নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফানডামেনটাল

;

হানিফঢাকা

So peace is on me the day I was born, the day that I die, and the day that I shall be raised up to life (again) (১৯:৩৩)

হানিফঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈসা (আঃ) এর প্রকৃত জন্ম রহস্য- এবং আমাদের ভুল ধারনা। (পর্ব-২)

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫২

প্রথম পর্বের লিঙ্কঃ Click This Link


“কুন” শব্দের মাধ্যমে ঈসা (আঃ) কে সৃস্টি করা হয়েছেঃ
বলা হয়ে থাকে “কুন” শব্দের মাধ্যমে আল্লাহ অলৌকিক উপায়ে ঈসা (আঃ) কে সৃস্টি করেছেন। আল্লাহ “কুন” শব্দের মাধ্যমে ঈসা (আঃ) কে সৃস্টি করেছেন এতে কোন সন্দেহ নাই, আপত্তি শুধুমাত্র অলৌকিক উপায়ে সৃষ্টি করেছেন -এই কথার ব্যাপারে।

The similitude of Jesus before Allah is as that of Adam; He created him from dust, then said to him: "Be". And he was. (৩:৫৯)
নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট ঈসার দৃষ্টান্ত হচ্ছে আদমেরই মতো। তাকে মাটি দিয়ে তৈরী করেছিলেন এবং তারপর তাকে বলেছিলেন হয়ে যাও, সঙ্গে সঙ্গে হয়ে গেলেন।(৩:৫৯)

জনপ্রিয় মতবাদ হচ্ছে যখন আল্লাহ বলেন হও (কুন) , সেটা সাথে সাথে হয়ে যায় (ফায়াকুন)। কিন্তু যে জিনিশটা অভারলক করে যাওয়া হয় তা হচ্ছে যে কুন থেকে ফায়াকুন হতে একটা সময়ের ব্যবধান আছে। এটা ইনস্ট্যান্ট হয় না, যদি সাথে সাথে হয়ে যাওয়ার মত কোন ঘটনা থাকে সেটা সাথে সাথে হতে পারে, কিন্তু আল্লাহর নিয়ম করে দেওয়া যে ঘটনার যে সময় লাগে, সেটা ঘটতে সেই সময়ই লাগবে, সাথে সাথে হয় না। (কারন আল্লাহ সব কিছু একটা প্রসেসের মধ্যে করেন, নিয়মের ব্যতিক্রম করেন না। উপরে বর্ণিত ৩০:৩০ আবার দেখতে পারেন)। সুতরাং মরিয়মের ক্ষেত্রে এই কুন শব্দ ফায়াকুন হতে ১০-১২ মাস বা তার বেশি সময় লাগবে।( বিবাহ হওয়া এবং পরে সন্তান হওয়া সব মিলিয়ে), নাকি বলবেন এই কুন বলার পর পর মরিয়ম সন্তান প্রসব করেছিলেন?

এই ক্ষেত্রে “কুন” শব্দ দ্বারা ইন্সট্যন্ট কিছু হয় না এটা প্রমান করার জন্য বিশেষ কোন গবেষণার প্রয়োজন নেই। এইখানে এটা বুঝা গুরত্বপুর্ন যে যখন আল্লাহ বলেন হও (কুন) তখন সেই জিনিসটা হওয়ার প্রসেস শুরু হয়ে যায় এবং সঠিক সময়ে সেই জিনিষ হয়ে যায় (ফায়াকুন)। ঈসা (আঃ) এর জন্ম কাহিনীর ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য। এছাড়াও কোরআনে এরকম অনেক উদাহরণ আছে যেমন ২:১১৭, ৬:৭৩, ১৬:৪০, ১৯:৩৫, ৩৬:৮২

মরিয়মের ক্ষেত্রে আল্লাহ যখন কুন বলেছেন তখন তার সন্তান হবার স্বাভাবিক প্রসেস শুরু হয়েছিল যার শুরু ছিল স্বামী নির্বাচন এবং শেষ ঈসা (আঃ) এর জন্ম। তাৎক্ষনিক কোন কিছু নয়।

এই “কুন” সংক্রান্ত কিছু আয়াতের রেফারেন্স উপরে একটু আগেই দিয়েছি, দয়া করে চেক করে নিবেন। আমি একটা স্যাম্পল রেফারেন্স উল্লেখ করছিঃ

তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দেন। যখন তিনি কোন কাজের আদেশ করেন, তখন একথাই বলেন, হয়ে যাও-তা হয়ে যায়। (৪০:৬৮)

কুমারী মাতা বনাম সতী মাতা (Virgin Mother vs. Chaste Mother)ঃ
ইংরেজীতে সিলেক্টিভ পারসেপশন বলে একটা কথা আছে। অর্থাৎ মানুষ যা দেখতে চায় সে তাই দেখে, যা শুনতে চায়, সে তাই শুনে। কুমারী এবং সতীর মধ্যে পার্থক্য আছে। আমি এখানে এই পার্থক্য শুধুমাত্র সেক্সুয়াল পারস্পেক্টিভে বলছি, দয়া করে স্পিরিটুয়াল ব্যপার নিয়ে ক্যাচাল করবেন না। আশা করি এই পার্থক্য সবাই জানেন।

মরিয়ম খৃষ্টানদের কাছে কুমারী মাতা হিসাবে সর্বত্র পরিচিত। কুমারী মাতা, কুমারী মেরি- এই কথাগুলি খৃষ্টানদের মধ্যে বহুল প্রচলিত। মুসলমানরাও এই ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। মুসলমানরা মরিয়ম কে কুমারী মাতা হিসাবেই প্রচার করে। সেই ক্ষেত্রে তারা কোরআনের কিছু রেফারেন্স ব্যবহার করে। যেমনঃ

And (remember) her who guarded her chastity, We breathed into her from Our Spirit, and We made her and her son a Sign for all peoples. (২১:৯১)


এই আয়াতের তিনটা অংশ আছেঃ

১। মরিয়ম তার সতীত্ব রক্ষা করেছিলেন

২। তার মধ্যে (মরিয়মের গর্ভে) রুহু ফুকে দেওয়া হয়েছিল

৩। মরিয়ম এবং ঈসা (আঃ) মানুষের জন্য আল্লাহর নিদর্শন।

এই সম্পর্কিত আয়াত গুলি কে কম গুরুত্ব দেওয়ার কারনে, মুসলমানরা এই তিনটা অংশ ভুল বুঝে থাকে । এখন উপরে উল্লেখিত এই তিনটি বিষয় নিয়ে আমরা আলাচনা করব।

১। মরিয়ম তার সতীত্ব বজায় রেখেছিলেনঃ
কোরআন এখানে সতীত্বের কথা বলেছে, কুমারিত্ব নয়। আরবী শব্দ “আহসান” অর্থ chastity বা সতীত্ব। একজন নারী সতী থাকতে পারে যদি শুধু মাত্র তার আইনত স্বামীর সাথে সেক্সুয়াল রিলেশন থাকে অর্থাৎ যদি কোন বিবাহ বহির্ভূত অন্য কোন ধরনের সেক্সুয়াল রিলেশনে জড়িয়ে না পরে। যদি সে বিবাহ বহির্ভূত অন্য কোন ধরনের সেক্সুয়াল রিলেশনে জড়িয়ে পরে, তবে সে সতী নয়। এই সতীত্বের কথা এসেছে কারন ১৯:২০ এ মরিয়ম জিজ্ঞেস করছে কিভাবে তার সন্তান হতে পারে যখন সে অসতী নয়। এর লজিক্যাল উত্তর হচ্ছে সে একি সাথে সতী থাকতে পারে এবং তার সন্তান হতে পারবে যদি সে আইনত কারো সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।


মরিইয়াম বললঃ কিরূপে আমার পুত্র হবে, যখন কোন মানব আমাকে স্পর্শ করেনি এবং আমি ব্যভিচারিণীও কখনও ছিলাম না ? (১৯:২০)

কিছু মুসলিম (এর মধ্যে স্কলারও আছেন) বলে থাকেন যদি মরিয়মের স্বামী থেকে থাকে তবে সে সতী হতে পারেনা। এর উত্তরে বলতে হয়, স্বামী থাকলে যদি সতী না হয় তবে তাদের কারো মা ই সতী নয়। আশা করি বুজতে পেরেছেন।


এখানে প্রশ্ন আসে যে মরিয়ম কুমারী ছিলেন কি না? উত্তর হচ্ছে এই নির্দেশ যখন তার কাছে আসে তখন তিনি কুমারী ছিলেন। উনি যখন ফেরেস্তার সাথে এই নিয়ে কথা বলেন তখনও তিনি কুমারী ছিলেন। কিন্তু তাই বলে তাকে কুমারী মাতা বলা যাবে না, কারন তখনও উনি গর্ভ ধারন করেন নাই।

২. মরিয়মের গর্ভে রুহু ফুকে দেওয়া হয়েছিলঃ
উপরে বর্ণিত আয়াত ২১:৯১ যেখানে বলা হয়েছে We breathed into her from Our Spirit এই একই রকম আয়াত আরও আছে ৬৬:১২ তে, যেখানে বলা হয়েছে

আর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন এমরান-তনয়া মরিয়মের, যে তার সতীত্ব বজায় রেখেছিল। অতঃপর আমি তার মধ্যে আমার পক্ষ থেকে জীবন ফুঁকে দিয়েছিলাম এবং সে তার পালনকর্তার বানী ও কিতাবকে সত্যে পরিণত করেছিল। সে ছিল বিনয় প্রকাশকারীনীদের একজন। (৬৬:১২)

