেদিন তারা কি চমৎকার শুনবে এবং দেখবে, যেদিন তারা আমার কাছে আগমন করবে। কিন্তু আজ জালেমরা প্রকাশ্য বিভ্রান্তিতে রয়েছে।

১৯:৩৯ আপনি তাদেরকে পরিতাপের দিবস সম্পর্কে হুশিয়ার করে দিন যখন সব ব্যাপারের মীমাংসা হয়ে যাবে। এখন তারা অনবধানতায় আছে এবং তারা বিশ্বাস স্থাপন করছে না।

১৯:৪০ আমিই চুড়ান্ত মালিকানার অধিকারী হব পৃথিবীর এবং তার উপর যারা আছে তাদের এবং আমারই কাছে তারা প্রত্যাবর্তিত হবে।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৩

হানিফঢাকা বলেছেন: ভাই আপনার কি মনে হয় না এই আয়াত গুলি আমি জানি? এত কষ্ট করে ইএ আয়াত গুলি না দিয়ে কোন আয়াতে পিতা ছাড়া জন্মের কথা বলা হয়েছে তা একটু কষ্ট করে বললেই হত। তাহলে আপনার যুক্তিটা বুঝতে পারতাম। যাই হোক আপনি ১৯ঃ২১ বোল্ড করে দিয়েছেন, হয়ত এই আয়াত কে রেফারেন্স হিসাবে বলতে চাচ্ছেন। ঠিক আছে। এর ব্যখাা অবশ্যয় আমি আমার পরের পোস্টে দিব। সেখানে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে আপনি করবেন। কিন্তু এখানে আমি যে ৬:৮৭ উল্লেখ করেছি এর কি ব্যখা আছে আপনার কাছে? নাকি আপনি ৬:৮৭ বিশ্বাস করেন না। আর জানেনই ত কোরআনের কোন আয়াত একটা আরেক্টার সাথে কন্ট্রাডিক্ট করে না। সুতরাং আপনি যে ১৯ঃ২১ এর কথা বলছেন তা ৬:৮৭ এর সাথে কন্ট্রাডিক্ট করেনা।

এই ১৯ঃ২১ বুঝতে হলে আপনাকে কোরআনের প্রেখিতেই বুঝতে হবে। ধন্যবাদ।

২০| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১২

নেবুলাস বলেছেন: আমরা মুসলিমরা কোরআন ১০০% বিশ্বাস করি। ভাই কোরআনে ঈসা (আঃ) এর কথা আসছে বলে আমরা ওনাকে চিনতে পেরেছি। কোরআনে না আসলে আমরা চিনতাম না/বিশ্বাস করতাম না।

আর আমরাতো মুসলিমরা অদেখায় বিশ্বাস করি। যেমন আল্লাহ, জান্নাত, জাহান্নাম, ফেরেস্তা, অাখিরাত।

আল্লাহতো এটারই পরীক্ষা নিচ্ছেন। একবার ভাবুনতো আপনি যদি এর কোন একটা সামনাসামনি দেখতেন তাহলে আপনিও বিশ্বাস করতেন। কিন্তু তাহলে সেটাতো আর পরীক্ষা থাকলো না।

আমরা মুসলিমরা পরিপূর্ণভাবে আমাদের দ্বীনকে পেয়েছি। আবু জেহেলরা, মক্কার কাফের, মুশরিকরা ইসলামের অনেক দিক নিয়া প্রশ্ন তুলেছে। তারা তার উত্তরও পেয়েছে, কিন্তু কই তারা তো ঈমান আনেনি।

আপনি ইসলামের বিষয় ছাড়া অন্য কিছু নিয়া যুক্তি তর্ক করেন। মার্কেট পাবেন।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৭

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ। মার্কেট পাবার জন্য আমি লিখিনা।

২১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৩৩

কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার পোস্ট অপেক্ষার পালা শুরু হল।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৭

হানিফঢাকা বলেছেন: Click This Link

২২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩১

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: ৬:৮৭ নিয়ে আপনি বিভ্রান্ত হয়েছেন। এখানে আরবী ভাষার বর্ণনা ভঙ্গির একটা কানুন কাজ করেছে। 'কতকের' পিতৃপুরুষের কথা বলা আছে। দীর্ঘ আলোচনা। যেহেতু আগে আরোও অনেক নবীর নাম আছে তাই, সেখানে ঈসাকে 'ইসাতেসনা'/বাদ দিয়ে বলার বলার দরকার হয়নি। কারণ অন্যত্র আল্লাহ ঈসার পিতাহীন জন্মের কথা বলেছেন।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪২

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনি বলেছেন "'কতকের' পিতৃপুরুষের কথা বলা আছে। "- মুল আরবী ভাষায় এই "কতক" শব্দটা নাই। এটা অনুবাদক নিজে ইচ্ছা করে ঢুকিয়েছেন। বিশ্বাস না হলে নিজে চেক করে দেখুন। এটা করা হয়েছে আপনার বিশ্বাস কে জাস্টিফাই করার জন্য।

তার পরেও যদি কতক বলে থাকেন , তবে সমস্যা আরও বাড়ে। তাহলে কি বলতে চাচ্ছেন.

১। কতকের পিতা ছিল এবং তাদের কে গাইড করা হয়েছিল এবং কতকের পিতা ছিলনা, এবং তাদের কে গাইড করা হয়নি? যদি তাই হয় তবে আর কার কার পিতা ছিল না এবং কাদের কে গাইড করা হয়নি?