উপরের উল্লেখিত আয়াতে আল্লাহ পরিষ্কার ভাবে বলে দিয়েছেন যে We breathed into her from Our Spirit এই থেকে মুসলমানরা বলে থাকেন যে এই কারনে ইসা (আঃ) পিতা ছাড়া জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।এই আয়াত বর্ণনা করার পর আর কোন লজিক্যালি চিন্তা করা হয় না যে আল্লাহ এই দ্বারা আসলে কি বুজিয়েছেন। কোরআনের প্রেক্ষিতে যখন আল্লাহ বলেছেন যে We breathed into her from Our Spirit এ দ্বারা বুঝা যায় কোন প্রকার শুক্রানু অণুঘটক হিসাবে কাজ করেছে যা গর্ভধারণ করতে সহায়তা করেছে, কারন আল্লাহ কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় এই কথা বলেছেন, যেমন

He who created all things in the best way, and He began creation of man from clay, and He made his progeny from a quintessence of despised fluid; then He fashioned him in due proportion, and breathed into him His spirit. And He gave you hearing and sight and understanding. Little thanks do you give! (৩২:৭-৯)

যিনি তাঁর প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে সুন্দর করেছেন এবং কাদামাটি থেকে মানব সৃষ্টির সূচনা করেছেন। অতঃপর তিনি তার বংশধর সৃষ্টি করেন তুচ্ছ পানির নির্যাস থেকে। অতঃপর তিনি তাকে সুষম করেন, তাতে রূহ সঞ্চার করেন এবং তোমাদেরকে দেন কর্ণ, চক্ষু ও অন্তঃকরণ। তোমরা সামান্যই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। (৩২:৭-৯)

এই আয়াত সব মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এখানে মানুষ সৃস্টির প্রক্রিয়া বর্ণনা করা হয়েছে। একটু ভালভাবে পড়লে বুঝতে পারবেন এইখানে আল্লাহ বলেছেন গর্ভ ধারনের প্রথম ধাপ হচ্ছে গর্ভে শুক্রানুর প্রবেশ। এরপর ফেটুস যখন একটা নিদৃস্ট সময় পর্যন্ত বাড়ে, তখন আল্লাহ তার মধ্যে রুহু ফুকে দেন। অর্থাৎ, আল্লাহ গর্ভের সন্তানের মধ্যে একটা নিদৃস্ট সময়ের পরে রুহু ফুকে দেন।

মোট কথা হল, ফার্টিলাইজেশনের পরে, একটি নিদৃস্ট সময় ফেটুস বেড়ে উঠার পরে, ফেটুসের মধ্য রুহু ফুকে দেওয়া হয়। সুতরাং শুক্রাণুর প্রবেশ এবং রুহু ফুকে দেওয়া এই দুইটা মানব সৃস্টির প্রাথমিক দিকের দুইটা ভিন্ন ধাপ। এইখানে আল্লাহ ইসা (আঃ;) সম্পর্কে এই কথা বলে কোন আস্বভাবিক বা অলৌকিক ঘটনার বর্ণনা করেন নাই, বরং মানুষ সৃস্টির স্বভাবিক ধাপের কথাই বলেছেন। সুতরাং রুহু ফুকে দেওয়ার অর্থ অস্বাভাবিক জন্মগ্রহণ (পিতা ছাড়া জন্ম গ্রহণ) কোরআনের প্রেক্ষিতে এই কথার কোন ভিত্তি নাই।


৩। ঈসা (আঃ)আল্লাহর নিদর্শনঃ
তিন নম্বর পয়েন্ট হচ্ছে ২১:৯১ এ আল্লাহ বলেছেন ইসা (আঃ) এবং উনার মাতা মানব জাতির জন্য আল্লাহর নিদর্শন। এইখান থেকেও অনেক মুসলিম বলে থাকেন মরিয়ম কুমারী ছিলেন, এবং ইসা (আঃ) পিতা ছাড়াই জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। এই কারনে এই দুইজন আল্লাহর নিদর্শন।কিন্তু সত্য হচ্ছে তাদের চারিত্রিক গুণাবলী, ব্যবহার, আল্লাহর প্রতি ডেডিকেশনের কারনে তাদেরকে মানবজাতির জন্য আল্লাহর নিদর্শন বলেছেন। মরিয়ম আল্লাহর নিদর্শন এই কারনে যে তিনি ছিলেন ধার্মিক, তিনি তার জীবন আল্লাহর জন্য ডেডিকেট করেছিলেন, আল্লাহ উনাকে সিলেক্ট করেছিলেন একজন রাসুলের মাতা হিসাবে।

ইসা (আঃ) আল্লাহর নিদর্শন এই কারনে যে রাসুল হিসাবে আল্লাহর প্রতি ডেডিকেশন, ক্রুশবিদ্ধ হবার থেকে আল্লাহর সাহায্যে বেচে যাওয়া যা আল্লাহ কোরআনে বর্ণনা করেছেন। এইখানে একটা কথা বলা দরকার যে আল্লাহর নিদর্শন হতে হলে কোন সুপার ন্যাচারাল পাওয়ারের অধিকারী হতে হবে এইরকম কোন বাধ্যবাধকতা নেই। অনেক বিষয়/জিনিষ কে আল্লাহ তার নিদর্শন হিসাবে বর্ণনা করেছেন যার অনেক কিছু এখনও বিদ্যমান আর কিছু ঐ সময়ের সাথে সাথে শেষ হয়ে গিয়েছে। সুতরাং ইসা (আঃ) আল্লাহর নিদর্শন এই কথা দ্বারা উনার অতিপ্রাকৃত জন্ম কাহিনীকে সমর্থন করে না।


কাযালিকাঃ গর্ভধারণের ওয়াইল্ড কার্ডঃ
আরবী শব্দ “কাযালিকা” র অর্থ এবং ব্যবহার এই ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারন সমস্ত যুক্তি এবং বিশ্লেষণ কে ভুল প্রমানিত করার জন্য এটা একটা ওয়াইল্ড কার্ড হিসাবে ব্যবহার করা হয়। মরিয়মের সন্তান বিষয়ক প্রশ্নের জবাবে, কোরআনের দুই জায়গায় আল্লাহ যে উত্তর দিয়েছেন তার প্রথম উত্তর ছিল এই শব্দ “কাযালিকা”

She said, "My Lord how is [it] for me a boy, and (has) not touch(ed) me any man?" He said, "Thus (“কাযালিকা”) Allah creates what He wills. When He decrees a matter then only He says to it, "Be," and it becomes (৩:৪৭)

তিনি বললেন, পরওয়ারদেগার! কেমন করে আমার সন্তান হবে; আমাকে তো কোন মানুষ স্পর্শ করেনি। বললেন এ ভাবেই (“কাযালিকা”) আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। যখন কোন কাজ করার জন্য ইচ্ছা করেন তখন বলেন যে, ‘হয়ে যাও’ অমনি তা হয়ে যায়। (৩:৪৭)

She said, "How can be for me a son, when not has touched me a man, and not I am unchaste?" He said, "Thus (“কাযালিকা”); said your Lord, 'It (is) for Me easy, and so that We will make him a sign for the mankind and a Mercy from Us. And (it) is a matter decreed.' (১৯:২০-২১)
মরিইয়াম বললঃ কিরূপে আমার পুত্র হবে, যখন কোন মানব আমাকে স্পর্শ করেনি এবং আমি ব্যভিচারিণীও কখনও ছিলাম না ? সে বললঃ এমনিতেই (“কাযালিকা”) হবে। তোমার পালনকর্তা বলেছেন, এটা আমার জন্যে সহজ সাধ্য এবং আমি তাকে মানুষের জন্যে একটি নিদর্শন ও আমার পক্ষ থেকে অনুগ্রহ স্বরূপ করতে চাই। এটা তো এক স্থিরীকৃত ব্যাপার।

এইখানে ১৯:২১ এ দুইটা সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে।
ক। আইনত কোন পুরুষের সান্নিধ্যে আসা
খ। বেআইনি ভাবে কোন পুরুষের সান্নিধ্যে আসা

মরিয়মের নিজের কথা অনুযায়ী সে অসতী ছিলেন না, সেহেতু দ্বিতীয় সম্ভাবনা (খ) এইখানে প্রযোজ্য নয়। এইখানে শুধুমাত্র প্রথম সম্ভাবনা প্রযোজ্য। উল্লেখ্য, ৩:৪৭ এ শুধুমাত্র প্রথম সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে- কোন পুরুষ তাকে স্পর্শ করেনি।

এই দুই জায়গায়, একই প্রশ্নের উত্তরে আল্লাহর প্রথম উত্তর ছিল “কাযালিকা” যার অর্থ Thus/ এইভাবে/একিভাবে। এই Thus/ এইভাবে/একিভাবে দ্বারা আল্লাহ উত্তর দিয়েছেন কোরআনের প্রেক্ষিতে যার অর্থ হয় মরিয়মের সন্তান এইভাবে হতে পারে, যেভাবে মানুষের সন্তান হয় অর্থাৎ মরিয়ম সতী থেকেও সন্তানের মা হতে পারেন বৈধ বিবাহের মাধ্যমে।

যদি আপনি মনে করেন কাযালিকার পরে কুন, রুহু ফুকে দেওয়া এই সব শব্দ দ্বারা অলৌকিক ঘটনা বুঝানো হয়েছে তবে দয়া করে আবার প্রথম থেকে এই শব্দগুলির ব্যখ্যা পড়ে আসুন। এর পরেও যদি কনফিউশন থাকে তবে আপনার সুবিধার জন্য যাকারিয়া (আঃ) এর ঘটনা বর্ণনা করছিঃ

"O my Lord ! How shall I have a son,seeing that I am very old and my wife is barren". He said: "Kazalika." (৩:৪০)

এই কাযালিকার অর্থ বা ব্যাখ্যা কোরআনের ২১:৯০ এ দেওয়া আছেঃ

So We responded to him, and We bestowed on him Yahya, and We cured for him his wife. (২১:৯০)

অতঃপর আমি তার দোয়া কবুল করেছিলাম, তাকে দান করেছিলাম ইয়াহইয়া এবং তার জন্যে তার স্ত্রীকে প্রসব যোগ্য করেছিলাম। তারা সৎকর্মে ঝাঁপিয়ে পড়ত, তারা আশা ও ভীতি সহকারে আমাকে ডাকত এবং তারা ছিল আমার কাছে বিনীত। (২১:৯০)

সুতরাং “কাযালিকা” এর অর্থ পিতা ছাড়া সন্তান হবে এই ধারনা সত্য নয়। বরং “কাযালিকা” বা “এইভাবে” বলতে মানুষের যে ভাবে সন্তান হয়, সেইভাবেই হবে অর্থাৎ এক্ষেত্রে সন্তান হবার প্রতিবন্ধকতা দূর করে স্বভাবিক নিয়মেই সন্তান হবার কথা বলা হয়েছে। যেমন যাকারিয়া (আঃ) এর স্ত্রীর ক্ষেত্রে তার বান্ধত্য দূর করা হয়েছে এবং এর পর স্বভাবিক নিয়মেই স্বামী স্ত্রীর মিলনের ফলেই সন্তান জন্ম হয়েছে।

এইক্ষেত্রে ইব্রাহিম (আঃ) এর স্ত্রীর কথা বলা যেতে পারে।
But his wife (Sarah) came forward, clamoring: and she smote her face and said: "An old barren woman!” They said: "Likewise (কাযালিকা), says your Lord".

এইখানেও কাযালিকা শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। আল্লাহ এখানে এই দ্বারা বুঝিয়েছেন একিভাবে হবে যেভাবে মানুষের সন্তান হয়। যাকারিয়া (আঃ) এর স্ত্রীর মত ইব্রাহিম (আঃ) এর স্ত্রীরও বান্ধত্য দূর করা হয়েছিল এবং তাদের স্বভাবিক দাম্পত্য জীবনের কারনেই সন্তান জন্ম হয়েছিল।

কাযালিকার মাধ্যমে যে ইনস্ট্যান্ট কোন কিছু হয় না (কুন শব্দের মত) তার আরও একটা উদাহরণ দেই।
And those who disbelieve say, "Why was the Qur'an not revealed to him all at once?" Thus (কাযালিকা), that We may strengthen thereby your heart. And We have spaced it distinctly. (২৫:৩২)

কোরআন ২৩ বছর ধরে অল্প অল্প করে নাযিল হয়েছিল। এইখানেও কাযালিকা শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।

এখন একটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দৃস্টি আকর্ষণ করছি। সুরা আল-ইমরান এবং সুরা মরিয়মে এই দুই সুরাতেই ইসা (আঃ) জন্মের ঘটনা উল্লেখ করার আগে আল্লাহ ইয়াহিয়া (আঃ) এর জন্ম কাহিনী বর্ণনা করেছেন। এইক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মরিয়ম (আঃ) এবং যাকারিয়া (আঃ) দুইজনই আল্লাহর কাছে প্রশ্ন করেছেন এই প্রতিকুল অবস্থায় কিভাবে তাদের সন্তান হতে পারে। যাকারিয়া (আঃ) এর ক্ষেত্রে (এবং ইব্রাহিম (আঃ) এর ক্ষেত্রেও (৫১:২৯-৩০)) প্রতিকুল অবস্থা ছিল তারা বৃদ্ধ ছিলেন এবং তাদের স্ত্রীগন বান্ধাত্ব্যে উপনীত হয়েছিলেন। মরিয়মের ক্ষেত্রে প্রতিকুল আবস্থা ছিল ঐ সময়ে উনি বিবাহিত ছিলেন না অর্থাৎ উনার স্বামী ছিলনা। এই তিন ক্ষেত্রেই নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে “কাযালিকা” বলে।
ইব্রাহিম (আঃ) এবং যাকারিয়া (আঃ) দুইজনই স্বভাবিক ভাবে সন্তান লাভ করেছিলেন- এতে কোন সন্দেহ নাই। সন্দেহ শুধুমাত্র মরিয়মের বেলায়!! যদি কাযলিকা কোন মিরাকল হিসাবে কাজ করত, তবে ইব্রাহিম (আঃ) এবং যাকারিয়া (আঃ) দুইজনেই স্ত্রী ছাড়া সন্তান লাভ করতেন, বরং তা না হয়ে তাদের স্ত্রীদেরকে সুস্থ করে তোলা হয়েছে এবং স্বাভাবিক ভাবেই তাদের সন্তান হয়েছে। মরিয়মের ক্ষেত্রে তার বিবাহ হয়েছে এবং অতপর স্বাভাবিক ভাবে ইসা (আঃ) এর জন্ম হয়েছে।




মানব সৃস্টির প্রক্রিয়াঃ
কোরআনে মানব সৃস্টির প্রক্রিয়া বিশদ ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এই আয়াত গুলিতে বিস্তারিত ভাবে বলা আছে যার সুরুতে আছে শুক্রাণুর কথা (৩২:৭-৮, ৭৭:২০, ৭৫:৩৭, ৮৬:৫-৭ ইত্যাদি), পুরুষ এবং স্ত্রী গ্যমেটের মিলন (১৩:৩, ৩৬:৩৬, ৪৩:১২, ৪৯:১৩, ৫১:৪৯, ৫৩:৪৫, ৭৮:৮ ইত্যাদি)। এই সকল আয়াত গুলি সব মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এই খানে কোন আয়াতের ব্যতিক্রম হবার কোন সুযগ নেই (৩০:৩০) এবং আল্লাহ কোথাও বলেননি ইসা (আঃ) এর জন্ম ব্যতিক্রম।

আল্লাহ অন্য প্রসঙ্গে এই ব্যাপারে একটা আল্টিমেট স্টেটমেন্ট দিয়েছেনঃ

Originator of the heavens and the earth! How could there be to Him a child when there is to Him no consort? (৬:১০১)
তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের আদি স্রষ্টা। কিরূপে আল্লাহর পুত্র হতে পারে, অথচ তাঁর কোন সঙ্গী নেই ? তিনি যাবতীয় কিছু সৃষ্টি করেছেন। তিনি সব বস্তু সম্পর্কে সুবিজ্ঞ। (৬:১০১)

আল্লাহ সর্বশক্তিমান হওয়া সত্ত্বেও বলছেন কোন সঙ্গী ছাড়া তার পুত্র হতে পারেনা। যেহেতু আল্লাহর কোন সঙ্গী নেই, সেহেতু তার পুত্র সন্তান থাকার কোন কারন নেই। কারন আল্লাহর কথা, আইন অপরিবর্তনশীল। “কুন” শব্দ আল্লাহর এই আইন ভাংতে পারবে না। আল্লাহ যদি নিজের সম্পর্কে এই কথা বলেন, তবে মরিয়মের পিতা ছাড়া কিভাবে সন্তান হতে পারে?


উপসংহারঃ
এখন পর্যন্ত যে বিষয় গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে তার একটা সংক্ষিপ্ত রুপ নিম্নরূপঃ
১। কোরআনের ৬:৮৪-৮৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ ১৮ জন নবীর নাম নিয়েছেন। এবং বলেছেন তাদের সকলের পিতা, সন্তান এবং ভাইদের আল্লহ সঠিক পথে পরিচালনা করেছিলেন। এই লিস্টে ঈসা (আঃ) এর নাম আছে। সুতরাং উনার পিতা ছিল।

২। আল্লাহ কোরআনে মানব সৃস্টির বিভিন্ন ধাপ বর্ণনা করেছেন যার শুরুতে রয়েছে শুক্রানুর ভুমিকা। এই শুক্রানুর কথা কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে বলা আছে যেমন ৩২:৭-৮, ৫৩:৪৫,৭৭:২০,৭৫:৩৭,৮৬:৫-৭।

৩। আল্লাহ বলেছেন তিনি নিয়মের ব্যতিক্রম করেন না। তার সৃস্টির কোন পরিবর্তন নেই। (৩০:৩০)

৪। “কুন” শব্দের দ্বারা তাৎক্ষনিক কিছু হতে হবে তা বাধ্যতামূলক নয়। “কুন” এবং “ফায়াকুন” এর মধ্যে সময়ের ব্যবধান আছে। কোরআনের বিভিন্ন রেফারেন্স এ এটা আমরা দেখেছি। সন্তান জন্ম দেওয়ার ব্যপারেও এটা প্রযোজ্য। এর সঠিক ব্যাখ্যা হয় আল্লাহ যখন কোন কিছ ইচ্ছা করেন তখন বলেন হও (কুন), তারপর যথা সময়ে সেটা হয়ে যায় (ফায়াকুন)। মানব সৃস্টির বেলায়ও এই কথা প্রযোজ্য।