২। কতকের পিতাদেরকে গাইড করা হয়েছে। তাহলে আর কার কার পিতাদেরকে গাইড করা হয়নি?

মুল অর্থ বিকৃতি করে গোঁজামিল দিয়া আর কত চালাবেন?

আপনি আরও বলেছেন "কারণ অন্যত্র আল্লাহ ঈসার পিতাহীন জন্মের কথা বলেছেন। "- কোথায় এই কথা আছে একটু ডয়া করে বলবেন কি?

২৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

কামরুল হাসান বলেছেন: ভাই,
আপনাকে যুক্তি দেওয়াটাই বোকামী হয়েছে। সত্য মোটেই আপনার লক্ষ্য নয়। বিভ্রান্তি ছড়ানো আপনার উদ্দেশ্য। কোরআনে পরিস্কার তার জন্ম বৃত্তান্ত দিয়েছে, ইসাকে বার বার মরিয়ম তনয়া বলে সম্বোধন করেছেন। এই সব বাদ দিয়ে আপনি রেফারেন্স টেনেছেন ৬ঃ৮৭। সেখানে উল্লেখিত নবীদের রেফারেন্স টেনে বলা হয়েছে তাদের কিছু সংখ্যক (কোন কোন অনুবাদক কতক শব্দটি ব্যবহর করেছেন) পিতৃবংশ,সন্তান,ভাইদেরকে সরল পথ দেখিয়েছেন। এর অর্থ সরল ভাবে বের করা যায়। এখানে উল্লেখিত নবীদের সবার কথা বলা হয়নি তা সু্ষ্পস্ট।ভাই, সত্যিই আল্লাহ বিধান নিয়ে গভেষণা করতে চান, তবে সবার আগে যিনি বিধান দিয়েছেন তাকে জানার চেষ্টা করুন।কারন মহাবিশ্বে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল পদার্থের ভিতরের সিস্টেমই এই মহাবি্শ্বের চালিকা শক্তি। স্ট্রিং থিয়োরী,কোয়ান্টাম মেকানিক্স ,ব্ল্যাকহোল সহ মহবিশ্ব সম্পর্কে আরো অনেক চমকপদ তথ্য তাদের ধারনা বদলে দিয়েছে। তারা বলতে শুরু করেছে পদার্থের অন্তর্নিহিত শক্তি নয় বরং কোন এক অদৃৃশ্য নিয়ন্ত্রক এসব বিধান নির্ধারণ করছেন।আল্লাহ এই জিনিসটাই বারবার মানুষের সামনে দাঁড় করিয়েছেন। ইসা তার সেই যা ইচছা তা করার একটি নিদর্শন।তারপরও তিনি আরো সরলভাবে বুঝানোর জন্য আদমের দৃস্টান্ত টানলেন যে আদমকে যদি পিতামাতা ছাড়া তৈরি করতে পারেন, সেখানে ইসার ক্ষেত্রে তা তো আরো সহজ। তাই বলে ,আল্লাহ স্বেচছাচারী এই অভিযোগ আনবেন না। কারন তিনি নিজের উপর কতগুলো গুণ আরোপ করেছেন।এই জন্য তিনি অন্য জায়গায় বলেছেন, পূর্বে যদি কিতাবে উল্লেখ না থাকত তাহলে পৃথিবীতে কত কি ঘটে যেত। তবে তিনি যা ইচছা তা করতে পারেন ইসার জন্ম তার একটা দৃষ্টান্ত মাত্র।ভাই,যার বিধান নিয়ে লিখছেন তার সম্বন্ধে আরো গভীর ভাবে জানুন।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৬

হানিফঢাকা বলেছেন: আমি আপনার সমস্যাটা বুঝতে পারছিনা। আপনি বার বার ৬:৮৭ তে কতক, কিছু সংখ্যক এই শব্দ গুলি ব্যবহার করতে চাচ্ছেন, এই বিষয়ে আমি মুল লেখাতেই বলেছি যে এটা অনুবাদক ইচ্ছাকৃত ভাবে এই শব্দটা ঢুকিয়েছে তার বিশ্বাস কে যাস্টিফাই করার জন্য। মুল আয়াতে এই শব্দ নাই। এই সিম্পল কথাটা কেন বুঝতে পারছেন না বা বুঝতে চাইছেন না। আপনার জন্য ৬:৮৭ এর আরবী অক্ষর টু অক্ষর অনুবাদ দিলাম। দেখেন কোথায় এই কিছুসংখ্যক শব্দটা আছে।

(6:87:1)
wamin
And from

(6:87:2)
ābāihim
their fathers

(6:87:3)
wadhurriyyātihim
and their descendents

(6:87:4)
wa-ikh'wānihim
and their brothers –

(6:87:5)
wa-ij'tabaynāhum
and We chose them

(6:87:6)
wahadaynāhum
and We guided them

(6:87:7)
ilā
to

(6:87:8)
ṣirāṭin
a path,

(6:87:9)
mus'taqīmin
straight.

এর পরেও আপনি বিশ্বাস করতে পারছেন না? জোর করে কতক, কিছুসংখ্যক, some of এই রকম শব্দ ঢুকাবেন এবং বলবেন যে ইসা (আঃ) এই লিস্টের মধ্যে পরে না।
আপনার বিশ্বাস আপনার কাছে আমার বিশ্বাস আমার কাছে।
ধন্যবাদ।


২৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:২১

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.