৫। যাকারিয়া (আঃ) আল্লাহর কাছে প্রশ্ন করেছিলেন কিভাবে তার সন্তান হবে যখন তিনি বৃদ্ধ এবং তার স্ত্রী বান্ধ্যত্বে উপনীত হয়েছে। এর উত্তরে আল্লাহ বলেছেন “কাযালিকা”, অর্থাৎ একইভাবে। অর্থাৎ স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় যেভাবে সন্তান হয় সেভাবেই হবে (পয়েন্ট ২,৩)। এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার বাধা ছিল তার স্ত্রীর বান্ধত্ব্য। আল্লাহ সেই বান্ধাত্ব্য দূর করে দিয়েছেন (২১:৯১) এবং স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তাদের সন্তান হয়েছে।

৬। ইবাহীম (আঃ) এর স্ত্রী একি প্রশ্ন আল্লাহর কাছে করেছিলেন এবং আল্লাহ একইভাবে সমাধান বলেছেন।

৭। মরিয়ম আল্লাহকে একি প্রশ্ন করেছেন যে কিভাবে তার সন্তান হবে যখন কোন পুরুষ তাকে স্পর্শ করেনি এবং সে অসতী নয়। আল্লাহ একি উত্তর দিয়েছেন তাহল “কাযালিকা” অর্থাৎ এইভাবে/একিভাবে। এইক্ষেত্রে বাধা ছিল মরিয়ম বিবাহিত ছিলেন না। সুতরাং তার বিবাহের প্রসেস শুরু হয়েছিল (3:44 ) এবং তার বিবাহের পর স্বভাবিক নিয়মেই তার সন্তান হয়েছিল।

৮। সুতরাং কোরআনের কোন আয়াত দ্বারা প্রমানিত হয়না যে ঈসা (আঃ) পিতা ছাড়া জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।

এটা সত্য যে ঈসা (আঃ) আল্লাহর কালিমাহ, উনি এবং উনার মাতা আল্লাহর নিদর্শন, উনি আল্লাহর “কুন” শব্দ দ্বারা তৈরী হয়েছিলেন এবং তার মাতার গর্ভে আল্লাহ রুহু ফুকে দিয়েছিলেন। এই সবগুলি কথাই ভুল্ভাবে ব্যখ্যা করা হয়। আল্লাহর কালিমাহ এবং নিদর্শন বলতে যা বুজানো হয়েছে তা এইখানে উল্লেখ করা হয়েছে এবং এটাও দেখানো হয়েছে এতে অ-স্বভাবিক জন্মের সাথে কোন সম্পর্কে নাই। বাকি শব্দ “কুন”, রহু ফুকে দেওয়া -এই সব মানব সৃস্টির স্বভাবিক প্রক্রিয়া যা আল্লাহ কোরআনে বিশদ ভাবে বর্ণনা করেছেন। এতে কোন অস্বভাবিকত্ব নেই। সুতরাং শুধুমাত্র কোরআনের আয়াত নিয়ে যদি আমরা কথা বলি, তা হলে বলতে হয় ঈসা (আঃ) এর এই অস্বাভাবিক জন্ম বা পিতা ছাড়া জন্ম হবার কাহিনী কোরআনের কোন আয়াত দ্বারা সমর্থন যোগ্য নয়।

আমার লেখার উদ্দেশ্য কারও বিশ্বাসে আঘাত করা নয়, বা কারো বিশ্বাস পাল্টানো নয়। আমার উদ্দেশ্য পরিষ্কার। সেটা হচ্ছে এই বিষয়ে কোরআন কি বলে সেটা জানা। কেউ আমার লেখায় আঘাত পেয়ে থাকলে আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪১

মেহেদী হাসান শীষ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১২

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১২

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: তাহলে ইসা আঃ এর বাবা কে ছিলেন?

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫

হানিফঢাকা বলেছেন: ঈসা (আঃ) এর বাবা কে ছিলেন এই বিষয়ে কোন তথ্য কোরআন দেয়নি, যেম্ন দেয়নি নুহ (আঃ), মুসা (আঃ), যাকারিয়া (আঃ) এর বাবা কারা ছিলেন।

কোরআনে মরিয়ম (আঃ) এর বিবাহের ইঙ্গিত দেওয়া আছে যা আমি আমার লেখায় বলিনি, কারন লেখাটা বড় করতে চাইনি। কোরআনের ৩ঃ৪৪ এ বলা হয়েছেঃ

"That is from the news of the unseen which We reveal to you, [O Muhammad]. And you were not with them when they cast their pens as to which of them should be responsible for Mary. Nor were you with them when they disputed."
সুতরাং কে মরিয়মের দায়িত্ব নেবে বলতে এখানে কে মরিয়ম কে বিবাহ করবে সেই বিষয়ে ইঙ্গিত করা হয়েছে। এবং ১৯ঃ১৬ তে বলা হয়েছে

And mention, [O Muhammad], in the Book [the story of] Mary, when she withdrew from her family to a place toward the east. (১৯ঃ১৬)

And she took, in seclusion from them, a screen.....(১৯ঃ১৭)

এই ১৯ঃ১৬ খুবই ক্রিটিক্যাল একটা আয়াত। মরিয়ম ত টেম্পল সার্ভিসের জন্য ডেডিকেটেড ছিল। তাহলে সে কেন মরিয়ম তার ফ্যামিলি ছেড়ে পূর্ব দিকে চলে যাচ্ছে? সে কেন তাদের থেকে নিজেকে আড়াল করছে? এইখানে তাদের বলতে টেমপলের পুরোহিতদের বুঝাচ্ছে। এই প্রশ্ন কেউ করেনি। লখ্য্যনীয় যে এখনও সে গর্ভধারণ করেনি । সুতরাং লজিক্যাল কঙ্কলুশন হচ্ছে মরিয়মের বিবাহ তার টেম্পলের কোন পুরহিতের সাথে হয় নি যারা তাকে বিবাহ করার জন্য প্রতিযগিতা করছিল। তার বিবাহ হয়েছিল তার পরিবারের মাধ্যমে এবং সেই জন্য সম্ভবত তাকে টেম্পল ছাড়তে হয়েছিল, কারন টেম্পলের বাইরে বিবাহ সম্ভবত টেম্পলের নিয়ম ভঙ্গ করা (এটা অনুমান)

এইটা অনেক বড় বিষয়, অনেক গবেষণার দাবী রাখে। ছোট করে বললাম, নিজে যাচাই করে দেখুন।

৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯

গোধুলী রঙ বলেছেন: গেম চেঞ্জার বলেছেন: তাহলে ইসা আঃ এর বাবা কে ছিলেন?

বাবাকে এখন আমরা খুজলেও পাবো না, কারন তিনি পিতা ছাড়াই জন্মগ্রহন করেছেন, এই থিয়োরি এত গোড়া থেকেই উতসারিত যে, বাবার খোজ আর কেউ রাখেনি।

৬:৮৪-৮৭, তে যে ১৮ জন নবীর নাম আছে তাদের
আবায়িহিম - পিতা, জুররিইয়াতিহিম - সন্তানাদি / ডিসেন্ডেন্টস, ইখওয়ানিহিম - ভাই, এদের সকলেই সিরতিমমুস্তাকিম প্রাপ্ত? কোন ব্যাতিক্রম কি নেই, আমার প্রশ্নটা আপনার পোস্টের বিষয়বস্তুকে প্রশ্নবিদ্ধি করার উদ্দেশ্যে নয়, জানার উদ্দেশ্যে।

তবে কোন ব্যাতিক্রম যদি থেকে থাকে তবে সেই ব্যাতিক্রম সীমায় ইসা (আঃ)ও চলে আসতে পারেন।

৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ব্যাপারটা আরো তদন্ত করে দেখতে হবে।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

হানিফঢাকা বলেছেন: Always appreciate such initiative. you are welcome.

৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
অসাধারন যুক্তি দিয়ে লিখেছেন আপনি!! আপনাকে ইমাম গাজ্জালির চেয়ে জ্ঞানী ইন ফ্যাক্ট আদ্য পর্যন্ত যত ইসলামী স্কলার আছেন তাদের চেয়ে জ্ঞানী বলেই বোধ হচ্ছে, ধরেই নিলাম হাদিস আর ইতিহাস সব ভুল, মহানবী সঃ এই ব্যাপারে যা আলোকপাত করেছেন তাও আমরা জানি না। অসাধারন।।

সূরা বনী ইসরাইল আয়াত ৩৬ঃ

( وَلاَ تَقْفُ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ إِنَّ السَّمْعَ وَالْبَصَرَ وَالْفُؤَادَ كُلُّ أُولـئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْؤُولاً

অর্থঃ যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তার পিছনে পড়ো না। নিশ্চয় কান, চক্ষু ও অন্তঃকরণ এদের প্রত্যেকটিই জিজ্ঞাসিত হবে। )


সূরা বনী ইসরাইল আয়াত ৭২ঃ

( وَمَن كَانَ فِي هَـذِهِ أَعْمَى فَهُوَ فِي الآخِرَةِ أَعْمَى وَأَضَلُّ سَبِيلاً

অর্থঃ যে ব্যক্তি ইহকালে অন্ধ ছিল সে পরকালেও অন্ধ এবং অধিকতর পথভ্রান্ত। )


সূরা বনী ইসরাইল আয়াত ৮২ঃ

( وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاء وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ وَلاَ يَزِيدُ الظَّالِمِينَ إَلاَّ خَسَارًا

অর্থঃ আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত। গোনাহগারদের তো এতে শুধু ক্ষতিই বৃদ্ধি পায়। )

চোখ থাকতেও যারা দেখে না , তাদের দেখানো সম্ভব না।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৯

হানিফঢাকা বলেছেন: এতক্ষণ কোথায় ছিলেন ভাইডি। বিশ্বাস করেন এই পোস্ট করার পর মনে মনে আমি আপনাকেই খুজছিলাম । এখনও পর্যন্ত আপনাদের দলবব্ধ গালিগালাজ, আক্রমণের শিকার কেন হইলাম না তা বুঝতে পারছিলাম না। যাই হোক আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য,

হাদিস এবং ইতিহাস সবই ভুল- এই কথা আমি কখনো বলিনি। বরং বলেছি অনেক হাদিস এবং ইতিহাসের ঘটনা কোরআনের প্রিন্সিপলের বাইরে যায়। যাই হোক ইতিহাস নিয়ে একটা ছোট লেখা আছে আমার। আপনার জন্য প্রযোজ্য। পড়ে দেখতে পারেন Click This Link

আপনার হাদিস প্রীতির কথা আমি জানি। এটা ভাল। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যখন কোন হাদিসকে কোরআনের উপরে স্থান দেন। আপনার জন্য হাদিসের একটা অঙ্ক বানিয়েছি। দয়া করে সমাধান দেবেন। Click This Link

এইবার আসি আপনার বাকি মন্তব্যের ব্যপারে। ঈসা (আঃ) জন্ম বিষয়ক আয়াতগুলির বিশ্লেষণ করেছি। আপনার যদি কোথাও আপত্তি থাকে তাহলে অবশ্যয় বলতে পারেন, তাহলে আলচনা করা যাবে। আমি যদি কোন কিছু ভুল বলে থাকি যা খুবই সম্ভব (কারন মানুষ মাত্রই ভুল করতে পারে) তাহলে দয়া করে স্পেসিফ্যক্যলি বলেন কোথায় ভুল হয়েছে এবং কেন ভুল হয়েছে। আলোচনা করার পথ সবসময় খুলা আছে।

আর যদি তা না করেন, তবে আপনি কোরআনের যে আয়াত গুলি আমাকে এইখানে বলেছেন মনে রাখবেন তা আপনার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হতে পারে। ধন্যবাদ।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১০

হানিফঢাকা বলেছেন: Click This Link

http://www.somewhereinblog.net/blog/hanifdhaka/30086284

৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪

নতুন বলেছেন: ভাল বলেছেন... আর সবচেয়ে ভাল হয়েছে শুধু কোরানের রেফারেন্স দিয়ে.

যারা এই যুক্তিকে ভুল বলছে তারা কিন্তু কোন রেফারেন্স না দিয়েই বলছে.... মানে তাদের যুক্তি হলো যেহেতু বড় বড় স্কলারেরা বলেছেন তাই ঐটাই ঠিক...

আমি যৌক্তিক ভাবে এই পোস্টের বিষয়ের সাথে এক মত ।

৮| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: নতুন@ এর বক্তব্যের সাথে একমত

৯| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১

নাজনীন১ বলেছেন: মরিয়মের কাছে খাবার আসার বিষয়টি?
ঈসা (আ) কোলে থাকতেই মানে জন্মানোর পরপরই কথা বলতে পারতেন, এ ব্যাপারে?
উনার মোজেযাগুলোর ব্যাপারে? অন্তর্ধানের ব্যাপারে?

সব ব্যাপারেই অলৌকিক হতে পারে, ঈসা(আ:) জন্মের ব্যাপারে অলৌকিকতায় বাধা কোথায়? আর উনি গর্ভে এসেই জন্ম নেননি, স্বাভাবিকভাবেই ভূমিষ্ঠ হয়েছেন। আবার আমাদের নবীজির জন্মের ব্যাপারে শুনেছি আমেনা নাকি তাকে প্রসব করেননি, উনি আল্লাহর ইচ্ছেতে একেবারে পবিত্র অবস্থাতেই দুনিয়াতে এসেছেন।

বাবা-মা ছাড়া সরাসরি আদম ও হাওয়া জন্মেছেন। হাওয়া মাটির তৈরী, এটা কোথাও বলা নাই, তাহলে উনার সর্িষ্টি কিভাবে?

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

হানিফঢাকা বলেছেন: সমস্যা হচ্ছে ইসা (আঃ) এর জন্মের ঘটনা নিয়ে অতিপ্রাকৃতিক বিষয় কে এমন ভাবে হাইলাইটস করা হয়েছে যে সাধারন কোন কথাও অলৌকিক মনে হয়। আপনার প্রশ্ন থেকেই একটা উদাহরণ দেই। যেমন আপনি জিজ্ঞেস করেছেন মরিয়মের কাছে খাবার আসার বিষয়টি।

So her Lord accepted her with good acceptance and caused her to grow in a good manner and put her in the care of Zechariah. Every time Zechariah entered upon her in the prayer chamber, he found with her provision. He said, "O Mary, from where is this [coming] to you?" She said, "It is from Allah . Indeed, Allah provides for whom He wills without account." (৩ঃ৩৭)

মরিয়মকে ডেডিকেট করা হয়েছিল টেম্পল সার্ভিসের জন্য। টেম্পলে অনেকেই খাবার/উপহার নিয়ে আসে বিভিন্ন কারনে। (যেমন মানত করা বা মানত পুরন হওয়া এইসব) এই প্রাক্টিস এখনও চালু আছে। সুতরাং যখন মরিয়ম কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল এই খাবার কোথা থেকে এসছে, মরিয়মের উত্তর ছিল আল্লাহর কাছ থেকে। এই খাবার আল্লাহর কাছ থেকেই এসেছে কিন্তু মাধ্যম ছিল সেইসব মানুষ যারা টেম্পলে আসার সময় খাবার নিয়ে আসতেন।

এখনও আমরা বিভিন্ন সময় বলি আল্লাহ খাওয়াচ্ছেন, সন্তান হলে বলি আল্লাহ দিয়েছেন। এখানে অলৌকিক কিছু নেই। এটা বুঝার ভুল।

১০| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

ভালোই বলেছেন, দলবদ্ধ গালাগালি!! আমার দল পেলেন কোথায় আর গালাগালিই বা পেলেন কোথায়? আমিতো সামান্য মূর্খ, একলা চলতে বিশ্বাস করি। সবার লেখাই পড়ার চেষ্টা করি সে মুক্তমনাই হোক আর হোক সে কুপমুন্ডুক। মন্তব্য খুব কমই করি যদিও অনলাইন থাকি আমি প্রচুর। আসলে ভয় পাই, আল্লাহের কোন প্রিয় বান্দা বা ওলীকে কখন নাখোশ করে ফেলি!!!! আমার আবার আল্লাহতে ভয় আছে। যদিও উনি যে আছেন এর কোন প্রমান নবীছাড়া কেউ দিতে পারবে না, আবার নবী যে নবী এই প্রমানো আল্লাহ ছাড়া কেউ করতে পারবে না। আপনার লেখার সমালোচনা কিন্তু আমি করি নাই, লেখা সুন্দর হয়েছে, সমস্যা আপনার অন্তঃকরণে। আনুসাঙ্গিক অনেক কুরয়ানিক বাস্তবতার ব্যাপারে আপনি সজ্ঞানে উপেক্ষা করেছেন শুধুই ভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য। আপনি জানেন তাই আপনাকে জানানো সম্ভব না আপনি দেখেন তাই আপনাকে দেখানো সম্ভব না, অন্তত আমি তার চেষ্টা করব না। আপনি আমার মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করেন বলে পুলকিত হলাম কিন্তু আমি কিন্তু আমার মন্তব্যের উত্তর আশা করি না। আমি খুবই কম জানা লোক, হাদীসের জ্ঞান আমার নাই, আমার ব্লগ পোষ্ট গুলো পড়লে হয়ত জানতেন, যে সামান্য জ্ঞান যা আমার আছে সবই কুরয়ান কেন্দ্রিক, নিজের রুটি রুজি কামাতেইতো দিন চলে যায়, ইসলামে জ্ঞান নেবার সময় আর পাই কই? তবে সূরা বনী ইসরাইলের ৮২, ৭২ আর ৩৬ আয়াত গুলো যদি সত্য হয়, তবে কিছু মানুষ থাকবেন যারা নিজের ক্ষতি বৃদ্ধি করবেন, চোখ থাকতেও দেখবেন না, মন থাকতেও বুঝবেন না, এবং নিজে কতটা নির্বোধ তার অনুভুতিও তাদের হবে না। আর কেউ থাকবে যারা বুঝবে কিন্তু অন্তকরনে সমস্যা থাকবে, কোন এক দৈন্যতার কারনে তারা সত্যকে মিথ্যা বানানোর চেষ্টা করতেই থাকবে। এবং অবশ্যই সফল হবে। আল্লাহ সে রকমই বলেছেন। এই ধরনের লোকদের নিয়ে আল্লাহ নবীকেও টাইম ওয়েস্ট করতে না করেছেন, আমি কোন চ্যাটের বাল!!!!!

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩

হানিফঢাকা বলেছেন: ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার এই মন্তব্য দেখে আপনার সম্পর্কে আমার ভুল ধারনার অবসান হয়েছে। আপনার সম্পর্কে আমার যে ভুল ধারনা ছিল তার জন্য আমি লজ্জিত।

আপনি বলেছেন "আনুসাঙ্গিক অনেক কুরয়ানিক বাস্তবতার ব্যাপারে আপনি সজ্ঞানে উপেক্ষা করেছেন শুধুই ভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য"- আপনি দয়া করে যদি স্পেসিফিক বলতেন তা হলে আমি বুঝতে পারতাম আসলে ভুল কোথায় হয়েছে।

একটা ব্যপারে আমি কসম খেয়ে বলতে পারি কোন রকম ভ্রান্তি সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে আমি এই লেখা গুলি লিখি না। এই ব্যপারে আমার মনের ভিতর কোন সন্দেহ নেই।

আপনার যেমন নিজের রুটি রুজি কামাতেই দিন চলে যায়, আমারও একই রকম। সাপ্তাহে ৬ দিন চাকরি করি। এর জন্য দেখবেন আমার বেশিরভাগ পোস্ট বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার রাতের মধ্যে অথবা কোন ছুটির দিনে। ধর্ম বিষয়ক পড়ালেখা আমার একটা হবি ছিল, যা এখনও কিছুটা রয়ে গেছে।

আপনাকে ধন্যবাদ।

১১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: অনেক কষ্ট করছেন , ধন্যবাদ =p~

এখন কথা হচ্ছে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু , ধর্ম কোন জটিল জিনিস না । একে জটিল বানানোর জন্য আপনার শাস্তি হওয়া উচিত ।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। দেন শাস্তি দেন।

ধর্ম কোন জটিল জিনিস না , ধর্মকে জটিল বানানোর উদাহরণ কোরআনে আছে। খুবই ইন্টারেস্টিং এবং শিক্ষণীয় বটে। সময় পেলে লেখব।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৫

আরব বেদুঈন বলেছেন: আচ্ছা আপনি কি সিয়া সম্প্রদায়ের লোক?দয়া করে উত্তর দিয়ে যাবেন ভাই.।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৯

হানিফঢাকা বলেছেন: ব্লগে ঘুরতে ঘুরতে দেখলাম অন্য এক ব্লগে আরেক ব্লগারকে আপনি আমার সম্পর্কে সতর্ক করছেন। সেই জায়গায় আপনি তাকে আমার সম্পর্কে অনেক কিছু বলার মধ্যে একটি কথা বলেছেন আমি শিয়া সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। আর এইখানে আপনি আমাকে প্রশ্ন করেছেন আমি শিয়া সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত কি না? খুবই ভাল। মজার বিষয় হল, সেই আপনি শিয়া সম্প্রদায় সম্পর্কিত একটা পোস্ট ব্লগে কিছুদিন আগেই দিয়েছেন, যেখানে আমি কমেন্টও করেছিলাম। এই তিনটা ঘটনা প্রমান করে শিয়া সম্প্রদায়ের আইডিওলজি নিয়ে আপনার ধারনা খুবই কম (তা হতেই পারে- এটা দোষের কিছু না)।

আমার লেখা কারো মতের সাথে না মিললেই আমাকে বিভিন্ন উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে।এই ব্লগে কেউ আমাকে শিয়া, কাদিয়ানী, অহাবী, আহলে কোরআন, কাফের,নাস্তিক ইত্যাদি উপাধিতে ভূষিত করেছেন। সেটা কোন ব্যাপার না আমার কাছে, কারন আমি বিশ্বাস করি যে আমাকে সৃষ্টি করেছেন তার দৃস্টিতে আমি কি সেটাই গুরুত্বুপুর্ন। এবার আসি আপনার প্রশ্নের উত্তরে।

আমি সেই ধর্মে বিশ্বাসী যার উপরে সকল নবী রাসুল ছিলেন, যে ধর্মের শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)। সকল নবীদের ধর্মই ছিল ইসলাম, এবং যারা ইসলামের অনুসারী তাদের কে আমার গ্রন্থে (কোরআন) বলা হয়েছে "মুসলিম"। সুতরাং আমি একজন মুসলিম। আমার নবী ও যেমন কোন সুন্নী, শিয়া, কাদিয়ানী ইত্যাদির অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না, আমিও নই। আমার ধর্ম বিশ্বাস সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে হলে আমার পরিত্যক্ত এই ব্লগটি দেখতে পারেন।
https://aslamto.wordpress.com/
ঐ খানে
১। My Religious Teaching
২। MY RELIGIOUS BELIEF
এই দুইটি লেখা দেখতে পারেন।

আপনি কোন সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত?

১৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫১

আরব বেদুঈন বলেছেন: সুন্নি

১৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৩

আরব বেদুঈন বলেছেন: আসলেই আমার জ্ঞান কম ভাই।কিন্তু সত্যি বল্কতে কি যতটা কম ভাবছে আসলে ততটা কম না তাঁর থেকে এট্টূ বেশি!কিন্তু ভাই আপনি ইমাম বুখারির ,মুসলিমের প্রশিদ্ধ ৬ টা হাদিসের অধিকাংশ কথাই মিথ্যা মনে করেন।আমি আপনাদের মত লোকদের চিনি।মুখের উপর গালি দিলেও আপনারা ছুপ থাকবেন মিষ্টী করে একটা হেসে আগের চেয়েও দ্বীগুন ভাল ব্যবহার করে সুন্দর করে মিথ্যা যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দেবেন।হাজার রাগলেও রাগবেন না ।আপনার হচ্ছে ঠান্ডা মস্তিষ্কের মিথ্যা বাদি।

ঠিক এই ভাবে সালাউদ্দিনের সময় থেকে আজ পর্যন্ত পশ্চাত্যের কুত্তা গুলো আপনাদের মত মানুষদের অসাধারণ ভূল যুক্তি দ্বারা সত্য কে মিথ্যা বানানো এবং খুব ভাল ব্যবহার যুক্তি সম্পূর্ণ কথার ট্রেনিং দিয়ে আসিছে।আপনিও হইত তাদের দলের অথবা না।তবে দেশে পশ্চাত্যের ক্রুসেডের ট্রেনিং দেওয়া দল আনেক আছে যেমন হিজবুত তাওহীন,অসংখ্য পীর,যারা নতুন করে নবুয়্যতের দাবি করে আনেক আনেক।এই যে আপনি ওদের দেওয়া ট্রেনিঙ্গের মত কত্ত সুন্দর ভাবে কুফর ঢুকিয়ে দিচ্ছেন আর কথায় কথায় মহা মানব্দের মত আমার আল্লাহ জানে আমার আল্লাহ জানে বলে বুলি আওড়াচ্ছেন।হইত আপনি নাস্তিকদের মিশন ত্থেকে এসেছে যে সাধারণ মানূষ কে যদি বলা যাই আমি নাস্তিক তাহলে কেউ মার কথা নাশুনেই গালিগালাজ করবে কিন্তু যদি মুসলিম নাম ধরে এদের মধ্যে আস্তে আস্তে কুফুরি আকিদা ঢুকিয়ে দেই তাহলে তো হয়ে গেল কাজ।পরে হইত যেদিন আবাল মানুষের নেতা হবেন সেদিন বলবেন যে আল্লাহ বলে কেউ নেই সব ভুল মিথ্যা আর আপনার অনুসারি ভক্তগনও আপনার শুরে শুর মেলাবে হয়ে গেল আপনার কাজ।এক আব্দুল্লাহ ইবনে সাবাহ সিয়া নামের ভয়ংকর একটা দলের জন্ম দিয়েছে জানি না আপনি কোন দলের জন্ম দেবেন (ইনশাল্লাহ)।তবে যাই দিন আপনার দলে কাফের ছাড়া আর সুন্নি মুসলিম বিদ্বেষি ছ্যাড়া কোন লোক থাকবে না।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৬

হানিফঢাকা বলেছেন: ১। এইখানে আমি কোথায় মিথ্যা বলেছি সেটা আপনি বলছেন না। আপনি কথা বলছেন আপনার অন্ধ বিশ্বাস থেকে। আপনার অন্ধ বিশ্বাস ভাঙ্গানো আমার কাজ নয়, সেটা আমার উদ্দ্যশ্য ও নয়। আমি কোন ভাবেই অন্ধ বিশ্বাসের অনুসারী না।

২। আপনি আমাকে যে ভাষায় আমার বিভিন্ন লেখায় মন্তব্য করেছেন, তাতে আমি আপনার সুন্নী ধর্মীয় জ্ঞান নিয়ে সন্দিহান

৩। আমি কোথাও আপনাকে আমার বিরুদ্ধে বলার জন্য মানা করছি না। আপনার শেষ কমেন্ট টা পড়ে আমার মনে হচ্ছে আপনি নিতান্তই ছেলেমানুষ। দয়া করে আপনার বয়স এবং প্রফেশন বলবেন কি?

৪। আচ্ছা আপনি কি মনে করেন কোরআনের কয়েকটা আয়াত ছাগলে খেয়ে ফেলার কারনে ঐ আয়াত গুলি কোরআনে সন্নিবেশিত করা যায়নি? দয়া করে উত্তর দিবেন।

যদিও আমার পোস্টের সাথে আপনার এই মন্তব্য সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক, তার পরেও যেহেতু আপনি মনে করেন ৬ টা হাদিস বইয়ে কোন ভুল নেই সেহেতু আপনার জন্য কিছু লিখছি।


যে জিনিষটা আপনি ওভার লুক করে যাচ্ছেন বা জানেন না তা হচ্ছে হাদিস সবসময় কোরআনের সাবঅর্ডিনেট, এর ঊল্টা কখনোই সম্ভব নয়। অর্থাৎ যদি কোন হাদিস কোরআনের সাথে বৈপরীত্য হয়, তবে কোরআনের কথাই চূড়ান্ত। এর কোন ব্যতিক্রম হতে পারেনা। সমস্যা হচ্ছে হাদিস অথেনটিক কি না তা বুঝার জন্য কোন ইমাম কোরআন কে ক্রাইটেরিয়া হিসাবে ধরেন নাই। যার ফলে এখন আমরা হাদিসের মধ্যে প্রচুর কনফ্লিক্টিং জিনিষ পাচ্ছি যা কোরআনের সম্পূর্ণ বিপরীত।
আমার মনে হয় না আপনি। আপনি যে ছ্য়টা অথেনটিক (আপনার মতে) হাদিস বইয়ের কথা বলেছেন তা আপনি ভালভাবে পড়ে দেখেন নি, কোরআনের সাথে মিলিয়েও দেখেনি। (ভালভাবে কোরআন পড়েছেন কিনা সেটা নিয়েও সন্দেহ আছে) । বেশিরভাগ মানুষের হাদিস সম্পর্কে খুব কম ধারনা আছে, সাধারণত তারা হাদিস জানে অপরের কাছ থেকে শুনে। খুব কম সংখ্যকই হাদিস বই পড়ে এবং তাও অল্প কিছু হাদিস। কিন্তু যেটা বেশিরভাআগ মানুষ জানে না সেটা হচ্ছে হাদিস সংগ্রহের ইতিহাস, ক্রাইটেরিয়া এবং তৎকালীন রাজনৈতিক প্রভাব।

এই ব্যাপারে আমার অবস্থান খুব পরিষ্কার। যে হাদিস তা যেই লিপিব্ধ করে থাকুক, যেই বলে থাকুক, যে বইয়েই থাকুক না কেন যদি তা কোরআনের সাথে কনফ্লিক্ট করে তবে সেটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং আমি শুধু সেই হাদিসই বিশ্বাস করি যা কোরআনের সাথে একি সুরে কথা বলে।

ইসলামের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করার ব্যপারে আমি খুব খুব ছোট করে একটা ব্লগ লিখেছি। সেটা দেখতে পারেন। Click This Link

আমি আমার ব্লগে ছোট করে একটা উদাহরণ দিয়েছি হাদিস কালেকশনের ব্যপারে। এর লিঙ্ক আগেও আপনাকে দিয়েছিলাম। এই ব্যপারে আপনি কোন উত্তর দেন নি। ঐ খানে যে কয়টা অঙ্ক দিয়েছিলাম তার কোন সমাধান ও করেন নি। আপনার জন্য লিঙ্কটা আবার দিলাম। দয়া করে উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন। Click This Link

আপনার ধর্মের (সুন্নী) অনেকেই এই হাদিসের সমালোচনা করেছেন। এখন ইন্টারনেটের যুগ, একটু খুজলেই পাবেন। পড়ে দেখুন।

আমি আপনাকে একটা প্রশ্ন করি “আল্লাহ এবং বুখারির মধ্যে আপনি কার কথা বিশ্বাস করবেন?

আল্লাহ আপনাকে প্রশ্ন করছেনঃ

আল্লাহর প্রশ্নঃ In which hadith, besides God and His revelations do they believe? (45:6)

আপনার উত্তরঃ “We believe in Bukhary, Muslim, Tirmizy, Ibn Hanbal, Kafi, Nahjul Balaga, and more besides God’s revelations.”

আল্লাহর প্রশ্নঃ "Do you have another book which you study? In it you find whatever you wish to find?" ( 68:37-38)

আপনার উত্তরঃ “Yes, we have Bukhary, Muslim, Tirmizy, Ibn Hanbal, Kafi, Nahjul Balaga, and more besides God’s revelations.”


এবং শেষে আল্লাহ বলছেনঃ
And when you mention your Lord alone in the Qur'an, they turn back in aversion. (17:46)

And when Allah is mentioned alone, the hearts of those who do not believe in the Hereafter shrink with aversion, but when those [worshipped] other than Him are mentioned, immediately they rejoice. (39:45)



১৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩০

আরব বেদুঈন বলেছেন: আগের কমেন্টে অতিরিক্ত বানান ভুলের জন্য দুঃখিত আসলে অভ্যাস নেই তো কি বোর্ডে।যাই হোক যা বলছিলাম- আপনার নামে আমি যে কথা লিখেছি সেটা ছড়াবই।আপনি মানা করলেও ছড়াব।আর আমি জানি আপনি এখানেও মিষ্টি করে হেসে বলবেন চালিয়ে যান ভাই আর বলবেন সত্য চাপা থাকে না। সে যাই হোক আল রেডি আপনি একটা সাগরেদ পেয়ে গেছেন কমেন্ট পড়ে দেখলাম।এই কইদিনেই এত সাফল্য!!! চালিয়ে গেলে ইবনে সাবাহ এর মত আরো বহু পাবেন বলে মনে হই।""ছোট ছোট বালু কণা, বিন্দু বিন্দু জল গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল"" এভাবেই হবে যে খারাপ হতে চাই আল্লাহ তাকে খারাপ হবার আরো সুযোগ দেই যেমন দিয়েছিল হাসান ইবনে সাবাহ কে ওকে জেলে আটকে রাখল সাদ ভেজ্ঞ গেল মানুষ ভয়ে ওকে শহরে বাইরে পাঠিয়ে দিল।আপনি পাবেন মনে হই।তবে দোয়া করি যেন দ্রুত আপনার ধংস হই অথবা সত্যের পথে আসেন।

১৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: ঈসা (আ) এর জন্ম নিয়ে গবেষণা কম হয় নি। বিশেষ করে যারা দুনিয়াতে আল্লাহর অলৌকিক কাজকে মানতে চায় না, দুনিয়ার নিয়মগুলিকেই চুড়ান্ত মনে করে, তারা নানা ভাবে ঘুরিয়ে পেচিয়ে বলার চেস্টা করেছে যে দুনিয়ার নিয়মে যেহেতু পিতা ছাড়া সন্তান জন্ম সম্ভব নয় সেহেতু ইসা(আ) এর একজন পিতা থাকতেই হবে। কেউ বলেছে জোসেফ তার পিতা, আবার কেউ আল্লাহকেই তাঁর পিতা বানিয়ে দিয়েছে। আপনি সরাসরি কাউকে পিতা বানাতে না গেলেও তার জন্ম কে আর দশটা মানুষের মত স্বাভাবিক প্রমানের জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেছেন।

যাই হোক, এটা ছিল আগের দিনের বিশ্বাস। বর্তমান বিজ্ঞান যখন ক্লনিং এর ধারনা প্রতিষ্ঠিত করল তখন ঈসা(আ) এর পিতা ছাড়া জন্ম মেনে নিতে আপনাদের সমস্যা থাকার কথা না। কারণ এখন আর সেটা অলৌকিক ঘটনা থাকছে না। আল্লাহর নির্দেশে একজন ফেরেশতা এসে ক্লনিং এর মাধ্যমে তৈরী ভ্রুন মরিয়ম(আ) এর গর্ভে রেখে গিয়েছিলেন - তারপর স্বাভাবিক প্রকৃয়াতেই ওনার জন্ম হয়েছিল। তাহলে আপনাদের বিশ্বাস - 'দুনিয়ার নিয়মের অপরিবর্তনীয়' এটাও ঠিক থাকল, আবার হাজার বছরের হাজার কোটি মানুষের বিশ্বাস পিতা ছাড়া ঈসা(আ) এর জন্ম সেটাও ঠিক থাকল।

তবে এখান থেকে শিক্ষনীয় হল - বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে কোরআন ও ইসলামের বহু বিষয় ক্রমাগত বোধগম্য হবে। আজকের বিজ্ঞানকেই চুড়ান্ত ধরে কোরআন বা ইসলামের সার্বজনীন বিশ্বাস নিয়ে সন্দেহ করার দরকার নাই। আজ থেকে হাজার বছর পরে মানুষের জ্ঞান বিজ্ঞান যে স্তরে পৌছাবে সেই সময়ে বুঝে আসবে এমন অনেক বিষয়ই কোরআনে আছে। আজকেই সবটা বুঝতে চাইলে ভুল হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। তবে কেউ স্বেচ্ছায় ভুল পথে যেতে চাইলে আল্লাহ সেই পথই তার জন্য সহজ করে দেন - এটা কোরআনেই বলা আছে। আশা করি আপনি সেই পথে যাওয়ার চেস্টা করবেন না।

ধন্যবাদ।

২১ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:১৬

হানিফঢাকা বলেছেন: ইসা (আঃ) পিতা ছাড়া জন্ম নিয়েছেন এইটা আপনি কোথায় পেয়েছেন? এর উৎস কি জনাব? কেঁচো খুঁড়লে সাপ বেড়িয়ে যেতে পারে।

"আল্লাহর নির্দেশে একজন ফেরেশতা এসে ক্লনিং এর মাধ্যমে তৈরী ভ্রুন মরিয়ম(আ) এর গর্ভে রেখে গিয়েছিলেন - তারপর স্বাভাবিক প্রকৃয়াতেই ওনার জন্ম হয়েছিল। "
- আপনার এই ক্লোনিং থিওরী সত্যিই খুব মজার। ক্লোনিং সম্পর্কে একটু জেনে বলবেন। অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে খড়কটু আঁকড়ে ধরে ডুবন্ত অবস্থা থেকে বাচা যায়না। আপনার থিওরী কতটা অবান্তর সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। আচ্ছা বলেনতঃ "ঈসার শরীরে কি "Y Chromosome" ছিল? বিজ্ঞান সম্পর্কে মিনিমাম জ্ঞান থাকলে প্রশ্নটা বোঝার কথা।
ধন্যবাদ।



১৭| ২১ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: ঈসা (আ) পিতা ছাড়া জন্ম নেন নাই এটা প্রমানের জন্য যখন আপনাকে দুই পর্বে বিশাল লেখা পোস্ট করতে হয় তখন স্বাভাবিক ভাবেই বলা যায় যে ঈসা(আ) এর পিতা ছাড়া জন্ম নেয়ার ইতিহাস/মতামত আছে - আমি সেটাই সমর্থন করছি। যদি নাই থাকত তাহলে আপনাকে এতকিছু লিখতে হচ্ছে কেন? অন্য কোন নবীর ব্যাপারে কি এভাবে যুক্তি খুজতে হচ্ছে?? আর এটা যে আপনিই প্রথম করছেন তাও কিন্তু নয়। এই ব্লগেই কয়েক বছর আগে এ'ধরনের লেখা দেখেছি। এই বিতর্কটা আসলে অনেক পুরোন।

আচ্ছা একটা বিষয় আর একটু পরিষ্কার করুন: আল্লাহ মানুষকে পিত্রিপরিচয়ে ডাকতে বলেছেন -
'তোমরা তাদেরকে তাদের পিতৃপরিচয়ে ডাক। এটাই আল্লাহর কাছে ন্যায়সঙ্গত। যদি তোমরা তাদের পিতৃ-পরিচয় না জান, তবে তারা তোমাদের ধর্মীয় ভাই ও বন্ধুরূপে গণ্য হবে। এ ব্যাপারে তোমাদের কোন বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তবে ইচ্ছাকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।'( সুরা আহযাব আয়াত ৫)

এটা মানুষের পক্ষে সম্ভব যে কার পিত্রিপরিচয় জানবে না, কিন্তু আল্লাহতো সব জানেন। তাহলে তিনি ঈসা(আ) এর পিত্রিপরিচয় জেনেও কেন বার বার মরিয়ম তনয় ঈসা বলেছেন? আপনার কী মনে হয়?

দু:খের সাথে বলতে হচ্ছে আপনি এখনও বর্তমান বিজ্ঞানের আলোকে বিবেচনা করার গন্ডি পার হতে পারছেন না। গত শতাব্দিতেও নারী পুরুষের মিলন ছাড়া সন্তান জন্ম দানের কল্পনাও করা যেত না। বর্তমানে টেস্ট টিউব বেবি খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গেছে। ক্লনিংও এখন এক বাস্তবতা। বিজ্ঞানীরা এখনও "Y Chromosome" এর জন্য পুরুষের উপর নির্ভরশীল। আল্লাহর কৌশল যদি আর মাত্র একটু উন্নত হয় তাহলেই এই বাধা থাকার কথা নয়। Y Chromosome এবং X Chromosome এ ডি.এন.এগত পার্থক্য খুব বেশী না। তাই একটা থেকে অন্যটা বানিয়ে নেয়া আগামী দিনের বিজ্ঞানেও অসম্ভব হবে না।

বিশ্বাস রাখুন আল্লাহর কুদরতের উপর আর তাকাতে চেস্টা করুন আগামী কয়েক হাজার বছর পরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দিকে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যে উন্নতি গত কয়েক শতাব্দিতে হয়েছে সেই ধারা অব্যাহত থাকলে কয়েক হাজার বছর পর সেটা কোথায় পৌছাবে তা কল্পনা করা কস্টকরই বটে।

২২ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

হানিফঢাকা বলেছেন: পর্বে বিশাল লেখা পোস্ট করতে হয় তখন স্বাভাবিক ভাবেই বলা যায় যে ঈসা(আ) এর পিতা ছাড়া জন্ম নেয়ার ইতিহাস/মতামত আছে - আমি সেটাই সমর্থন করছি। [/sb যাদের কাছ থেকে এই মতামত পেয়েছেন তাঁদের কে জিজ্ঞেস করেন তাঁদের এই মতামতের ভিত্তি কি? আমি আমার যুক্তি দিয়ছি।

সুরা আহযাব আয়াত ৫ এর রেফারেন্স দিয়েছেন। এর কন্টেক্সট এর আগের দুই আয়াতে দেওয়া আছে। সেটা দেখে নিয়েন।

আপনি অনুমান নির্ভর কথা বলছেন। আপনি যে কোন কিছুই অনুমান করতে পারেন- তাতে কিছু আসে যায় না। সলিড যুক্তি থাকলে বলেন। দয়া করে আপনার অনুমান আপনার কাছেই রাখুন। রেফারেন্স সহ কোন প্রমান থাকলে বলতে পারেন। না হলে দয়া করে শুধু শুধু সময় নষ্ট করবেন না।

১৮| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:০১

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: 'আপনি আল্লাহর উপর ভরসা করুন। কার্যনির্বাহীরূপে আল্লাহই যথেষ্ট।
আল্লাহ কোন মানুষের মধ্যে দুটি হৃদয় স্থাপন করেননি। তোমাদের স্ত্রীগণ যাদের সাথে তোমরা যিহার কর, তাদেরকে তোমাদের জননী করেননি এবং তোমাদের পোষ্যপুত্রদেরকে তোমাদের পুত্র করেননি। এগুলো তোমাদের মুখের কথা মাত্র। আল্লাহ ন্যায় কথা বলেন এবং পথ প্রদর্শন করেন।
তোমরা তাদেরকে তাদের পিতৃপরিচয়ে ডাক। এটাই আল্লাহর কাছে ন্যায়সঙ্গত। যদি তোমরা তাদের পিতৃ-পরিচয় না জান, তবে তারা তোমাদের ধর্মীয় ভাই ও বন্ধুরূপে গণ্য হবে। এ ব্যাপারে তোমাদের কোন বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তবে ইচ্ছাকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।'

এটাইতো পুরো কনটেক্সট - এতে কী বদলাচ্ছে? আপনি কি বলতে চাচ্ছেন এখানে শুধুমাত্র পোষ্যপুত্রদেরই পিত্রিপরিচয়ে ডাকতে বলা হয়েছে? তাহলে কি অন্যদের মাত্রিপরিচয়ে ডাকার নির্দেশ আছে? নাই। আল্লাহ কি পুরো কোরআনে অন্য কাউকে মাত্রিপরিচয়ে ডেকেছেন? আমার চোখে পড়ে নি, আপনার জানা থাকলে জানাবেন দয়া করে। যদি না থাকে তাহলে একমাত্র ঈসা(আ)কেই কেন মাতৃপরিচয়ে ডাকা হল? তবে কি তার পিতার পরিচয় আল্লাহর অজানা ছিল?

আমি যেটা বলেছি সেটা মোটেই অনুমান নির্ভর নয় বরং বিজ্ঞানের ধরাবাহিক উন্নতি এটাই প্রমান করছে। বরং হাজার বছর ধরে কিছু মানুষই অনুমান করছে যে ঈসা(আ) এরও একজন পিতা আছে কারণ তাদের দৃস্টিতে এই দুনিয়ায় নিয়মের বাইরে কিছুই হতে পারে না, এমনকি আল্লাহ চাইলেও না!

যে আল্লাহ শুন্য থেকে বিশ্বজগত তৈরী করলেন সেই আল্লাহ চাইলেও এই দুনিয়ার নিয়মের বাইরে কিছুই করতে পারবেন না এমন বিশ্বাস নিয়ে তারা দৃঢ়তার সাথেই বিতর্ক করত। কিন্তু বিজ্ঞান তাদের সেই ধারনাটাই মিথ্যা প্রমানিত করেছে, খুজে বের করেছে দুনিয়ার সেই নিয়ম যাতে পিতা ছাড়াও সন্তানের জন্ম সম্ভব। আগামীর বিজ্ঞান আরো অগ্রসর হয়ে পিতা-মাতা উভয়কে ছাড়া শুধুমাত্র মাটির উপাদান দিয়ে যন্ত্রের মধ্যে মানব দেহ তৈরী করতে সক্ষম হবে (যেটা এখনকার সাইন্স ফিকশন মুভিতে দেখান হচ্ছে) এবং আমরা বুঝতে পারব পিতা মাতা ছাড়াই কিভাবে আদম (আ) কে তৈরী করা হয়েছিল। তবে আপনি যদি আপনার বিশ্বাস নিয়ে থাকতে চান থাকতে পারেন, কিন্তু অন্য অনেকেই বিষয়টা মেনে নিয়েছেন এবং ইতিমধ্যেই এই বিতর্কের অবসান হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.